হিমি
লেখনী- সৈয়দা প্রীতি নাহার
২০.
রিসেপশনের পরদিনই স্বামীর সাথে বাপের বাড়িতে আসার কথা ছিলো অথৈর। তবে তারা একদিন পর এসেছে। দুটো দিন থেকে তবেই শ্বশুরবাড়ি ফিরবে বলে জানিয়ে দিয়েছে অথৈ। ইয়াসিরও বউয়ের ইচ্ছের গুরুত্ব দিয়ে থেকে গেছে সাথে। এসব নিয়ে কারো কোনো সমস্যা নেই মিশ্মি ছাড়া। এক তরফা ভালোবেসে ভীষন ভাবে ফেঁসে গেছে সে। না পারছে পালিয়ে থাকতে আর না পারছে সামনে থাকতে। তবুও নিজের দিক থেকে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না মিশ্মি। দিনের সিংহভাগ সময় ঘরে দোর দিয়ে বসে থাকছে। তিন বেলা খাবারের সময় সবার সাথে এক টেবিলে বসলেও তার দৃষ্টি সর্বদা খাবারের প্লেইটেই থাকছে। অত্যধিক ব্যস্ততা দেখিয়ে অথৈর থেকে তার শ্বশুরবাড়ির আলাপ আলোচনা শুনছে না মিশ্মি। কখনো অনিচ্ছাকৃত ভাবে ইয়াসিরের মুখোমুখি হলেও মৃদু হেসে পাশ কাটাচ্ছে। মূল কথা, এই পৃথিবীতে ইয়াসির নামের কেউ নেই সেটাই বিশ্বাস করছে মিশ্মি। কিন্তু এসব কিছুই চোখ এড়ায় নি রোশন আরার। মেয়ের হুট করে আমূল পরিবর্তন মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে তার। তাছাড়াও মিশ্মির চোখের নিচে বিস্তর জায়গা জুরে ডার্ক সার্কেল হয়েছে। মিশ্মির ব্যবহার, কথা বার্তা, একা থাকা সবকিছুতেই খটকা লাগে রোশন আরার। বাধ্য হয়েই হিমিকে ফোন লাগান তিনি। রিং হতে না হতেই ফোন উঠিয়ে কানে ঠেকায় সে। হিমির এই অভ্যাসটা ভীষন ভালো লাগে রোশন আরার। যে কেউ ফোন দিক না কেনো, রিং বাজার সাথে সাথেই রিসিভ করে নেয়।
‘কোথায় তুই?’
হিমিকে কিছু বলতে না দিয়েই আবার বললেন,
‘যেখানেই থাকিস না কেনো বাড়ি আয় এক্ষুনি। সোজা আমার ঘরে আসবি।’
‘আসছি।’
কথাটা বলেই ফোন কাটে হিমি। শোবার ঘর থেকে বেরিয়ে সিড়ি ভেঙে ছোট মামীর ঘরের দরজার টোকা দেয়। রোশন আরা ঘাড় বাঁকিয়ে হিমিকে দরজায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বসা থেকে চটপট দাঁড়িয়ে যান। ভেতরে আসতে ইশারা করে বলেন,
‘এইটুকু সময়ের মধ্যে চলে এলি কি করে?’
হিমি শার্টের হাতা ফোল্ড করতে করতে বলে,
‘ঘরেই ছিলাম তো।’
‘আজ থাকবি?’
‘চলে যাবো?’
হিমির স্পষ্ট কথায় বিরক্তি প্রকাশ করেন রোশন আরা। নিজেকে শান্ত করে হিমিকে টেনে খাটে বসিয়ে বলেন,
‘আমি তোকে যা যা প্রশ্ন করবো ঠিক ঠিক উত্তর দিবি। একটাও মিথ্যে কথা বলবি না বা কথা ঘুরাবি না। বুঝলি?’
হিমি ভ্রু কুঞ্চিত করে তাকালো। রোশন আরা সেসবে পাত্তা না দিয়ে বললেন,
‘মিশু তোকে কিছু বলেছে?’
হিমির কুঞ্চিত ভ্রু জোড়া আরো খানিক কুঁচকে যায়। রোশন আরা উত্তরের অপেক্ষায় হিমির দিকে তাকিয়ে আছেন। হিমি চোখ ঘুরিয়ে এদিক ওদিক তাকালো। মনে করার চেষ্টা করলো মিশ্মি তাকে কিছু বলেছে কি না। অনেক চেষ্টার পরও যখন কিছু মনে পরলো না তখন ঠোঁট উল্টে বললো,
‘কোন কথার কথা বলছো? কি বলবে ও? আমার তো কিছুই মনে পরছে না। হয়তো বলে নি।’
রোশন আরা জোর গলায় বললেন,
‘বলেছে। তোকে বলেছে আমি শিওর!’
হিমি ঘাড় থেকে চুল সরিয়ে কাধে ফেলে দিয়ে বললো,
‘কি বলেছে সেটা তো বলবে!’
‘সেটা তো তুই বলবি। ও তোকে কি বলেছে না বলেছে সেসব আমি জানবো কি করে? এখন কথা না ঘুরিয়ে বল। কি বলেছে মিশু?কি হয়েছে ওর?’
হিমি গাল ফুলিয়ে শ্বাস ছাড়লো। জোরপূর্বক হাসার চেষ্টা করে বললো,
‘মিশু আমায় বলেছে যে, ওর একটা ছেলে আর একটা মেয়ে হয়েছে। দুটোই খুব কিউট হয়েছে।’
রোশন আরা থম মেরে গেলেন। পরোক্ষনেই টের পেলেন হিমি দুষ্টুমি করে বলেছে। রোশন আরা চোখ বোজে শ্বাস টেনে নিয়ে বললেন,
‘একদম মজা ফজা করবি না হিমি।’
‘আমি কোথায় মজা করলাম? মজা তো তুমি করছো! কি বিষয়ে জানতে চাইছো সোজা সাপ্টা বললেই হয়। এতো প্যাঁচাচ্ছো কেনো?’
‘মিশ্মি কাউকে ভালোবাসে?’
রোশন আরার গম্ভীর গলায় করা প্রশ্ন শুনে তটস্থ হলো হিমি। দাঁত কেলিয়ে হেসে বললো,
‘এসব আমি কি করে জানবো মামী? ওকেই জিজ্ঞেস করে নাও। আমি আসি। ঘুম পাচ্ছে।’
হিমি খাট থেকে উঠতে নিলেই শক্ত হাতে তাকে পাকড়াও করলেন রোশন আরা। আকুতি মেশানো গলায় বললেন,
‘আমি জানি তুই সব জানিস। বলে দে না সত্যিটা।’
হিমি প্রত্যুত্তর করলো না। জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। রোশন আরা বললেন,
‘আমি মিশুর ওই বান্ধবীকে ফোন করেছিলাম। তন্নীকে। ওই মেয়েটাও কিচ্ছু জানে না জানিস! ওই তো বললো মিশু অথৈ আর তোর সাথে সব শেয়ার করে। অথৈকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা উচিত হবে না। তাই তো তোকে করছি। হিমি! মিশু কাউকে ভালোবাসে না রে?’
হিমি ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরে ডানে বায়ে মাথা নাড়লো। সব সময় ওই কেনো ফাঁসে এসবে? অদ্ভুত! রোশন আরা তাকে ছাড়ছেন না দেখে হিমি নিজেই শান্ত গলায় বললো,
‘মিশু কাউকে ভালোবাসে কি না সেটা ওই ভালো বলতে পারবে। আমি কি করে জানবো?’
‘আমি তো জানি মিশু কাউকে ভালোবাসে!’
হিমি ফিচেল গলায় বললো,
‘তাহলে তো মিটেই গেলো! (ভ্রু উচিয়ে) কিন্তু তুমি জেনে শোনে কেনো আমায় প্রশ্ন করছো?’
রোশন আরা কাঠ কাঠ গলায় বললেন,
‘আমি মা হিমি। আমি বুঝতে পারি আমার মেয়ের মনের অবস্থা। এ কদিন ওকে দেখে যা বুঝেছি তাতে প্রমান হয় আমার মেয়েটা খুব কষ্টে আছে। ওর চোখের নিচে কালি পরেছে। রাতে ঘুমায় না হয়তো। সারাদিনে টেনে টুনে দু একবার ঘরের বাইরে আসে। আবারও দোর দেয়। অথৈর সাথে সেই ছোট্টবেলা থেকে কতো মিলমিশ! অথচ অথৈ দুদিন ধরে এবাড়িতে মিশুতো কথাই বলে নি আগ বাড়িয়ে। দুলাভাইদের সাথে শালীদের সম্পর্কের এক কোনাও মিশ্মির মধ্যে নেই। জামাই নিজে বললো মিশু ওর ক্লাসেরই স্টুডেন্ট। এদিকে মিশু ছেলেটার সামনে বের হয় না। আমার কি মনে হয় জানিস?’
হিমি ঠোঁট কামড়ে দাঁড়িয়ে আছে। রোশন আরা চাপা স্বরে বললেন,
‘মিশু বোধ হয় জামাই কে ভালোবাসে।’
হিমির বুকের হৃদস্পন্দন তুমুল ধ্বনিতে ঢাক ঢোল পেটাচ্ছে। এবার কি বলবে সে? মামী কি করতে চাইছে? কিছু বুঝে উঠার আগেই মেঝেতে বসে পরেন রোশন আরা। মাথায় হাত চেপে চাপা আর্তনাদ করে কেঁদে বলে উঠেন,
‘এখন কি হবে? মিশু কি এখন উল্টা পাল্টা কিছু করবে? আমার মিশুর জন্য ওদের সম্পর্ক ভেঙে যাবে! এই, এই হিমি? অথৈ জেনে গেছে সব? হে,,,, জামাই জানে না! এবার কি হবে? আমার মেয়েটা এতো নিচে নামলো কি করে?’
হিমি তাকে আশ্বস্ত করে বললো,
‘মামী শান্ত হও! এসব কিছু না। অথৈ আর ওর বর এসব কিছুই জানে না।’
রোশন আরার বুক থেকে পাথর নামে। দু হাতে চোখ মোছে বলেন,
‘মিশুর বিয়ে দিতে হবে। এই মেয়েকে আর এখানে রাখা যাবে না। কখন কি করে বসে!’
হিমি তব্দা খেয়ে যায় মামীর কথায়। রোশন আরা উঠে দাঁড়ান। শাড়ি, চুল ঠিক করে বাইরে যেতে নিলেই পথ আটকে দাঁড়ায় হিমি। আমতা আমতা করে বলে,
‘মামী তুমি মিশুকে কিছু বলো না প্লীজ! ও নিজেকে সামলে নিয়েছে। ভবিষ্যতেও সামলাবে। এখনি এমন কিছু করো না যার জন্য পরে পস্তাতে হয়!’
রোশন আরা মাথা নেড়ে বলেন,
‘না না। ওকে কিছু বলবো না। তুইও কাউকে কিছু বলিস না। আমি দেখলাম তো কতোটা সামলেছে নিজেকে। এখন সব ওর ওপর ছেড়ে রাখলে চলবে না। আমি ওর মা। আমায় ভাবতে হবে। নিজেকে একা ঘরে বন্দি করে রাখা মানেই সব ভুলে যাওয়া নয়। ওকে বেরুতে হবে। নতুন জীবন শুরু করতে হবে। আর তার জন্য বিয়ে হওয়াটা খুব জরুরি। আমি কাল সকালেই তোর ছোট মামার সাথে কথা বলছি। মেয়ে বড় হয়েছে। এখনো এতো বেখেয়ালি হয়ে চললে হবে না। কাজ আছে হিমি। আমি যাই। তুইও যা ঘুমা গিয়ে। রাতও হয়েছে বেশ। যা যা!’
হিমিকে হতভম্ব করে রেখেই বাইরে বেরুলেন রোশন আরা। হিমি মাথা চাপড়ে নিজের শোবার ঘরে গিয়ে ঢোকলো। কি হলো ব্যাপারটা কিছুই বুঝলো না। মামীর তো উচিত ছিলো মেয়ের কথা ভেবে কষ্ট পাওয়া। মেয়েকে সামলানো। তা না করে, মেয়েকে তাড়ানোর কথা ভাবছেন? মেয়ে যাতে অন্যের সংসার না নষ্ট করে তাই তাকে বিয়ে দিতে উঠে পরে লেগেছেন অথচ মেয়ের ব্যাপারটা ভেবে দেখছেন না কেনো? মিশ্মির দিকে তাকানো কি উচিত নয়?
________________
ব্ল্যাক কফিতে চুমুক বসিয়ে ল্যাপটপে চোখ বুলালো তাহির। ভোরের স্নিগ্ধ আলো সাদা পাঞ্জাবীতে পরে তাকে আরো স্বচ্ছ দেখাচ্ছে। গালের খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি সোনালি রঙের দেখাচ্ছে। কপালে ভাজ ফেলে আরো দু ঢোক কফি খেয়ে খালি কাপটা টেবিলে নামিয়ে রাখলো সে। কি বোর্ডের কয়েকটা বাটন চেপে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে স্ক্রিনে তাকাতেই মুঠোফোন বেজে উঠলো তার। বেতের চেয়ারের পাশের টুলটাতেই রাখা ছিলো তাহিরের ফোন। হাত বাড়িয়ে ফোন হাতে নিয়ে স্ক্রিনে ভাসা নম্বরটির দিকে তাকালো সে। অচেনা নাম্বার থেকে কল এসেছে। উঠাবে না উঠাবে না করেও শেষমেষ তুলে নিলো। মৃদু গলায় হ্যালো বলতেই ওপাশ থেকে চেনা মিষ্টি গলার স্বর কানে এলো।
‘আপনি কখন আসবেন?’
তাহির কান থেকে ফোন সরিয়ে নাম্বারটা দেখে নিলো আবারও। ফোন কানে ঠেকিয়ে বললো,
‘কোথায়?’
‘চেম্বারে।’
‘দশটায়। কিন্তু আপনি কে?’
ওপাশ থেকে হতাশ গলায় ভেসে এলো,
‘হিমি।’
তাহির চমকালো। চমকে উঠা গলাতেই প্রশ্ন করলো,
‘আপনি আমার নাম্বার কোথায় পেলেন?’
হিমি দেয়ালে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে বললো,
‘হাসপাতালের রিসেপশন থেকে নিয়েছি। কেনো? নেয়া যাবে না?’
‘আপনি হাসপাতালে?’
‘হ্যা। আপনার সাথে দেখা করতে এলাম।’
তাহির ল্যাপটপ বন্ধ করে উঠে দাঁড়ালো। কৌতুহলী গলায় বললো,
‘কোনো দরকার?’
‘হুম।’
তাহির ব্যস্ত গলায় বললো,
‘যা দরকার এখনই বলুন। ফোনে। আমার আজ সময় নেই। প্রচুর কাজ আছে। গত দিনের এপোয়েনমেন্ট, কনফারেন্স, মিটিংস!’
হিমি অবাক হওয়া গলায় বললো,
‘তার মানে দেখা হবে না?’
তাহির শীতল গলায় বললো,
‘না।’
হিমি শব্দ করে শ্বাস ছেড়ে বললো,
‘আচ্ছা। তবে আপনার প্রিয় জিনিসটা এখানেই রেখে যাবো?’
তাহির ডান কান থেকে ফোন সরিয়ে বাম কানে ঠেকালো। পুরু ভ্রু কুঁচকিয়ে বললো,
‘আমার প্রিয় জিনিস? আপনার কাছে আমার কোন প্রিয় জিনিস?’
‘মনে করুন!’
তাহির ভাবলো। যতদূর মনে পরে হিমিকে সে কখনোই নিজের কিছু দেয় নি। তারউপর প্রিয় জিনিস! না, কক্ষনো না। এই মেয়েটা নিশ্চয় মিথ্যে বলছে। কিন্তু মিথ্যে বলে তার কি লাভ? বেশ অনেকক্ষন নিরবতা কাটিয়ে তাহির বললো,
‘মনে পরছে না। আপনিই বলুন!’
হিমি হাসলো। হাসি মুখে বললো,
‘ঐদিন রাতে আমায় আপনার গাড়িতে করে ড্রপ করেছিলেন। মনে আছে?’
তাহির ছোট্ট করে বললো,
‘হু!’
‘রাস্তায় আমি আপনার অতি প্রয়োজনীয় আর কিছু প্রিয় জিনিস নিয়ে কাড়াকাড়ি করছিলাম। আপনি বাধ্য হয়ে আমায় শান্ত করতে আমার হাতে,,,,’
হিমির কথা বলার মাঝপথেই তাহির স্তম্ভিত গলায় বললো,
‘আমার পিয়ানো!’
‘জি হ্যা। আপনার পিয়ানো। ওটা আমার কাছেই রয়ে গেছে। কেমন প্রিয় জিনিস বলুন তো, আপনার দেখি কিছু মনেই নেই। পিয়ানোটাকে মিস করেন নি?’
তাহির সেসবের জবাব না দিয়ে বললো,
‘কখন দেখা করবেন?’
‘আপনার যখন সময় হবে তখন। আপনি বললে আমি এখানেও রেখে যেতে পারি। আমার সমস্যা নেই।’
হিমি থামতেই তাহির বলে উঠলো,
‘নো। আই মিন, ওটা যেহেতু আমার জিনিস তাই আপনি আমাকেই দিবেন। অন্য কাউকে না। আমি সময় করে আপনাকে কল দেবো। কখন কোথায় আসতে হবে বলে দেবো।’
‘এজ ইউর উইশ! টাটা।’
ফোন কেটে দুলনি চালে হেঁটে হাসপাতালের বাইরে বেরুলো হিমি। এই লোকটার জন্য বার বার হাসপাতালে আসতে হচ্ছে তাকে। শুধু তাই নয়, বারংবার দেখাও হচ্ছে লোকটার সাথে। অচেনা কারো সাথে দু একবারের বেশি দেখা সাক্ষাত হওয়া উচিত নয়। কখনোই না। হিমিও মনে মনে ঠিক করে, আজকের পর কখনোই যেচে দেখা করবে না সে। আর না কথা বলবে। লোকটার সাথে দেখা হওয়ার পর থেকেই হিমির জীবনের সমস্যা গুলো পাখনা মেলেছে। কখন না সব সমস্যা একসাথে ঝাঁপিয়ে পরে। দূরে থাকতে হবে। এই লোকটার থেকে শত হাত দূরে থাকা বাঞ্চনীয়।
চলবে,,,,,,,,,,,
[সারাদিন রোজা থেকে ক্লান্তিতে আর লেখা হয়ে উঠে না। তবুও চেষ্টা করি লিখার। দেরিতে দেয়ার জন্য দুঃখিত। ভুল ত্রুটি মার্জনীয়!]