আমি তোমাকে ভালোবাসি পর্ব-২

0
1050

#আমি_তোমাকে_ভালোবাসি
#লেখনীতে_সুরঞ্জীতা_সুর
#দ্বিতীয়_পর্ব

৪.

আজ চন্দ্রার বিয়ে। ভাবতে অবাক লাগলেও রাশেদের বাড়ি থেকে সব জেনেও বিয়েটা হয়ে গেল। চন্দ্রা যেদিন শুনলো। থম মেরে বসে রইলো। বিয়েটা আর আটকানো যাবে না তা খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে সে। শেষ চেষ্টা ব্যর্থ হলো। বাড়িতে প্রচুর আত্মীয় স্বজন। সবাই এদিকে সেদিকে ভিড় করছে। চন্দ্রার বরাবরই বেশি মানুষ পছন্দ নয় তাই সে দরজা বন্ধ করে রেখেছে। কিন্তু দরজা বন্ধ করে বেশিক্ষণ থাকা যাচ্ছে না। একটু পরপরই কেউ না কেউ আসছে। এখনও দরজায় টোকা পড়ছে। চন্দ্রার ভাবী আয়েশা এসেছে। অন্যকেউ হলে চন্দ্রা মোটেই দরজা খুলতো না কিন্তু এই মেয়েটাকে সে অসম্ভব পছন্দ করে, ভালবাসে। সেও তাকে ছোট বোনের মতো আদর করে। চন্দ্রা দরজা খুলে দিল। আয়েশা হুড়মুড়িয়ে ঢুকে আবার দরজা বন্ধ করে দিল।

তারপর চন্দ্রাকে বললো, চন্দ্রা সবকিছু তৈরি করে নে। পার্লার থেকে মেয়েরা চলে আসবে৷ চুল না শুকালে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে শুকিয়ে নে। জলদি কর।

শশুড় বাড়ি পাঠানোর এতো তাড়া ভাবী?

চন্দ্রা তোর কী মন খারাপ?

ভাবী তোমাদের মনে হচ্ছে না তোমরা আমাকে জোর করে বিয়ে দিচ্ছেো? আমি বিয়েটা করতেই চায় নি তার পরও জোর করে দিচ্ছো। কেন? বোঝা হয়ে গেছি।

আয়েশা এসে এক হাতে চন্দ্রাকে জড়িয়ে ধরলো। সে জানে চন্দ্রা অভিমান করেছে। এই মেয়েটার খুবই অভিমান করতে পারে।

তারপর বললো, তোর কী সত্যিই তা মনে হয় তুই আমাদের বোঝা হয়ে গেছিস?

তা নয় তো কী আমাকে কেন তোমরা বিয়ে দিয়ে দিচ্ছো?

চন্দ্রা কেন দিচ্ছি তুই তা ভালো করেই জানিস। বারসাত মারা যাবার পর তুই নিজেকে ঘর বন্দী করে ফেললি। ভার্সিটি যাওয়ার বাদ দিয়ে দিলি। খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, মনমরা হয়ে থাকিস এভাবে কী জীবন চলে? মা বাবা সন্তানের ভালোর জন্যই সবকিছু করে করে। হয়তো তুই ভালো থাকবি তাই বিয়েটা দেওয়া।

হয়তোর উপর ভিত্তি করে তোমরা বিয়েটা দিচ্ছো একবারও কী ভাবছো যার সাথে বিয়ে দিচ্ছো তার জীবনটাও নষ্ট করছো। আরেকজনের জীবন নষ্ট করার অধিকার আমার বা তোমাদের নেই।

কে বলেছে রাশেদের জীবন নষ্ট হচ্ছে? তুই ভুলে যাচ্ছিস রাশেদও তোর মতো পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে। সেও সেটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। আর তোরা দুইজন যেহেতু একই পরিস্থিতির শিকার তোরা দুজন দুজনের ব্যাপারটা মানিয়ে নিতে পারবি। একে অপরকে বুঝতে পারবি। আর বিয়ের সমন্ধটা ওরা নিয়ে এসেছে আমরা যাইনি।

রাশেদও আমার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছে বলতে কী বুঝাচ্ছো?

সেটা না তুই ওকে জিজ্ঞেস করিস।

না তুমি বলো।

এখন সময় নেই। তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে।

তুমি কী অন্য কিছু বলতে এসেছিলে?

হ্যাঁ ভুলেই গিয়েছি।

কী বলবে বলো?

শোন কিছুক্ষণ পরেই তুই অন্য বাড়িতে চলে যাবি। সেই বাড়িটা তোর নিজের বাড়ি। জানি তুই ওদের সাথে এতো সহজে মানিয়ে নিতে পারবি না। কিন্তু তোকে বলে দেই ওদেরকে কখনো অসম্মান করবি না। যা বলবে মেনে নিবি আর রাশেদকে ভুল বুঝবি না। রাশেদ খুব ভালো মনের মানুষ। বিয়ের সমন্ধটা ওর পরিবার দিয়েছিল রাশেদ না।

আমি উনার পরিবারকে মেনে নিতে পারলেও উনাকে পারবো না ভাবি। বারসাতের জায়গায় বসাতে পারবো না।

বলতে বলতে চন্দ্রা কেঁদে ফেললো।

কেন বিয়েটা দিচ্ছো ভাবি ভেঙে দাও না। আমি পারবো না। যে শহর আমার সব কেড়ে নিয়েছে সেখানে কেন আমাকে পাঠাচ্ছো। আমি যাব না।

আয়েশার চোখে জল চলে এলো। সে চোখ মুছে বললে, পারতে হবে চন্দ্রা। নিজের জন্য না হোক বাবা মায়ের জন্য।

চন্দ্রার চোখ মুছিয়ে দিলো আয়েশা। তারপর তাকে তাড়া দিল রেডি হতে৷ চন্দ্রাও নিরুপায় হয়ে তৈরি হতে গেল।

৫.

বিয়ে শেষ এবার বিদায়ের পালা। চন্দ্রা বিয়ের পর থেকে কাঁদছে। তার বাবা ভাই দেখেও না দেখার ভান করছে। কিন্তু ভেতরে তাদেরও জ্বলছে। একমাত্র মেয়ে, একমাত্র বোন ছোটকে অনেক আদর দিয়ে বড় করেছে। কিন্তু এখনি কাঁদলে বাড়ির অতিথিদের সামলাবে কে? তাই দুজনই দেখেও না দেখার ভান করছে। চন্দ্রা খুবই রাগ করলো। সে ঠিক করলো আর কাঁদবে না কিন্তু বেহায়া চোখ একাধারে পানি যাচ্ছে তো ফেলে যাচ্ছেই। তাকে আটকানো যাচ্ছে না। সব ধরনের আতিথিয়েতা শেষ করে চন্দ্রার বাবা আর ভাই চন্দ্রার কাছে এলো। চন্দ্রা রাগ পানি হয়ে গেল। সে বাবার বুকে মুখ গুঁজে কাঁদছে। সবাই তাড়া দিল তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠতে। এখন রওনা না হলে অনেক দেরি হয়ে যাবে অনেকটা পথ যেতে হবে।মনির হোসেন মেয়েকে ধরে বাইরে নিয়ে গেল। তার আদরের মেয়ে চলে যাবে। এখন কে বাড়িতে দেরি করে আসলে বকা দিবে মনির হোসেনকে। ছুটির দিনে আনাড়ি হাতে রানা করে খাওয়াবে। সেই রান্না কেউ বাজে বললে মুখ ফুলিয়ে থাকবে।

চন্দ্রার হাত রাশেদের হাতে দিয়ে বললো, আমার অনেক আদরের মেয়ে বাবা। কোনদিন আমি ফুলের টোকা লাগতে দেয়নি। আমার মেয়েটা খুব চাপা বাইরের লোকেদের কাছে। কিছু হলেও মুখ ফুটে বলবে না। নিজের মধ্যে চেপে রাখবে। কথায় কথায় অভিমান করবে। কোন ভুল করলে বুঝিয়ে বলো।

রাশেদের মা রিমা আহমেদ বললো, ভাই কোন চিন্তা করবেন না। আপনার মেয়ে আমার বাড়িতে আমার মেয়ে হয়ে থাকবে। নীলা আর ওর মধ্যে আমি কোন ভেদাভেদ করবো না। এখন আমরা আসি অনেকটা দেরি হয়ে গেছে।

চন্দ্রা ব্যাকুল হয়ে কাঁদছে। তার ডানহাত রাশেদের হাতে আর বাম হাত দিয়ে শক্ত করে তারা বাবার গলা জরিয়ে কাঁদে মাথা দিয়ে কাঁদছে। চন্দ্রা মা ভেতরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। চন্দ্রার ভাই বোনকে বাবার কাছ থেকে ছাড়িয়ে গাড়িতে বসিয়ে দিল। গাড়ি চলতে শুরু করেছে। সিলেট থেকে ঢাকা আসার পথে চন্দ্রাকে সামলাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে রাশেদের। একসময় মাঝরাস্তায় বাধ্য হয়ে সে গাড়ি থামিয়ে দিয়ে অন্য গাড়ি থেকে তার মাকে ডেকে আনলো। রিমা এসে দেখে চন্দ্রা গাড়িতে মাথা এলিয়ে আছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে তার শরীর যথেষ্ট খারাপ। সে চন্দ্রার কাছে গাড়িতে বসলো।

বসে তার মাথায় হাত বুলিয়ে আদুরে গলায় বললো, কী হয়েছে মা?

চন্দ্রা নিভু নিভু চোখে ক্লান্ত গলায় বললো, খারাপ লাগছে খুব।

কেমন লাগছে?

মাথা ব্যাথা আর খুব বমি পাচ্ছে। আটকিয়ে রাখতে পারছি না।

বমি পেলে বমি করবে। আটকানোর কী প্রয়োজন। বাইরে যাবে নাকি পলিথিন দিবো।

বাইরে নিয়ে চলুন আমার দম বন্ধ লাগছে। গাড়ির গন্ধে অস্থির লাগছে। মাথা ঘুরছে।

রিমা চন্দ্রাকে বাইরে নিয়ে রাস্তায় সাইডে দাঁড়ালো। চন্দ্রা হড়বড় করে বমি করে দিয়েছে। রিমা আহমেদ যত্ন করে চোখমুখে পানি ছিটিয়ে দিল।

এখন একটু ভালো লাগছে?

হ্যাঁ।

আচার খাবে? রাশেদকে বলি নিয়ে আসতে?

আচ্ছা।

রাশেদকে বলতেই রাশেদ ভ্রু কুঁচকে বললো, মা তুমি আশেপাশে তাকিয়ে দেখেছো? আমরা চা বাগানের ভেতরে আছি। এখানে দোকান পাবো কোথায়?

রাশেদের মা তাকিয়ে দেখলো সত্যিই তাই। সামনের এতো বড়ো চা বাগান তার চোখে পড়েনি তার। রাশেদ সামনে তাকিয়ে দেখলো রাস্তার পাশে লেবু বাগান সে কয়েকটা লেবু পেড়ে নিয়ে যায় চন্দ্রার কাছে।

এটা নাও গন্ধ শুঁকো। ভালো লাগবে।

রাশেদ তুই কী এটা চুরি করে এনেছিস?

তা নয়তো কী করবো? এখানে তো মানুষ নেই যে পারমিশন নিবো।

তাই বলে চুরি?

মা এখন এতো কিছু দেখে লাভ নেই। চলো গাড়িতে উঠো।

বলেই সে গাড়ির সামনের সিটে বসে পড়লো।

রিমা চন্দ্রাকে বলতেই তার মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেল।

সে বললো, এখনও উঠতে হবে?

হ্যাঁ। রাশেদ গাড়িতে উঠে বসে আছে দেখো।

উনাকে একটু বলুন পড়ে উঠি। আমার খারাপ লাগছে।

আচ্ছা। রাশেদ চন্দ্রার খারাপ লাগছে। একটু পড়ে উঠুক।

দেরি হয়ে যাবে তো মা।

কিছু হবে না।

আচ্ছা।

মিনিট বিশেক পর চন্দ্রা গাড়িতে উঠলো। রিমা আহমেদ চন্দ্রার সব গয়না খুলে দিল। চন্দ্রা উনার কাঁধে মাথা দিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে হাতের লেবুটা নাকের কাছে নিয়ে শুঁকছে। রাশেদ লুকিং গ্লাসে তাকে দেখছে। একঘন্টায় সে এতটা কাহিল হয়ে গেছে। আরো পাঁচ ছয় ঘন্টা লাগবে ঢাকা যেতে। এতোটা রাস্তা কীভাবে যাবে মেয়েটা। রাশেদের খুব মায়া হলো। চা বাগান পার হতেই গাড়ি থামিয়ে সে চন্দ্রার জন্য পান, আচার, চুইংগাম নিয়ে আসলো আর সারা রাস্তায় একটু পর পর থামিয়ে তাকে বের করে হাঁটিয়েছে রিমা আহমেদ। অবশেষে রাত এগারোটায় ওরা বাড়ি ফিরলো। চন্দ্রা বেশি অসুস্থ থাকায় কিছু রিচুয়্যালস বাদ দিলো। রাত বারোটায় চন্দ্রাকে ফ্রেশ করিয়ে রিমা আহমেদ রাশেদের ঘরে বসিয়ে দিলে এলো। চন্দ্রা বসে বসে রাশেদের ঘর দেখছে। চন্দ্রা এই বাসায় দ্বিতীয় বার এসেছে৷ তবে এই ঘরে প্রথম এসেছে যখন এসেছিল নীলার ঘরে ছিল। বারসাত যেদিন মারা যায় সেদিন এসেছিল। বারসাতের কথা জানার পর তার বাবাই তাকে নিয়ে এসেছিল ঢাকায়। রাশেদের বাবা যেহেতু চন্দ্রার বাবার বন্ধু তাই হাসপাতাল থেকে উনিই জোর করে তাদের এখানে নিয়ে আসেন। চন্দ্রা এক মুহূর্তের জন্য হাসপাতাল থেকে সরেনি। যখন মারা যায় সেদিন তাকে জোর করে এখানে নিয়ে আসে বারসাতকে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়ার পর। একরাত থেকে তারপর সিলেট ফিরে যায়। বারসাতের কথা মনে হতেই চন্দ্রা ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেললো। চন্দ্রা তার কথা মনে করতে চায় না। তারপরও মনে পড়ে। চন্দ্রার চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে। আজ সারাদিন তার কথা মনে পড়েছে। শুধু মনে হয়েছে আজ সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে রাশেদ না বারসাতের সাথে তার বিয়ে হতো৷ চন্দ্রা জানে এসব ভাবাও পাপ এখন। কিন্তু মন যে মানতে চায় না। সে জোর করে মাথা থেকে এসব বের করতে ঘরের দিকে নজর দিল। ঘরটাতে বেশি কিছু নেই। একটা খাট, পড়ার টেবিল, আলমারি, ড্রেসিং টেবিল। বেডের সরাসরি একটা দরজাও দেখা গেল। হয়তো বারান্দা সেটা। চন্দ্রা বারান্দায় যেতে ইচ্ছে করছে। সে খাট থেকে নেমে বারান্দার দরজা খুলে দিল। মাঘ মাসের ঠান্ডা একটা হাওয়া তার গায়ে এসে লাগলো। যদিও ঢাকা শহরে খুব একটা ঠান্ডা পড়ে না। তবুও আজকে বেশ ঠান্ডা তবে ঘরের ভেতরে গরম লাগছিল। চন্দ্রা বারান্দায় গিয়ে দাড়ালো। রাস্তার আলোয় বেশ ভালো বোঝা যাচ্ছে বারান্দাটা। বসার কিছুই নেই। বারান্দায় গ্রিল দেওয়া। কেমন যেন খালি খালি লাগে। চন্দ্রায় বাসার বারান্দাটা খুবই সুন্দর। খোলা বারান্দা গ্রিল নেই। ফুল গাছ লাগানো। দোলনা আছে একটা। দোলনাটা তার বাবা তার বারোতম জন্মদিনে উপহার দিয়েছিল। বাড়ির কথা খুবই মনে পড়ছে চন্দ্রার। কী করছে সবাই? একটা কল দেওয়া যায়। চন্দ্র তার লাগেজ থেকে ফোন বের করলো। তারপর মনে হলো সারাদিন সবার উপর ধকল গেছে এখন হয়তো ঘুমে। থাক সকালে কল দেওয়া যাবে। ফোন নিয়ে চন্দ্রা বিছানায় গিয়ে বসলো। বারান্দায় দরজা খোলা রেখে। রাশেদ এখনি আসেনি। কোথায় গিয়েছে কে জানে? চন্দ্রা বসে বসে গেম খেলছে। হঠাৎ তার মনে হলো অ্যার্লাম দিয়ে ঘুমাতে হবে। তারপর মনে হলো কী দরকার এম্নিতেই সে রাতে ঘুমায় না শেষরাতের দিকে একটু ঘুমায়। আজ আরো ঘুম আসবে না। বিছানা চেন্জ হলে তার ঘুম আসে না যতোই ক্লান্ত থাকুক। চন্দ্রা তারপরও অ্যার্লাম দিয়ে রাখলো। শুয়ে শুয়ে গেম খেলতে খেলতে অসুস্থতার জন্য হোক বা অন্যকিছুর জন্য চন্দ্রা ঘুমিয়ে গেছে। রাশেদ ঘরে এলো রাত একটায়। ইচ্ছে করেই সে দেরি করেছে। সে জানতো চন্দ্রা ঘুমিয়ে পড়বে। চন্দ্রাকে সে সময় দিতে চায় সবকিছু মানিয়ে নিতে। যদি সে তার ঘুমানোর আগেই আসতো তাহলে চন্দ্রা অপ্রস্তুত হয়ে পড়তো। আনইজি ফিল করতো। তাই এতো দেরি করা। রাশেদ খেয়াল করলো চন্দ্রার ঘুমানোর ধরন খুবই সুন্দর। একদম পরিপাটি হয়ে ঘুমাচ্ছে। মনে হচ্ছে ভান করছে ঘুমের। কিন্তু রাশেদ জানে চন্দ্রা গভীর ঘুমে। কারন তার নিঃশ্বাস ভারী। রাশেদ বারান্দার দরজা বন্ধ করে লাইট অফ করে চন্দ্রার পাশে শুয়ে পড়লো।

চলবে……….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here