আমার পুতুল বর
লেখিকা: আরশি জান্নাত (ছদ্মনাম)
পর্ব : ৪৬
~ মৃধু ! মাহির কি ফিরেছে অফিস থেকে?
~ না এখনো তো ফিরে নি।
~ কি বলছো অনেক রাত হয়ে গেছে তো? এখনো ফিরছে না কেনো?
~ আসলে সাজেক থেকে ফেরার পর কাজের চাপ বেড়ে গেছে। তাই প্রায় প্রতিদিনই দেরি করে ফিরছে ছেলেটা!
~ আচ্ছা, মিহি কোথায়?
~ নিজের ঘরে।
~ ওহ ।।
রাত- ১১:৫০ মিনিট
মাহির মাত্র ডিনারের পর নিজের রুমে এসে বসেছিলো তখনই ওর বাবা ওর ঘরে এলো।
~ মাহির তুমি ব্যাস্ত না থাকলে তোমার সাথে কিছু জরুরি কথা আছে।
~ হ্যাঁ বাবা বলো আমি ফ্রী আছি।
মাহাদ রহমান ডিভানে বসতে বসতে বললেন,,
~ তোমার বিয়ের ব্যপারে কথা বলার আছে আমার।
আমি আর রায়হান( রেহানের বাবা ) চাই তোমাদের বিয়েটা খুব শীঘ্রই দিতে।
বিয়ের কথা শুনে মাহির ওর হাত মুষ্টিবদ্ধ করে ফেললো। জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিয়ে বললো,,,
~ আমি এই বিয়েটা করতে পারবো না বাবা।
মৃধা রহমান মাত্রই ঘরে ঢুকতে নিচ্ছিলেন কিন্তু ছেলের কথা শুনে দরজায় ই দাড়িয়ে পড়লেন। মাহাদ রহমান বেশ অবাক হলেন মাহিরের কথা শুনে। এই প্রথম মাহির তার মুখের ওপর না করছে। তিনি কিছুটা গম্ভীর হয়ে বললেন,,
~ কারণ কি?
~ আই লাভ সামওয়ান এলস।
~ ভালোবাসো! কাকে? ( অবাক হয়েই )
~ মেয়েটাকে তোমরা চেনো।
~ আমরা চিনি? কে সে?
মৃধা রহমান এগিয়ে এসে মাহাদ রহমানের পাশে বসে পড়লেন। ওনারা দুজনেই উৎসুক হয়ে মাহিরের মুখের দিকে তাকিয়ে আছেন।
~ উম সু. সুজি
~ কে? কার কথা বলছো? ( কনফিউজড হয়ে বললেন মৃধা রহমান )
মাহির জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে বললো,,
~ সুজানা, মা।
মাহাদ আর মৃধা রহমান এর অবাক হওয়ার মাত্রা যেনো আকাশ ছুলো।
~ কি বললে তুমি সুজানা কে ভালবাসো?
~ হ্যাঁ বাবা আমি সুজিকে ভালোবাসি অনেক আগে থেকেই ভালোবাসি। প্রথমে ওকে সাহস করে বলতে পারি নি। কিন্তু পরবর্তীতে সাহস সঞ্চয় করে ঠিক করলাম সাজেক যেয়ে ওকে আমার মনের কথা খুলে বলবো। তার আগেই তুমি আমার বিয়ে ঠিক করে ফেললে। তোমাকে বলতে চেয়েছিলাম যে আমি এই বিয়েতে রাজি নই কিন্তু তুমি তোমার কাজের জন্য সুইজারল্যান্ড চলে গেলে তাই তখন বলা হয়ে ওঠেনি। আই নো বাবা এই প্রথম আমি তোমার নেওয়া কোনো ডিসিশন মেনে নিতে পারছিনা। বাট আই হ্যাভ নাথিং টু ডু। আই উইল নট এবল টু লিভ উইদাউট হার।
মৃধা রহমান বেশ খুশী হলেন এটা যেনে। ওনার বরাবরই সুজানাকে মাহিরের বৌ হিসেবে পছন্দ ছিলো। কিন্তু কোনো দিক থেকে ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় উনি আর নিজের ইচ্ছেটা কারো সামনে ব্যাক্ত করেন নি। কিন্তু আজ যখন জানলেন তার ছেলেও তারই পছন্দের মেয়েকে ভালবাসে তখন তিনি অনেক খুশি হলেন। মাহাদ রহামন ঠিক কি ভাবছেন তা ওনার ফেস দেখে বোঝা যাচ্ছে না। মাহির ভীষন চিন্তায় পড়ে গেছে। বাবা কি আদৌ তার ভালোবাসা মেনে নেবে?? বেশ কিছুক্ষণ নিরব থাকার পর মাহাদ
রহমান শীতল কণ্ঠে বললেন,,,
~ সুজানা! ও কি তোমাকে ভালোবাসে?
মাহির কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। সুজানা তো ওকে কিচ্ছু বলেই নি। আর না ও নিজে আগ বাড়িয়ে এই ব্যাপারে কথা বলতে গেছে। এখন বাবাকে যদি বলে সুজানার মত নেই তখন তো আর কোনোভাবেই এই বিয়েটা আটকানো সম্ভব হবে না।
মাহির কে চুপ করে থাকতে দেখে মাহাদ রহমান আর কিছু বললেন না। আস্তে করে উঠে নিজের ঘরে চলে এলেন। মৃধা রহমান ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,,,
~ আমি আছি তোর পাশে। চিন্তা করিস না তোর বাবা ও ঠিক তোদের সম্পর্কটা মেনে নেবেন দেখিস। ধৈর্য ধর। জলদি ঘুমিয়ে পর। আর স্ট্রেস নিতে হবে না। আসছি আমি।
মৃধা রহমান ও নিজের ঘরে চলে গেলেন। মিহি সবটাই শুনেছে। মা-বাবাকে হঠাৎ এতো রাতে ভাই এর ঘরে যেতে দেখে ওর মনে কি নিয়ে কথা হচ্ছে সেটা জানার কৌতূহল জাগে । তাই সে ঘরে আসছিলো আলোচনায় সামিল হতে কিন্তু ভাইয়ের মুখে সুজানা নাম শুনে আর ঘরে ঢুকলো না। আড়ালে লুকিয়ে সবটা শুনলো। বাবা বেড়িয়ে যেতেই ও নিজের রুমে চলে এলো। ঘরময় পায়চারি করছে আর ভাবছে বাবার ডিসিশন কি হতে পারে। ভাইয়ের জন্য চিন্তা হচ্ছে ওর। যদি বাবা সুজানা আপুর সাথে ভাইয়ের
বিয়েটা না দিতে চায় তাহলে তাঁর ভাইয়ের কি হবে। অনেক কষ্ট পাবে নিশ্চই। এসব ভেবে ল্যাপটপ অন করে আরশি কে ভিডিও কল দিলো।
আরশি ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলো হঠাৎ মিহির ভিডিও কল দেখে অবাক হলো। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে সময় দেখে ভাবলো,,,
~ এতো রাতে মিহি ভিডিও কল দিচ্ছে কেনো? কোনো সমস্যা হলো নাকি। আগে রিসিভ করে দেখি কি বলে।
কল রিসিভ করে,,
~ হ্যাঁ মিহি বল। এতো রাতে কল দিলি যে! কোনো সমস্যা হয়েছে কি?
~ সমস্যা হয় নি, কিন্তু খুব শীঘ্রই হতে যাচ্ছে। (চিন্তিত হয়ে )
~ কি হয়েছে বল আগে!
~ মাহির ভাই আর সুজানা আপুর ব্যাপারে কথা আছে। শোন তুই এক কাজ কর সূর্য ভাইয়াকে ও ডেকে নিয়ে আয়।আমাদের ওনার হেল্পের প্রয়োজন আছে।
~ এখন ওনাকে ডাকবো কি করে আমি? বাড়ির সবাই কি ভাববে বল তো!
~ আরশি ফর গড সেক তুই এখন বাড়ির সবার কথা ভাবা বন্ধ কর। এখানে দুটো মানুষের জীবন নষ্ট হতে যাচ্ছে আর তুই বাড়ির সবার কথা চিন্তা করছিস। যা জলদি সূর্য ভাইয়াকে ডেকে নিয়ে আয়! আম ওয়েটিং। ( ধমক দিয়ে )
আরশি আর কিছু বললো না। ও বুঝতে পারছে ব্যাপারটা হয়তো বেশি সিরিয়াস। তাই দ্রুত সূর্যের ঘরে গেলো ওকে ডাকতে। মধ্যরাত হওয়ায় সবাই যার যার ঘরে ঘুমোচ্ছে। আরশি পা টিপে টিপে সূর্যের ঘরের সামনে গেলো। দরজায় হাল্কা ধাক্কা দিতেই খুলে গেলো। জানালা খোলা যার ফলে চাঁদের আবছা আলোয় ঘর আলোকিত হয়ে আছে। আরশি ধীর পায়ে আবছা আলোতে হাতড়ে হাতড়ে বেডের কাছে পৌঁছালো। একটু ঝুঁকে বিছানায় চোখের উপর হাত দিয়ে সোজা হয়ে শুয়ে থাকা সূর্যকে আস্তে আস্তে ধাক্কা দিতে লাগলো। কিন্তু সূর্যের কোনো হেলদোল নেই। আরশি মৃদু আওয়াজে ডাকতে শুরু করলো,,
~ এই যে শুনছেন! উঠুন না!! সূর্য!! ( সূর্যর কাধে হাত দিয়ে ঝাঁকিয়ে ) আরো কয়েকবার ডাক দিলো কিন্তু না সূর্য উঠছে না। আরশি ভেবে পাচ্ছে না একটা মানুষ কি করে এমন মরার মতো ঘুমোতে পারে! কতক্ষণ ধরে ডেকে যাচ্ছে, ঝাঁকাচ্ছে তাও মহাশয়ের কোনো খবর নেই। নাক ফুলিয়ে বেডসাইড টেবিলে পানি ভর্তি গ্লাস দেখতে পেলো। মুহূর্তেই ওর মাথায় দুষ্টুমি ভর করলো। পানির গ্লাস হাতে নিয়ে পুরো পানি সূর্যের মুখে ঢেলে দিলো। কিন্তু ওর ভাবনা মতো কিছুই হলো না। সুর্যের তো ধড়ফড়িয়ে উঠার কথা ছিলো। তা না করে ১০ সেকেন্ড বাদে বেশ শান্ত ভঙ্গিমায় নিজের চোখ খুললো সূর্য। আরশির দিকে এক পলক তাকিয়ে উঠে বসলো। আরশি হাবার মতো সূর্যকে দেখে যাচ্ছে।
~ ব্যাপারটা কি হলো? উনি কোনো রিয়্যাক্ট করলেন না কেনো? অতিরিক্ত ঘুমের কারনে ওনার রিয়্যাকশন বাটন কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে নাকি!!
আরশির ভাবনার মাঝেই কারো হেচকা টানে বিছনায় আধশোয়া হয়ে পড়লো। সূর্যের দিকে অবাক হয়ে তাকাতেই সূর্য এক টানে আরশি কে বালিশে শুইয়ে দিয়ে নিজে ওর উপর আধশোয়া হয়ে গেলো। আরশি হতভম্ব হয়ে সূর্য কে দেখছে। সূর্য গভীর দৃষ্টিতে আরশির দিকে তাকিয়ে আছে যা দেখে বারবার শুকনো ঢোক গিলছে আরশি।
~ ক. কি করেছেন !!
~ করিনি এখনো তবে করার ইচ্ছে আছে।
আরশির গাল গরম হয়ে উঠলো। নজর সরিয়ে নিলো।
~ এই সময়ে আমার ঘরে কি করছো তুমি? মিস করছিলে আমায়? ( আরশির কপাল থেকে ঠোঁট পর্যন্ত আঙুল দিয়ে স্লাইড করে )
আরশি কাপা কাপা কণ্ঠে বললো,,,
~ আ. আমিতো আ. আপনাকে ডা. ডাকতে এসেছিলাম। ম……
সূর্য হুট করে আরশির গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলো। আরশি চোঁখ বন্ধ করে বিছানার চাদর খামচে ধরলো।
সূর্য আরশির গলায় ও ঘাড়ের দিকে টুকরো টুকরো চুমু দিয়ে ওর চুলে থাকা পানিগুলো আরশির মুখের উপর ঝেড়ে দিলো। আরশি চোঁখ খুঁচকে ফেললো। আরশির থুতনিতে চুমু দিয়ে ওকে খাটে বসালো।
~ আমি টি শার্ট পাল্টে আসছি।
আরশি আস্তে করে মাথা দুলালো। ২ মিনিট পর সূর্য বেড়িয়ে এলে আরশি খাট থেকে নেমে ওর সামনে গিয়ে দাড়ায়।
~ কিছু বলছিলে তুমি ।
~ মিহি ভিডিও কল করেছে। বললো মাহির ভাই আর আপ্পির ব্যাপারে নাকি কি জরুরী কথা বলার আছে। আপনার হেল্প ও নাকি প্রয়োজন। ও লাইনেই আছে। তাই ডাকতে এলাম।
~ আচ্ছা চলো।
ওরা আরশির রুমে এলো। আরশি মোবাইল হাতে নিয়ে দেখলো মিহি নেই কিন্তু কল কানেক্টেড এখনো।
আরশি মিহি বলে ডাক দিলো। মিহি চিপস খাচ্ছিলো আরশির ডাকে ক্যামেরার সামনে এসে দাতে দাত চেপে বললো,,,,
~ তুই কি ভাইয়াকে ডাকতে গেছিলি নাকি ভাইয়ার সাথে ঘুমোতে গেছিলি, কোনটা? এতক্ষন লাগলো কেনো তোর?
আরশি খুক খুক করে কেশে উঠলো। আড়চোখে সূর্যের দিকে তাকালো। সূর্য আরশির পাশে বেডে হেলান দিয়ে বসে ছিলো। মিহির কথা শুনে আরশির দিকে তাকিয়ে হেসে দিলো। ওর হাত থেকে মোবাইল নিয়ে বললো,,,
~ ঠিক বলেছো শালি সাহেবা। তোমার বন্ধুবি তো এক প্রকার হাত পা ছড়িয়ে কাদছিলো আমার সাথে শুবে বলে। আমিই জোর করে নিয়ে এলাম তোমার সাথে কথা বলবো বলে।
আরশি চোঁখ বড়ো বড়ো করে সূর্যের দিকে তাকালো। মিহি সূর্যকে দেখে জিব কাটলো। আমতা আমতা করে বললো,,,
~ সরি ভাইয়া, আমি জাস্ট আরশি কে জ্বালানোর জন্য কথাটা বলেছিলাম। আমি জানতাম না আপনি পাশেই আছেন।
~ ইটস ওকে শালি সাহেবা তুমি ভুল কিছু বলোনি যা বলেছো সত্যি বলেছো তোমার ফ্রেণ্ড আমার সাথে শু…
আরশি সূর্যের হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিলো। ওর দিকে অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করে মিহি কে ধমক দিয়ে বললো,,,,
~ এত ফালতু কথা বলিস কেনো? যেটা বলার জন্য ফোন দিয়েছিস সেটা বল!
মিহি গাল ফুলালো। পরক্ষনেই ভাইয়ের কথা মনে আসতেই উদ্বিগ্ন হয়ে ওদের সবটা খুলে বললো।
সূর্য চিন্তিত হয়ে বললো,,,
~ আঙ্কেল কোনোভাবেই মাহির ভাইকে বিয়ের জন্য জোর করতে পারেন না। মাহির ভাই যথেষ্ঠ বড়ো হয়েছেন। নিজের মতামত জানানোর অধিকার তো তার আছেই।
~ ভাই তো তার কথা বললোই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সবটাই ভাইয়ার দিক থেকে। সুজানা আপু তো এই ব্যাপারে কিছু বলেন নি। ভাইয়াকে যখন বাবা প্রশ্ন করলো সুজানা আপুর মতামত কি তখন ভাইয়া কিছু বলতে পারেনি কারণ ভাইয়া নিজেই জানেনা সুজানা আপু আসলে কী চায়! বাবা ও ভাইয়ার নিরবতা দেখে আর কিছু বলেন নি।
~ আঙ্কেল একজন বিচক্ষণ মানুষ। উনি নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন সবটা এক পাক্ষিক।
~ এটাই তো আমাকে ভাবাচ্ছে আরশি। বাবা এই কারণেই দেখবি ভাইয়ার কথায় রাজি হবে না। আর এতে ভাইয়া ভীষন কষ্ট পাবে। মুখ ফুটে কিচ্ছু বলবে না কিন্তু আমিতো আমার ভাইকে চিনি। খুব ভালোবাসে সুজানা আপুকে ও। তাই বিচ্ছেদটা মেনে নিতে পারবে না। আমি বুঝতে পারছিনা এখন কি করবো। যদি সুজানা আপু ও রাজি থাকতো তাহলে আর কোনো সমস্যাই ছিলো না।
মিহি মন খারাপ করে ফেললো। আরশির ও অনেক খারাপ লাগছে। মাহির ভাই যে তার আপ্পিকে অনেক ভালবাসে সেটা ও খুব ভালো করেই জানে।
সূর্য বললো,,,
~ মেয়েটা কে যার সাথে ভাইয়ার বিয়ে ঠিক হয়েছে?
~ জানিনা তো ভাইয়া। বাবা শুধু মেয়ের বাবার নামটাই বলেছে। আর কিচ্ছু বলে নি।
~ মেয়েটা সম্পর্কে খোঁজ পাওয়া গেলেও
কিছু একটা করে সাময়িক সময়ের জন্য বিয়েটা আটকানো যাবে।
~ খোঁজ পাবো কি করে?
~ ডোন্ট ওয়ারি ওটা আমি দেখছি। তবে আপুর ব্যাপারটা নিয়ে আমার ভাবতে হবে। ওকে কি করে বোঝাবো যে ও না চাইতেও মাহির ভাই নামক কুণ্ডলির সাথে আষ্ট্রেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়েছে। যা থেকে ও চাইলেও নিজেকে মুক্ত করতে পারবে না। জানোতো যখন আমরা কানাডা ছিলাম তখন আমরা দু ভাইবোন মাঝে মাঝে আড্ডায় বসতাম । ওর বলা প্রতিটা কথার ভাজে মাহির ভাইয়ের নামটা উল্লেখ থাকতো। ওদের কিছু দুষ্টু মিষ্টি মুহূর্তগুলোর কথা বলে নিজেই প্রাণ খুলে হাসতো। বিডিতে ব্যাক করার পর ভাইয়ার সাথে দেখা করার জন্য ও ভীষণ এক্সসাইটেড ছিলো। সব শেষে সাজেক থেকে ফেরার পর এখন পর্যন্ত মাহির ভাইয়ের ওর সাথে কথা না বলার জন্য আপসেট হয়ে আছে। মনমরা হয়ে থাকে সবসময়। তারপরও নিজের ফিলিংস গুলো মানতে রাজি নয়।
এবারে আমাদের এমন কিছু করতে হবে যাতে ও সকল অসস্তি,বাঁধা পেরিয়ে নিজে মাহির ভাইকে যেয়ে ভালোবাসি কথাটা বলে।
মিহি আর আরশি মাথা নাড়লো। ওদের এক করার জন্য যা যা করতে হয় সবটা ওরা করবে। নিজের প্রিয়জনদের হাসি-খুশি মুখটা দেখতে চাওয়াই তাদের মূল লক্ষ্য।
#চলবে