হৃদয়ের কোণে পর্ব ০২

0
1744

#হৃদয়ের_কোণে (পর্ব ০২)
#নাহার
·
·
·
(গল্পের নায়িকার বয়সের সাথে বিহেভিয়ার খুব বেশি বড় হয়ে গেছে। তাই নায়িকার বয়সটা বাড়িয়ে দিলাম। পড়লেই বুঝতে পারবেন।)

প্রখর রোদে নিরা দাঁড়িয়ে আছে। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। চোখে পানি টইটম্বুর হয়ে আছে কিন্তু অনুমতি পায়নি বেরিয়ে আসার। মুখ দিয়ে কোনো শব্দ বের হচ্ছে না। গলা ধরে এসেছে তার।চিৎকার করে কাদতে মন চাইছে নিরার। কিন্তু সেটা আটকে রাখাই শ্রেয় মনে হলো নিরার।

তুহিনের বন্ধুগুলো সব একেকজন একেক কথা বলছে নিরাকে। আর তুহিনের ভাষায় প্রেম করা মানেই খুন করা থেকেও মারাত্মক কোনো অপরাধ।
তুহিনের ২/৩ জন বন্ধু নিরাকে উদ্দেশ্য করে বললো,
— শুনো না বাবু তুহিন তো অলরেডি কমিটেড। তুমি আমাকে প্রপোজ করো অনেক হ্যাপি রাখবো।

খুব বিশ্রিভাবে কথা গুলো বলছে তুহিনের ফ্রেন্ডরা আর হাসাহাসি করছে। তুহিনের আরেক ফ্রেন্ড নিরাকে বললো,
— আচ্ছা ওকে বাদ দাও। আমার কাছে গাড়ি বাড়ি সব আছে সাথে তোমাকে খুশি করার যন্ত্রটাও আছে। চলবে আমাকে?

নিরা মাথা নিচু করে এইসব শুনছে সেই তখন থেকেই। কাঠফাটা রোদে দাড় করিয়ে রেখেছে নিরাকে তুহিনের মেয়ে ফ্রেন্ডরা। তুহিনের আরেকজন ফ্রেন্ড বললো,
— ভাই প্লিজ তোরা থামবি সেই কখন থেকে মেয়েটাকে অপমান করেই যাচ্ছিস। থাম এবার।

মেয়ে ফ্রেন্ড একটা বললো,
— তোর কেন জলছে? তুই প্রেমে পড়লি নাকি এই মেয়ের?

— নাহ। সবাই থামলে আমিও একটু লাইন মারতাম আরকি।

সবাই একসাথে হেসে দিলো। এমন একটা পরিবেশ তৈরি করেছে সবাই মিলে যেনো এখানে কমেডি চলছে। সবাইকে থামিয়ে দিয়ে তুহিন এগিয়ে এলো নিরার দিকে। এক আঙুলে নিরার থুতনি ধরে মাথাটা একটু উচু করে বললো,
— নেক্সট টাইম আমার সামনে আসার সাহস করবে না। এর পরিণাম ভালো হবে না। আজকে হয়ত বুঝেই গেছো আমি কেমন? তাই দূরে থাকবে আমার থেকে।

নিরা ভাঙা কন্ঠে তুহিনকে জিজ্ঞেস করলো,
— আপনি সত্যি কারো সাথে কমিটেড?

— নাহ। কারণ আমি মেয়েদেরকে ঘৃণা করি। প্রচন্ড ঘৃণা করি। তোমাকে দেখলে কি মনে হয় জানো? তোমাকে দেখলে আমার নিষিদ্ধ পল্লীর মেয়েদের কথা মনে পড়ে।

তুহিন এক প্রকার চিল্লিয়ে বললো কথাটা। আর নিরার চোখের পানি তখন অনুমতি ছাড়াই বেরিয়ে গেলো। তুহিন তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে নিরাকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দিলো। সবাই চলে গেলো।

আকাশ হঠাৎ করেই মেঘলা হয়ে গেছে। নিরাদের বাসা থেকে তুহিনের ভার্সিটি যেতে প্রায় আধ ঘন্টা লাগে। নিরা হাটা দিলো বাসার দিকে। মন চাইছে না আজ বাসায় ফিরতে। এরমধ্যেই আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামলো। নিরা ভিজে ভিজেই বাসায় আসছে। নিরার একদিকে সুবিধা হয়েছে চোখের পানির সাথে বৃষ্টি পানি এক হয়ে মিশে যাচ্ছে তাই।

বাসায় এসে সোজা রুমে গিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়। প্রায় এক ঘন্টা পর বের হয়ে আসে। চোখ ফুলে লাল হয়ে গেছে নিরার। মাথা ধরেছে খুব। বৃষ্টিতে ভিজেছে আবার শাওয়ার করার সময় এক ঘন্টার মতো দাড়িয়ে ছিলো শাওয়ারের নিচে তাই।

কৈশিক আর কাশফি এলো নিরার রুমে। নিরার এমন অবস্থা দেখে দুইজনই দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে। কাশফি নিরাকে জিজ্ঞেস করে,
— নিরা কি হয়েছে তোর?

কৈশিক বললো,
— তুই কোথায় গিয়েছিলি? তুহিনকে প্রপোজ করেছিস?

— না

— কেনো?

— তুহিনকে পাইনি। আমি যাওয়ার আগেই তুহিন চলে গিয়েছিল।

— তাই কাদছিস?

— হুম!

— আচ্ছা খেয়ে ঘুমিয়ে যা।

— হু

নিরা কৈশিক আর কাশফিকে মিথ্যে বলেছে। কারণ সে জানে এইসব জানার পর কৈশিক কখনোই নিরাকে তুহিনের সাথে কথা বলতে দিবে না।

এরপর প্রায়ই নিরা অনেক ভাবেই বুঝাতো সে তুহিনকে ভালোবাসে কিন্তু তুহিন সবসময়ই তাকে অপমান করেছে। বাজে ভাবে কথা বলেছে। সবচেয়ে খারাপ ব্যবহার করেছে তুহিন নিরার সাথে। এভাবে আরো সাড়ে তিন বছর পার হয়ে যায়। নিরার এইচএসসি এক্সামের পর টাইফেড জ্বর হয় যার কারণে ভার্সিটির ভর্তি এক্সাম আর দিতে পারেনি। সেদিকে এক বছর চলে যায় নিরার।

আর তুহিনের অনার্স কমপ্লিট হয়ে যায় এবং একটা ছোট জব করে। জবের পাশাপাশি সে ভর্তি পরীক্ষার স্টুডেন্ট পড়ায়। একটা ছোট কোচিংও আছে তার। আবার মাসটার্স ও পড়ছে। নিরাকে তার বাবা তুহিনের কোচিং-এই ভর্তি করিয়েছে। কোচিং – এ গেলেই নিরা তুহিনের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকতো।

একটা দিনও নিরা তুহিনের ক্লাশ মিস করতো না। আর তুহিন দুইচোখে নিরাকে সহ্য করে পারে না তাও দাতে দাত চেপে ব্যাচ পড়াতো সে। নিরা যেই ব্যাচে পড়তো সেই ব্যাচ আসার সময় হলেই তুহিনের রাগ চেপে যেত মাথায়। নিরা সব বুঝতো তাও চুপ করে থাকতো৷ কোচিং-এ তুহিন কোনো সুযোগ ছাড়েনি নিরাকে অপমান করার। আর নিরা চুপ করেই সব শুনতো। কিছু করার ছিলো না তার।

——————————————————————————–
বর্তমানে,,,,
নিরার কাজিনরা মিলে অনেক বড় একটা প্ল্যানিং করেছে নিরাকে সারপ্রাইজ দিবে বলে কারণ দুইদিন পর নিরার জন্মদিন। সবকিছুর আয়োজন হয়ে গেছে। সারপ্রাইজ এর জন্য নিরার বাবা মা সবাইকে রাজি করিয়ে নিয়েছে নিরার কাজিন আর ভাই ছয়জন মিলে।

দেখতে দেখতেই দুইদিন পার হয়ে গেলো। নিরাদের বাড়ির নাম হচ্ছে সৈয়দ মেনশন। সৈয়দ হলেন নিরার বড় দাদা। মানে নিরার দাদার দাদা। পুরো এলাকায় সৈয়দ পরিবারের অনেক সুনাম আছে।

অনেক বড় বার্থডে পার্টির আয়োজন করেছে নিরার পরিবার। নিরাকে রেডি হতে বলে কাজিন সব নিচে চলে গেলো। তুহিনের পরিবার এবং এলাকার বিভিন্ন মানুষকে দাওয়াত দেয়া হয়েছে।

নিরা সাদা রঙের লেহেঙ্গা পড়েছে। খোলা চুল আর চোখে গাড়ো কাজল। আর গলায় একটা লকেট। সবকিছু কাশফি এসে নিরাকে দিয়ে গেছে বলেছে এইসব পরে রেডি হতে। কিছুক্ষণ পর কাশফি এসে নিরাকে নিয়ে গেলো নিচে। নিরা খুব অবাক হলো তুহিনকে দেখে। তুহিনও আজ নিরার সাথে মিলিয়ে সাদা রঙের শার্ট পড়েছে। একদম হিরো হিরো লাগছে আজ তুহিনকে। তুহিনকে দেখে নিরা যেনো আবার নতুন করে তুহিনের প্রেমে পড়লো।

সবাই আসার পর নিরা কেক কাটলো। একে একে সবাইকে খাইয়ে দিলো নিরা। তুহিনকেও দিলো। নিরার বাবা এবং তুহিনের বাবা একসাথে দাঁড়িয়ে কিসের যেনো কথা বলছেন। এরপর নিরার বাবা সবাইকে উদ্দেশ্যে করে বললেন,
— সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার মেয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আসার জন্য। আজ আমি আরো একটা খুশির সংবাদ ঘোষণা করতে চাই আর সেটা হলো আমার মেয়ে নিরার বিয়ে ঠিক করেছি আমি।

এই কথা শুনে নিরা যেনো আকাশ থেকে পড়লো। বিয়ে ঠিক করেছে তাও আবার সে জানে না। নিরা দৌড়ে গেলো কৈশিকের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
— ভাইয়া আমার বিয়ে মানে? আমার কার সাথে বিয়ে হচ্ছে? আর আমি কেনো জানি না? ভাইয়া প্লিজ বলো না বাবা এসব কি বলছে? তুমি তো জানো আমি তুহিনকে ভালোবাসি তাহলে বিয়ে কেন?

— আরে মেরি মা থাম এবার এটা সারপ্রাইজ। বলে দিলে সারপ্রাইজ থাকবে না।

— মানে?

— চুপ করে শুনতে থাক।

কৈশিক নিরার মুখ চেপে ধরেছে। তুহিনের বাবা মহসিন চৌধুরি এগিয়ে গেলেন আফজাল সাহেবের দিকে এবং তিনিও সবার উদ্দেশ্যে বলতে শুরু করলেন,
— হ্যাঁ। আমি আমার ছেলে তুহিন চৌধুরির সাথে আমার বন্ধুর মেয়ে নিরা আহমেদ এর বিয়ে ঠিক করেছি। আর এক সপ্তাহ পরই তাদের বিয়ে দেবো ঠিক করেছি আমরা।

নিরা যেনো নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না। খুশিতে সে কৈশিক কাশফিকে জড়িয়ে ধরেছে। কিন্তু নিরা জানতো না এই সুখ বেশিদিন চিরস্থায়ী নয়।

এদিকে তুহিন রাগে ফুসতে থাকে। চোখ লাল করে নিরার দিকে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে এখনি সে নিরাকে জালিয়ে ফেলতো তার চোখ দিয়ে। নিরা তুহিনের দিকে তাকাতেই সব খুশি যেনো উধাও হয়ে গেলো।

——————————————————————————–

রাত ১:৪৫,,,,
নিরার ফোনে একটা মেসেজ আসতেই ছাদের দিকে ছুটলো নিরা। মেসেজটা আর কেউ নয় তুহিন দিয়েছে। নিরা ছাদে যেতেই তুহিন ছাদের দরজা লাগিয়ে দেয়। নিরা পেছন ফিরে দেখে তুহিন দাঁড়িয়ে আছে চোখে মুখে খুব রাগ। তুহিন রেগে নিরার হাত পেছনের দিকে চেপে ধরে বললো,
— এই তোর এইসব নাটক কবে বন্ধ করবি? তোকে বলেছিলাম না আমি তোকে আমার আশেপাশে দেখতে চাই না। আজকে এইসব কেন করলি তুই বল।

তুহিন কথাটা বলেই নিরার হাত আরো শক্ত করে চেপে ধরে। আর নিরা ব্যাথায় কেঁদে দেয় এবং নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে। নিরা কাপা কাপা কন্ঠে তুহিনকে বললো,
— তুহিন তুমি সব সময় কেনো আমাকে এতো কষ্ট দাও?

— এই শুন আমি তোর এসব ন্যাকামি দেখতে চাই না। যেটা জানতে চেয়েছি সেটাই বল। কেনো করলি এসব?

— আমি জানতাম না তুহিন। তুমি যখন জানলে আমিও তখনই জানলাম। বাবার মুখ থেকে।

— কি ভেবেছিস আমাকে বুঝিনা কিছু আমি। এইসব তোর আর তোর কাজিনদের করা প্ল্যানিং। একটা কথা ভালো করে শুনে রাখ তোকে আমি কোনোদিন বিয়ে করবো না।

নিরাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় নিজের কাছ থেকে। ধাক্কা সামলাতে না পেরে নিরা মেঝেতে পরে যায়। ব্যাথা পাওয়ায় একটু শব্দ করে কেদে উঠে নিরা। এটা দেখে তুহিনের মেজাজ আরো খারাপ হয়ে যায়। তেড়ে এসেই নিরার চুলের মুঠি ধরে বলে,
— যত তাড়াতাড়ি পারিস এইসব নাটক বন্ধ কর। এইসব আমি সহ্য করতে পারছি না। আর তোকে তো আমি একেবারে সহ্য করতে পারি না।

নিরা এবার আর না পেরে তুহিনের পা জড়িয়ে ধরে বলে,
— তুহিন প্লিজ আমাকে ফিরিয়ে দিও না। সেই ছোট থেকেই তোমাকে ভালোবাসি। কেনো বুঝো না তুমি?কেনো এতো অপমান করো আমায়?

— এই আমার পা ছাড়। নইলে কিন্তু খুব খারাপ হবে পা ছাড় বলছি। ( ধমক দিয়ে)

তুহিনের ধমকে নিরা কেপে উঠে। কাদতে কাদতে হেচকি উঠে যায় নিরার। এখনো ছাদের মেঝেতেই বসে আছে নিরা। তুহিন নিরার সামনে বসে। তারপর নিরাকে বলে,
— এই বিয়ে ভেঙে দে। নাহলে এমন হাল করবো যে কাউকে মুখ দেখাতে পারবি না তুই আর তোর পরিবার।

— তুহিন প্লিজ এমন করো না আমার সাথে। কেনো এতো ঘৃণা করো আমাকে প্লিজ একটু বলো কেনো এতোটা ঘৃণা করো? তুমি আমাকে যতটা খারাপ ভাবো আমিতো তেমন না। সাড়ে চার বছর ধরে শুধু তোমাকেই ভালোবাসি। তাহলে কেনো এমন করো?

তুহিন রাগের চোটে নিরার গালে কসিয়ে থাপ্পড় মারে। নিরা বসা অবস্থায়ই মেঝেতে ছিটকে পড়ে। কপালে বারি খায়। কিন্তু তুহিনের সেদিনে খেয়াল নেই। নিরার কোনো কিছুই তুহিনকে স্পর্শ করে না। তুহিন যেতে যেতে বলে যায়,
— কালকের দিনটা সময় দিলাম যদি বিয়ে না ভাঙিস তাহলে মুখ দেখানোর অবস্থায় রাখবো না আমি মনে রাখিস।

তুহিন চলে যায়। নিরা এখনো ছাদের মেঝেতে বসে আছে। কান্না করতে করতে মেঝেতেই লুটিয়ে পড়ে।

——————————————————————————–
চোখ খুলে নিরা নিজেকে তার বেডে পায়। আশেপাশে তাকিয়ে দেখে ছোট চাচি, কাশফি, নিরার মা, নিরার দাদি আর কৈশিক বসে আছে। নিরা আস্তে করতে উঠে বসে। নিরার দাদি নিরাকে জিজ্ঞেস করে,
— কিরে নাতনি কি এমন হইলো তোর ছাদেই জ্ঞান হারাইয়া পইড়া আছিলি? কি হইছিলো আর ছাদেই বা কেন গেলি?

নিরা কিছু বলার আগেই কাশফি বলে,
— আসলে দাদি আমি ভাইয়া আর নিরা মিলে লুকোচুরি খেলছিলাম। নিরা আমাদের খুজতে ছাদে যায় আর আমি ওকে ভূত সেজে ভয় লাগাই। তাই নিরা অজ্ঞান হয়ে গেছিলো।

নিরা কিছু বললো না কারণ সে বুঝতে পারলো ব্যাপার টা। কাশফি আর কৈশিক এর দিকে তাকাতেই নিরা বুঝে যায় তারা সব জেনে গেছে এবং খুব রেগেও আছে। দাদি কাশফিকে কিছুক্ষণ বকে তারপর চলে যায়। সবাই চলে যায়। কাশফি যাওয়ার সময় বলে,
— এখন ঘুমা কাল সকালে তোর খবর আছে।

নিরা দরজা লাগিয়ে দেয়। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ভোর চারটা হয়ে গেছে। নিরা দরজার সামনে মেঝেতেই বসে পড়ে।

সকালে চিল্লাচিল্লি শুনে নিরার ঘুম ভেঙে যায়। উঠে বসে এবং খেয়াল করে দেখে তুহিন আর তুহিনের বাবা চিল্লাচিল্লি করছে। নিরা ভয়ে কেপে উঠে। দরজা খুলে দৌড়ে যায় সিড়ির দিকে। নিচে তাকিয়ে দেখে নিরার পরিবার সবাই মাথা নিচে করে বসে আছে আর তুহিনের বাবা খুব চিল্লাচিল্লি করছে।

তারা চলে গেলে নিরা নিচে গিয়ে তার মাকে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে। নিরার মা বসা থেকে দাঁড়িয়ে ঠাটিয়ে চড় মারে নিরাকে।
·
·
·
চলবে………………….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here