গল্প – প্রেমময় তৃষ্ণা
পর্ব – ০৮
লেখিকা – তানিয়া
বেশ কিছু দিন পার হয়ে গেলো।শুভ আবার নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পরলো,কিন্তু ব্যস্ততার মাঝেও শুভকে একটা জিনিস খুব তারা দিচ্ছে,তা হলো কিছুূদিন ধরে কলির বিহেভিয়ার। কলি কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে কথা বলে।শুভ অনেক বার জানতে চেয়েছিলো কলির কি হয়েছে।কিন্তু অবশেষে শুভকে নিরাশ হতে হলো।
সেদিন এর ঘটনার পর কলির জীবনে কিছুটা না ……বেশ কিছুটা প্রভাব ফেলেছে।পুরো গ্রামে কানাকানি হতে লাগলো।এবং এর রেস কলির বাসায়ও পৌছালো।গ্রামের মানুষের কানাকানি যে তার মেয়েকে নিয়ে কলির বাবা তা ভালো করে বুঝতে পারলো।কিন্তু আসলাম আমীর বুঝতে পারছে না শুভর এমন করার কারন।কলিকে শুভ ছোটকাল থেকেই খুব আদর করতো,কিন্তু এখন শুভর কাজ কর্মে অন্য কিছুর অভাস পাচ্ছে।এগুলো এখনি থামাতে হবে তানা হলে অনেক দেরি হয়ে যাবে বলে আসলাম আমীর মনে করে।তাই কলিকে ডেকে শুভর সাথে কম কথা বলতে বললো
|
শুধু বাসায় না কলিকে স্কুলও খুব প্যারা সইতে হলো।টিফিন প্রিয়ডে কলি,শিলার সাথে বসে গল্প করছিলো।এমন সময় ওদের ক্লাশের কিছু মেয়ে এসে কলিকে খুব আজেবাজে কথা শুনিয়ে গেলো।শুভকে কিভাবে ফাঁসিয়েছো,টাকার লোভে নিজের থেকে বড় একজন মানুষকে ফাঁসাতে লজ্জা করে নাই।আর শুভ চৌধুরী ও বা কিভাবে তোমার মতো মেয়েকে পছন্দ করেছে আল্লাহই জানে।কিশোরী কলি,বয়স টাবি কতো।এক সাথে এতো কিছু হজম করতে পারছে না।মন আর ব্রনের মাঝে জেনো এক বিশাল লড়াই পেকে গেছে।যার থেকে কলি বের হতে পারছে না।গ্রামের মেয়ে কলি,কখন কারো সাথে তেমন মিশে নাই,ঝগড়া তো দূরে থাক।আর এসব কিছুর প্রভাব কলি আর শুভর সম্পর্কেও পরছে।
|
অফিস আর কলির টেনশন নিয়ে শুভ এমনেই হাফিয়ে পরছে।তার উপর বাসায় গিয়ে শুভর মন মেজাজ আরো খারাপ হয়ে গেলো,যখন শুভর বাবা শুভর বিয়ের কথা তুললো।পরিবারের বড় ছেলে শুভ,বিয়ের বয়সও পার হয়ে যাচ্ছে,অথচ বিয়ে নিয়ে শুভর কোনও মাথা ব্যাথা নেই,বিয়ের প্রতি শুভর এমন উদাশিনতা দেখে আজমাল চৌধুরী ছেলের উপর খুব বেশি নারায।তবে আজ ছেলেকে জবাব দিতে হবে।কারন
শুভর জন্য খুব ভালো একটা প্রস্তাব আসছে,এমন ভালো ভালো প্রস্তাব প্রায়ই আসে,কিন্তুু শুভ এসব কিছু কখনো সিরিয়াস নেয় না।আর আজও নিলো না।তাই মুখের উপর না বলেই শুভ ড্রয়িংরুম ত্যাগ করলো।আজমাল চৌধুরী বাদে সবাই জানে এই নার কারন কি।
|
কিছুদিন পর কলির জন্মদিন, আর এবার কলি ১৭ তে পা দিবে।আর এবারের জন্মদিনে শুভ কলির সাথেই কাটাতে চায়।আর সামনে গেলে জানাও যাবে কলি কেনো এমন করছে।কি দোষ শুভর …কেনো সম্পর্কে দূরত্ব টা বেড়ে গেলো হঠাৎ ।তোর দূরত্ব যে আমাকে বিষন পরিমান পুড়াচ্ছে তা কি তুই বুঝতে পারিস না।
সকাল সকালই শুভ গ্রামের উদ্দেশ্য রওনা দিলো,তবে এবার শুভ একাই গেলো।কাউকে সাথে করে নেয়নি।
|
কলির জন্মদিনের জন্য,সকাল সকালই কলির মা কলির জন্য পায়েস রান্না করলো এবং নিজের হাতে মেয়েকে খাইয়ে দিলো।প্রতি বছরি,কলির জন্মদিনে ওর মা পায়েস রান্না করতে ভুলে না,কলির পছন্দ বলে।কলি তার মাকে বাবার কথা জিঙ্গেস করলো____মা বাবা কোথায়।______তোর বাবা তোর ছোট ফুফুকে দেখতে গেছে,কালরাত ফোন এসেছিলো।তোর ছোটফুফু নাকি অসুস্থ, তাই ফজরের নামায পড়েই রওনা দিয়ে দিলো।
আমাকে ডাকলে না কেনো,আমিও যেতাম বাবার সাথো,কতোদিন হলো দেখি না।_____সে কি করে হয়।তোর না কিছুদিন পর পরীক্ষা।পরীক্ষার পর তোর মিলি আপুর বাসা থেকে কিছুূদিন ঘুড়ে আসিস।মেয়েটা বারবার ফোনদেয় তোকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।____সত্যিই মা।____হুমমম সত্যি।আমি তোর বাবাকে বলে দেবোনি।
|
কলি,শিলা ও নিপার সাথে স্কুলের দিকে যাচ্ছিলো।কিন্তু হঠাৎ পথে শুভর গাড়ী দেখে থেমে যায়।শুভকে এতো সকালে দেখতে পেয়ে কলি খুবই আশ্চর্য হলো।তার মানে শুভ রাতভোর ড্রাইভিং করে কলির সাথে দেখা করতে এসেছে।শিলা ও নিপা কলিকে রেখে স্কুলের দিকে চলে গেলো।কিন্তু কলি এখনো সেখানই দাঁড়িয়ে আছে।আর পাশে পাসে কেউ আছে কিনা বার বার ছেক করছে।গাড়ীতে বসে,এতোক্ষন ধরে কলির সব কিছু দেখছিলো শুভ।কলিকে হাতদিয়ে ইশারা করার পরও যখন কলি গাড়ীতে উঠলো না,তখন শুভই বের হয়ে কলির হাত ধরে টেনে এনে গাড়ীতে বসাল।
…………
……………….
[বাকিটা পরবর্তী পর্বে…….]
#প্রেমময়_তৃষ্ণা #তানিয়া #গল্পের_ডায়েরি #TaNiA #GolperDiaryOfficial