#মৃণালিনী
#পর্ব ৩৩
কলকাতায় চিকিৎসার পরে ক্রমশ সুস্থ হচ্ছিলেন পারুল বালা, জ্ঞান আসার পর মৃণাল তাঁর সামনে গিয়ে দাঁড়ালো,
এটা আমার বাপের বাড়ি বড়ো মা, আপনি কলকাতায় আছেন।
মুখে বিস্ময়ের ছাপ পড়লেও মুখে কোনো কথা বললেন না পারুল বালা, পাশে বসে মৃণাল কপালে হাত রাখলো তাঁর, দাপুটে মানুষটার এই চেহারা তাকেও দুঃখ দিচ্ছিলো। বড়ো মা কে ঘুম থেকে উঠতে দেখে সৌম্য ঘরে এসে ঢুকলো,
বাড়ি যেতে হবে তো বড়ো মা! অনেক দিন তো হলো!
হাসলেন পারুল বালা, তার স্মিত মুখের হাসি সবাইকেই স্বস্তি দিচ্ছিলো। ইতিমধ্যেই সরমা এবং বিমল অষ্ট মঙ্গলা থেকে ফিরে তাঁকে দেখতে এলো। তারা আসায় অনেকদিন পরে বাড়ি তে আনন্দের জোয়ার বইছিল। রমণী বাবুও এসে পারুল বালা কে প্রতিদিন দেখে যাচ্ছিলেন। স্যারের সঙ্গে দেখা করে এসে বিমল বড়ো মার কাছে বসলো।
কেমন আছেন বড়ো মা?
জামাই কে দেখেই তাড়াতাড়ি মাথার ঘোমটা টেনে উঠে বসার চেষ্টা করছিলেন পারুল বালা, সৌম্য তাঁকে ধরে বসিয়ে দিলো।
আহ! বড়ো মা! বিমল আমাদের ঘরের ছেলে, তার কাছে আবার লজ্জা কি!
আপনি শুয়ে থাকুন বড়ো মা, আপনাকে উঠে বসতে হবে না,
শশব্যস্ত হয়ে বললো বিমল, ইতিমধ্যেই সরমা সেখানে ঢুকে এসেছিলো, সে লজ্জা জড়ানো মুখে বড়ো মার পাশে বসলো।
নিজের সংসার গুছিয়ে নিয়েছো তো বাছা?
সরমা মাথা নাড়লো,
আস্তে আস্তে করছি বড়ো মা,
পারুল বালা ব্যস্ত হলেন,
আহা! আবার আস্তে আস্তে কেনো? একা সব কিচু পারচো নে নাকি! তালে বউ দিদি কে না হয় সঙ্গে নে যাও!
তারপরেই ওখানে বসে থাকা মৃণালের দিকে তাকালেন পারুল বালা,
যাও মা, একটু ননদের সংসার গুচিয়ে দে এসো, সে ছোটো মেয়ে, একা একা এতো কিচু পারবে নে।
মৃণাল ঘাড় নাড়লো, সে মুখে কিছু বলার আগেই সৌম্য এগিয়ে এলো,
আমরা সারাদিন না থাকলে তোমার অসুবিধা হবে না তো বড়ো মা?
করুণা আচে তো! আর বউমার বাড়ির নোকেরাও আচে! আমার কোনো অসুবিধে হবে নে,
প্রায় জোর করেই সৌম্য এবং মৃণাল কে পাঠিয়ে দিলেন পারুল বালা, যাবার সময় করুণা কে সমস্ত কিছু পই পই করে বুঝিয়ে দিলো মৃণাল। এখানে এসেই তাকে নতুন শাড়ি থেকে প্রসাধন সামগ্রী সব কিছুই কিনে দিয়েছিলো মৃণাল, তাও তার মুখের হাসি ফেরেনি। তার দুঃখের কারণ মৃণালের অজানা ছিল না, সে করুণা কে সঙ্গে করে নিয়ে এসে খানিকটা হলেও নিশ্চিন্তে ছিলো।
সরমা র নতুন বাড়ি খুবই পছন্দ হলো মৃণালের, দুই ননদ বৌদির হাতে হাত মিলিয়ে ঘর গোছানো শুরু হলো। সদ্য সংসারী সরমা র তুলনায় মৃণাল এখন অনেকটাই বেশি পটু, তার বিভিন্ন রকম জিনিসের ফরমায়েশি তে সৌম্য এবং বিমল ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লো। সারা দিনের পরিশ্রমে ননদের নতুন বাসস্থান মোটামুটি বাসযোগ্য করে তুললো মৃণালিনী। দিনের শেষে তাদের মৃণালের বাড়িতে গিয়ে রাতে থাকার ব্যবস্থা হলো, সারাদিন কাজের পর নতুন উদ্যমে হেঁসেল ঠেলার উৎসাহ তাদের কারোরই আর ছিলো না।
পরের দিন ঘুম থেকে উঠে চায়ের টেবিলে বসে বিমল কে কলকাতা ঘুরে দেখানোর আবদার করলো সরমা, আগের বার বৌদির সঙ্গে কলকাতা ঘুরলেও দাদার আপত্তিতে বিমলের সঙ্গে থাকা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। চা পর্ব মেটার বেশ কিছুক্ষন পরেই এক এক করে বিমল, সরমা এবং তার পরেই সৌম্য বেরিয়ে গেলো। সবাই বেরিয়ে যাওয়ার পরে বড়ো মার ঘরে উপস্থিত হলো মৃণালিনী, পারুল বালা ঘুমিয়ে ছিলেন, করুণা সেখানে ছিলো না।
এখানে এসে থেকেই বড়ো মার পেছনে ব্যস্ততায় আলাদা ভাবে করুণার খেয়াল রাখা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি, তার খুব বেশি প্রয়োজনীয়তাও ছিলো না। আজ অনেকদিন পরে ব্যস্ততা কম থাকায় করুণার কথা মনে পড়লো মৃণালের, তাকে খুঁজতে খুঁজতে সে ছাদে এসে উপস্থিত হলো। করুণা ছাদের আলসে তে হেলান দিয়ে নিচের রাস্তার দিকে তাকিয়ে অন্য মনস্ক ভাবে দাঁড়িয়ে ছিলো, বউ দিদি কে আসতে দেখে ফিরে তাকালো।
কিরে! কলকাতা ভালো লাগছে?
করুণা কোনো উত্তর দিলো না, তার চোখে মুখে বিরক্তি প্রকাশ পাচ্ছিলো। তার মুখের অভিব্যক্তির কারণ মৃণালের অজানা ছিলো না, সে নিজে থেকেই বললো,
বাড়ি ছেড়ে মন খারাপ? চিন্তা করিস না, আর কদিনের মধ্যেই ফিরে যাবো।
চিন্তে কেনে করবো বউ দিদি! আমি তোমাদের বাড়ির কাজের নোক, যা কইবে তাই করতে হবে নি বলো? আমার কতার কি দাম আচে!
এতক্ষনে কাটা কাটা গলায় উত্তর দিলো করুণা, মৃণাল মনে মনে চমকে উঠলেও মুখে হাসি ধরে রেখেই বললো,
সে আবার কি কথা! তোকে আমরা কোনোদিনও কাজের লোক বলে ভেবেছি করুণা? বাড়িতে সবাই তোকে ভালোবাসে, আর বড়ো মা তো তোকে নিজের মেয়ের মতোই দেখেন। তাই জন্যেই তো বউ কে না নিয়ে এসে তোকে সঙ্গে করে নিয়ে এলাম। তুই যা যা চেয়েছিস সব তোকে কিনে দিয়েছি, আর কোনো কিছু দরকার লাগলে বল?
আর কিছু লাগবে নি বউ দিদি, আমারে বাড়ি নে চলো! এখেনে তাখতি আমার মন চায় নে আর!
প্রায় ধরে আসা গলায় এবার বললো করুণা, মৃণালের সত্যিই খারাপ লাগলো,
জানি তোর মন খারাপ হচ্ছে, কিন্তু উপায় কি বল? আমরা তো ইচ্ছে করে এখানে বসে নেই! বড়ো মা সুস্থ হয়ে গেলেই ফিরে যাবো, কটা দিন একটু ধৈর্য্য ধর,
নরম গলায় বললো মৃণাল, বউ দিদির নরম গলা বোধ হয় করুণা কে একটু খুশি করলো, সে চুপ করে রইলো।
সরমার তো হয়ে গেলো, এবার তো তোর পালা! বড়ো মা একটু সুস্থ হয়ে গেলেই তোর বিয়ের কথা বলবো ভেবেছি, আমরা আবার খুব আনন্দ করবো, বুঝলি তো!
মুচকি হেসে করুণার দিকে তাকিয়ে বললো মৃণালিনী, করুণা চমকে উঠে বিস্ফারিত দৃষ্টিতে বউ দিদির মুখের দিকে তাকালো, তারপর নিজেকে একটু সামলে নিয়ে বললো,
আমার বে নিয়ে ভেবো নি বউ দিদি, আমি তোমাদের কেউ নই গো!
তাই নাকি! তবে সেটা তুই ভাবিস, আমরা তো তোকে বাড়ির মেয়েই ভাবি! দ্যাখনা, বাড়ি ফিরেই সব ব্যবস্থা করে ফেলি কিনা! বউ দিদির ওপর না হয় একটু ভরসাই রাখ!
বলতে বলতেই নিচের থেকে বাবার ডাক কানে এলো মৃণালিনীর, সে হাসতে হাসতে সিঁড়ির দিকে এগোলো। বউ দিদির কথা যে শুধুই কথার কথা নয় তা করুণা মনে মনেই জানে, তাই বাড়িতে ফিরে তার বিয়ের চেষ্টা শুরু হবে ভেবেই তার মুখ শুকিয়ে গেলো। সে করুন মুখে মৃণালিনীর চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।
বিকেলে প্রায় ফাঁকা বাড়িতে বড়ো মার কাছে বসেছিলো মৃণাল, অনেকদিন পরে আজ সৌম্য তার কলেজে গিয়েছিলো। এমন সময় নিচের থেকে কড়া নাড়ার আওয়াজ ভেসে এলো, ব্রজ দরজা খুলতে গিয়েছিলো, মৃণাল কে এসেছে দেখার জন্যে বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছিলো। নিচে আসা আগন্তুক কে দেখে সে প্রায় চমকে উঠলো, সহপাঠী সুভাষ কে দেখেই তার বড়ো মার আগের বারের করা অশান্তির কথা মনে পড়লো। বড়মা আবার বিরক্ত হন কিনা ভাবতে ভাবতেই সুভাষ ওপরে উঠে এলো,
তোমাকে অফিস যাওয়ার পথে,কদিন ধরেই লক্ষ্য করছিলাম, আজ ভাবলাম একবার ঘুরে যাই,
বললো সুভাষ, তার গলায় অস্বস্তির ভাব মৃণালিনীর নজর এড়ালো না,
আরে! খুব ভালো করেছো! এসো এসো, ভেতরে এসো, কেমন আছো বলো?
শশব্যস্ত হয়ে সুভাষ কে বসার ঘরে নিয়ে যেতে যেতে বললো মৃণালিনী। ব্রজ দা কে চায়ের কথা বলে এসে তার উল্টোদিকের চেয়ারে বসলো মৃণাল,
তোমাকে আসলে একটু অন্য কথা বলতে চেয়েছিলাম, তাই তুমি কলকাতায় এসেছো দেখেই সাহস করে চলে এলাম,
একটু কুণ্ঠিত গলায় বললো সুভাষ, মৃণালিনী অবাক হলো, মুখে কিছু না বলে কৌতূহলী দৃষ্টিতে সুভাষের মুখের দিকে তাকালো,
ওই যে তোমার ননদ, মানে বিভার কথা বলছি, মেয়েটির কি বিয়ে হয়ে গিয়েছে?
না, হয়নি এখনও, তবে হয়ে যাবে নিশ্চয়ই!
একটু বিরক্তির গলায় বললো মৃণালিনী, সুভাষের বিভা কে দেখতে গিয়ে পছন্দ না হওয়ায় সে সুভাষের উপর মনে মনেই ক্ষুব্ধ হয়েছিলো। মৃণাল এর গলার বিরক্তি সুভাষের নজর এড়ালো না,
আমি আসলে ওই ব্যাপারেই একটু কথা বলতে চেয়েছিলাম, তোমাকে বলেছিলাম তোমার মনে আছে নিশ্চয়ই, বাবার সঙ্গে পণ নেওয়া নিয়ে আমার একটু বিরোধ হয়েছিলো, তাই আমি পিছিয়ে গিয়েছিলাম তখন। কিন্তু এখন বাবা আর আপত্তি করছেন না আমার কথায়, তাই নতুন করে ওর প্রসঙ্গেই ভাবছিলাম। তুমি বলেছিলে না, আমিও পরে ভেবেছি, বিয়ের পরে আমি নিজেই ওকে পড়াশুনা শিখিয়ে নিতে পারি, তাই যদি ওনাদের কোনো আপত্তি না থাকে তবে তুমি একবার কথা বলে দেখতে পারো।
মনে মনে এতটাই পুলকিত হলো মৃণালিনী, যে আর ধৈর্য্য রাখতে না পেরেই তাকে নিয়ে বড়ো মার ঘরের দরজায় এসে দাঁড়ালো। পারুল বালা খাটে বসেছিলেন, তাদের দুজনকে দেখে একটু অবাক চোখে তাকালেন।
বড়ো মা, ও সুভাষ, মনে আছে ও বিভাকে দেখতে গিয়েছিলো,
পারুল বালা মনে মনেই একটু লজ্জিত হলেন, মুখে কিছু না বলেই সুভাষের দিকে তাকালেন, সুভাষ তাঁকে নিচু হয়ে প্রণাম করলো।
ও বিভার ব্যাপারে কথা বলতে এসেছে, আপনি একটু অবনি কাকা কে বললে বিরোধ মিটিয়ে বিয়েটা হয়ে যেতে পারে,
খানিকক্ষন অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন, তারপর ধীরে ধীরে মাথা নাড়লেন পারুল বালা,
এ ব্যাপারে তুমি তোমার সোয়ামি র সঙ্গেই কতা কও বাছা! এমনিতেই তো বিমলের সঙ্গে সম্বন্ধ না হওয়ায় অবনী একটু রেগেই আচে!
পারুল বালার কথা কিছু বোধগম্য হচ্ছিলো না সুভাষের, সে অবাক দৃষ্টিতে মৃণালিনীর দিকে চাইলো। মৃণাল একটু অপ্রস্তুতে পড়লো, সে একদম ভুলেই গিয়েছিলো যে সরমার বিয়ের জন্যে সৌম্য বড়ো মার কাছে কি কথা বলেছিলো সেদিন। তাড়াতাড়ি নিজেকে সামলে নিলো মৃণাল, সুভাষের দিকে ফিরে বললো,
চলো তোমাকে সব টা বুঝিয়ে বলছি।
বাইরে এসে সে সবে মাত্র সুভাষ কে সব কিছু খুলে বলতেই শুরু করেছিলো, সৌম্য কলেজ থেকে ফিরে সিঁড়ি দিয়ে উঠে এলো। সুভাষ কে সে আগে কখনো দেখেনি, তাই জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে বউয়ের দিকে তাকালো। মৃণাল তাড়াতাড়ি এগিয়ে এলো, সুভাষের সঙ্গে সৌম্যর পরিচয় করিয়ে দিয়ে তার এখানে আসার কারণ বুঝিয়ে বললো। সব কিছু শুনে সৌম্য মাথা নাড়লো,
ঠিক আছে, আমি অবনী কাকার সঙ্গে কথা বলবো, উনি সবটা শুনলে আর আপত্তি করবেন না নিশ্চয়ই। কিন্তু আপনিও আপনার বাড়ির দিকটা দেখে রাখুন, ভবিষ্যতে আবার আপনার বাবার সঙ্গে নতুন কোনো সমস্যা তৈরি হলে আমি আমার কাকার কাছে লজ্জায় মুখ দেখাতে পারবো না কিন্তু।
সুভাষ লজ্জিত হলো, সে সৌম্য কে কোনো বিপাকে ফেলবে না বলে কথা দিলো। সুভাষ চলে যাবার পরে সৌম্য কে নিয়ে ঘরে ঢুকে এলো মৃণাল। সে যে একটু আগেই বড়ো মার সামনে ভুল করেই বিভার কথা বলে ফেলেছে, সেটা সৌম্য কে হাসতে হাসতে জানালো।
এবার অবনী কাকা এমনই রাজি হয়ে যাবেন, বিভার পাত্র পাওয়া যাচ্ছে না এমনিতেই তাই সুভাষের কথায় তিনি এমনিতেই উৎসাহ দেখাবেন,
মুচকি হেসে বললো সৌম্য।
যাবার দিন ক্রমশই এগিয়ে আসছিলো, অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন পারুল বালা, সৌম্য তাঁর ঘরে ঢুকে বললো,
চলো বড়ো মা, এবার বাড়ি যাই,
মুখে হাসি ফুটে উঠলো তাঁর, অনেকদিন ধরেই বাড়িতে ফেরার জন্যে ব্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন তিনি। করুণার মুখেও হাসি ফুটলো, সে তাড়াতাড়ি নিজের এবং পারুল বালার জিনিসপত্র গোছ গাছ করতে শুরু করলো। ফেরার দিন গাড়িতে ওঠার আগে নমস্কার করলেন রমণী বাবু,
এবার অসুস্থ হয়ে এসেছিলেন বেয়ান, পরের বার কিন্তু এমনই আসতে হবে,
হাত জোড় করলেন পারুল বালা,
চারিদিকে কতো আলো! সব আঁধার সরিয়ে দেয়! মন ভালো হয়ে যায়! নিশ্চয়ই আবার আসবো খনে বেয়াই মশাই!
বাড়িতে ফিরে এসেও কিন্তু খুব বেশি সুস্থ হলেন না তিনি, করুণা কে তাঁর সারাদিনের সেবার জন্যে রাখা হলো। এতদিন পরে বাড়িতে ফিরে কিছুটা হলেও শান্তি পেলেন পারুল বালা, করুণার মুখেও খুশি উপছে পড়ছিলো।
কলকেতা ফিরে যাবার আগে অবনীর সঙ্গে একটু কতা পেড়ে যেও বাছা! সে বোধ করি একটু কষ্টই পেয়েছে মনে মনে,
সৌম্য কে একা পেয়ে বললেন পারুল বালা,
হ্যাঁ, বড়ো মা তুমি চিন্তা কোরো না, সে আমি ইতিমধ্যেই বলেছি। তোমার শরীর খারাপ তাই তোমাকে বলি নি আর, অবনী কাকা একটুও রেগে নেই, উনি আমাকে সুভাষের সম্পর্কে খবর নেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি কিছুদিনের মধ্যেই সব টা ওনা কে জানিয়ে দেবো, তুমি নিশ্চিন্ত থাকো।
পারুল বালা খুশি হলেন, সৌম্য কলকাতায় ফিরে গেলো, যাবার আগে মৃণাল কে পই পই করে বুঝিয়ে দিয়ে গেলো করুণা কে বড়ো মার সেবায় আটকে রাখার জন্যে, যাতে সে আলোকের সঙ্গে খুব বেশি যোগাযোগ রাখতে না পারে।
ক্রমশ