একদিন তুমিও ভালোবাসবে❤️পর্ব-৬০

0
7291

‘ একদিন তুমিও ভালোবাসবে ‘ 🌸❤️
||পর্ব~৬০||
@কোয়েল ব্যানার্জী আয়েশা

৯০.
আমি ফ্রেশ হয়ে ঘরে আসতেই দেখি আদি আমার ঘরে এসে বসে আছে। আমি জানতাম ও আসবে কারণ আমি আমাদের ঘরে যাইনি, নিজের ঘরে এসেছি। ও আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেও আমি সেটা না দেখার ভান করে এড়িয়ে যেতে নিলে ও আমার সামনে এসে দাঁড়ায়। আমি ওর চোখে চোখ রাখলে বলে ওঠে,

আদিত্য: তুমিও রেগে থাকবে আমার উপর? আমি ভেবেছিলাম তুমি অন্তত আমাকে বুঝবে।

মৌমিতা: ঠিক যেমন রাজদা ভেবেছিলেন তুমি অন্তত ওনাকে বুঝবে তাই না?

আদি আমার প্রশ্নের উত্তরে মাথা নামিয়ে নিলো। আমি ইচ্ছা করেই খোঁটা দিয়ে কথাটা বলেছি যাতে ও নিজের “শর্ট টেম্পারের” উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে পারে। নিজের এই বদমেজাজি স্বভাবের জন্য অপরজনের থেকেও নিজে বেশি কষ্ট পায় মানুষ।

আদিত্য: আমি ভুল করেছি জানি কিন্তু অকারণে কথাগুলো বলিনি। যথেষ্ট কারণ ছিলো সেগুলোর পিছনে। সেটাই বলতে চাই তোমাকে।

মৌমিতা: রাজদাও যা কিছু করেছিল অকারণে করেনি। সেই কারণটাই তোমাকে জানাতে এসেছিল।

আদি আর কোনো কথা না বাড়িয়ে, কিছুক্ষণের জন্য চোখ মুখ খিঁচে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো। কারণ একটাই, ও ভুল করেছে। কিন্তু আমি তো আর ওর মতো এক ভুল করতে পারি না। আমাকে জানতে হবে আদি কেন এমন বলেছে। আশা করছি ওর উত্তরেই কোয়েলের এমন ব্যবহার করার উত্তরটাও পেয়ে যাবো। যেই ভাবা সেই কাজ। নিজের ওড়নাটা নিয়ে আমি আমাদের ঘরে চলে গেলাম। গিয়ে দেখলাম ও সোফায় চুপচাপ বসে আছে। ওর পাশে বসে ওর কাঁধে হাত রাখতেই বললো,

আদিত্য: ছুটি ছোটোবেলায় নিজের মাকে ঠকতে দেখেছে মৌ! নিজের মাকে মার খেতে দেখেছে। এর ফলে মানসিক ভাবে অত্যাচারিত হয়ে অনেক রাতে চোখের জল ফেলতে দেখেছে। তাই পুরুষ জাতিটার উপর ওর বিশ্বাস ছিলো না কখনোই। কিন্তু সবাই এক হয় না, এটা হয়তো ও প্রথমে আমাকে আর তারপরে রাজকে দেখে বুঝেছিল। আমাকে দেখতো আর বলতো, “তুমি কীভাবে সব ছেলের থেকে এতো আলাদা? মেয়েদের ধারে কাছেও যাও না, আর কয়েকজনকে দেখো! কত সুন্দর ঠকাচ্ছে দিনের পর দিন।” সেইম রাজের ক্ষেত্রেও ছিল। তাই রাজের থেকে এরকম কোন কিছু ছুটি কখনো আশা করেনি। পুরো ব্যাপারটা সত্যি হলে ও নিজের ক্ষতি করতে দুমিনিট সময় নিতো না। রাজ চলে যাওয়ার পর ও যদি অসুস্থ হয়ে পরতে পারে তাহলে এখন নিজেকে শেষ করতে ভাবার জন্য সময় নেবে বলে মনে হয়?

মৌমিতা: রাজদা চলে যাওয়ার পর কোয়েল সুইসাইড করার চেষ্টা করেছিল? (আতঙ্কিত কণ্ঠে)

আদিত্য: ইন্ডাইরেক্টলি। খাওয়ার কথা ছেড়েই দাও, ঘুমকাতুরে মেয়েটা ঠিকঠাক ঘুমাতো না। তারউপর এইসব ফ্যামিলি প্রব্লেমস, মাধ্যমিকের প্রেসার সবকিছু জানো ওকে একসাথে আক্রমণ করেছিলো। কাম্মা জানতো না কোয়েল সবটা জানে। ইভেন মম ড্যাড তো এখনও জানে না কিছুই।

মৌমিতা: তার মানে এটাই সবথেকে বড় কারণ কোয়েলের, ওর বাবাকে এড়িয়ে যাওয়ার?

আদিত্য: ঘৃণা করার বলো। সত্যি মিথ্যা কখনো যাচাই করে দেখিনি আমি। ছুটিকে জোর করে, অনেক কষ্টে বার করেছিলাম কথাটা যখন ও রাজি হয়নি এ বাড়িতে থাকতে আর আমাদের পরিচয় সবাইকে জানাতে।

মৌমিতা: তুমি কিছুদিন আগে জেনেছো ব্যাপারটা? যখন কোয়েল ভার্সিটিতে ভর্তি হলো?

আদিত্য: হম। আমি কখনো চাইনি ছুটিকে এই জিনিসগুলোর সম্মুখীন হতে হোক। তাই জন্য হয়তো কোনো কিছু না ভেবেই এতো কিছু বলে ফেলেছিলাম রাজকে। আসলে ভাবিনি আমি এমন কিছুও কখনো হতে পারে। আমার কাছে আমার বোন যেমন প্রিয়, আমার বন্ধুও তেমন প্রিয়। আমি ওকে জেনে বুঝে আঘাত করতে চাইনি, ও পরিস্থিতির স্বীকার হলে আমিও তারই স্বীকার।

মৌমিতা: রাজদা জানেন এই সব বিষয়ে?

আদিত্য: হম। আমার আগে থেকেই জানে যখন থেকে কোয়েল জেনেছে। রাজ কোয়েল নাইনে যখন পড়তো তখন চলে গেছিলো আর এইসব বিষয়ে জানতে পেরেছিলো ক্লাস এইটে কোয়েল। হয়তো রাজ যাওয়ার পরেও আরো কিছু হয়েছে, মাধ্যমিকের সময়ে যেটা ছুটি আমায় বলেনি। যাই হোক, দোষ যখন করেছি তখন শাস্তি তো পেতেই হবে।

আদি কথা শেষ করে উঠে যেতে নিলে আমি ওর হাত ধরে আবার বসিয়ে দিলাম। আমি নীচের দিকে তাকিয়ে আছি কিন্তু আড় চোখে বুঝতে পারছি ও আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি ওকে বললাম,

মৌমিতা: তোমার রাজদাকে বলা উচিত এই কথাগুলো, যখনই সুযোগ পাবে। আসলে কি বলো তো? আমাদের মনে কিছু কথা চলে যেগুলো সবসময় আমরা বলতে পারি না সেগুলোই রাগের মাথায় আমরা বলি। ফলে সেগুলো সত্যি কথাই হয়, তাই হয়তো রাজদার খারাপ লাগছে যে তুমি এসব ভাবতে ওনাকে নিয়ে। উনি ঠিক, তুমি সত্যি কথাই বলেছো কারণ তুমি তোমার বোনকে নিয়ে চিন্তিত। এটা বুঝলেই হয়তো রাজদার অভিমানটা আস্তে আস্তে কেটে যাবে।

আদি আমার কথা শুনে হ্যাঁবোধক মাথা নাড়লো। আর কিছু বলার আগেই আদির ফোন বেজে উঠলো। দেখলাম কোয়েল ফোন করেছে।

আদিত্য: এত রাতে কল করলি? কোনো সমস্যা হয়েছে?

কোয়েল: আব, না। বলছি, আমি আসছি তোদের বাংলোতে দাভাই।

আদিত্য: সিরিয়াসলি? (উঠে দাঁড়িয়ে) আগে বলিসনি কেন আমি নিয়ে আসতাম, একা আসবি নাকি তুই এতো রাতে।

কোয়েল: রাজ ড্রপ করে দিচ্ছে।

আদিত্য: গ্রেট!

আদি ফোন রেখে আমায় বললো কোয়েল আসছে আর ওকে রাজদাই নিয়ে আসছেন। কথাটা শুনে আমি আদিকে বললাম,

মৌমিতা: কোয়েল রাজদাকে মানিয়ে নিয়েছে। আমি জানতাম ও পারবে কারণ ওর দোষ প্রায় ছিলো না বললেই চলে। এইবার তোমার পালা।

আদি মাথা নীচু করে থাকলে আমি একটু এগিয়ে গিয়ে আলতো ভাবে ওকে জড়িয়ে ধরে, ওর বুকে মাথা রেখে বললাম।

মৌমিতা: চিন্তা করো না। সবটা ঠিক হয়ে যাবে সময়ের সাথে সাথে।

৯১.
আদিত্যের বাংলোর, গেটের সামনে দাঁড়িয়ে কোয়েল একবার পিছনে রাজের দিকে তাকাচ্ছে আরেকবার কলিংবেলের দিকে। সেটা দেখে রাজ বললো,

রাজ: তাড়াতাড়ি করো, আমার শরীর অনেক খারাপ লাগছে।

কোয়েল: হ্যাঁ, হ্যাঁ।

কোয়েল রাজের কথা শুনে চটজলদি কলিংবেল বাজালো যা দেখে রাজ মুখ টিপে হাসলো যেটা কোয়েল দেখতে পেলো না। আদিত্য প্রায় সাথে সাথেই দরজা খুলে দিলে কোয়েল একটু ইতস্তত বোধ করতে শুরু করে। আদিত্য কোয়েলকে দেখে নিয়ে রাজের দিকে তাকালে রাজ কোয়েলের হাতটা ছেড়ে ওকে আরেকটু সামনে এগিয়ে দিয়ে বলে,

রাজ: আসছি আমি। সাবধানে থাকার কথা বলার প্রয়োজন নেই এখন। তুমি এখন তাঁর দায়িত্বে আছো যে তোমাকে সুরক্ষিত রাখতে পারবে। এমন কাওর দায়িত্বে না যে তোমার অযোগ্য।

রাজ কথাটা বলেই বেরিয়ে হাঁটা ধরে নিজের গাড়ির দিকে। কোয়েল বুঝতে পারে রাজের কথাটা বলার কারণ। তাই আদিত্য রাজের দিকে এগোতে নিলেই কোয়েল আদিত্যের সামনে হাত লম্বা করে রেখে বাঁধা দেয়। তা দেখে আদিত্যের মনে হয়, তাঁর বোনও তাঁকে ভুল বুঝলো?

কোয়েল: যেও না দাভাই। ওকে একটু ওর মতো একা ছেড়ে দাও। ও অনেকটা কষ্ট পেয়েছে। আমরা কষ্ট পেলে আমাদের নিজেদেরই মানাতে হয়, কেউ কিছু বললেও তা কাজ করে না। তাই ওকে এখন একটু একা থাকতে দাও।

আদিত্য: ওর কষ্ট কমাতে পারবো না জানি কারণ যেটা বলে ফেলেছি তা ফিরিয়ে নিতে পারবো না। কিন্তু বলার কারণটা জানালে হয়তো ওর সুবিধা হবে নিজেকে মানাতে। চেষ্টা তো করতেই পারি ওর কষ্টটা কম করার, তাই না?

আদিত্য চলে গেলো রাজের পিছনে। কোয়েল সামনে তাকিয়ে দেখলো মৌমিতা দাঁড়িয়ে আছে তাই হেসে ভিতরে ঢুকে গেলো। এদিকে রাজকে নিজের গাড়ির সামনে নিশ্চুপ ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আদিত্য ওর পাশে দাঁড়িয়ে বলে,

আদিত্য: আমি জানি আমি তোকে আজকে সকালে অনেক আঘাত করেছি।

রাজ: (তাচ্ছিল্য হেসে) সত্যি কথা মানুষকে আঘাতই করে। তুই তো সত্যি কথা বলেছিস, যেটা আমার ক্ষেত্রে মনে হয়েছে সেটা বলেছিস।

আদিত্য: হ্যাঁ। মানুস রেগে থাকলে নিজের মনের কথাই বলে রাজ। যেটা সেইসময় তার মনে চলে, সেটা বলে। অন্যসময় তাঁর মনোভাব অন্যরকম হয় কারণ পরিস্থিতি অন্যরকম হয়। পরিস্থিতি বুঝে মনোভাব তৈরী হয় আর মনোভাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া।

রাজ আদিত্যের কথা শুনে আদিত্যের দিকে তাকায় কারণ সে সঠিক বলেছে। দেখতে পায় আদিত্যের চোখটা ছলছল করছে।

আদিত্য: তুই যতটুকু বলেছিলি সেটা শুনেই আমি রিয়াক্ট করেছিলাম তাঁর সবথেকে বড় কারণ ছিলো, তুই বলেছিলি ছুটি তোর কোনো কথা না শুনেই চলে গেছে। এর আগে তুই যখন চলে গিয়ে ওকে আঘাত দিয়েছিলি তখন ও জীবন্ত লাশের মতো বেঁচে ছিলো। আর এইবার তুই ওর মনের সুপ্ত ভয়টাকে জাগিয়ে তুলেছিলি হোক সেটা জেনে বা নিজের অজান্তে। ও তো নিজের ক্ষতি করতেই পারতো তাই না?

আদিত্যের কথা শুনে রাজ নিজের হাত মুঠ করে নিলে আদিত্য বলে,

আদিত্য: তোর কোনো ধারণা নেই ওর কি অবস্থা হয়েছিল সেই সময়টা যখন একসাথে ও তোকে হারিয়েছিলো। এরপর সেটা থেকে কোনোমতে একটু হালকা হতেই আবার ফ্যামিলি প্রবলেমস, পরীক্ষার প্রেসার। ভালো থাকার অভিনয় করে গেছিলো নিজের ভিতর সবটা চেপে রেখে। শুধুমাত্র আমার বোনের কষ্টের কথা ভেবেই আমি তোকে কথাগুলো বলে ফেলেছি। জানি এতে আমার ভুলটা ঠিক হয়ে যায় না, আমি এগুলো বললাম তার কারণ তুই যেমন কষ্ট পেয়েছিস, ও’ও কষ্ট পেয়েছে। আমার ক্ষমা চাওয়ার মুখ নেই তোর কাছে, তাই ক্ষমা চাইবনা।

একনাগাড়ে কথাগুলো বলে আদিত্য নিজের চোখের জল আড়াল করে হালকা নাকটা টানলো। রাজকে চোখ বন্ধ করে চুপ থাকতে দেখে আর কথা না বাড়িয়ে চলে যেতে নিলে রাজ বলে উঠলো,

রাজ: সত্যি তো ক্ষমা চাইবি কেন তুই? তুই তো আমাকে বন্ধু ভাবিসনা। তাই তো আমি যখন চলে গেছিলাম তখনও তোর যায় আসেনি আর এখনও কথা না বললে তোর যায় আসে না। অবশ্য আসবে কীভাবে আমি তো এসবের যোগ্যই…

রাজের কথা শেষ হওয়ার আগেই আদিত্য ঝড়ের বেগে রাজকে জড়িয়ে ধরে। রাজ হেসে দেয় আদিত্যের এহেনো আচরণ দেখে।

আদিত্য: স্যরি! বিশ্বাস কর, তোর কথাটা পুরোটা শুনলে আমি হয়তো এসব কিছুই বলতাম না কিন্তু যতটুকু শুনেছিলাম তাতে যখনই বুঝলাম ছুটি কষ্ট পেয়েছে তাও আবার নিজের ভয়ের জন্য তখন আমার মাথা কাজ করছিল না। কারণ আমি জানতাম তুই কখনো ওকে এই নিয়ে কষ্ট দিতেই পারিস না। তুই এমনটা করেছিস এটা আমি জাস্ট ভাবতেই পারিনি। স্যরি ভাই! প্লিজ ক্ষমা করে দে, তুই ছাড়া আমার কে আছে বল?

রাজ: দাঁড়া, বউদিকে বলছি আমাকে মানানোর জন্য তুই এসব বলছিস।

আদিত্য বুঝতে পারে রাজ মজা করছে তাই সোজা হয়ে বলে,

আদিত্য: আরে ও তো বউ, তুই তো বন্ধু। তুই তো আগে আমার লাইফে, তুই না বোঝালে কি আর ওকে বলতে পারতাম…বায় দ্য ওয়ে! তোর গা টা এতো গরম কেন ভাই? জ্বর এসেছে?

রাজ: ভাগ্যিস জ্বরটা এসেছে নাহলে তোর বোনকে এখানে আনতে পারতাম না। ও বাড়ি যাওয়ার জন্য জোর করছিলো, আমি বললাম তুমি আদিত্যের বাড়িতে গেলেই আমি বাড়ি যাবো নাহলে আজকে সারারাত এখানেই থাকছি। ব্যাস, বাধ্য মেয়ের মতো জামাকাপড় গুছিয়ে চলে এসেছে।

আদিত্য: সে ঠিক আছে কিন্তু তুই ওষুধ খেয়েছিস? আমি নিয়ে আসবো?

রাজ: তোর বোন জোর করে খাইয়েছে কিছুক্ষণ আগে। আমি আসছি এখন। খুব কেয়ারফুল থাকিস, ধামাকা একটা করবেই পরেশবাবু।

আদিত্য: সেটার অপেক্ষায় আছি আমি। এটাই ওনার শেষ সুযোগ কারণ সব কিছু আমার হাতে, শুধু একটা সাক্ষী!

রাজ: পেয়ে যাবি। চাপ নিস না।

আদিত্য: রাজ!

রাজ চলে যেতে নিলে আদিত্য রাজকে ডেকে আরেকবার জড়িয়ে ধরে শক্ত করে। আস্তে করে বলে,

আদিত্য: আমার বোনকে তুই ছাড়া কেউ ভালো রাখতে পারবে না। আমার এই ধারণা যে সত্যি তার প্রমাণ আমি তো পেয়েছি, এবার এরপরের দায়িত্ব তোর। ও’কে পেতে হলে আমি শুধু সাহায্য করতে পারবো এর থেকে বেশি কিছুই নয়, মাথায় রাখিস।

আদিত্য রাজকে ছেড়ে দিলে রাজ আদিত্যের কথার মানে বুঝে হেসে ও’কে মাথা নাড়িয়ে আশ্বাস দেয়। “সাবধানে থাকবি” কথাটুকু একে অপরকে বলে আদিত্য বাড়ির ভিতরে চলে আসে আর রাজ গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায়।

[#ফিরে_আসবো_আগামী_পর্বে🥀]

আইডি- কোয়েল ব্যানার্জী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here