#সিনিয়র_খালাতো_বোন
#part_04
#writer_srabon
এরপর ফোন কেটে দিয়েই নিজের কিছু জামা-কাপড় একটা ব্যাগে প্যাক করে নিলাম। মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি ৯ টা বেজে গেছে। আল্লাহ….! আজকে আমার কপালে কি আছে জানি না।।।
এরপর সকালের খাবার না খেয়েই বাসার বাইরে বের হলাম।।
গেটের কাছে এসে দারোয়ান চাচার কাছে জিজ্ঞেস করলাম,,,
— চাচা,,আমাদের এখানে সিলেটে যাওয়ার বাস পাওয়া যাবে এখন..??(আমি)
(চাচার বাসা বাসস্ট্যান্ডের পাশেই। তাই চাচাকে জিজ্ঞেস করলাম)
— এখন কয়টা বাজে..?(চাচা)
— ৯ টা বাজে…
— ৯.২০ এর সময় একটা আছে। আর দুপুর ২ টার সময় একটা আছে। কেন,,তুমি সিলেট যাবে নাকি.??(চাচা)
— চাচা,,পরে কথা হবে। এখন আসি। হাতে একদম সময় নেই। আর এই যে আমার বাইকের চাবি নেন। বাইকের পিছের চাকা লিক হয়ে আছে। সেইটা ঠিক করে রাইখেন। (আমি)
চাচার হাতে চাবিটা দিয়েই কোন মতে রাস্তা থেকে একটা রিকশা নিয়ে বাসস্ট্যান্ডের দিকে যেতে লাগলাম।।
সেখানে পৌছাতে ১৫ মিনিট লেগে গেল।
আমার ভাগ্য ভালো ছিল যে, রাস্তায় তেমন কোন জ্যাম ছিল না। আমি রিকশা ভাড়া দিয়েই টিকিট কাউন্টারে চলে গেলাম। সেখান থেকে একটা সিলেট এক্সপ্রেস এর টিকিট কেটে সোজা বাসে গিয়ে উঠলাম।।
এইবার সিট নাম্বার দেখে সিটের কাছে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখি আমার পাশে একটা মেয়ের সিট। আহা,,কি শান্তি আকাশে, বাতাসে..!
আমি নিজের শার্ট ঠিক করে নিলাম এবং মুখের মাক্স খুলে ফেললাম। এরপর একটা স্টাইল দিয়ে আমার সিটে বসে পরলাম।।
কিন্তু মেয়েটার কোন রিয়েকশন আমি দেখতে পেলাম না। ব্যাস বুঝে গেলাম মেয়েটা বাকি সব মেয়েদের মতো না। তাই আমিও আর বেশি ট্রাই করলাম না।
ব্যাগ থেকে হেডফোন বের করে কানি দিয়ে গান শুনতে লাগলাম।
তখনই বাস ছেড়ে দিল। কিন্তু আমি আছি আমার চিন্তায়। সিলেট গিয়ে কি যে,,হবে আমি কল্পনাও করতে পারতেছি না। আর মেয়েটা যে পাগলি,,তাতে আমার কারনে যদি ও বিয়েটাই আটকে দেয়। তাহলে আমি আন্টিকে মুখ দেখাব কি করে..? হে আল্লাহ সারা দুনিয়ায় প্যারা আমাকেই দেওয়া লাগল..? ধুর ভাল্লাগেনা।।।
আমি সিটে হেলান দিয়ে আছি। কিন্তু অনেক সময় ধরে খেয়াল করতেছি বাসের জানালা দিয়ে রোদ এসে আমার চোখে পরতেছে। তাই ব্যাগ থেকে সানগ্লাস বের করে চোখে দিলাম। তখনই খেয়াল করলাম আমার পাশের সিটে বসা মেয়েটা আমার দিকে একটু কেমন করে যেন তাকাল। এরপর মুখে একটা ভেংচি দিয়ে বাইরের দিকে তাকাল।।
আমি মনে মনে ভাবলাম এটা কি হলো..? আমি তো জাস্ট রোদ থেকে বাচার জন্য চোখে সানগ্লাস দিয়েছি। আর এই মেয়েটা ভাবতেছে আমি তাকে ইম্প্রেশ করার চেষ্টা করতেছি। আর তাছাড়া চেনা নেই জানা নেই ভেংচি কাটবে কেন.??
আমি আর কিছু না ভেবে চোখ দুটো বন্ধ করে নিলাম।।
আর হ্যাঁ,, আপনার হয়তো ভাবতেছেন ব্যাগে হেডফোন, সানগ্লাস কোথা থেকে এলো.?? আমি তো এগুলো ব্যাগে নেই নি,, তাহলে..??
আসলে এই ব্যাগটা নিয়েই আমি সব জায়গায় ঘুরতে যাই। তাই ব্যাগে এই দুইটা জিনিস কমন থাকে।।
আপনাদের মনে হয়তো অনেক প্রশ্ন আছে। যেমন, আমি যেদিন আমার পছন্দের মানুষকে প্রপোজ করেছিলাম সেই দিন সে কি উত্তর দিয়েছিল.??
আসুন তাহলে এই প্রশ্নের উত্তর আমিই ক্লিয়ার করে দিচ্ছি।।
আমি যখন থেকে বুঝতে শিখেছি,,, তখন থেকেই আমি একটা মেয়েকে দেখলে কেমন যেন ফিল করতাম। সারাক্ষণ শুধু তাকেই দেখতে ইচ্ছে করত। কিন্তু কি কারনে এমনটা হতো আমি বুঝতে পারতাম না। এইভাবে কিছু দিন যাওয়ার পরে যখন সবকিছু ভালো করে বুঝতে শিখলাম। তখন আমার আর বুঝতে বাকি রইল না যে আমি ওই মেয়েটাকে ভালোবাসি। আর যেহেতু আমি তখন ছোট ছিলাম তাই আমার কিছু করার ছিল না। শুধু লুকিয়ে লুকিয়ে তাকে দেখতাম আর মনকে শান্ত করতাম।
কোন দিন তাকে বলার সাহস হয়ে উঠে নাই। কারন সম্পর্কে সে আমার খালাতো বোন ছিল। তার উপরে আবার আমার দুই বছরের সিনিয়র। ভালোবাসার কথা বলার কোম উপায় ছিল.?? তাই আমিও বাস্তব কঠিন মেনে নিয়ে শুধু তাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতাম।
এইভাবে অনেক গুলো বছর কেটে গেল।
আমি তখন অনার্স ২য় বর্ষের স্টুডেন্ট।
আর আমার ভালোবাসা মানে খালাতো বোন ফাইনাল ইয়ারে পড়াশোনা করতেছে।
আমার খালার বাসা মোটামুটি কাছেই ছিল। তাই আমি কলেজ শেষ করে হুটহাট করেই খালার বাসায় চলে যেতাম।
আসলে ওই বাসায় যাওয়ার আমার একটাই কারন ছিল,, সেটা হলো আমার ভালোবাসা মানে খালাতো বোন। (নামটা নাহয় অজানাই থাক)
আপুর সাথে আমার বেশ ভালোই সম্পর্ক ছিল। মানে বন্ধুত্বের মতো। আপুর সাথে অনেক দুষ্টুমি ফাজলামো করতাম। আর আপুও আমার সাথে অনেক ফ্রি ছিল। আমি ধিরে ধিরে যেন আরো চুম্বকের মতো আটকে যাচ্ছিলাম আপুর সাথে।।
আমি আস্তে আস্তে আপুর সব প্রিয় জিনিস গুলো সম্পর্কে জেনে নেই। আপুর কি কি ভালো লাগে আর কি কি খারাপ লাগে এটা হয়তো আমার থেকে ভালো আর কেউ জানত না।
তো সেই দিন ছিল রবিবার। ভার্সিটি কোন এক কারনে ছুটি ছিল অনেক দিনের জন্য। ব্যাস আমি আমার সব কিছু গুছিয়ে রবিবারই খালার বাসায় চলে যাই।
আর আমি অনেক সাহস করে নীল পাঞ্জাবি পরে আপুকে প্রপোজ করেছিলাম।
কিন্তু আপু ব্যাপারটা মোটেও সিরিয়াস ভাবে নেয় নি।
সে এটাকে ফান ভেবে নেয়।
আমি অনেক বোঝানোর চেষ্টা করি। কিন্তু আপু মজা ভেবে নেয়। সে অনেক হাসে। আমিও আর জোর করি নাই।
এইভাবে বেশ কিছু দিন চলে গেল।
আমি আপুকে রোজ আমার ভালোবাসার কথা বলি।
আপু মুখে একটু রাগ দেখালেও আমি জানি আপু আমার প্রতি অনেকটা দূর্বল।
আমি তখন আমাদের ভার্সিটিতে রাজনীতির একটা ভালো পদে ছিলাম। আমার আন্ডারে অনেক পোলাপান ছিল। আমিও তাদেরকে কাজে লাগিয়ে আপুর ভার্সিটিতে খোজ লাগাই। আমার ধারনাই ঠিক ছিল।
আপুর কোন বয়ফ্রেন্ড নেই। আর সবচেয়ে বড় কথা একটা ছেলে বন্ধুও নেই।
আর থেকে খুশির খবর আর কি হতে পারে.?? আমিও আপুর পিছে পরে ছিলাম।।
এতে আমিও খুশি ছিলাম আর আপুও।
কিন্তু এই খুশি আর বেশিদিন স্থায়ী হলো না।
আপু……..
তখনই আমার পাশের সিটের মেয়েটা আমাকে ধাক্কা দিল..!!
আমি সিট থেকে মাথা তুলে তার দিকে তাকালাম।
সে একটু বিরক্ত হয়ে আমাকে বলল,,
— এই যে হ্যালো..! আপনি কি কানে শুনতে পান না নাকি..?? সেই কখন থেকে ডেকে যাচ্ছি। কোন সারা শব্দ নেই। (মেয়েটি)
[আসলে আমি একটু ঘোরের মধ্যে ছিলাম। তাই হয়তো খেয়াল করি নাই। ]
— সরি,,আমি একটু অন্যমনস্ক ছিলাম। আপনি কিছু বলবেন..?(আমি)
— উফফফ,,আপনি কি কানা নাকি.?? আশেপাশে তাকিয়ে দেখেন। কেউ কি আছে বাসে.?? আমরা সেই কখন সিলেট চলে এসেছি। আর আপনি তো…(মেয়েটা রেগে)
আমি তারাতাড়ি নিজের সিট থেকে উঠে দাড়ালাম।। আর মেয়েটাকে সাইড দিলাম যেতে।
— সরি,, সরি,,
কিন্তু মেয়েটা মনে মনে আমাকে কি সব বলতে বলতে চলে গেল।
আমি আমার ব্যাগ কাধে নিয়ে পকেট থেকে মোবাইল বের করলাম।
মোবাইলে তাকিয়ে দেখি বিকাল ৪ টা বেজে গেছে। আমাকে তাড়াতাড়ি করে স্পর্শিদের বাসায় যেতে হবে। এদিকে আবার প্রচুর খুদা পেয়েছে। কি যে করি।।
হাতে একটুও সময় নেই।
তাই আর দেড়ি না করে বাস থেকে নেমে গেলাম।
এরপর চারিদিকে তাকিয়ে দেখি। অনেক রকমের গাড়ি আছে। আমি বাইক স্টান্ডে গিয়ে আমার বয়সী একটা ছেলের বাইক ভাড়া করলাম।
এখান থেকে বাইকে স্পর্শির বাসায় যেতে আনুমানিক ২০ মিনিট লাগবে।
আমি বাইকের পিছে উঠলাম। ছেলেটা বাইক চালাতে লাগল আমার ঠিকানা অনুযায়ী।।।
কিছুদূর আসার পরে ছেলেটা বলে উঠল,,,
— ভাইয়,,,এত ব্যাস্ত কেন.?? দেখে মনে হচ্ছে কোন বিপদ হয়েছে আপনার..?(ছেলেটা)
— এটা বিপদের চেয়েও ভয়ংকর।।।
(এরপর সংক্ষেপে সব কিছু খুলে বললাম ছেলেটিকে)
ছেলেটার সাথে গল্প করে ভালোই লাগল। আর এত সময়ে আমরা স্পর্শিদের বাসায় চলে এলাম।।
বাড়িটা অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছে। বাইরে থেকে দেখে যেকেউ চোখ ফেরাতে পারবে না।
বাড়ির ভিতর থেকে অনেক আওয়াজ আসতেছে। হয়তো অনেক লোকজন এসেছে। সাথে প্রচুর মেয়ে। এইবার শিওর একটাকে পটিয়ে নিবই।।😁
আমি ভাড়া মিটিয়ে দৌড়াতে দৌড়তে গেটের কাছে গেলাম।।
গেটের সামনে গিয়ে দেখি মোকবুল চাচা। (দারোয়ান)
আমি যতবারই এই বাসায় এসেছি প্রত্যেক বারই তার সাথে অনেক দুষ্টুমি করেছি। তাই আজকেও,,,,
— কি ব্যাপার চাচা..? মাথার চুল পেকে গেছে। তারপরেও নতুন পাঞ্জাবি। ব্যাপার কি.? আপনার লাইন তো বেশি ভালো ঠেকতেছে না..!(আমি হেসে)
চাচা আমাকে দেখেই অনেক অবাক হলো।
এরপর একটা হাসি দিয়ে বলল,,,
— আরে,,শ্রাবন যে। তুমি বরং আমার চিন্তা বাদ দাও। আজকে যে তোমার কি হবে সেটা একমাত্র স্পর্শি মামনি জানে..!(হেসে)
চাচার কথায় আমি অনেকটা ঘাবড়ে গেলাম। তাই মুখটা কালো করে জিজ্ঞেস করলাম।।
— কেন চাচা..?(আমি)
— ইসসস,,,ন্যাকা। কিছু জানে না…! এই তোমার একমাত্র বান্ধবীর বিয়ে। আর তুমি এখন এসেছ.?? সেটাও আবার বিয়ের পরে..??(চাচা)
আল্লাহ,,তারমানে বিয়ে শেষ। মানে আমিও শেষ… 🥵
— চাচা,,,ও কি কোন সিন ক্রিয়েট করেছিল নাকি..? (আমি)
— সেটা আবার বলতে..? মামনি তো কবুলই বলবে না। অবশেষে আপা মনির(স্পর্শির মা) কান্নাকাটির কারনে কবুল বলেছে। স্পর্শি মামনিএখনো হয়তো কান্না করতেছে স্টেজে বসে৷ (চাচা)
— চাচা,,আসি,,বেচে থাকলে আবার দেখা হবে….!!!
এটা বলেই আমি বিয়ের স্টেজের দিকে দৌড় দিলাম।
একটাই উপায় আছে। এখন আর নিজের মানসম্মানের কথা চিন্তা করলে হবে না। পরে দেখা যাবে।।
[স্পর্শি আর সিয়ামের বিয়ে শেষ হয়ে গেছে কিছুক্ষণ আগে। বাড়িতে অনেক লোকজন। বড়লোকদের বিয়ে বলে কথা। এলাহি ব্যাপার-স্যাপার। তাই বিয়ে শেষে স্পর্শি আর সিয়ামকে স্টেজে দুইটা বড় চেয়ারে বসানো হয়েছে। আর বন্ধু,বান্ধব,আত্মীয়স্বজন একে একে এসে তাদের দুজনকে দেখতেছে,,ছবি তুলতেছে, সাথে করে তারা যে গিফট গুলো এনেছে সেগুলোও দিয়ে যাচ্ছে। আশা করি আপনাদের বুঝাতে পেরেছি]
আমি লোকজনকে ঠেলেঠুলে সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম।
সামনে গিয়ে দেখি স্পর্শি বসে আছে। আমার নজর আশেপাশে আর কারো দিকে নেই। আমি স্পর্শির সামনে গিয়ে কান ধরে উঠবস করতে লাগলাম।।।
আর বললাম,,
— সরি,,,সরি,,খোদার কসম আর কোন দিন খেলা দেখতে যাব না। তুই যা বলবি তাই শুনব।। সত্যি সত্যি সত্যি তিন সত্যি…!!
স্পর্শি সহ বাসার সকল লোকজন অবাক চোখে আমার দিকে তকিয়ে আছে৷ কারো বুঝতে বাকি রইল না যে এই সেই শ্রাবন। যার কারনে আরেকটু হলে বিয়েটাই ভেঙে যেত।।
এইভাবে কিছু কথা বলার পরে দেখি স্পর্শি হালকা হেসে দিলো..! ব্যাস আমারও বুঝতে বাকি রইল না যে তার রাগ কমে গেছে।।।
আমিও কান ছেড়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে পরলাম।
আমার মুখে তখনো মাক্স লাগানো ছিল। সাথে চোখে সানগ্লাস। তাই যেকেউ আমাকে দেখেই চিনতে পারবে না।।
কিন্তু একজনের আমাকে চিনতে একটুও ভুল হলো না। সে হলো স্পর্শির মা। মানে আমার প্রিয় একজন মানুষ।
আন্টি কোথা থেকে এসেই জেন আমার কান টেনে ধরল। আর বলতে লাগল।,,,
— এই বাদর,,তোকে কতবার বলেছিলাম মনে আছে..? যে আমার মেয়ের বিয়ের সব দায়িত্ব কিন্তু তোকে নিতে হবে। আর তুই কি বলেছিলি মনে আছে..? “আন্টি আপনার কোন চিন্তা করতে হবে না। আমি আছি না..!”
তাহলে তুই এতদিন কোথায় ছিলি..? আর এই বুঝি তোর দায়িত্ব..? (আন্টি হালকা রেগে গিয়ে বলল)
আমার তো লজ্জায় মাথা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একে তো একটু আগে যে কাজ করলাম। তার উপরে এখন আবার আন্টির শাসন। আশেপাশে হয়তো অনেক মেয়েরা আছে। লজ্জায় কারো দিকে তাকাতেও পারতেছি না। ভাগ্যিস মুখে মাক্স লাগানো আছে।।।
— সরি,, আন্টি,,সরি…! আসলে আমার না প্রচন্ড জ্বর হয়েছিল। তাই আরকি….
— হয়েছে থাক..! আর অযুহাত দিতে হবে না..! আমি জানি তুমি নিশ্চয়ই ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে দেখতে বিয়ের কথা ভুলেই গিয়েছিলে..! যেটা হয়ে গেছে সেটা হয়ে গেছে। এইবার একটু সামনে তাকিয়ে স্পর্শির পাশে দেখ…! দেখতো পছন্দ হয় কিনা..??(আন্টি)
আন্টি আমার কান ছেড়ে দিল। সাথে মাথার চুল গুলোয় একটু হাত বুলিয়ে দিল..!
আমি এইবার সামনে দিকে তাকাব। কারন এই সিয়াম ব্যাটাকে দেখার আমার খুব ইচ্ছে। কিন্তু আমি
সামনে তাকাতেই…….
.
.
.
.
.
#চলবে…….???
[আজকের পর্ব কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন…! আর গল্পটা বুঝতে কোথাও কোন অসুবিধা হলে আমাকে বলবেন। আমি বুঝিয়ে দিব…!]