বিষাক্তময় আসক্তি(The Villain😈)
Sumaiya Akter Mim
পর্ব ১৯………..🌼
__কিছুক্ষন আগে আয়ানাকে সাফিয়া আর কিছু মেয়ে মিলে ইরফানের রুমের ভেতরে রেখে চলে যায়।সাফিয়ারা চলে যেতে আয়ানা ভয়ে কান্না করতে লাগে।।।বিছানার উপর বসে চোখ ঘুরিয়ে সম্পূর্ণ রুমটাকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে।।।।
___বিশাল বড় রুমটায় অসম্ভব সুন্দর করে ডেকরেট করেছে।। সারা রুমে মৌ মৌ করছে ফুলের গন্ধে।।সাদা গোলাপ কালো গোলাপ সাদা স্টারগেজার এবং কি নাম না জানায় বহু ফুল দিয়ে সজ্জিত রুমটা।।সারা ফ্লোর ছড়িয়ে আছে ফুল আর বেলুনে ।। রুমের ভেতরে এবং বাহিরের রং বেরঙের ক্যান্ডেল’স।।ছোট ছোট পাত্রে পানি আর তাঁর মধ্যে ভেসে যাচ্ছে পদ্ম্য ফুল আর কালারফুল প্রদিপ।। রুমের প্রত্যেকটি আসবাবপত্র খুবই সুন্দর এবং কি কাঁচের।।। বিছানার উপর ও ফুল দিয়ে ভরিয়ে রেখেছে।।রারান্দায় তির তির করে বাতাসের সাথে তাল মিলিয়ে জ্বলছে ক্যান্ডেল গুলো।।।। রুমের দরজা খোলা সুবাদে রুমের দিকে এ্যাটাচ’ড কাঁচের মিনি ছাঁদ টা ও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।। এতে ও ফুল আর অসংখ্য ক্যান্ডেল’স আর প্রদিপ দিয়ে সাজানো!!!এক কথায় ফুলের বাগান করে রেখেছে চারিদিক।।। অসম্ভব সুন্দর লাগছে সব কিছু মনে হচ্ছে কোনো ছবির শুটিং হচ্ছে তাই এতো সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।।। কিন্তু সব সুন্দরের মাঝে আয়ানার রুমের রং টা পছন্দ হয় নি।।কুচ কুচে কালো দেওয়াল তার সাথে গোল বেডের চাদর বালিশ লেম্প এবং কি অনেক জিনিস কালো।।ফিন ফিনে পর্দা গুলো ও।।। এসব কালো জিনিস গুলোর মতো তার জীবনটাও কালো হয়ে গেছে।।।। ইচ্ছে করছে নিজেকে শেষ করে দিতে মুক্ত পাখির মতো জিবন নামের ছোট্ট প্রানি টাকে উড়িয়ে দিতে।ভেবেই আবার হাউ মাউ করে কেঁদে উঠলো আয়ানা।।।আয়ানা আশেপাশে ফলের ঝুড়ি খুঁজতে লাগল যদি ভাগ্য ক্রমে এতে ছুড়ি পায় তো!সে চায় না মানুষ রুপি ইরফান তার উপড়ে ঝাঁপিয়ে পরুক।এর আগেই সে নিজেকে শেষ করে দিবে।।। কিন্তু ভাগ্যে এবারো তার সাথে বেইমানি করেছে ছুড়ি তো দুরের থাক এমন কিছু নেই যে সে নিজেকে আঘাত করবে।।। রুমের বেশ কিছু জিনিস কাঁচের হলে কী হবে সব জিনিস খুব মজবুত ভাঙ্গবে না।।ইরফান আগে থেকে রুমে এবং বাড়িতে থাকা চাকু এবং কি এমন কিছু যা দিয়ে আয়ানা নিজের ক্ষতি করবে তা সরিয়ে ফেলে।।।আর রান্না স্লেফের যত চাকু দাঁড়ালো জিনিস আছে সব সবাইকে সাবধানে রাখতে বলে যাতে আয়ানার হাত না লাগে তাতে।যদি এমন হয় এক একটার গর্দান সে নিজের হাতে নিবে আর এসবের লাশ তাঁর খাস পশুকে খাওয়াবে।।।আয়ানা রুমের ছোট বার টার দিকে নজর যায়।।। সেখানে অসংখ্য কাঁচের ওয়াইনের বোতল।আয়ানা সেদিকে তাকিয়ে ঢুক গিলে নিজের রুক্ষ গলাটা কে ভিজিয়ে নিলো।।বিছানা থেকে উঠে ধিরে পায়ে বারের দিকে এগিয়ে কিছু পা যেতে খট করে দরজাটা খুলে যায়।।। দরজা খুলার আওয়াজে আয়ানা কিছু পা পিছিয়ে যায়।।।
___________ইরফান রুমের ভেতরে প্রবেশ করে আয়ানাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বাঁকা হেসে দরজাটা আটকিয়ে, দরজার সাথে হেলান দিয়ে এক পা উল্টিয়ে দরজার সাথে ঘেঁষে দাঁড়িয়ে মাথাটা হালকা বাঁকিয়ে আয়ানার পা থেকে মাথা পর্যন্ত বার বার স্কেন করছে।।যতো দেখছে ততো নেশা ভেরে যাচ্ছে।। চারপাশের পরিবেশ টা ও রোমান্টিক আর সাথে পাল্লা দিয়ে ইরফানের #বিষাক্তময়_আসক্তি টা ও বেড়ে যাচ্ছে।।।আর অন্য দিকে আয়ানার ভয় ও বেড়ে যাচ্ছে তার।।।আয়ানা ভয়ে ঠান্ডার মধ্যে ও ঘামছে।।মাথা নিচু করে লেহেঙ্গা টা শক্ত করে দুই হাতে ধরে পা দিয়ে ফ্লোর চেপে ধরে রেখেছে।।।_______________
_______ইরফান নেশা ভরা চোখে তাকিয়ে এক পা এক পা করে আয়ানার দিকে এগিয়ে আসতে থাকে!তা দেখে আয়ানা পিছিয়ে যেতে লাগে! আয়ানা পিছাতে পিছাতে দেয়ালের সাথে পিঠ ঠেকে যায়। ইরফান একদম আয়ানার মুখমুখি হয়ে যায় তা দেখে আয়ানা বারান্দার দিকে চলে যেতে নিলে ইরফান আয়ানাকে পিছন থেকে হাত বাঁকিয়ে আয়ানাকে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়! অন্য হাত দিয়ে আস্তে আস্তে আয়ানার লেহেঙ্গার ভিতরে দিয়ে ইরফান নিজের হাত রেখে পেটে স্লাইট করে হালকা চাপ দেয়!এতে করে আয়ানার ভয়ে আরো শিহরিত হয়ে উঠে ইরফানের হাত খামচে ধরে! ইরফান আয়ানার ধোপাটার উপর দিয়ে আয়ানার গারে কিস করে মুখ গুজে দেয়।।______
_____তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে! আমার ভাবনার থেকে ও বেশি সুন্দর লাগছে তোমাকে মেরি জান।।তোমার এই মাতাল করা সুগন্ধী আমাকে পাগল করে দিচ্ছে।। তোমার চকলেট কালার ঠোঁট দুটো আমাকে মারত্মক ভাবে পাগল করে তোলে আমাকে তৃষ্ণার্ত করে তোলে! তোমার চোখের সাগরে আমি নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই, তোমাকে দেখে আমার চোখের তৃপ্তি মেটাতে চাই। আমার এই অগোছালো জীবন গুছিয়ে নিতে তোমাকে চাই!আই নিড ইউ আয়ু জান! খুব করে কাছে চাই;এতোটা চাই যতোটা আমাদের মধ্যে আর কোনো দূরত্ব বজায় থাকবে না! আমি থাকতে দিবো না!বলে আয়ানাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়! ইরফান আবেশে আয়ানার ঠোঁটে কিস করতে থাকে। হঠাৎ জিসানের মৃত্যু মনে পরতে আয়ানা ভয়ে ছিটকে দূরে সরে যায়। ইরফান আয়ানাতে মজে ছিল তাই হাত কিছুটা আলগা হতে আয়ানা ছিটকে সরে যায়।।। ইরফান এমন হওয়া রেগে যায়। ইরফান সামনের দিকে এগিয়ে যেতে আয়ানা আবারো পিছিয়ে যায়।আয়ানাকে এই ভাবে পিছিয়ে যেতে দেখে ইরফান রেগে চোখ মুখ খিচে আয়ানার উদ্দেশ্য করে দাঁতে দাঁত চেপে বললো,,,,,,,,,
_____হোয়াট হ্যাপেন আয়ু জান! দূরে যাচ্ছো কেনো?কাম বলে আয়ানাকে ধরতে গেলে আয়ানা জোরে কান্না করে দেয় তারপর দূরে অন্য পাশে চলে যায়!
_____আমার কিন্তু খুব রাগ উঠছে আয়ু!আর এক পা এদিক ওদিক হলে খুব খারাপ হবে বলে আয়ানার দিকে ধপাধপ পা ফেলে এগিয়ে আসতে নিলে,আয়ানা বারের ভেতরে স্লেফ থেকে একটা ওয়াইনের বোতল নিয়ে টেবিলের উপর আছাড় মেরে ভেঙ্গে ফেলে।।।।
_____আয়ুওওও বলে ইরফান এগিয়ে আসতে নিলে আয়ানা হাতের কাঁচের ভাঙ্গা অংশ ইরফানের দিকে ধরে।। ইরফান বাঁকা হেসে আয়ানার দিকে এগিয়ে হাত দুটো ছড়িয়ে দিয়ে বলতে লাগলো,,,,,,,,,
____তুমি আমাকে মারবে আয়ু জান। ওকে নেও আমি তোমার হাতে সর্বদাই মরতে রাজি বলে মুখে ডেবিল মার্কা হেসে আয়ানার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে!!!
_________ইরফানকে এগিয়ে আসতে দেখে আয়ানা থরথর করে কাঁপছে সাথে তার হাতের কাঁচের টুকরো টাও।। আয়ানা ইরফানের দিক থেকে কাঁচের বোতল সরিয়ে নিজের হাতের উপর চেপে ধরল।তা দেখে ইরফানের পা অটোমেটিক থেমে গেলো।। ইরফানের মুখের রং পাল্টিয়ে গেছে মুহূর্তে! মুখে ভর করেছে ভয়ের আতংক।। ইরফান ভয় মিশ্রিত চোখে রেগে কাঁপতে লাগল।। ইরফান কখনো আয়ানার ক্ষতি হবে এমন কিছু সে সহ্য হবে না।।আয়ানার বিন্দুমাত্র কষ্ট দেখলে সে সব কিছু ঝারখার করে দিবে।।। ইরফান রাগি গলায় বলল___________
______আয়ু তুমি কাজটা ঠিক করছো না!হাত থেকে কাচ টা ফেলো ফার্স্ট!আর আমার কাছে আসো কিছু টা চিৎকার করে বলল।_____
___আয়ানা ইরফানের ধমকে কেঁপে উঠে! কিন্তু হাতের কাঁচের টুকরো টা না ফেলে আরেকটু চেপে ধরে।।তা দেখে ইরফানের জান যায় যায় অবস্থা। মনে হচ্ছে আয়ানা নিজেকে আঘাত করতে যাচ্ছে না ইরফানের বুকে ক্ষত বিক্ষত করেছে।।। ইরফান আবারো ধীরে ধীরে বলতে লাগলো_____
_____ওকে ওকে মেরি জান আমি তোমাকে টার্চ করবো না তুমি প্লিজ কাঁচের টুকরো টা নামিয়ে নেও!না হলে কেটে যাবে! তোমার শরীরের যদি বিন্দুমাত্র আঘাত লাগে তাহলে আমি সব ধ্বংস করে ফেলবো! চোখ মুখে হিংস্রতা ফুটিয়ে তোলে।।। ইরফান একটু সামনে এগিয়ে আসতে আয়ানা কাঁচ দিয়ে হালকা আঘাত করে এতে বিন্দু বিন্দু রক্ত পড়ছে।আয়ানার হাতে রক্ত দেখে ইরফানের মাথা খারাপ হয়ে যায়!সে ফার্স্ট এইড বক্স খুঁজতে লাগল এই ফাঁকে আয়ানা দরজা খুলে বেরিয়ে যায়।।আয়ানাকে বেড়িয়ে যেতে দেখে ইরফান রেগে আয়ানার পিছন পিছন দৌড়ে আসে।।
_______আয়ানাকে দরজার বাহিরে আসার সাথে সাথে সকল গার্ডরা গোল করে আটকিয়ে ফেলে তাকে।। ইরফান গার্ডদের সরিয়ে সামনে এগুতে দেখে আয়ানা ভয়ে জোরে কাঁদতে লাগল! হাতের কাঁচ টা আবার হাতে চেপে ধরে বলতে লাগলো,,,,,,,,,,,,,,
______আ_আমাকে যেতে দিন প্লিজ!তা নাহলে আমি নিজেকে শেষ করে দিবো!!!
_____ইরফান রাগে গজগজ করছে! রাগে তার মাথা ফেটে যাচ্ছে! খুব ভয়ংকর লাগছে তাকে! আয়ানা ভয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে!______
_____ইরফান চোখ দিয়ে ইশারা করতে গার্ড গুলো জায়গায় ছেঁড়ে দেয় আয়ানাকে।।।আয়ানা ও কিছু না ভেবে লেহেঙ্গা টা দুই হাত দিয়ে উঁচু করে দৌড়াতে লাগে।।। আজকে যেই ভাবে হোক পালাতে হবে দৌড়াতে দৌড়াতে গেইটের বাহিরে চলে যায়।।। একবার ও পেছনে তাকায় নি যদি তাকাতো তাহলে ইরফানের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মতো চেহারা দেখতে যে কিনা তার দিকে তাকিয়ে।।।________
_______আয়ানা গেইটের বাহিরে যাওয়ার পর ইরফান নিজের গারে হাত রেখে এদিক সেদিক ঘুরিয়ে বাঁকা হেসে বলতে লাগে,,,,,,,,,,
_____পালিয়ে কোথায় যাবে আয়ু জান? ফিরে তোমাকে এই ডেবিল কিং এর কাছে আসতে হবে।। খুব বড় ভুল করেছো তার শাস্তি ও তোমাকে পেতে হবে!
_____গাড়ি বের করো জলদি! চিৎকার করে গার্ডদের বলে।। ইরফানের কথায় সবাই গাড়ি নিয়ে বের হল আয়ানার খুঁজে! ইরফানের সামনে গাড়ি আসতে ইরফান গাড়িতে ওঠে বসে।।।।
_____খুব সখ তোমার আমার কাছ থেকে দূরে থাকার!তা আমি একদম আজকে গুছিয়ে দেবো!চোর পুলিশ খেলতে ইচ্ছে করছে না তোমর সো গেইম স্টাট।।।।।।
________________________________________________
অন্ধকারে শুনসান রাস্তায় দৌড়াচ্ছে আয়ানা ।। চারিদিকে অন্ধকার আর কুয়াশা ডাকা।। আয়ানার গায়ে বিয়ের সাঝ যে কেউ দেখলে বলবে বিয়ে দেখে পালিয়ে এসেছে।। আয়ানা দৌড়াতে দৌড়াতে জন্গলের ভেতর ঢুকে পরে অন্ধকারে কিছুই দেখতে পাচ্ছে না সে! বারবার হুচট খেয়ে পরছে বড় বড় গাছপালার ফাঁকে আকাশের চাঁদটাও নিজের আলো ফেলতে অসক্ষম হচ্ছে।।।হাত পায়ের বিভিন্ন জায়গায় ছিরে রক্ত ঝরছে তবু ও ক্ষনিকের কষ্টের চেয়ে বেঁচে ফেরা টা মুক্ষম।।
শু শু আওয়াজে আয়ানা ভয়ে কুঁকড়ে গেলো ।। জন্গলের পাশের রাস্তা দিয়ে অসংখ্য গাড়ি যাচ্ছে তার আলো জন্গলের ভিতর প্রবেশ করছে।। আবার জন্গলের ভেতর কেউ লাইট মারছে যার কারণে জন্গলের ভেতর অনেক কিছু স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।। আয়ানা আবার দৌড়াতে লাগল এক টানে মাথার দোপাটা ফেলে দিলো তাতে করে দৌড়াতে বেটার ফিল করে।।। হঠাৎ মানুষের আওয়াজ পেয়ে তারাতাড়ি বড় কেউরা গাছের কোটোরার মধ্যে বসে পরল।।। পাতার গজগজ আওয়াজে আর ফ্লাস লাইটের গভিরতায় বলে দিচ্ছে লোক গুলো তার খুব নিকট।। নিজেকে আর একটু গুটিয়ে নিলো।। আস্তে আস্তে মানুষ গুলোর আওয়াজ আরো নিকট থেকে আসছে।।
পুপু পু ্্্পু পু পুপু পু্্্্ পু পু ্্্্্্্্্শিষের আওয়াজে আয়ানা ভয়ে থরথর থরথর করে কাঁপতে লাগলো মনে হচ্ছে মরন তার নাকের ডগায় সুড়সুড়ি দিচ্ছে ্্্
এই বিষাক্ত আওয়াজে জানান দিচ্ছে সেই আবার বিষাক্ত প্রহরে ঢুবে যাচ্ছে।।।কান্না গুলো ভেতরে ধলাপাকিয়ে যাচ্ছে্্্্নেই মুক্তি নেই এই বিষাক্ত আওয়াজের থেকে তার মুক্তি নেই।।। পরিবেশ টা দেখে মনে হচ্ছে কোন একটা হরর মুভি চলছে।
Welcome Back আয়ুজান।।।।।।
মাথা তুলার সাহস নেই নিজের সামনে মরন দেখলে মানুষ যেমন ভয়ে চাতক পাখির মতো ছটফট করতে থাকে তার ও হয়েছে এমন অবস্থা।।।
ভয় পাচ্ছো আয়ু জান।।ভয় পেয়ো না দেখো তোমার ভয় দূর করতে তোমার #The Villain হাজির। বাঁকা হেসে।।আহ কান্না করছো কেন কিছু একটা ভাবার অভিনয় করে।।ওওওও মনে পরেছে তোমার আরো চোর পুলিশ খেলতে ইচ্ছে করছে।।ডোন্ট ওয়ারি বেবি আমরা আবার খেলবো।। ওঠে পরো ফাস্ট আমরা আবার আমাদের গেইম স্টাট করি জোরে হাত টেনে দাঁড় করে বলল।।।।
সামনের দিকে ঘুরিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো তারপর গম্ভীর গলায় মুখে বাঁকা হাসি ফুটিয়ে বলল গো।।
বলতে দেরী আয়ানার আবার পুনরায় দৌড়াতে লাগল লোকগুলো তাকে রাস্তা করে দিচ্ছে যাওয়ার জন্য।। দৌড়াতে দৌড়াতে আয়ানা আবার রাস্তার মোড়ে এসে পৌঁছালো ।।।
এতোক্ষণ অন্ধকার থাকলেও এখন চারদিকে আলো আর আলো নিলাম বেলির প্রত্যেক টা গলি যেন রং বেরঙের ফেয়ারি লাইট দিয়ে সাজানো হয়েছে।। আয়ানা দৌড়াতে দৌড়াতে অনেক ক্লান্ত হয়ে গেছে হাঁটুর উপর ভর দিয়ে হাঁপাতে থাকে।।আশে পাশের সব বরফের ডাকা আকাশের অবস্থা জানান দিচ্ছে যে কোন সময় এখানে স্নো ফল শুরু হতে পারে।। তাকে একটি আশ্রয়ের জায়গায় খুঁজে নিতে হবে তাই সে সামনের ছোট দালান গুলোর কাছে এগিয়ে যায়।।
কেউ আছেন আমাকে একটু সাহায্য করুন প্লিজ আমি খুব ক্লান্ত।। শুনতে পারছেন কেউ না কেউ দরজা খুলে না।।পরপর কয়েকটি দরজা ধাক্কালো কিন্তু কোন সারা নেই।।। হঠাৎ মনে পড়ল আজকে খান বাড়িতে বিয়ে উপলক্ষে সবাই ওইখানে গেছে।। এখনো কেউ ফিরে নি। নিরাশ হয়ে আবার হাঁটতে শুরু করে সে।।।
হঠাৎ করে কয়েক টা গাড়ি তার আশেপাশে গোলাকার আকৃতি ঘুরতে থাকে।। হঠাৎ গাড়ি গুলো থেমে যায় আর প্রথম গাড়ি থেকে নেমে আসে খয়েরী শেরেওয়ানী পরা অত্যান্ত সুন্দর সুর্দশন এক যুবক আর সে হলো ইরফান। ইরফানের পাশে তার শান্ঘপাংগরা ও আছে।। তাদের দেখে আয়ানা কান্না করতে করতে মাটিতে বসে পরে।। ইরফান তার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পরে আর বলে।।
আবারও হেরে গেলে আয়ু জান তুমি জানো আমার থেকে তোমার মুক্তি নেই তবু ও নিজের বোকামির পরিচয় দেও ডেবিল হেসে।।
এই শহর আমার এই শহরে বাদশা আমি এখানে একটা পোকা পর্যন্ত আমার কথা ছাড়া নিজের অবস্থান বদলায় না আর সেইখানে তুমি কিনা বলে হো হো হো করে হাসতে লাগলো হঠাৎ করে আয়ানার চুলের মুঠি শক্ত করে ধরে মুখ বরাবর এনে বলল
তৈরি তো জান আমার #বিষাক্তময় আসক্তিতে নিজেকে বিলীন করতে।।।।।
(যারা #Tailor পরেছে তাঁরা এই জায়গাটা বুঝতে পারবেন)
_____ইরফান আয়ানার চুলের মুঠি থেকে হাত সরিয়ে আয়ানাকে টেনে কাঁদে তুলে নেয়!! আয়ানা মুখে ধরে কান্না করছে! ইরফান আয়ানাকে নিয়ে হাঁটা ধরলো নিজের রাজ্যের দিকে নিজের রানীকে নিয়ে!!! নিজের ভালোবাসা ,পাগলামো ,আর বিষাক্ত অনুভূতিতে তার আয়ু জানকে ভাসিয়ে দিতে ।।।।এক নতুন সকালের সূচনা হবে তাদের ভালোবাসা দিয়ে।।
______ইরফানের কঠিন শাস্তি থেকে আয়ানার মুক্তি নেই।। সেই প্রতিনিয়ত ভোগতে হবে।।আয়ানার জন্য তা দুঃখের হলে ইরফানের জন্য তা সুখের।।
#To_Be_continued…….🌼
(কাল থেকে ইরফান আয়ানার মেরিড লাইফের সূচনা শুরু।।।আর আয়ানার জন্য ইরফানের শাস্তি কী হতে পারে তা ইমেজিং করুন দেখি কে কেমন ইমেজিং করতে পারেন। সবার গঠন মূলক মন্তব্য আশা করছি 😊)
#Happy_reading