হিমি
লেখনী- সৈয়দা প্রীতি নাহার
১৯.
‘সাইকিয়াট্রিস্ট ডক্টর তাহির মাহমুদ! এটা ওনার চেম্বার? আমি একটু কথা বলতাম ওনার সাথে।’
অ্যাসিটেন্ট ছেলেটি ফাইল থেকে চোখ সরিয়ে ঘাড় ঘুরালো। গম্ভীর গলায় বললো,
‘আপনার এপোয়েনমেন্ট আছে? কত নম্বর সিরিয়াল?’
‘এপোয়েনমেন্ট নেই। একটু দরকার ছিলো।’
‘পেশেন্ট দেখছেন স্যার। এটা কাজের সময়। এই সময় কারো সাথে দেখা করেন না। আপনি আসুন এখন!’
হিমি কিছুটা রেগে বললো,
‘আশ্চর্য! আপনি বলবেন আর আমি চলে যাবো? দেখুন, আমার ওনার সাথে কিছু দরকারি কথা আছে।’
ছেলেটি শান্ত দৃষ্টিতে দেখে বললো,
‘কি দরকারি কথা? আমায় বলুন, আমি বলে দেবো স্যারকে। উনি খুব ব্যস্ত এই মুহুর্তে। শুধু শুধু এখানে দাঁড়িয়ে থাকবেন না। যা বলার আমায় বলে যান।’
এ তো আচ্ছা ছেলে! হিমির ডক্টরের সাথে কি কথা না কথা সেটা ওকে কেনো বলতে হবে? অ্যাসিটেন্ট হয়েছে তো কি মাথা কিনে নিয়েছে? অসম রাগকে কন্ট্রোল করে গাল ফুলিয়ে শ্বাস ছাড়লো হিমি। অত্যন্ত শান্ত গলায় বললো,
‘ওনার সাথে আমার কিছু ব্যক্তিগত কথা আছে। সেটা আপনাকে বলা যাবে না! ওনাকেই বলতে হবে।’
অ্যাসিটেন্ট ছেলেটি হাতের ফাইল বন্ধ করলো। রাগে কটমট করে কিছু বলতে গিয়েও কিছু একটা ভেবে কথাটা গিলে নিলো। জোরপূর্বক হাসার চেষ্টা করে বললো,
‘আপনি ম্যাডাম? মানে, ওই সামিয়া ম্যাডাম?’
হিমি চিনে না সামিয়া কে? জানে না ছেলেটার এতো উচ্ছাসিত হওয়ার কারন। তবে তার মন বলছে এই মূহুর্তে যদি সে নিজেকে সামিয়া বলে পরিচয় দেয় তবে নিঃসন্দেহে ছেলেটি তাকে তাহির অব্দি পৌঁছে দেবে। ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে হিমি মাথা নেড়ে সায় জানালো। পকেটে হাত ঢোকিয়ে বললো,
‘হুম, আমিই সামিয়া। এবার বুঝেছেন নিশ্চয়, আপনার স্যারের সাথে আমার কতোটা দরকারি কথা থাকতে পারে!’
ছেলেটি দ্বিগুন উৎসাহ দেখালো। মুখে চওড়া হাসি টেনে বললো,
‘আমি এক্ষুনি আসছি। আপনি দাঁড়ান।’
বলেই চেম্বারের দরজা খোলে ভেতরে ঢোকলো সে। খানিক পরই সাথে দুজন পেশেন্ট নিয়ে বেরিয়ে এলো। পেশেন্টদের যেতে বলে হিমির সামনে দাঁড়িয়ে বললো,
‘ম্যাডাম আপনি ভেতরে যান। স্যার আপনার অপেক্ষা করছেন। আর সরি, আপনাকে আগে ভেতরে যেতে মানা করেছিলাম, আমি চিনি নি তো তাই। আপনি যান, আমি কফি নিয়ে আসছি।’
হিমি বাঁধা দিয়ে বললো,
‘কফি না চা। কড়া করে এক কাপ দুধ চা।’
ছেলেটি মাথা হেলিয়ে দৌড় লাগালো। হিমি লম্বা শ্বাস টেনে চেম্বারের দরজা ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করলো। তাহির নিজ চেয়ারেই বসে ছিলো। সামনের প্রেসকিপশন লিখার খাতাটা সরিয়ে রেখে সামনে তাকালো সে। হিমিকে দেখেই ভ্রু যুগল কুঁচকে গেলো তার। দরজার দিকে একপলক দেখে বললো,
‘আপনি এখানে?’
হিমি নির্বিকার ভঙ্গীতে তাহিরের মুখোমুখি চেয়ার টেনে বসলো। ক্লান্ত গলায় বললো,
‘থেঙ্কস জানাতে এসেছি।’
‘কিসের থেঙ্কস?’
‘আপনি ওইদিন আমায় বাড়িতে ড্রপ করে দিলেন সাথে মেডিসিনও দিলেন। তাই!’
তাহির ভ্রু উচিয়ে বললো,
‘শুধু এটুকুর জন্য এতোদূর আসা?’
হিমি অস্বস্তি ভর করা চোখ সরালো। এদিক ওদিক তাকালো। তাহির মৃদু হাসলো। বললো,
‘এখন কেমন আছেন?’
হিমি আশ্বস্ত গলায় বললো,
‘একদম ঠিক।’
তাহির মাথা দুলিয়ে বললো,
‘এবার আসুন তবে। আমার অন্যান্য রোগী দেখা আছে।’
হিমি তটস্থ হলো। তার সব কথা তো এখনো শেষ হয় নি। যায় কি করে? তাহির ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
‘কিছু বলবেন?’
হিমি জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজালো। আমতা আমতা করে বললো,
‘হ্যা বলবো।’
তাহির শান্ত গলায় বললো,
‘বলুন।’
হিমি মনে মনে কিছু ভাবলো। তারপর বললো,
‘আমায় ঠিক ঠাক বাড়ি পৌঁছে দিলেও আমার বাইকটাকে একা রাস্তায় ফেলে আসলেন কোন আক্কেলে?’
তাহির গোল গোল চোখে তাকালো। অবাক হওয়া কন্ঠে বললো,
‘আমি আপনার বাইক ফেলি নি। ইন ফ্যাক্ট ব্রীজের উপর যে আপনার বাইক ছিলো সেটাও মনে নেই আমার।’
হিমি বড় বড় চোখ করে তাকালো। ক্ষিপ্ত গলায় বললো,
‘মানে কি? ব্রীজের উপর? আপনি আমায় নিয়ে এলেন আর আমার বাইকটাই খেয়াল করেন নি? যদি আমার বাইক চুরি হয়ে যেতো তখন?’
‘চুরি হয় নি?’
হিমি মাথা নাড়লো। বললো,
‘না। কাজিন পরদিন সকালে বাড়ি নিয়ে গেছিলো সেটা। কথা সেটা নয়, কথা হলো আপনি আমার বাইকে চাবি রেখেই আমাকে নিয়ে সাথে নিয়ে চলে গেলেন! কমন সেন্স নেই আপনার?’
তাহির চট করে উঠে দাঁড়ালো। কড়া গলায় বললো,
‘এক্সকিউজমি! বাইক আপনার, চাবি আপনি রেখেছেন, জ্বরের ঘোরেও আপনি ছিলেন। এখন সব দোষ আমার?’
হিমি ছোট্ট শ্বাস টানলো। ঢোক গিললো। হাসার চেষ্টা করলো। তাহির তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে হিমিকে দেখে বললো,
‘আপনি হয়তো অন্য কিছু বলতে চাইছেন পারছেন না।’
হিমি তড়িৎ গতিতে তাহিরের দিকে তাকালো। চোখাচোখি হতেই নিজের চোখ সরিয়ে নিলো হিমি। তাহিরের হঠাৎই মনে হলো হিমির চোখ সুন্দর। খুব সুন্দর। টানা টানা স্বচ্ছ দুটো মায়াবী চোখ। হিমি কিছু বলতে নিলেই দরজায় টোকা পরলো। তাহির মৃদু গলায় ভেতরে আসার পারমিশন দিতেই হাতে ট্রে নিয়ে ঢোকলো অ্যাসিটেন্ট ছেলেটি। কফির কাপ তাহিরের দিকে এগিয়ে দিয়ে হিমির দিকে চায়ের কাপ এগুলো সে। হিমি এক প্রকার ছিনিয়েই নিলো সেই কাপ। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে তার। একটু ভিজানো দরকার। ভেবেই দু একবার ফু দিয়ে গরম চায়ে চুমুক বসালো। সাথে সাথেই মুখ বাঁকিয়ে চায়ের কাপ টেবিলে রাখলো। পকেট থেকে চুইঙ্গামের প্যাকেট বের করে একটা চুইঙ্গাম মুখে পুরলো সে। বার কয়েক চিবিয়ে নিয়ে বললো,
‘এটা কড়া চা? ছিহ! কি বিশ্রী স্বাদ!’
তাহির রাগি ভয়েজে অ্যাসিটেন্টের উদ্দেশ্যে বললো,
‘নিশ্চয় রাস্তার পাশের ওই দোকান থেকে এনেছো? কতোবার মানা করেছি এসব আনহেলদি খাবার দাবার হাসপাতালে আনবে না। তারপরও? ইটস মাই লাস্ট ওয়ার্নিং রেজা।’
রেজা তুমুল গতিতে মাথা ডানে বায়ে নাড়লো। চোখে আকুলতা নিয়ে বললো,
‘ওখান থেকে আনি নি স্যার। অফিসের ক্যান্টিন থেকেই এনেছি।’
হিমি আয়েস করে চেয়ারে হেলান দিয়ে বললো,
‘এই জন্যই এতো বাজে খেতে। আরে রোড সাইড চায়ের দোকানের চা সব সময় ভালো হয়। তাদের টেস্টটাই আলাদা হয়ে থাকে। আপনারা কিসব ক্যান্টিনের অতি স্বাস্থ্যকর খাবার খান। এই যে, নিয়ে যান এটা। আমার চা খাওয়ার শখ মিটে গেছে।’
রেজা মুখ ফুলিয়ে ট্রেতে চায়ের কাপ উঠিয়ে বেরিয়ে গেলো। তাহির কফি কাপে ঠোঁট ছুঁইয়ে বললো,
‘কি যেনো বলছিলেন?’
হিমি আবারও থমকে গেলো। থেমে থেমে বললো,
‘বড়মার ঘাড়ে ভুত চেপেছে।’
তাহির বিস্ময় নিয়ে বললো,
‘ভুত? তাহলে আমার কাছে কেনো? আমি ভুত তাড়াতে জানি না। অবশ্য ‘ভুত আছে’ বিষয়টা বিশ্বাসও করি না।’
হিমি বিরক্ত গলায় বললো,
‘সম্পূর্ণ কথা তো শুনুন!’
তাহির ঠোঁটে বাঁকা হাসি টেনে বললো,
‘বলুন।’
হিমি বললো,
‘বড়মার ঘাড়ে থাকা ভুতটা বড়মাকে কুমন্ত্রণা দিচ্ছে। আমাকে না কি সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে নিয়ে যেতে হবে।’
‘তো যান। যেতে চাইছেন না কেনো?’
তাহিরের স্পষ্ট কথা না শোনার ভান করেই হিমি বললো,
‘আপনি বড়মাকে কিসব বলেছেন আমার ব্যাপারে?’
তাহির যেনো আকাশ থেকে পরলো। হিমির বড়মাকে তো সে চিনেই না। তাহলে বলার প্রশ্ন আসছে কি করে? তাহিরকে ভাবতে দেখে হিমি টেবিলে আলতো হাতে বারি লাগালো। তাহির ভ্রু নাচিয়ে বললো,
‘কি বলেছি আমি?’
‘ওইতো আমি না কি আপনাকে আমার কিছু গোপন কথা বলেছি। বড়মা আমায় পাগল করে দিচ্ছে দু দিন থেকে। কি এমন গোপন কথা যা আপনাকে বললাম অথচ উনি জানেন না? এদিকে আপনার সাথে আমার কি কথা হয়েছে সেটাই মনে নেই আমার। আপনি যে আমায় ব্রীজের উপর থেকে নিয়ে এসেছেন সেটাও তো এখনি জানলাম!’
কিছুক্ষন থেমে পরমুহুর্তেই বলে উঠলো,
‘আচ্ছা, আমার কি বড় ধরনের রোগ হয়েছে?’
তাহির কুঞ্চিত ভ্র জোড়া স্বাভাবিক করলো। তারমানে সেদিন যাকে হিমির অতি কাছের কেউ ভেবেছিলো তিনিই তার বড়মা। তাহির কফির কাপ টেবিলে রাখলো। উল্টো ঘুরে দেয়ালে ছোট ছোট তাক বিশিষ্ট সেল্ফ থেকে কিছুটা একটা বই বের করে পাতা উল্টালো। ধীরে স্থিরে বললো,
‘রোগের সিম্পটম কি শুনি!’
হিমি যেনো এ কথারই অপেক্ষায় ছিলো। তাহির বলা মাত্রই চট করে বলে উঠলো,
‘সেদিন আমি কখন ব্রীজে গেলাম, কোথায় ছিলাম, আপনার সাথে দেখা হয়েছে কি না কিছুই মনে পরছে না। আপনার সাথে কিছু কথাও হয়েছে হয়তো। অথচ সবটাই ভুলে গেছি আমি।’
তাহির নিঃশব্দে হাসলো। টেবিলে হাতের বইটা নামিয়ে রেখে বললো,
‘রোগ টা ছিলো জ্বর।’
হিমি বোকা বোকা চেহারায় তাকালো। তাহির চেয়ারে বসে দু হাত চেয়ারের হাতলে রেখে বললো,
‘আপনার জ্বর খুব তীব্র ছিলো। ফলে ঘোরে চলে গেছিলেন। ওই সময় কোথায়, কি হচ্ছে সেসব খেয়াল রাখা সম্ভব না। আপনি যখন আমার সাথে নিঃসংকোচে কথা বলছিলেন তখনই কিছুটা আন্দাজ করেছিলাম আমি। পরে আপনার কপাল ছুঁয়ে বুঝলাম। আপনি জ্বরে কাত!’
হিমি অপ্রস্তুত হাসলো। চুইঙ্গাম চিবোতে চিবোতে অস্বস্তি কাটানোর চেষ্টা করে বললো,
‘কি কথা হয়েছিলো আমাদের?’
তাহির শান্ত চোখে তাকালো। বললো,
‘জানা খুব প্রয়োজন?’
হিমি জবাব দিলো না। জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজালো। তাহির এক হাত টেবিলে রেখে পেপার ওয়েট ঘুরাতে ঘুরাতে বললো,
‘অতি গোপন কথা বলে ফেলেছেন আমায়। আপনি ফেঁসে গেছেন!’
হিমি চমকে উঠলো। কি এমন গোপন কথা বলেছে সে? ভয়ানক কিছু বলে ফেলে নিতো? ফেঁসে গেছে মানে কি? এই ডাক্তার কি তাকে ব্লেইকমেল করবে না কি কোনো বিষয় নিয়ে? হিমির মাথা ভনভন করে। এসি রুমে বসে থেকেও তরতর করে ঘামছে সে। তাহির হাত ঘড়িতে একপলক দেখলো। হিমির অবস্থা দেখে ব্যাপক হাসি পেলো তার। হাসি চেপে ব্যস্ত ভঙ্গীতে বললো,
‘আর সময় দিতে পারছি না। আমায় রাউন্ডে যেতে হবে।’
কথাটা বলে উঠে দাঁড়িয়ে পকেটে এক বাত ঢোকালো তাহির। যার অর্থ, হিমি আপনি এখন আসুন। আমি আপনাকে বলবো না আপনার সেই গোপন কথা কি ছিলো! হিমি অসহায় দৃষ্টিতে তাকালো। কাতর গলায় বললো,
‘দু মিনিটও লাগবে না। আপনি শর্টকাটে বলে ফেলুন।’
‘আচ্ছা। আপনাকে ব্রীজে দেখে এগিয়ে গেলাম, সরি বললাম, আপনি ইগনোর করলেন, তারপর আমার চশমা পরলেন, আমায় বাচ্চা ডাক্তার বলে সম্বোধন করলেন আর তারপর একটা গল্প বললেন। একটা তেইশ বছর পুরনো প্রেমের গল্প। ব্যস এইটুকুই!’
হিমি চোখ পিটপিট করে তাকালো। তাহিরের বলা কথাগুলো কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে তার। প্রথম থেকে শেষ অব্দি কথাগুলো মিলাতে নিলেই তাহির এক হাত বাড়িয়ে দরজার দিকে দেখালো। হিমি রাগে কটমট করে তাকালো। সে কি এখানে থাকতে এসেছে না কি? আজব! চলেই তো যাবে। এতো অপমানের কি আছে! হিমি দুম দাম পা ফেলে বাইরে বেরুলো। অ্যাসিটেন্ট রেজা ঠোঁটে চওড়া হাসি ঝুলিয়ে এগিয়ে এসে বললো,
‘চলে যাচ্ছেন ম্যাডাম!’
হিমি জোরপূর্বক হাসি হেসে দাঁত দাঁত চেপে বললো,
‘না তো, এখানে থাকবো বলে খাট, বালিশ, কাঁথা আনতে যাচ্ছি।’
রেজা মুখ ছোট করে সরে দাঁড়ালো। হিমি গটগট করে বাইরে এসে বাইকে চেপে বসলো। হেলমেট মাথায় না পরেই বাইক স্টার্ট দিলো সে। মাথায় চলতে থাকলো ‘গোপন কথা’! কি গোপনীয় আছে তার জীবনে সেটাই বুঝতে পারছে না হিমি। মনে মনে আবারও আওড়ালো তাহিরের কথা। ধীরে ধীরে মিলিয়ে নিলো সবটা। তেইশ বছরের পুরনো প্রেম। মানে বাবা মায়ের প্রেম কাহিনী! ধ্যাত তেরিকি! এসব কাউকে বলে? অথচ হিমি অচেনা অজানা এক লোককে নিজ বাবা মায়ের ঐতিহাসিক প্রেম কাহিনী বলে এসেছে। আর কিছু বলে নি তো? হয়তো বলে নি। গোপন কথা বোধ হয় এটাই ছিলো। হিমির ঠোঁটে হাসি ফুটে। যাক, অতিরিক্ত কিছু বলে টলে দেয় নি। বড়মাকে জানাতে হবে সে ঠিক আছে। সাইকিয়াট্রিস্টের দরকার নেই। মাথায় গোলমাল হয় নি এখনো। শুধু শুধু টাকা নষ্ট করে লাভ নেই।
চলবে,,,,,,,,,,