অন্ধকার মানব পর্বঃ১১

0
807

#অন্ধকার_মানব(The unpredictable love)
#পর্ব_১১

লিখা✍️তাজরিয়ান খান তানভি

দ্বিধা আজ বেশ ঘুমিয়েছে।ভার্সিটির নির্মান কাজ চলছে তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কিছুদিনের জন্য ক্লাস স্থগিত করা হয়েছে।এই ছুটির মধ্যেই দ্বিধা তার জীবনের দীর্ঘ আঠারো বছর শেষ করে ঊনিশে পা রাখছে।
ঘুমো ঘুমো চোখে দ্বিধার ঘুম ভাঙলে দেখতে পায় ওর সারা ঘর বেলুন দিয়ে সাজানো।পুরো ফ্লোর জুড়ে গোলাপের পাপড়ি ছড়ানো।না,,আজ কালো গোলাপ নয় সদ্য ফোটা লাল গোলাপের গালিচা বিছানো।দ্বিধার ঘুমকাতুরে চোখ থেকে পরক্ষনেই ঘুম পুরো উবে যায়।
রিশাল এসে ধুপ করে ওর মুখের সামনে এসে–
“সারপ্রাইজ!!!
“এইসব কি রিশাল??”
দু হাত ভরা কদম ফুল এগিয়ে বলে–
“হ্যাপি বার্থডে কাচা লঙ্কা।সারা জীবন এইভাবেই ঝাঝ ধরে রাখবে।”
দ্বিধা ওর হাত থেকে ফুলগুলো নিয়ে তাতে এক নিঃশ্বাস নেয় যেন বৃষ্টিস্নাত কদমের সজীবতার ঘ্রাণ ওকে পাগল করে দেয়।
“ধন্যবাদ মাই ডিয়ার ফ্রেন্ড।এইসব কখন করলে??”
“দ্যাত,,,কিসের ফ্রেন্ড??বলো প্রেমিকপুরুষ।”(বলেই এক বৃহৎ হাসি দেয়)
“হ্যাপি বার্থডে প্রিন্সেস”।(মি. আর মিসেস ইরাম একসাথে বলে উঠে)।
দ্বিধা বিছানা থেকে উঠে দুজনকে জড়িয়ে ধরে বলে—
“থ্যাংক ইউ মাম্মা,পাপা। আই লাভ বোথ অফ ইউ সো মাচ।
উম্মা।(বলেই দু জনের গালে চুমু খায়)

“হায়রে,,,,,কষ্ট করলো কে মিষ্ট মিলে কার,আমি তো শুধুই বেকার।”
দ্বিধা ওর ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে বলে–
“মোটেও না।”
বলেই রিশাল কে জড়িয়ে ধরে।রিশালও ওকে জড়িয়ে ধরল।হয়তো সারাজীবন এইভাবে ওর পাশে থাকতে চায়।

পুরো ছাদ আজ রিশাল নিজের হাতে সাজিয়েছে।বেলুন,ফুল,ছোট ছোট মরিচ বাতি দিয়ে।এতো ফুল দিয়ে সাজিয়েছে যে চারদিকে ঘ্রাণে মউ মউ করছে। দ্বিধা ওকে সবকিছু বেলী ফুল দিয়ে সাজাতে বলেছিল।

সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই ওর ডিপার্টমেন্টের হাতেগোনা কয়েকজন বন্ধুবান্ধব কে ইনভাইট করা হয়েছিল তারা আসতে শুরু করলো। পারিজা ইরাম খাবার পরিবেশন এর দায়িত্ব নিয়েছিলেন।রান্না ঘর থেকে তৈরীকৃত খাবার ছাদের কোনায় নির্দিষ্ট জায়গায় রাখছেন।অবশ্য তিনি একা নন।সাথে রিশাল ও আছে।

ইতাফ ছাদে এসে পৌছাতেই দ্বিধাকে খোজা শুরু করে।কোথাও ওকে না দেখে নিচে যেতে চাইলে রিশাল বলে—
“প্রফেসর,প্লিজ ওয়েট।আজ বার্থডে গার্লকে দেখার জন্য আপনাকে একটু অপেক্ষা তো করতেই হবে।”
ইতাফ চোখ ঘুরিয়ে ইরাজের দিকে তাকালে তিনি তাকে ইগনোর করার চেষ্টা করেন।ইতাফের বুঝার বাকি নেই এইসব রিশালের কাজ।নয়তো ইরাজ ইরাম এতটা দুঃসাহসী নয়।

আকাশী রংয়ের শাড়ী পরেছে আজ দ্বিধা।শাড়ী ওর ততোটা পছন্দ নয়।আর ঠিকভাবে পরতেও পারেনা।কিন্তু রিশালের ইচ্ছে পূরন করতে তাই বাধ্য হয়ে পরতে হলো। অবশ্য শাড়ীটা পরতে ওর মা ই ওকে সাহায্য করেছে।
রিশাল এক গোলক ধাধায় রয়েছে,নিস্পলকভাবে দ্বিধা কে দেখে যাচ্ছে।

“বাহ,,,শাড়িতে তো বেশ মানিয়েছে আমাদের প্রিন্সেস কে।একদম বউ বউ লাগছে।”
“তাহলে এইবার বিয়েটাও সেরে ফেলুন আঙ্কেল ”
পিছন থেকে হেসে বলল রিপ্তি।
“হ্যাপি বার্থডে,সুইটিপাই।”
“এতো দেরী করলি কেনো?”
“আর বলিস না ওই যে জাদ,ওর জন্যই তো দেরী হলো।”
দ্বিধার অস্থির মন জাদ এর নাম শুনতেই আরো অস্থির হয়ে উঠল।
রিপ্তির পিছনে তাকাতেই ও দেখে জাদ দাঁড়িয়ে আছে।কাছে এগিয়ে গিয়ে বলে–
“উইশ করতেও বাধা আছে বুঝি?
“শুভ জন্মদিন,সুধানিধি।
দ্বিধার ঠোঁটে এক ম্লান হাসি ফুটে উঠে।হয়তো এর চেয়ে বেশি কিছু পাওয়ার অধিকার ওর নেই।

কেক কাটার পর ছাদের মাঝখান টায় ওরা সবাই গোল হয়ে বসেছে।রিশাল ইতাফের সাথেই।তাকে আজ একা ছাড়া যাবে না।রিশাল হাতে দুটো তালি মেরে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
“ওকে,,,কেক কাটা তো শেষ।এখন আমরা বার্থডে গার্ল এর কাছ থেকে গান শুনবো।”
দ্বিধা আতকে উঠে বলে–
“নো ওয়ে,রিশাল।আমি গান গাইতে পারি না।”
পাশ থেকে দ্বিধা ওকে কনুই দিয়ে ধাক্কা মেরে বলে–
“গা না।প্লিজজজজজজ।”
একাধারে সবাই ওকে রিকোয়েস্ট করতে লাগল শুধু জাদ ছাড়া।ও ছাদের রেলিং ঘেষে দাঁড়িয়ে আছে।ইতাফ বলল–
“সবাই যখন বলছে তাহলে একটা গান তো গাইতেই পারেন,মায়াপরী।
“ঠিক আছে।”
রিশাল দৌড়ে নিচে যায়,নিজের ঘর থেকে গিটার এনে তুলে দেয় ইতাফের হাতে।
“আমি গিটার বাজাতে পারিনা”।(শক্ত কন্ঠে বলল।কেনো যেন রিশাল কে একদমই সহ্য করতে পারে না ইতাফ।কিন্তু আজ মনে হচ্ছে একটু বেশিই গায়ে ঘেষার চেষ্টায় আছে রিশাল।)
“আরে তা বললে কি হয় নাকি!আরে নিন নিন শুরু করুন।”
ইতাফ বাধ্য হয়ে গিটারে সুর তোলে।(ও মনে মনে ভাবছে কিছু তো একটা হবে আজ)।

দ্বিধা গাইতে শুরু করলো—-
লোগ কেহেতে হ্যায় পাগাল
হু ম্যায় ইয়ে ভি না জানু
দিল লুটায়া হ্যায় মেনে
আভ কিছি কি না মানু
চ্যান দেকার কে মেনে
বেচেনিয়া ইয়ে লি হ্যায়
নিদে উরা কে মেনে
তুমসে বাফায়ে কি হ্যায়
কাছাম
কি কাছাম
হ্যায় কাছাম সে
হামকো পেয়ার হ্যায় স্রিফ তুমসে
আব ইয়ে পেয়ার না হোগা
ফির হামসে ।।

দ্বিধার চোখের কার্নিশ বেয়ে জল গড়িয়ে পরছে।গানের কথাগুলো শুনে রিপ্তির চোখ জাদ এর দিকে গেছে সবার আগে।রিশাল তার ভালোবাসার আত্নাহুতি অনেক আগেই দিয়েছে।তাই তার এখন এসব ভাবার সময় নেই।ইতাফ বুঝতে পারছে বেশি দেরী হলে সব ওলটপালট হয়ে যাবে। হঠাৎ ছাদের সব লাইট বন্ধ হয়ে যায়।দ্বিধা ওর হাতে কারো হাতের ঠান্ডা স্পর্শ অনুভব করে।ওকে সেখান থেকে সন্তর্পনে কোথাও নিয়ে যাচ্ছে।

রিশাল বলে উঠে —
“ভয় পাবার কিছু নেই।সবাই চুপ করে বসুন।লাইট এখনি চলে আসবে।”
লাইট আসতেই ইতাফ দ্বিধা কে না দেখে সিড়ির দিকে পা বাড়ায়।
“প্রফেসর!!কোথায় যাচ্ছেন??স্পাইসি কে খুজতে বুঝি,আপনার তো আবার ওকে না হলে,,,,,
“এইসবের মানে কি?(ইতাফ চোখ রাঙিয়ে বলল)
“আরে রাগ করছেন কেনো।আমি তো মজা করছিলাম,,,,বলেই হো হো করে হেসে উঠে।
আসলে স্পাইসি ওয়াশ রুমে গেছে।চিন্তা করবেন না, আনটি সাথেই আছে।”
ইতাফ ছাদের উপর চোখ বুলিয়ে দেখে,,,পারিজা ইরাম কে কোথাও দেখা যাচ্ছে না।কিন্তু জাদ এর কোনো খোঁজ নেই।
“কাউকে খুজছেন বুজি??জাদ কে নয় তো!!
ও আসলে চলে গেছে।(রিশাল ওর মুখ ইতাফের কানের কাছে নিয়ে ফিসফিস করে বলে)
অন্ধকার মানব তো,তাই লাইটের আলো ওর তেমন পছন্দ না।
ইতাফের কেনো যেন ওর কোনো কথায় আশ্বাস পাচ্ছে না।
সোজা রিপ্তির কাছে যায়–
“জাদ কোথায়??
“ও তো চলে গেছে প্রফেসর।”
“তুমি??”
“রিশাল আমায় বাড়ি পর্যন্ত দিয়ে আসবে।”
ইতাফ ছাদের কার্নিশে দাঁড়িয়ে আছে।রিশাল আজ ওর উপর ঈগল চোখ দিয়ে রেখেছে,যার হেরফের হবার নয়।

“সুধানিধি,এতো কিসের কষ্ট আপনার?”
লাইট বন্ধ হবার পরই জাদ দ্বিধা কে নিয়ে ছাদের অপর প্রান্তে সিড়ি ঘরের পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে।চাঁদের আলোয় দ্বিধার অক্ষি নীর জাদের চোখ এড়ায়নি।
ভেজা ভেজা কন্ঠে দ্বিধা বলে–
“কেনো এতো কষ্ট দেন আমায়?কি সুখ পান আপনি?দূরে যখন রাখবেন তাহলে এতো কাছে কেনো আসেন আমার?”
নিজের হাত ছাড়িয়ে এক হাত দিয়ে জাদ কে ধাক্কা দেয়।জাদ ওকে এক টানে নিজের বুকের মধ্যে নিয়ে নেয়।
“ছেড়ে যেতে পারবেন আমায়?”
দ্বিধা ওকে আরোও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।বুক ভরে নিঃশ্বাস নেয় জাদের বুকে নাক লাগিয়ে।এক পাগল করা ঘ্রাণ ওর সমস্ত দেহে প্রানের উল্লাস জাগিয়ে তোলে।
“কি করছেন?”
“আপনাকে আমার অস্তিত্বে মিশিয়ে নিচ্ছি।”
জাদ ওর আদুরে গলায় বলে–
“আমার জন্মই তো আপনার অস্তিত্বে তাকে আলাদা করার শক্তি যে কারো নেই।
দ্বিধা চুপ মেরে যায়।ও ভাবে এ সময় যেন এখানেই থমকে যায়।আজ যেন দুটি প্রানআত্না এভাবে চিরকালব্যপি এক হয়ে থাকে।
“কিছু বলছেন না যে?”
“কি বলবো?”
“কিছুই বলার নেই?”
“আমাকে একটু ভালোবাসা যায়না??”
“খুব ভালোবাসি??
দ্বিধা ওর বুক থেকে মাথা উঠায়।আধো আধো বুলিতে বলে–
“তাহলে রিপ্তি????
জাদ ওর ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে বলে–
“তৃতীয় জনের কথা না বললেই নয়।”
“কিন্তু ও তো আপনাকে,,,,,,,,,,,
“আপনার চেয়ে কেউ তো আমায় বেশী ভালোবাসেনি।”
দ্বিধা ওকে আবার জড়িয়ে ধরে।ফুপিয়ে কেদে ওঠে।
“তাহলে কেন করেন এমন।আমায় এতো কষ্ট দেন?”
জাদ ওর এক হাত পকেটে ঢুকিয়ে দ্বিধার গলার লকেটের মতই একই রকম আরেকটা লকেট বের করে ধীরে ধীরে ওর গলার টা খুলে ওকে নিজের হাতের লকেট টা পড়িয়ে দেয়।দ্বিধা জাদ এর ভালোবাসায় এতটাই আচ্ছন্ন যে পুরো ব্যাপারটা এত সহজে ঘটে গেলে আর ও কিছুই টের পাইনি।

অবশ্য এই সমস্ত প্ল্যান ছিল রিশাল এর।লাইট অফ হওয়ার সাথে সাথে পারিজা ইরাম নিচে নেমে এলেন।
রিশাল এর ইশারা পেয়ে জাদ রিপ্তির মোবাইলে একটা মেসেজ করে যে ও চলে যাচ্ছে।রিপ্তি ফিরতি কলব্যাক করেনি।কারণ ও ভালো করেই জানে জাদ আপন সিদ্ধান্তের মালিক। ও কারো কথা শুনবে না।
ইতাফের মায়াজাল থেকে দ্বিধাকে বের করতে জাদ এর চেয়ে বেশি সাহায্য আর কেউই করতে পারবে না।ও যতটুকু দেখেছে জাদ এর প্রতি দ্বিধার প্রনয়ে কোনো খাদ নেই।সাদা কাফনের মতো তা পবিত্র।
কিন্তু তার পরিনতি মৃত্যুর চেয়ে ভয়ানক।

দ্বিধা আর রিশাল রিপ্তিদের বাসায় এসেছে।প্রথমে আসতে চায়নি কিন্তু যখন জানলো জাদ ও আসবে তখন আর মানা করেনি।
“জাদ কখন আসবে?”
“তোর মনে সময় কাটছে না?”
“আমি কি তাই বলেছি।”

রিপ্তির ছোট ভাই দৌড়ে এসে বলল–
“আপুনি ব্ল্যাকি ভাইয়া এসেছে।”
“ব্ল্যাকিই!!!!এ আমার কেমন নাম??
“এই পিচ্চুটা না,,কতবার বললাম ওকে ব্ল্যাকি না বলতে।আর বলিস না,জাদ সবসময় কালো রঙের জামা কাপড় পড়ে তাই ও জাদ কে ব্ল্যাকি ভাইয়া ভলে
“ব্ল্যাকিইইইই,,,,,,,,,,,হাসতে হাসতে লুটোপুটি খায় রিশাল।দ্বিধা ওর দিকে চোখের কোটর ঘুরিয়ে তাকায়।
“সরি,সরি স্পাইসি।”

ড্রয়িং রুমে ওরা সবাই বসে।রিপ্তির মা ওদের নাস্তা দিয়ে রান্না ঘরে চলে যায়।জাদ এর আগেও কয়েকবার রিপ্তিকে বাসায় পৌছে দিয়েছে।তাই ওকে তারা ওর বন্ধুর মতোই দেখে।
“জাদ তুমি কিছু খাচ্ছো না যে?”
রিপ্তির করা প্রশ্নে জাদ মাথা উচু করে।
“আমি খেয়ে এসেছি।”
“তাতে কি”।(টি টেবিল থেকে জুস এর গ্লাস হাতে নিয়ে দ্বিধা ওর কাছে গিয়ে দাড়ায়।)
“বললাম তো।আই ডোন্ট ওয়ান্ট দিস।
“আপনি এমন কেনো বলেন তো। আচ্ছা আমি আপনাকে খাইয়ে দিচ্ছি।”
দ্বিধা জুসের গ্লাস ওর মুখের সামনে নিতেই ও ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়।রেগে উঠে দাড়ায়,দাতঁ কিটমিটিয়ে বলে–
“সুধানিধি,,পাগল হয়েগেছেন?কি করছেন আপনি??
বললাম তো লাগবে না।”
দ্বিধার পাশ কাটিয়ে দমদম করে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।দ্বিধার মুখের সমস্ত হাসি হাওয়ায় মিলিয়ে যায়।কাউকে খেতে বলায় কেউ এতো রাগ করতে পারে ওর জানা ছিল না।

ওরা তিনজন একসাথে বাসায় ফিরে।গাড়িতে আসার সময় দ্বিধা ওর পাশে বসতে চেয়েছিল কিন্তু ওর রাগি চেহারা মনে করে আর সাহসে কুলোয় নি।
জাদ আসতে চায়নি।রিশাল জোর করে বাড়ির ভিতরে নিয়ে আসে ওকে।জাদ বাগানের গোলাপ গাছটার দিকে তাকায়।যার অস্তিত্ব শেষ হবার পথে।জাদ একটানে তা উপরে ফেলে।দ্বিধা এসে বলে—
“এইটা আপনি কি করলেন??
“কালো রঙের কোনো প্রয়োজন নেই আপনার জীবনে।”
“তাই বলে আপনি এটা উপরে ফেলবেন??
“কেনো,,,,,,আমার চেয়ে ওই গাছটা আপনার কাছে আপন মনে হয়?
“আমি তো তা বলিনি।”
“তাহলে??
দ্বিধা আর কিছু বলতে পারেনি।গাছটাকে ও ভালোবাসতো।কিন্তু জাদ এর চেয়ে বেশি নয়।তাই আজ তার জলান্জলি দিয়ে দিল।

রিশাল দাড়িয়ে সব দেখছে।এই না হলে ভ্যাম্পায়ারের ইম্প্রেশন।দ্বিধাকে কাবু করা ওর বা হাতের খেল।জাদ এর জায়গায় আজ ও হলে স্পাইসি হয়তো আজ ওকে দুনিয়া ছাড়া করতো।স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল–
“থ্যাংকস গড।”

চলবে,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here