#হৃদয়ের_ওপারে_তুমি
#গল্প_ভাবনায়_ফারজানা_ইয়াসমিন_রিমি (আপু)
#লেখিকা_রিয়া_খান
#পর্ব_১৭
রাত হওয়ার সাথে সাথে আবারও একই মিশনে গেলো,তবে আজকের মিশনটা বেশি রিস্কি।কারণ সালমা বানুর স্বামী জসিমও বাড়িতে,তাঁর মধ্যে আজকের কাজটার জন্য বাড়ির ছাদে যেতে হবে।বাদল পাইপ বেয়ে ছাদে উঠতে পারে,তাই ছাদে পাঠানোর জন্য বাদলকেই সিলেক্ট করা হলো।
গভীর রাতে কোমরে একটা লম্বা দড়ি নিয়ে বাদল চুপি চুপি পাইপ বেয়ে ছাদে উঠলো, বাকিরা নিচে দাঁড়িয়ে আছে।
সফল ভাবে ছাদে উঠার পর।নিচে থেকে কয়েকটা বড় বড় বোতল দড়ি দিয়ে বেঁধে
দেয়া হলো,বাদল টেনে টেনে উপরে তুলে নিলো।
অত:পর বোতল গুলোর মুখা খুলে সালমা বানুর পানির টেংকির ঢাকনা খুলে তাতে ঢেলে দিতে লাগলো। বোতল গুলোর ভেতরের দ্রব্য পানিতে মেশানোর পর খালি বোতল গুলো নিয়ে সাবধানে নেমে এলো।
সবাই মিলে চুপচাপ মশার কামড় খেয়ে দাঁড়িয়ে আছে, শুধু একটা জিনিসের অপেক্ষায়।সেটা হলো সালমা বানুর চিৎকারের আওয়াজ শুনে কান দুটোকে প্রশান্তি দেয়ার জন্য।
পানির টেংকিতে খারাপ কোনো দ্রব্য মেশিয়ে পানি নষ্ট করা হয় নি, শুধু কয়েক বোতল বিটরুটের রস আর রেড ফুড কালার দেয়া হয়েছে।যাতে পানি গুলো রক্তের ন্যায় বর্ণ ধারণ করে।আর সালমা বানুর সেটা দেখে মস্তিষ্কের আঠারোটা বাজে।
সবাই ঘন্টার পর ঘন্টা শুধু অপেক্ষা করতেই লাগলো, কিন্তু সালমা বানুর কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না।
-আজকে মনে হয় প্ল্যান ফ্লপ।
-প্ল্যান কোনো ভাবেই ফ্লপ না, শুধু বাস্তবায়ন হতে একটু সময় লাগবে।
-তা তো বুঝলাম, প্রচুর মশা কামড়াচ্ছে।আর ঘুমও পাচ্ছে এভাবে আর কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবো?আর কিছুক্ষণ থাকলে তো ম্যালেরিয়া হয়ে যাবে।
-তাহলে চলো বাড়ি চলে যাই, সকাল বেলা খবর নিয়ে দেখা যাবে কি হলো না হলো।
– তখন তো জানতে পারবো শুধু কিন্তু সালমা বানুর আতংকিত চেহারাটা তো দেখতে পারবো না!
সবাই অপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত। একটা সময় পর সবাই ডিসিশন নিলো বাড়ি চলে যাওয়াই বেটার। যা হবার সকালে দেখা যাবে।
হতাশা নিয়ে সবাই বাড়ি ফিরতে লাগলো, এপাশ থেকে ঘুরে বাউন্ডারির ওপাশে চলে গেলো, সালমা বানুর বাড়ি ক্রস করে চলে যাবে ঠিক তখনি সালমা বানুর সজোরে চিৎকারের আওয়াজ পাওয়া গেলো।সালমা বানুর চিৎকার শুনে সবার ঠোঁটে বিজয়ের হাসি।হাঁটা থামিয়ে সবাই নিরব হয়ে চিৎকারের আওয়াজ শুনে যাচ্ছে, একেক জনের এমন রিয়্যাকশন যেনো মনে হচ্ছে কোনো রোম্যান্টিক গান শুনছে।
বাথরুমে গিয়ে পানির কল ছাড়তেই কল দিয়ে পানির বদলে রক্ত বের হচ্ছে,সেই রক্ত দিয়ে পুরো বাথরুম রক্তাক্ত হয়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে।এ দৃশ্য দেখার জন্য সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত ছিলো সালমা বানু।বার বার মাথা ঝাঁকি দিয়ে চোখ ঢলে ঢলে দেখলো যা দেখছে চোখের সামনে তা সম্পূর্ণ সত্যি এগুলো রক্তই।ছুঁয়ে দেখার সাহস টুকুও পাচ্ছে না, ভয়ে সজোরে চিৎকার দিতে লাগলো।উনার চিৎকার শুনে জসিম মিঁয়া
ঘুম থেকে ছিটকে উঠে দৌড়ে আসে।সালমা বানু যা দেখছে তিনিও তাই ই দেখছে।দুজনেরই হতভম্ব অবস্থা।জসিম মিঁয়া চুপ চাপ থাকলেও সালমা বানু চিৎকার করে করে কেঁদেই যাচ্ছে।
-দেখছো আমি বলছিলাম না তোমারে এই বাড়িতে কোনো অশুভ ছায়া প্রবেশ করছে। আমি নিজের চোখে দেখছি ভূত।তুমি বিশ্বাস করলা না,দেখো নিজের চোখে দেখো আমি ভুল দেখি নাই।এই গুলা ভূতের রক্ত!
-চুপ করবে একটু!তোমার কান্না থামাও।
সালমা বানুকে ধমক দিয়ে, জসীম মিঁয়া সাহস করে পানির কল ছেড়ে পানি হাতে নিলো,সাথে সাথে তাঁর হাত রক্তবর্ণ হয়ে গেলো।নাকের কাছে নিয়ে শুকতে লাগলো।
নাহ,কোনো আলাদা গন্ধ পেলো না। জসীম মিঁয়া প্রথমে ব্যাপারটা মাথায় না নিলেও এখন ভেতরটা কাঁপছে খুব।এরকমটা কেনো হচ্ছে, কি কারণে হচ্ছে বুঝতে পারছে না।
হয়তো আজ জসীম মিঁয়ার জায়গায় অন্য তাঁর ছেলে হলেও ব্যাপারটার সত্যতা কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পারতো।
জসীম হকচকিয়ে সালমা বানুকে নিয়ে বেডরুমে ঢুকে গেলো।দরজা আটকে দিয়ে দুজনেই কাবু হয়ে বসে আছে।
-শুনো না আমরা কাল সকালেই এ বাড়িতে ওঝা ডেকে আনবো, তুমি ভালো একটা ওঝা ধরে নিয়ে এসো।না হলে আমরা এবাড়িতে টিকতে পারবো না।
– চুপ করো শুনে ফেলবে তো। বেশি কথা বলো না, না হলে কালকের সকালের জন্য আর জীবিত থাকমু না আমরা কেউই বুঝছো?
সালমা বানু শুঁটকির মতো মুখ করে বললো,
-হুম
আজকে ভয় পেলেও সালমা বানু অজ্ঞান হয়ে পড়ে নি, কারণ আজ বাড়িতে একা না।একা থাকলে খেলা আরো বেশি জমতো।
সকাল বেলা কাব্যর বাবা আকাশের বাবাকে কল দিলো,কল রিং হতেই রিসিভ হলো সাথে সাথে।ওপাশ থেকে বলে উঠলো,
-আসসালামু আলাইকুম ভাইসাহেব কেমন আছেন?
-ওয়ালাইকুম আসসালাম ভাই, আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আপনি কেমন আছেন?
-জ্বি ভাই আলহামদুলিল্লাহ। বাড়ির সবাই কেমন আছে ভাই?
-প্রত্যেকেই খুব ভালো আছে ভাই,আপনার বাড়ির মানুষদের কি অবস্থা?
-আলহামদুলিল্লাহ ,আল্লাহ ভালো রাখছে সবাইকে।কথা মামুনি কি কানাডা চলে গেছে বড় বোনের কাছে?
-হ্যাঁ ভাই, কালকের আগের দিন চলে গেছে।
-কত করে বললাম কাব্যর সাথে এসে ঘুরে ভাই বোনে ঘুরে যাক,মেয়েটা এলো না।
-সমস্যা নেই ভাই, আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে ভাগ্যে বরাতে রাখলে অবশ্যই যাবে।
এখন কথা হলো ভাই, আপনাদের কাছে তো একটা বড় আবদার রাখতে চাচ্ছি ভাই।যদি অনুমতি দেন বলবো কথাটা, আর আবদারটাও রাখতে হবে।
-বলেন ভাই সমস্যা নাই,সাধ্যের মধ্যে হলে অবশ্যই আবদার রাখবো। ভাই ই তো ভাইয়ের কাছে আবদার করবে তাই না।
কাব্যর বাবা বিভ্রান্তি কাটিয়ে আকাশের বাবাকে সবটা খুলে বললো, কাব্যর বাবা এমন ভাবে প্রথমে কথা শুরু করেছিলো আকাশের বাবা প্রথমে ধরে নিয়েছিলো হয়তো কাব্যর সাথে সম্বোধন করছে,পরক্ষণেই জানতে পারলো কাব্য নয় অভ্রর কথা বলছে। সবটা শুনে উনি জানালেন ফুলের বাবাকে সে জানিয়ে দেখবে কি বলে না বলে সেটা জানাবে। কাব্যর বাবা রাজি হয়ে যায়, খানিক সময় কুশল বিনময়ের পর ফোন রেখে দেয়।আকাশের বাবা কাজে না বেরিয়ে বাড়িতে চলে গেলো।বাকিদের কি এখনি জানাবে সবটা নাকি পরে বুঝতে পারছে না।বাড়ির ছেলেরাও বাড়িতে নেই, আগে নিজেরা নিজেরা আলোচনা করে ছেলেদের জানানো যাবে বলে ভেবে নিলো।
আসলাম ভুঁইঞা ফুলদের বাড়িতে গিয়ে নাজমুল শিকদারের ঘরে গেলো,ঘরে বসে খবরের কাগজ পড়ছিলেন তিনি।
নক করে ভেতরে ঢুকে, নাজমুল শিকদারের মুখোমুখি বসলো,
-কি বলবে বলে ফেলো আসলাম, চুপচাপ কেনো?
-দুলাভাই একটা কথা বলার ছিলো।
-কি কথা?
-পরীমার ব্যাপারে!একটা সম্বোধন এসেছে।অতি উচ্চ বংশের সভ্য ভদ্র সব দিক দিয়েই গুণে গুণান্বিত।
-কে সে?বাড়ি কোথায়?
-দুলাভাই ছেলে আমাদের চোখের সামনেই আছে, দেখেছিও।
নাজমুল শিকদার আসলাম ভুঁইঞার চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো।
-মানে অভ্রকে দিয়ে।ছেলেটা পরীমাকে খুব পছন্দ করে, তাই সাথে সাথে তাঁর পরিবারে জানিয়েছে। ছেলেটা ভদ্র বলেই বিয়ের জন্য পা বাড়িয়েছে চাইলে পারতো পরীমাকে পটিয়ে অবৈধ সম্পর্কতে লিপ্ত হতে। আকাশের বন্ধু বান্ধুবী রা কতটা উচ্চ বংশের ছেলে মেয়ে আমরা কিন্তু জানি। সেখানে অভ্রর সাথে যদি পরীমার জোড় বাঁধা হয় তাহলে তো রাজকপাল।
আমাকে ওবাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয়েছে ব্যাপারটা আপনাকে জানাতে,যদি আমরা সবাই রাজি হই তাহলে অভ্রর বাবা আপনাকে ফোন দিয়ে কথা বলবে।
কথা গুলো শুনে নাজমুল শিকদার খুবই ভারাক্রান্ত হয়ে গেলো,চেহারায় চিন্তার ছাপ পড়ে গেলো।
-সব ই তো বুঝলাম আসলাম, কিন্তু মেয়ে তো আমাদের খুব ছোটো, ওর কি আর বিয়ের বয়স হয়েছে?আর পরীমাও কি রাজি হবে এ ব্যাপারে।ওর অমতে তো বিয়ে দেয়া যাবে না।
-পরীমাকে রাজি করানোর জন্য তাঁর ভাইয়েরা আছে।ভাইয়েরা যা বলবে পরীমা তাই ই মেনে নিবে।
নাজমুল শিকদার কোনো কথা না বাড়িয়ে, আলতাফ শিকদার আর এনামুল হককে বাড়িতে ডেকে পাঠালেন, চারজনেই এখন নাজমুল শিকদারের ঘরে বসে আছে।
নাজমুল শিকদার তাঁর বড় ভাই আর বোন জামাইকে সবটা জানালো।সবাই ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তা করছে।অত:পর নাজমুল শিকদার জানালো
-আসলাম তুমি তাদের বলে দাও এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আমাদের আমাদের একদিন সময় লাগবে।ছেলেদেরও জানাতে হবে তাদের কি মত জানতে হবে।সবার মত জেনেই ফাইনাল ডিসিশন নিতে হবে।রাতে সবাই ফিরে এলে এই ব্যাপার নিয়ে বসতে হবে।
-ঠিক আছে দুলাভাই যেটা ভালো মনে করেন।
সবাই যার যার কাজে চলে গেলো,
আসলাম ভুঁইঞা কাব্যর বাবাকে কল করে জানালো, এবাড়িতে একদিন সময় চাওয়া হয়েছে ব্যাপারটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য।কাব্যর বাবা জানালো কোনো সমস্যা নেই সময় লাগে লাগুক, ভেবে চিন্তে ডিসিশন নেয়াই মঙ্গল।
সকাল হতে না হতেই সালমা বানুর বাড়িতে প্রচন্ড ভীড় পড়েছে। যেনো কোনো সার্কাস হচ্ছে, বা সং হচ্ছে,মানুষ বিষ্ময়কর আগ্রহ নিয়ে বাড়ি ঘেরাও করে আছে।
কারণ একটাই, সালমা বানুর বাড়ির টেংকিতে ভূতের রক্ত। বাড়িতে ভূতেরা বিরাজ করেছে।সকাল সকাল ওঝা এসে সারা বাড়িতে ছাই দিয়ে রেখা করে দিয়েছে, সালমা বানুর ঘরের ভেতর জোড়াশীন পেতে চোখ বন্ধ করে বসে আছে।সামনে জ্বালানো ধুপ থেকে ধোঁয়া
উড়ে যাচ্ছে।
লোকটার মুখোমুখি সালমা বানু আর তাঁর স্বামী বসে আছে।
লোকটা হঠাৎ হঠাৎ গা ঝাঁকি দিয়ে দিয়ে একই শব্দ ছুঁড়ছে
-লাকালাকা লাকা লাকা লাকা লাকা লাকা লাকা,ছুহ ছুহ ছুহ
কালা মুরগির গু!
ওওওওওই লাকাহ লাকাহ হুম্মম্মম্ম!
সালমা বানু ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলো,
-বাবা কিছু জানতে পারলেন?
লোকটা গম্ভীর কন্ঠে উত্তর দিলেন,
-হুম্মম্মম্ম!
-কি জানলেন বাবা?
-আত্মা! এক অতৃপ্ত আত্মার প্রবেশ করছে তোর ঘরে তাই এসব সৃষ্টি হইতাছে।
এই আত্মারে তৃপ্ত করতে হইবো,তবেই ও চইলা যাইবো
-কেনো এবাড়িতে এসেছে?আমরা কি কোনো ক্ষতি করেছি তাঁর?
-তোর বাড়িটা খুব মনে ধরছে ওর, তাই এইখানে বাসা বাঁধতে চাইছে।
– ব বলেন কি বাবাহ! এখন আমাদের ক্কি ক্কি করতে হবে বাবা আমাদের?এই বাড়ির বদলে অন্য কিছু দিলে হবে না?
-আপাততো আমার দক্ষিণা দিয়া দে,আমি গভীর রাইতে ধ্যানে বইসা ওর নগে যোগাযোগ কইরা জাইনা নিমু।কি চায় ও।তোগো তাবিজ দিয়া যাইতাছি এইটা হইলো সুরক্ষা কবজ,সব সময় নগে রাকপি।তাইলে কোনো ক্ষতি করবার পারবো না।
-ঠিক আছে বাবা, যা বলেন!
এসব কান্ড কারখানা মিনা বর্ষা বকুল বাদল দেখে নিয়ে সাথে সাথে ফুলদের বাড়িতে গিয়ে ওদের জানায়।সবাই হাসতে হাসতে বেহুঁশ, কি থেকে কি কাহিনী হয়ে গেলো বাবা!
বিকেলের দিকে আশিক অবন্তী ফিরে এসেছে। বাবা ফোন করে চলে আসতে বলেছে,জরুরী কথা আছে বলে।
রাতে ডিনারের পর ফুলের সাত ভাই আর বাবা-চাচা-মামা-ফুপা মিলে আলোচনায় বসেছে
সকলেই গম্ভীর চোখ মুখে গালে হাত দিয়ে ভেবে যাচ্ছে।ভাইদের মধ্যে আকাশ আর আশিক জানতো সবটা আগে থেকে।অভ্রকে আশিকেরও পছন্দ কিন্তু বাকিদের মত বুঝা যাচ্ছে না।
অভ্রকে ছেলে হিসেবে প্রত্যেকেরই খুব পছন্দ,অভ্রর ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড টাও ভালো।অভ্রর কোনো দিকে কোনো কমতি নেই এরকম ঘর আর ছেলে পাওয়া এখনকার যুগে খুবই জটিল ।শুধু সমস্যা হচ্ছে ফুলের বয়স কম, আর ফুলকে ছাড়া এবাড়ির মানুষ থাকতে পারবে না। তাদের ইচ্ছে ছিলো ফুলকে একটা সাধারণ ঘরের ছেলের সাথে বিয়ে দেবে আর ছেলেকে ঘর জামাই রেখে মেয়েকে নিজেদের কাছেই রাখবে। এই চোখের মণিকে ছাড়া থাকা অসম্ভব। যদি অভ্রর বাড়ি টাংগাইলে হতো তাও একটা কথা ছিলো,সেই ঢাকা! যেখানে বিয়ে দিলে যখন তখন তাঁরা মেয়েকে দেখতে যেতে পারবে না।
কেউ ই সিদ্ধান্ত স্থির হতে পারছে না।ভিন্ন জনের ভিন্ন এংগেল থেকে মত প্রকাশ করে ফাইনাল ডিসিশনের ধারে কাছে আসতে পারছে না।
চলবে…………