#শুভ_বিবাহ
লেখা #AbiarMaria
২২
বন্ধুদের সাথে কথা বলতে বলতে হাকিম চত্বরের দিকে আসলাম। আমি সবসময় মানিক মামার কাছ থেকে সিগারেট খাই। পানির মত আমার সিগারেটের পিপাসা পায়। মামার কাছ থেকে বন্ধুরা সিগারেট নিয়ে আড্ডা দিতে থাকি। আগে শেয়ার করতাম, এখন শেয়ার করা হয় না। আমার নিজের দিনে এক প্যাকেটের বেশি সিগারেট লাগে। যা দাম বাড়ছে! সরকার শুধু এই সিগারেটই দেখে। কেন ভাই? দেশে কি আর কিছু নাই? সিগারেটের দামই কেন বাড়াতে হবে? আমার অবশ্য তা নিয়ে বিশেষ মাথা ব্যথা নেই। এক মাস হলো একটা টিউশনি পেয়েছি। ইংরেজি মিডিয়ামের গ্রেড সেভেনের স্টুডেন্ট। টাকা পয়সা বেশ ভালোই দিচ্ছে। বড় লোক মানুষ এরা, ছেলে মেয়ের পিছে অগাধ খরচের ক্ষমতা। তাতে অবশ্য আমাদেরই সুবিধা। এমন দু একটা টিউশন পেলেই কাজ সেরে যায়। এখন আর তাই আব্বুর কাছেও হাত পাততে হয় না।
সিগারেট জ্বালিয়ে আরাম করে মাত্র কয়েক টান দিয়েছি, তখন দেখলাম, নীনা আর স্নিগ্ধা হন্তদন্ত হয়ে এদিকেই আসছে। আমি ওদের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিলাম। ওরা আমাদের কাছে আসতেই নীনা আমার কলার চেপে ধরল।
ঘটনার আকস্মিকতায় আমি চমকে উঠলাম। নীনার কি মাথায় সমস্যা?! আমার কলার চেপে ধরে চেঁচিয়ে বলল,
❝এবার নিশ্চয়ই তুই খুব খুশি? পথ থেকে কাঁটা সরে গেছে না? খুশিই তো! এটাই নিশ্চয়ই চাইছিলি তুই?❞
আমি ওর দুই হাত চেপে কলার ছাড়িয়ে নিলাম।
❝মাথা খারাপ হয়ে গেছে তোর? হুট করে সবার সামনে কি শুরু করলি?❞
❝কেন? কণার সাথে সব কিছু আড়ালে করছিস বলে এখন আমারও তোর সাথে কি সব আড়ালে করা উচিত?❞
আমি নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করছি।
❝আড়ালে এমন কি করছি আমি?❞
❝ওহ! জানিস না বুঝি? আমার মনে করিয়ে দিতে হবে? ঠিক আছে! তোর জন্য ট্রিভিয়া কোয়েশ্চেন! তুই কণার সাথে আড়ালে কি এমন করেছিস যার জন্য ও কাউকে না জানিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছে!❞
জাহিদ লাফিয়ে উঠল।
❝কণা চলে গেছে মানে? ও কোথায় গেছে?❞
নীনা গরম তেলে পানির ছিটে পড়ার মত ছ্যাৎ করে উঠল।
❝তোর বন্ধুকে জিজ্ঞেস কর! সব তো ওই করেছে। এই উত্তরটাও ওই জানবে!❞
জাহিদ আমার দিকে ফিরল। ওর মত আমিও আকাশ থেকে পড়েছি। কণা দেশ ছেড়ে গেছে, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। জোরে জোরে মাথা নেড়ে বললাম,
❝আমি তো জানিই না কখন কণা বিদেশ গেল!❞
জাহিদ কিছু একটা বলতে চাইছিল, নীনা তাকে থামিয়ে আমাকে বলল,
❝তোর জানা লাগবে না কণা কখন গেল। তুই জবাব দে কণা কেন গেল! এই জবাবা জানিস না, এই কথা বলবি না কিন্তু!❞
আমি জাহিদের দিকে, ইমরানের দিকে, নীনা, স্নিগ্ধা আর বাকিদের দিকে তাকালাম। সবার চোখে প্রশ্ন, চেহারা থমথমে। আমি সত্য এতদিন কারো সামনে স্বীকার করিনি, কিন্তু তার মানে এই না স্বীকার করার সাহস নেই। আমি বললাম,
❝আমাদের ব্রেকাপ হয়ে গেছে। ব্রেকাপটা আমি করেছি❞
ইমরান প্রশ্ন করল,
❝কেন? ওর সাথে তো তোর ভালো মানায়। ব্রেকাপ কেন করলি?❞
❝ভাল্লাগে না। না লাগলে কি জোর করে প্রেম করব? আমার প্রেম আসে না! আর ও একটা প্যারা। সারাদিন প্যারা দেয়। আমার প্যারা ভাল্লাগে না❞
নীনা চেঁচিয়ে উঠল।
❝তুই শুধু ব্রেকাপ করিস নাই! তুই ব্রেকাপের চেয়ে বেশি কিছু করেছিস!❞
আমার মাথায় রাগ চড়ে গেল। মেয়ে মানুষ কন্ঠ চড়ালে আমার পায়ের রক্ত মাথায় ওঠে। অনেকক্ষণ ধরে ওর বকবকানি সহ্য করছি, আর না। আমিও কন্ঠ চড়ালাম।
❝কি করেছি শুনি? বেশি কথা বলবি না তুই একদম। বান্ধবীর হয়ে ওকালতি করতে মন চাইলে আমার সামনে না, অন্য কোথাও করবি। আমার সামনে একদম গলাবাজি করবি না!❞
❝ওহ! সত্য বলতেছি, তাই সেটা গলাবাজি??❞
❝কিসের সত্য?! তোর বান্ধবীর মন চাইছে, সে দেশ ছেড়ে চলে গেছে। আমার ভালো লাগে না, আমি ব্রেকাপ করলাম। আমরা দুইজন যে যার মত আছি। মাঝখানে তোর এত সমস্যা কেন? তুই চিল্লাছিস কেন?❞
❝কারণ ও এমনি এমনি দেশ ছাড়ে নাই! ও দেশ ছাড়ছে কারণ তোর মত রাস্কেল, লম্পট, ক্যারেক্টারলেস স্কাউন্ড্রেল ওর সাথে রুম ডেট করে তারপর ওকে ছেড়ে দিছিস! কণা সুইসাইড করতে পারবে না এইজন্য দেশ ছেড়ে চলে গেছে! আর তুই এইখানে বলিস তুই কিচ্ছু করিস নাই? মিথ্যুক লুচ্চা!❞
নীনার কথা শুনে পুরো সার্কেলে বাজ পড়ল। ছেলেরা সবাই আমার দিকে তাকাচ্ছে। আমি থমকে গেছি। ভেবেছিলাম, কণা যেমন মেয়ে, ওদের মধ্যকার ঐ ঘটনা অন্য কারো কাছে বলবে না। অথচ সে কিনা নীনাকে জানিয়ে দিল? নীনা জানে মানে নিশ্চয়ই স্নিগ্ধাও জানে? কেন ও দুজনের মধ্যকার কথা অন্য কাউকে বলবে? কেন বলবে? আমার হুট করে পুরো ব্যাপারটা ইগোতে লাগলো। কেউ কিছু বলে ওঠার আগে হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে
রেগে বললাম,
❝আমি ওর সাথে যা মন চায় তা করব! এসব জাজ করার তুই কে? মাঝখান থেকে উড়ে আসছিস কেন? হ্যাঁ, রুম ডেটে গিয়েছিলাম। কিন্তু তোর বান্ধবীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছুই হয়নি! প্রমাণ লাগবে তোর? আমার আর ওর চ্যাট হিস্ট্রি এখনই দেখাতে পারি। তোর বান্ধবী মুখিয়ে ছিল আমার সাথে রুম ডেটে যাওয়ার জন্য! আর এখন তোর কথা শুনে মনে হচ্ছে আমি ওকে রেইপ করেছি! যা হয়েছে, দুজনের সম্মতিতে। এখন সেটা যদি সামাল দিতে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া লাগে, তাহলে সেটাও আমার দোষ?❞
আমার কথা শেষ হওয়ার প্রায় সাথে সাথে নীনার হাতের চড় এসে আমার গালে আঘাত করল। নীনা একদলা থুতু ছিটিয়ে বলল,
❝ইউ নেভার ডিজার্ভড হার! নেভার!❞
আরও অনেক গালাগালি করছিল কিন্তু স্নিগ্ধা ওর মুখ চেপে টেনে নিয়ে গেল। আমি রাগে বিস্ফোরিত চোখে নীনাকে দেখছি। ইচ্ছে হচ্ছে চুলের মুঠি ধরে দুদ্দাড় মারি! পাশ থেকে তখন জাহিদ বলল,
❝শুভ! ভুলেও ভাবিস না!❞
জাহিদ আমার হাত মুঠি পাকাতে দেখেছে। ও বুঝতে পারছে, আমিও নীনাকে আঘাত করব। সবাই মিলে কয়েক সেকেন্ডের মাঝে আমাদের মাঝে ঢুকে ঝড়ের মত নীনা আর স্নিগ্ধাকে আমার থেকে সরিয়ে ফেলল। তারপর সবার মুখ থেকে আমি ভর্ৎসনা পাচ্ছিলাম এক এক করে। আমার রাগ পড়ে গেছে, কিন্তু অপমান সহ্য হচ্ছে না। ইচ্ছে হচ্ছে নীনার উপর প্রতিশোধ নেই। সবার শেষে জাহিদ আমাকে বলল,
❝তোর কাছ থেকে এটা আশা করিনি❞
ওরা সবাই চলে গেছে। রয়ে গেলাম সেখানে একা আমি। শেষ বিকেলের আলোয় এত জনসমাগমেও নিজেকে নিঃস্ব মনে হলো। ভেবেছিলাম, কণা আর আমার ব্যাপারটা বন্ধুমহলে জানাজানি হবে না। হলেও এতটা তিরস্কার পাবো ভাবিনি। রাগ হচ্ছে আমার কণা আর নীনার উপর। অবশ্য দোষ আমারই। কণাকে সবটা বুঝিয়ে বললে হয়ত ও এভাবে চলে যেত না। কিংবা নীনাও অতটা রিএক্ট করত না। আমার সবসময় সন্দেহ হত, কনা কিছুতেই বুঝবে না। জোর করে সম্পর্ক টেনে নিয়ে যেতে চাইবে। কিন্তু আমার যে এই সম্পর্কে থাকার বিন্দু মাত্র আগ্রহ ছিল না। কণা কেমন যেন দমবন্ধ করে দিচ্ছিল আমার, যেন একটু একটু করে কেউ মুখে বালিশ চাপা দিচ্ছে।
আমি পকেটে হাত ঢুকিয়ে বাসার রাস্তার দিকে রওনা দিলাম। পকেটে শক্ত কিছু ঠেকলো। বের করে দেখলাম। কণার স্মৃতি। একটা চাবির রিং। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে পকেটে রেখে দিলাম। কণার জন্য খারাপ লাগছে আর এতদিন পর। কেন ওকে বিয়ের কথা বলতে গেলাম? কেন ওর সাথে প্রণয়ে জড়ালাম? আজ যদি কেবল বন্ধু থাকতাম, তাহলে সম্পর্কগুলো অমন বিশ্রী রূপ ধারণ করত না। কোন দেশে গেছে কণা? ওখানে গিয়ে কি আমাকে ও মিস করবে? আমি কি ওকে মিস করব?
আমি বেমালুম ভুলে গেলাম একটু আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা। মাথায় কেবল ঘুরতে থাকলো, কণার এভাবে চলে যাওয়া। আমাকে কি একবার বলে যেতে পারত না? মেয়েটা বড্ড অভিমানী। আমার অভিমানী মেয়ে ভালো লাগে না। এরা কষ্ট দিতে ওস্তাদ। কণাই তাই। হয়ত কষ্ট না দিলে সম্পর্কটাও ভাঙতো না। কে জানে!
বেশ কিছু দিন এমন করেই কাটলো। ক্লাসে গেলাম, কিন্তু বন্ধুরা তেমন একটা কথা বললো না। আমাকে ওরা এড়িয়ে চলছে। বিষয়টা পরিষ্কার করার জন্য ওদের মহসিন হলের টঙে আনলাম।
❝দেখ, তোরা শুধু একপাক্ষিক কথা শুনে আমাকে দূরে ঠেলে দিতেছিস। কণা আর আমার মাঝখানে যা হইছে সেটা কোনো জোরজবরদস্তি না। তাহলে আমার দোষটা কই?❞
রাহুল নামের এক বন্ধু মুখ খুললো।
❝তোর দোষ হলো, কেন ইন্টিমেট হওয়ার পর ব্রেকাপ করবি? আগেই করতি ব্রেকাপ। এসবের কি দরকার ছিল?❞
জাহিদ যোগ করল,
❝তুই কণাকে বলিস নাই ক্লিয়ার করে কিছু। ওকে কেন ভালো লাগে না, সেটা তো বলবি? অন্তত ওর ভুল শোধরানোর সুযোগ তো দিবি?❞
আমার মুখ থেকে গালি বেরিয়ে আসলো।
❝আরে বা* আমি বলছি যে আমার ভাল্লাগে না! মাইয়ারা খালি কানতে জানে আর ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করতে জানে। কানতে কানতে বলে, ব্রেকাপ করলে এতদিন থাকলা কেন? আমার ভুল কই? আমি বলছি, তোমার ভুল নাই। আমারই ভুল রিলেশন করছি। নাহ, শোনে না! বারবার এক কথা। এজন্য যোগাযোগ বন্ধ করে দিছি❞
ইমরান বলল,
❝ওর বাপ তো মালদার। বিয়ে করলে লাইফ স্যাটেল। চাকরি বাকরির প্যারা নাই❞
❝হ, ঐ চাকরির প্যারা ছাইড়া একটা পার্মানেন্ট প্যারা জুটাই আমার কপালে। নাকি?❞
বন্ধুদের সাথে আমার সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে গেল। ওরা আমার আর কণার সম্পর্ক নিয়ে আর ঘাটালো না। তবে নীনা আর স্নিগ্ধা দূরে সরে গিয়েছে। ওরা আর কথা বলে না। আমিও বলি না। মেয়ে মানুষকে পাত্তা দিয়ে আর মাথায় তুলব না। এই কান ধরলাম।
……………
আমার সামনে এইচএসসি পরীক্ষা। আমি এখন পরীক্ষা নিয়ে অতীব ব্যস্ত। আগের মত অন্য কোথাও মনোযোগ দেয়া হয় না। শুভ ভাইয়াকেও এখন আর তেমন একটা ফেইস করতে হয় না। সে তার মত থাকে, আমি আমার মত থাকি। তবে আমাদের মধ্যকার তিক্ততা নেই। আগের মত সে আমাকে দাবড়ানি দিতে আসে না। কথায় কথায় নিচের ঠোঁট কামড়ে চোখ পাকিয়ে থ্রেট দেয় না। কখনো কখনো আন্টি কিছু পাঠালে আমাকে স্বাভাবিকভাবে দিয়ে যায়। তবে আমার কাছে উনার চেহারা আর আগের মত লাগে না। বরং কেমন একটা গা রিনরিনে অনুভূতি হয়। কিভাবে তিনি কণা আপুর সাথে শুলো? কিভাবে? আমার আপুর জন্য খারাপ লাগে ভীষণ। আপু আমার সাথে দেখা করার এক মাস আগে দেশ থেকে চলে গিয়েছে। সে অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করতে গিয়েছে। যাওয়ার দিন আমাকে কল করেছিল। ভীষণ মন খারাপ ছিল। আপু যে চলে যাচ্ছে, তা আমি ছাড়া কেউ জানে না। এখনও আমার সাথে ফেসবুকে তার যোগাযোগ আছে। আমি খুব আগ্রহ নিয়ে তার সাথে কথা বলি, তার প্রাত্যহিক কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি, নতুন কি কি করেছে জানতে চাই। আপুও আগ্রহের সাথে আমাকে সেসব বর্ণনা দেয়। সে এখন আমাকে তুই বলে ডাকে। আমারও ভীষণ ভালো লাগে। আমার ভাইয়ারা অনেক আগে থেকে দেশের বাইরে থাকে। ওরা আমাকে তেমন একটা সময় দিতে পারে না। আমার কোনো বড় বোনও নেই। ইসাবেলা আপুকে আমার মত করে খুব কম পাই। কণা আপু এখন সে যায়গা নিয়েছে। কণা আপুর জন্য মায়া লাগে। এমন একটা মানুষকে যে ছেড়ে চলে যায়, সে মানুষ না, একটা হনুমান। শুভ ভাইয়া একটা হনুমান।
দেখতে আমার পরীক্ষা শেষ হলো। এরপর শুরু হলো কোচিং-এ দৌড়ানো। সারাদিন এই পড়াশোনায় কেটে যায়। আমার টার্গেট ঢাকা মেডিকেল। যেভাবেই হোক, চান্স পেতেই হবে। পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট গুলোয়ও চেষ্টা করব। সারাদিন বইয়ে ডুবে থেকে থেকে অবসর সময়ে ছাদে এসে বসি। কিংবা ফেসবুকে কণা আপুকে নক দিয়ে রাখি। আপু আমাকে সবসময় উৎসাহ দেয় ভালো ভাবে পড়তে।
মাঝে মাঝে আপু শুভ ভাইয়ার কথা জানতে চায়। আমি জানাই। ভালোই তো আছে সে। আন্টি সবসময় ছেলের প্রশংসা করে খুব। তখন আমার ইচ্ছে করে শুভ ভাইয়াকে একটা খামচি দিয়ে আসি। ঠিক মুখের উপর জোরে খামচি দেই। আন্টির ছেলে যে এত খারাপ, সেটা কি আন্টি জানে? নাকি জেনেও এমন প্রশংসা করে?
শুভ ভাইয়াকে হয়ত একারণে শুরু থেকে আমার কখনো ভালোও লাগেনি। আজকাল কোচিং থেকে আসার সময় মাঝে মাঝে তাকে তাকিয়ে থাকতে দেখি। আমার বিরক্ত লাগে। পৃথিবীতে এমন কোনো মেয়ে কি আছে যার দিকে শুভ ভাইয়া তাকায় না? উনার চোখ এমন বেহায়া কেন? নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না? নাকি নিয়ন্ত্রণ করতে চায় না? আমার শুভ ভাইয়ার খুলি খুলে দেখতে ইচ্ছা করে। ওর ব্রেইনে কি চলে, তা জানার বড্ড ইচ্ছা আমার।
চলবে…