একদিন তুমিও ভালোবাসবে❤️পর্ব-৫৫

0
8170

‘ একদিন তুমিও ভালোবাসবে ‘ 🌸❤️
||পর্ব~৫৫||
@কোয়েল ব্যানার্জী আয়েশা

৮২.
চোখ খুলতেই নিজেকে আবিষ্কার করলাম বেডে। উঠে বসতেই দেখলাম আদি স্টাডি টেবিলে বসে, স্টাডি ল্যাম্প জ্বালিয়ে এখনও পড়ছে। আমি নিজের ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলাম মাঝরাত, ৩টে বাজে। আমিও তো ওর সাথেই পড়ছিলাম কিন্তু মাঝে একটু ঝিম এসেছিলো তাই হয়তো চোখ লেগে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তখনই হয়তো ও আমাকে এনে বেডে শুইয়ে দিয়েছে। আমি আমার ওড়নাটা ঠিক করে বেড ল্যাম্প জ্বালিয়ে আদিকে কিছু বলবো তাঁর আগেই আদি লিখতে লিখতে বললো,

আদিত্য: উঠে পরলে কেন? শুয়ে পরো, অনেক রাত হয়ে গেছে।

মৌমিতা: হ্যাঁ কিন্তু তুমি শোবে না? অনেকটা রাত হয়ে গেছে আর পড়তে হবে না। এইবার শুতে আসো।

আদিত্য: উহুম, এখন শুলে টপার পজিশন তো দূর টায় টায় পাস করবো হয়তো। আর এটা ড্যাড যদি জানে আমাকে ঠেঙিয়ে বাড়ি থেকে বিদায় করে দেবে। তখন নিজে খাবো কি আর তোমাকে খাওয়াবো কি?

আমি ওর কথা শুনে হেসে দিতেই ও কিঞ্চিৎ হেসে বললো,

আদিত্য: আজ তোমার জন্যেই আমার এই অবস্থা।

মৌমিতা: এই, এই! একদম আমাকে ব্লেইম করবে না। তোমাকে কি আমি পড়তে মানা করেছিলাম নাকি? (রেগে)

আদিত্য: তোমার চিন্তা আমার পড়াশোনাকে ল্যাং মেরে মাথা থেকে ভাগিয়ে দিয়েছিলো। তুমি এসেই আমাকে নিজের প্রেমে ফেলেছো, সারাক্ষণ তোমার চিন্তাই করতাম। আমি যদি আগের আদিত্য ব্যানার্জী থাকতাম যে কি না কোনো মেয়েকে পাত্তা দিতো না তাহলে তো এই অবস্থা হতো না আমার। আগে কোনো মেয়ে পারেনি বাট তুমি পেরেছো সো দোষটা তোমার।

আমার রাগ হলো আবার ভালোও লাগলো কিন্তু ভালো লাগাটাকে চেপে রেখে রাগটাই মেলে ধরলাম।

মৌমিতা: ওহ হো, এখন সব দোষ আমার কি?

আদিত্য: আজ্ঞে। এখনও দেখো, তুমি আমাকে পড়তে দিচ্ছো না।

মৌমিতা: (গাল ফুলিয়ে) ঠিক আছে আমি চলে যাচ্ছি আমার রুমে। তাহলে তো আর তোমাকে ডিসটার্ব করার কেউ থাকবে না।

আদিত্য: এক পা বেড থেকে মাটিতে পড়লে ঘরে বসে এক্সাম দিতে হবে। সেটা চাইলে তুমি যেতে পারো। আমার কোনো প্রবলেম নেই।

আমি বেড থেকে পা রাখার আগেই আদিত্যের দাঁতে দাঁত চাপা কথা শুনে তড়িঘড়ি পা গুটিয়ে নিলাম। ও আমার দিকে না তাকিয়েই কথাটা বলেছে লিখতে লিখতে। আমি আর কথা বাড়ালাম না। সত্যি এখানে আসার পর ৬ মাস ওর আমাকে রক্ষা করতে, আমার খেয়াল রাখতেই কেটে গেছে। ইশ, অনেক চাপ পরে গেছে মনে হয়। থাক এখন আর তাহলে কথাটা বলবো না।

আদিত্য: মাথার মধ্যে যেটা ঘুরঘুর করছে সেটা বলতে পারো আমাকে। এতক্ষন যখন বকবক শুনতে পারলাম এখনও পারবো।

মৌমিতা: (ভ্রু কুঁচকে মনে মনে– কি বাজে ছেলেরে বাবা! কথায় কথায় কীভাবে টোন কাটছে দেখো? একটু কি ভালো ভাবে কথা বলা যায় না নাকি? পড়া শুরু করার আগে কত মিষ্টি মিষ্টি কথা বলছিলো, আর এখন দেখো? পরীক্ষা চলে গেলে এর শোধ তুলবো আমি। একটাও কথা বলবো না তখন, বাজে ছেলে একটা!) ইয়ে..বলছিলাম, কোয়েলকেও নিয়ে আসলে হতো না? সৌভিকদার কু-দৃষ্টি যে কেটে গেছে তা তো নয় তাই না?

আদিত্যের পেন থেমে, হাত থেকে পড়ে গেলো আমার কথাটা শুনে। মুখটাও বেশ থমথমে হয়ে গম্ভীর হয়ে গেছে, এতক্ষন যেই স্বস্তিটা ছিলো তা নেই।

আদিত্য: ও’কে আসতে বলিনি মনে করছো? অনেকবার বলেছি কিন্তু কোনো কথাই কানে তুললো না। ওর জেদ, ও কিছুতেই আসবে না এই বাড়িতে।

মৌমিতা: কিন্তু কেন? এই বাড়িতে তো ও এসেছে আমার সাথে।

আদিত্য এইবার নিজের রাউন্ড চেয়ারটা আমার দিকে ঘুরিয়ে বললো,

আদিত্য: কাকাই এই বাড়িতে আছে এখন।

ওর কথা শুনে আমি চোখ বড় বড় করে অবাক ভাবে ওর দিকে তাকিয়ে আছি। কাকাই এই বাড়িতে আছে মানে? কি বলতে চাইছে ও? তাহলে মা আমায় কিছু জানালেন না কেন?

আদিত্য: আই নো তুমি শকড। আসলে কাকাই নেই, কাকাইয়ের জিনিসপত্র আছে। কাকাই আজকে ফেরেনি বাড়িতে কারণ আমি জানিয়েছিলাম কোয়েলকে আর তোমাকে এখানে নিয়ে আসবো। দুদিন আগেই কাকাই দেশে ফিরেছে। ড্যাডের সাথে নাকি সবটা মিটিয়ে নিয়েছে তাই ড্যাড বলেছে এই বাড়িতে থাকতে। কিন্তু আমার সেটা মনে হয় না।

মৌমিতা: তোমার সেটা মনে হয় না কেন? তুমি কি আরো কোনো কারণ আন্দাজ করছো?

আদিত্য: হুঁ? হম। ব্যাপারটা অন্য এটা আমি সিওর। কারণ কাকাইয়ের ঠিক করার হলে তো আরো আগেই করতে পারতো, হঠাৎ এখনই কেন? ছুটিও হয়তো কিছু আন্দাজ করেছে তাই এতবার বলার পরেও এলো না।

মৌমিতা: তাহলে এখন কি করবে? আমার কেন জানি না খুব চিন্তা হচ্ছে আদি। ও’কে এভাবে একা রেখে আসতে মন মানছিলো না আমার। আগের ব্যাপারটা অন্য ছিলো।

আদিত্য: আগের ব্যাপার কিছু অন্য ছিলো না মৌ। সৌভিকের নজর প্রথম থেকেই ছুটির উপর, সেই ছোটো থেকে। ও কোনোকালেই সেফ ছিলো না এখন তো আরোই নেই। কেন যে আমাদের কথা শোনে না আমি বুঝি না। বরাবর নিজের যেটা মন চেয়েছে সেটাই করে এসেছে। (টেবিলে বারি মেরে)

আমি আদিকে উত্তেজিত হতে দেখে উঠে ওর কাছে চলে গেলাম। ওর কাঁধে দু-হাত রেখে বললাম,

মৌমিতা: এখন মাথা ঠান্ডা রেখে কি করলে ঠিক হবে সেটাই ভাবতে হবে আমাদের।

আদিত্য: কি আবার হবে? হসপিটালে একটা বেড বুক করে রাখতে হবে।

মৌমিতা: (ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে) কিহ? হসপিটালে বেড বুক করে রাখবে? মানে, কেন? কার জন্য? আমি তো কিছুই বুঝলাম না তোমার কথার মানে।

আদিত্য: (বাঁকা হেসে) সৌভিকের জন্য আবার কার জন্য? তুমি রাজকে চেনো না মৌ। সৌভিক যেমন সুযোগ খুঁজছে ছুটির ক্ষতি করার ঠিক তেমন রাজও একটা ছুতো খুঁজছে ওকে হসপিটালে পাঠানোর। দেখোনি, আমাকে মারতে এসেছিলো সেই সময় ও কতটা রিয়াক্ট করেছিলো?

মৌমিতা: হ্যাঁ। কিন্তু রাজদা সৌভিকদার ক্ষতি করলে তো ওনারও ক্ষতি। পুলিশ কেস হয়ে যাবে তো?

আদিত্য: (হেসে) পুলিশের পরোয়া তুমি আর ছুটি করতে পারো আমরা করিনা। আমরা ইউনিয়নের আছি, সেই প্রথম থেকেই ওসব পুলিশ দেখে এসেছি। ওদের আবার কেউ ভয় পায় নাকি? হাতে নোট গুঁজে দিলেই চুপ করে যাবে।

মৌমিতা: তুমি এরকম করেছো তার মানে? (রেগে)

আদিত্য: হ্যাঁ রণিতের কেসেই তো…আব ইয়ে মানে…

সত্যিটা স্বীকার করার পর আদি যখন বুঝলো আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি তখন আমার দিকে তাকিয়ে আমতা আমতা করতে লাগলো। আমি ওর থেকে সরে গিয়ে বেডে বসে বললাম,

মৌমিতা: আমি এগুলোএকদম পছন্দ করিনা আদি। কি দরকার কাওকে এভাবে মারার? এসব না করলে তো আর পুলিশকে ঘুষ খাওয়াতে হয় না? তোমরাও যদি এসব করো তাহলে ওদের আর তোমাদের মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়? আমার মনে হয় না কোয়েলও এসব সাপোর্ট করবে বলে।

আদিত্য: এটাই তো ভয়। তাও ভালো, তুমি তো তেমন কিছু রিয়াক্ট করলেনা কিন্তু ছুটি তো…

মৌমিতা: কি? কোয়েল কি? ক্লিয়ার করে বলো।

আদিত্য: তোমাকে ডিটেইলস তো এখন বোঝাতে পারবো না জাস্ট এটুকু বলব ছুটি এই জিনিসগুলো একদম পছন্দ করে না। ও এসব টের পেলে রাজের সাথে কথা বলাই বন্ধ করে দেবে আর এটাই রাজের কাছে সব থেকে বড়ো ক্ষতি। তাই জন্যেই রাজ চুপ করে আছে নাহলে কবেই খবর করে দিত সৌভিকের। ওইসব পুলিশ, নেতা-মন্ত্রী কেউ কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। রণিতের এগেইনস্টে যেমন অনেক অভিযোগ আছে তেমন সৌভিকের এগেইনস্টেও আছে। পুলিশও ওঁৎ পেতে রয়েছে স্ট্রং প্রুফের জন্য যাতে ওদের হাজতে ঢোকানো যায়।

মৌমিতা: তাই বলে মারবে? স্ট্রং প্রুফ থাকলে একবারে আইনের হাতে তুলে দাও, তোমরা কেন আইন হাতে নিতে যাবে?

আদিত্য: যখন রণিত তোমার হাত ধরে ছিলো তখন তুমি কেন ও’কে কেন চড় মেরেছিলে? মাথা ঠিক ছিলো না তাই জন্য তো? ঠিক তেমন আমাদের জীবনের গায়ে কোনো আঁচ লাগলে, কেউ ক্ষতি করতে চাইলে আমাদের মাথা ঠিক থাকে না। তখন আমরা তাদের জীবনটাও কেড়ে নিতে পারি আমাদের জীবনের দিকে হাত বাড়ানোর অপরাধে।

আদি কথাটা বলতে বলতে বেডের কাছে এসে বেড ল্যাম্প অফ করে দিলো। তারপর নিজের ডেস্কে ফিরে গিয়ে বললো,

আদিত্য: ঘুমিয়ে পরো, অনেক রাত হয়ে গেছে।

আমি ওর কথা শুনে কিছু বলার জন্য খুঁজেই পেলাম না। শব্দ না করেই একটু হাসলাম আর তারপর শুয়ে পড়লাম। ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে চোখটা লেগে এলো। শুধু কিছুক্ষণ পর কপালে কাওর স্পর্শ অনুভব করেছি, আর কিছু মনে নেই।

৮৩.
মাঝরাতে হঠাৎ করেই কোয়েলের ঘুমটা ভেঙে গেলো। নিজের পড়ার টেবিলে থেকে মাথা তুলে চোখ কচলে দেখলো জানলার পর্দাগুলো উড়ছে। অর্থাৎ বাইরে হাওয়া ছেড়েছে। কোয়েল উঠে জানলার কাছে গিয়ে জানলাটা বন্ধ করতেই দেখলো হস্টেলের বাইরে একটা গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। গাড়িটা দেখে কোয়েল চোখ কচলে নিলো কারণ গাড়িটা ওর চেনা।

কোয়েল: রাজের গাড়ি এতো রাতে এখানে কি করছে? গাড়ির কাঁচগুলোও তো তোলা, কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। আলো জ্বললে বুঝতাম কেউ ভিতরে জেগে আছে। সেটাও তো নেই। হতেই পারে এটা অন্যকাওর গাড়ি? তাহলে তো ফোন করে রাজকে বেকার ডিস্টার্ব করা হবে এতো রাতে। কি যে করি?

কোয়েল বেশ কিছুক্ষণ উঁকি ঝুঁকি করার পর মনস্থির করলো রাজকে ফোন করবে কারণ রাজেরও তো পরীক্ষা। হয়তো ও’ও রাত জেগে পড়ছে তাছাড়া ওর তো অফিসের কাজও থাকে। একটা ফোন করাই যায়, না ধরলে আর করবে না। কোয়েল রাজকে কল করে দু-চারবার রিং হতেই রাজ কল রিসিভ করে বললো,

রাজ: পড়া শেষ কুহুজান?

কোয়েল: উহুম, ঘুমিয়ে পড়েছিলাম এখনও বাকি আছে তাই। তুমি জেগে আছো যে?

রাজ: আমাকে তো জেগে থাকতেই হবে। আমার কুহুজানের জেদের উপর কি আজ অবধি কেউ কথা বলতে পেরেছে? তাই জেগে থাকতে হচ্ছে। তাছাড়া আমারও তো পরীক্ষা কুহুজান।

কোয়েল: (জানলার কাছে গিয়ে) তারমানে আমার হস্টেলের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িটা তোমারই?

রাজ: (জানলার কাঁচ নামিয়ে) দেখতে পাচ্ছো আমায়?

কোয়েল দেখলো ওর প্রশ্ন শেষ হতেই গাড়ির কাঁচটা নেমে গেলো। একটু দূরে হওয়ায় রাজের মুখটা হালকা দেখতে পেলো কোয়েল। কিন্তু এটা যে রাজ সেটা ভালোই বোঝা যাচ্ছে। কোয়েল এবার রাগ দেখিয়ে বললো,

কোয়েল: মাথাটা কি পুরো খারাপহয়ে গেছে তোমার? এতো রাতে এখানে কি করছো তুমি? বাড়ি যাও নিজের আর শুয়ে পরো।

রাজ: তোমার একটা জেদ মেনে নিয়েছি মানে যে সব জেদ মেনে নেবো এটা ভাবার ভুল করো না। যেখানে প্রশ্ন তোমার নিরাপত্তা নিয়ে সেখানে আমি কাওর কথা শুনবো না। জানলাটা বন্ধ করে, দরজা ভালো ভাবে দিয়ে চুপচাপ গিয়ে ঘুমাবে। গট ইট? (কড়া সুরে)

রাজের এরকম কড়া গলায় আদেশ শুনে কোয়েল চুপ করে গেলো। সব সময় সবারসহ এই মানুষটার উপর নিজের জেদ খাটাতে পারলেও এই মানুষটা যখন জেদ ধরে তখন কোয়েলের আর কিছু করার থাকে না। তার মধ্যে প্রসঙ্গ যখন কোয়েলের নিরাপত্তার সেখানে তো কোয়েলের জেদ মানার কোনো প্রশ্নই নেই। এখন এই বিষয়টা কোয়েলের হাতে নেই তাও নরম গলায় একটা চেষ্টা করলো।

কোয়েল: ভোর হয়ে যাবে কিছুক্ষণ পর। এখন চলে গেলে হয় না?

রাজ: কি বললাম আমি কিছুক্ষণ আগে?

কোয়েল: যাচ্ছি। কিন্তু তুমি কখন যাবে তাহলে?

রাজ: যখন আমার মনে হবে আর কোনো বিপদ নেই তোমার তখন। নাও গো!

কোয়েল রাজের কথামতো অসহায় মুখ করে জানলাটা বন্ধ করে দরজাটা ভালো মতো বন্ধ আছে কি না চেক করে নিলো। তারপর বেডে উঠে বই নিয়ে বসতেই কোয়েলের ফোন বেজে উঠলো। দেখলো রাজ ভিডিও কল করেছে, হেসে কল রিসিভ করতেই ওপাশে রাজকে দেখলো।

কোয়েল: আচ্ছা আমার জন্যে না হয় তুমি আছো বাট তোমার জন্য তো কেউ নেই রাজ। তুমি এতো রাতে একা আছো, যেও যদি সেটার সুযোগ নিয়ে তোমার ক্ষতি করে? (চিন্তিত হয়ে)

রাজ: বাহবা! তুমি আমার চিন্তা করো?

কোয়েল: বাজে কথা একদম বলবে না। আমি কি জানতাম নাকি তুমি এরকম কিছু করবে?

রাজ: জানলে আদির সাথে যেতে বুঝি?

কোয়েল চুপ করে থাকলে রাজ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। আশ্বাস দিয়ে কোয়েলকে বলে,

রাজ: কিচ্ছু হবে না আমার চিন্তা করো না। ঘুমিয়ে পরো এখন কারণ কালকে তোমাকে ভার্সিটি যেতে হবে। আমি দিয়ে আসবো আর আমিই নিয়ে আসবো ওকেই?

কোয়েল: হম। নিজের খেয়াল রাখবে।

কোয়েল ফোন রেখে চুপচাপ শুয়ে পড়লো কিন্তু কেন জানো মনটা খুব কু ডাকছে। মনে হচ্ছে কিছু একটা হতে চলেছে। রাজের এখানে থাকার পরিণাম সাংঘাতিক কিছু হবে না তো? সাংঘাতিক হলে কতটা সাংঘাতিক হবে এটা আন্দাজ করতে পারলে হয়তো কোয়েল রাজকে বাড়ি পাঠিয়ে দিতো যে করে হোক। ওর কি উচিত ছিলো রাজকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া? কিন্তু আদৌ কি কিছু খারাপ হতে চলেছে, সাংঘাতিক হতে চলেছে? যাতে হয়তো ওদের জীবনের সমীকরণটাই বদলে যাবে? নাকি এসব নিছকই ভুল ধারণা কোয়েলের? জানতে পারবেন আগামী পর্বে।

[#ফিরে_আসবো_আগামী_পর্বে🥀]

বি:দ্র: প্রশ্নের উত্তর গুলো যদি পাঠকগণ দেওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে খুশি হবো। কি হতে চলেছে আগামী পর্বে? সব ঠিক থাকবে নাকি ওলট পালট হয়ে যাবে? আমার গল্পের শেষ পর্বগুলো কিন্তু ধামাকা ছাড়া হয়না সবার কি তা মনে আছে? রহস্যের সমাধানগুলো পরের পর্ব থেকেই শুরু হবে কিন্তু! তাই যার যা মনে হচ্ছে চটপট মন্তব্যর মাধ্যমে জানিয়ে ফেলুন।

আইডি- কোয়েল ব্যানার্জী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here