আমার পুতুল বর লেখিকা: আরশি জান্নাত (ছদ্মনাম) পর্ব : ৩৮

আমার পুতুল বর
লেখিকা: আরশি জান্নাত (ছদ্মনাম)
পর্ব : ৩৮

সূর্য আরশি কে এক হাতে জড়িয়ে ধরে রেখছে আর আরশি সূর্যের কাধে মাথা রেখে দূর পাহাড়ের মধ্য দিয়ে সূর্য উদয় হওয়া দেখছে। ওদের চারপাশে মেঘেরা ভিড় জমিয়েছে। আরশি খিল খিল করে হেসে মেঘ গুলো হাত দিয়ে ছুঁয়ে দিচ্ছে। সূর্য আরশির হাসি মাখা মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। আরশির খুশি দেখে ওর ঠোটেঁ ও হাসি ফুটে উঠলো। আচমকা সূর্য আরশি ডান গালে চুমু দিলো। আরশি চমকে গেলো। তারপর গালে হাত দিয়ে মাথা নামিয়ে ফেললো। ঠোটেঁ ফুটে উঠলো লজ্জামাখা হাসি। সূর্যের আলো যেমন রাতের আঁধার দূর করে দেয়। ঠিক তেমনি আজ আরশি ও সূর্যের মন এতোদিন যে কালো আঁধারে ঢেকে ছিলো আজ তা এই সূর্যের আলোর সাথে সাথে গুচে গেছে।
~ আরশি !
~ হুম?
~ কেমন লাগছে এতো কাছ থেকে সূর্য উদয় দেখতে?
~ অনেক ভালো লাগছে। জানেন আমার ঘুরে বেড়াতে অনেক ভালো লাগে। প্রকৃতির মাঝে নিজেকে হারাতে ইচ্ছে করে। কিন্তু বাবা আমাকে কোথাও যেতেই দেয় না। ( ঠোঁট উল্টে )

সূর্য আরশির মাথার সাথে মাথা লাগিয়ে বললো,,
~ বাবাই একদম ঠিক করেছেন। আমার অবর্তমানে আমার পিচ্ছি বউটার খেয়াল রেখেছেন। আর এখন তো আমি এসেই গেছি। বিয়ের পর আমরা দুই মাস অন্তর অন্তর হানিমুনে তোমার ফেভ্রেট জায়গায় যাবো।
আরশি লজ্জায় লাল হয়ে গেলো । সূর্য তা দেখে হো হো করে হেসে দিলো।
আরো কিছুসময় এক সঙ্গে কাটিয়ে ওরা যার যার কটেজে ঘুমোতে চলে গেলো ।

কারো ওর নাম ধরে ডাকার শব্দে ঘুমের মাঝেই চোখ মুখ কুঁচকে ফেললো আরশি। উল্টো পাশ ফিরে বালিশ দিয়ে কান ঢেকে আবার ঘুমোতে লাগলো। এবার ডাকার পাশাপাশি তীব্র ঝাকুনি ও অনুভব করতে পারছে। কিন্তু চোখ মেলে তাকাতে পারছে না। দুচোখের পাতা ঘুমের কারনে ভার হয়ে আছে। অতিকষ্টে বালিশ সরিয়ে চোখ পিট পিট করে তাকালো আরশি। মিহি কোমরে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে। চুলগুলো এলোমেলো হয়ে আছে ওর, মুখে পানি । হয়তো মাত্রই ফ্রেশ হয়ে এসেছে। চোখ মুখ কুঁচকে নাক ফুলিয়ে তাকিয়ে আছে আরশির দিকে। মিহিকে দেখতে এই মুহূর্তে পাক্কা কাম ওয়ালি বায়ীদের মতো লাগছে ।
~ কি হয়েছে মিহি ডাকছিস কেনো? ঘুমোতে দে না। ঘুম হয় নি আমার। ( ঘুম ঘুম কণ্ঠে )
~ কেনো সারারাত কি মাছি তারাচ্ছিলি নাকি? উঠ বলছি। কটা বাজে খেয়াল আছে? উঠ!

আরশি চোখ বন্ধ রেখেই একটা বালিশ মিহির দিকে ছুঁড়ে মারলো। বালিশ গায়ে লাগার আগেই মিহি সরে গেলো। আরশি কে একটা ভয়ানক গালি দিয়ে বললো,,
~ ঠিক আছে তুই উঠবি না তো ! আমি এক্ষুনি সবাইকে গিয়ে জানিয়ে দিচ্ছি যে তুই এখন ঘুমাবি তাই
ট্রেকিং এ যাবি না। আমরা সবাই কংলাক ঝর্ণা যাবো। আমি বলতে যাচ্ছি ওদের যে তুই যাচ্ছিস না।
কথাটা কানে যাওয়া মাত্রই আরশি দুম করে উঠে বসলো।
~ মিহির বাচ্চা! এমন কিচ্ছু বলবি না তুই ।
সামনে তাকিয়ে দেখলো মিহি এখনো আগের জায়গায়ই দাড়িয়ে আছে। তারমানে ওকে ঘুম থেকে উঠানোর জন্যে মিথ্যে বলছিলো। কটমট করে মিহির দিকে তাকালো।
~ ওভাবে তাকিয়ে লাভ নেই। আমি ভয় পাচ্ছি না। তুই উঠে ফ্রেশ হয়ে নে তারপর এক সাথে নাস্তা করতে যাবো। ১০ টা বেজে গেছে। হারি আপ।।

আরশি মিহি কে বকতে বকতে ফ্রেশ হতে গেলো।

~ ভাইরে ভাই মেয়ে মানুষের এতো ঢং কেমনে হয় ? ( রিক বিরক্ত হয়ে রোজ আর ন্যান্সিকে উদ্দেশ্য করে বললো)

রোজ আর ন্যান্সি রিকের দিকে কটমট করে তাকালো।
~ তোর সমস্যা টা কি আমরা ঝর্নার নিচে দাড়িয়ে পিক তুললে?
~ হ্যাঁ তাইতো রিক ওরা ছবি তুলবে এটা তো ভালো কথা তুমি এভাবে বলছো কেনো?
~ আপু সবার পিক তুলা আর ওদের পিক তুলার মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য। এদের উঠতে–বসতে, খেতে–ঘুমোতে সব সময় পিক তুলা লাগে। তাও যদি একবারে স্যাটিসফাইড হতো , কিন্তু না! এই পিক এর পজিশন ভালো না। ওই পিকের ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো আসেনি। ওই পিকে আমাকে দেখতে ভালো লাগছে না। আমাকে মোটা লাগছে, খাটো লাগছে, কালো লাগছে। কতো ধরনের নকশা।। আর ওদের এই নকশা সব আমাকেই সহ্য করা লাগে কারন আমি তো এদের বিনা বেতনে রাখা প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। (হতাশার সুরে)
বাকিরা হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে রিকের কথা শুনে। সূর্য যদিও মুচকি হাসছে শুধু। এদিকে রোজ আর ন্যান্সি লুচির মতো ফুলছে। হঠাৎ করে যেনো রুমের তাপমাত্রা বেড়ে গেলো। আর এই তাপমাত্রায় এই ঘরে থাকা রিকের জন্য যে সুবিধার না সেটা ও খুব ভালো করে বুঝতে পারছে। তাই সুযোগ বুঝে পালাতে নিবে তার আগেই রোজ আর ন্যান্সি ওর উপর ঝাপিয়ে পরলো। ইচ্ছামতো কিল-ঘুষি-লাথি সব মেরে যাচ্ছে। রিক বেচারা কাহিল হয়ে গেছে মার খেতে খেতে। সবাই ওর অবস্থা দেখে হাসছে। এর মাঝেই মিহি আর আরশি রুমে এলো। ওরা হা করে ওদের তিনজনের কান্ড দেখছে। একজন আরেকজনের চুল টানাটানি করছে। আরশি আর মিহি সবার দিকে কি হচ্ছে তা জানার আশায় তাকালো। সুজানা হাসতে হাসতে ওদেরকে বিছানায় বসতে ইশারা করলো।

ওরা এক প্রকার অবাক হয়েই বিছানায় গিয়ে বসলো।
মিহি কি হয়েছে জানতে চাইলে নিধি ও কে সবটা খুলে বললো। এবার মিহি আর আরশি ও হাসতে শুরু করলো। সুজানা ওদের জলদি জলদি খেয়ে নিতে বললো। কারণ ওদের বেরোতে হবে। আরশি খাওয়ার মাঝে আড়চোখে সূর্যের দিকে তাকালো। সূর্য বাঁকা হেসে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। আরশি দ্রুত চোখ সরিয়ে ফেললো। রিক খুব কষ্টে রোজ আর ন্যান্সির থেকে মুক্তি পেলো।

ওরা একজন গাইড ঠিক করে নিলো কংলাক ঝরনায় যাওয়ার জন্য। সাথে কয়েকটা বাঁশের লাঠি ও নেওয়া হলো। কারণ অনেক ঢাল এগুলোতে ভর করে উঠা ও নামা যাবে। রোজ-ন্যান্সি, সুজানা-মাহির, রিক-সূর্য, আরশি-মিহি, রেহান-অভ্র, নিধি-নাহিদ একসাথে হাঁটছে। অনেকটা পথ যাওয়ার পর রাস্তা নিচের দিকে নামছে। অনেক ঢাল। রোজ আর ন্যান্সি আতকে উঠলো। মাহির বললো,,,
~ এটা কিছুই না। সামনে আরো বাকি আছে। চলো একে অন্যের হাত ধরে হাঁটো কেউ পড়ে যেও না। সুজানা দুলতে দুলতে আগে যেতে লাগলো মাহির খপ করে হাত ধরে ফেললো।
~ আগে আগে যাচ্ছিস কেনো? আমার সাথে হাট।
~ আমি পারবো তো।
~ চুপ করে আমার সাথে চল।
সুজানা আর কিছু না বলে ওর সাথেই হাটতে লাগলো। ওরা সবার আগে হাঁটছে।
~ মিহি আস্তে আস্তে হাট পরে যাবো তো !
~ আরে আমি কি করবো আমিতো ব্যালেন্স রাখতে পারছিনা।
~ কি বলছিস!
বলতে বলতে মিহি স্লিপ খেতে নিলেই পিছন থেকে রিক ধরে ফেললো। সূর্য জলদি করে আরশির পাশে এসে দাঁড়ালো।
~ ও মাগো! এক্ষুনি যেতাম। থ্যাংক ইউ ভাইয়া।
~ তুমি এভাবে একা তো হাটতে পারবে না। তোমার পার্টনার ও মেয়ে। এক কাজ করো তুমি আমার সাথে চলো আর সূর্য তুই আরশির সাথে আয়।

সূর্য মাথা নেড়ে সায় দিলো। মিহি আরশি আর সূর্যের দিকে তাকিয়ে রিকের সাথে যেতে লাগলো।
~ মিহি তোমার যদি কোনো সমস্যা না থাকে তাহলে আমার হাত ধরে হাটো । এতে আর পড়ার ভয় থাকবে না।
রিক ওর হাত বাড়িয়ে দিলো।মিহি কিছুটা ইতস্তত করেই রিকের হাত ধরলো। রিক ওর অস্বস্তি বুঝতে পারলো। তাই এটা ওটা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। কিছুক্ষণ পরেই মিহি রিকের কথা শুনে হাসতে লাগলো। ওর অস্বস্তি অনেকটাই কমে গেলো।
সূর্য বারবার আরশির হাত ধরছে আর আরশি হাত ছুটিয়ে নিচ্ছে। সূর্য আবার ওর হাত ধরলো। এবার ও আরশি হাত ছুটাতে নিলে সূর্য দাতে দাত চেপে বললো,,
~ সমস্যা কি এমন করছো কেনো? পড়ে কি হাত পা ভাঙতে চাইছো? চুপ করে আমার হাত ধরে হাটো।
আরশি ধীরে ধীরে বললো,,
~ সবাই দেখবে তো!
~ তো! দেখলে কি হবে?
~ খারাপ ভাববে না বুঝি?
~ কেনো ভাববে শুনি? এরা সবাই তো আমাদের ফ্যামিলির মতোই। এন্ড ফর ইওর কাইন্ড ইনফরমেশন, তোমার জাদু আপ্পি তার ফ্রেন্ডের আর তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড আমার ফ্রেন্ডের হাত ধরেই হাঁটছে। সি! ( ওদের দিকে ইশারা করে, আরশি ওদের দিকে তাকিয়ে আবার সূর্যের দিকে তাকালো ) দেখেছো! এখন আর কোনো কথা না বলে আমার সাথে চলো।
আরশি আর কিচ্ছু বললো না।

~ কিরে শাকচুন্নি সমস্যা হচ্ছে হাঁটতে?
নিধি রাগি চোখে নাহিদের দিকে তাকালো। নাক ফুলিয়ে বললো,,
~ আরেকবার যদি শাকচুন্নি বলবেন তো এই পাহাড় থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেবো আপনাকে!
ভয় পাওয়ার ভান করে,,
~ উপস! ভয় পেয়েছি। প্লিজ আমাকে ফেলবি না। আমি মরেই যাবো। তার বদলে যদি সারাজীবন তোর গোলামী করতে বলিস তো আমি তাতে ও রাজি আছি। তাও এতো বড় শাস্তি আমাকে দিস না। ( কান্না করে দিবে এমন ভাব করলো )
নিধি কিছুক্ষন নাহিদের দিকে তাঁকিয়ে রইলো। তারপর দুজনেই হো হো করে হেসে দিলো। বাকিটা পথ ওরা গল্প করতে করতেই যেতে লাগলো।

সুজানা আর মাহির অনেকটা এগিয়ে গেছে তাই ওরা বাকিদের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। ওদের পরে রোজ আর ন্যান্সি এলো। ওরা দুজনেই অনেক হাপিয়ে গেছে। তাই সিড়িতে বসে রেস্ট নিতে লাগলো। বাকিরাও চলে এলো।
~ থেমে গেলি কেনো তোরা ? ( সূর্য )
~ তোদের জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।
~ ইয়ার সূর্য আমি অনেক হাপিয়ে গেছি। একটু পানি এনে দে। ( রোজ )
~ বেব আমাকে ও কুল ওয়াটার দিয়ো । ( ন্যান্সি )

আরশির হঠাৎ করে মন খারাপ হয়ে গেলো। ন্যান্সি সূর্যকে বেব বলে ডাকায়। রোজ আর সূর্য সেটা খেয়াল করলো। রোজ, ন্যান্সিকে চিমটি কাটলো।
~ আহ্হ! ওই , চিমটি দিলি কেনো?
~ বেশ করেছি। তোর কি কখনো বুদ্ধি হবে না ?
~ কি করেছি আমি?
~ তুই সূর্য কে বেব বললি কেনো? দেখ! আরশির মন খারাপ হয়ে গেছে।
ন্যান্সি আরশির দিকে তাকিয়ে দেখলো সত্যি মুখটা কেমন ছোট করে রেখেছে। জিভে কামড় দিয়ে বললো,,
~ সরি সরি সূর্য। আসলে আগে বলতাম তো তাই অভ্যাসটা রয়ে গেছে। আরশি তুমি প্লিজ কিছু মনে করো না। আমি অন্য কোনো মিনিং এ বলিনি।

আরশি কিছুটা চমকে গেলো ন্যান্সির হঠাৎ এভাবে সরি বলায়। ওর জানা মতে ন্যান্সি তো সূর্যকে পছন্দ করে তাহলে! ও কি ওদের ব্যাপারে জানে? তা না হলে সরি বলবে কেনো ওকে? এভাবে সরি বলায় ওর লজ্জা ও লাগছে। তারমানে ওর যে মন খারাপ হয়েছে সেটা ওরা বুঝতে পেরেছে। আমতা আমতা করে বললো,
~ ইটস ওকে আপু আমি কিছু মনে করিনি।
ন্যান্সি মিষ্টি করে হাসলো। রেহান অভ্র কে ফিস ফিস করে জিজ্ঞেস করলো,,
~ কাহিনীটা কি রে! সূর্য ভাই আর আরশি কি কাপল নাকি?
~ জানিনা। কিন্তু ওদের দেখে আর বাকিদের কথা শুনে তো তাই মনে হয়। (গম্ভীর গলায় )
রেহান অভ্রর দিকে পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকালো।
~ তুই কি এটা নিয়ে আপসেট?
অভ্র রেহানের দিকে তাকালো। ভাবলেশহীন ভাবে বললো,,
~ না।

রেহান কিছুটা অবাক হলো। অভ্র তো আরশি কে পছন্দ করে। তাহলে না বলছে কেনো? কথাটা চেপে না রেখে জিজ্ঞেস করেই ফেললো।
~ আমিতো জানতাম তুই আরশি কে পছন্দ করিস। তাহলে ওরা যদি কাপল হয় তো তোর খারাপ লাগবে না? আর ওদের মধ্যে যে সম্পর্ক আছে এটাতো আরশি আগে আমাদের কাউকে জানায় নি। আচ্ছা একটা কথা আমি বুঝতে পারছি না। সূর্য ভাইয়া বিদেশ থেকে ফিরলেন বেশি দিন তো হলো না। তাহলে ওদের মধ্যে রিলেশন টা হলো কবে? ওদের তো আগে তেমন একটা কথা বলতে ও দেখি নি। যা বলছে তা তো এখন বলতে দেখছি।
~ দেখ কবে হলো সেটা জানিনা। কিন্তু ওদের মধ্যে যে সম্পর্ক আছে এটা কনফার্ম। আর আমার খারাপ লাগার কথা যদি বলিস তো বলবো হ্যাঁ লাগছে। আরশি কে সূর্য ভাইয়ার পাশে দেখে অনেক খারাপ লাগছে। আর রাগ! সে তো নিজের উপর হচ্ছে। ওকে পছন্দ করার পরেও বলতে না পারার জন্য ।
~ তো তুই কি আরশি কে তোর মনের কথাটা আর বলবি না?
অভ্র শান্ত দৃষ্টিতে রেহানের দিকে তাকালো,,
~ তোর কি মনে হয়! ওদের মধ্যে যদি সত্যি কোনো সম্পর্ক থেকে থাকে, তাহলে আমার ফিলিংস এর কথাটা কি আরশি কে জানানো ঠিক হবে? আমার কি ওদের মাঝে থার্ড পারসন হওয়া উচিত?

রেহান আর কিছু বললো না। সত্যিই তো ওদের মধ্যে যদি কোনো সম্পর্ক থেকে থাকে তাহলে অভ্র কেনো শুধু শুধু ওর ফিলিংস এর কথা জানিয়ে ওদের মাঝে থার্ড পার্সন হতে যাবে?

ওরা আবার হাঁটতে লাগলো।

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here