হৃদয়ের কোণে পর্ব ১৫

0
902

#হৃদয়ের_কোণে (পর্ব ১৫)
#নাহার
·
·
·
“বন্ধু মানে সুখ দুখের সাথী। আপনি যার সাথে বন্ধুত্ব করবেন তার কাছে আপনার ভালোলাগা, মন্দ লাগা সবকিছু শেয়ার করতে পারবেন। একজন আরেকজনকে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। তার না বলা কথা তার চোখের ভাষায় বুঝতে পারবেন।একটা সম্পর্ক গড়ে তোলার আগে তার সাথে বন্ধুত্ব করা জরুরি। কারণ ভালোবাসাটা আগে পরে আবার হয়ে যায়। কিন্তু বন্ধুত্বটা হয়না। একটা সম্পর্ক গড়তে যতটা দীর্ঘ সময় নিবেন সেই সম্পর্ক ভাঙতে বুক কেপে উঠবে। একটা সম্পর্ক যত লম্বা সময় নিয়ে গড়ে উঠবে তত লম্বা সময় লাগবে ভাঙতে। তাই সম্পর্কটা বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত। ”

আফিয়া কথাগুলো বলে থামে। কথাগুলো সে রাফিনকে বলেছিলো। একটু হেসে সামনে এগিয়ে যায়। রাফিন শান্ত চাহনিতে নিরার দিকে তাকায়। এতোক্ষণে নিরা জেনে গেছে যে রাফিনও তাদের সাথে আছে। ভয় পাচ্ছে যদি বকা দেয় তাই। আবার খুশিও হচ্ছে কারণ রাফিন আবার তাদের বাসায় ফিরে যাবে। একদিকে ভয় অন্যদিকে ভালোলাগা৷ দুইটা মিলেই বেশ জমজমাট অনুভূতি।

একটা ভালো রেস্তোরাঁয় গিয়ে তারা সবাই বড় একটা টেবিলে গোল হয়ে বসে। রাফিন নিরার সামনাসামনি বসেছে। কিন্তু এসেছে পর্যন্ত একবারো নিরার দিকে তাকায়নি। কথাও পর্যন্ত বলেনি। রাফিনের পাশে ঝুমুর বসেছে। ঝুমুরের বরাবর কাশফি বসেছে। এতোক্ষণে টেবিলে খাবার নিয়ে চলে এসেছে ওয়েটার।

নিরা আড় চোখে বারবার রাফিনের দিকে তাকাচ্ছে। রাফিন সে এখন খুব ভাব নিয়ে আছে তাই একটুও তাকাচ্ছে না। রাফিন কালো শার্ট পড়েছে। শার্টের উপর কালো জ্যাকেট। দেখতে খুবই সুদর্শন দেখাচ্ছে। যে যার মতো খাচ্ছে মজা করেই। কাশফি ঝুমুরকে ইশারা করায় ঝুমুর ন্যাকামি শুরু করেছে। রাফিন কে বললো,
— ভাইয়া আমি এই মাংসটা ছিড়তে পারছি না কাটা চামচ দিয়ে৷ একটু হেল্প করুন প্লিজ।

রাফিন ঝুমুরের কিছুটা কাছে এসে হেল্প করছে। এসব দেখে নিরা রাগে ফুসছে। বাকি সবাই মিটিমিটি হাসছে। একটু পর ঝুমুর আবার বললো,
— আমার পানির গ্লাসে ময়লা আপনারটা দিবেন?

— হ্যাঁ নাও।

রাফিন গ্লাসে পানি ঢেলে ঝুমুরকে দিলো। ঝুমুর অর্ধেক খেয়ে রেখে দিলো। বাকি অর্ধেক পানি রাফিন খেয়ে নিলো। নিরার রাগ যেনো এবার খুব বেড়ে গেছে। ইতিমধ্যে খাওয়া শেষ সবার। নিরা মনে মনে বললো,
— ঝুমুরের বাচ্চা তোরে আমি কালকে দেখে নিবো। রাবিস, খবিশ বেদ্দপ। তুই আমার ডাক্তারের থেকে হেল্প নিচ্ছিস৷ আবার ন্যাকামি। তোর ন্যাকামি ছুটাবো আমি।

একটু ভেবে আবার বললো,
— ওয়েট ওয়েট! আমার কেনো হিংসা হচ্ছে ওদের দুইজনকে এভাবে দেখে? আজব! আমি নিজেই তো কিছু বুঝতে পারছি না। হচ্ছে টা কি আমার সাথে?

নিরার মুখে চিন্তার ভাব আর গভীর মনোযোগের সাথে কিছু ভাবছে। এদিকে বিল পরিশোধ করে সবাই উঠে চলে যাচ্ছে সেদিকে নিরার খেয়াল নেই। কৌশিক এসে নিরার হাতে গভীর চিমটি কাটলো। নিরা তখন আহ্ করে শব্দ করে কৌশিকের দিকে রেগে তাকালো। কৌশিক বললো,
— এভাবে তাকাবেন না ম্যাডাম আমার ভয় করে আপনাকে। যদি থাপ্পড় বা কিল ঘুসি মারেন তাই।

— চিমটি দিলি কেন?

— না বলছিলাম কি আপনি যদি ভাবনার জগত থেকে একটু বের হয়ে আসতেন তাহলে আমরা বাসায় যেতাম এই আরকি।

নিরা আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো সবাই চলে গেছে। নিরাও উঠে দাঁড়ায়। বাহিরে এসে দেখলো রাফিন এখনো ঝুমুরের সাথে দাঁড়িয়ে আছে। হেসে হেসে কথা বলছে। নিরা মনে মনে বললো,
— ঝুমুরের সাথে কেমন হেসে হেসে কথা বলছে আর আমার দিকে তাকাচ্ছেই না। হুহ!

নিরার খুব মন খারাপ হয়। কিন্তু মূহুর্তেই আবার রেগে যায়। মনে মনে বলে,
— ঝুমুর তোর খবর আছে কালকে। আর আপনি ডাক্তার সাহবে আপনাকে তো ছাড়ছি না। হুহ! একদম সার্জারী করে দিবো আপনার চোখ দুটো যাতে আমাকে ছাড়া আর কাউকে না দেখেন।

নিরা নিজের মাথায় গাট্টা মেরে বলে,
— আরে বলদি নিরা, এমন কোনো সার্জারী নেই পাগল। হুদাই তুই ডাক্তার সাহেবের ক্ষতি করবি। এরচেয়ে ভালো হয় একটু অন্যভাবে শায়েস্তা করতে হবে। হুম! অন্যভাবে শায়েস্তা করতে হবে। রেডি ফর ইট ডক্টর রাফিন হোসাইন।

নিরা চুল উড়িয়ে গাড়িতে গিয়ে বসে। যদিও হেটে এসেছে। তবে কৌশিক গাড়ি নিয়ে এসেছে যাতে সবার যাওয়ার সময় ঝামেলা না হয়। মাইক্রোর দুই নাম্বার সিটে গাদাগাদি করে নিরা, নাঈম, কাশফি, ফায়াজ, ফাহিম এবং ফাতেমা বসেছে। পেছনের সিটে আফিয়া, ঝুমুর,নূপুর এবং প্রভা বসেছে। ড্রাইভিং সিটে রাফিন আর রাফিনের পাশে কৌশিক বসেছে। গাড়ি চলছে আপন গতিতে৷

ফাতেমা গাড়িতে উঠে বসতেই ঘুমে ঢুলছে। মাথাটা একবার এদিকে একবার সেদিকে হেলে পড়ে যাচ্ছে। ফাহিম মাথা টেনে এনে ওর কাধে রাখে। যদিও ভাই বোন দুইজন সবসময় কিলাকিলি করে। তবে একজন আরেকজনকে ছাড়া থাকতে পারে না। কাশফি ফায়াজের কাধে মাথা রেখে মোবাইল টিপছে। পেছনে গার্লস চারজন তাদের আজকের ফটোশুট দেখছে। শেয়ার ইট দিয়ে আদান প্রদান হচ্ছে। সামনে রাফিন এবং কৌশিক চুপচাপ।

নাঈম নিরাকে উদ্দেশ্য করে বলে,
— আপু।

— হ্যাঁ ভাই।

— বাসায় গিয়ে তুই প্লিজ ওই শয়তান তুহিন্নার জন্য একদম কাঁদবি না।

— হুম।

নাঈম রেগে যায়৷ মূহুর্তেই সে নিরার বড় ভাইয়ের মতো আচরণ করছে। রাগে কটমট করে বলে,
— ওই শয়তানের জন্য কাঁদলে দেখিস তোকে এই ঠান্ডায় পানিতে চুবিয়ে মারবো।

নিরা কিছু না বলে নাঈমের দিকে তাকিয়ে আছে। নাঈম আবার বললো,
— এভাবে তাকিয়ে আছোস কেন? কথা কানে যায় না? তোরে যদি দেখি ওই তুহিন্নার লগে তো দেখিস কি করি আমি।

নিরা কিছুক্ষণ এক দৃষ্টিতে নাঈমের দিকে তাকিয়ে থেকে ফিক করে হেসে দেয়। নাঈম বেকুবের মতো চেয়ে আছে নিরার দিকে। নাঈম বললো,
— আপু তুই হাসতেছিস কেন?

— আমার মনে হচ্ছে আমার বড় ভাই আমাকে শাসন করছে।

— হিহি।

— টেনশন নিস না কাঁদবো না আমি একদম না।

নাঈম চোখ ছোট ছোট করে বললো,
— ওকে দেখা যাবে।

——————————————————————————–
রাত বারোটা বেজে গেছে। সবাই দরজার বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে। ফাহিম ফাতেমা বসে আছে। কারণ ফাতেমা এখনো ঘুমাচ্ছে। কাশফি আর রাফিন কথা বলছে। নিরা ফাতেমার পাশে গালে হাত দিয়ে বসে বসে ঘুমে ঢুলছে।

কৌশিক আফিয়াকে বাসায় পৌছে দিতে গেছে। আর নাঈম এবং ফায়াজ ঝুমুর, নুপুর এবং ফাতেমাকে পৌছে দেবে। মূলত ওদের তিনজনের ফিরে আসার জন্য সবাই দরজার বাহিরে দাঁড়িয়ে বসে আছে। কৌশিক, ফায়াজ এবং নাঈম চলে এসেছে। দরজায় ভয়ে ভয়ে কলিং বেল চাপলো।

মোহাম্মদ আফজাল সাহেব এসে দরজা খুললেন। তাঁর চোখে মুখে যথেষ্ট রাগ। বাড়ির বড়রা সবাই ড্রয়িং রুমে বসে ছিলেন। সবার মুখে চিন্তার ছাপ।

সবাই এক সিরিয়ালে মাথা নিচু করে অপরাধীর মতো দাঁড়িয়ে আছে। যেনো ডাকাতি করতে গিয়ে পুলিশের কাছে ধরা পড়েছে। আর পুলিশ ওদের অস্ত্র সব নিয়ে তাদের মাথায় বন্দুক তাক করে রেখেছে এমন অবস্থা সবার।

মিসেস তানজুম কৌশিকের সামনে এসে ঝাজালো কণ্ঠে বললেন,
— সেই সন্ধ্যায় বেরিয়েছিস সবাই আর এখন তোদের ফিরার সময় হলো। কই ছিলি তোরা?

সবাই একজন আরেকজনের দিকে চাওয়া-চায়ি করলো। কোনটা উত্তর দিবে ভাবছে। রাফিন বললো,
— মামি আসলে আমি আজকে একটা অনেকবড় অপারেশন -এ সাকসেস হয়েছি তাই সবাইকে ট্রিট দিয়েছিলাম।

— তাই বলে না বলে গোটা বাড়ির ছেলেমেয়ে সবাই এভাবে উধাও হয়ে যাবে? আমাদের টেনশন হয় না? আমরা কি মানুষ না? আমাদের তোদের চোখে লাগে না?

কৌশিক আস্তে করে বললো,
— সরি মা। আসলে তোমরা এভাবে চিন্তা করবে ওইটা মাথায় আসেনি।

— কি মাথায় আসে তোর? খালি খাবি আর ঘুরবি এইসব?

— মা আমি জবও করি।

— একদম চুপ। থাপড়িয়ে দাত ফেলে দেবো।

ফাতেমা হায় তুলতে তুলতে ঘুমের ঘোরে বললো,
— খুব ঘুম পাচ্ছে আমার। এতো চিল্লাচিল্লি ভাল্লাগেনা। চুপ করো সবা…

আর কিছু বলার আগেই ফাহিম মুখ চেপে ধরলো। ফায়াজ জোরে চিমটি দিলো ফাতেমার হাতে যেনো হুশ ফিরে। এসব দেখে নিরা ফিক করে হেসে দেয়। কাশফি পেছনে হাত নিয়ে নিরার চুল টান দেয়। মূহুর্তেই আবার তারা চুপ হয়ে যায়। মিসেস শায়েলা রেগে চিল্লিয়ে বললেন,
— রাত হয়েছে অনেক তাই ছেড়ে দিচ্ছি। যাও উপরে যাও। কালকে সকালে সবগুলোর খবর আছে। যাও উপরে।

সবাই একসাথে দৌড়ে উপরে চলে এলো। যে যার যার রুমে এসে দরজা বেঁধে শুয়ে পড়েছে। এদিকে ড্রয়িং রুমে সবাই হাসাহাসি করছে। মিসেস তানজুম বললো,
— ওদেরকে এভাবে ভয় দেখিয়ে ভালোই লেগেছে আমার।

মিসেস শায়েলা হাসতে হাসতে বললো,
— হ্যাঁ ভাবি আমারও।

তাদের ছোট জা বললো,
— ওরা ভাবে শুধুই ওরাই প্রাঙ্ক করতে পারে। আমরাও পারি।

সবাই আবার হেসে দিলো। হাসাহাসি শেষে করে সবাই রুমে এসে শুয়ে পড়লো।

সকালে উঠে নিরা ফ্রেস হয়ে রেডি হয়ে নেয় কলেজে যাওয়ার জন্য। নিচে নেমে নাস্তা খেয়ে বের হয়ে দেখলো রাফিন গাড়িতে বসছে। নিরা ভাবলো রাফিন নিরাকে বলবে,
— নিরা গাড়িতে বসো আমি তোমাকে পৌছে দিচ্ছি।

কিন্তু এমনটা হলো না। রাফিন নিরাকে দেখেও না দেখার মতো করে চলে গেলো। নিরার খুব কান্না পেলো। চোখে পানি নিয়ে রাফিনের গাড়ি নিয়ে চলে যাওয়ার পেছনে তাকিয়ে ছিলো কিছুক্ষণ। তারপর হেটে হেটে গেলো কলেজে। কলেজে গিয়ে ঝুমুরকে দেখে কালকের কথা মনে পড়তেই নিরার রাগ উঠে গেলো। ক্লাশে ঢুকে নিরা ঝুমুরের চুল টেনে ধরলো।

নিরার এই এক অভ্যাস। হয় চুল ধরে টান দিবে। আর না হয় খামছি বা কামড় দিবে। তবে নিরা এখনো কাউকে কামড় দেয়নি। ভবিষ্যতে কাকে কামড় দিবে বলা যায় না।

ঝুমুর রেগে জিজ্ঞেস করে,
— চুল ধরেছিস কেন?

— আগে বল তোর সাহস কি করে হয় রাফিন ভাইয়ার সাথে কালকে এতো ঢং করার? বারবার উনার গায়ে কেন ঢলে পড়ছিলি? হুম?

— তোর জেলাস হচ্ছে?

নিরা ঝুমুরের চুল ছেড়ে দেয়। চুপচাপ গিয়ে বেঞ্চে বসে। ঝুমুর মুচকি হেসে বলে,
— আমি রাফিন ভাইয়ার সাথে কথা বলেছি তাই তোর রাগ হচ্ছে?

— নিশ্চুপ।

— বাসায় গিয়ে ঠান্ডা মাথায় ভাবিস কেনো রাগ হচ্ছে এতো। যদি এই “কেনোর” উত্তর বের করতে পারিস তবে তোর অজানা প্রশ্নের অনেক উত্তর পেয়ে যাবি। নিরা কিছু বললো না। চুপচাপ ক্লাশ শেষে বাসায় চলে আসলো। বিকেলে বেলকনিতে বসে বসে ডায়েরি লিখছিলো,
” ১২ ডিসেম্বর,,,
ডাক্তার ফিরে তো এসেছে কিন্তু কথা বলছে না। আচ্ছা উনি কি আমার উপর রেগে আছে? বা অভিমান করে আছে? কিন্তু কেনো? কালকে উনাকে ঝুমুরের সাথে কথা বলতে দেখে কেনো আমার রাগ হয়েছে? আমার কি সত্যি জেলাস হচ্ছে? কিন্তু কেনো?”

এতোটুকু লিখে ডায়েরি রেখে দেয়। রুম থেকে বের হয়ে দেখলো রাফিন সিড়ি দিয়ে উঠছে। হাতে এপ্রোন ভাজ করা। মানে হসপিটাল থেকে ফিরেছে। নিরা রাফিনের সাথে কথা বলতে চায়। কিন্তু রাফিন এরিয়ে চলে যায়। রাফিন রুমে ঢুকার আগে নিরাকে উদ্দেশ্য করে বলে,
— আর মাত্র ১৯ দিন বাকি তমার এক্সামের। উদ্ভট চিন্তা বাদ দিয়ে এক্সামের চিন্তা করো।

নিরার আবারো মন খারাপ হয়। কারণ রাফিন খুব রেগেই কথাটা বলেছে। নিরা আর কিছু না ভেবে পড়ায় মন দেয়। রাতদিন পড়েছে। এভাবে দেখতে দেখতে নিরার এক্সাম চলে এলো। এর মধ্যেই নিরা রাফিনের সাথে কথা বলতে চেয়েছে রাফিনই বারবার এরিয়ে গেছে।

নিরা ভেবেছিলো হয়ত এক্সামের সময় রাফিন নিজে নিরাকে কলেজে দিয়ে আসবে। কিন্তু না সেটা হলো না। নিরাকে নিরার বাবা নিয়ে গেছিলো কলেজে। প্রথম এক্সাম দিয়ে এসে নিরা ডায়েরিতে লিখে,

“৪ জানুয়ারি,,,
আমি জানি আপনি আমার উপর রেগে আছেন। তাই কথা বলতে চাচ্ছেন না। বা অন্য কোনো কারণ ও হতে পারে৷ তবে আমি এতোটুকুতেই খুশি যে আপনি আমার নজরের সামনে আছেন।”

নিরা ডায়েরি বন্ধ করে মুচকি হাসে। মনে মনে বলে,
— এক্সাম শেষ হোক। তারপর আর ছাড়ছি না আপনাকে ডাক্তার। হুহ!
·
·
·
চলবে…………………….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here