বেমানান! পর্ব-৫

0
1760

বেমানান!
পর্ব ৫) শুরু হোক পথ চলা, শুরু হোক কথা বলা!

ভোর সাড়ে পাঁচটা! আলার্মে ঘুমটা ভেঙেছিল স্নিগ্ধর! ঈশানি নিশ্চই অনেকক্ষণ উঠে পড়েছে,,,,এতক্ষনে হয়তো বেরিয়েও পড়েছে বাড়ি থেকে! কথাটা ভাবতে ভাবতে ট্র্যাক সুট টা কোনোরকমে গায়ে চাপিয়ে মুখ হাত ধুয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে ঈশানির নম্বর টা ডায়েল করলো স্নিগ্ধ!

“হমম শোন্ না! একটু দেরি হয়ে গেলো বুঝলি!”

“নো প্রব্লেম স্যার! আমি আপনার Appartment এর নীচেই দাঁড়িয়ে!”

“কি বলিস?” বলেই হুড়হুড় করে সিঁড়ি দিয়ে নামতে শুরু করলো স্নিগ্ধ…….

বাইরে বেরিয়ে দেখে সত্যি তো ঈশানি হলুদ সালোয়ারে দাঁড়িয়ে Appartment এর বাইরে,,,,,হাতে ফোন,,,,কানে হেডফোন,,,,ভোরের আকাশে তখনও প্রথম আলো ভালো করে ফোটেনি,,,আলো অন্ধকারের এক অদ্ভুত মিলন! হালকা ঠান্ডা বাতাস ছুঁয়ে গেলো ওদের! পাখিদের চিঁচিঁ শোনা গেলো কোনো দূর আকাশ থেকে,,,,স্নিগ্ধ আকাশের দিকে তাকিয়ে চেয়ে দেখলো, এক দল নাম না জানা সাদা পাখিদের দল উড়ে যাচ্ছে দীর্ঘ আকাশ জুড়ে!

“ভালো লাগছে জানিস ঈশানি! চল…..কোন দিকে হাঁটবি?”

ঈশানির মুখে হালকা হাসির রেখা! বেশ শান্ত গলায় ঈশানি বললো –
“এই তো এখান থেকে ডান দিকে একটা বড়ো মাঠ,,,,,,দেখবে কত লোক হাটতে আসে!”

“বেশ চল! So, আর বল!”

“কি বলবো? তুমি কিছু বলো!”

“মমমম! আমি তো সারাদিনই বকবক করি! তুই বল কিছু! আচ্ছা তোর বয় ফ্রেন্ড দেড় কথা বল!”

একটু বিরক্ত হয়ে ঈশানি বললো –
“তুমিও! এখন সেই আমার দুর্বল…..”

“আরে! আরে দাঁড়া! আমি জানি তুই এখন সিঙ্গেল! বাট চিরকাল তো সিঙ্গেল ছিলিস না?”

“চিরকালই সিঙ্গেলই ছিলাম! আর আমাকে কে প্রপোজ করবে?” একটু খিটখিটে সুরে বললো ঈশানি…..

এবারে স্নিগ্ধ একটু সিরিয়াস গলায় বললো –
“কেন করবেনা? মানে না প্রপোজ করার কারণটা বল! তুই স্মার্ট, ইন্টেলিজেন্ট, রেস্পন্সিবল, গুড লুকিং, ব্রড মাইন্ডেড, সবাই ….

“ওহঃ! প্লিজ! ছাড়ো! এসব বলোনা প্লিজ! আমার সান্তনার প্রয়োজন নেই!”

“কিসের সান্তনা? কে তোকে সান্তনা দিচ্ছে? আমার যেটা মনে হয় আমি সেটা বললাম,,,,এর মধ্যে সান্তনার কি হলো??”

“ডান দিক নাও এখন থেকে! অন্য কথা বলো!”

স্নিগ্ধ কিছু বললো না চুপচাপ হেঁটে চললো ঈশানির সাথে!

ঈশানি স্নিগ্ধকে চুপচাপ হাঁটতে দেখে গলাটা পরিষ্কার করে বললো –
“কি হলো চুপ হয়ে গেলে কেন?”

“আমি কি ভুল বলছি? এরকম রিএকশন দেওয়ার মতনও কিছু ছিলোনা!”

“ছোট থেকে একটা মেয়ে শুনে এসেছে যে ভীষণ বাজে দেখতে,,,অযোগ্য,,,,বেমানান কোনো ঠিকঠাক ছেলের পাশে,,,,আর তাকে তুমি বলছো গুড লুকিং! আমার জায়গা থাকতে তাহলে কষ্টটা বুঝতে পড়তে!”

“কিন্তু ভালো, খারাপ তো পার্সপেক্টিভ তাইনা? মানে কারুর তোকে বাজে লাগতেই পারে,,তার মানে তো এই নয় আমারও তোকে বাজে লাগবেই! আশ্চর্য!”

“কিন্তু! কারুর ভালো লাগেনি আমাকে আজ অব্দি,,,তোমার কি ভাবে,,,”

ঈশানির কথাটা শেষ হওয়ার আগেই স্নিগ্ধ বেশ বিরক্ত গলায় বললো –
“অতশত এক্সপ্লেন করতে পারবোনা কি ভাবে! ছাড় অন্য কথা বল! ফালতু এসব আলোচনা করে ফ্রাস্টেটেড লাগছে!”
বলেই আবার চুপচাপ হাঁটতে শুরু করলো ঈশানি!

খানিকক্ষণ চুপচাপ হাঁটলো ওরা! তারপর ঈশানি নিজে নিজেই বলতে শুরু করলো –
“তখন স্কুলে,,,,ক্লাস টেন! পড়াশোনায় বেশ ভালোই ছিলাম,,,,,আমার দুজন বন্ধু ছিল শ্রী ও অংশু! অংশুর পুরো নাম অংশুমান! তুমি শুনছো?”

“শুনছি বল!”

ঈশানি হালকা হেসে আবার গল্প শুরু করলো –
“হমমম, তো আমি, শ্রী আর অংশু সবসময় একসাথেই থাকতাম,,,,অংশু সারাদিন আমার সাথেই বেশি কথা বলতো,,,,কম বয়েস,,,,প্রথম ভালোলাগা,,,,তখন অবশ্য বুঝতামনা মানুষের কাছে লুক্সটা এতটা ম্যাটার করে! তো আমার মনে একটা ভুল ধারণা তৈরী হয়ে গিয়েছিলো যে অংশু Likes Me……”

“তারপর?” এতক্ষণে স্নিগ্ধ ঈশানির দিকে তাকালো!

“তারপর আর কি? মাধ্যমিকের শেষে আমি অংশু কে বললাম যে ওকে আমার ভালো লাগে,,,,,ও আমাকে বললো যে আমি ভাবলামও কি করে,,,,যে ওওওওর ………আমাকে ভালো লাগতে পারে! ব্যাস এই হলো আমার স্টোরি!”

“এটার মানে কি যে ওওওওর তোকে ভালো লাগতে পারেনা?”

“মানে ও খুব সুন্দর দেখতে ছিল,, আর আমি ছিলাম এই রকম! তো আমি বেমানান ছিলাম! সবাই আমাকে বলেছিলো জানো ওর ভালোলাগাটা স্বার্থের,,,,ও পড়াশোনা বুঝতে চায় আমার কাছে আর শ্রী কে পছন্দ করে,,,,,আর এই কথাটা আমাকে কৌশানি বলেছিলো,,,,,কৌশানিও তো একই স্কুলে পড়তো,,,,,একই পুল গাড়িতে যেতাম আমরা!”

“বুঝলাম!”

“কি?”

“ওই অংশু ছেলেটাই তোর মাথায় এই ভুল চিন্তা ভাবনা ঢুকিয়ে দিয়ে গিয়েছে!”

“কি চিন্তা ভাবনা?”

“এই যে তুই ভালো দেখতে নয় – ভুল চিন্তা ভাবনা,,,,,এই যে শুধু লুক্স দিয়ে মানানসই বা বেমানান ডিসাইড করা হয় – দ্বিতীয় ভুল চিন্তাভাবনা!সব ভুল কথা গুলো তোর মাথাতে ঢুকিয়ে দিয়ে চলে গিয়েছে!
ঈশানি – নিজেকে ঠিক করে কখনো আয়নাতে দেখিস – দেখবি তুই কতটা সুন্দর! তোর চোখ দুটো দেখিস, তোর চোখ দুটো দেখলেই তোর মনটা পড়া যায় ,,,এমন একটা মন যে মনে দাগ লাগেনি একটুও! আর তোর হাসিটা! এগুলো কখনো খেয়াল করেছিস! এতো সুন্দর একটা সহজ সরল লুক্স,, তোর পছন্দ নয়!
ঈশানি তোর নিজেকে কি ভাবে ভালো লাগেনা! মানুষ যদি নিজেকে না accept করে,,,,,নিজেকে না ভালোবাসে, ট্রাস্ট মি সে অন্য কাউকে ভালো রাখতে পারেনা!
সো…….লাভ ইওরসেল্ফ ফার্স্ট!
তারপর দেখবি সব কত সুন্দর! নিজে নিজেকে নিয়ে খুশি থাক,,,,,হ্যাঁ তুই কালো! accept কর এটাকে! ভগবান মানুষের বাইরের চামড়াটা বিভিন্ন শেডস এর দিয়েছে! আর তোর শেডস টা ডার্ক,,,,,আর ভগবান এটা কোথায় বলে গিয়েছে, ডার্ক ইস নট বিউটিফুল? এটা মানুষেরা বানিয়েছে ঈশানি!
মানুষের চেহারা তার সততার প্রতীক! তার মনের একটা প্রতিচ্ছবি! এন্ড ট্রাস্ট মি এতটা সুন্দর প্রতিচ্ছবি আমি এর আগে কখনো দেখিনি!”

ঈশানি এক মনে শুনতে থাকে স্নিগ্ধর বলা কথা গুলো! আজ প্রথম কেও ঈশানি কে কমপ্লিমেন্ট দিলো,,,তাও তার চেহারা নিয়ে,,,এর আগে শুধু পড়াশোনার বিষয় ছাড়া কেউ কখনো কোনো ভালো কথা বলেনি ঈশানি কে! হ্যাঁ ঈশানির বাবা মা অবশ্য বলে মেয়ের মনটা বৃহৎ! ও সবাইকে ভালো রাখতে পারে সব সময়!

“কি ভাবছেন ম্যাডাম? আপনি কি কিচ্ছুটি বুঝলেন! না এমনি এমনি এতো গুলো কথা খরচা করালেন আমাকে দিয়ে !হমমম?”

“হমমম! বুঝলাম! এবারে নিজের কথা বলো!”

“কি কথা শুনবি বল?”

“তোমার গার্ল ফ্রেন্ড দেড় কথা!”

“কেউ ছিলোনা কখনো”

“ওহঃ! প্লিজ,,,,,,ইম্পসিবল!”

“And what makes this so impossible ??”

“মানে তুমি হ্যান্ডসম, স্মার্ট, যাদবপুর স্কলার, ভালো চাকরি করো, হাসিখুশি, যে কাউকে ভালো রাখতে পারো!”

“আচ্ছা!! আর?”

“কি আর?” বলেই ঈশানি হাসতে শুরু করলো!

“মানে আরও বল! ভালো লাগছে এসব শুনতে!”

“ধ্যাৎ! খুব বাজে তুমি,,এই ভাবে কথাটা ঘোরাচ্ছ! বলবেনা তো বলোনা!”

“আচ্ছা বেশ! শোন – সেরম কোনো ভালোলাগা, ভালোবাসা, কোনোদিন কিছুই ছিলোনা, আমি জানি জিনিষটা বিশ্বাস করা খুব শক্ত! কিন্তু এটাই সত্যি! সত্যি কথা বলতে আমার খুব কম মানুষকেই পোষায়! তুই আমার সাথে থাকলে বুঝতে পারবি এগুলো আসতে আসতে!
…….. কিন্তু হ্যাঁ বছর দুয়েক আগে একটা ঘটনা ঘটে ছিল,,,,বাবার বন্ধুর মেয়ে তৃষা! আমার কনসেন্ট না নিয়ে বাড়ির সবাই বিয়ের কথা বলতে শুরু করে,,,,অনেস্টলী তৃষা খুব ভালো মেয়ে, ইভেন তৃষারও মনটা বেশ পরিষ্কার! তাই আমার মোটামোটি ভালো বন্ধু ছিল!”

“আচ্ছা তারপর?”

“এবারে আমার তো কোনোদিনই সেরম বন্ধু ছিলোনা,,,,আবার মেয়ে বন্ধু তো একেবারেই নয়,,,,,
তাই সবাই ভেবেছিলো আমি পছন্দ করি ওকে,,,,,,,,তোকে মিথ্যে বলবোনা ঈশানি,,,,,একটা সময়ে যখন তৃষা কাঁদছিলো না,, আমার মনে হয়েছিল হ্যাঁ বলেই দি! ইনফ্যাক্ট মেয়েটা সত্যি ভালো রে! আমি ঠিক বুঝিনি জানিস ও সত্যি আমার জন্যে ফীল করে কিছু! আর তারপর বাবার বন্ধু তৃষার বাবা, তো রিলেশনটাও খারাপ হচ্ছিলো তখন দু বাড়ির মধ্যে!”

“তারপর হ্যাঁ বললে!”

“নাঃ বলতে হলোনা! তৃষা নিজেই বুঝলো,,,,ওকে এক ঘন্টা ধরে আমি বুঝিয়েছিলাম যে আমরা দুজন দুজনের জন্যেই Compatible নয়!”

“কেন Compatible নয়?”

“তৃষা খুব ambitious ,,,,বাইরে settle হতে চায়! আর আমি নয় সেটা ঈশানি! আমি চাইনি একটা রিলেশনে কেউ কারোর জন্যে কম্প্রোমাইস করুক! মানে আমি চায়নি ও আমার জন্যে এ দেশে থাক
বা আমি ওর জন্যে ও দেশে গিয়ে পিএইচডি করি! আমার এই জীবনটা পছন্দ ঈশানি আর ওর ওই জীবনটা! দুটো মানুষ দুটো আলাদা পৃথিবীর হলে খুব সমস্যা!”

“আচ্ছা!”

“আর ট্রাস্ট মি,, এখন ও খুব ভালো আছে! রিদ্ধির সাথে ওর বিয়ে হয়েছে,,আবার জানিসতো রিদ্ধি আমার বন্ধু! ওরা দুজনেই এখন স্টেটস এ! এখন দুজনেই হ্যাপ্পি! মাঝে মাঝে আড্ডা হয়তো স্কাইপে ”

“ওওঃ আচ্ছা! আইটি তে নাকি?”

“হমমম! আইটি তে!”

“এই সময় একটা সময় ছিল আর একটা সময় ছিল ২০০৯ ! উউফ!”

“কেন কি হয়েছিল?”

“২০০৯ এ আমি মেডিক্যাল কলেজে চান্স পাই!”

“ওহঃ! তাই নাকি? তারপর?”

“ওই ৮ মাস যে কি গেছে ঈশানি! আমার এক ফোটা ইচ্ছে করতোনা জানিস,,,তারপর রক্ত! মর্গের গন্ধ! পেশেন্ট এর কান্না! কষ্ট! সব মিলয়ে আমার দম বন্ধ হয়ে আসতো জানিস! তারপর আট মাস পর ফাইনালি আই কুইট! আর চার মাস থাকলে আমি আর বাঁচাতাম না!”

“ওহঃ!”

“বাবা, মা ডাক্তার,,,,বাড়ির সবাই ডাক্তার! ব্যানার্জী বাড়ির একমাত্র অপদার্থ ছেলে যে মেডিক্যাল কলেজে ঢুকে বেরিয়ে আসে! মেডিক্যাল ড্রপ-আউট! তারপর ফিজিক্স Hons যাদবপুর! প্লাস টু এর নম্বর ভালো ছিল খুব! তাই চান্স পেতে অসুবিধে হয়নি! মাঝে মাঝে মনে হয় জানিস আমি Successful হতে পারলাম না! কিন্তু আমি খুশি নিজেকে নিয়ে!”

“একটু আগে তুমি বলছিলে না সুন্দর কথাটা Perspective! সুন্দর কথাটার বাঁধা ধরা কোনো ডেফিনেশন নেই!
Successful কথাটারও কিন্তু কোনো ডেফিনেশন নেই! মানে একজন কৃষকের কাছে সাকসেস মানে কিন্তু অনেক ফসল ফলানো,,,বা ধরো একজন বাউল,,,, তার কাছে সাকসেস মানে হলো গান গাওয়া!
ঠিক সেইরকম ভাবে কেউ গান গেয়ে সাকসেস খোঁজে, কেউ আবার কিছু আবিষ্কারের খোঁজে পুরো জীবনটাই কাটিয়ে দেয়,,,,কেউ আবার তোমার আমার মতন মানুষের টাকা পয়সার হিসেব রাখে,,,সময়ে তাদের পাশে থেকে লোন দেয়,,,,
আবার ধরো দূরে কোনো এক পাহাড়ে মাটি কেটে কেউ রাস্তা বানিয়েই সাকসেস খোঁজে ফেরে!
আবার ধরো একটা পিছিয়ে পড়া গ্রামের একজন সাধারণ স্কুল মাস্টারের কাছে সাকসেস মানে গ্রামের বাচ্চা গুলো কে ভালো করে পড়াশোনা শেখানো,,,,,,একটু বেসিক এডুকেশন শিখিয়ে ওদের একটু আধটু নিজের পায়ে দাঁড় করানোর নামই সাকসেস ওনার কাছে!
সাকসেস মানে যদি শুধু ডাক্তার বা ইঞ্জিনের হতো স্যার, তাহলে এই দেশে আর কেউ ফসল ফলাতো না! কোনো বাঁশিওয়ালা বাঁশিও বাজাতো না! কোনো লিওনার্দো মোনালিসা আঁকতো না! কোনো উদাস বাউল গান শোনাতে আসতো না! তাইনা?”

“এতো গুছিয়ে কথা বলতে কবে থেকে শিখলি তুই?” বেশ ঠান্ডা গলায় বললো স্নিগ্ধ!
“চল! বসের দোকানে চা খাবো!”

“কার দোকান?” বলেই ঈশানি খিলখিল করে হাসতে শুরু করলো!

“আরে এই তো হারু দার দোকানে! চৌমাথার পাশে,,,,বেস্ট চা এখন কার! তাই হারুদা হলো বস!”

ঈশানি আবার হেসে উঠলো!

পূর্ব দিকের আকাশটা সূর্যের আলোয় ঝলমল করছিলো,,,,,এক ফালি রোদ এসে পড়েছিল ঈশানির বাঁ গালে,,,,,,ওরা দুজনে গিয়ে বসলো হারু দার চায়ের দোকানের বেঞ্চিতে!

মিনিট দুয়েকের মধ্যেই চায়ের ভাঁড় এসে পৌঁছলে ওদের কাছে, সঙ্গে প্রজাপতি বিস্কুট!
চায়ের ভাঁড়ে চুমুক দিতে দিতে স্নিগ্ধ দেখলো ঈশানির মুখের অনাবিল হাসিটা! যে হাসি নিমেষেই মুছে দিতে পারে সব কষ্ট, দুঃখ!

(চলবে…….)
আগামী পর্ব কাল ……..😇

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here