The Hunted Lover💖part-23

#The_Hunted_Lover (A vampire love story)
#Tafsia_Meghla
#Part:23

হঠাৎ পেটে কারো শীতল হাতের স্পর্শ পেয়ে কেপে উঠে এ স্পর্শ যে মায়ার চেনা অজান্তেই মায়ার মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠে৷ রয় দৃশ্যমান হয়ে মায়ার পেটে হাত দিয়ে আচমকা টান দিয়ে সামনে ঘুরিয়ে মায়ার ঠোঁট দুটো আবদ্ধ করে নেয়৷ মায়া পরম আয়েশে চোখ বন্ধ করে ফেলে৷
রয় কে ছাড়িয়ে মায়া ফুপিয়ে কেঁদে উঠে বলে,
— “কোথায় ছিলেন দুদিন?”

রয় ফিস ফিস করে বলে,
— “তোমার আশে পাশেই ছিলাম৷ ”

— “তাহলে আমি অনুভব করতে পারিনি কেন?”

— “কারন আমি চাইনি৷ আমি তোমাকে ছাড়বো না কখনই আমি তোমার মুখে ভালোবাসি কথাটা শুনতে চেয়েছিলাম, তোমার মায়া জালে আমায় ফাসিয়েছো এখন আমার হিংস্রতা আর ভালোবাসার মায়া থেকে ছাড়া পাওয়া যায় না৷ ”

বলেই বাকা হাসি দেয়, মায়ার আজ ভয় করছে না কেন তা জানে না৷ সামনে কি হবে মায়া তা জানে না একটা মানুষ আর ভ্যাম্পায়ার এর ভবিষ্যত কি হতে পারে? আদৌ কি তারা এক হতে পারবে? রয় কখনো মায়াকে ছাড়বে না তা মায়া জানে, কিন্তু ভবিষ্যতে কি হতে পারে তা মায়ার অজানা আর জানতেও চায় না আপাদত রয়ের ভালোবাসা উপভোগ করতে চায়৷

____________________________

অন্ধকার রুমে বসে হুংকার দিয়ে উঠছে জুবিয়ান রিজভী সামনেই একটা আয়না এতোক্ষন রিও জেনিফাকে দেখছিলো আর রাগে ফুসছিলো৷ রিজভীর হুংকারে সব কিছু কেপে কেপে উঠছে৷
ইরিনা পাশেই ছিলো রিজভীর সামনে এসে বলে,
— “কিং দয়া করে শান্ত হোন এখন এমন হিংস্রতা না প্রকাশ করে ওই এঞ্জেলিনা আর রিওর কি করবেন তা ভাবুন৷ ”

রিজভী আবারো হুংকার দিয়ে উঠে বলে,
— ” এঞ্জেলিনার সব শক্তি রিওর কাছে রিও কে কিছু করার ক্ষমতা কোন নেকড়ের নেই৷ ”

একটু থেমে পৈচাশিক হাসি দিয়ে বলে,
— “কিন্তু রিওর এঞ্জেল, সে তো এখন মানুষ ওকে তো এক নিমেষেই শেষ করে দিতে পারবো কিন্তু না এঞ্জেলিনা কে যে এক রাতের জন্য হলেও আমার চাই৷ ”
বলেই আবার ঘর কাপিয়ে পৈচাশিক হাসিতে মেতে উঠে ইরিনা আর জুবিয়ান রিজভী
।
।
প্রায় শেষ রাত জেনিফা কে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে এখনি এলো রিও সাথে রয় দাঁড়ানো রয় বলে,
— “প্রিন্স আপনাকে ভ্যাম্পায়ার রাজ্যে যেতে হবে কিং জ্যাক এর আদেশ৷ ”

— “এখন ভ্যাম্পায়ার রাজ্যে কেন?”

— “আপনার রাজ্যাভিষেক এর জন্য প্রিন্স, কিং জ্যাক বলেছে আপনাকে যেতেই হবে সে আর কোনো যুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে না তাই আপনাকে সব কিছু সামলাতে হবে দুদিনের মধ্যে আপনার রাজ্যাভিষেক করতে চায়৷ ”

— “আমি এখান থেকে গেলে এঞ্জেল কে দেখবে কে? ওর যেকোনো সময় বিপদ ঘটতে পারে৷ ”

— “আমি আছি প্রিন্স আপনি যেতে পারেন৷ ”

রিও কিছু একটা ভেবে রাজি হয়ে যায়, কিন্তু জেনিফা কে একা রেখে যাওয়ার মোটেও ইচ্ছে নেই৷ ওর অনুপস্থিতি তে কোনো বিপদ ঘটবে না তো? জেনিফার আবার কিছু হবে না তো?
।
।
সকালে ঘুম থেকে উঠে রিজভী কে সামনে দেখে অনেকটা ভয় পেয়ে যায় জেনিফা হুট হাট এমন অদৃশ্য অবস্থা থেকে জেনিফার সামনে দৃশ্যমান হওয়াতেই মূলত ভয় পেয়েছে৷
রিও বাকা হেসে জেনিফার কানের সামনে ফিস ফিস করে বলে,
— “এইটুকুতেই এতো ভয় এঞ্জেল?”

জেনিফা ব্রু কুচকে বলে,
— “এঞ্জেল কে?”

রিও কোন উত্তর দেয় না জেনিফা বলে,
— “একজন ভ্যাম্পায়ার হয়ে কেন মানুষের রাজ্যে এসেছেন? কেনই বা মানুষের কন্যাকে ভালোবাসলেন কেন প্রিন্স?”
আচমকা অজান্তেই নিজে প্রিন্স বলে জেনিফা নিজেই অবাক হয়ে যায়৷ রিও মুচকি হেসে বলে,
— “তুমি যে আমার এঞ্জেল৷ ”

— “আমি প্রিন্স বললাম কেন? আর আমি এঞ্জেল মানে? এঞ্জেলিনা তো মাদারের গল্পের সেই ভ্যাম্পায়ার কন্যার নাম ছিলো আর রিও তাকে,,,,”

এইটুকু বলেই থমকে যায় জেনিফা তারপর রিওর দিকে তাকিয়ে বলে,
— “আপনি সেই ভ্যাম্পায়ার প্রিন্স সায়মন রিও? আচ্ছা এঞ্জেলিনার কি হয়েছিলো? এঞ্জেলিনা কোথায়?আপনি তো এঞ্জেলিনা কে ভালোবাসেন তাহলে কি আমাকে মিথ্যে বলছেন?

রিও বলে,
— “তুমি আমার এঞ্জেল৷ ”

জেনিফা অবাক হয়ে বলে,
— “কি বলছেন কি?আমি এঞ্জেল মানে? আমিতো মানুষ? এঞ্জেলিনা তো ভ্যাম্পায়ার ছিলো, আমি কি করে এঞ্জেলিনা হবো প্লিজ বলুন৷ ”

জেনিফা একদম উত্তেজিত হয়ে পরেছে রিও এঞ্জেলিনা কে শান্ত করে অতীতের সব কিছু বলে৷ সবটা শুনে এঞ্জেলিনা স্থির হয়ে গেছে৷
ও ভ্যাম্পায়ার কন্যা ছিলো? এ সব কি সত্যি? না এ কি করে হতে পারে এটা হওয়ার নয়৷ কিন্তু কি হয়েছিলো? আগের জন্মে আত্মহত্যাই বা করেছিলো কেন?
জেনিফা আরো বেশি উত্তেজিত হয়ে পরেছে রিও সামাল দিতে পারছে না, তাহলে সেই কথাটা জানার পর কি করে ঠিক থাকবে?
কি করে সামাল দিবে জেনিফাকে?
— “মাদারের বলা গল্প তাহলে আমার জীবনের গল্পই ছিলো? তাহলে মাদার সব জানতো? আমাকে বলেনি কেন?
মা-বাবা ওদের বলবো কি করে?আর রিও আমাকে নিয়ে যেতে এসেছে তাহলে আমাকে সেই হিংস্র রাজ্যে নিয়ে যাবে? যেখানে সকল রক্ত খেকোদের বসবাস, আমি একটা মানুষ হয়েই বা কি করে থাকবো? না না আমি কোথাও যাবো না ওখানে যাবো না আমি৷ ”

— “এঞ্জেল,,”
রিওর ডাকে ভাবনা থেকে ফিরে জেনিফা রেগে বলে,
— “না আমি এঞ্জেল না আমি জেনিফা আমি যাবো না আপনার সাথে, প্লিজ আমাকে নিয়ে যাবেন না সেখানে আমি থাকতে পারবো না৷ ”

রিও আবার জোরে বলে,
— “এঞ্জেল শান্ত হও৷ তোমায় এখন নিয়ে যাবো না আমি সময় হলে নিজেই বলবে আমি এখানে থাকবো না ভ্যাম্পায়ার রাজ্যে নিয়ে চলুন আমায়, সে দিনেরই অপেক্ষায় থাকবো আমি আপাদত আমার ভ্যাম্পায়ার রাজ্যে যেতে হবে আমার রাজ্যাভিষেক এর জন্য৷ ”

রিও চলে যাবে শুনেই জেনিফার মন খারাপ হয়ে যায় জেনিফা বলে,
— “আপনি আর আসবেন না প্রিন্স?”

রিও মুচকি হেসে বলে,
— “কিছু দিন পরই চলে আসবো৷ ”

একটু থেমে আবার বাকা হাসি দিয়ে কানের কাছে ফিস ফিস করে বলে,
— “তুমি কিন্তু এবার নিজ থেকেই প্রিন্স বললে, তা ছাড়া আমি আর প্রিন্স নই দুদিন পরই কিং হয়ে যাবো তখনো কি প্রিন্স বলবে?”

জেনিফা আনমনে বলে,
— “আপনি আমার প্রিন্স আমি সারা জনমই প্রিন্স বলবো৷ ”
কথাটা বলে জেনিফা আবার অবাক হয়ে যায়, কি হচ্ছে ওর সাথে এসব? আনমনে কি বলে ফেলছে?

রিও জেনিফার কোমর চেপে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে ঘাড়ে ঠোঁট ছুইয়ে ওর গলা থেকে একটা লকেট খুলে জেনিফার গলায় পরিয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়৷

চলবে,,

[জানি অনেক ছোট হইছে ছোট বলে কেও লজ্জা দিও না কিছু দিন ছোট হবে🙂]