প্রেমময় তৃষ্ণা পর্ব – ০৫

0
1408

গল্প – প্রেমময় তৃষ্ণা
পর্ব – ০৫
লেখিকা – তানিয়া

“”””জন্মের আগেই নাকি প্রতিটা মানুষের ভাগ্য লিখা হয়ে যায়।
আমি চাই আমার সেই আজানা অচেনা ভাগ্যে তুমিই লিখা থাকো।””””

শুভর ম্যাসেজ…… কলির মুখে হাসি ফুটে উঠলো।এভাবে সারা সাপ্তাহ জুরে ম্যাসেজ এর আদানপ্রদান চলে তাদের মধ্যে।শুধু রাতে শুভর সাথে কথা হতো আমার।সপ্তাহ একদিন শুভ ঢাকা থেকে আসতো আমার সাথে দেখা করতে।এভাবে সময়গুলো ভালোই চলছিলো।
|
অনেকদিন পর আমি স্কুলে গিয়ে দেখি পুরো স্কুলকে খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে বসন্ত উপলক্ষে।ঋতরাজ বসন্ত এসে পরেছে,শীতের রিক্ততাকে কাটিয়ে বসন্তের ছোঁয়ায় প্রকৃতি নতুন রুপে সাজাতে শিখেছে।তাকেই বরন করার জন্য এতো আয়োজন।এবারও আমাদের স্কুলে কালচারাল প্রোগরাম হবে।তবে এবার আমার জন্য একটু স্পেশিয়াল।কারন এবার আমিও গান গাইবো অনুষ্ঠানে।গানের গলা বরাবরি ভালো ছিলো আমার কিন্তু শুভর উপর রাগ করে এতো বছর স্কুলের কোনও অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেনি।কিন্তু এবছর আমারর জন্য স্পেশিয়াল। আজ শুভ নামক মানুষটি আমার,তাই রাগ করে কোন লাভ নাই।কারন রাগ অভিমান,বিরহ সব শেষে শুভ শুধু আমার।
|
এদিক দিয়ে শুভর দিনগুলোও ভালোই যাচ্ছে।সারাদিনের হাজারো ক্লান্তি টেনশন দূর করে রাতে কলির সাথে কথা বলে।আজ রাতেও কলির সাথে কথা বলে জানতে পারলো কলি কালকের অনুষ্ঠানে গান গাইবে।কিন্তু শুভ ব্যস্ততার জন্য আসতে পারবে না কলিকে বলে দিলো।এটা শুনে কলির কিছুটা মনও খারাপ হয়ে গিয়েছিলো।পরে অবশ্য শুভ অন্যসব কথা বলে কলির মন ভালো করেদিয়েছে।
|
সকাল সকাল উঠে তারাতারি রেডি হতে শুরু করলাম তা না হলে দেরি হয়ে যাবে।আজ আমি একটা হলুদ রং এর থ্রীপিজ এর সাথে লাল ওরনা পড়লাম।কাঠগোলাপ এর কানের দুল পরেছি।আমার যথারীতি গোলাপ পছন্দ কিন্তু শুভর নাকি কাঠগোলাপ বেশি ভালো লাগে।তাই এবার গোলাপ বা গাধাফুল না, শুভর পছন্দ কাঠগোলাপ পরেছি।চুলটা অনেক বড় বলে কিছুটা এলোমেলো ভাবে হাতে খোপা করে সেখানেও কাঠগোলাপ এর গাজরা পরেছি।চোখে কাজল আর ঠোঁটে হালকা পিংক কালারের লিপস্টিক সব মিলে কলিকে আজ খুব সুন্দর লাগছে।আয়নায় নিজেকে দেখে কলি নিজেই লজ্জা পেয়ে গেলো,কারন এর আগে কলি কখনো সাজগোজ এর প্রতি কোন প্রকার ইন্টারেস্ট ছিলো না।কিন্তু আজ কাল কেনো জানি সাজতে খুব মন চায় কলির।নতুন নতুন প্রেমে পড়লে যা হয়।কিন্তু কিছুক্ষন পর কলির আফছোস হয়_____ফোন থেকে শুভর একটা ছবি বের করে বলতে থাকে মি: শুভ ,দেখুন আমাকে কতো সুন্দর লাগছে।আপনার পছন্দের ফুল দিয়ে সেজেছি। সারাক্ষন তো আমাকে পিচ্ছি পিচ্ছি বলেন,আজ দেখলে বুঝতে পারতেন আপনার পিচ্ছি এখন পিচ্ছি নেই বড় হয়ে গেছে।কিন্তু আপনে তো খুব ব্যস্ত মানুষ আমাকে দেখার টাইম কি আছে।আমি এবার আপনার জন্যই অংশগ্রহণ করলাম আর আপনেই নাকি আসবেন না।মনে রাখবেন আমারও সময় আসবে,দেখাবো মজা সেদিন।
|
কলি এই কলি হয়নি তোর,শিলা বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে, তারাতারি বের হো_____
আসছি মাএএএ_____কলি বের হয়ে দেখে শিলা দাঁড়িয়ে আছে।
কলি আজ কাকে খুন করার প্লানিং করছোস।
কি যা তা বলছিস।
কি যা তা না,আজ তো তোকো কি যে সুন্দর লাগছে দোস্ত, আমি পোলা হইলে ভাগায়া নিয়া যাইতাম আজ।
হইছে চল।যার জন্য এতো আয়োজন তার খবর নাই, অন্যেরে খুন কইরা কি করুম।কলি মনে মনে শুভর চিন্তা করতে করতে স্কুলে পৌছে গেলো।

অনুষ্ঠান ও শুরু হয়ে গেলো।কিছু গেস্ট এসেছে,আরও কিছু গেস্ট নাকি আসছে।আমি এখনো শুভর আসা করে বসে আছি।কিছুক্ষন পর চোখ গেলো স্কুলের গেট দিয়ে তিনজন সুদর্শন পুরুষ প্রবেশ করলো।আর সব মেয়েরা ওদের দিকে তাকিয়ে আছে।এরা আর কেউ না,ইনাম,মিহের আর একজন কে(ফাহিম) আমি চিনি না।কিন্তু আমার চোখ জাহারে খুঁজিতাছে তাহাকে কোথাও দেখছি না।ঠিক তখনি মিহের এসে_____হে পিচ্চি আপু কাকে খুঁজছো।আমি মাথা নেড়ে না বললাম কাউকে না।তুমি যাকে খুঁজছো সে এখানে নেই।তাই খুঁজাখুঁজি বন্ধ করে প্রোগরাম এ মন দেও।আর তোমাকে কিন্তু আজ অনেক সুন্দর লাগছে,শুভ ভাই দেখলে আজ পুরো পাগল হয়ে যেতো। এমনেই তো ব্যাচারা হাফ পাগল অলরেডি তোমার জন্য।তখনি ইনাম ও ফাহিম এসে দাঁড়ালো আমার সামনে।
কেমন আছো কলি।[ইনাম]
আলহামদুলিল্লাহ ভাইয়া।এই ভাইয়াটা কে আগে কখনো দেখি নি তো।
এ হলো আমাদের জিজু,অর্পা আপুর হাসবেন্ড, আর তোমার শুভ ভাইয়ার জিগরী ফ্রেন্ড। তোমার সতীন ও বলতে পারো।মিহের এর এ কথায় কলি সহ সবাই অবাক। অবাক হবার কিছু নাই কলি তোমার শুভ ভাইয়া তোমার থেকে বেশি উনার সাথে থাকে।ফাহিম ভাইয়াকে ছাড়াতো দিনই শুরু হয় না ভাইয়ার।

স্টোপ মিহের।কি যা তা বলছিস।[ফাহিম]কলি তুমি ওর কথায় কিছু মনে করো না।আর আমরা কিন্তু তোমার গান শোনার জন্যই এতো দূর থেকে আসছি।তাই শুভ কামনা রইলো তোমার সাথে আমাদের।

ধন্যবাদ ভাইয়া________

এতোক্ষন ছোট ছোট বাচ্চাদের নাচ হচ্ছিলো।কিছুক্ষন পর কলির গান শুরু।তাই কলি ষ্টেজ এর ব্যাক সাইড এ গিয়ে দাঁড়ালো। কলির নাম ডাকার পর কলিও ষ্টেজ এ গিয়ে গান আরম্ভ করবে, টিক তখনি সামনে নযর পরে কলির।এ কি! এতো শুভ।হলুদ পান্জাবী পরে হ্যান্ডসাম ___ড্যাসিং লুক নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।আর ঠোঁটে তার সেই ভয়ংকর হাসি,এই হাসি দেখিয়ে যে কোনও মেয়েকে নিমিষে পটিয়ে ফেলতে পারবে।আমি ভাবনার জগৎ থেকে বের হয়ে গান গাওয়া শুরু করলাম_________

তোমার আকাশ দুটি চোখে আমি হয়ে গেছি তাঁরা
তোমার আকাশ দুটি চোখে আমি হয়ে গেছি তাঁরা..
ওগো তোমার আকাশ দুটি চোখে আমি হয়ে গেছি তাঁরা
এই জীবণ ছিল নদীর মত গতি হারা..
এই জীবণ ছিল নদীর মত গতি হারা দিশা হরা
ওগো তোমার আকাশ দুটি চোখে আমি হয়ে গেছি তাঁরা
ওগো তোমার আকাশ দুটি চোখে আমি হয়ে গেছি তাঁরা

আগে ছিল শুধু পরিচয়..পরে হলোমণ বিনিময়..
আগে ছিল শুধু পরিচয়..পরে হলোমণ বিনিময়..
শুভলগ্নে হয়ে গেল শুভ পরিনয়শুভলগ্নে হয়ে গেল শুভ পরিনয়
আর যখনি ডাকি যনি তুমি দেবে শাড়া
এই জীবণ ছিল নদীর মত গতি হারা দিশা হরা
ওগো তোমার আকাশ দুটি চোখে আমি হয়ে গেছি তাঁরা
ও ও ও আমি হয়ে গেছি তাঁরা.. ও ও ও আমি হয়ে গেছি তাঁরা..

গানে নতুন করে এলো সুর..এ যেন আগের চেয়েও সু মধুর
গানে নতুন করে এলো সুর..এ যেন আগের চেয়েও সু মধুর
নিয়ে এলে আমায় যেন আজ বহুদুর.. নিয়ে এলে আমায় যেন আজ বহুদুর
বয়ে চলিছি যেথায়য় ভালবাষার এক ধারায়য়
এই জীবণ ছিল নদীর মত গতি হারা দিশা হরা
ওগো তোমার আকাশ দুটি চোখে আমি হয়ে গেছি তাঁরা
ওগো তোমার আকাশ দুটি চোখে আমি হয়ে গেছি তাঁরা
এই জীবণ ছিল নদীর মত গতি হারা দিশা হরা
ওগো তোমার আকাশ দুটি চোখে আমি হয়ে গেছি তাঁরা

ও ও ও আমি হয়ে গেছি তাঁরা.. ও ও ও আমি হয়ে গেছি তাঁরা..

শুভ পুড়োটা সময় কলির দিকে তাকিয়ে ছিলো।কিন্তু কলি শুভর চোখের দিকে আর তাকায়নি।কারন শুভর চোখের দিকে তাকালে হারিয়ে জেতে মন চায়।গান শেষে চারদিকের তালির শব্দে শুভর ধ্যান ভাঙ্গে।শুভ একা আসেনি এবার অর্পা ও রিহা কে সাথে করে এনেছে।অর্পা দেখেছে কলিকে আগে কিন্তু রিহার কলির সাথে আগে দেখা হয়নি।তাই এবার জিদ করেই ভাইয়ের সাথে এসেছে।কলিকে দেখে তো রিহা জরিয়ে ধরেছে।মনে হয় কতো কালের চেনা।শুভ রিহার সাথে কলিকে পরিচয় করে দিলো।
|
উফফফ,কলি ভাবি তুমি কতো মিস্টি দেখতে,একদম সন্দেশ এর মতো।তোমাকে না খেয়ে ফেলতে মন চাইছে।কলির গালটা টেনে।

কলিতো ব্যাচারী রিহার মুখে ভাবী ডাক শুনে লজ্জায় গাল দুটো টমেটো হয়ে গেছে।আর আড়চোখে এদিকওদিক তাকাচ্ছে কেউ শুনছেনি।

তা না হলে স্কুলের মেয়েগুলো হেস্থনেস্থ করে তুলবে কলির জীবন।শুভ ঠিক বুজতে পেরেছে কলি কি কারনে ভয় পাচ্ছে, তাই রিহা কে স্টোপ হতে বললো।
|
তখনি অর্পা এসে, ভাই চল যাওয়া যাক।
শুভরা দুটো গাড়ী নিয়ে এসেছিলো।একটাতে ফাহিম,অর্পা,মিহের,ইনাম বসেছে।আরেকটাতে শুভ আর রিহা।শুভ গাড়ীর দরজা খুলে দিয়ে কলিলে উঠতে বললো।
|
কলি অবাক হয়ে আমিইইই_______।বাবা বকবে।

অর্পা অন্য গাড়ীথেকে বলে উঠলো,কলি উঠে পরো,স্যার এর কাছ থেকে পারমিশন নিয়ে নিয়েছি।

শুভ ড্রাইভিং সিটে বসেছিলো,কলিকে পাশের সিটে বসতে ইশারা করছে।কিন্ত কলি ____আমি রিহার সাথে বসি বলতে নিলে।শুভর ধমকে চুপচাপ শুভর পাশে বসে পরে।
|
শুভ ড্রাইভ করছে আড়চোখে কলিকে দেখছে।কলি মন খারাপ করে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে। মন খারাপ করার কারন হচ্ছে শুভ।
|
শুভ তা খুব ভালো করেই বুঝতে পারে,তাই একটা মুছকি হাসি দিয়ে একহাত দিয়ে ড্রাইভিং করছে আরেক হাত দিয়ে কলির একটা হাত ধরে রাখে।কলি রাগ করে হাতটা ছুটানোর চেস্টা করে।কিন্তু কলির মতো পিচ্ছি কি শুভর মতো মানুষের সাথে শক্তির দিকে পারবে।যেখানে শুভ যদি কলিকে জোরে একটা থাপ্পর মারে,কলি মনে হয়না দ্বিতীয় বার উঠতে পারবে।সেদিন থাপ্পর খেয়ে বুঝতে পেরেছে।না পেরে আড়চোখ দিয়ে ইশারা করে রিহার দিকে।তার মানে ছোট বোনের সামনে এসব কি।কিন্তু শুভর তাতে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই।
|
কলিকে লজ্জা দেবার জন্য____রিহা তুই কিছু দেখছিস।
রিহা মোবাইল টিপসে _____না ভাইয়া,তোমরা চালিয়ে যাও।আমি কিছুই দেখছি না,দুস্ট হাসি দিয়ে।

কলির মুখটা দেখার মতো ছিলো তখন।

সবাই শুভদের বাগানবাড়িতে উপস্থিত হলো।এই বাগান বাড়ীটা বাহির থেকে যতোটা সুন্দর ভেতর থেকে আরো সুন্দর,কলি আজ প্রথম এই বাড়ীতে আসলো।এর আগে শুধু বাহির থেকে কয়েকবার দেখেছিলো।চতুর্দিকে সবুজ গাছের সমারোহ। আর মাঝ খানে দুতলা বিশিষ্ট ডুপলিক্সের বিশাল বাড়ী।শুভ আমার হাতটা ধরে ভেতরে নিয়ে গেলো।মিহের,ইনাম আর ফাহিম বাড়ীর ছাদে গল্প করছে।রিহা ও আমরাও সাথে জয়েন হলাম।অর্পা আপু দুপুরের খাবারের কি আয়োজন তা দেখতে গেলো।
শুভ আমাকে বসিয়ে,নিজেও পাশে বসে পড়লো।কিন্তু শুভকে দেখে মনে হচ্ছে সে ভালো নেই,মুখে বিষণ্ণতা। একবার জিঙ্গেস করতে চাইলাম কিন্তু এতো মানুষের মাঝে সাহস হলো না।
|
অর্পা আপু কফি এনে_____ভাই এটা খেয়ে নে।মাথা ব্যাথা কমে যাবে।এককাজ কর ভাই তুই কিছুক্ষন গিয়ে ঘুমা।শুভ কপিটা চুমুক দিয়ে মাথা নাড়ালো। তার মানে সে যাবে না।এখন বুঝলাম,উনাকে এমন দেখাচ্ছে কেনো।তাই এমন শান্ত হয়ে বসে আছেন।
|
মাথাতো ব্যাথা করবেই, এতো তারাতারি ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস কি আছে শুভ ভাইয়ের। সকালই শুরু হয় ১২টা বাজে।
রাহির দিকে শুভ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকায়।
|
শুভর চেহারা দেখে বুঝা যাচ্ছে ব্যাচারার মাথা ব্যাথা এখনো কমে নি।তাই আমি সাহস করে বলেই দিলাম,আপনে গিয়ে কিছুক্ষন রেস্ট নিন।মাথা ব্যাথা কমে যাবে।
|
শুভ কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে রইলো।এর পর আমার হাত ধরে ওখান থেকে নিয়ে এলো।আরে রে রে কি করছেন।আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন।সবাই কি মনে করছে।
|
শুভ রুমে এনে দরজাটা লাগিয়ে _________কেউ কিছু মনে করবে না,আর বাকিদের চিন্তাবাদ দে।তুই শুধু আমার চিন্তা কর।আমার প্রচুর মাথা ব্যাথা করছে তাই আমি কিছুক্ষন ঘুমাবো।আমাকে একদম ডিস্টার্ব করবি না।

ওকে _____বলে আমি চলে যেতে নিলাম।

শুভ আমার হাতটা ধরে ফেললো।কোথায় যাস।

আপনে না ঘুমাবেন, আমাকে ডিস্টার্ব করতে মানা করলেন,তাহলে আমি এখানে কি করবো।আপনে ঘুমান।

এই কারনে পিচ্ছিদের সাথে প্রেম করতে নেই।তুই কি কিছু বুঝস না।

শুভর কথা শুনে আমার কান্না করতে মন চাইলো।এতো সাজগোজ করার পরও নাকি আমি উনার কাছে পিচ্ছি। আমাকে কেমন লাগছে একবার বললোও না,আসার পর থেকে শুধু বকে আর ধমক দিয়ে যাচ্ছে।
|
শুভ খুব ভালো করে বুঝতে পেরেছে কলি রাগ করছে।শুভর নিজের উপরই রাগ উঠছে,আমারি বুঝার উচিৎ ছিলো,কলি এখনো ছোট,ম্যাচুরিটি এখনো আসেনি ওর মধ্যে,তাই খুব বেশি এক্সপেক্ট করা ঠিক না।
|
শুভ আমার হাতটা ধরে বিছানায় বসিয়ে দিলো,এর পর আমার কোলে মাথা রেখে মাথাটা টিপতে বললো_____তুই মাথাটা টিপে দে, আমি ঘুমাবো।এর জন্যই তোকে নিয়ে এসেছি।তোর কোলে মাথা রেখে ঘুৃমানোর সোভাগ্য আবার পাবো কিনা জানি না।তাই এই সময়টা আমাকে উপভোগ করতে দে কলি।তোর কোলে মাথা রেখে ঘুমানোর ইচ্ছা অনেকদিন আগের যা আজ পূরন হচ্ছে।
|
আমি আস্থে আস্থে শুভর মাথাটা টিপছি।আর চুলগুলোতে হাত ভুলাচ্ছি।শুভর চুলগুলো কি সফ্ট আর সিল্কি। আমার তো মন চাচ্ছে একটু কাছে গিয়ে চুলগুলোর ঘ্রান নিয়ে দেখি,কি শ্যাম্পু ব্যবহার করে।
|
শুভ ঘুমিয়ে গেছে,আর ঘুমের মধ্যেই আমার কোমড়কে জরিয়ে ধরেছে।আমারতো মনে হলো নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে।নড়তেও পারছি না,শুভ উঠে যাবে বলে।আমি তো শুভর ঘুমন্ত চেহারা দেখে,আবার প্রেমে পরে গেলাম।
…………
……………….
[বাকিটা পরবর্তী পর্বে…….]

#প্রেমময়_তৃষ্ণা #তানিয়া #গল্পের_ডায়েরি #TaNiA #GolperDiaryOfficial

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here