The Hunted Lover💖part-25

#The_Hunted_Lover ( A Vampire Love story)
#Tafsia_Meghla
#Part:25

পুরো একটা রাত কেটে গেছে জেনিফার কোনো খোজ নেই রয় অনেক খোজা খোজির পরও পায়নি, জেনিফার মা অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে কিছুক্ষন পর পরই৷ মাদার নিস্তব্ধ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে জেনিফার মায়ের সামনে রয়ও অদৃশ্য অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে৷
মাদার কিছুটা দূরে গিয়ে রয় কে বলে,
— “প্রিন্স কোথায়?”

রয় মাথা নিচু করে বলে,
— “আজ তার রাজ্যাভিষেক কালই চলে আসবে৷ ”

মাদার রেগে বলে,
— “মানে কি? তুমি তাকে এঞ্জেলিনার কথা বলো নি?”

— “না মাদার ভেবেছি আমি খুজে পাবো, আজ আমার দৃষ্টিতেও কিছু দেখছিনা প্রিন্স কে জানাবো এখনি আমি স্বরন করছি৷ ”
মাদার রেগে রয়ের সামনে থেকে বেড়িয়ে আশ্রমের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়, আজ বিশেষ কাজ আছে মাদারের জেনিফাকে কেন্দ্র করেই৷

রয় রিও কেউ আজ স্বরন করতে পারছে না এমনটা কেন হচ্ছে তা রয়ের অজানা আজ নিজের কোনো শক্তি প্রয়োগ করতে পারছে না৷ যতবার চেষ্টা করছে ততবারই দুর্বল হয়ে পরছে৷ রয় বাড়ি থেকে বের হতেই হঠাৎ দৃশ্যমান হয়ে যায়, রয় বেশ অবাক কারন র‍য় নিজ থেকে দৃশ্যমান হয়নি৷ রয়ের শরীরে রোদের আলো পরাতে কিছু কিছু জায়গা ঝলসে যাচ্ছে৷
রয় অনেক কষ্টে মায়ার ফ্লাটে আসে তাও পায়ে হেটে কারন আজ কোনো শক্তি কাজ হচ্ছে না৷ মায়ার ফ্লাটে মায়া একাই থাকে আর এখান থেকে সামনেও, রয় পুরোপুরি নাজেহাল হয়ে গেছে আপাদত ওর ঠান্ডা স্থান দরকার৷
রয় কে দেখে মায়া অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে শরীরের অবস্থা নাজেহাল মায়া হকচকিয়ে বলে,
— “কি হয়েছে আপনার রয়?”

মায়াকে সবটা বলে রয় জেনিফাকে পাওয়া যাচ্ছে না শুনে মায়া কান্না জুরে বসেছে রয়ের এসব আপাদত ভালো লাগছে না মাথা চরে বসেছে মায়াকে ক্রস করে রয় মায়ার ওয়াশরুমে ঢুকে পানিটা ছেড়ে বাথটাবে শুয়ে পরে৷ মায়া ওয়াশরুমে ঢুকে রয় কে এমন ঠান্ডা পানির মধ্যে ডুবে থাকতে দেখে ভয় পেয়ে যায়৷
আপাদত রয়ের সামনে না থাকাটাই শ্রেয় ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়ে আসতে নিলেই রয় মায়ার হাত চেপে ধরে নিজের উপরে এনে চেপে ধরে ঘাড়ে মুখ ডুবায় আপাদত রয়ের রক্ত প্রয়োজন, জেনিফাও দাত চেপে নিজের কষ্ট সহ্য করছে ভালোবাসার মানুষটার জন্য এইটুকু কষ্ট কিছুই না৷
বেশ খানিকখন পর রয় মায়াকে ছেড়ে নিজেই বেড়িয়ে আসে৷ বিকেল পেরিয়ে কালো সন্ধ্যা নেমে এসেছে রয় আকাশের দিকে তাকিয়ে থমকে উঠে৷ তারাতারি মায়ার কেলেন্ডারের সামনে গিয়ে দাঁড়ায় কিছু একটা একটা ভেবে থম মেরে বসে থাকে, আজ প্রথম রয়ের নিজেকে একজন অসহায় ভ্যাম্পায়ার মনে হচ্ছে৷
।
।
ঘড়ির কাটায় ঠিক বারোটা সেই ঘড়িটার কাটা আজ অন্য নিকে ঘুরছে সামনে বসেই বৃদ্ধা মহিলা আর তার পায়ের কাছে মাদার বসে আছে৷ হঠাৎ সেই পুরোনো ঘড়িটার ঘন্টা টা বেজে উঠে পুরো আশ্রম নড়ে উঠছে৷
মাদার কেঁপে উঠে বলে,
— “এটা বেজে উঠলো কেন? এর মানে কি? কেন এমন হচ্ছে? এতো বছর তো এটা বাজে নি তো আজ কেন?
কিসের ইঙ্গিত এটা? এ এঞ্জেলিনা ঠিক আছেতো?

মহিলাটি গম্ভীর মুখে বলে,
— ” আজ কি হবে তা আমি নিজেও জানি না, এঞ্জেলিনা ঠিক থাকবে কিনা এঞ্জেলিনা আদৌ ভালো থাকবে কি না৷ কিন্তু কিছু তো হবে হয়তো পুরোনো ঘটনা আবার পুনরাবৃত্তি হবে, হয়তো আবার ধ্বংস হয়ে যাবে সব৷
বলেই মহিলাটি আবার হাওয়ায় মিলিয়ে যায়৷
মাদার থর থর করে কাঁপছে, তারমানে আবার ৫০০ বছর পুরোনো ঘটনা ঘটবে? আবার এঞ্জেলিনা,,,৷

— “না না এঞ্জেলিনা ঠিক থাকবে নয়তো সব কিছু ধ্বংস করে দিবে সে কেউ তাকে বুজাতে পারবে না৷ ”
।
।
জুবিয়ান রিজভী পৈচাশিক হেসে চাঁদের দিকে তাকিয়ে আছে,রাত যত বাড়ছে রিজভী যেন আরো খুশি হয়ে যাচ্ছে আর কিছুক্ষন পর পর পিছনে গুটিয়ে থাকা জেনিফার দিকে তাকাচ্ছে৷
রিজভী কিছু একটা ভেবে জোরে জোরে ঘড় কাঁপিয়ে পৈচাশিক হেসে উঠে৷
রিজভী কিছু একটা ভেবে বাকা হেসে জেনিফার দিকে এগিয়ে গিয়ে কু-দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,
— “এঞ্জেলিনা,,,,,,৷ ”

জেনিফা কেপে উঠে বলে,
— “ক কে আপনি? ”

— “রিজভী,,,,,,,,,,৷ ”

রিজভীর এমন ফিসফিসানি কন্ঠে কেঁপে উঠে জেনিফা ভয়ে কুকড়ে উঠছে ফুপিয়ে কেঁদে কেঁদে বলে,
— “প্রিন্স কোথায় আপনি৷ ”

রিওর কথা শুনে জেনিফার মুখে আরো বেশি রেগে যায় রিজভী, হঠাৎ গিয়ে গলা চেপে ধরে বলে,
— “তোমাকে আজ আমি কষ্ট দিয়ে দিয়ে মারবো যেন তোমার অবস্থা দেখে তোমার আশিক ভ্যাম্পায়ার রিও ও কেঁপে উঠে৷ ”

এর মধ্যে ইরিনা এসেও হাজির হয় ইরিনাকে দেখে জেনিফা বুঝতে পারে এই ইরিনাই ভ্যাম্পায়ার, কিন্তু ভ্যাম্পায়ার হয়ে নেকড়ের কাছে কি করছে? ইরিনা এসেই নিজের আসল রুপে আসে, জেনিফা পুরোপুরি হতভম্ব কারন ইরিনা ভ্যাম্পায়ার নয় একজন নেকড়ে৷ কিন্তু নেকড়ে হয়ে ভ্যাম্পায়ার রাজ্যে কি করছিলো?
রিও কি এটা জানে? ইরিনা বাকা হেসে বলে,
— “আজ পূর্নিমা ভ্যাম্পায়ার দের শক্তি বৃদ্ধির দিন কিন্তু এঞ্জেলিনা এখন ভ্যাম্পায়ার না, আর আমিও তরপে তরপে এঞ্জেলিনাকে মারতে চাই৷ তুমি একা কাজ টা করলে আমার ভালো লাগবে না এই এঞ্জেল কে সেই দিনের মতো আবার আমি নিজের হাতে মারতে চাই৷ ”
বলে চোখ বন্ধ করে নিজের জাদু শক্তি দিয়ে ইশারা করে জেনিফা কে উপরে উঠিয়ে নিচে ফেলে৷
এমন করায় জেনিফার নাক মুখ বেয়ে রক্ত পরতে থাকে জেনিফা কাপা কাপা গলায় বলে,
— “প্রিন্স আপনি কোথায় প্লিজ আমায় বাঁচান আমি বাঁচতে চাই৷ ”

ইরিনা এসে জেনিফার সব রক্ত শুষে নেয় জেনিফার শরীর ঠান্ডা হতে থাকে ইরিনা কিছুক্ষন পর সরে আসে জেনিফার এখনো কিছুটা শ্বাস প্রশ্বাস চলছে৷
জেনিফার চোখে বাঁচার জন্য হাজারো আশ্বাস আর রিও কে জুরে জেনিফার ভালোবাসার হাজারো বহিঃপ্রকাশ ঘটছে যা রিও দেখতে পারছে না আর ইরিনা, রিজভী হুংস্র চোখ দিয়ে এইসব দেখেও তোয়াক্কা করছে না৷
— “হয়তো আর আপনাকে নিয়ে বাঁচা হবে না এ জন্মে, এবারো আপনাকে নিজের করে পাবো না৷ খুব ইচ্ছে ছিলো এবার খুব করে আকড়ে রাখবো আপনাকে রিও, কিন্তু তা আর হলো না ” ভালোবাসি খুব ভালোবাসি”
রিও ধারালো এক ছুড়ি এনে জেনিফার সামনে আবার দাঁড়ায়, জেনিফার গলা চেপে ধরে ছুড়িটা জেনিফার পেটে ঢুকিয়ে দিয়ে পৈচাশিক হাসিতে মেতে উঠে ইরিনা আর রিজভী

চলবে,

[মরে গেলো জেনিফা? আমি কিছু জানিনা😑গিয়ে রিজভী আর ইরিনাকে ধরো😒 গল্প টা শেষ করে দিবো কেমন হইছে জানায়ো তোমাদের একটা গঠনা মুলক কমেন্ট লেখার আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দেয় বাট তা তোমরা করো না সামান্য নেক্সট লিখে চলে যাও যাই হোক তাতেই খুশি ❤️]