তোমাতে পর্ব-৭

0
1044

#তোমাতে
লেখনীতে~আগ্নেস মার্টেল

/পর্ব ৭/

ইদানিং ভীষণ ব্যস্ত সময় কাটে। স্মৃতি ধারালো। মূখস্তের বই তাই কম পরিশ্রমে শেষ হয়। গত মাসগুলোর সময় নষ্ট করিনি। প্রতিদিন দুই ঘন্টা আর প্রয়োজনীয় সময়টুকু বাদে বইয়ে মুখ গুজে থেকেছি। জিসান ভাইয়ের মেডিক্যালে চান্স পাওয়ার ইচ্ছে। প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। যখন আলসেমি লাগে তখন সেদিনের জিনিয়া মেয়েটার কথাগুলো মনে করি। হিংসা, জেদ, হারানোর ভয়ে আলসেমি চলে যায়। নতুন উদ্যমে পড়তে থাকি। এত বদলানোয় মাঝে মাঝে আপু মশকরা করে। বলে, “আমিও রাত ১২টায় ছাদে গিয়ে ভুতগ্রস্ত হব। পড়ার ইচ্ছে চাঙ্গা হয়ে যাবে!” মাঝে মাঝে পড়াকু বলে ক্ষেপায়। ভাইয়া অনুপ্রেরণা দেয়। দিনের ৫টা থেকে ৭টা সময়টা কাটে গড়িমসি করে। বাধা দুঘন্টা জিসান ভাইকে ত্যক্ত করি। তিনি এখন বিরক্ত হন না। বরং নিজে গল্প জুড়েন। জড়তা কেটে যাওয়ায় তিনি কখনো বিস্মিত কণ্ঠে বলেন, “তোকে আমি খুব লাজুক ভাবতাম!” আমি খিলখিলিয়ে হাসি। সেদিনের ঘটনা, নির্দিষ্ট সময়ে বই খাতা নিয়ে উনার রুমে এসেছি। উনি মনোযোগ দিয়ে মোটা বই পড়ছেন। আমি এসেছি খেয়াল করেননি। নয়ত খেয়াল করেও তাকাননি। উনার মুখোমুখী বসে বার কয়েক কাঁশলাম। তিনি বই থেকে মুখ তুলে তাকান, বলেন, “কালকে আমার পরিক্ষা। পড়তে দে।”

বিস্মিত কণ্ঠে বলি, “আপনি তো আমাকে ছুটি দেননি।”

“আমি পড়ব তুই চুপচাপ সামনে বসে থাকবি। আজকাল সারাক্ষণই তো পড়িস। দুই ঘন্টা বসে থাক।”

কথা শেষে আবার বইয়ে মুখ গুজেন। সানন্দে কথাগুলো মেনে নেই। নিজ চেয়ারে বসে উনাকে দেখতে থাকি। টেবিলে ভর দিয়ে দুগালে হাত রাখা। তিনি কিছু সময় পর পর পড়তে পড়তে মুখ তুলে তাকান। চোখাচোখিতে প্রত্যেকবার হেসে মাথা নুয়িয়ে বইতে মনোযোগী হন। খুটিয়ে দেখতে দেখতে পুরনো অভ্যাসটা পেয়ে বসল। মনের তোতাপাখি জোর গলায় বলতে লাগল, “কি হে জিসান, রূপচর্চা ইদানিং বেশি করছিস তাই না? রূপ এমন খুলে খুলে পরছে কেন? দিব্যি আমাকে বসিয়ে পড়ে যাচ্ছিস। একটু এদিকে তো তাকা!”

জিসান ভাই চমকে তাকান। চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে থাকেন। আমি ভড়কে যাই। বলি, “কি হয়েছে এভাবে কি দেখছেন?”

“এইমাত্র কি বললি তুই?”

আমতা আমতা করতে থাকি। বলি, “কি বলেছি? কিছুই তো বলিনি!”

“ঠাটিয়ে চড় লাগাব। তুই এইমাত্র আমাকে তুই তোকারি করলি!”

আমি থ বনে তাকিয়ে থাকি। খাপছাড়া পাগল পাগল বোধ করি। উনার তীর্যক চোখে এদিক ওদিক তাকাই। বলি, “কথাগুলো কি সত্যিই আমার মুখ দিয়ে বেরিয়েছে নাকি আপনি কল্পনা করলেন?”

তিনি শীতল দৃষ্টিতে তাকান। ধমকে বলেব, “যা রুম থেকে বেরো। থাকতে হবে না তোর!”

করূণকণ্ঠে বলি, “মুখ থেকে ভুলে ভুলে জোরে বেরিয়েছে। এমন করেন কেন?”

উনার দৃষ্টি কঠিন হয়, “তাহলে তুই মনে মনে আমাকে তুই তোকারি করিস?”

এমন একটা অবস্থা! অস্বীকারও করতে পারি না। স্বীকারও করতে পারি না। দুটোর মাঝখানে থেকে শুধু গাল ফোলাই। তিনি বাজখাই ধমকে উঠেন, “এক্ষুনি রুম থেকে বেরিয়ে যা!”

এই কয়েকদিন ধমক, চোখ রাঙানো না দেখায় গায়ে লাগল ব্যাপারটা। ছোট্ট একটা বিষয়ে এত সিনক্রিয়েট করার কি আছে! রেগে আমিও উঠে দাঁড়াই। উনার দিকে আর তাকাই না। রেগে জোর পায়ের শব্দ তুলে রুম থেকে বেরিয়ে পরি। উনার রুম অতিক্রম করে ড্রয়িং রুমে যেতে গিয়েও দ্রুতপদে ফিরে আসি। উনি তখনও দরজার দিকে জ্বলন্ত চোখে তাকিয়ে। আমাকে ঢুকতে দেখে রেগে গেলেন আরও। কিছু বলছিলেন। সেসব না শুনে কাছে গিয়ে মুখটা ঘুরিয়ে ধরি। দুহাতে মুখটা তুলে এলোমেলোভাবে সারামুখে ঠোঁট ছোয়াঁতে শুরু করি। গালে ছোট্ট কামড় দিয়ে দূরে সরে দাঁড়াই। ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি পাথর হয়ে বসে। কোমড়ে এক হাত রেখে, আরেকহাতে শাসিয়ে বলি, “এটা আপনার আজকের আর সেদিনের শাস্তি! বিনা অনুমতিতে ঐদিন কপালে চুমু খেয়েছিলেন! আর আজকে বাজে ব্যবহারের জন্য কামড়! বহুত অসভ্য আপনি।”

উনার হতভম্ব ভাব কাটার আগেই আবার দ্রুতপদে ফিরে আসি। তিনি হতভম্ব হয়ে আধা ঘন্টা পর কল করেছিলেন। কয়েকবার রিং হয়ে কেটে গেছে। ধরিনি। লাগাতার ফোন করে না পেয়ে মেসেজ করেন, ‘ঝুম, তুই কি ফিরে এসেছিলি আবার?’ দুঃখে, কষ্টে, রাগে ফোনটাই সুইচ অফ করে রাখি। পরেরদিন তিনি চেয়ার কাছে টেনে নিয়ে আদুরেভাবে রাগ ভাঙিয়ে ছিলেন। আমাদের এরকম হাজারো এলোমেলো স্মৃতিদের প্রতিদিন বাধা ঐ দুঘন্টায় একটু একটু করে কুড়াই। স্মৃতির ঝুলি ভারী করি।

এইচএসসি এসে গেল। বই সব শেষ তবু মাঝে মাঝে দুস্বপ্ন দেখি আমি পরিক্ষায় কিছু লিখতে পারি না। লিখতে গেলে দেখি কিছু পারি না। নয় হাতে কলম থাকে না। একদিন দেখলাম আমি মেডিক্যালে চান্স পাইনি। ফিজিক্সেও নাকি ফেল করেছি। এসব স্বপ্নে মাঝরাতে ঘুম থেকে জেগে জিসান ভাইকে ফোন করে কান্নাকাটি করি। তিনি ঘুম জড়ানো কণ্ঠে স্বান্তনা দেন। বোঝান এগুলো অত্যধিক চিন্তার ফলাফল। একসময় ঘুমিয়েও পরি আবার। প্রথম পরিক্ষা এল। বাংলা। প্রথমদিন ভাইয়া, আপু নিয়ে যাবে। রেনু খালাও যেতে চান। আমি নার্ভাসনেসেও হেসে ফেলি, বলি, “ভাইয়া কম পরল না? শাহানা আন্টিকেও সাথে নেই?”

ভাইয়া আমার জন্য কেন যেন চিন্তিত। কথা শুনে, “হু” বলে একবার তাকাল। বুঝলাম কথাটা কানে যায়নি। বুঝে পর জোরেজোরে মাথা নাড়ে, “তুই চাইলে অবশ্যই সাথে নিবি। বলে এসেছিস ও বাসায়?”

আমি সম্মতি দিলাম। ফাইল নিয়ে জুতো পরে বেরলাম। জিসান ভাই সিড়ি দিয়ে নিচে নামছিলেন। চোখাচোখিতে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকেন। ভেতরটা হঠাৎ কেঁপে উঠে। উনি কি ভাল নেই? তিনি ম্লান হেসে বলেন, “ভাল করে পরিক্ষা দিস।”

উজ্জ্বল হাসলাম। প্রতিউত্তরে বললাম, “আপনি অসুস্থ?”

ভাইয়াও সপ্রশ্ন চোখে তাকিয়ে উনার এককাধ জড়িয়ে ঝাকান। উনার পেটে হালকা ঘুষি মারেন, “তোদের গোষ্ঠীটাই এমন রোগাটে নাকি?”

জিসান ভাই অসম্মতিতে মাথা নেড়ে অপলক তাকিয়ে থাকেন। এই স্থির দৃষ্টিতে মনে হলো অভিমানের চাদর হয়ত টেনে দেয়া। গতকালও তো ঠিক ছিল। ভাবতে বসলাম গতকাল কি বলেছেন। কই ঠিকই তো ছিলেন। হ্যা সপ্তাহখানেক যাবত দেখা হয় না। কিন্তু কথা তো দৈনন্দিন চলছে। হঠাৎ ইচ্ছে জাগল উনার বাইকের পেছনে চড়ে হল পর্যন্ত যাওয়ার। ইচ্ছে ইচ্ছেই রইল। পূরণ আর হলো না। তিনি চলে গেলেন হসপিটালে। আমরা গাড়িতে করে হলের সামনে এলাম। একের পর এক পরিক্ষা হতে থাকে। দেখার সাথে সাথে কথাও কমে আসে। অংক পরিক্ষা পরশু মাঝে দুদিন ছুটি পেয়েছি। অংক করছিলাম ফোন বেজে উঠে তখন। ফোন ধরি। ওপাশের কণ্ঠ আসে, “কি করছিস?”

“পড়ছি।”

“বন্ধ করে ছাদে আয়।”

“পরশু আমার ম্যাথ পরিক্ষা!”

“ঢং করিস না। আজকে সারাদিন পড়েছিস। কাল সারাদিন আছে। পরশু সকালও পাবি। আমি জানি তোর বইগুলো অনেক আগেই শেষ। তাই ঝটপট ছাদে আয়।”

ঘড়ি দেখি। সাড়ে বারোটা। ওড়না নিয়ে বের হই। অন্ধকারে ফোনস্ক্রিনের আলো ফেলে সিড়ি বেয়ে উঠে আসি। উনি বর্ডারের কাছে। এদিক ফিরে দু কনুইয়ে ভর রাখা। হালকা এলিয়ে দাঁড়ানো। আমি ঠোঁটে হাসি নিয়ে এগিয়ে যাই। তিনি সোজা হয়ে দাঁড়ান। কাছাকাছি হতে দুহাত প্রসারিত করেন। ঝাপ্টে ধরি উনাকে। আমার মুখটা ওপরে তুলে এলোমেলোভাবে মুখের সর্বত্র ঠোঁট ছোয়াতে লাগলেন। এতদিন পর উষ্ণ ছোয়াদের পেয়ে কান্না পেল। সপ্তাহ খানেক ছিলেন না। পরিক্ষার চিন্তা, পড়ার চাপে কথাও ঠিকঠাক হয়নি। হয়ত ঘুমোনোর আগে একবার ক্লান্তকণ্ঠে হ্যালো বলা হয়েছে। ওপাশ থেকে উনার পুরুষালী কণ্ঠটা আসত। প্রচন্ড ক্লান্তিতে মনে হত সুখ ছোয়া পেলাম। চোখ খুলে রাখতে পারতাম না। পরেরদিনও একই কান্ড! তিনি বকতেন না। বরং ওপাশ থেকে চাপা অভিমানের কণ্ঠ আসত। ঠোঁট ছোঁয়ানো শেষে আরও শক্ত করে জড়িয়ে নিলেন। বললেন, “বেশি পড়াকু হয়ে গেছিস। আমাকে পাত্তাই দিস না আর। এমন চলতে থাকলে বিয়ে করে অশিক্ষিত করে রাখব।”

উনার বুকে গাল ঘষে হাসি। বলি, “আপনাকে লোকে ছি ছি করবে। বলবে শাফির বউ শুধু ইন্টার পাস!”

“একদম এই নামে ডাকবি না। জিসান ডাকিস জিসানই ডাকবি।”

উনার বুকে আলতো কামড় বসাই। উনি একহাতে জড়িয়েই আরেকহাতে মাথায় জোরে গাট্টা মারলেন। বললাম, “আপনাকে লোকে শাফি ডাকে তাই ঐ নাম বলেছি। মাথার যুক্তি তারগুলো সব ছিড়ে বসে আছেন।”

“বেশি কথা বলিস।”

“আর কতক্ষণ জড়িয়ে থাকবেন? এবার ছাড়ুন!”

“সারাক্ষণ রাখব। তোর কি? পারিস শুধু বই মূখস্ত করতে, আর ফোন দিয়ে হ্যালো বলার পর বেহুশ হতে। গ্রামে গেছি কখন পৌছলাম, খেয়েছি কিনা, কবে আসব কোন প্রশ্ন নেই। চোখের আড়ালে গিয়েছি তাতেও আক্ষেপ নেই। সত্যি করে বল টাইমপাস করছিস কিনা। যদি সত্যি হয় তোকে জ্যান্ত কবর দিব!”

আমি মাথা নেড়ে না করি। তিনি নিশ্চুপ। চোখ জোড়া আমাতে নিবদ্ধ। মায়াভরা কণ্ঠে একসময় বলেন, “এ কদিন প্রচুর মিস করেছি তোকে। তুই খবরই নিসনি আমার।”

পায়ের পাতায় উঁচু হয়ে উনার নরম চুলগুলোকে এলোমেলো করে দেই। এক কান ধরে বলি, “পড়ার চাপ ছিল খুব। সরি।”

তিনি মুগ্ধকরা হাসিটা দিলেন। হাতটা মুঠোয় নিয়ে কথা বলতে বলতে ছাদের কর্ণারে রাখা বেঞ্চিতে নিয়ে এলেন।

“এটা এখানে কোত্থেকে?”

“আনিয়েছি।”

বিস্ময়ে তাকাই। বলেন, “চটপট বসে যা। এতদিন খোজ নিসনি এখন সেবা কর আমার।”

না বুঝে বসে গেলাম। বেঞ্চটা এমনি বেঞ্চ থেকে একটু মোটাসোটা আর লম্বা। প্রথমে মাঝখানে বসে ছিলাম। সেখান থেকে সরিয়ে একবারে কর্ণারে বসালেন। পা গুটিয়ে বসেছি। কোলে মাথা রেখে তিনি সটান সুয়ে পরেন বেঞ্চটায়। বড় বেঞ্চ। তবু উনার পা বেরিয়ে। কোমড় জড়িয়ে ধরলেন দুহাতে। কেঁপে উঠলাম। বলেন, “মাথায় আলতো করে হাত বুলিয়ে দে।”

কথা পালন করতে থাকি। নরম চুলগুলো হাতের ভাজে নিয়ে হালকা টেনেও দিচ্ছি। তিনি একসময় সোজা হন। ওপরে মুখ তুলে বলেন, “গ্রামের চাঁদনী রাত দেখেছিস কখনো?”

মাথায় হাত বুলোতে বুলোতে অসম্মতি দেই। তিনি আমার একহাত বুকে জড়িয়ে ধরেন। বলতে থাকেন, “গ্রামের চাঁদনী রাত অপূর্ব! গ্রামে বাসার ছাদ থেকে যখন আশপাশে তাকাই সাদাটে আলো আধারির খেলাটা দারূণ লাগে। মনটা একটুতে ভাবুক হয়। আফসোস হয়, ‘ইস, মনের মানুষটা থাকলে!’ মন চায় মুগ্ধতামাখা এই সৌন্দর্য বাধাই করে রাখি। ক্যামেরায় তখন আশপাশ ভাসে না। যদি ভাসত যদি ক্যামেরায় সম্পূর্ণ এলাকা বন্দি করা যেত আমি বন্দি করে নিয়ে আসতাম তোর জন্য। আমার অনেকদিনের ইচ্ছে তোকে সাথে নিয়ে চাঁদনী রাতে ছাদে বসে থাকার।”

“আমার না আঠারো হয়ে গেছে চলুন বিয়ে করে ফেলি।”

সশব্দে হাসেন, “লোভ দেখাস না রে। এমনিই কবে পড়া শেষ হবে সে আশায় মুখিয়ে আছি!”

“আপনার আর কি চিন্তা। পড়া শেষ করবেন আর কলেজ টুকে নিবে আপনাকে!”

“বললেই হলো। নাও নিতে পারে।”

“এমন যুক্তিহীন কথা বলবেন না তো। আমি খালার থেকে শুনেছি। আপনাকে ওখানেই জয়েন করতে দেয়ার সম্ভবনা আছে।”

“আমি চাকরি পেলেই তোকে বিয়ে করব। দিবে তোর ভাইয়া?”

কিছুক্ষণ চিন্তা করলাম, “না মনে হয়। মামার এতে ঘোর নিষেধাজ্ঞা। পড়া শেষ নাহলে বিয়ে করা যাবে না।”

“গাধা পরিবার তোদের!”

ছোট্ট এক শ্বাস ফেলি। তিনি হাতের উল্টোপিঠে আর পাতায় একবার ঠোঁট ছোঁয়ান, বলেন, “তোর অংকে কোন সমস্যা নেই? থাকলে কালকে চলে আয় আমাদের বাসায় আমি বুঝিয়ে দিব।”

ঠোঁট টিপে হাসি। বলি, “আপনি সামনে থাকলে আমার পড়ায় মন বসবেনা না। তাছাড়া অংকে কোন সমস্যাই নেই আমার। সবশেষ শুধু আরেকবার চোখ বোলানো।”

তিনি মুখ বেকান, “আরে আছে। তুই বাসায় গিয়ে দেখিস। আর আমার সামনে মনোযোগ না বসলে কার সামনে বসবে ইফাজের সামনে? মেরে ভুত করে দিব।”

আমি সশব্দে হাসতে থাকি। তিনি মুখ তুলে তাকিয়ে থাকেন। বাচ্চাদের মতো জেদধরা কণ্ঠে বায়না করার মতো বলেন, “সাদ ভাইয়ের পরশু মিটিং নেই? তোর ভাইকে জোর করে মিটিং গছিয়ে দিবি তো। পরশু আমার বাইকে যাবি।”

~চলবে❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here