এক_রক্তিম_ভোর পর্ব_২৭
#প্রভা_আফরিন
বিকেল গড়িয়েছে সবে। চারিদিকে সোনালি রোদ ধীরে ধীরে আদুরে হয়ে উঠেছে। একটু পর মিলিয়ে যাবে। নীল আকাশে কিছু সাদা মেঘের ভেলা অলস ভাবে ভেসে বেড়াচ্ছে। নাবিলা গাড়িতে বসে বিষন্ন মনে বাহিরে তাকিয়ে আছে। ওর দৃষ্টি প্রানহীন। হয়তো তাকিয়ে থাকতে হবে বলেই দেখছে। গাড়ি ছুটে চলেছে সাই সাই করে পিচঢালা রাস্তা দিয়ে, উঁচু বিল্ডিং পেরিয়ে, ফুটপাত পেরিয়ে। ফোন বাজতেই ওর হুশ ফিরলো। স্ক্রিনে প্রয়াসের নাম ভেসে উঠেছে।
‘হ্যালো।’
‘এতোক্ষণ লাগে সাজতে? যদি তোকে চিনতে না পারি তবে সব সাজ মুছে দেবো বলে দিলাম।’
নাবিলা নিজেকে সামলে হাসার চেষ্টা করে বললো,
‘ইশশ! আমি এতো টাকা খরচ করে বেস্ট পার্লার থেকে সেজেছি ধুয়ে দেওয়ার জন্য নাকি? আমি আসছি। গাড়িতে আছি।’
প্রয়াস বললো,
‘আচ্ছা আয়। এমিলি এবং অলিভার ল্যান্ড করেছে।এয়ারপোর্টে আছে। আমি ওদের আনতে বের হচ্ছি। হলুদ শুরু হওয়ার আগেই চলে আসবো।’
নাবিলা কিছু একটা ভেবে বললো,
‘তুমি এখন এয়ারপোর্টে যাবে তারপর আসবে, এতে অনেক সময় চলে যাবে। আমি এখনো বাড়ি থেকে দূরে আছি। এয়ারপোর্ট থেকে খুব বেশি দূরে নয়।আমিই নাহয়…’
‘নাহ। তোকে যেতে হবে না। এই হলুদের সাজে এয়ারপোর্টে নামবি, তারপর দেখা যাবে সবাই হা করে তাকিয়ে দেখবে। আমার বউকে আমিই এখনো দেখতে পেলাম না আর দুনিয়াশুদ্ধ লোক দেখে বেরাবে! দরকার নেই।’
নাবিলার মন ভালো হয়ে উঠলো অনেকটা। বললো,
‘আর ইউ জেলাস মি. উডবি হাসবেন্ড?’
‘ইয়েস আই অ্যাম মাই উডবি ওয়াইফ। তাছাড়া আধা বেলা হয়ে গেছে তুই বাড়ি নেই। দাদি পথ চেয়ে বসে আছে। তুই চলে আয়।’
‘দেখো এভাবে কথা বলায় আরো বেশি দেরি হয়ে যাচ্ছে। তুমি যতক্ষনে পৌঁছাবে এমিলি আপু কি অপেক্ষা করবে নাকি? তারচেয়ে তুমি বরং দাদিকে বলো আমি এসে পড়বো ঘন্টা খানেকের মধ্যে।’
তারপর ড্রাইভারের উদ্দেশ্যে বললো,
‘চাচা এয়ারপোর্টের দিকে যান।’
‘নাবিলা আমার কথা শোন। আমি গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছি।’
নাবিলা অভিমানী কন্ঠে বললো,
‘তোমরাই বলো আমার দায়িত্ব জ্ঞান নেই, আমি ইম্যাচিউর। অথচ এখন একটা দায়িত্ব চাইছি দিচ্ছো না। আমাকে তোমরাই দায়িত্ব নিতে দিচ্ছো না। দরকার পড়লে গাড়ি থেকে বের হবো না। গাড়িতে বসেই এমিলি আপুকে কল করে নেব। তাহলে তো আর সমস্যা নেই।’
‘হলুদের দিনই তোকে দায়িত্ববান হতে হবে?’
‘প্লিজ!’
‘আচ্ছা, ঠিক আছে। তুই গাড়ি থেকে নামবি না। জেসি অথবা মাহিকে বলিস ওদের গাড়ি পর্যন্ত নিয়ে আসতে।’
নাবিলা কিছুটা হকচকিয়ে গেলো। প্রয়াস এখনো জানে না জেসি চলে গিয়েছে। আর মাহি হসপিটালে। জানলে নাবিলাকে যেতেও দেবে না। তাই ও আমতা আমতা করে বললো,
‘তুমি চিন্তা করো না। আমি ঠিক ওদের নিয়ে চলে আসবো। রাখি?’
‘রাখবি কেনো? এখনতো আর বলবি না যে লিপস্টিক লাগাচ্ছি পরে কল দাও, ফাউন্ডেশন দিচ্ছি পরে কল দাও। এয়ারপোর্টে যাওয়ার পথটুকু তুই আমার সাথে কথা বলবি। জেসি আর মাহিকে বল কান বন্ধ করে রাখতে।’
‘তুমি না… আস্ত একটা পাগল। একটু পর পর কল দিলে সাজের মাঝে কিভাবে কথা বলি? এখন বলো যা মন চায়। আমি শুনছি।’
‘আমি সত্যিই পাগল। শুধু তোর জন্য পাগল। তোকে ভালোবেসে পাগল। এর জন্য তুই দায়ী। আমার মতো সহজ সরল ছেলেকে নিজের জালে ফাসিয়ে নিয়েছিস। এই জালের প্রবেশ পথ পেয়েছি কিন্তু বের হওয়ার পথ নেই। আমি আটকে গেছি সারাজীবনের জন্য।’
‘আমি ফাসিয়েছি? কথাটা বলতে পারলে?’
‘পারলাম। পড়াশোনা রেখে কে সারাদিন সেজেগুজে আমার চোখের সামনে ঘুরতো শুনি? কিছু বললেই অভিমানে চোখমুখ ফুলিয়ে আমার বুকে কে আগুন ধরাতো? কে পড়াতে বসালে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে আমায় দিশেহারা করে দিতো? ঘর্মাক্ত নাকের ওপর থেকে চশমাটা চোখের দিকে ঠেলে দিয়ে কে আমায় এলোমেলো করে দিতো?’
‘চুপ।’
‘কেনো? চুপ থাকবো কেনো? আমিতো সত্যিই বলছি।’
‘তোমার সত্যি কথা যে বড্ড বেশি নির্লজ্জ।’
চাপা কন্ঠে বললো নাবিলা৷ পাছে ড্রাইভার শুনে ফেলে।
‘আমি মানুষটাও কিন্তু খুব নির্লজ্জ। হাড়ে হাড়ে টের পাবি। শুধু কবুলটা বলতে দে।’
নাবিলার কান গরম হয়ে গেলো। ঠোঁট চেপে মাথা নিচু করে রইলো। প্রয়াস নিজে থেকেই আবার বললো,
‘সকাল বেলা ঘুম জড়ানো চোখে, এলোমেলো চুলে যখন তুই বারান্দায় দাড়িয়ে আড়মোড়া ভাঙিস, ইচ্ছে করে ভর্তা বানিয়ে খেয়ে ফেলি।’
‘তুমি নির্লজ্জ হয়ে গেছো।আর কথা বলবো না তোমার সাথে। রাখছি।’
‘শোন.. হা হা।’
নাবিলা কল কেটে দিয়েছে। প্রয়াস ফোনের দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষন আপন মনেই হেসে গেলো। নয়নতারা বেগম পেছনে এসে দাঁড়িয়ে বললো,
‘কইরে? নাবিলা এখনো আসছে না কেনো?’
‘এইতো দাদি, এমিলি আর অলিভারকে নিয়েই চলে আসবে।’
নয়নতারা বেগম কপাল কুচকালো। জেসিকে তিনি আপন করে নিলেও এমিলির নাম শুনলে তিনি বিরক্ত হোন। বিদেশিদের অবাধ মেলামেশা এবং বিয়ে না করেই বাচ্চার মা হয়ে যাওয়া এই বিষয়টা তিনি মোটেও পছন্দ করেন না। নেহাৎ সঠিক সময়ে এসে নাবিলাকে বাচিঁয়েছে তাই প্রয়াসের অনুরোধে তাকে দাওয়াত দিতে বলেছে।তিনি নাবিলাকে বলেছে এমিলি আসলে ওর থেকে একটু দূরে থাকতে। কিন্তু নাতনিতো উল্টো বেশি করে মিশছে।
প্রয়াস নয়নতারা বেগমের বিরক্তিটা বুঝতে পারলো। এগিয়ে গিয়ে ওনার কাধে হাত রেখে বললো,
‘মাত্র দুইদিনের ব্যাপারতো দাদি। একটু সহ্য করে নাও প্লিজ! ওদের সামনে মুখ গোমড়া করে থেকো না।’
‘হু। কতক্ষণ লাগবে আসতে?’
‘এইতো এক ঘন্টার মধ্যেই দেখবে চলে এসেছে। সন্ধ্যা হতেই বাড়িতে উপস্থিত থাকবে।’
_________
কিন্তু কে জানতো কোন সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরবে ওরা। বা আদৌ ফিরবে কিনা। প্রয়াস এখনো আফসোস করে সেই দিনটার জন্য। যদি নাবিলা পার্লারে না যেত। যদি এমিলিকে আনতে এয়ারপোর্টে যাওয়ার অনুমতি না দিতো গল্পটা হয়তো একটু অন্যরকম হতো। ভাগ্য বোধহয় মাহি এবং জেসির অনুকূলে ছিলো। তাইতো ওরা আগেই চলে গিয়েছিলো আলাদা আলাদা। ভাগ্য সহায় হয়নি শুধু…
‘বাবা?’
কারো ডাকে প্রয়াস পেছনে ফিরে তাকালো। আদ্র দাঁড়িয়ে আছে। চোখমুখ ফোলা ফোলা। কাদার ফলে ফর্সা নাকটা একদম লাল টুকটুকে হয়ে আছে। মাথার চুল এলোমেলো হয়ে গেছে। আদ্র নাক টেনে এগিয়ে এসে বাবার পাশে বসলো।
প্রয়াস ওর চুলে আঙুল গলিয়ে দিয়ে বললো,
‘কাদছো কেনো আদ্র?’
‘আমি দিশা আন্টির কথা শুনে ফেলেছি বাবা।’
প্রয়াস আদ্রকে বুকে চেপে ধরলো। দিশার কান্ড জ্ঞানে কিছুটা বিরক্ত হলো। আদ্রর সামনে কথাগুলো বলে দেওয়া উচিৎ হয়নি তার। আদুরে কন্ঠে আদ্রকে উদ্দেশ্য করে বললো,
‘তুমি না স্ট্রং আদ্র! স্ট্রংরা কখনো কাদে না। কিছু হয়নি। বাবা আছিতো।’
আদ্রকে বুকে জড়িয়ে প্রয়াসের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেলো। যখন প্রচন্ড ভয় পেলে শাহেদ সাহেব ওকে বুকে জরিয়ে বলতেন ‘বাবা আছিতো।’ ওর এখন সেই কথাটা আবার শুনতে ইচ্ছে করছে। কেউ মাথায় হাত দিয়ে বলুক আছিতো।
‘নানুর কাছে যাও। স্কুল ড্রেস বদলে খাবার খেয়ে তারপর আসো। তুমি এখনো খাওনি জানলে মা বকে দেবে।’
আদ্র নড়লো না। বাবার বুকের সাথে মিশে রইলো। প্রয়াস বুঝলো দিশার কথাগুলো বাচ্চাটার হৃদয়ে প্রভাব ফেলেছে। প্রভাব তো ওর মধ্যেও পড়েছিলো সেই পাঁচ বছর আগে। সেই প্রভাব কেটে গেলেও এখন আবার নতুন করে আবার হানা দিয়েছে। কি অসহ্য এক যন্ত্রনা হচ্ছে বুকের মধ্যে। কাউকে হারিয়ে ফেলার ভয় যে কতটা গভীর ব্যাথা সেটা ওর থেকে ভালো আর কেই বা জানে! ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে প্রয়াস আবারো অতীতে ডুব দিলো।
___________
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা বেজে গেছে। চারিদিকে প্রকৃতির আলো ক্ষীন হয়ে আসতেই বাড়ির চারপাশের সব কৃত্রিম আলো জ্বলে উঠেছে। হলুদের মন্ডপ সাজানো হয়ে গেছে বিকেলের মধ্যে। ক্যামেরা লাইট সেট-আপ সব হয়ে গেছে। এখন শুধু হলুদ শুরু হবার পালা। প্রয়াসের পড়নে একটা সাদা পাঞ্জাবী। এখনো হলুদের জন্য তৈরী হয়নি সে।
কিছুক্ষন আগে নাবিলা ফোন ধরে বলেছে ওরা বাড়ির পথে রওনা দিয়ে দিয়েছে। তারপর থেকে ফোন বন্ধ। হুট করে ফোন বন্ধ হওয়ায় প্রয়াসের বিরক্তি লাগলো। পরমুহূর্তে ভাবলো হয়তো চার্জ শেষ। গেইটের সামনে পায়চারী করতে করতে ওর পা ধরে গেছে। মশারা ওর বিয়ে উপলক্ষে ওর শরীর থেকে ফ্রিতে রক্ত খেয়ে যাচ্ছে। কিছুক্ষন পর প্রয়াস জেসির ফোনে কল দিল। ওর ফোনও বন্ধ। প্রয়াসের এবার চিন্তা হলো। সে এমিলির ফোনে কল দিতেও একই ঘটনা। ফোন বন্ধ।
শেষমেশ মাহিকে ফোনে পেলো। মাহি রিসিভ করে জানালো সে আসছে। প্রয়াস নাবিলার কথা জানতে চাইলে বললো বিকেলেই জেসি এবং নাবিলাকে রেখে ও সোহানের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলো।
প্রয়াস এবার দিশেহারা হয়ে পড়লো। দৌড়ে ভেতরে ঢুকে তারেক হোসেনকে খুজতে লাগলো। তিনি সোফায় বসে হিসেব করছেন। প্রয়াস গিয়ে ড্রাইভারের নাম্বার চাইতেই তারেক হোসেন সোজা হয়ে বসলো। তার মেয়ে এখনো বাড় ফেরেনি। প্রয়াসের সাথে ফোনে এক্টিভ ছিলো তাই ওনার চিন্তা ছিলো না। এখন তিন তিনজনের ফোন বন্ধ শুনে ওনার মুখটা ভয়ে, আতঙ্কে সাদা হয়ে গেলো।
ড্রাইভারকে কল দিলে সেই ফোন বেজে বেজে থেমে গেলো। বেশ কয়েকবার একই অবস্থা।
প্রয়াস দৌড়ে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে গেলো। ওর বুক ধরফর করছে। এক হাতে স্টিয়ারিং, অন্য হাতে ড্রাইভারের ফোনে অনবরত কল করেই যাচ্ছে। প্রয়াসের গাড়ি যখন প্রায় পনেরো মিনিট ধরে এয়ারপোর্টের পথে রওনা হয়েছে তখন ফোন রিসিভ হলো অপরপাশ থেকে।
‘হ্যালো চাচা। নাবি…’
‘হ্যালো আপনি কি এই মোবাইলের ব্যক্তিটির বাড়ির লোক?’
‘জ জি। আপনি কে? আর এই ফোন আপনার হাতে কিভাবে?’
প্রয়াস গাড়ি থামিয়ে দিলো। ওর হাত পা কাপছে কোনো অজানা আশঙ্কায়।
‘একটা প্রাইভেট কার এবং ট্রাকের ভয়াবহ এক্সিডেন্ট ঘটেছে।’
প্রয়াস অস্ফুট স্বরে উচ্চারণ করলো,
‘এক্সিডেন্ট!’
‘প্রাইভেট কারের পেছন দিয়ে একটা দ্রুতগামী ট্রাক ধাক্কা দিয়েছে। ট্রাকের ড্রাইভার পলাতক। আর প্রাইভেট কারটা একদম দুমড়ে গেছে। ভেতরে দুইজন মহিলা, একজন পুরুষ এবং একটা বাচ্চা ছিলো। সবাই গুরুতর আহত। বিশেষ করে একজন মহিলা অবস্থা এতোটাই মারাত্মক যে তাকে দেখতেও ভয় লাগছে। সবার অবস্থাই গুরুতর। বাঁচবে বলে মনে হয়না। গাড়ি থেকে এই ফোনটা পেয়েছি। আমরা ওদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হসপিটালে নিচ্ছি। যদি আপনি ওনাদের বাড়ির লোক হোন জলদি আসুন। অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে।’
প্রয়াস অনুভূতি শূন্য হয়ে বসে রইলো। ব্রেইন ক্ষনিকের জন্য কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। শূন্য দৃষ্টিতে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে রইলো। ওকি কাদলো?
প্রয়াসের স্তব্ধতা কাটলো আরো একটা কলে। অপরিচিত নাম্বার। প্রয়াস কাপাকাপা হাতে ফোনটা রিসিভ করলো। মনে মনে দোয়া করলো আর যেন কোনো খারাপ খবর না আসে।
‘হা হা। কেমন দিলাম মি.প্রয়াস?’
‘অয়ন?’ প্রয়াস বিস্মিত কন্ঠে উচ্চারণ করলো।
‘ ইয়াহ। ইটস মি। আমাকে অপদস্থ করে নাবিলাকে আমার থেকে কেড়ে নিয়েছিলি না? আমি এতো সুন্দর প্ল্যান করে দারোয়ানদের ঘুমের মেডিসিন দিয়ে নাবিলাকে বারান্দা টপকে কিডন্যাপ করে আনি। সেখানেও তুই এসে বাগড়া দিলি। কিন্তু এবার? এবার কি করবি মি. হিরো? আমি আউট অফ কান্ট্রি ছিলাম বলে বেশ মজাতে ছিলি। ভেবেছিস আমার থেকে মুক্তি পাবি। কিন্তু আমি নাবিলার ওপর সবসময় নজর রেখেছি। তাইতো আজ কি সুন্দর করে একটা এক্সিডেন্ট করিয়ে দিলাম। কিছুই করতে পারলি না।’
কথা থামিয়ে অয়ন বিদঘুটে শব্দে হাসলো। তারপর হিসহিসিয়ে বললো,
‘নাবিলা আমার না তো নাবিলা তোরও না। মরে গেছে বোধহয় এতোক্ষনে। এর থেকে বড় শাস্তি তোর আর তোর পরিবারের জন্য আর কিছুই হতে পারে না। সব প্রতিশোধ একেবারে পূরন হয়ে গেলো।’
‘অন্যের জন্য গর্ত খুড়ে সেই গর্তে নিজেও পড়লি।’
এইটুকু কথা বলে প্রয়াস ফোন কেটে দিলো। চোখের কোনে হাত দিয়ে দেখলো অঝোরে জল গড়াচ্ছে। দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গেছে। নিজেকে সামলে কোনোমতে গাড়ি স্টার্ট দিলো। উদ্দেশ্য হসপিটাল।
চলবে…
( আসসালামু আলাইকুম। গল্পটা আর খুব বেশি পর্ব যাবে না। এখন থেকে একদিন পর পর গল দেবো। পড়ালেখা নিয়ে একটু ব্যস্ত আছি। আশাকরি বুঝবেন।)