সেদিনও জ্যোৎস্না ছিল পর্ব-১৪

0
6947

#সেদিনও_জ্যোৎস্না_ছিল

#তানিয়া

পর্ব:১৪

বসার রুমে মোটামুটি একটা ভীড় জমে গেছে। আদ্য এখনো জানে না সামনে কি হচ্ছে কারণ দরজা থেকে ভীড়টা দেখা যাচ্ছে। আদ্য কয়েক কদম হেঁটে যেতেই দেখে দুজন অচেনা মানুষকে ঘিরে বসে আছে তার পরিবার পরিজন। তন্মধ্যে বয়স্ক লোকটা খুব বিশ্রী ভাবে মুখ কুঁচকে কি যেন চিবুচ্ছে?

আদ্য তার মুখের ভঙ্গিমায় বিরক্ত হচ্ছে কিন্তু তার পরিবারবর্গ কত অনায়াসে লোকটার সামনে বসে আছে। আদ্য উপস্থিত হতেই লুৎফা উঠে আসেন বসা থেকে।কোনো জরুরি বিষয় কথা বলার জন্য আদ্যকে কল করে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে।আর বাসাতে আসতেই এসব দেখছে।আদ্য মাকে দেখে একটু চিন্তিত হয় কারণ লুৎফার চোখ মুখ আজকে অন্য রকম লাগছে ব্যাপারটা কি?আর এরাই বা কারা?আদ্য মাকে প্রশ্ন করার আগেই লুৎফা ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দেয়,

“তুই কি মেহু নামে কাউকে চিনিস?”

হঠাৎ মায়ের প্রশ্নে আদ্য নিরুত্তর হয়ে পড়ে। কারণ যার সম্পর্কে কেউ জানে না তাকে নিয়ে মায়ের প্রশ্ন কীভাবে? তাছাড়া এ লোকগুলোই বা কারা?আদ্য মাথাকে ঠিক রাখার চেষ্টা করছে যাতে কোনো বেফাঁস উত্তর মুখে না আসে।

“মা কি হয়েছে তোমার, এসব কি প্রশ্ন করছো?”

“তোমাকে যা জিজ্ঞেস করছি তাই বলো মেহু কে,তুমি তাকে চিনো?”

“মা আমি কোত্থেকে চিনব।এ নামের কেউ তো আমার চেনা নেই, তাছাড়া তুমিই বা কাকে কার কথা জিজ্ঞেস করছো বলো তো?’

“তাহলে কি ওনারা মিথ্যা বলছেন?”

আঙুল দিয়ে নির্দেশ করে মোজাম্মেল আর আজগরকে।

“ওনারা স্পষ্ট দেখেছে তোমার সাথে ওনার ভাতিজি রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করেছে।তুমি তাকে নিয়ে গাড়িতে করে ওনাদের সামনে চলে এসেছো তাহলে কি ওনারা ভুল বলছে?”

আদ্য বুঝতে পারলো কোথাও সমস্যা হয়েছে। ওনারা কে,মেহুকে কী করে চিনলো আর বাসায় এসে এসব কথা আলোচনার মানে কি?

“মা আমি তোমাকে পরে সব বলবো।কিন্তু এনারা কে আর তুমিই বা হাইপার হচ্ছো কেন?”

“আদ্য যা জিজ্ঞেস করছি তাই বলো।তুমি কি ওনাদের ভাতিজিকে চিনো?সত্যি হলে হ্যাঁ বলো,কারণ আমার জানা দরকার অন্যের বউয়ের সাথে তোমার সম্পর্ক কি আর তাকে নিয়ে গাড়িতে ঘুরার অর্থ কি?”

আদ্য মায়ের কথার ধরনে ঘাবড়ে যায়। এতক্ষণে তার কাছে সবটা পরিষ্কার হয়।তার মানে এরাই হচ্ছে মেহুর গ্রামের সেই চাচা যে কিনা জোর করে তার ছেলের সাথে বিয়ের বন্দোবস্ত করেছিল আর মেহু পালিয়ে এসেছিল কিন্তু তারাই বা মেহুকে তার সাথে কীভাবে দেখলো।

আদ্য মনে মনে অনেক কিছু ভাবছে কিন্তু তার মুখে মাকে দেওয়ার উত্তর আসছে না।নিরবতা ভেঙে মোজাম্মেল এগিয়ে আসে,

“বাবা জান দেখেন আফনা গো রে আমি চিনি না। আমি এ শহরে আসছি আমার বউ মারে খুঁজতে।কিছুদিন আগে তারে আফনের সাথে দেখছি।এখন আফনে আমার বউ মারে আমাদের হাতে তুইলা দেন আমরা চইলা যাই।ভেজাল কামের দরকার কি?”

“কে আপনার বউমা?মেহু আপনার বউ মা নয়।তার সাথে আপনার ছেলের বিয়ে হয় নি তার আগেই সে পালিয়ে এসেছিল।তাহলে কোন অধিকারে আপনি তাকে নিয়ে যাবেন।”

আদ্যর কথায় মোজাম্মেলের মুখ বিকৃত হয় কিন্তু নিজেকে শান্ত করে বলে,

“আব্বা আপনি হয়তো সবটা জানেন তয় এইটাও জাইনা রাখেন আমি হইলাম গিয়া মেহুর চাচা।এদিক দিয়া তার ওপর আমার পুরো অধিকার আছে। আর বিয়ের কথাও সত্যি হইলো গিয়া সবকিছু ঠিক ছিলো কিন্তু কবুল কওনের টাইমে মাইয়া চইলা আইছে।আমাগো গেরামে বিয়ের আসর থেইকা মাইয়া পালাইয়ে তারে ধইরা আইনা বিয়া দেওয়ার নিয়ম আছে। তাই ঐ মাইয়া আমার পোলার বউ।আফনারে আর কোনো কৈফিয়ত দিতাম না আফনে আমার বউমা রে বাহির করেন আমরা অক্কনি চইলা যামু।”

“আপনি বললে তো হবে না।আপনি জোর করে একটা মেয়েকে নিজের কাছে নিয়ে যেতে পারেন না।তাছাড়া আমি যতটুকু জানি আপনি মেহুর নকল চাচা, সম্পত্তির লোভে নিজের ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চাইছেন।শুনেছি আপনারা বাপ ছেলে দুজনের নামে গ্রামে অনেক কুৎসা আছে। জেনে শুনে আমি কীভাবে আপনাদের হাতে ওকে তুলে দিই?”

এবার মোজাম্মেল রেগে যায়। সে গটগট করে লুৎফার সামনে যায়।

“আপা আফনের পোলারে কন মুখ সামলাইয়া কথা কইতে,এসব কথার মানে কি?”

লুৎফা নিরব দর্শকের মতো সবটা শুনছে।তিনি ভাবতে পারছেন না এসব কি ঘটছে?তার মানে কি আদ্য ঐ মেয়েটাকে চিনে?তিনি আদ্যকে প্রশ্ন করলেন,

“আদ্য আমি এখনো উত্তর পাই নি তোমার কাছ থেকে। কোথায় সেই মেয়েটা যাকে নিয়ে এত ঘটনা? কোথায় তাকে সামনে আনো,এবার যা শোনার তার কাছ থেকেই শুনবো। ”

আদ্য কিছু বলতে যাবে তার আগেই মেহু কথা বলে উঠে। সবাই সেদিকে তাকায় কিন্তু আশ্চর্য এতো তাদের ঘরের কাজের মেয়ে মর্জিনা।আদ্য এগিয়ে যেতেই মেহু তাকে থামিয়ে দেয়।

“স্যার আপনি আর কিছু বলবেন না। আপনি আমার জন্য যথেষ্ট করেছেন।আমি চাই না আর আমার জন্য আপনাদের কোনো ভোগান্তি পোহাতে হোক।এবার যা বলার আমি বলবো।খালাম্মা ওনারা আমাকেই খুঁজছেন। জ্বি আমিই হচ্ছে মেহেরুন্নেসা জান্নাত ওরফে মেহু।ওনারা আমার চাচা তবে সৎ চাচা।ওনার ছেলের সাথেই আমার বিয়ের সম্বন্ধো ঠিক হয়েছিল সেটা বিয়ে পর্যন্ত গড়ায় কিন্তু বিয়ে হয় নি তার আগেই আমি পালিয়ে এসেছিলাম।”

লুৎফা অবাক হয়ে যায় মেহুর কথা শুনে।তিনি বিস্ময় নিয়ে চেয়ে আছেন মেহুর দিকে।মোজাম্মেল চোখ সরু করে মর্জিনাকে দেখে। সে যেন বিশ্বাস করতে চায় না এই মেহু কারণ মেহু সুন্দর আর এতো কালো।সেই হিসাব মেলাতে ব্যস্ত। মেহু সামনে থাকা গ্লাসের পানিটা নিয়ে নিজের মুখে ঢেলে দেয়।তারপর ওড়না দিয়ে ভালো করে ঘষে মুখের কালো রং টা সরায়।এতক্ষণ পর মোজাম্মেল মেহুকে চিনতে পারে।উপস্থিত সবাই আচানক স্তব্ধ হয়ে যায়। তারা চোখের সামনে এটা কি দেখছে?একে তো তারা কখনো দেখে নি।তার মানে এ মেয়েটা ছদ্মবেশে তাদের বাড়িতে ছিল কিন্তু কেন?এ কেনোর উত্তর খুঁজতে যখন সবাই ব্যস্ত তখনি মোজাম্মেল এগিয়ে যায় মেহুর দিকে।

“আম্মা এইডা আফনে।আমি তো আফনারে চিনতেও পারি নাই। কি আশ্চর্য আফনে কালো সাজছেন ক্যান?যেহানে আমি আফনারে চিনি নাই সেখানে এনারা কেমনে আফনারে চিনবো?মা আফনি আমাদের ওপর গোস্বা করে পালায় আইছেন এহোন কি গোস্বা কমছে।চলেন আম্মা গেরামে চইলা যাই। বেবাকে আফনারে নিয়া মন খারাপ করতাছে।চলেন আম্মা।”

মোজাম্মেল যেতেই মেহু তাকে হুংকার দিয়ে থামিয়ে দেয়।

“চাচা আপনি কাছে আসবেন না।আপনাদের হাত থেকে বাঁচতে আমি পালিয়ে এসেছিলাম কিন্তু আপনারা আমাকে খুঁজেই নিলেন।আপনি কি ভেবেছেন আমি আপনার সাথে যাবো দরকার হলে নিজেকে শেষ করবো তবুও আপনার সাথে যাবো না।আপনার কুলাঙ্গার ছেলেকে বিয়ে করে কষ্ট পাওয়ার চেয়ে একেবারে দুনিয়া ত্যাগ করবো।একদম কাছে আসবেন না।আমি আপনার সাথে কোথাও যাবো না।”

মোজাম্মেলের রাগ উঠছে তবুও সেটাকে সামলাচ্ছে। এদের সামনে কিছুই করা যাবে না নাহলে তার মুখোশ জেনে যাবে।মেহুকে কৌশলে বের করতে হবে তারপর…..

মেহু লুৎফার দিকে এগিয়ে যায়। লুৎফা পাথরের ন্যায় বসে আছে। মেহু লুৎফার সামনে ভয়ে ভয়ে বসে।

“খালাম্মা, আমি আপনার কেউ না তবুও আপনার কাছে আজ একটা আবদার নিয়ে এসেছি। খালাম্মা আমি জানি আপনি আজ আমার সবকিছু শোনার পর কখনো আমাকে খারাপ ভাববেন না।খালাম্মা আপনার কাছে অনুরোধ আপনি একবার শুধু আমার সব কথা শুনুন এরপর যদি আমাকে আপনি চলে যেতে বলেন তাহলে আমি চুপচাপ চলে যাবো।প্লিজ খালাম্মা একবার আমার সবটা শুনুন।”

লুৎফা বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়। মেহুকে হাত ধরে একটা রুমে নিয়ে যায় তারপর দরজাটা বন্ধ করে দেয়।

মেহু এককোণে জড়সড়ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কতক্ষণ হলো কে জানে?লুৎফা না কিছু জিজ্ঞেস করছে না বলছে।দরজা বন্ধ করে সেই যে বসলো তারপর থেকে নিরব হয়ে আছে। হয়তো মনে মনে ঠিক করছে কীভাবে প্রশ্ন করবে বা কি কি জিজ্ঞেস করবে?মেহু ভয়ে কিছু বলতেও পারছে না আবার দাঁড়িয়ে থাকতেও হাঁটু কাঁপছে।

“বাইরে একেক জন একেক রকম কথা বলছে।আমি সেসবে কান দিচ্ছি না তবে আমি আশা করছি তুমি আমাকে সবটা সত্যি বলবে একদম গোড়া থেকে।”

মেহু অবাক হয়ে যায় লুৎফার কথনে।একজন মানুষ শান্ত স্বরে তার কাছ থেকে এমন কিছু জানতে চাইছে তা সত্যি অবিশ্বাস্য মেহু টলটলে চোখে লুৎফার দিকে তাকায়।তারপর এক এক করে সবটা বলতে শুরু করে।

প্রায় এক ঘন্টা হলো লুৎফা মেহুকে নিয়ে বদ্ধ ঘরে গেছে এখনো আসার নাম নেই। এদিকে বাইরের সবাই অস্থির হয়ে আছে ভেতরের খবর জানার জন্য। আদ্য ভয় পাচ্ছে মা আর মেহুর মধ্যে কি আলাপ হচ্ছে তা নিয়ে, যদি মেহু সবটা বলতে না পারে বা মেহুকে যদি ওদের সাথে পাঠিয়ে দেওয়া হয়?আদ্য কড়কড়ে চোখ নিয়ে মোজাম্মেলের দিকে তাকায়।মোজাম্মেল আগে থেকেই আদ্যকে চেয়েছিল।তার চোখে এ ছেলেটাকে মারাত্মক বলে মনে হয়।সেও ভেবে কুল পাচ্ছে না ভেতরে কি হচ্ছে তা নিয়ে? যদি ঐ মেয়ে সব বলে দেয় তাহলে তো সর্বনাশ।

লুৎফা দেড় ঘন্টা পর বের হয়।পেছন পেছন মেহুও আসে।মুখ দেখে বোঝায় যাচ্ছে মেহু কান্না করেছে।লুৎফা আগের ন্যায় সোফায় গিয়ে বসলো মেহু একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছে। লুৎফা নিচের দিকে তাকিয়ে কিছু ভাবলো তারপর মাথা তুলে মোজাম্মেলকে বললো,

“আপনি বলতে চাইছেন মেহু আপনার ছেলের বউ তাই তো? ”

“হো আপা আমার একমাত্র পোলার বউ।তয় অহোনো কবুল হয় নাই। আধা বিয়া হইছে আরকি।”

ও আচ্ছা। তবে মুসলমানের বিয়ের রীতি অনুযায়ী কবুল বলার পর ছেলে মেয়ে স্বামী স্ত্রী হয় তার আগে যতই কিছু পালন করা হোক না কেন সেটা আধা বিয়ে,পুরো বিয়ে বলে কোনো নাম নেই। অতএব মেহু যেহেতু কবুল বলে নি আপনি তাকে নিতে পারেন না। আর এতদিন যখন ও আমার বাসায় ছিল সে হিসেবে আমি যার তার হাতে তাকে তুলে দিতে পারি না। ”

লুৎফার কথায় মোজাম্মেলের চোখ মুখ শক্ত হয়ে যায় তবুও শান্ত গলায় বলে,

“এইডা কি কন আপা?আফনার ভরসায় আমি এতক্ষণ বইসা ছিলাম ভাবছিলাম আফনে একটা বিচার করবেন।এহোন তো আফনিও আমার লগে অন্যায় করতাছেন।আফনে এটা ঠিক করতাছেন?”

“আমি ঠিক করছি কিনা সেটা পরে জানা যাবে।মেহু তুমি বলো তুমি কি ওনাদের সামনে যেতে চাও?”

লুৎফা মেহুর দিকে তাকায় মেহু মোজাম্মেলের দিকে।মোজাম্মেল অগ্নি চোখে মেহুকে চেয়ে থাকে।মেহু সেটা তোয়াক্কা না করে মাথা নাড়ায় যার অর্থ সে যাবে না।এবার মোজাম্মেল রেগে ফেটে পড়ে। গড়গড় করে অশ্লীল কথা বলে,

“আরে ঐ মা** গী যাবি না ক্যান লাং আছে এইহানে? বুঝবার পারছি এ বড়লোক ব্যাটারে তোর মনে ধরছে তাই এগো সাথে রাত কাটাইবি।তয় মনে রাখিস এরা মাইয়া গো শরীরের নেশায় বুদ থাকে একবার সেই ডা পাইলে দূর দূর কইরা খেদাইয়া দিব তহোন দেখমু কই যাস? আর আফনে কি মনে করছেন আমার ভাতিজিরে রাইখা দিয়া নিজের পোলারে সুখ দিবেন। আফনাগো মতো বড়লোক মানুষ শুধু গরীব রে কামের লাইগা ব্যবহার করেন কিন্তু কাম শেষ হইলা লাথি দেন।তয় আমার লগে যাইতে দিবেন না ঠিকই এইহানে সে কোন পরিচয়ে থাকবো কামের বেটি নাকি বেশ্যা বেডি হইয়া?”

মোজাম্মেল কথা শেষ করতে পারে না তার আগেই তার গালে চড় পড়ে। হঠাৎ চড়ে সে চোখে ঝাপসা দেখে।আদ্য এগিয়ে কলার চেপে আরো কয়েকটা ঘুষি লাগায়।লুৎফা চুপ করে সেদিকে চেয়ে থাকে আদ্যকে আটকায় না।আজগর এসে আদ্যকে ধাক্কা দিতেই আজগরকেও একটা লাথি দেয়।বাপ ছেলে দুজনে ভড়কে যায় আদ্যর ব্যবহারে।আদ্য এগোতে লুৎফা ডাক দেয়। আদ্য রাগ চাপাতে হিসহিস করতে থাকে।

“আপনার সমস্যা হচ্ছে মেহু কোথায় কি অবস্থায় থাকবে তা নিয়ে তো? তাহলে সেই চিন্তা বাদ দিন। আপনার ধারণা সে আমার এ বাড়িতে বেশ্যার কাজ করবে? তাহলে শুনুন এ বাড়িটা নিষিদ্ধ পল্লী নয় আর মেহুও কোনো খারাপ মেয়ে নয় তাই ও এ বাড়িতে সুন্দর আর সম্মানে থাকবে।যদি জানতে চান কি পরিচয় তাহলে বলবো এ মুহুর্ত থেকে ও আমার মেজ বউমা মানে আমার মেজ ছেলে আদ্য তার হবু বউ।অতএব আপনাকে আর কিছু নিয়ে ভাবতে হবে না।এতক্ষণ আমার ছেলেকে আটকে রেখেছি কতক্ষণ পারবো জানি না।তাই আগে থেকে এ বাড়ি থেকে বের হোন।ভুলেও এ বাড়ির আশেপাশে আসবেন না। নাহলে পরেরবার মৃত হয়ে যাবেন।”

লুৎফার কথায় মোজাম্মেল আর আজগর আগুনের মতো জ্বলতে থাকে কিন্তু সাহস পায় না আর এগোবার। কারণ আদ্যর কেলানিতে বাপ ব্যাটার অবস্থা শোচনীয় তাই ফোঁস ফোঁস করে দুজনে বের হয়ে যায়। এদিকে আদ্য নিজেকে সংবরন করতে পারছে না যদি মেরে ফেলতে পারতো তাতেই বোধ হয় শান্তি হতো?কিন্তু সে তখনো বুঝে নি তার মা কি বলেছে?উপস্থিত বাকিরা লুৎফার কথায় থম মেরে যায় বিশেষ করে মেহু।সে নিজের কানকেই বিশ্বাস করাতে পারছে না যে লুৎফা এমন একটা সিদ্ধান্ত কীভাবে নিলো!
,
,
,
চলবে…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here