নীড় পর্ব-৩৩

0
3414

নীড়
রেশমী রফিক
৩৩।।
চটজলদি আলমারি থেকে কিছু কাপড়চোপড় বের করল শারার। একটা পোলো টিশার্ট আর হাফপ্যান্ট। ওগুলো তুবার হাতে দিয়ে বলল,
– শাড়ি খুলো, জলদি। এগুলো পরো।
তুবা অবাক সুরে বলল,
– কিন্তু কেন?
– কেন মানে? এগুলো পরতে হবে তোমাকে।
তুবার গোয়ারের মতো মাথা নাড়িয়ে বলল,
– উহু। আমি শাড়ি খুলব না। এগুলো পরব না। আমি বাসায় যাব।
শারারের মেজাজ খারাপ হলো। সে কথা না বাড়িয়ে তুবার শাড়ি ধরে টান দিল। তুবা আঁতকে উঠতেই ওকে কাছে টানল। চট করে আঁচল নামিয়ে দিল। বুকের খাঁজে ওই তিলটা এখন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। গভীর কালো। আকারে অন্যসব তিলগুলোর চেয়ে একটু বড়। ঠিক বুকের মাঝখানটায়। তুবা কিছু বুঝে উঠার আগেই শারার চুমু দিল ওখানে। তুবা শিউরে উঠে পিছিয়ে গেল। তখনই টের পেল, শারার ওর শরীর থেকে পুরো শাড়িটা খুলে নিয়েছে। পরনে এখন শুধু ব্লাউজ আর পেটিকোট। বুকে কোনো অন্তর্বাস নেই। রেস্টুরেন্টে যখন হামলা হলো, ওই লোকগুলোর টেনে-হিঁচড়ে ওর কলেজের ড্রেস ছিঁড়ে ফেলেছিল একপাশে। ব্রাও টেনে ধরেছিল। তখনই কোনো একসময় ছিঁড়ে গেছে কাঁধের স্ট্রাইপটা। শাড়ি পরতে গিয়ে টের পেয়েছিল। ব্রা আবার ঠিকঠাক করে পরার উপায় ছিল না। তাই ওটা ছাড়াই ব্লাউজ পরেছে। ব্লাউজটাও গায়ে লাগেনি ঠিকমতো। বড় সাইজের ঢিলা-ঢোলা। তুবা দুই হাত বুকের উপর আড়াআড়ি করে রাখল। অস্ফুট সুরে বলল,
– শারার ভাই, প্লিজ। আমি আপনাদের বাসায় থাকব না। এখানে আমার দমবন্ধ হয়ে আসতেছে। আমি কিছুতেই এই বাড়িতে থাকতে পারব না। আমাকে আমার বাসায় দিয়ে আসেন। প্লিজ প্লিজ প্লিজ।
শারার এগিয়ে এলো কয়েক কদম। তুবা খুব বেশি দূরে সরে যাবার আগেই ওকে জড়িয়ে ধরল আবার। বলল,
– ব্লাউজটাও কি আমি খুলে দেব? নাকি তুমি নিজে খুলবে?
তুবা সরে গেল পেছনে। বলল,
– খবরদার, আমার গায়ে হাত দিবেন না। নইলে হাত কেটে ফেলব একদম।
– ওকে ফাইন। দিলাম না তোমার গায়ে হাত। কিন্তু এক শর্তে। আমি যা বললাম, তাড়াতাড়ি করো। কুইক।
তুবা এক দৌড়ে ছুটে পালাল ওয়াশরুমের ভেতর। শারারের কথা আর মুখভঙ্গিতে কিছু একটা ছিল, যা তাকে রীতিমতো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। ঘেমেনেয়ে যেমন একাকার অবস্থা। তেমনি হাত-পায়ের কাঁপুনির জ্বালায় কাপড় পাল্টাতে পারছে না দ্রুত। কয়েক মুহূর্ত পর শারার ওয়াশরুমের দরজায় টোকা দিল। নিচু সুরে বলল,
– তুবা, হারি আপ!
তুবা ব্লাউজ খুলল না। এর উপর দিয়েই ঝটপট টি-শার্ট পরে নিল। পেটিকোট খুলতে হলো। শারারের উচ্চতা বেশি। তার হাফপ্যান্ট ওর হাঁটুর নিচ পর্যন্ত গেল। থ্রি-কোয়ার্টার ট্রাউজারের মতো। সমস্যা হলো কোমরে। প্যান্ট ঢিলা হয়ে গেছে। কিছুতেই কোমরের সাথে লেগে থাকছে না। নিচে পড়ে যাচ্ছে। টি-শার্টও বেশ ঢোলা। তবে ওতে সমস্যা নেই। বরং ঢোলা হওয়াতে ভালো হয়েছে। শরীরের বাঁক বুঝা যাচ্ছে না ঠিকমতো।
আরও একবার নক করল শারার। তুবাকে ডাকল,
– তুবা, কী হলো?
তুবা আতঙ্কের সুরে বলল,
– আসতেছি।
– আসতেছি না। তুমি এখনই বের হও। জলদি!
– আমি প্যান্ট পরতে পারতেছি না। কোমরে ঢিলা হচ্ছে।
– তুমি বের হও। তোমার প্যান্টের ব্য্যবস্থা আমি করছি।
তুবার শরীর কাঁপছে। ভয়-আতংকে নাকি অজানা আশঙ্কায়, আল্লাহ ভালো জানেন। কোনোমতে প্যান্ট কোমরের সাথে চেপে ধরে ওয়াশরুম থেকে বের হলো সে। শারার এক ঝলক দেখল ওকে। তারপর আলমারি থেকে একটা বেল্ট বের করল। নিজেই দ্রুত ওটা পরিয়ে দিতে লাগল তুবার কোমরে। প্যান্ট ঠিকমতো ফিট হবার পর তুবার ফেলে আসা পেটিকাট একটা ছোট ব্যাকপ্যাকে ভরল সে। তারপর বলল,
– ব্লাউজ কোথায়?
– আ-আমি পরে আছি। ব্লাউজ খুলিনি।
শারার কথা বাড়াল না। তুবার পায়ের দিকে এক ঝলক তাকিয়ে দেখল, কেডস ঠিক আছে কি না। একবার জিজ্ঞেস করেও নিল,
– কেডস এটা পরে দৌড়াতে পারবে?
তুবা হড়বড় করে বলল,
– শোনেন, আমি কোনো অবস্থাতেই আপনাদের বাসায় থাকব না। আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসতেছে এখনই। আরেকটু পর ফট করে মরে যাব। তখন কিন্তু ফেঁসে যাবেন আপনি। অতএব, জলদি আমাকে আমার বাসায় পৌঁছে দেন। আমি মরে যাওয়ার আগেই।
– উফফফ, তুবা! এত কথা বলো কেন তুমি? শোন, তোমাকে বাসায় নিয়ে যাচ্ছি আমি। কিন্তু যেতে হলে তো পায়ে হাঁটতে হবে, তাই না? নাকি তুমি আশা করছ, আমি তোমাকে কোলে করে নিয়ে যাব? কোনটা? কোলে নিব?
শারার হাত বাড়াতেই তুবা আতঙ্কের সুরে বলল,
– না না। কেডস ঠিক আছে। আমি হাঁটতে পারব। দৌড়াতেও পারব।
পরক্ষণে ব্যাকপ্যাক কাঁধে ঝুলিয়ে তুবার হাত ধরে টান দিল শারার। বলল,
– চলো। কুইক!
ঘরের দরজার দিকে নয়, বারান্দার দিকে এগোল ওরা। তারপর কীভাবে তুবা নিচতলায় নেমেছে জানে না। রেলিঙয়ের কোণায় এসে শারার ঝট করে ওকে কোলে তুলে নিয়েছিল। কানের কাছে ফিসফিস করে বলেছে,
– একদম টু শব্দ করবে না। আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরো। নইলে পড়ে যাবে। আমি কিন্তু তোমাকে ধরব না।
আতঙ্কে চোখ বন্ধ করে রেখেছিল তুবা। পড়ে গিয়ে হাত-পা ভাঙ্গার ভয়ে শক্ত করে জাপটে ধরেছিল শারারকে। তারপর যখন হুঁশ ফিরল, নিজেকে আবিস্কার করল নির্জন রাস্তায়। শারারের হাত ধরে দৌড়াচ্ছে। মূলত শারারই দৌড়াচ্ছে। ওকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। ওই নির্জন রাস্তা পাড়ি দেবার পর একটা ফাঁকা বড় রাস্তায় উঠল ওরা। খানিকবাদে একটা সিএনজিতে চড়ে বসল। এক ছুটে কোথায় গিয়ে থামল, বলতে পারবে না।
এই মুহূর্তে তুবা বসে আছে বাসে। নাম সোহাগ পরিবহণ। এসি কোচ। বাসের ভেতর গাদাগাদি করে রাখা কতগুলো সিট। পা ফেলার একদণ্ড বাড়তি জায়গা নেই। মানুষজন হুড়হুড় করে বাসের ভেতর ঢুকছে। তুবাকে সিটে বসিয়ে রেখে, ব্যাকপ্যাকটা ওকে কোলে দিয়ে শারার আবার বাস থেকে বের হয়ে গেছে। বেশ অনেকক্ষণ হলো, তার ফেরার নাম নেই। খানিক আগে তুবা খানিক স্বস্তি অনুভব করলেও এখন আবার আতঙ্ক জেঁকে বসতে শুরু করেছে। বাস বোধহয় এখনই ছেড়ে দেবে। যাত্রীরা সবাই হুড়মুড় করে বাসের ভেতর ঢুকে পড়ছে। শারার ভাই কোথায়? সে কি বাস মিস করে ফেলবে? এই বাসটাই বা কোথায় যাচ্ছে? সে কেন এই বাসে চড়ল? শারার ভাই এভাবে চোরের মতো ওকে বাসা থেকে বের করে আনল কেন?
উত্তর মিলল না। তবে আতঙ্ক দূর হলো। বাস ছেড়ে দেবার ঠিক আগমুহূর্তে শারার বাসে উঠেছে। হাতে কতগুলো ব্যাগ। তাতে খাবার-দাবার আর পানির বোতল। ঠেলাঠেলি করে এগিয়ে এসে তুবার পাশে বসল সে। ঠিক তখনই বাসটা ছেড়ে দিল। তুবা বলল,
– কোথায় গিয়েছিলেন আপনি? আরেকটু হলে তো বাসই মিস করে ফেলতেন।
শারার হাসল। মৃদু সুরে বলল,
– এই বাসের বাপেরও সাহস নেই আমার তুবাকে নিয়ে একাই রওনা হবে।
– আপনার তুবা মানে কী?
– মানে বুঝো না?
– না।
– আচ্ছা, আগে পৌঁছাই। এরপর বুঝিয়ে দেব।
– ঠিক আছে। কিন্তু এখন বলেন, আপনি এতক্ষণ কী করলেন বাইরে?
শারার মুচকি হেসে বলল,
– একটা মেয়েকে দেখলাম। ওই সামনের বাসে চড়ে যাচ্ছে। মেয়েটাকে দেখেই খুব ভালো লাগল। মনে হলো, ওকে ছাড়া আমি বাঁচব না। তাই ওর সাথে কথা বলার চেষ্টা করলাম।
তুবার কপালে ভাঁজ পড়ল। সে বিরক্তির সুরে বলল,
– আপনার দেখি ক্যারেকটারে সমস্যা। কয়দিন ধরে আমার কোন কাজিনের পেছনে পড়ে থাকলেন। তাকে ছাড়া আপনার চলবেই না। এখন দেখি মন ঘুরে গেছে আপনার। আরেক মেয়েকে দেখে পটে গেছেন। এইসব ছেলেদের সাথে কেউ হ্যাপি হয় না, বুঝলেন? দুইদিন পর পর মন পালটায়। আর নতুন-নতুন গার্লফ্রেন্ড জুটে। ভালোই হয়েছে, অ্যালবাম হারিয়ে গেছে। আর এরকম একটা গেঞ্জাম হলো। নয়তো আপনি অ্যালবাম ঘেঁটে আপনার পছন্দের মেয়েকে খুঁজে বের করতেন। ওর সাথে কথা বলতেন। প্রেম করতেন। দুইদিন পর ওকে ছ্যাঁকা দিয়ে আরেক মেয়ের পেছনে ঘুরঘুর করতেন। তখন তো ও আমাকেই দোষ দিত। বলত, আমি ওকে ধরা খাইয়েছি। আম্মার কাছে নালিশ দিত। এজন্যই আম্মা সবসময় বলে, যখন যা হয়, ভালোর জন্যই হয়। আজকে এই গেঞ্জাম না লাগলে আমি ঠিক ফেঁসে যেতাম।
শারারের মুখে হাসিটা চওড়া হলো। তুবার কাছে সরে এসে ফিসফিস করে বলল,
– তুমি তো ফেঁসে গেছই।
– মানে কী? আমি কীভাবে ফাঁসলাম?
তুবার পটলচেরা চোখ আরও বড় হয়ে গেছে। মুখটা হাঁ হয়ে আছে। শারারের হাসি বাড়ল। কাছে গিয়ে তুবার কপালের উপর থেকে এলোমেলো চুলগুলো সরিয়ে দিল। ফিসফিস করে বলল,
– এই যে, বাসে উঠে পড়লে আমার সাথে। বাস কিন্তু ছেড়ে দিয়েছে।
– তো?
– তো কী? তুমি আমার সাথে যাচ্ছ।
– বাসায়?
শারার এবার ঘুরে বসল তুবার দিকে। নিচু সুরে বলল,
– কী সমস্যা তোমার, বলো দেখি? বারবার বাসায় যাওয়ার কথা বলছ কেন?
– কারণ আমি আমার রুম ছাড়া অন্য কোথাও থাকতে পারব না।
– আমার সাথেও না?
– কী?
– মানে বললাম, আমি তোমাকে কোথাও নিয়ে গেলাম। সেখানে শুধু তুমি আর আমি। তখনও কি থাকতে পারবে না?
তুবা সতর্ক সুরে বলল,
– আপনার মতলবটা কী আসলে?
– মতলব হচ্ছে, আমি এখন তোমাকে নিয়ে পালাচ্ছি।
– কোথায়?
– যেদিকে দুই চোখ যায়।
– আমি যাব না। আমাকে বাসায় পৌঁছে দেন প্লিজ।
তুবার মুখটা কাঁদো-কাঁদো হয়ে যাচ্ছে প্রায়। শারার ওর মুখ চেপে ধরল। বলল,
– একদম কান্নাকাটি চলবে না। এখন থেকে তুমি আমার ওয়াইফ। আর আমি তোমার হাজব্যান্ড। সো, আমি যেখানে থাকব, সেটাই তোমার বাসা। ঠিক আছে?
তুবা ঘাড় নেড়ে বলল,
– ঠিক নাই। আপনি কত্তগুলো থাপ্পড় মারছেন আজকে। ভুলে গেছেন? বেহুদা আমার ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন। অথচ ওই রেস্টুরেন্টে কিন্তু আপনিই নিয়ে গেছিলেন আমাকে। আপনার মতো মানুষের সাথে আমি থাকব না।
– তোমাকে ঘুমাতে বলেছিল কে? তুমি ঘুমিয়ে পড়েছিলে দেখেই এত ঝামেলা হয়েছে। না ঘুমালে আমরা যখন ওখানে পৌঁছুলাম, তখনই গাড়ি থেকে বের হয়ে যেতাম। তাহলে আর ভেজাল হতো না।
– মানে কী? এখন আমার ঘুমের দোষ দিতেছেন আপনি?
– হ্যাঁ দিচ্ছি। তুমি না ঘুমালে আমিও তোমার তিল নিয়ে গবেষণা করতে যেতাম না আর…
– তিল?
– ইয়েস। তিল। এই তিলের জন্যই এত হাঙ্গামা হয়েছে। তোমার শরীর ভর্তি এত তিল কেন?
– উল্টাপাল্টা কথা বলবেন না। আমার শরীর ভর্তি তিল নাই।
– অবশ্যই আছে। হেন কোনো জায়গা নেই তোমার শরীরে, যেখানে তিল পাওয়া যাবে না।
– আপনি কী করে জানলেন? আপনি তো আমার শরীর দেখেন নাই।
– না দেখলেও জানি। তোমার বুকের ঠিক মধ্যিখানে একটা বড় তিল আছে, কালো। তারপর ধরো…
তুবার চোখ বড়-বড় হয়ে গেল। প্রায় বিস্ফারিত। সে চেঁচিয়ে বলল,
– এত্ত খারাপ মানুষ দুনিয়াতে আর একটাও দেখি নাই আমি।
শারার ওর মুখ চেপে ধরল। বলল,
– শসসসস। আস্তে কথা বলো। চিৎকার করছ কেন?
চেঁচামেচি শুনে বাসের একজন স্টাফ এগিয়ে এসেছে। সে জিজ্ঞেস করল,
– কী ভাই? কোনো সমস্যা?
তুবা বলল,
– অনেক বড় সমস্যা। আমি বাসায় যাব। আমাকে বাস থেকে নামিয়ে দেন।
শারার বলল,
– কিছু হয়নি, ভাই। আমার ওয়াইফ ক্ষেপে বোম্ব হয়ে আছে। এজন্য আর কী।
স্টাফ হেসে তুবাকে বলল,
– এখন বাস থেকে নামার উপায় নাই, ভাবি। বাস তো ঢাকা ছেড়ে আসছে। এত গোস্বা কইরেন না। কোনোখানে যাত্রার আগে আল্লাহর নাম নিতে হয়।
বলেই নিজের সিটে গিয়ে বসল। এদিকে তুবার চোখ কপালে উঠেছে। তবে আগের মতো গলা উঁচিয়ে কিছু বলল না সে। নিচু সুরে বলল,
– আমি বাসায় যাব, শারার ভাই।
– একবার বলছি, এখন থেকে আমার যা কিছু সবই তোমার। সো, তোমার আলাদা বাসা বলতে কিছু নাই। আমি যেখানে থাকব, সেখানেই তোমার বাসা।
– সেই বাসাটা কোথায়? আমরা যাচ্ছি কোন জাহান্নামে?
– আপাতত কক্সবাজার। ওখানে গিয়ে বাসা ভাড়া নিব কয়েক মাসের জন্য।
– কয়েক মাস? আপনি কি মজা করতেছেন আমার সাথে?
– মজা করব কেন? যা সত্যি, তাই বললাম। তুমি উনাকেই জিজ্ঞেস করে দেখ, এই বাস কক্সবাজার যাচ্ছে কি না।
তুবা কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। তারপর বলল,
– এখন থেকে কি কক্সবাজারেই থাকব?
– যতদিন এদিকের পরিস্থিতি ঠান্ডা না হয়।
– পরিস্থিতি মানে?
– মানে, যতদিন আমার আব্বু-আম্মু আর তোমার আব্বু-আম্মু আমাদের বিয়েটা মেনে না নেয়।
– না মানলেই ভালো। আপনার আব্বু-আম্মুকে আমার একদম পছন্দ হয়নি। আপনার আম্মু খুবই বেয়াদব একটা মহিলা। আমাকে বলে কি না ফকিরনীর বাচ্চা! উনি নিজেই একটা ফকিরনী। বদমাইশ মহিলা কোথাকার। কত্ত বড় সাহস! আমার ফ্যামিলি নিয়ে বাজে কথা বলে! তার ছেলে হয়ে আপনি আমাকেই বিয়ে করতে উঠেপড়ে লাগলেন কেন? দুনিয়াতে আর কোনো মেয়ে খুঁজে পেলেন না?
(চলবে)
আপনাদের আশকারা পেয়ে ছোট একটা পর্বকে আমি রাবারের মতো টেনে লম্বা করতেছি! আশা করি, ভালো লাগবে আপনাদের। পরের পর্ব অর্থাৎ শেষ পর্বটা স্ক্যাজুল করে দিয়েছি। সন্ধ্যা সাতটায় পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ। এই গল্পের আসল টুইস্ট পাবেন তখনই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here