বিষাক্তময় আসক্তি (The Villain😈)
Sumaiya Akter Mim
পর্ব ২০………..🌼
আ_আমাকে ছেড়ে দিন প্লিজ!আ_আমি আর কখনো এমন ভুল করবো না!আর বাড়ি থেকে ও পালাবো না!ট্রাস্ট মি বলে জোরে জোরে কান্না করতে লাগলো আয়ানা।।।।।
_____ইরফান এক পা এক পা করে আয়ানার দিকে এগিয়ে আসছে মুখে তার ডেবিল মার্কা হাসি আর আয়ানা ইরফানের আগমনে ভয়ে বেডের মাথার সাথে লেগে যাচ্ছে।। ইরফান আয়ানার পায়ে ধরে টান দিয়ে দুই হাত বিছানা সাথে চেপে ধরে আয়ানার উপর নিজের সম্পূর্ণ ভার ছেড়ে দেয়।।আয়ানা আরো জোরে জোরে কান্না করতে লাগলো।।।।
_____কিছুক্ষণ আগে , ইরফান আয়ানাকে বাড়িতে নিয়ে আসলো।। ইরফানের কাঁধে আয়ানাকে এইভাবে দেখে সবাই অবাক হয়ে যায়।। ইরফান কোনো দিকে না তাকিয়ে আয়ানাকে নিয়ে রুমে চলে আসে।। রুমের দরজাটা আটকিয়ে আয়ানাকে ছুড়ে মারে নরম তুলতুলে বিছানায়।।আয়ানা ভয়ে তার কান্নার পরিমাণটা বাড়িয়ে দেয়। ইরফান নিজের গারের পিছনে হাত রেখে চোখ বন্ধ করে এদিকে সেদিকে ঘুরিয়ে কঠিন দৃষ্টি নিক্ষেপ করে আয়ানার দিকে।।আয়ানা ইরফানের ভয়াবহ রুপ দেখে তার এতোক্ষণের রুক্ষ কলিজা আরো শুকিয়ে যায়।।আয়ানা বার বার ঢুক গিলে নিজেকে শান্ত করতে চাচ্ছে কিন্তু বরাবরই ব্যার্থ হচ্ছে!!
_____তোমাকে কষ্ট দিয়ে আমাকে ব্লাকমেইল করে আমার থেকে দূরে যেতে চেয়েছিল!আমার ধৈর্য্য ধারণ করার ক্ষমতা কেমন তা যাচাই করছিলে।। খুব অন্যায় করেছো খুব বেশি অন্যান্য।। নিজেকে আঘাত করে আমাকে কষ্ট দিয়েছো আর আমার ফিলিংস আমাকে কষ্ট দিয়ে তুমি কাজটা ঠিক করো নি আয়ু জান।। এবার এর শাস্তি তোমাকে পেতে হবে!বলে নিজের শেরওয়ানি খুলতে লাগে।।।।
_____ইরফানের কথা শুনে আর ইরফানের কাজ দেখে আয়ানা তাৎক্ষণিক বিছানার উপর সোজা হয়ে বসে পরে আর বলতে লাগলো,,,,,,,
______আমি পরবর্তীতে এমন ভুল করবো না সত্যি!প্লিজ এবারের মতো মাফ করে দিন বলে চোখ ডলতে ডলতে নাক টেনে বাচ্চাদের মতো কান্না শুরু করে দিয়েছে।।____
_____আয়ানার কথায় ইরফানকে কাবু করতে পারেনি!সে নিজের কাজে ব্যাস্ত!! ইরফানের কোনো সারা না পেয়ে আয়ানা আরো ভয় পেয়ে যায়!সে আবার বলতে লাগে,,,,,,,
_____দ্বিতীয় বার আর এমন হবে না বলছি তোওওও ভয়ে কিছুটা চিৎকার করে বললো সাথে তো কান্না আছেই।। চোখ মুখ লাল করে ফেলেছে কান্না করতে করতে_______
______ইরফান নিজের শেরওয়ানিটা খুলে বাঁকা হেসে আয়ানার দিকে এগিয়ে আসতে আসতে বললো,,,,,
___নোও বেবি একদমই না তোমাকে ক্ষমা করা যাবে না! তুমি নিজেকে শাস্তি দিয়ে বড় ভুল করেছো তার শাস্তি তোমাকে পেতে হবে! তুমি আমার কলিজায় ক্ষতবিক্ষ করেছো! আমি তোমার সব ভুলের ক্ষমা করলে ও নিজের শরীরের বিন্দু পরিমাণ আঁচ করলে তার ক্ষমা করবো না বলে আয়ানার দিকে এগোতে লাগে।।।।
____বর্তমান,,,, ইরফান আয়ানার গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলো।আর আয়ানা ইরফানকে সরানোর চেষ্টা করছে কিন্তু ইরফানের মত এমন বডিবিল্ডার কে কি আর ওর মতো পিচ্চি বিড়াল ছানা সরাতে পারবে! তবু ও নিজের পিচ্চি পিচ্চি নরম তুলতুলে হাত দিয়ে ইরফানকে সরাতে চাচ্ছে যা ইরফানের বলিষ্ঠ শরীরের শুরশুরিও লাগছে না, সে নিতান্তই নিজের কাজ করতে ব্যস্ত! ইরফান আয়ানার হাত দুটুকে আসতে করে চেপে পিঠের দিকে মুরিয়ে আয়ানার গলায় চুমু খেতে থাকে।। মাঝে মাঝে বাইট করছে গভীর ভাবে!আয়ানা ঠোঁট চেপে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে! ইরফান আয়ানার গারে এক হাত রেখে গলা থেকে মুখ তুলে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়!! পাগলের মতো আয়ানার ঠোঁট দুটো চুষতে লাগলো।।আয়ানা চোখের পানি ঘরিয়ে পড়ছে বালিশে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।। ইরফান আয়ানার ঠোঁটে হালকা কামড় দিয়ে আবার গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলো সারা গলায় ঘাড়ে ঠোঁট বুলিয়ে দিচ্ছে।। আয়ানার অনেকক্ষন কোনো রেন্সপন্স না পেয়ে ইরফান মাথা তুলে আয়ানার দিকে তাকিয়ে দেখে আয়ানার চোখ বন্ধ।। (আপনারা যেমন ভাবছেন তেমন না এবার আয়ানা অজ্ঞান হয়নি ঘুমিয়ে গেছে 😁) প্রথমে বিয়ের ঝামেলা তাঁর পর পালানো আর শেষ -মেষ ইরফানের রোমান্টিক টর্চার সব মিলিয়ে আয়ানা খুব ক্লান্ত।আর এই সব মিলিয়ে সে ঘুমিয়ে যায়।এটা তার ছোট বেলার অভ্যাস অতিরিক্ত কান্না করলে আর একটু ক্লান্তিতে সে ঘুমিয়ে যায়।। ইরফান আয়ানার দিকে তাকিয়ে দেখলো আয়ানা ঠোঁট উল্টে ঘুমাচ্ছে!ভারি ভারি নিঃশ্বাস পরছে ইরফানের মুখে! ইরফান মুচকি হেসে আয়ানাকে ছেড়ে ওঠে পরে।।
_____ফার্স্ট এইড বক্স এনে আয়ানার কেটে যাওয়া স্থান গুলোতে মেডিসিন লাগিয়ে দেয়। কাঁটা স্থানে ব্যান্ডেজ করে দেয় সারা হাতে অসংখ্য চুমু খায়।। হাতের চুড়ি খুলে দেয় গায়ের সব জুয়েলারি খুলে দিয়ে গলায় চুমু খেয়ে বিছানায় শুয়ে আয়ানাকে বুকের উপর জরিয়ে নেয়।আয়ানার মাথায় চুমু খেয়ে ভালো ভাবে জরিয়ে নিয়ে বিড়বিড়িয়ে বলতে লাগে;;;;;;;;;;;
____আমার “বোকা পরী”। খুব ভালোবাসি আমার এই পরী টাকে !এক বিন্দু ও তোমাকে ছাড়া শ্বাস নিতে চাই না আমি।।।আয়ানার হাতে ডিপলি কিস করে ।।।।।
🌞 সকাল বেলা 🌞
_____আয়ানা পিট পিট করে চোখ খুলে আর বুঝে নেয়।আয়ানা ইরফান কে টাইট করে জরিয়ে রেখেছে।।চোখ বন্ধ করে মুচ্রামুচরি করছে। নাক মুখ ঘসছে ইরফানের বুকে।এটা আয়ানার রোজকার অভ্যাস।।আয়ানা সবসময় টেডি নিয়ে ঘুমায় সেই সুবাদে প্রতিদিন সকালে সে ঘুমের ঘোরে এমন করে।। এমন করে নিজের ঘুম ছুটায়।।যখন টেডি থাকে না তখন স্বাভাবিক ভাবেই ঘুম থেকে উঠে।। এখন আয়ানা ঘুমের ঘোরে ইরফান কে টেডি ভেবে এমন করছে।। অন্য দিকে ইরফানের অবস্থা নাজেহাল!সে এতোক্ষণ আয়ানার কর্ম কান্ড আবাক চোখে দেখছিল। কিন্তু আয়ানার স্পর্শ গুলো তার মনে অন্যরকম শিহরণ জাগাচ্ছে।। তাকে পাগল করে তুলছে প্রতিটা স্পর্শ।।
_____আয়ানার মনে হচ্ছে আয়ানার টেডিটা আজকে তুলতুলে থেকে শক্ত পাথরের পরিনত হয়েছে! নাহলে এতো শক্ত কেনো।।আয়ানা ইরফানের বুকে নিজের মধ্যে আঙ্গুল গুঁতো মেরে পরিক্ষা করছে কিন্তু না ঠিকই শক্ত।।আয়ানা ঠোঁট উল্টিয়ে ছোট ছোট চোখে উপরে দিকে তাকিয়ে দেখে ইরফান তার দিকে তাকিয়ে আছে।। ইরফান কে দেখে আয়ানা কারেন্ট শক খাওয়ার মতো এক ঝাটকায় ইরফান কে ছেড়ে বিছানা ছেড়ে ফ্লোরে দাঁড়িয়ে পরে। থরথর করে কাঁপছে সে , লেহেঙ্গাটা শক্ত করে ধরে রেখেছে।।। ইরফান আয়ানার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে আয়ানার হাত ধরে টেনে নিজের উপর এনে ফেলে।।আয়ানা ভয়ে চোখ দুটো বন্ধ করে ফেলে।। ইরফান আয়ানার কানের পেছনে চুল গুলো গুজে দিয়ে কানে কাছে স্লো ভয়েসে বলে,,,,
_____গুড র্মনিং মেরি জান! আজকে আমাদের মেরিড লাইফের প্রথম দিন।। এখন থেকে প্রতি দিন আমি তোমার মুখ দেখে ঘুম থেকে উঠবো আর তুমি আমাকে প্রতিদিন জাগিয়ে দিবে কেমন।______
___আয়ানা মাথা নাড়িয়ে হ্যা বুঝায়। ইরফান মুচকি হেসে আয়ানাকে কুলে নিয়ে কাবার্ডের সামনে দাড় করিয়ে দিল।।কাবার্ড খুলে বলতে লাগলো,,,,,
___এখানে যা আছে সব তোমার!আর যা প্রয়োজন হবে আমাকে বলবে।।
আয়ানা ইরফান থেকে চোখ সরিয়ে কাবার্ডের দিকে তাকালো।কাবার্ডের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে আবার ইরফানের দিকে তাকালো পরবর্তীতে আবার কাবার্ডের দিকে।।এতো কিছু থাকতে তার আবার কি প্রয়োজন হবে।।
______ইয়া বড় কাবার্ডে শুধু আয়ানার জামা কাপড়ে দিয়ে পরিপূর্ণ।।। শাড়ি ,গ্ৰাউন,থ্রি পিস,টপস, স্কাট ,যা যা প্রয়োজন সব আছে। আবার প্রত্যেক ড্রেসের সাথে মেচিং জুতা জুয়েলারি ভরপুর।।।
______ইরফান আয়ানার হাত ধরে কাবার্ডের পাশে চেঞ্জিং রুমের দরজা খুলে ভেতরে নিয়ে যায়।।। এখানে এসে আয়ানা আরেক দফা অবাক। এখানে ইরফান একটা ছোট খাটো শোরুম দিয়ে ফেলেছে।। এখানে ও খুব সুন্দর করে আয়ানার ড্রেস সাজানো যেমন করে শপিং মলে থাকে।। ইরফান আয়ানাকে নিয়ে বড় একটা লকারের সামনে যায় সেখানে গিয়ে আয়ানার জম্মদিন প্রেস করতে লকার খুলে যায়।।। এখানে ও আয়ানার জন্য জুয়েলারিতে ভরা। ইরফান দুই বক্স জুয়েলারি নিয়ে আয়ানাকে দেয়_______
______এখন ফ্রেস হয়ে এগুলো পরে নিবে।।।এখন গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসো।।কপালে চুমু খেয়ে
___আয়ানা মাথা নাড়িয়ে ফ্রেশ হতে চলে যায়।। ইরফান আয়ানার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।।।তারপর নিজের মোবাইল টিপতে টিপতে রুমের ব্যাক সাইডের কাচের দরজা খুলে পুল সাইডে চলে যা।।।
____অনেকক্ষন পর ইরফান রুমে এসে দেখে তার বোকা পরীটা একটা মিষ্টি কালারের জর্জেটের শাড়ি পড়েছে, ভিজা চুল থেকে টপটপ করে পানি পরছে পিঠে দৃশ্যমান অংশে বিন্দু বিন্দু পানি।তা দেখে ইরফান শুকনো ঢুক গিললো।।এমন মুহনিয় দৃশ্য দেখে তার মাথা হ্যান্গ হয়ে যাচ্ছে।। এইভাবে আয়ানাকে দেখলে তার কন্ট্রোল হয় না।তার উপরে এই অবস্থা।।।
_____আয়ানা কখন থেকে পেছনের ফিতা লাগানোর চেষ্টা করছে! কিন্তু তার পিচ্চি পিচ্চি হাত দুটো পেছনে যাচ্ছেই না। হঠাৎ পিঠে গরম নিঃশ্বাস পরতে আয়ানা কেঁপে উঠলো। পেছনে না তাকিয়ে বুঝতে পারছে ইরফান দাঁড়িয়ে আছে।।।আয়ানা পেছনে না তাকিয়ে চোখ চেপে বন্ধ করে ফেললো।।।
____ইরফান আয়ানার ভেজা চুলে মুখ গুজে দিয়ে এক হাত শাড়ি ভেদ করে আয়ানার পেটে স্পর্শ করলো।।আয়ানা ইরফানের হাত খামচে ধরে আরেকটু চোখ খিচে বন্ধ করে ফেলে।।।
__ইরফান আয়ানার চুলে মুখ রাখা অবস্থায় বলতে লাগলো,,,,,
_____আর কতো পাগল করবে আমাকে আয়ু জান।।। আমি তোমাতে বারবার হাড়িয়ে যাই।। এমন বারবার আমার নেশা টা বাড়িয়ে দিলে কিন্তু এর শাস্তি তোমাকে ভোগ করতে হবে পিচ্চি বোকা পরী।।ইরফানের কথায় ক্ষনে ক্ষনে কেঁপে উঠে আয়ানা।। লজ্জায় গাল দুটো লাল হয়ে যাচ্ছে।। আজকে ইরফানের কথা তার খারাপ লাগছে না বরং অন্যরকম শিহরণ বয়ে যাচ্ছে সারা শরীরে।।এই কেমন অদ্ভুত ফিলিংস হচ্ছে তার এই ছোট্ট মনে।।।তাহলে কী এটাই ,যে বিয়ের পর স্বামীর প্রতি ভালোবাসা অদ্ভুত টান।।।। তাহলে এটাই কি স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসর বন্ধনের সূচনা।।।
#To_Be_Continued
(সম্পূর্ণ লিখা হয় নি তাই আজকে দিবো না ভেবেছিলাম কিন্তু দিবো না বলায় সবার গল্পের প্রতি ভালোবাসা দেখে যতটুকু সম্ভব লিখেছি।।রিভেশন দেওয়ার ও সময় পাইনি তাই ভূল ক্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।আর ভালো মন্তব্য আশা করছি 😊)
#Happy_Reading