নীড়
রেশমী রফিক
৯।।
তুবার মন খারাপ হলো খুব। চট করে কান্না পেয়ে গেল। এই ভরা মজলিশে কান্না করার জো নেই। শারারও চলে এসেছে। যে কোনো মুহূর্তে উপস্থিত হবে এই টেবিলে। এই সময়ে কান্নার কোনো মানে হয়? অবশ্যই না। কিন্তু তুবা কান্না আটকাতে পারল না। চোখ উপচে পড়ল নোনা পানি। ঠিক তখনই শারার এসে হাজির। তুবার মাথায় আলতো চাটি মেরে বলল,
– কী হয়েছে, তুবা বেগম? এত কান্নাকাটি কীসের? বাসায় ঝাড়ি-টাড়ি খাইছ নাকি?
তুবা নাক টেনে বলল,
– ঝাড়ি খাইলে তো এখানে বসে থাকতাম না। চোখে কী যেন পড়ছে। পুরো চোখ চুলকাচ্ছে।
– কই দেখি?
– না, থাক। দেখা লাগবে না। ঠিক হয়ে গেছে।
তুবা চট করে কান্না সামলে নিল। চোখ মুখে স্বাভাবিক হবার চেষ্টা করল। শারার বলল,
– কী খাবা, বলো?
– আপনার যা ইচ্ছা, অর্ডার করেন।
– লাঞ্চ করছ?
– না। তাইলে চলো অন্য কোথাও যাই। এইখানে আমার হাঁসফাঁস লাগতেছে। চারদিকে কেমন ভ্যাপসা গরম। কথা বলা তো দূরে থাক, আমি বসতেই পারতেছি না ঠিকমতো। তোমাকে দেখে আরও অস্থির লাগতেছে।
– কেন? আমি আবার কী করলাম?
– নিজের দিকে তাকাও। কী অবস্থা! ঘেমেচুরে একদম জবজব হয়ে গেছ।
তুবা কলেজের ব্যাগ থেকে রুমাল বের করে মুখ মুছল। আসলেই তার অবস্থা সঙ্গীন। বাইরের গরম তো আছেই। ভেতরের গরম এর চাইতেও বেশি। মানুষজনের নানারকম হৈ-হল্লায় এই ফুডকোর্টকে কোনো অংশেই আগুনের চাইতে কম মনে হচ্ছে না। কিন্তু কী করার? এখানে সে নিজেই দেখা করতে বলেছিল শারারকে। ঘামটুকু যতটা সম্ভব মুছে তুবা বলল,
– স্যরি, শারার ভাই। একটা ভুল হয়ে গেছে। আমি না অ্যালবাম আনতে ভুলে গেছি।
শারারের মুখ থেকে হাসি মুছে গেল নিমেষেই। সে বলল,
– অ্যালবাম আনতে ভুলে গেছ মানে? তাইলে এখানে আমরা দেখা করতে আসলাম কেন?
– আসলে হইছে কী, আমি আজ সকালে কলেজে আসতে লেট করে ফেলছিলাম। তাড়াহুড়ায় অ্যালবামটা ব্যাগে ঢুকানো হয় নাই।
– এটা কোনো কথা, তুবা? তোমাকে দেখে তো এত ইরেস্পন্সিবল মনে হয় না। তুমি রাতেই কেন ব্যাগ গুছিয়ে রাখলা না।
– আরে, রাতে ব্যাগ গুছাইলে ধরা পড়ে যাইতাম। আম্মা তো সকালেই আমার ব্যাগ চেক করে।
– কেন? ব্যাগ চেক করার কী আছে?
– জানি না। আসলে ব্যাগ চেক করে নাকি তাও শিউর না। আম্মা আসলে প্রতিদিন আমার ব্যাগে লাঞ্চবক্স ঢুকায় নিজ হাতে। তখন যদি অ্যালবাম দেখে…
– তোমার আম্মা এরকম কেন, তুবা? উনাকে দেখলে আমার কেন জানি মেন্টাল কেস মনে হয়। সাইফুলের বিয়েতে উনি যেই কাহিনি করছিলেন। তুমিই বলো কোনো মা কি তার মেয়ের বিয়েতে এরকম করে?
তুবা কিছু না বলে লম্বা নিঃশ্বাস ফেলল। শারারের কথায় যুক্তি আছে। মেজপুর বিয়ের দিন বরপক্ষের কী একটা নাক সিঁটকানো কথা শুনে আম্মা বেদম ক্ষেপে গিয়েছিল। তখনই সাইফুল ভাইয়ের আম্মাকে আড়ালে ডেকে নিয়ে বলেছে,
– আপনারা ছেলে নিয়ে চলে যান। আমার কালুটনী মেয়েকে বিয়ে করার দরকার নাই সাইফুলের। তার জন্য পরীস্থান থেকে আগুন সুন্দরী নিয়ে আসেন প্লিজ। আমার মেয়ে এত ফেলনা হয়ে যায় নাই, শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে মানুষজনের কটু কথা শুনবে। আমি দিবাকে ওভাবে বড় করি নাই।
বলা বাহুল্য, সাইফুলের আম্মা কিছুক্ষণ তবদা খেয়ে তাকিয়েছিলেন বেয়াইনের দিকে। বিয়ে পড়ানো হয়ে গেছে। ছেলে-মেয়ে দু’জনকে একসাথে বসানো হয়েছে। আরেকটু পরই বউ নিয়ে রওনা হবে সবাই। এই সময়ে কি দিবার মায়ের মাথা খারাপ হয়ে গেল?
সাইফুলের আম্মা আরও কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকতেন হয়তো। কিন্তু শেফালি তাড়া দিলেন,
– ওইভাবে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে লাভ নাই, আপা। আপনি ছেলে নিয়ে চলে যান। পরীস্থান থেকে সুন্দরী বউ আনার ব্যবস্থা করেন। এদিকে আমিও দিবার ডিভোর্সের অ্যারেঞ্জ করে ফেলব।
এরপর পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারত। যায়নি সাইফুলের কারণে। ওর আম্মার কাছে শাশুড়ির কাহিনি শুনে উলটো সে নিজেও ক্ষেপে গিয়েছিল। বিয়ে খেতে এসে ওর বউকে নিয়ে কটু মন্তব্য করবে, এরকম আত্মীয় দাওয়াত করার দরকার ছিলই বা কী? সায়রাও কম রাগেনি। ওর পরাণের বান্ধবীকে নিয়ে কটু কথা বলে কেউ একচুল এগোতে পারেনি। দিবা কখনো কিছু না বললেও সে চট করে উত্তর দিয়েছে। আর এখন কি না তার নিজের পরিবার-পরিজন থেকেই কটু মন্তব্য!
সাইফুলের আম্মা এরপর কী করতেন, কে জানে। কিন্তু সাইফুলের আব্বা ব্যাপারটা সামলে নিলেন। প্রথমে ছেলে আর মেয়েকে আশ্বস্ত করলেন। এরপর শেফালি বেগম আর দিদারুল ইসলাম সাহেবের সাথে কথা বললেন। শেফালি বেগম গোয়ারের মতো শুরু থেকেই বলে যাচ্ছিলেন একই কথা, মেয়েকে তিনি এই পরিবারে পাঠাবেন না। যতই বিয়ে পড়ানো হোক, কবুল বলা হোক, এটা তার মেয়ের সারাজীবনের ব্যাপারে। যে বাড়িতে পা দেবার আগেই ওকে উদ্দেশ্য করে কটু কথা বলা হয়েছে, সেই বাড়িতে ওর জীবন কেমন কাটবে, সেটা জানতে কোনো জ্যোতিষী হবার দরকার হয় না। সাইফুলের আব্বা খুব অনুনয়-অনুরোধ করলেন। কিন্তু শেফালি একচুল ছাড় দিলেন না। এদিকে দিদারুল সাহেব আজীবন এরকম পরিস্থিতিতে স্ত্রীকে মানানোর চেষ্টা করেছেন। সাইফুলের সাথে দিবার বিয়ে মঞ্জুর করতে শেফালিকে তিনিই কাঠখড় পুড়িয়ে রাজি করিয়েছেন। কিন্তু সেদিন উদাসীন ভঙ্গিতে বললেন,
– আমি আর কী বলব, ভাই সাহেব? আমার পরিবারে সব ডিসিশন আমার স্ত্রী নেয়। ও নিজেই ছেলেমেয়েদের লালন-পালন করেছে, ওরা কীভাবে বড় হবে, কীভাবে কী করবে নিজেই সবটা ঠিক করেছে। আমি কখনোই কোনো কথা বলিনি ওর উপর দিয়ে। এখনো বলতে পারছি না, স্যরি।
শেষমেশ ওই আত্মীয়াকে খুঁজে এনে শেফালির কাছে মাফ চাওয়ানো হয়েছে। ব্যাপারটা বরপক্ষের অনেকের কাছেই ভালো লাগেনি। তাদের মতে, ছেলের পরিবার এভাবে মাথা নীচু করবে কেন? তারা মেয়ে দিচ্ছে না। না দিক। সাইফুলের বাবামায়ের উচিত তক্ষুনি ছেলেকে নিয়ে ফিরে যাওয়া। দুইদিন পর বউ আপনাতেই সুরসুর করে চলে আসবে শ্বশুরবাড়ি। হাজার হলেও মেয়ে তো! উনারা হয়তো সেটাই করতেন তখন। কিন্তু সাইফুলকে মানাবে কে? সায়রাকেই-বা কে শান্ত করবে? আর সবথেকে বড় কথা, মেয়ের বাবামায়ের এমন কথাবার্তা শুনে সাইফুলের বাবা-মা দুজনেরই মুখ শুঁকিয়ে আমসি হয়ে গেছে। আত্মীয়স্বজনরা যে যাই বলুক, তারা স্পষ্টত বুঝে গেছেন দিবা কখনোই সুরসুর করে তাদের বাড়িতে চলে আসবে না। সে আসতে চাইলেও ওর বাবা-মা ওকে আসতে দেবে না। এরা বড্ড একগুঁয়ে। এদের কথার নড়চড় হয় না। শেফালি বেগমের হাতের ইশারায় এই পুরো পুরিবার অন্ধের উপর চলে। তাছাড়া, ছেলেপক্ষ বলেই গা-ছাড়া ভাব দেখাতে হবে এমন যুগ অনেক আগেই চলে গেছে। এখনকার দিনে ছেলে বিয়ে করিয়ে বউ বাড়িতে নিয়ে আসতে পারাটাই ছেলেপক্ষের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। যেন আহামরি কী এক কাজ করে ফেলেছে। কোনো ক্ষেত্রে যদি বউ না আনা হয়, তাহলে আশপাশের মানুষজনদের টিটকারি আর কথার জ্বালায় টেকার উপায় থাকবে না। কিছু মুখরোচক গল্প জন্ম নেবে তখনই। নিশ্চয়ই ছেলের কোনো ভেজাল ধরা পড়েছে। এজন্য মেয়ের বাবা-মা মেয়েকে দেয়নি শ্বশুরবাড়িতে।
নাহ, অত ঝামেলায় গিয়ে কাজ নেই। দিবাকে তাদের মোটামুটি পছন্দ হয়েছে। মেয়েটা খুব মিষ্টি আর নরম স্বভাবের। মেয়ের বান্ধবী হিসেবে তো অনেকদিন ধরেই চেনাজানা আছে। মেয়ের মা ঠোঁটকাটা স্বভাবের হলেও একসময় তিনি নিজেও অবাক হতেন শেফালির কাজেকর্মে। তিনি দিবাকে যেভাবে শক্ত হাতে বড় করেছেন, তা দেখে যে কোনো মেয়ের মা-ই তাকে আইডল ভাবতে বাধ্য। সেই মহিলা এখন ছেলের শাশুড়ি বলে তাকে হুটহাট অবহেলা করা একদমই সমীচীন না। হিতে বিপরীত যে হবে, এটা জানা কথা।
সাইফুল-দিবার বিয়ের পর এই নিয়ে দুই পরিবারেই তুমুল আলোচনা হয়েছে। শারারের মা, দিবার ফুপুশাশুড়ি খুবই নাখোশ। তার মতে, এরকম বেদ্দপ পরিবার থেকে মেয়ে আনা একদমই উচিত হয়নি। যদিও দিবাকে তিনিই সবথেকে বেশি পছন্দ করেছেন। তার মতে, ছেলের বউ ঠিক এমনই হতে হয়। নরম-সরম, কোমল, মিষ্টি আর শান্ত স্বভাবের। রুপ-সৌন্দর্যকে তিনি প্রাধান্য দিলেও দিবার তার থেকে পাস মার্ক পেয়েছে। বউয়ের চেহারা একদমই ফেলনা নয়।
মায়ের এই কথাগুলোই একবার শারার বলেছিল তুবাকে। তুবাও ওর পরিবারের আলোচনা শেয়ার করেছিল। এখন সেই প্রসঙ্গ উঠতেই সে মাথা নিচু করে ফেলল। মায়ের মানসিক সমস্যা আছে কি না, এই নিয়ে তার পরিবারেও প্রশ্ন উঠেছে। বাবা অবশ্য এই প্রশ্ন এক তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে। বলেছে,
– কোনোদিন দেখলাম না আমার ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ গড়তে তোমরা কেউ আগায় আসছ। কোনোদিন আমার ছেলেমেয়েদের কাউকে নিয়ে তোমাদের কোনো চিন্তা করতে দেখি নাই। ওরা ওদের মায়ের হাতে বড় হইছে। ওদের মা যেটা ভালো মনে করছে, সেটাই হইছে। তখন তোমরা কিছু বলো নাই। এখন আসছ ভুল ধরতে! এখন বলতেছ, আমার বউ পাগল। মানে কী? আমার মেয়ের কীসে ভালো হবে, কীসে মন্দ সেইটা কি এখন তোমরা ঠিক করবা? এতদিন বাদে তোমরা আসছ আমার মেয়ের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে?
দিদারুল সাহেবের পালটা প্রশ্নের উত্তর কেউ দিতে পারেনি। তাই আলোচনা থেমে গেছে। তবে তুবার প্রায়ই মনে হয় ওর মা আসলে মানসিকভাবে অসুস্থ। একই ভাবনা দিনারের স্ত্রী, আদৃতার। শাশুড়ির সাথে তার মোটামুটি ভালো সম্পর্ক। শেফালি মাথায় তুলে রাখেন ছেলের বউকে। অনেক ছোটখাট ব্যাপার যেগুলো টিপিক্যাল শাশুড়িরা বড় করে দেখে, সেগুলো তিনি এক ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেন। এজন্য আদৃতা নিজেকে সৌভাগ্যবতী ভাবে। আদৃতার বাবা-মাও শেফালির এমন আচরণে অনেকটা নিশ্চিন্ত বোধ করেন। আর যাই হোক জীবনে, শেফালি কখনোই তাদের আদরের মেয়েকে পানিতে ফেলে দেবেন না। আজীবন মাথায় তুলেই রাখবেন। তবু তারা মাঝেমধ্যে নিজেরা বলাবলি করেন শেফালির ভেতরকার মানসিক অস্বাভাবিকতা নিয়ে। আদৃতাও তাদের সাথে একমত। শাশুড়িকে মাঝেমধ্যে তারও আধপাগল মনে হয়।
তুবাকে চুপ থাকতে দেখে শারার একটু অপ্রস্তুত বোধ করল। নিজের মায়ের সম্পর্কে নেতিবাচক কিছু শুনলে মন খারাপ হবারই কথা। তুবার নিশ্চয়ই মন খারাপ হয়েছে। কাঁদছে নাকি মেয়েটা?
তুবা সত্যিই কাঁদছিল। মায়ের সম্পর্কের নেতিবাচক কথা শুনে না, তার মন কাঁদছিল শারারকে তার পছন্দের মেয়ের সাথে ক্লিক করিয়ে দিতে আর কতদিন লাগবে ভেবে। আজ নাহয় মিথ্যে বলে পার পাওয়া গেল। অ্যালবামটা সে সত্যি এনেছে সাথে। ব্যাগের ভেতর আছে। কিন্তু শারারকে উল্টোটা বলেছে। কারণ চুড়ান্ত সময়ের মুখোমুখি হবার মানসিক শক্তি সে সঞ্চয় করতে পারেনি এখনো। আরেকটু সময় তার দরকার।
তুবা যদিও চোখ মুছে ফেলেছে, তবু শারার ওর লাল-ফোলা চোখ দেখে বুঝে গেল। কাঁচুমাচু ভঙ্গিতে বলল,
– অ্যাম স্যরি, তুবা। আমি না বুঝেই কথাটা বলে ফেলছি। আমার উচিত হয় নাই…
– না না ঠিক আছে। আপনি কেন স্যরি বলতেছেন? আপনার কথায় লজিক আছে। আমার আম্মা আসলেই মেন্টাল কেস।
– না দেখো, প্রতিটা মা-ই তার সন্তানদের প্রতি পজেসিভ থাকেন, অবসেসড হন। এই আমার আম্মাকেই দেখো তুমি। আমি তার একমাত্র সন্তান। অনেক আদরের। কতটা, তোমাকে বলে বুঝানো সম্ভব না। তুমি জাস্ট ভাবো, আমার আগে আরও দুইটা বেবি ছিল আম্মার। ওরা জন্মের পর পরই মারা গেছে। এরপর আম্মার কী সব কমপ্লেক্সিটি ছিল। ডাক্তার একরকম বলেই দিছিলেন আর কনসিভ করতে পারবে না। মাত্র এক পারসেন্ট চান্স। আম্মা রাতদিন আল্লাহকে ডাকছে। কত পীর-আউলিয়ার মাজারে গেছে। কত কবিরাজ কতকিছু। মানে মানুষ যে যা বলছে, আম্মা চোখ বন্ধ করে তাই বলছে। তারপরেও প্রায় নয় বছর পর আমার জন্ম। তুমি ভাবো, আম্মার কাছে আমি শুধু তার ছেলে না, আরও বেশি কিছু। আম্মা আমাকে নিয়ে কত্ত পজেসিভ তুমি কল্পনাও করতে পারবা না।
– আপনার কথা আলাদা। আপনার আম্মার ওরকম সিচুয়েশন ছিল। কিন্তু আমার আম্মার কোনো বাচ্চা মারা যায় নাই। উলটো এক ছেলে তিন মেয়ের জন্ম দিছে। তার তো এরকম পজেসিভ হবার কথা না। আর এইখানে আপনি পজেসিভনেসের কী দেখলেন? আরেকটু হলে মেজপুর বিয়ে ভেঙ্গে যাইত। তারপর মেজপুর কপালে কী থাকত, ভাবেন। আম্মা আমাদের বেশি টেক কেয়ার করতে গিয়ে উলটো খারাপ করে ফেলতেছে। এটা অবশ্যই তার মেন্টাল প্রবলেম।
শারার কিছু বলল না আর। তুবার সাথে এই নিয়ে কথা বাড়ানোর দরকার নেই। তুবার আম্মা ভালো নাকি খারাপ, সুস্থ নাকি অসুস্থ তা নিয়ে মাথা ঘামানো তার কম্ম না। প্রসঙ্গ পাল্টে বলল,
– আচ্ছা চলো। তুমি তো বেশিক্ষণ বসতে পারবা না। আর আমারও টাইম নাই আজকে তেমন। লাঞ্চব্রেকের কথা বলে বের হইছি। এখানে টাইম ওয়েস্ট না করে আমরা কোনো রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসি। আরাম করে খাওয়া-দাওয়া করি। এখানে আমি এক সেকেন্ডও টিকতে পারছি না। (চলবে)
পরের পর্ব রাত নয়টায়