আমি তোমাকে ভালোবাসি পর্ব-১৭

0
978

#আমি_তোমাকে_ভালোবাসি
#লেখনীতে_সুরঞ্জীতা_সুর
#সপ্তদশ_পর্ব

২৪.

পরের দিন ঠিক হলো রাশেদ আরো দুইদিন থেকে তারপর চন্দ্রাকে নিয়ে ফিরবে। রাশেদের মানা কেউ শুনলো না। চন্দ্রাকে সকালের খাবারের পর রাশেদ বললো, চন্দ্রা তুমি আমাকে কী কথা দিয়েছিলে মনে আছে?

কী কথা দিয়েছিলাম?

বলেছিলে আমি তোমাকে নিতে আসলে আমাকে নিয়ে ঘুরতে যাবে।

ও সেটা। ঠিক আছে নিয়ে যাবো। কোথায় যাবেন?

আমি কী চিনি নাকি তোমাদের এলাকা? তুমি নিয়ে চলো।

চা বাগানে যাবেন?

আশেপাশে আছে নাকি?

আশেপাশে বলতে একটু দূরে যেতে হবে। অটো বা টমটম দিয়ে যাওয়া যায়। বিশ মিনিটের মতো লাগবে।

তাহলে চলো।

নাকি আমাদের বাগান বাড়িতে যাবেন?

সেটা হলে তো আরো ভালো হয় আর সেখানেই তো যাওয়ার কথা ছিল।

তাহলে বাবাকে বলে দিচ্ছি। ব্যবস্থা করে রাখবে আমরা দুজন দুপুরে খেয়ে বেরিয়ে যাবো।

বাড়ির কেউ যাবে না?

না কেউ যাবে না। ভাইয়া বাসায় নেই, ভাইয়াকে ছাড়া ভাবী যাবে না আর ভাবীকে রেখে মা, বাবা যাবে না।

আচ্ছা।

পরশু ফিরবো। ঠিক আছে।

না না তাহলে দেরি হয়ে যাবে। ঢাকা ফিরতে হবে।

তাহলে কাল বিকালে ফিরবো। রাতে অথবা সকালে রওনা হবো ঢাকায়।

আচ্ছা।

যেই বলা সেই কাজ। দুপুরে খেয়ে বিকেলের দিকে চন্দ্রা রাশেদ বেরিয়ে পড়লো। চন্দ্রার পড়নে জিন্স আর কুর্তি। রাশেদের খুব ইচ্ছে ছিলো চন্দ্রাকে শাড়িতে দেখার। সে সিএনজিতে উঠে চন্দ্রাকে বললো, চন্দ্রা তুমি শাড়ি পড়তে পারতে।

কেন?

চা বাগানে শাড়ি পড়া ছবি সুন্দর হতো।

চন্দ্রা বুঝতে পারলো রাশেদের ইচ্ছে ছিলো চন্দ্রাকে শাড়িতে দেখার। চন্দ্রা মৃদু হেসে বললো, শাড়িতে ছবি তোলার জন্য কী হাত পা ভাঙবো নাকি?

রাশেদ অবাক হয়ে বললো, কেন?

সাহেব এটা সিনেমা নয়। শাড়ি পড়ে টিলায় উঠবো কীভাবে? আপনি কী ভেবেছেন এই সিএনজি সোজা বাগান বাড়ির গেটে নামবে?

হ্যাঁ। তা নয়তো কী?

এই আপনি দেশে ঘুরে বেড়াতেন?

খোঁচা দিচ্ছো?

অবশ্যই। বুঝতে পারছেন না এখনো?

এতো মিষ্টি মেয়েটা করলার মতো তেতো কথা বলে কেন?

চন্দ্রা হাসলো। তারপর বললো, রাশেদ এইটা দিয়ে আমরা নদীর ঘাটে নামবো। তারপর নৌকা করে নদী পার হয়ে হেঁটে যেতে হবে।

আগের বার তো এমন ছিলো না। আমরা তো গাড়িতে গিয়েছিলাম।

আগেরবার আপনারা অন্য রাস্তা দিয়েই এসেছিলেন। তারপরও মনে করে দেখুন আপনারা গাড়ি না পাহাড়ি জীপে করে এসেছিলেন।

আরে হ্যাঁ মনে ছিলো না। কী জীপ ছিলো সেটা? মা বলেছিলো উনার কোমড়ের আয়ু দুই বছর কমে গেছে এতো ঝাঁকুনি খেয়েছিল।

চন্দ্রা হাসলো তারপর বললো, এই জীপ গুলো এমনই। নেক্সট আসলে আর কখনোই জীপে আসবেন না। দরকার হলে হেঁটে আসবেন। এই যে আজকে যেমন যাচ্ছি।

এখান থেকে কীভাবে যাবো?

সিএনজি থেকে নেমে একটু হাঁটতে হবে তারপর ঘাটের মতো আছে সেখান থেকে নৌকা করে নদী পার হবো। নদী পার হবার পর একজন থাকবে উনি নিয়ে যাবেন। হেঁটে হেঁটে যাবো।

কে আসবে তোমাদের বাড়ির কেয়ারটেকার?

না। উনি কেয়ারটেকার না। সবসময় থাকেন না। ওখানকার চা ফ্যাক্টরীতে কাজ করেন মাঝে মাঝে বাড়ি পরিস্কার করে আসে।

ও আচ্ছা।

নেমে পড়ুন চলে এসেছি।

পাহাড়ি টিলা বেয়ে উঠতে রাশেদের খুব কষ্ট হলো। সে এবার বুঝলো চন্দ্রা শাড়ি পড়ে নি কেন? শাড়ি নিয়ে এখানে আসা যেত না। হাঁটতেই পারতো না।

প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট হাঁটার পর কিছু বাড়িঘর দেখা গেল। রাশেদ চন্দ্রার দিকে তাকিয়ে বললো, এসে পড়েছি?

না। আরেকটু ভেতরে। এখানে চা ফ্যাক্টরীতে যারা কাজ করে তাদের কোয়াটার এটা। আমাদের বাড়িটার কাছে অন্য কোন বাড়ি নেই।

এতো দুরে কেন?

বেশি ক্লান্ত লাগছে?

হ্যাঁ। তোমার লাগছে না।

না আমি এভাবে আগেও এসেছি।

আরো মিনিট দশেক হাঁটার পর চন্দ্রাদের বাগান বাড়ির সামনে দাড়ালো ওরা। রাশেদ যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচলো। চন্দ্রারা ঘরে ঢোকার পর এই বাড়ির ভেতরে চন্দ্রাদের ব্যাগ নামিয়ে দিয়ে লোকটা চলে গেল। এতো বড়ো বাড়িতে চন্দ্রা আর রাশেদ একা। কেমন যেন গা ছমছমে ভাব! রাশেদ বিছানায় হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে পড়লো। সে খুবই ক্লান্ত। চন্দ্রা ড্রয়ার থেকে থেকে ব্যাথার স্প্রে বের করে রাশেদের পাশে বসলো।

পা ব্যাথা করছে বেশি?

হ্যাঁ।

এটা লাগিয়ে নিন।

থ্যাংক গড তুমি এটা এনেছো? খুব দরকার ছিলো।

এগুলো এখানে থাকে। আমি দিয়ে দেই।

রাশেদ হেসে বললো, বউ সেবা করতে চাইছে না করবো কেন? দাও।

বউয়ের সেবা পেতে সব পুরুষ মানুষেরই ভালো লাগে তাই না?

অন্য সবার কথা জানি না। আমার ভালো লাগে।

আপনি শুয়ে থাকুন আমি খাবারগুলো গরম করে রেখে আসি। আসার সময় মা দিয়ে দিয়েছে।

আচ্ছা যাও।

রাতে খাওয়াদাওয়ার পর চন্দ্রা আর রাশেদ ঘরের জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। রাশেদ বললো, চন্দ্রা আজ কী পূর্নিমা?

না কাল পূর্ণিমা।

আচ্ছা এখানে এতো দূরে জায়গা কে রাখলো?

বাবা।

বাবা কী করে খবর পেল?

সেটা তো জানি না। তবে বাবার খুব ইচ্ছে ছিল একটা চা বাগান কেনার৷ আর এটার খোঁজ পাওয়ার সাথে সাথে ঠিক করলো কিনে ফেলবে আর খুব কমে পেয়েছিল তাই কিনে নিয়েছে।

তোমরা কী প্রায়ই আসতে?

হ্যাঁ। আমি প্রতিবার ঢাকা থেকে এলে এখানে চলে আসতাম। আগে সবাইকে সাথে করে নিয়ে আসতাম। এই প্রথম একা আসা হলো। শুধু আপনার সাথে।

একটু পর পর ঘন্টা বাড়ি দিচ্ছে কেন?

সময় জানাচ্ছে।

এখনকার যুগে ফোন থাকতে ঘন্টা বাড়ি দিয়ে জানাতে হয় কেন?

সেটা তো বলতে পারবো না।

থাক বলতে হবে না। চলো বাইরে গিয়ে বসি?

না। এখন বাইরে যাওয়া যাবে না।

কেন?

ডাক্তার সাহেব এইটা শহর না বাগান। এখানে রিস্ক আছে।

কেন? পাহারাদার নেই?

আছে। তারপরও বাইরে যাওয়ার দরকার নেই। বিপদ বলেকয়ে আসে না।

আচ্ছা। যাবো না।

চন্দ্রা হেসে বললো, আপনি তো খুব বাধ্য বর। কোন কিছু মানা করলে খুব শোনেন।

অবশ্যই। কোন সন্দেহ আছে?

না নেই।

চন্দ্রা আমরা পরশু যাবো এখান থেকে।

সকালে না বললেন ঢাকায় ফিরবেন?

এখন ইচ্ছে করছে না। আমার তো ইচ্ছে করছে সারাজীবন থাকতে।

ডাক্তারি ছাড়া আর কী পারেন করতে? এখানে থাকতে হলে কাজ জানতে হবে।

কেন? চা পাতা তুলবো।

তাই?

হ্যাঁ।

বলুন তো চা গাছের কোন পাতাগুলো তুলতে হয়?

এক জায়গা থেকে তুললেই হয়।

আপনার এই কথা শুনলে কেউ চাকরি দিবে না।

কেন?

চা গাছের কচি পাতা দিয়ে চা-পাতা তৈরি হয়। বুড়ো পাতা কোন কাজে লাগে না।

তাই নাকি? জানতাম না তো। তাহলে চা তোলা বাদ।

আচ্ছা।

চন্দ্রা আসার সময় ফ্যাক্টরী দেখে এলাম। কাল সকালে যাবো ঠিক আছে?

আচ্ছা।

চন্দ্রা?

হুম।

আমি কিন্তু সিরিয়াস।

কোন ব্যাপারে?

এখানে থাকার ব্যাপারে। সত্যি আমার ইচ্ছে হচ্ছে না যেতে। আচ্ছা এখানে কোন ক্লিনিক নেই?

কেন?

ধরো এখানের ক্লিনিকে ডক্টর হিসেবে জয়েন করলাম।

তারপর?

তারপর তুমি এখানের বাগানের বাচ্চাদের স্কুলে চিচার হয়ে জয়েন দিলে। সারাদিন পরে বাড়ি ফিরে দুজন একসাথে সময় কাটাবো। তারপর সারাজীবন এভাবেই থাকবো।

একেবারে ফিউচার প্লান করে ফেললেন দেখছি।

অবশ্যই।

ডাক্তার সাহেব জীবন এতোটা সহজ নয়। বাগানের জীবন খুব কষ্টের। এখন মনে হচ্ছে ফ্যান্টাসীতে ভরপুর। যখন সত্যি সত্যি চলে আসবেন তখন প্রথম প্রথম ভালো লাগবে তারপর যখন দেখবেন খাবারের জন্য পর্যাপ্ত পরিষ্কার পানি নেই, রান্না করতে হবে মাটির চুলাতে, ফোনে নেটওয়ার্ক নেই, ফেসবুক বা অন্যান্য সোস্যাল মিডিয়া চালাতে পারবেন না, বাজার অনেক দূরে তখন মনে হবে আগের জীবন ঢেড় ভালো ছিলো। পারবেন এই সবকিছু মেনে নিতে?

তোমার ইচ্ছে থাকলে অবশ্যই পারবো।

ইসসস! নিজের বুঝি কোন ইচ্ছে নেই?

আছে তো। তোমার পাশাপাশি থাকা, একদম কাছাকাছি থাকা।

২৫.

পরের দিন সকালে চন্দ্রা রাশেদকে নিয়ে বের হলো। প্রথম নিয়ে গেল চা ফ্যাক্টরীতে। চায়ের গন্ধে ম ম করছে চারদিক। চা পাতা পেষ্ট করা থেকে শুরু করে একদম শেষ পর্যন্ত দেখেছে। একদম লাষ্ট প্রসেসের সময় রাশেদ দেখলো একটা বেগুনি রঙের আলোর উপর দিয়ে চা পাতা যাচ্ছে। সে একমনে সেদিকে তাকিয়ে রইলো। চন্দ্রা চা ফ্যাক্টরীর ম্যানেজারের সাথে কথা বলছিল। সে রাশেদকে খেয়াল করে বললো, রাশেদ ওদিকে তাকিয়ে থেকো না। চোখে সমস্যা হবে।

কেন? ওটা কী?

ওটা সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি। তাকিয়ে থাকবেন না।

তুমি এতো কিছু জানো?

হ্যাঁ।

তাহলে আমি জানি না কেন?

কারন আপনি প্রথম দেখছেন। আর আমি যতবার এসেছি দেখেছি। এখন আরেকটা জায়গায় যাবো চলুন।

কোথায়?

রাবার ফ্যাক্টরী।

চন্দ্রা আমি চা পাতা নেব। কোথা থেকে কিনতে হয়?

এখানে তো প্যাকেজিং হয় না রাশেদ।

তাহলে?

শুধু তৈরি করা হয়। এখান থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে প্যাকেজিং করা হয়। সমস্যা নেই আমি বাবাকে বলে দিবো আমাদের জন্য চা পাতা আনিয়ে রাখতে।

ঠিক আছে।

রাবার ফ্যাক্টরীতে গিয়ে রাশেদের দম বন্ধ হয়ে আসলো। চারপাশ খোলা মাঝখানে কী একটা মেশিনের মতো। এটাকে ফ্যাক্টরী কেন বলা হয় সেটা বুঝতে পারলো না। ছোট একটা জায়গা। এতো বিশ্রী গন্ধ।

রাশেদ নাক-মুখ চেপে বললো, এতো গন্ধ কেন চন্দ্রা?

রাবারের গন্ধ এটা।

এতো বিশ্রী কেনো? বের হও। আমি আর থাকতে পারছি না।

আচ্ছা চলুন।

চন্দ্রা রাশেদকে নিয়ে বেরিয়ে এলো। রাশেদ বাইরে এসে দম ছাড়লো। প্রান ভরে শ্বাস নিলো। তারপর চন্দ্রার দিকে তাকিয়ে হেসে বললো, এখন কোথায় যাবো?

আপাদত ঘরে ফিরবো। সকালে খাওয়া হয়নি। সেই খেয়াল আছে?

কী খাবো? বাজার করতে হবে না?

না আমাকে মা বাসা থেকে সব দিয়ে দিয়েছে। সেখান থেকেই রান্না করবো।

চন্দ্রা?

হুম।

মনিপুরী কোন মানুষ দেখলাম না কেন?

এতো মানুষ থাকতে মনিপুরীদের কথা কেন?

ছোট বেলায় বইয়ে পড়েছি সিলেট অঞ্চলে ওরা থাকে।

হ্যাঁ থাকে তবে ওদের আলাদা পল্লী আছে। মনিপুরী পল্লী। সেখানে জনসাধারণ যেতে পারে নি। তবে সেটা এখান থেকে বেশ দূরে। আপনি চাইলে নিয়ে যেতে পারি।

তুমি না বললে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ।

হ্যাঁ। তবে আমরা যেতে পারবো। যাবেন? আজ হয়তো জনসাধারণ প্রবেশ করতে পারবে।

কেন?

কারন আজ দোল পূর্নিমা। মনিপুরীদের মন্দিরে তাদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য হবে। সেটা দেখতে অনেক মানুষ আসে। তবে সবথেকে বেশি মানুষ আসে রাস পূর্ণিমাতে। রাস দেখেছেন কখনো?

না।

রাস পূর্ণিমাতে আসবো। ঠিক আছে।

আচ্ছা। তবে একটা জিনিস বুঝলাম।

কী?

তোমাকে এখানে সবাই চেনে তাই না?

আসলে আমাকে চেনে আমার বাবার পরিচয়ে। আর ছোট থেকেই আসি তাই এলাকা, মানুষ চেনা হয়ে গেছে।

আর যাই বলো এখানে আসার পর তোমার হাঁটাচলা, কথাবলা বদলে গেছে।

চন্দ্রা হেসে বললো, বদলেছে কীভাবে?

তোমার হাঁটাচলা, কথাবার্তায় একটা আত্মবিশ্বাস চলে এসেছে।

সেটা তো হবেই। নিজের এলাকা বলে কথা।

ঠিক ধরতে পেরেছি।

জানেন চাচার বিয়ের পর আমরা এসেছিলাম এখানে নতুন বউ নিয়ে ঘুরতে। আমার ছোট চাচা আমার ছোট চাচীকে ইমপ্রেস করতে এই কচি চা পাতা কচকচ করে খেয়েছে।

তাই নাকি? ছোট চাচি ইমপ্রেস হয়েছিলো?

হ্যাঁ।

তাহলে আমিও খাই। দেখি তুমি ইমপ্রেস হও কিনা?

চন্দ্রা হাসলো। রাশেদ কী জানে না সে অলরেডি ইমপ্রেস। আলাদা করে ইমপ্রেস করার দরকার নেই।

চলবে…..

জন্মের পর থেকে সিলেট থাকার জন্য হোক বা অন্য কোন কারণে। চা বাগান আমাকে খুব টানে। চা বাগানের ভেতরের বাড়িতে অনেক থেকেছি। সেই বাড়ির পাশে চা ফ্যাক্টরী ছিলো। কেউ কী থেকেছেন কখনো? রাতের চা বাগান দেখতে যে কী অসম্ভব সুন্দর তা না দেখলে বুঝবেন না! সেই স্মৃতি থেকে আজকের এই পর্বটা লিখা। অনেক আগে চা ফ্যাক্টরীতে গিয়েছিলাম হয়তো অনেক কিছু ভুল হতে পারে। ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here