ভুলবশত প্রেম পর্ব-৩২

0
1800

#ভুলবশত_প্রেম
#লেখনীতে:সারা মেহেক

৩২

পাত্র হিসেবে আমার আদ্রিশকে দেখে আমার চোখ কপালে তোলার জোগাড় হয়ে এলো। আমি এক প্রকার হা করে নিষ্পলক উনার দিকে চেয়ে আছি। আমার এ প্রতিক্রিয়া দেখে আদ্রিশ সুক্ষ্মভাবে মিটিমিটি হেসে চলছেন। এদিকে আমি ভেবেই কূলকিনারা পাচ্ছি না, যেখানে ইয়াসিরের বসে থাকার কথা সেখানে আদ্রিশ কিভাবে বসে আছেন! আমার বিস্ময়ের মাত্রা আরো বেড়ে গেলো যখন আমি খেয়াল করে দেখলাম উনার পুরো পরিবারই এখানে উপস্থিত রয়েছেন। তবে আমার কাছে সবচেয়ে অদ্ভুতুড়ে যে বিষয়টি লাগলো তা হলো, আমার পুরো পরিবার কি করে স্বাভাবিক আছে? তাদের সামনে রীতিমতো পাত্র অদলবদল হয়ে বসে আছে অথচ তারা সকলেই স্বাভাবিক প্রায়! তাহলে সবকিছু কি আগেই থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলো সকলে?
নাহ, কিছুতেই কিছু ভেবে উঠতে পারলাম না আমি। আমার মাথায় হাজারো প্রশ্ন গিজগিজ করছে। অথচ একটার জবাবও আমার জানা নেই।

আমাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে কামাল আংকেল বলে উঠলেন,
” মেয়ে আমাদের শক হয়ে গিয়েছে। এভাবে পাত্র বদল দেখে যে কেউই ঘাবড়ে যাবে। ”
এই বলে সকলে সমস্বরে হেসে উঠলো৷ এদিকে আমি কামাল আংকেলের কথা শোনামাত্র চট করে মাথা নামিয়ে ফেললাম। তৎক্ষণাৎ আপু আমার কানের কাছে ফিসফিস করে টিপ্পনী কেটে বললো,
” কি ব্যাপার মিম? রিজেক্ট করবি না ছেলেকে?”

আমি বিনাবাক্য ব্যয়ে বসে রইলাম। আপুর কথা শুনে নিশ্চিত হলাম, আপুও এ ব্যাপারে সবটা জানতো।
কয়েক মিনিট পর আব্বু গলা পরিষ্কার করে সকলের উদ্দেশ্যে বললো,
” আসলে সবকিছু এভাবে হয়ে যাবে কল্পনাও করতে পারিনি আমি। সত্যি কথা বলতে আমি এখনও এটা মেনে নিতে পারছি না৷ নিঃসন্দেহে আদ্রিশ ভালো ছেলে। যেখানে কামাল সাহেব নিজ মুখে আদ্রিশের প্রশংসা করেছেন সেখানে আমার দ্বিতীয়বার বলার কিছু নেই। কিন্তু বাবার মন বলে কথা, আমি আমার মেয়ের মুখ থেকে সবটা শুনতে চাই। ”

এই বলে আব্বু আদ্রিশের বাবা অর্থাৎ ইদ্রিস আংকেলকে বললো,
” আপনার ছেলে আমার মেয়েকে পছন্দ করে৷ আপনার পরিবারও আমার মেয়েকে পছন্দ করে। কিন্তু আমার মেয়ে এ ব্যাপারে কি মতামত দেয় সেটাই আমার কাছে বড়। আমার মেয়ে যদি রাজি হয়ে যায়, তাহলে বাকি সবটা আমি সামলে নিবো। এতে আমার কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু আমার মেয়ে এতে রাজি না থাকলে….. বুঝছেনই তো কি বলতে চাইছি।”

আব্বুর কথা শেষে ইদ্রিস আংকেল অমায়িক সুরে বললেন,
” জি ভাইজান। আপনার মেয়ে রাজি হলে তবেই আমরা কথা আগাবো। আপনি ওর সাথে কথা বলে দেখুন। ”

ইদ্রিস আংকেলের কথা শেষ হওয়া মাত্রই আপু আমাকে উঠিয়ে রুমে নিয়ে এলো। আমার পিছন পিছন এলো আম্মু ও আভা। আমার রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করতেই আমি বিচলিত গলায় আম্মুকে জিজ্ঞেস করলাম,
” এসব কি হচ্ছে আম্মু? আদ্রিশের ফ্যামিলি এখানে এলো কি করে? ইয়াসিরদের আসার কথা ছিলো না?”

আম্মু আমার দিকে শীতল চাহনিতে চেয়ে বললো,
” সে বিষয়ে এখন তোকে জানতে হবে না। তুই আগে বল, আদ্রিশকে তুই ভালোবাসিস না কি?”

আম্মুর এহেন প্রশ্নে আমি থতমত খেয়ে গেলাম। আদ্রিশকে নিয়ে আমার মধ্যকার অনুভূতির কথা আম্মুকে জানানোর অর্থ নতুন করে এক ঝামেলার সম্মুখীন হওয়া। ফলে এ পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে আমি তেরছা দৃষ্টিতে আপুর দিকে তাকিয়ে কথা ঘুরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করলাম। আপুও তৎক্ষনাৎ আমার চোখের ভাষা বুঝে আম্মুকে বললো,
” আহহা আম্মু। এখন যে প্রশ্ন করার কথা সে প্রশ্ন না করে তুমি কোথায় চলে যাচ্ছো?”

আম্মু চট করে গরম চোখে আপুর দিকে তাকিয়ে বললো,
” বেশি কথা বলবি না। আমি ওকে যা প্রশ্ন করেছি সেটার উত্তর দিতে দে। ”
এই বলে আম্মু আমার দিকে চেয়ে জিজ্ঞেস করলো,
“তুই কি এমন করেছিস যে আদ্রিশ তোকে পছন্দ করে সোজা বাসায় সম্বন্ধ নিয়ে চলে এসেছে?”

আম্মুর প্রশ্নের ধরণে আমি মুহূর্তেই তীব্র প্রতিবাদী হয়ে বললাম,
” আশ্চর্য! আমি কিছুই করিনি আম্মু। আদ্রিশ আমাকে পছন্দ করে সোজা আমার বাসায় বিয়ের প্রপোজাল নিয়ে এসেছে। এতে আমার কি দোষ আছে! উনিই আগ বাড়িয়ে আমার সাথে কথা বলতেন৷ তুমি আমাকে এখন এ ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করো না তো আম্মু। দরকার হলে ঐ ছেলেকেই গিয়ে জিজ্ঞেস করো।”

আমার কথা শেষ হওয়া মাত্র আপু পরিবেশ শান্ত করতে আম্মুকে বললো,
” আম্মু, তুমি এসব বাদ দাও তো। যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। তুমি কি চাও না, তোমার মেয়ে সুখে থাকুক? যেখানে আদ্রিশ ওকে ভালোবাসে সেখানে এতো প্রশ্ন করার কোনো মানে হয় না। ”

আম্মু হয়তো এবার শান্ত হলো। কোনোরূপ কথাবার্তা ছাড়া বিছানায় বসে প্রলম্বিত কয়েকটা শ্বাস ফেলে বসে রইলো। হঠাৎ আমাদের সকলের মধ্যে থেকে আভা মিনমিনে স্বরে বলে উঠলো,
” আদ্রিশ ভাইয়া কিন্তু ভালোই হ্যান্ডসাম আম্মু। ছোট আপু এ বিয়েতে রাজি হলে, তুমি দুই দুইটা হ্যান্ডসাম জামাইয়ের শাশুড়ী হয়ে যাবে আম্মু। তখন তো তোমার ভাবই থাকবে আলাদা। শুধু একবার চিন্তা করো এটা!”
আভার কথা শেষ হতে না হতেই আমরা তিনজনে ওর দিকে সরু চোখে তাকিয়ে রইলাম। আমাদের এহেন চাহনি দেখে মুহূর্তেই ও মিইয়ে গেলো। মুখ গোঁজ করে বললো,
” কারোর ভালো ভাবতে নেই আসলে। আমি বরং চুপচাপই বসে থাকি।”

এই বলে ও চুপচাপ বসে রইলো। কিছুক্ষণ বাদে আম্মু উঠে এসে আমার সামনে দাঁড়ালো। আম্মুর মুখভঙ্গি পূর্বের তুলনায় শান্ত মনে হচ্ছে। আম্মু কিছুক্ষণ আমার দিকে চেয়ে থেকে নরম সুরে বললো,
” তোর মনে কি চলছে খুলে বল আমাকে। তুই যা বলবি সেটাই হবে।”

আমি তৎক্ষনাৎ আম্মুর কথার প্রত্যুত্তর দিলাম না। নিমিষের জন্য আম্মুর দিকে চেয়ে বললাম,
” আদ্রিশরা অনেক হাই ক্লাস বিলং করে আম্মু। সেখানে আমরা মিডেল ক্লাস। এমন তফাতে বিয়ে হলে আমার উপর কোনো কষ্ট যাক না যাক, তোমাদের উপর দিয়ে অনেক কষ্ট যাবে। ”

আম্মু স্মিত হেসে আমার মাথায় আলতো চাপড় দিয়ে বললো,
” এসব নিয়ে তোকে কে চিন্তা করতে বলেছে? সংসার করবি তুই। সিদ্ধান্ত হবে তোর। সেক্ষেত্রে তোর সুখটাই তো আগে দেখতে হবে আমাদের তাই না? আর রইলো আমাদের কথা। আমরা এসব ঠিকই সামলে নিবো। এ ব্যাপারে তোর আব্বুর সাথেও কথা বলবো আমি। ”

” কিন্তু আম্মু…..”

” কোনো কিন্তু না। তুই শুধু তোর সিদ্ধান্তটা শুনিয়ে দে। ব্যস, আর একটা কথাও শুনতে চাই না আমি।”

আমি মৌনতা পালন করে নত মস্তকে দাঁড়িয়ে রইলাম। আম্মু আমায় দেখে বললো,
” ব্যস, বুঝে গিয়েছি। আমি তাহলে বাইরে গিয়ে তোর আব্বুকে বলে আসি।”

এই বলে আম্মু আমার মাথায় আলতো বুলিয়ে চলে গেলো। আম্মু যেতেই আপু আর আভা আমাকে জাপ্টে জড়িয়ে ধরলো।

—–

জুম্মার নামাজের আগেই ইমাদ ভাইয়া আমাদের বাসায় চলে এলেন। আজই ট্রেনিং থেকে ফিরেছেন উনি এবং আমার ও আদ্রিশের কথা শুনে উনি বাড়িতে না গিয়ে সোজা আমাদের বাসায় চলে এসেছেন। ইমাদ ভাইয়া আসার পর সকলে একত্রে নামাজ পড়ে খাওয়াদাওয়া করে বিয়ের ব্যাপার সম্পূর্ণ পাকাপোক্ত কথা বলার জন্য বসলেন। ওদিকে আম্মু আমার নানু, দাদি, খালামনি, মামি, চাচি, ফুপিকে এক এক করে আমার বিয়ের ব্যাপারে জানালো। সকলের মতামত নিলো। প্রত্যেকেই জানতো আমাকে আজ দেখতে আসবে। কিন্তু এতো কিছু হয়ে যাবে এটা কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি। অবশ্য এই পাত্র অদলবদল হওয়ার ব্যাপারটা আম্মু শুধুমাত্র নানুবাড়ির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলো। কারণ এ ঘটনা দাদুবাড়িতে যাওয়া মানে কোনো না কোনোভাবে আনোয়ারা দাদির কানে যাওয়া। আর উনার কানে এ সংবাদ যাওয়ার অর্থ নিজেদের জীবনে সাদরে ঘূর্ণিঝড়কে আমন্ত্রণ জানানো।
ওদিকে আব্বু ভিডিওকলে দাদাভাই, চাচু,মামাদের সাথে সলাপরামর্শ করছে। এ সবটাই সে করছে নিজের রুমে বসে। আর ওদিকে বাইরে ইমাদ ভাইয়া আদ্রিশদের পরিবারকে সামলাচ্ছেন। সকলের মাঝেই বসেছে গল্পের বিশাল প্রতিযোগীতা। মোট কথা, আমাদের বাসায় কেউ এখন আসলে নির্ঘাত বলে বসবে, এখানে ছোটখাটো একটা মাছের হাঁট বসেছে।

—–

সন্ধ্যার পর পরই আদ্রিশ ও ইমাদ ভাইয়া আমার জন্য আংটি কিনতে চলে গিয়েছিলেন। কারণ সারাদিনের সলাপরামর্শ শেষে সকলে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলো যে, আজ আমাকে আংটি পরিয়ে রেখে চলে যাবে। এক সপ্তাহ বাদে অর্থাৎ আগামী শুক্রবারে আমাদের বিয়ে পড়ানো হবে৷ তবে এক মাস বাদে রিসেপশন করে আমাকে উঠিয়ে নেওয়া হবে। এর মাঝে বিয়েতে আমার ও আদ্রিশের শুধুমাত্র কাছের আত্মীয়স্বজনকে ডাকা হবে। অর্থাৎ আমাদের দুজনের নানুবাড়ি ও দাদুবাড়ির সকলে আসবে। এ বাদে বাইরের কাউকে বিয়েতে ডাকা হবে না। এ সিদ্ধান্তটা অবশ্য ইদ্রিস আংকেল আব্বুর কথা মাথায় রেখেই নিয়েছেন। কারণ তিনি আব্বুর উপর অতিরিক্ত প্রেশার দিতে চাননি।

সন্ধ্যার টুকটাক নাস্তা সেরে ইমাদ ভাইয়া ও আপুর জোরাজোরিতে স্বয়ং আদ্রিশ আমায় আংটি পরিয়ে দিলেন। উনাকে দিয়ে এভাবে আংটি পরানো নিয়ে আব্বু আম্মু প্রথমে বেঁকে বসলেও পরে ঠিকই রাজি হয়ে যায়।
এই আংটি পরানোর পর পরই আমার চারপাশটা কেমন এক অদ্ভুত অনুভূতিতে ছেয়ে উঠলো। মনে হলো, সে মুহূর্তেই আমি আমার পরিবারের কাছ থেকে দূরে চলে গেলাম৷ অনেক দূরে….
আংটি পরানোর মুহূর্তে আমার দু চোখ বেয়ে অঝোর ধারায় অশ্রু ঝরতে লাগলো। আচমকা এভাবে আমার চোখের পানি দেখে সকলেই অবাক হয়ে গেলো। ফলে সকলেই নিজেদের মতো স্বান্তনা দিতে লাগলো। কিন্তু কারোর কোনোরূপ স্বান্তনামূলক বাণী আমার কান অব্দিও পৌঁছালো না। ভাব এমন হলো যে, আমার কান্না করার কথা আমি কান্না করবোই। আমাকে কেউ আটকাতে পারবে না।

—-

আগামীকাল আইটেম থাকায় রাতের খাবারের পরপরই পড়তে বসে গেলাম। কিন্তু বই সামনে নিয়েও কিছুতেই আমার পড়ায় মন বসলো না। মন বসবেই বা কি করে। আমার জীবনে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় এক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি আজ আমি এবং সবকিছু একই দিনে হয়েছে। ঘটনাগুলো এতোটাই দ্রুত ঘটেছে যে, শ্বাস নেওয়ার সময় পাওয়া যায়নি আজ। কি ব্যস্ততা ছিলো আজ সারাদিন!
এ নিয়ে ভাবতে ভাবতে হঠাৎ আমার ফোনে আদ্রিশের কল এলো। অকস্মাৎ ফোন বেজে উঠায় আমি চমকে উঠলাম। দ্রুত নিজেকে সামলে নিয়ে কল রিসিভ করেই ওপাশে আদ্রিশকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে বললাম,
” এই ছিলো আপনার কাজ! কি করে করলেন এসব? কখন করলেন? সবটা জানতে চাই আমি। একটা কথাও লুকাবেন না আমার থেকে।”
এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে ছোট্ট করে দম ফেললাম আমি। ওপর পাশে আদ্রিশের জবাব শোনার জন্য উৎকর্ণ হয়ে বসে রইলাম। আদ্রিশ আমার প্রশ্নগুলোর জবাব তো দিলেনই না, উল্টো সশব্দে হাসতে লাগলেন। উনার হাসির শব্দে আমি পাল্টা প্রতিক্রিয়া করে বললাম,
” আমার অবস্থা দেখে হাসা হচ্ছে তাই না? এতো হাসি আসলো কোথা থেকে? আমাকে সারারাত, সারাদিন চিন্তা আর প্রেশারে রেখে আপনি আমার মজা নিচ্ছেন! ”

আদ্রিশ কোনোমতে হাসির দমেক থামিয়ে বললেন,
” তুমি এতো ঝগড়া কিভাবে করতে পারো মিশমিশ? তোমার এ ঝগড়াপূর্ণ কথাবার্তা শুনেই তো আমি আরেকদফা ভেসে গেলাম।”

আমি তৎক্ষনাৎ কোনো রূপ চিন্তাভাবনা না করে জিজ্ঞেস করে বসলাম,
” কিসে ভেসে গেলেন?”

অতঃপর এ প্রশ্ন করার পর নিজেই নিজের কপালে চাপড় মারলাম। উপলব্ধি করলাম, বোকার মতো আদ্রিশকে এ প্রশ্নটি করে বসেছি আমি৷ এখন এ থেকে পালাবো কি করে? পালানোর কোনো পথ আছে কি? আদ্রিশ তো নির্ঘাত আমাকে এর জবাব দিবেন।
আমার সন্দেহকে সত্য প্রমাণিত করেই আদ্রিশ প্রগাঢ় কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন,
” তোমার এ প্রশ্নের জবাব শুনতে পাবে তো মিশমিশ? সাহস আছে?”

ব্যস, আমার অবস্থা পূর্বের তুলনায় আরো খারাপ করতে এর চেয়ে বেশি আর কি লাগে! আমি নির্বাক বসে রইলাম। কারণ এ প্রশ্নের জবাব ‘হ্যাঁ’ বলার সাধ্য তো আমার নেই-ই। উল্টো না বলার মতো শব্দই আমি ভুলে বসে রইলাম। ফলস্বরূপ চুপচাপ বসে রইলাম। ওপাশে আদ্রিশ পূর্বের ন্যায় প্রগাঢ় কণ্ঠে বললেন,
” কি হলো মিশমিশ? শুনবে না আমাকে কি ভাসিয়ে নিয়ে গেলো? শুনবে না কোন জোয়ারে ভেসে গিয়ে আমি সকল কূলকিনারা হারিয়ে ফেলেছি?”
®সারা মেহেক

#চলবে
(ছোট দেওয়ার কথা থাকলেও কত্ত বড় দিলাম🤧 এবার আমাকে ধন্যবাদ দিয়ে এক বক্স চকলেট পাঠিয়ে দিয়েন😒)
গত পর্ব
https://www.facebook.com/615626882415008/posts/983709638940062/?app=fbl

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here