তোমাতেই পরিপূর্ণ পর্ব-৩৩

0
1033

#তোমাতেই_পরিপূর্ণ
লেখিকা-জান্নাতুল ফারিয়া প্রত্যাশা
৩৩.
~
মিথি তাকিয়ে দেখল সামনের ডানপাশের একটা টেবিলে একজন সুদর্শন যুবক বসা। গায়ের রংটা তার একটু চাপা হলেও মুখ ভর্তি তার মায়া আছে। মিথি মুচকি হাসল। নেহার চোখে মুখে ফুটে উঠল কিঞ্চিত লজ্জা। এগিয়ে গেল তারা। ছেলেটা উঠে দাঁড়াল। চোখ মুখে একটা খুশি খুশি ভাব। ঠোঁট জোড়া প্রশস্ত করে হেসে বললো,

‘বসো।’

নেহা অপর পাশের চেয়ারটায় বসতে নিলেই মিথি তাকে বাধা দিয়ে বললো,

‘এই পাশে কেন বসছিস? ভাইয়ার পাশে গিয়ে বস।’

নেহা লজ্জা পেল। ইশারায় না করলো। কিন্তু মিথি তো শোনার পাত্রী না। সে জোর করেই নেহাকে সেই ছেলেটির পাশে বসালো। তারপর সেও অপর পাশের চেয়ারটায় বসলো। প্রসন্ন হেসে হাতের রজনীগন্ধা ফুলের স্টিকগুলো ছেলেটার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,

‘ভাইয়া, এটা আপনার জন্য।’

ছেলেটা তখন মুচকি হাসল। বললো,

‘ধন্যবাদ।’

তারপর বললো,

‘কি খাবেন বলুন?’

মিথি হেসে হেসে বললো,

‘আমাকে না আপনার পাশের উনাকে জিগ্যেস করুন সে কি খাবে? আজকের স্পেশাল গেস্ট তো উনি।’

সাদ হাসল মিথির কথা শুনে। নেহার দিকে তাকিয়ে বললো,

‘কি খাবে?’

নেহা লজ্জা পাচ্ছে, ভীষণ লজ্জা পাচ্ছে। মাথা নিচু করে হাত কচলাতে কচলাতে বললো,

‘আপনি যা খাবেন অর্ডার দিন। আমার কোনো পছন্দ নেই।’

মিথি তখন ক্ষিপ্ত কন্ঠে বললো,

‘কি তোর কোনো পছন্দ নেই? তোর না শর্মা খুব পছন্দ, হু? সারাদিন তো আমাকে বলিস একটা শর্মা খাওয়া একটা শর্মা খাওয়া, এখন তাহলে এত ঢং করছিস কেন?’

নেহা রেগে গেল। চোখ গরম করে মিথির দিকে তাকাল। মিথি ঠোঁট চেপে মিটি মিটি হাসছে। নেহা ইশারায় অনেক হুমকি দিয়ে দিল। কিন্তু মিথি সেসবে পাত্তা না দিয়ে বললো,

‘ভাইয়া, ও আসলে খুব লাজুক তো তাই বলতে পারছে না। আপনি ওর জন্য একটা শর্মা অর্ডার দিন। ওর শর্মা খুব পছন্দ।’

সাদ সরস কন্ঠে বললো,

‘ঠিক আছে। তা আপনি কি খাবেন?’

মিথি মলিন কন্ঠে বললো,

‘আমি, আসলে আমার বাইরের খাবার খাওয়া বারণ।’

মিথির কথা শুনে সাদ সপ্রতিভ হলো। বললো,

‘ও সরি আমার মনে ছিল না। নেহা আমাকে সব বলেছে।’

মিথি অবাক হয়ে বললো,

‘কিছুদিনের কথায় আপনাকে সব বলে ফেলেছে?’

সাদ জবাবে হাসল, বললো,

‘জ্বি, আপনার ফ্রেন্ডের মুখে সারাদিন কেবল আপনিই ছিলেন।’

মিথি মাথা নাড়িয়ে মেকি হতাশের সুরে বললো,

‘আহারে, মেয়েটা প্রেম করতেও জানে না। আপনি নিশ্চয়ই খুব বোরিং হয়েছেন, তাই না ভাইয়া?’

‘আরে না না। বোরিং হবো কেন? বরং আমার তো ভালো লেগেছে আপনাদের বন্ডিং দেখে।’

মিথির মুখের প্রশান্তির হাসি ফুটল। সাদ আর কথা না বাড়িয়ে একজন ওয়েটারকে ডেকে কিছু খাবার অর্ডার দিল। মিথির বারণ থাকায় সে তেমন কিছু খেল না। যদিও এতে তার মন খারাপ হয়নি। এখন এসবে মানিয়ে নিয়েছে। এইভাবেই তো বাকিটা জীবন পার করতে হবে তাকে।

মিথি অনেক আগেই রেস্ট্ররেন্ট থেকে বেরিয়ে গেছে। নেহা আর সাদ কে আলাদা করে সময় কাটানোর উপায় করে দিয়ে এসেছে। নেহা লজ্জা পাচ্ছিল একা থাকতে, মিথি কে বারণ করছিল খুব। কিন্তু মিথি শুনলো না, নেহাকে রেখে সে বেরিয়ে এসেছে। হাঁটতে হাঁটতে সামনের ফুলের দোকান গুলোর কাছে গেল মিথি। গোলাপ পছন্দ তার। গোলাপ ফুলগুলো হাত দিয়ে দেখছিল। সেই দোকানের ছোট্ট একটা ছেলে বললো,

‘আপা, গোলাপ নেবেন? এক পিছ পাঁচ টাকা।’

মিথি তাকাল ছেলেটার দিকে। মাহির সমান হবে হয়তো। কিন্তু মাহির সাথে তফাৎ টা অনেক। মিথি চেয়ে রইল অনেকক্ষণ। তারপর কি ভেবে বিশ টা গোলাপ কিনে ছেলেটার হাতে একশো টাকার একটা নোট ধরিয়ে দিল। ছেলেটা খুশি হলো খুব। মিথিও খুশি হলো। ফুলগুলো হাতে নিয়ে আরও কিছুটা সামনে এগিয়ে গেল। রাস্তার এক ধারে একটা স্টিলের বেঞ্চ করা ছিল। সেখানে গিয়ে বসলো সে। বিকেল টাইম এইদিকটা একদম ফাঁকা। চারদিকে ঠান্ডা বাতাস বইছে। গোলাপ গুলো থেকে একটা মিষ্টি ঘ্রাণ মিথির নাকে এসে ঠেকছে। মিথি নিরবে চেয়ে রইল লাল ফুলগুলোর দিকে। অনেকক্ষণ চেয়ে রইল। তারপর আশে পাশে তাকাল। বোর হচ্ছিল বসে বসে। কি করবে, কি করবে ভাবতে ভাবতেই নৈরিথ কে কল দিয়ে বসলো। নাম্বার টা ব্যস্ত দেখাচ্ছে। মিথির কিছুটা রাগ হলো। ফোনটা পাশে রেখে আবারও এদিক ওদিক তাকাল সে। মিনিট পাঁচ এক পড়েই নৈরিথ তাকে আবার কল ব্যাক করলো। কল রিসিভ করে মিথি বললো,

‘আপনি কি ব্যস্ত?’

‘না, বলো।’

মিথি সময় নিয়ে ভাবল, কি বলবে? কিছু বলার জন্য তো কল দেয়নি। মন চেয়েছে তাই দিয়ে ফেলেছে। এখন কি বলা যায়? মিথি কথা খুঁজতে থাকে। নৈরিথ আবারও বলে,

‘কি হলো, কিছু বলছো না যে?’

মিথি ফট করেই বলে ফেলল,

‘আপনাকে মিস করছিলাম!’

‘সকালেই তো দেখা হলো, বিকেল হতে না হতেই মিস করছো? বাহ, তোমার মনে তো দেখছি খুব প্রেম!’

সরব হলো মিথির ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক। আবেগের ঠেলা সামলাতে পারে নি সে। কেন এই কথাটা বলতে গেল? কেন? এখন এই লোকটা তাকে নিয়ে যে মজা করবে, সেটা কি ভাল লাগবে?

মিথি মুখ কালো করে বসে রইল। নৈরিথ প্রশ্ন করলো,

‘কোথায় আছো?’

থমথমে গলায় মিথি জবাব দিল,

‘বাইরে।’

‘কেন, এই সময় বাইরে কেন?’

নৈরিথ কঠোর কন্ঠ শুনে মিথি সপ্রতিভ হলো। বললো,

‘না মানে, এই একটু সামনে হাঁটতে বেরিয়েছি।’

নৈরিথ পুনরায় প্রশ্ন করলো,

‘নেহা কোথায়?’

‘আছে তো। আমার পাশেই আছে।’

মিথ্যে বলে দিল। এছাড়া উপায়ও নেই। নৈরিথ বললো,

‘কই দাও তো। ওকে জিগ্যেস করি, কখন বাসায় আসবে। আমাকে তো আবার নিতে আসতে হবে।’

এবার মিথি ফেঁসে গেল। এখন, এখন কি বলবে সে? সত্যি বললে নৈরিথ তাদের দুজনকে একসাথে আছাড় দিবে। মিথ্যে বলেও লাভ হলো না, সেই তো ধরা তো পড়ে গেল। মিথি মাথা চুলকাচ্ছে। কোনা কথা সাজিয়ে উঠতে পারছে না।

নৈরিথ অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও মিথির কোনো জবাব না পেয়ে এবার সে ধমক দিয়ে উঠল,

‘এই মেয়ে কথা বলছো না কেন? নেহা কোথায়?’

মিথি ঠোঁট কামড়াতে কামড়াতে মৃদু সুরে বললো,

‘ধমক দিচ্ছেন কেন? একটু ভালোবেসেও তো কথা বলা যায়। আর আপনি কি হ্যাঁ, আমি একটু কল দিয়েছি আপনার সাথে কথা বলার জন্য। আর আপনি তো আমার সাথে কথা বলছেনই না উল্টো নেহাকে খুঁজছেন।’

কথাগুলো বলে মিথি আহ্লাদী করে নাক টানল। নৈরিথ বললো,

‘আমি বরাবরই এইভাবেই কথা বলি। সেটা তুমিও জানো। কিন্ত কথা এটা না, কথা হলো গিয়ে তুমি আমাকে মিথ্যে বলেছো। তাই এখন কথা ঘুরানোর জন্য এসব বলছো। (একটু থেমে) এখন আর কথা না ঘুরিয়ে বলো কোথায় আছো?’

মিথি ঠোঁট উল্টে হতাশ হয়ে বসল। এই লোককে মিথ্যে বলেও শান্তি নেই। ধরা তো পড়তেই হবে। ব্যাধিগ্রস্থ কন্ঠে বললো,

‘একটু দূরেই এসেছি। তবে বেশি দূরে না, একটু খানি দূরে। চিন্তা করবেন না এক্ষুনি বাসায় চলে যাচ্ছি। টাটা।’

‘এই ফোন রাখবে না একদম। কোথায় আছো বলো, আমি আসছি।’

মিথি এবার বাক শক্তি হারাল। এবার সত্যিই সে বোবা বনে গেল। বিষন্ন সুরে বললো,

‘ফুলবাড়ির এইদিকে যে নতুন একটা রেস্ট্ররেন্ট হয়েছে সেখানেই আছি।’

নৈরিথ এবার উত্তেজিত হয়ে পড়ল। বললো,

‘তুমি রেস্ট্ররেন্টে গিয়েছ কেন? তোমার না বাইরের খাবার খাওয়া বারণ।’

‘আরে এত উত্তেজিত হবেন না। আমি কিছু খাইনি। নেহা শর্মা খাবে বলছিল, তাই ওকে নিয়ে এসেছি।’

নৈরিথ শান্ত হতে পারলো না। মিথি কে আরও কিছুক্ষণ তার ধমক খেতে হলো। তারপর ফোনটা কাটল নৈরিথ। গাড়ি নিয়ে ইতিমধ্যেই বেরিয়ে পড়েছে সে। যেকোনো সময় চলে আসবে। তাই আর রিস্ক নেয়া যাবে না। মিথি দ্রুত নেহাকে কল লাগায়,

‘হ্যালো নেহু!’

‘হ্যাঁ, মিথি বল। কই তুই?’

‘আমি আছি সামনে। শোন, তোর ভাই আসছে। জলদি সাদ ভাইয়া কে এখান থেকে যেতে বল। এমনিতেই উনি রেগে আছেন। এখন যদি এসে এসব দেখে তাহলে কিন্তু কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।’

নেহাও ভয় পেয়ে গেল। যতই ভাইয়ের সাথে হাসি মজা করুক না কেন, ভাইকে সে ভয় পায় প্রচুর। নেহা সাদকে সঙ্গে সঙ্গেই বুঝিয়ে বললো সব। ততক্ষণে মিথিও তাদের কাছে আসে। সাদ প্রথমে চাইছিল আজই নৈরিথের সাথে কথা বলবে কিন্তু মিথির দোহায় শুনে আর পারে না। বাধ্য হয়ে চলে যেতে হয় তাকে। নেহা তখন রাগি চোখে মিথির দিকে তাকিয়ে বলে,

‘ভাই জানল কি করে আমরা যে এখানে আছি?’

মিথি ফ্যালফ্যাল করে তার দিকে তাকাল। মিথির চাহনি দেখেই নেহা বুঝে গেল এইসব কিছু এই ভদ্র শয়তানটায় করেছে। রাগি গলায় নেহা বলে উঠে,

‘মানে কোনো কথা তোর পেটে হজম হয় না, তাই না?’

মিথি কাঁদো কাঁদো চোখ মুখে বললো,

‘সরি।’

নেহা বুকের উপর দুই হাত ভাজ করে বিরক্ত হয়ে চেয়ারে বসলো। মিথি উঠে গিয়ে তার পাশে বসে তাকে মানানোর জন্য কিছু একটা বলতে যাবে তার আগেই তার চোখ যায় তাদের ঠিক বরাবর টেবিলটার দিকে। মিথি কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকেই ছুটে যায় সেই টেবিলটার কাছে। থম মেরে মাটিতে বসে পড়ে। ক্লান্ত কন্ঠে বলে উঠে,

‘সিফাত!’

ছেলেটাও স্তব্ধ। হতভম্ব হয়ে চেয়ে রইল মেয়েটার দিকে। মিথি কেঁদে ফেলল। কিছু না ভেবেই উঠে জড়িয়ে ধরলো তাকে। রেস্ট্ররেন্টে বাকি সবার সাথে নেহাও চকিত হলো। হা করে তাকিয়ে রইল সেদিকে। মিথি খুব কাঁদছে। ছেলেটার মধ্যে কোনো ভাবাবেগ হচ্ছে না। সে স্ট্যাচু হয়ে বসে আছে। মিথি এবার তাকে ছেড়ে সোজা হয়ে তার হাঁটুর সামনে বসলো। কাঁদতে কাঁদতে বললো,

‘তুই এতদিন কোথায় ছিলি? জানিস আমি তোকে কত খুঁজেছি। আমার মনে হচ্ছিল তুই আমার আশে পাশেই আছিস। কিন্তু কোনোভাবেই তোকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তুই কি এখনও আমার উপর রেগে আছিস? এই সিফাত, কথা কেন বলছিস না? কিছু তো বল? দেখ আমি আর পারছি না। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে রে, প্লীজ কিছু বল।’

ছেলেটা চোখ বুজে একটা নিশ্বাস ফেলল। তারপর মিথির দিকে তাকিয়ে শক্ত কন্ঠে বললো,

‘এতদিন পরেও দেখেও তুই আমাকে চিনতে পারলি? যাক অন্তত আমার চেহারা টা ভুলিস নি। তা এখানে কেন এসছিস? বয়ফ্রেন্ডের সাথে ডেট করতে?’

মিথি ঢোক গিলে। এতদিন পর দেখা অথচ ছেলেটা তার সাথে এইভাবে কথা বলছে? মিথি বুঝতে পারে, সিফাতের রাগ এখনও কমে নি। মিথি তার দুইহাত জড়িয়ে ধরে। কান্না ভেজা কন্ঠে বলে,

‘এখনও রেগে আছিস? আমাকে কি ক্ষমা করা যায় না? আমি তো আমার ভুলের জন্য অনেক কষ্ট পেয়েছি। তোকে ছাড়া এতগুলো দিন কাটিয়েছি। কতটা কষ্ট হয়েছে আমি জানি। তাও তোর রাগ কমলো না?’

সিফাত জবাবে কিছু বললো না। মিথি তাকে অনেক কিছু বুঝাল, অনেক ভাবে বুঝাল, অনেক বার ক্ষমাও চাইল। তবে সিফাতের কোনো জবাব পেল না। সেও তার হাত ছাড়ল না। বসে রইল ওভাবেই। সে সময় সেখানে নৈরিথ এলো। রেস্ট্ররেন্টে ঢুকে সে এদিক ওদিক তাকিয়ে মিথি আর নেহাকে খুঁজতেই সে নেহাকে দেখতে পেল। দেখতে পেল মিথিকেও। থমকে গেল নৈরিথ। মিথিকে ঐভাবে একটা ছেলের হাত ধরে বসে থাকতে দেখে সে যেন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ল। বিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে রইল সেই এক জায়গাতেই।

চলবে..

(আজকে কিন্তু অনেক বড়ো করে দিয়েছি। এবার কিন্তু আপনাদেরও গঠনমূলক কমেন্ট করতে হবে। নয়তো কিন্তু আর এমন বড়ো করে লিখব না, হু😤। আর একটা কথা জানতে চাই। আপনারা কি চান, কিসে আপনারা খুশি হবেন, গল্পটা যদি তাড়াতাড়ি শেষ করে দেই, নাকি আরও কিছুটা বড়ো করি? আপনাদের মতামত চাইছি। কারণ দেখা যাবে বেশি বড়ো করলে অনেকে বলবে একঘেয়ে লাগছে, আর ভাল লাগছে না। আবার তাড়াতাড়ি শেষ করলেও অনেকে বলবে, আপু এত তাড়াতাড়ি শেষ করলেন কেন, আরো কিছুটা পর্ব দিলেও তো পারতেন। তাই আপনাদের মতামত চাইছি। আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে পরের পর্বগুলো আগানো হবে। যদিও আমি এর এন্ডিং টা ভেবে রেখেছি। তাও আপনারা কি চান সেটা অবশ্যই জানাবেন কেমন? আসসালামু আলাইকুম।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here