অন্ধকার মানব পর্বঃ১৭

0
711

#অন্ধকার_মানব(The unpredictable love)
#পর্ব_১৭

লিখা✍️তাজরিয়ান খান তানভি

“আপনারা কি করে পারলেন এইরকম করতে?আপনার কি ভেবেছেন আমি কিছুই জানতে পারবো না?
আইভান শান্ত গলায় বলে–
“কি বলতে চাও তুমি??
“বুঝতে পারছেন না,,,অ্যান্ডি গোমস কে কেন মারলেন?
“সে আমাদের পথের কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।এই ছাড়া আর কোনো পথ খোলা ছিল না।”
“পথের কাটা,,,,হাউ ফানি ড্যাড!!
আইভান চিৎকার দিয়ে উঠে–
“জাদ,,,,
“আইভান শান্ত হও।”
“আমি ভাবতেও পারিনি আপনারা এমনটা করবেন।”
“জাদ,,এইসব তো ইতাফ,,,,
“জাস্ট শাট আপ,মম।আর কতো মিথ্যে বলবেন।মি.গোমস যখন মারা যান তখন ইতাফ এখানে ছিলই না।আর আপনারা,,,
ইতাফ কে ফাসানোর জন্য এতো নির্দয়ভাবে তাকে মারলেন।আমার তো ভাবতেও অবাক লাগছে।”
“দেখো জাদ,,আমাদের আর কোনো উপায় ছিল না।মি.গোমস আমাদের পাগল বানিয়ে ফেলেছেন তার মেয়েকে বাচানোর জন্য।আর তুমি ভালো করেই জানো নবনীযুক্তা ছাড়া তা সম্ভব নয়।আর সে সময় এখনো আসে নি।”
“মম,,,তাই বলে,,,
আইভান ওর কন্ঠ ক্ষীপ্ত করে বলে–
“তোমাকে এইসব নিয়ে ভাবতে হবে না।তোমার কাজ নবনীযুক্তা কে নিজের আয়ত্বে আনা।”
জাদ একগাল হেসে বলে–
“আচ্ছা,,তাই।যাতে করে আপনাদের কাজ শেষ হলে ওকেও মেরে ফেলতে পারেন।”
“জাদদদদ(চিৎকার মেরে বলে আইভান)
“চিৎকার করবেন না ড্যাড।নবনীযুক্তার গায়ে একটা আচড়ও আমি লাগতে দিবো না।”
“কিং তোমাকে ওকে নিজের করে নিতে বলেছে ওকে ভালোবাসতে নয়।”
“ভালোবাসা,,,কাকে ভালোবাসবো আমি!!যাকে ভালোবেসেছি তাকে তো তারা বাচতে দেয়নি।”
ফ্রিদা নিজের ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে বলে–
“রিল্যাক্স জাদ”।
“নো মম। কি অপরাধ ছিল ওর!!!
ওর অপরাধ তো এটাই ছিল যে ও একজন মানুষ হয়ে একটা জানোয়ার কে ভালোবেসে ছিল।যার ক্ষতিপূরণ ওর জীবন দিয়ে দিতে হয়েছে।

জাদ এর গলা জড়িয়ে আসে।কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে।
এইরকম হয়েছে সেদিন যেদিন ও নিজের চোখের সামনে মাহনুর এর লাশ দেখেছিল।
ওর নিথর দেহ নিয়ে জীবনে প্রথম কান্না কেদেছিল।
জাদ আবার বলে–
“নবনীযুক্তার সাথে আমি এমন কিছুই হতে দিবো না।
“জাদ তুমি ভুলে যাচ্ছো,,,,
জাদ আইভান এর মুখের সামনে আঙ্গুল এনে বলে–
“শিসসসস,,,নো ড্যাড।আমি কিছুই ভুলিনি।আর আপনারাও ভুলে যাবেন না।”
.
.
.
দ্বিধা রিশালের ঘরে এসে প্রায় পনের মিনিট দাঁড়িয়ে আছে।রিশাল বাধ্য হয়ে বলল–
“কিছু বলবে?
“আই অ্যাম সরি।আসলে সেদিন তোমার গায়ে হাত তোলা আমার উচিত হয়নি।”
“ইটস ওকে।দোষটা আমারই।কাউকে নিজের থেকে আপন ভাবা উচিত নয়।”
দ্বিধা এসে ওর হাত ধরে বলে–
“সরি সরি আর হবে না।প্লিজ ফরগিভ মি।প্লিজ,প্লিজ।”
“হুম।”
“একটা কথা বলবো?
“বলো।”
“জাদ কল করেছিল।ও বলল আজ ওর প্যারেন্টস এর অ্যানিভারসেরি,তাই ও আমাদের ডিনারে ইনভাইট করেছে।তুমি যাবে??
“নাহ”।
“তার মানে তুমি এখনো আমার উপর রেগে আছো?
“আমি কি তা বলেছি।”
“তাহলে মানা করছো কেন।
দ্বিধা আকুতি করে বলে–
“প্লিজ,প্লিজ।
“আচ্ছা ঠিকাছে।”
“আমরা রিপ্তি কে ওর বাসা থেকে পিক করে নিবো।”
“ওকে।”
.
.
.
দ্বিধা,রিপ্তি আর রিশাল জাদ দের বাসার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।রিপ্তির কেমন গা ছমছম করছে।
“বাড়িটা এমন কেন রে?চারদিকে শুধু অন্ধকার।”
রিশাল হেসে উঠে বলে–
“ভূত,প্রেতরা এমন বাড়িতেই থাকে।”
“রিশাল,,আবার শুরু করলে।”
“সরি স্পাইসি।”

দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করতেই ফ্রিদা আর আইভান ওদের ওয়েলকাম জানায়।ওরা ড্রয়িং রুমে বসে।দ্বিধা প্রশ্ন করে–
“আনটি জাদ বাসায় নেই?
“নাহ,,ও একটু বাহিরে আছে।
এখনি চলে আসবে।
দরজার দিকে তাকিয় দেখে বলে-
ওই যে জাদ এসে পড়েছে।”
দ্বিধা উঠে ওর কাছে গিয়ে বলে–
“আমাদের আসতে বলে নিজে কোথায় হাওয়া হয়ে গেলেন?
“আপনার বসুন,আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।”

“বাহ্!!আনটি আপনার হাতের রান্না খুব ভালো।”
“তোমার ভালো লেগেছে?
“হুম।”
“তোমায় একটা কথা জিঙ্গেস করি দ্বিধা?
“করুন”।
“তুমি কি কখনো গ্রীস গিয়েছিলে??
“না তো আনটি।কেনো??
“এমনি জিঙ্গেস করলাম।”
রিশাল জাদ কে বলে–
“তুমি কিছু খাচ্ছো না যে?
ফ্রিদা বলে উঠে–
“ওর সেদিন এলার্জি অ্যাটার্ক হয়েছিল যে তাই ডক্টর ওকে তৈলাক্ত খাবার খেতে বাড়ন করেছে।”
“শুধু জুস খেতে বলেছে তাই না জাদ।তাও আবার স্পেশাল!
দ্বিধা বলে-
“রিশাল আজকাল তুমি বেশিই কথা বলো।”

“আনটি গ্রীস নাকি অনেক সুন্দর জায়গা?
“হুম।চিন্তা করো না তোমার আর জাদ এর বিয়ের পর তোমরা না হয় সেখানে হানিমুনে চলে যাবে।কি বলো আইভান?
“হুম।”
তাদের কথায় দ্বিধা ভীষন লজ্জা পায়।
জাদ কিছু না বলেই সেখান থেকে উঠে চলে যায়।

খাওয়া দাওয়া শেষ হলে সবার চোখ এড়িয়ে দ্বিধা জাদ এর বেডরুমে চলে আসে।জাদ বেডের উপর বসে মাথা নিচু করে আছে।ও গিয়ে পাশেই বসে।
“কি হয়েছে আপনার?এখানে চুপচাপ বসে আছেন?
“কেন এসেছেন এখানে?চলে যান এখান থেকে।”
“এভাবে কথা বলছেন কেনো?
জাদ দ্বিধার গাল চেপে ধরে।রাগে ওর চোখের মনি নীলাভ হয়ে যায়।
“কেন আসেন বারবার আমার কাছে?
দ্বিধার চোখের পানি টুপটুপ করে পরছে।
“জাদ,আমার লাগছে।ছাড়ুন।”
জাদ ওকে ছেড়ে দাড়ায়।
“চলে যান এখান থেকে।আর কখনো আসবেন না আমার কাছে।”
দ্বিধা এবার প্রচন্ড ক্ষেপে যায়।
“কি পেয়েছেন আপনি?যখন ইচ্ছে কাছে টানবেন আর যখন ইচ্ছে দুরে ঠেলে দিবেন।”
জাদ ওকে ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দরজা লাগিয়ে দেয়।

দ্বিধা নিচে এসে রিশাল এর হাত ধরে বেরিয়ে যাওয়ার সময় পিছন ফিরে বলে–
“আই অ্যাম সরি আনটি,,আমাদের হয়তো একসাথে আর গ্রীস যাওয়া হবে না।”
দ্বিধা অশ্রুজল জানান দিচ্ছে কিছুতো হয়েছে।ফ্রিদা জাদ এর রুমের দরজা বন্ধ পেয়ে বাহির থেকেই জিঙ্গেস করে—
“হোয়াট হ্যাপেন্ড জাদ??
“লিভ মি এলোন মম।”
“বাট,,
জাদ ভিতর থেকে চিৎকার দিয়ে বলে–
“আই সেইড,জাস্ট লিভ মি এলোন”।
ফ্রিদা বাইরে থেকে কিছু ভাঙার আওয়াজ পায়।

“ফ্রিদা ছেলেকে বোঝাও এইবার এই সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেলে আর আসবে না।ওই মেয়েকে আমাদের চাই।”
“রিল্যাক্স আইভান।আমি ওকে বোঝাবো।”
.
.
.
ক্যাম্পাসের বারান্দায় দাঁড়িয়ে জাদ।রিপ্তি ওকে দেখে এগিয়ে আসে–
“ক্লাস এ এলে না যে?
“ইচ্ছে করছিলো না।তুমি একা যে,,সুধানিধি কোথায়??
রিপ্তি অবাক দৃষ্টিতে বলে–
“তুমি যানো না কিছু।রিশাল তোমায় কিছু বলেনি??
“ওর সাথে কয়েকদিন ধরে কথা হয়নি।কেনো কি হয়েছে??
“সেদিন তোমাদের বাসা থেকে আসার পর দ্বিধা খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে।আজ দুদিন ধরে তো জ্বরের জন্য বিছানা থেকে উঠতে পারছে না।”
“তুমি কি যাবে এখন?
“হ্যাঁ।”
“আমিও যাবো।”
.
.
.
“”দ্বিধা কেমন আছে,আনটি?
“এই তো আগের মতো। কিছুই খায়না মেয়েটা।শুধু কান্নাকাটি করে।এতো করে জিঙ্গেস করলাম কিছুই বলল না।,
পিছনে জাদ কে দেখে পারিজা ইরাম বলে–
“তুমি কেমন আছো?অনেক দিন পরে এলে।”
“ভালো,,,,আমি কি ওর সাথে দেখা করতে পারি।”
“কেন পারবে না।ও নিজের ঘরেই আছে।তোমরা যাও।”

ইরাজ বলে–
“এই জাদ ছেলেটাকে আমার কেমন যেন অদ্ভুত মনে হয়।”
পারিজা ফোড়ন কেটে বলে–
“আপনাকে তো আমার কাছে ওর চেয়ে বেশী অদ্ভুত মনে হয়।যত্তসব।”

“এখন কেমন লাগছে তোর?
রিপ্তির কথায় ওর দিকে তাকাতেই জাদ কে দেখে ভ্রু কুচকায় দ্বিধা।
আধশোয়া হয়ে বসে আছে দ্বিধা আর পায়ের কাছে রিশাল।
“কেন এসেছেন আপনি এখানে??
“রিপ্তি তুমি রিশাল কে নিয়ে বাইরে যাও।”
দ্বিধা রিশাল এর হাত ধরে বলে —
“কোথাও যাবেনা রিশাল।”
জাদ এসে ওর হাত থেকে রিশাল এর হাত ছাড়িয়ে ওদের দুজনকে বাইরে বের করে ভিতর থেকে দরজা লক করে দেয়।

“এইসবের মানে কি রিপ্তি?
“রিশাল তুমি ঝামেলা বাড়িয়েও নাতো।যা হচ্ছে হতে দাও।”
রিশাল গজ গজ করতে করতে বাড়ির বাইরে চলে যায়।

জাদ দ্বিধার সামনে গিয়ে বসে।
দ্বিধা ওর ছলছল চোখে বলে–
“কেন এসেছেন আপনি?আমি মরে গিয়েছি কিনা তা ই দেখতে।আমি মরে গেলেই তো আপনি,,,,,,,,,
আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে জাদ ওর অধর নিজের অধরযুগলে পুরে নেয় ততক্ষন পর্যন্ত যতক্ষন না দ্বিধা নিজেকে ওর কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেয়।যেনো ওর এই অসুস্থতার মহৌষধ ছিল জাদ এর স্পর্শ।

প্রায় পাঁচ মিনিট পর দ্বিধা ধীরে ধীরে জাদ এর অধর থেকে নিজেকে ছাড়ায়।জাদ ওকে ছেড়ে সামনের দিকে তাকায়।দ্বিধা কাদো কাদো কন্ঠে বলে–
“ভালোবাসেন আমায়??
জাদ সোজাভাবে বলে–
“আমি কোনো অসুস্থ রোগীকে ভালোবাসি না।”
দ্বিধা তড়িঘড়ি ওর চোখের পানি মুছে ওর সামনে দাড়িয়ে বলে–
“কে বলেছে আমি অসুস্থ??
জাদ ওকে আয়নার সামনে নিয়ে দাড় করিয়ে বলে–
“চেহারার অবস্থা দেখেছেন?চোখের নিচে একগাদা কালি।আপনাকে নিয়ে রাস্তায়ও বের হতে পারবো না।লোকে বলবে সাথে কি মানুষ না এলিয়েন।”

ওর কথায় দ্বিধা হেসে দেয়।
জাদ ঠান্ডা গলায় বলে–
“তৈরি হয়ে নিন আমরা বাইরে যাবো।”

দ্বিধার খুশি যেন আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো।
.
.
.
“জাদ আপনি সবসময় এমন করেন কেনো?
“জানি না।”
“আমায় কষ্ট দিতে আপনার খুব ভালোলাগে তাই না?
জাদ ওর নীলাভ মনি জ্বালিয়ে বলে–
“ভালোবাসায় যে কষ্ট তা আপনি জানেন না!!

কিছুক্ষন চুপ থেকে হঠাৎ দ্বিধার মিথায় এক দুষ্টু বুদ্ধি এলো।ও জাদ এর মুখের সামনে গিয়ে ওর চোখে,মুখে,ঠোঁটে অজস্র চুমু দিতে লাগল।
ঘটনারর আকস্মিকতায় জাদ ওকে থামিয়ে বলল—
“এইটা কি হলো??
দ্বিধা হেসে হেসে বলে–
“রোমান্স।আপনি তে পারেন না তাই আপনাকে শিখিয়ে দিচ্ছি।”
জাদ দুষ্টু হাসি দিয়ে বলে–
“তাই না,,,,
বলেই ওকে সুড়সুড়ি দিতে লাগল।
দ্বিধা হাসতে হাসতে মাটিতে গড়িয়ে পড়লো।জাদ পায়ে ধাক্কা লাগায় ও দ্বিধার উপরে গিয়ে পরে।
একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে ওর দিকে,যেন মাহনুর শুয়ে আছে।
দ্বিধা ওর আবেগভরা কন্ঠে বলে–
“আঙ্কেল,আনটি কে বলুন না আমাদের বিয়ে টা দিয়ে দিতে।”
জাদ ওর উপর থেকে সরে বসে।
“আজকাল আপনার কি হয়েছে বলুনতো শুধু বিয়ের কথা বলছেন?
“আমি যে আপনাকে ছাড়া থাকতে পারি না।”
“আপনাকে তো সারাজীবন আমাকে ছাড়াই থাকতে হবে।”
“আপনি আবারও আবোলতাবোল বলা শুরু করেছেন।”

জাদ চুপ মেরে যায়।
কিছক্ষন পর বলে–
“আমার আসল পরিচয় জানলে আমাকে এইভাবে ভালোবাসতে পারবেন?
দ্বিধা ওর দু হাতের আজলায় জাদ এর মুখ নিয়ে ওর কপালে আলতো চুমু খেয়ে বলে–
“আপনি যদি মোমের পুতুলও হয়ে থাকেন তবুও আপনার জন্য আমার ভালোবাসা একবিন্দুও কমবে না।
দুজন দুজনকে একে অপরের বাহুবন্ধনে আবদ্ধ করে নেয়।
.
.
.
নিজের ঘরের জানালার সামনে বসে সিগারেটের ধোয়া উড়াচ্ছে রিশাল।বিকেলে জাদ আর দ্বিধার সব কথাই আড়াল থেকে শুনেছে ও।এই পর্যন্ত এক প্যাকেট সিগারেট শেষ করেছে।অক্ষিজল বিসর্জন দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে—
“বাবা,,কেনো চলে গেলে আমায় ছেড়ে।মা ও আমায় ছেড়ে চলে গেছে আর তুমিও।আমি কি কারো ভালোবাসার যোগ্য নই।সবাই কেনো আমায় ছেড়ে চলে যায়।
স্পাইসি আর কোনোদিন আমায় ভালোবাসবে।জানোতো,মায়ের ভালোবাসা তো আমি পাইনি আর তোমার পরে আমি স্পাইসি কেই এতোটা ভালোবেসে ছিলাম।কিন্তু আজ ও আমায় ছেড়ে অন্যের হয়ে গিয়েছে।কিন্তু তবুও আমি চাই ও ভালো থাকুক।

প্লিজ বাবা,আমাকেও তোমার কাছে নিয়ে যাও।প্লিজ,ওকে ছাড়া যে বাচতে খুব কষ্ট হবে।”

চলবে,,,

(বি.দ্র:গল্প প্রায় শেষের দিকে।তাই নাইস,নেক্সট না লিখে গল্প সম্পর্কে আপনার মতামত জানান।ধন্যবাদ )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here