বিষাক্তময় আসক্তি (The Villain😈)
Sumaiya Akter Mim
পর্ব ২৩………🌼
ঝিরিঝিরি স্নো ফলে চারিদিকে সাদা আবাহা ধারণ করছে।। ঠান্ডা বাতাসে শরীরের লোম গুলো পর্যন্ত দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।আয়ানা শরীরের শারিটাকে আরেকটু ভালো করে জরিয়ে নিলো।। শরীরটা সামান্য চুলকাচ্ছে প্রথম প্রথম শাড়ি পরার কারনে।।শাড়ি পরার অভ্যাস নেই আয়ানার শাড়ি পরলে পৃথিবীর সব ঝামেলা তাকে ঘিরে ধরে।। হাঁটতে চলতে পারে কিন্তু শাড়ি পরার ফলে তার চুলকানির প্রবলেম হয়! এখন ও হালকা হচ্ছে কিন্তু এইরকম একটা আবহাওয়া তার কাছে বেশি ভালো লাগছে। ছোট কাঁচের এ্যাটাচ’ড ছাদের উপর দাঁড়িয়ে আছে আয়ানা।। যেহেতু ইরফান নেই তাই এখানে এসে একটু প্রকৃতি বিলাস করছে! ইরফান থাকলে তো রুমের ভেতরে ও শ্বাস ফেলতে ভয় পায় আয়ানা।।। এতো ভয় নিয়ে কী বাঁচা যায় কিন্তু তাকে বাঁচাতে হবে নিজের পরিবারের জন্য?কারন, তার একটা পদক্ষেপ তার পরিবারের জন্য ভারি হয়ে যাবে।।।
___ইরফান রুমে প্রবেশ করে আয়ানাকে চারিদিকে না দেখতে পেয়ে রেগে গিয়েছিল কিন্তু যখন মিনি ছাদ টায় আয়ানার প্রতিচ্ছবি দেখতে পেলো মুখের কোণে হাঁসি ফুটে উঠল।বড় বড় পা ফেলে আয়ানার কাছে গেলো।আয়ানা তখনো উল্টো ঘুরে আছে পেছনে ইরফানের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পেছনে তাকাবে তার আগে ইরফান চটজলদি আয়ানাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে।।আয়ানার দুই হাত নিজের এক হাত দিয়ে সামনে থেকে শক্ত করে ধরে আর অন্য হাত আয়ানার শাড়ির উপরে পেটে চেপে ধরে ঘারে মুখ গুজে নেয়।। হঠাৎ এমন আকড়মনে আয়ানা ভয়ে চোখ চেপে বন্ধ করে নিলো।। ইরফান আয়ানাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে এতোটা শক্ত করে ধরে আছে একটু হালকা হলে মনে হয় আয়ানা হারিয়ে যাবে। ইরফান আয়ানাকে জরিয়ে ধরে ঘারে নাক ঘসতে লাগলো,,,,
___খুব ভালোবাসি আয়ু জান খুব! আমার নেশা আমার ছোট পরী তোমাকে ছাড়া নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় আমার! আমাদের মাঝে আর কোনো দূরত্ব বজায় থাকবে না। যতো ঝামেলা আসবে তা আমি কখনো তোমায় পর্যন্ত পৌঁছাতে দিবো না।ডোন্ট ওয়ারি আয়ু জান তোমাকে আমি সেই আগের আমার সাথে পরিচয় করবো না তোমাকে আমি এই আমি’টায় চিরকাল জরিয়ে রাখবো! আমার হিংস্রতা সব তোমার ভালোবাসা ঘিরে এটা আমি পরিবর্তন করতে পারবোনা তোমার জন্য আমাকে যতো হিংস্র হতে হবে হবো তোমাকে যারা কষ্ট দিবে তাদের আমি এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করিয়ে উপরে পাঠিয়ে দিবো কিন্তু দিন শেষে তোমাকে আমার কাছে আসতে হবে আর আমাকেই ভালোবাসতে হবে আর এটাই নিয়তি।।(মনে মনে)
“ইরফান আয়ানার ঘারের চুল গুলো এক হাতে সরিয়ে কানের লতিতে হাল্কা চুমু খেয়ে আয়ানার কানে মুখ এনে ফিসফিস করে বললো,,
__তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে আয়ু জান বলে আয়ানার চোখে কালো কাপড় বেঁধে দেয়! আয়ানা ঘাবড়ে যায় চোখ বাঁধার ফলে কিছু দেখতে পাচ্ছে না শুধু অন্ধকার ছাড়া আর অন্ধকার আয়ানা খুব ভয় পায়।। হঠাৎ আয়ানা হাওয়া ভাসতে থাকে ইরফান তাকে কোলে তুলে নিয়েছে।।
__ভয় পেয়েও না আয়ু জান আমি আছি তো তোমার কাছে বলে আয়ানার কপালে চুমু খেয়ে সামনের দিকে এগোতে লাগে।আর আয়ানা ইরফানের কোলে ঘাপটি মেরে আছে পরে যাওয়ার ভয়ে এক হাত ইরফানের পাঞ্জাবি মুঠো করে ধরে রেখেছে।।।
_________________________
ইরফান আয়ানাকে নিয়ে বাড়ির রুফটপে চলে যায়! অনেক সুন্দর রুফপটটা! চারিদিকে কাঁচের ভেরি দেওয়া। অনেক গুলো গাছ লতাপাতা দিয়ে সাজানো রুফটপটা।কয়েক রকমের সোফা সুন্দর ভাবে গুছিয়ে রাখা আছে।মাঝ বরাবর ছাতার মতো করে বেশ বড় গোলাকার সাদা কয়েকটা লাইট জ্বালানো! অসম্ভব সুন্দর রুফটপটা।। এখানে দাড়ালে সম্পূর্ণ বাড়ির আশপাশে দেখা যায় সম্পূর্ণ পরিবেশের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।।।রুফটপের লাইট গুলো অফ করে হালকা আলোর লাইট জ্বালিয়ে দিয়েছে এতে করে চাঁদনী রাতের মতো করে ফুরফুরে আলোয় চারিদিকে রোমান্ঝকর আবাহা সৃষ্টি করছে।।।
__ইরফান আয়ানার চোখের কাপড়টা সরাতেই আয়ানা ধিরে ধিরে চোখ খুললো।। চারিদিকে তাকিয়ে আয়ানার চোখে মুগ্ধতা ছুঁয়ে গেলো।। অসম্ভব সুন্দর পরিবেশ আশেপাশের সব কিছুর মধ্যে মুগ্ধতা বিরাজ করছে।।রুফটপটা অসাধারণ তার সাথে আয়ানাকে সারপ্রাইজ দিবে বলে আরো দারুন ভাবে কিছু সময়ের মাঝে সাজানো হয়েছে।নানা রকমের ফ্লাওয়ার,ক্যান্ডেল দিয়ে সাজানো।আয়ানা মুগ্ধ নয়নে চারিদিকে দেখছে আগে কখনো এমনটা দেখেনি সে।।আয়ানা চারিদিকে তাকাতে ব্যাস্ত আর ইরফান তাকে দেখতে!
__কমড়ে ঠান্ডা হাতের স্পর্শে আয়ানা চোখ বন্ধ করে নিলো। ইরফান আয়ানার কমড়ে হাত দিয়ে স্লাইট করছে আর অন্য হাত আয়ানার হাতে মুষ্টিবদ্ধ করে রেখেছে। হঠাৎ করে আয়ানার চেপে থাকা চোখ গুলো আস্তে আস্তে খোলে সামনের দিকে তাকালো।। তার কানে ঝিঁঝিঁ পোকার আওয়াজ আসছে কিন্তু কোথায় তার সুর অনুসরণ করতে পারছে না।
__ইরফান আয়ানার কাধের চুল সরিয়ে সেখানে নাক দিয়ে ঘষে জোরে নিঃশ্বাস টেনে নিলো তারপর এক এক করে ডিপলি কয়েকটি কিস করলো।
“জানো আয়ু ভালোবাসা এমন একটা নেশা যার কাছে পৃথিবীর সব নেশা হার মানায়। ভালোবাসা মানুষকে হিংস্র করে তোলে নিজের ভালোবাসার মানুষকে পাবার জন্য। আমি ও তোমার ভালোবাসায় হিংস্র।আর পাঁচটা সাধারণ প্রেমিক নই খুবই ডেন্জারেস সাইকো ভিলেন লাভার।। তোমার সীমা-রেখা আমি পর্যন্ত এর বাহিরে তুমি চাইলে ও যেতে পারবে না আর আমি তোমাকে যেতে ও দিবো না! বলে আয়ানাকে সামনে ঘুরিয়ে আগের মত করে জরিয়ে কপালে গভীরভাবে চুমু খেলো।।।।
__ইরফানের কথা গুলো এখন আর বুঝতে সমস্যা হয় না আয়ানার। ইরফানের চোখের দিকে না তাকালে ও ইরফানের প্রত্যেকটি কথা ইরফানের হৃদস্পন্দন বার বার বলে দেয় সে তাকে কতোটা ভালবাসে আর এটাও জানে এই বিষাক্ত ভালোবাসা থেকে চাইলে ও তার মুক্তি নেই।।সব মেয়েদের মতো আয়ানা ইরফানের ভালোবাসার ডাকে সাড়া দিতে পারছে না কারন একটাই তার মন প্রান উজাড় করে শুধু ইরফানের প্রতি ভয়ের বসবাস এই ভয় কে কখনো সে জয় করতে পারবে না যদি ইরফান সম্পূর্ণ রুপে বদলায় তবু না।। কিন্তু আয়ানা চাইলে তার সফ্ট হৃদয়ে ইরফানের জন্য ভালোবাসা তৈরি করতে পারে।__
“যেখানে নিয়তি তাদের কাছে আসা চাইছে প্রকৃতি তাদের মিলনের ব্যবস্থা করছে সেখানে ভালোবাসা একদিন না একদিন তৈরি হয়ে যাবে।আর ইরফানের অতিরিক্ত আসক্তি আয়ানার মনে ও ভালোবাসার ফুল ফুটাবে তার ও অবুঝ মন ইরফানের ডাকে সাড়া দিবে এটাই ব্যাস্তবতা আর এটাই ইরফানের #বিষাক্তময়_আসক্তি ”
__হঠাৎ সকল লাইট অফ হয়ে গেলো চারিদিকে অন্ধকার নেমে এসেছে!আয়ানা ভয়ে ইরফানের বুকের কাছে পাঞ্জাবিটা আরেকটু শক্ত করে জড়িয়ে নিল তা দেখে ইরফান মুচকি হেসে আয়ানাকে এক হাত দিয়ে জরিয়ে নিলো আর অন্য হাত দিয়ে ইশারা করতে চারিদিকে আস্তে আস্তে ঝিকিমিকি আলোয় ভরে উঠল।।
__এবার চোখ খুলো আয়ু জান।আর এইভাবে আরেকটু ধরে রাখলে কিন্তু আমি তোমাকে কিছু একটা করে বসবো বলে বাঁকা হেসে আয়ানার কপালে মধ্যে আঙ্গুল দিয়ে স্লাইট করে ঠোঁট অবদ্ধি থামে।।
আয়ানা ইরফানের কথা শুনে ইরফানকে হালকা ছেড়ে দিয়ে মাথা নিচু করে নিল হঠাৎ ঝিঁঝিঁ পোকার আওয়াজে আয়ানা ভালোভাবে চোখ তুলে তাকালো।। চোখ তুলে তাকাতে আয়ানা চোখ বড় করে চারপাশের দিকে তাকালো।। সম্পূর্ণ রুফটপ জুরে অসংখ্য ঝিঁঝিঁ পোকার মেলা কিন্তু কথা হচ্ছে এমন একটি পরিবেশে এমন কিছু আশা করা যায় না। বাংলাদেশ হলে এক কথা ছিলো কিন্তু কাশ্মীরে ঝিঁঝিঁ পোকা তা তার জানা নেই।।। কিন্তু ইরফানের কাছে সব অজানাই জানা আর অসম্ভব ও সম্ভব।।।
ইরফানের হাত আলগা হতে আয়ানা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ঝিঁঝিঁ পোকা গুলো দেখছে অপূর্ব সুন্দর লাগছে এতো সুন্দর পরিবেশে এটা একদম মিলে গেছে।। আশেপাশে কি আছে সেখানে হুঁশ নেই সে এখন এসবেই মন্ত্য।।ইরফান রেলিং এর সাথে পিঠ ঠেসে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আয়ানার দিকে।আয়ানার ঠোঁটে ওই বিন্দু হাসির কারন শুধু সে এটা ভেবে তার বুকে খুশীর কম্পন সৃষ্টি করছে।এই একটু হাসির জন্যই তো এতো কিছু করা।।এই এক বিন্দু হাসির জন্য সব করতে পারবে আর এটা তো খুব ছোট সারপ্রাইজ।। তার জানের জন্য সে সব করতে পারে।।। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সব ডেকরেট করছে গার্ডদের দিয়ে। নিজের কেমিক্যাল ক্লাব থেকে এই সব গার্ডদের দিয়ে আনিয়েছে।। ইরফানের ফুল দিয়ে মেডিসিন এবং কি বিভিন্ন পোকামাকড় থেকে কেমিক্যাল তৈরি করে সেখান থেকে এইসব আনা।।।
__আয়ানা ঝিঁঝিঁ পোকা ধরতে যাবে এমন সময় ইরফান আয়ানার হাত ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়।। হঠাৎ এমন হওয়া আয়ানা ভয়ে ঢুক গিলে ইরফানের দিকে ভিতু চোখে তাকায়।। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।। ইরফান এক হাত দিয়ে জোনাকি পোকা গুলো সরিয়ে দেয় আয়ানার দিকে তাকিয়ে শান্ত গলায় বলল,,
__আরেকটু হলে তোমার হাতে গরম লাগতো এসব পোকার আলোর কারনে এদের শরীর খুব গরম থাকে আয়ু পরবর্তী সময়ে এমন অন্যমনস্ক হয়ে কোনো কাজ করবে না ঠিক আছে।।।আয়ানা মাথা নাড়িয়ে হ্যা বলে।।। ইরফান আয়ানার দিকে তাকিয়ে ব্লাসিং হতে থাকে।আয়ানার চোখে পুনরায় হাত দিয়ে হালকা ভাবে ঢেকে দেয় অন্য হাত আয়ানার হাতে নিয়ে সামনের দিকে ধিরে ধিরে এগিয়ে যেতে লাগে আয়ানাকে নিয়ে রুফটপের শেষ কর্নিশে দাঁড়িয়ে পরে এখানে উঁচু মতে মাঝারি সাইজের একটা টেবিল রাখা ইরফান সেখানে নিয়ে ধীরে ধীরে আয়ানার চোখের উপর থেকে হাত সরিয়ে নিলো।আয়ানা আস্তে করে চোখ তুলে তাকাতে আয়ানার খুশিতে চোখ দুটো চকচকে হয়ে উঠলো আয়ানা একবার ইরফানের দিকে তাকালো ইরফান মুচকি হেসে আয়ানাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো আয়ানা ইরফানের থেকে চোখ সরিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হেসে সামনের বাটারফ্লাইয়ের বয়মটা হাতে নিলো।। টেবিলের উপর অসংখ্য বাটারফ্লাইয়ের বয়ম।।আয়ানার ছোট বেলায় থেকে বাটারফ্লাই অনেক পছন্দের।সবসময় এটার পেছনে ঘুরঘুর করতো কিন্তু কখনো ছুঁয়ে দিতে পারতো না।। শীতল সবসময় তাকে বলতো একদিন এমন হবে এসব বাটারফ্লাই তার একদম হাতের কাছে থাকবে তখন তাকে পেছন পেছন ঘুরে বেড়াতে হবে না।সে যেমন চাইবে তেমন করে এদের ছুঁয়ে দিতে পারবে।।এসব কথা নিত্যান্ত তাকে বুঝানো হতো যাতে সে মন খারাপ না করে কিন্তু আজকে তা সত্যি সত্যি তার হাতের খুব নিকটে।।।আয়ানা বয়মটা হালকা খুলে নিজের হাতটা বয়মের ভেতরে দিতে প্রজাপতিরা আয়ানার আঙ্গুলের সাথে খেলতে লাগলো তার কাছে এটা অসম্ভব সুন্দর লাগছে সে বয়মের মুখটা খুলে দিলো আর তার সাথে সাথে সব প্রজাপতিরা ডানা মেলে উড়তে লাগলো।। একদম সব কিছু স্বপ্ন মনে হচ্ছে তার কাছে।। তার কাছে কে আছে সে কোথায় আছে তার সাথে গত কিছুদিন কী হয়েছে কিছুই তার খেয়াল নেই।।সে তো এখন এই অসম্ভব সুন্দর রুপকথায় নিজেকে হারিয়ে ফেলছে।।।। (একজন বন্দিদের মুক্তি দিচ্ছে আর অন্য জন তার জন্যই তাদের বন্দি করছে)
__ইরফানের মুখে ফুটে উঠেছে তৃপ্তির হাসি সে পেরেছে তার জানকে হাসাতে।।সে তো এমন আয়ানাকে দেখতে চেয়েছিল।।।যার মুখের মিষ্টি হাসিতে নিজেকে বিলীন করবে সারাক্ষণ।।।
আয়ানা অন্য বয়মের প্রজাপতি উরাতে যাবে ইরফান শক্ত করে আয়ানাকে জরিয়ে ধরে।আয়ানা এতোক্ষণে বাস্তবে ফিরে এসেছে।। এতক্ষণ সে কি করছিল তার বোধগম্য হচ্ছে না।। আয়ানা ভিতু চোখে ইরফানের দিকে আড়চোখে তাকালো ইরফান আয়ানার হাত ধরে মুচকি হেসে বয়মের প্রজাপতি গুলো উরিয়ে দিল।।এক এক করে সব বয়মের প্রজাপতি উরাতে লাগলো দুজনে।।সব প্রজাপতিরা জোট হয়ে কিছুক্ষণ তাদের মাথার উপর ঘুরো ঘুরি করে সেখান থেকে চলে যায় আর আয়ানা ওদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।।।
__ইরফান আয়ানাকে সামনের দিকে ঘুরিয়ে আয়ানার কপালের চুল গুলো সরিয়ে দেয়।।
“কেমন লেগেছে সারপ্রাইজ আয়ু জান?আয়ানার নাকের সাথে নিজের নাক ঘসে।।
__জ্বি ভালো! মাথা নিচু করে।
__শুধুই ভালো আর কিছু না।আয়ানার গারে কিস করে।।
__জ্বি জ্বি অনেক সুন্দর হয়েছে। কাঁপা কাঁপা গলায়।।
__তাহলে তো তোমাকে আমায় এর বিনিময়ে কিছু দিতে হয়।বলে আবার আগের মত চুমু খেলো।।
__(নিশ্চুপ)_____
__কি হয়েছে আয়ু জান কথা কেনো বলছো না।নেশালো ভয়েসে বললো।।
__জ্বি !!!!!
__তোমাকে এতো সুন্দর সারপ্রাইজ দিয়েছি তার বিনিময়ে তুমি আমাকে নিজের থেকে শক্ত করে জরিয়ে ধরবে আর ঘনে ঘনে পাঁচটি কিস করবে তা আমার উন্মুক্ত বুকে। বুকের বাম দিকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে।।।
ইরফানের কথা শুনে আয়ানা চোখ গুলো আকারে রসগোল্লার মতো হয়ে গেছে।।আয়ানার অবস্থা দেখে ইরফান বাঁকা হেসে চার পাঁচ পা পিছনে চলে যায় ইরফান।।আয়ানার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো,,,
__তোমার টাইম স্টাট হবে! আমি পাঁচ পর্যন্ত কাউন্ট করবো।।
আয়ানা ইরফানের কথা শুনে ভয়ে লজ্জায় হাত কচলাতে লাগলো!তার দ্বারা এটা কখনো হবে না। যাকে দেখলে ভয়ে শরীর থেকে আত্মা বের হয়ে যায় যার দিকে একবার ভয়ে তাকায় ও না তাকে কিনা সে চুমু খাবে তা ও আবার বুকে।।।ভয়ে এই ঠান্ডায় আয়ানা তরতর করে ঘামছে।।।
__কাউন্ট স্টাট আয়ু জান!৫,৪,…৩,..২..১।বলার সাথে সাথে আয়ানা দৌড়ে ইরফানের সামনে চলে আসে।তা দেখে ইরফান দুই হাত ছরিয়ে দেয় মুখে তার বাঁকা হাসি আর আয়ানাকে জব্দ করার খুশি।।আয়ানা নিচের দিকে তাকিয়ে ঠোঁট দুটো চেপে কান্না আটকাছে।।এই তার এক সমস্যা যখন তার রাগ উঠবে বা তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাকে কিছু করতে হবে তখন তার খুব কান্না পায়।। ইরফান আয়ানার দিকে তাকিয়ে বললো,,
__কেদে কোনো লাভ নেই আয়ু জান আমি জানি তোমার খুব কান্না পাচ্ছে যদি তুমি কান্না করো তাঁর শাস্তি পেতে হবে আর তুমি যা করছো তা কমপ্লিট না করলে তার জন্য ও শাস্তি পেতে হবে সো ফার্স্ট।।।
অন্য সময় হলে আয়ানা চিৎকার করে বলতো এমন সারপ্রাইজের আমার প্রয়োজন নেই যার কারণে এমন শর্ত এবং শাস্তি পেতে হবে তাকে।।নিখুচি করি এমন সারপ্রাইজের।।
__কী হলো? তুমি যতো সময় নিবে ততো কিস বাড়বে! তুমি এক মিনিট দেরি করলে কিস বেড়ে পাঁচ থেকে আটে যাবে।। যেহেতু দেরি করেছো তাই বেড়ে আট এখন আরো বাড়বে বলে শয়তানি হাসি দিলো ইরফান।।
__আয়ানা ইরফানকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো তা দেখে ইরফান আয়ানাকে হাত দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।। খুব শান্তি লাগছে আয়ানার এই নিজের থেকে ইরফানকে ছুঁয়া অমৃতের মতো লাগছে।আয়ানা চোখ বন্ধ করে ইরফানের বুকে দিকে এগিয়ে যায় একবার যায় অরেকবার পিছিয়ে যায়।। ভয়ে থরথর করে কাঁপছে আয়ানা।। ইরফান আয়ানার মাথার পিছনে হাত রেখে চেপে ধরে আয়ানা চোখ বন্ধ করে ধিরে ধিরে ইরফানের উন্মুক্ত বুকে নিজের নরম ঠোঁট দিয়ে ইরফানের শক্ত বুকে স্পর্শ দেয়।।এই একটি স্পর্শে ইরফানের মরুভুমি মতো রুক্ষ বুকে শিতলতার আমেজ ছড়িয়ে দেয়।।আয়ানা চোখ মুখ খিচে এক এক করে আটটা কিস দিয়ে থামে । অন্যদিকে ইরফান সুখের সাগরে ভাসছে। এতো সুখ এতো আনন্দ জিবনে প্রথম উপলব্ধি করেছে।।আয়ানা কিস করে পিছিয়ে যেতে নিলে ইরফান আয়ানাকে টান দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে নেয় আর চোখ বন্ধ করে মিনমিনিয়ে গলায় বলতে লাগলো,,,,,
___”আমার ছোট্ট পরী। আমার কলিজা! আমার নেশা!”
আয়ানা ইরফানের সেই মিনমিনে কথা গুলো শুনতে পেলো না।।
#To_be_continued……..🌼
(আরেকটু আগে আর আরো বড় করে গল্প দেওয়ার ইচ্ছে ছিল কিন্তু ঈদ উপলক্ষে হাতে মেহেদি দিয়েছি তাই দিতে পারিনি। মেহেদী তুলে সাথে সাথে গল্প দিলাম।আর ঈদের দিন গল্প চেয়ে আমাকে কেউ লজ্জা দিবেন না।ফ্রি হলে ঈদের পরের দিন থেকে গল্প দিবো।।সবাই কে ঈদের অনেক শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক ❤️)