#বিষাক্তময়_আসক্তি(The Villain😈)
#Sumaiya_Akter_Mim
#পর্ব_২৬…………🌼
_”ইরফানের বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে আয়ানা। চোখে বিন্দুমাত্র ও ঘুম নেই সারাদিন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কাটিয়েছে আজকে।। ইরফান আয়ানাকে জড়িয়ে ধরে অন্য হাত দিয়ে মোবাইলে ঘাঁটাঘাঁটি করছে।।।এক হাতে মোবাইল আর অন্য হাতে আয়ানার আঙ্গুল নিয়ে খেলা করছে।। আজকে সারাদিন আয়ানাকে খাবার মেডিসিন আর রোমান্টিক টর্চার করেছে।।।রাতের খাবার খাওয়ার শেষে মেডিসিন খাওয়ার সময় আয়ানা দাঁত ঠোঁট খিচে বন্ধ করে রেখেছে।।। ইরফান জোর করে আয়ানার মুখ চেপে মেডিসিন খাইয়ে দিয়েছে।। একবার ফেলে দিতে চেয়েছিলো কিন্তু ইরফান হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে শক্ত চোখে আয়ানার দিকে তাকানোতে দ্বিতীয় বার আর এক কাজ করার সাহস হয়নি তার।।। তারপর বিছানায় শুইয়ে দুই হাত আয়ানার দুই কাঁধের পাশে রেখে আধশোয়া হয়ে আয়ানার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে আয়ানার গালে চুমু খেতে থাকে! চুমু খেতে খেতে আয়ানার গালটা একদম টমেটোর মতো লাল করে ফেলেছে।।আর এখন এইভাবে জোর করে জড়িয়ে রেখেছে! একটুখানি নড়াচড়া করার ও সুযোগ নেই।।।
ক্রিং ক্রিং ক্রিং মোবাইলের আওয়াজ হতে বেডের সাথে ছোট টেবিলের উপর থেকে ইরফান নিজের মোবাইলটা নিয়ে কানে দিলো।।আয়ানা সরে আসতে চাইলে ইরফানের কঠিন দৃষ্টি দেখে ঠোঁট উল্টিয়ে আবার আগের মতো শুয়ে পরলো।।।
__হ্যালো!
__সালাম স্যার!(অপর পাশে)
__হুম !সব ব্যবস্থা হয়েছে।।
__জ্বি স্যার! (অপরপাশে)
__যে কাজটি দিয়েছি ওইটা কতো দূর!
__পালিয়েছে স্যার আমরা চারিদিকে ছড়িয়ে আছি আপনি বললে আক্যাসেন নিবো কিছুটা ভয়ে।।
__নজর রাখো কিছু করতে হবেনা। এতো সহজে শিকার করতে মজা পাওয়া যায় না! বলে বাঁকা হাসলো ইরফান।।।
__ওকে স্যার!
বলার সাথে সাথে মোবাইলটা গট করে কেটে দিলো ইরফান।।। হাতের মোবাইলটা রেখে আয়ানাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে তার উপর ঝুঁকে আয়ানার গালে হাত বুলাতে লাগলো।।
__আমার থেকে সবসময় এতো পালাই পালাই করো কেন আয়ু জান।। তুমি যতো দূরে পালাবে ততো আমাকে তোমার কাছে পাবে! শুধু শুধু নিজের এনার্জি নষ্ট করে লাভ নেই! বরং এগুলো বাঁচিয়ে রাখো আমার সাথে রোমান্স করার জন্য! বলে দুষ্ট হাসি দিয়ে আয়ানার গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয়।।।আয়ানা চোখ বন্ধ করে ইরফানের স্পর্শ গুলো অনুভব করছে।।।আয়ানার হাত দুটো নিজের চুলের মাঝে নিয়ে বললো,,,
__একটু চুল গুলোর মাঝে তোমার তুলতুলে নরম হাত দিয়ে বুলিয়ে দেওতো আয়ু জান! তোমার স্পর্শে আমি আরো মাতোয়রা হতে চাই।।।
ইরফানের কথা অনুযায়ী আয়ানা কাঁপা কাঁপা হাতে ইরফানের চুল গুলোতে হাত বুলিয়ে দেয়।। ইরফান আয়ানার গাড়ে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে থাকে।। মুচকি হেসে গলায় ঠোট বুলাতে বুলাতে আসক্তি ভড়া কন্ঠে বলল,,
__তোমার প্রত্যেকটা ছোঁয়ায় জাদু আছে মেরি জান!দিন দিন তোমার কাছ থেকে পাওয়ার চাহিদাটা আমার বেড়ে যাচ্ছে। আমার লোভ বেড়ে যাচ্ছে।।দিন দিন তোমার প্রতি নেশা বেড়ে যাচ্ছে। আয়ানার গলায় নিজের ঠোঁট স্পর্শ করে কথা গুলো বলছে ইরফান।।।
ইরফানের কথা গুলো আয়ানা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছে!এই নেশা ভড়া কন্ঠে নিজেকে অন্য জগতে আবিষ্কার করছে! অচেনা সেই শহর আস্তে আস্তে নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পাচ্ছে।।মনের ভেতর ছোট অনুভূতির জম্ম হচ্ছে কিন্তু কী তা বুঝতে পারছে না। কিছু হিসাব মিলাতে পারছে না তার এই অবুঝ মন!যখন মিলাতে সক্ষম হবে তখন আর কোনো জটিলতাই থাকবে না।। নিজের মনে থাকা অজানা অনুভূতির ও সে একটা সুন্দর নাম দিতে পারবে।। ইরফানের এই অতিরিক্ত ভালোবাসা তাকেওইরফান নিজেরএই বিষাক্তময় প্রহরে ডুবিয়ে দিচ্ছে।।।।। ইরফানের ভাড়ি ভাড়ি নিঃশ্বাস আয়ানার গলায় সুরসুরির মতো লাগছে।।নিচু হয়ে ইরফানের দিকে তাকিয়ে দেখলো ইরফান বাচ্চাদের মতো তার বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে ঠোঁট দুটো এখনো আয়ানার গলায় চুম্বন আকৃতির হয়ে আছে! কপালের চুল গুলো সবসময়ের মতো সেট করা।।। সবসময়ের মতো এখনো দেখতে একদম এটিটিউটের দোকান লাগছে কিন্তু জেগে থাকা হিংস্র রুপের পরিবর্তে কিউট বাচ্চা টাইপের লাগছে।।।যাকে দেখলে গাল গুলো টেনে দিয়ে বলতে ইচ্ছে করে,,,
“ওলে বাবা বাবুবুবুবু তমি কত্তো কিউতট (ওলে বাবা বাবু তুমি কত কিউট)
আয়ানা তাড়াহুড়ো করে চোখ সরিয়ে নেয়!এসব সে কি ভাবছে!এই ছেলে যায় দেখা যাবে ঘুমের মাঝে বলে উঠবে,,
__আয়ু তুমি আমার দিকে তাকিয়ে আছো! তার জন্য তোমাকে পানিশমেন্ট পেতে হবে আর তোমার পানিশমেন্ট হলো উমমমমমমমমম্মা।।।।
এসব ভাবতে ভাবতে আয়ানা ও একসময় ঘুমের রাজ্যে পারি জমায়।।। আরেকটা রাত পার হলো দুই প্রান্তের দুজনের অনুভূতি নিয়ে। একজনের অতিরিক্ত ভালোবাসা পাগলামো বিষাক্তময় আসক্তি।আর অন্য জনের অবুঝ মন,ভয় আর বুঝে ও না বুঝতে পারা।। কিন্তু বিষাক্ত প্রেমিক তার বিষাক্ত বিজ বোপন করা শুরু করে দিয়েছে। এখন শুধু এই বিচ থেকে নতুন প্রজন্ম হওয়া বাকি।। অতিরিক্ত সফ্ট ভালোবাসা গুলো হাল্কা স্পর্শে নষ্ট হয়ে যায় কিন্তু বিষাক্ত ভালোবাসা গুলো খুবই হিংস্র টাইপের হয় আর এগুলো হাজার ঝড়ে ও নষ্ট হয় না।।বিষ মৃত্যু আর ধ্বংসের কারণ হলে ও ভালোবাসার জন্য অমৃত।কারন এক ভালোবাসাই আছে যার কাছে সব জায়েজ।।আলো ছাড়া অন্ধকারে অস্তিত্ব নেই অন্ধকার ছাড়া আলোর ঠিক অতিরিক্ত ভালোবাসা ছাড়া ভালোবাসার অস্তিত্ব নেই।।ভালো তো সবাই ভাসতে পারে কিন্তু সেই ভালোবাসাকে অতিরিক্ত ভালো সবাই ভাসতে পারে না।। এমন অতিরিক্ত ভালোবাসা একজন বিষাক্ত প্রেমিকই ভাসতে পারে। তার কাছে এটা অমৃত আর অপর জনের জন্য মৃত্যু কিন্তু ভালোবাসা থাকলে সব বিষ-ওই অমৃত।।।
লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।
☀️ সকাল বেলা ☀️
আয়ানা ঘুম থেকে উঠে আড়ামোড়া দিতে গিয়ে দেখলো ইরফান এখনো তাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে।।আয়ানা ইরফানের দিকে মাথা তুলে তাকিয়ে দেখলো ইরফান গতকাল রাতে যেইভাবে ছিলো ঠিক সেই ভাবে আছে।আয়ানা কাঁপা কাঁপা হাতে ইরফানকে একটু সরানোর চেষ্টা করতে ইরফান আরো শক্ত করে চেপে ধরে।।আয়ানার শ্বাসরোধ হয়ে যাচ্ছে ইরফানের এই ভাবে শক্ত করে জড়িয়ে ধরায় ।আয়ানা তার পিচ্চি পিচ্চি হাতে ইরফানকে সরাতে চাইলো।আরেকটু এইভাবে থাকলে শ্বাস কষ্টে মরে যাবে সে তাই ছটপট করতে লাগলো।।।
___________________
__ইরফান লাল লাল চোখে আয়ানার দিকে তাকিয়ে আছে!আয়ানার দুই হাত নিজের দুই হাতের মাঝে।। হঠাৎ করে ইরফান জেগে যাবে এটা প্রত্যাশার বাহিরে।।আয়ানা এতোক্ষণ সাহস জুগিয়ে যা করেছিল তা এখন হাওয়া হয়ে বেড়িয়ে গেছে।।। আয়ানা মাথা নিচু করে রেখেছে ইরফানের লাল ভয়ংকর চোখের দিকে তাকাতে পারছেনা।আয়ানা ভয়ে যেকোনো সময় কেঁদে দিতে পারে।।আয়ানার অবস্থা এখন এমন,,
“ছেড়ে দেয় মা কেঁদে বাঁচি”___
__এতো নড়াচড়া কেনো করছিলে আয়ু আমি ঘুমানোর সময় ডিস্টাভ একদম পছন্দ করিনা।।(রাগি গলায়)
ইরফানের থমথমে গলা আয়ানা সহ ঘর ময় কেঁপে উঠলো।।আয়ানা কান্না ভেজা কন্ঠে খুব সাহস জুগিয়ে বলল,,
__আ–আমার খুব ক-কষ্ট হচ্ছিল তাই।।
__কেনো আমি কী এতোটাই ভাড়ি যার ওজন বইতে তোমার কষ্ট হচ্ছে।আয়ানার থুতনির নিচের তিলটায় চুমু খেয়ে বললো।।
শুধু ভাড়ি না মস্ত বড় পাথরের বস্তা।ঘুমন্ত বাঘকে জাগিয়ে দিয়েছি এখন ছোট্ট ইঁদুর ছানার মতো অবস্থা হয়েছে।।(মনে মনে)
__কী হয়েছে আয়ু জান চুপ করে কেনো আছো?আমি কি খুব ভারি।।আর ভারি হলে কিছু করার নেই অভ্যাস করে নেও এখন থেকে তো রোজ তোমাকে সহ্য করতে হবে।।আয়ানার নাকের সাথে নিজের নাক ঘসে।।
আয়ানা ইরফানের কথা শুনে মাথা নিচু করে আছে।।। তার খুব ক্ষিদে পেয়েছে তাই উঠার চেষ্টা করছিল।। কিন্তু সে তো ভুলেই গেছে #The Villain যতোক্ষন না চাইবে সে কিছুতেই ওঠাতে পারবে না আর না কিছু করতে পারবে।।। ইরফান বেশ বুঝতে পারছে আয়ানা কিছু বলতে চাইছে কিন্তু বলতে পারছে না ভয়ে কাচুমাচু করছে।।।। ইরফান আয়ানার গালে হাত রেখে বললো,,
__কী হয়েছে?আয়ু জান! তোমার কী খুব কষ্ট হচ্ছে? আবার চুলকাছে জ্বালা করছে! কোথায় কষ্ট হচ্ছে বলো আমাকে।আয়ানাকে টেনে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে ভাঙ্গা কন্ঠে বলতে লাগলো।।
ইরফানের কান্ড দেখে আয়ানা তাড়াহুড়ো করে বলে,,
__না-না-না আমার কোনো কষ্ট হচ্ছে না চুলকাচ্ছে ও! আমার তো ক্ষুধা লেগেছে! শেষের কথাটা খুব আস্তে মিনমিনে বললো।।।
__কী বলছো আয়ু আমি শুনতে পাই নি বলে আয়ানার আরেকটু কাছে আসলো।
__আ-আমার খুব ক্ষুধা লেগেছে । চোখ চেপে বন্ধ করে ফেলে আর ইরফানের পরবর্তী কথার অপেক্ষা করে।।
আয়ানার কথা শুনে ইরফান আয়ানার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে আয়ানার ঠোঁট দুটো নিজের ঠোঁটের ভেতরে নিয়ে যায়।। আচমকা এমনটা আয়ানা আশা করেনি।। ইরফান আয়ানার ঠোঁট দুটোতে চুমু খেতে লাগলো আয়ানা চোখ দুটো আকারে দিগুন বানিয়ে রেখেছে।।ইরফান বেশ কিছুক্ষণ চুমু খেয়ে আয়ানাকে ছেড়ে দিল! লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।আয়ানা এখনোও আগের মতো রয়েছে! ইরফান আয়ানার দিকে আবার আসতে দেখে আয়ানা চোখ চেপে বন্ধ করে ফেলে।।
__এবার ক্ষুধা কমেছে আয়ু জান!আমার ও ক্ষুধা লেগেছে আর আমি তৃপ্তি নিয়ে খেয়েছি।। আমার পিপাসা ক্ষুধা মেটানোর জন্য তুমিই যথেষ্ট বলে আয়ানার ঠোঁটে আলতো করে চুমু খেয়ে ছেড়ে দেয়।।
__আয়ানাকে কুলে তুলে নিয়ে ওয়াশরুমে রেখে আসে আয়ানার হাতে একটা গ্ৰাউন দিয়ে বলল পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফ্রেশ হয়ে আসতে।।।আয়ানা ও লক্ষি মেয়ের মতো তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আসে।আয়ানা ফ্রেশ হয়ে আসতে ইরফান আয়ানার কপালে চুমু খেয়ে আয়ানার চুল গুলো হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে শুকিয়ে দেয়।আয়ানার হাতে একটা বড় চকলেট দিয়ে বলে,,,
__তুমি এটা খেতে খেতে আমার শাওয়ার শেষ হয়ে যাবে কেমন।।আয়ানা মাথা নাড়িয়ে হ্যা জানায় ইরফান আয়ানার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে আয়ানার কপালে চুমু খেয়ে ওয়াসরুমে চলে যায় শাওয়ার নিতে।।
ইরফান শাওয়ার নিয়ে বের হয়ে এসে দেখে আয়ানা চকলেট খেতে ব্যস্ত! খুব আয়াশের সাথে চকলেট খাচ্ছে।। চকলেট কালার ঠোঁট দুটো চকলেট লাগিয়ে আরো চকলেট চকলেট করে ফেলেছে।। ঠোঁটের আশেপাশে চকলেট লেগে আছে তা হাতের আঙ্গুল দিয়ে নিয়ে লিক করে খাচ্ছে।। ইরফান এসব দেখে ছোট্ট একটা ঢুক গিললো।।এই মেয়েটা তাকে মেরেই ফেলবে।। প্রতিদিন কিছু না কিছু করে তাকে পাগল করে দিচ্ছে।। এইভাবে নিজেকে আটকাতে পারে না তার উপর____। ইরফান হাতের তাওয়ালেটা টেবিলের উপর রেখে ধিরে ধিরে আয়ানার দিকে এগিয়ে গেল।।
__হঠাৎ নিজের সামনে কারোর উপস্থিতি টের পেয়ে আয়ানা উপরের দিকে তাকালো।। ইরফান দাঁড়িয়ে আছে পরনে কালো টাওজার আর উন্মুক্ত চকচকে লোম হিন বুক ভেসে উঠেছে।।হলদে ফর্সা শরীরে বিন্দু বিন্দু জল।।আয়ানা নিজের খাওয়া বাদ দিয়ে তাড়াতাড়ি চোখ সরিয়ে নিল।। ইরফানের চোখ দুটো সুবিধার নয়।। সুন্দর বিড়াল চোখ দুটো নেশায় বুঁদ হয়ে আছে কেমন ভাবে তাকিয়ে আছে তার দিকে।।এই দৃশ্য আয়ানার কেমন একটা ফিলিংস হচ্ছে!
__ইরফান এক ঝাটকায় আয়ানার হাতের চকলেট কেড়ে নিয়ে আয়ানাকে টান দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয় আয়ানার ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে নেশা ভরা কন্ঠে ফিসফিসিয়ে বলতে লাগলো,,,
“আমাকে বারবার কেনো পাগল করো আয়ু জান! আমার পাগলামোর জ্বাল তোমাকে ভুগতে হয়।।এই পিচ্চি এই আমাকে কি তুমি তোমার নেশায় ডুবিয়ে মারতে চাও।।। তাহলে বলবো আমি বারবার মরতে রাজি।”আয়ানা নামক নেশায় ডুবে”
বলে আয়ানার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট দুটো মিশিয়ে দেয়।। আয়ানা চোখ বন্ধ করে ইরফানের উন্মুক্ত বুকে খামচে ধরে।। নখের আঁচড়ে কিছু অংশ কেটে রক্ত বেরোতে হচ্ছে সেখানে তার হুস নেই!সে তো আয়ানাতে মজেছে।।।বেশ কিছু সময় পর ইরফান আয়ানার ঠোঁট দুটো ছেড়ে দেয়।।।।।।।। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।
একজন র্সাভেন্ট এসে হালকা ভাবে দরজা নক করে।। ইরফান আয়ানার ঠোঁট দুটো বৃদ্ধা আঙ্গুল দিয়ে মুছে দেয়য়।।
“র্সাভেন্ট খাবার রুমের কাঁচের টেবিলটায় সাজিয়ে দিয়ে চলে যায়।। আজকে ইরফান আয়ানা রুমে ব্রেকফাস্ট করবে।। ইরফান আয়ানাকে নিজের পাশে বসিয়ে দিয়ে খাবার খাওয়াতে গেলে আয়ানা হা করছে না।।।আয়ানা আজকে এই সব অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারবে না।।এসব খাবার নিত্যান্ত শরীরের জন্য উপকারী কিন্তু রুচি বলতে তো কিছু আছে।।এসব খাবার খেতে খেতে দেখা যাবে একদিন রুচির অভাবে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে।। অনেক সাহস জুগিয়ে কিছু বলতে যাবে কিন্তু ইরফানের থমথমে শান্ত গলায় ধমক খেয়ে চুপ হয়ে যায়।।।
__তুমি যদি ভেবে থাকো তোমার কিউট ফেইস দেখিয়ে আমাকে কনভেইন্চ করবে তাহলে ভুল!আমি তোমায় খাবার নিয়ে কোনো রকম হেল ফেল এলাউ করবো না।।তাই যা বলতে যাচ্ছো সেখানে চুপ যাও আর হা করো।।।
ইরফানের এসব কথা শুনে আয়ানা মুখ কালো করে অনেক কষ্টে এসব খাবার খেতে লাগলো।।।এসব খাবার নামক প্যারা থেকে তার মুক্তি নেই সে যতো যাই বলুক।।। ইরফান আয়ানাকে খাইয়ে দিচ্ছে আর আয়ানা চুপচাপ সব গিলে যাচ্ছে।।চোখ মুখের অবস্থা নাজেহাল করে রেখেছে।। সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে একের পর এক খাবার খাইয়ে যাচ্ছে তাকে।।।বেশ কিছুক্ষণ খাবার খাইয়ে ইরফান আয়ানার মুখ পরিষ্কার করে নিজে খেতে লাগলো।।।আর আয়ানা পেট চেপে ইরফানের পাশে বসে আছে।।। আজকে তাকে অতিরিক্ত খাইয়ে ফেলেছে এই ভিলেনটা।। নাড়াচাড়া করতে পারছে না।। এতোক্ষণ এর অতিরিক্ত ক্ষিধা তো নেই মনে হচ্ছে সামনের দিকে এক যুগ না খেলে তার কিছু হবে না।।।।
__________________________________
নিজাম উদ্দিন রুমের মধ্যে পায়চারি করছে। কিছুক্ষণ আগে একজন ইনফর্মেশন বলে গেছে ইরফান নাকি তাকে খুজা বন্ধ করে দিয়েছে।।তার পেছনের যতো লোককে লাগিয়েছেন তাদের নিষেধ করে দিয়েছে তাকে মারার জন্য।।।কী চলছে ইরফানের মাথায় ভেবে কূল পাচ্ছেন না তিনি।।।।পাশের ল্যান্ড ফোনের কাছে গিয়ে একজনকে কল করলেন তিনি।।।
__হ্যালো রকি! তোমার কাছে যেই ছবিটা পাঠালাম এর লাশ আমার চাই।।
———————————————!
__ওকে !আমি তোমার চেক পাঠিয়ে দিচ্ছি।। তোমার লোকদের ঠিক মতো কাজ করতে বলবে। সাবধান থাকতে বলবে!যদি হেরফের হয় আমার সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দিতে হবে।।।
—————————————!
__কে বা কারা জানতে হবে না !কাজ করবে। কাজের বিনিময়ে এতো গুলো টাকা পাচ্ছো আর কি চাই।।। তোমার সব লোক কে কাশ্মীর পাঠিয়ে দেও।। বাকি টাকা কাজ শেষে পাবে বলে গট করে মোবাইল কেটে দেয়।।।
ইরফানকে হেনস্তা করতে বিদেশি কিলার হায়ার করছে।।মারতে না পারলে ও শেষ চেষ্টা করবে নিজের মৃত্যু হওয়ার আগ পর্যন্ত।।। ইরফানের কথা বললে কেউ কাজ করতে রাজি হবে না।।সবাই ইরফানের হয়ে কাজ করে আর ইরফানের ক্ষমতার কাছে কিছুই নয়।।সব কটাকে ইরফান শেষ করতে এক মিনিট ও বিলম্ব করবে না।। তাকে ছেড়ে দেওয়ার পেছনে একটাই কারন এতো সহজে তাঁর জান ইরফান নিবে না।।।। ইরফানের মনে প্লেন চলছে কিন্তু কী?তা বুঝার তার এখনো সাধ্যি হয় নি।।।
#To_be_continued………………..🌼
(সকলের গঠন মূলক মন্তব্য আশা করছি)
#Happy_reading