#অনুভবে_তুমি
#পর্ব_২০
#মুমতাহিনা_জান্নাত_মৌ
সদ্য জয়েন করা তরুন সি আই ডি অফিসার ইভান চৌধুরী মোটামুটি সুস্থ হয়েছেন।সেজন্য তার একটা ইন্টারভিউ নিয়েছে বাংলা টেলিভিশন। তিনি বাংলা টেলিভিশন কে জানান কিছুদিন তিনি ছদ্মবেশে থাকতে চেয়েছিলেন।আর তার প্রথম টার্গেট ছিলো ভার্সিটিতে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসগুলোকে খুঁজে বের করা।দুই এক দিন পর পর ভার্সিটিতে মারামারি হচ্ছে,এখানে ওখানে লাশ পাওয়া যাচ্ছে,ছাত্র নেতা আহসানের উপর বার বার হামলা করা হচ্ছে।কে করছে এসব?এসব কাজের সাথে কারা কারা জড়িত! সবাইকে খুঁজে বের করে জেলে পুরে দেওয়ার নিয়ত ছিলো তার।কিন্তু সেদিনের সন্ত্রাস হামলায় সন্ত্রাসী কে ধরতে গিয়ে আহত হওয়ার ফলে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন তিনি।মুহুর্তের মধ্যে পুরো নিউজ চ্যানেলে তাকে নিয়েই কথা হয়।যাতে করে তার আসল পরিচয় জেনে যায় সবাই।জানা গেছে তার সাথে আরো তিন জন সহকারী অফিসারও আছেন।যাদের একটাই লক্ষ্য সন্ত্রাস নির্মূল করা।
নিউজ টা দেখামাত্র অয়ন টিভির রিমোট মেঝেতে ফেলে দিলো।আর জোরে জোরে বলতে লাগলো,এই শালা আবার কবে সি আই ডি তে জয়েন করলো!শালার এমনিতেই যে তেজ!তার উপর আবার সি আই ডি অফিসার!
রিমোট পড়ার আওয়াজ শুনে অতশী দৌঁড়ে এলো।সে এসে দেখে মেঝেতে রিমোট পড়ে আছে।সেজন্য সেটা উঠিয়ে অয়নের হাতে দিলো।আর বললো,ভাইয়া কিভাবে রিমোট টা পড়ে গেলো!
অয়ন কোনো উত্তর দিলো না।অতশী সেজন্য চলে যেতে ধরলো। তখন অয়ন বললো কড়া করে এক কাপ চা করে আন তো।আমি ছাদে গেলাম।এই বলে অয়ন তার ফোন টা হাতে নিয়ে ছাদে চলে গেলো।
অতশী চা করার জন্য রান্নাঘরে যেতেই হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠলো। অতশী সেজন্য দরজা খুলতে গেলো।
দরজা খুলতেই দেখে ইভান দাঁড়িয়ে আছে।অতশী ইভান কে দেখামাত্র চমকে উঠলো।যার অহংকারে মাটিতে পা পড়ে না সে এসেছে তাদের বাসায়!অন্যদিকে মনে মনে ভয় পেতেও লাগলো।কারন তার ভাইয়া বাসাতেই আছে।ইভান কে দেখলে কি যে করবে তা সে নিজেও জানে না।
অতশী কিছু বলার আগেই ইভান বললো,আমাদের বাসায় যাও না কেনো?আজ থেকে যাবে।এই বলেই ইভান চলে যেতে ধরলো।
অতশী খুব বেশি অবাক হলো!এ কোন হুকুমদারী ইভানের?মগের মুল্লুক পাইছে নাকি যে উনি যেটা বলবেন সেটাই হবে?অতশী বেশি কিছু বললো না।কারন এখন তর্ক করার সময় নয়।সে শুধু বললো,সরি আমি আর পড়াতে যাবো না।আপনারা অন্য ম্যাডাম ঠিক করেন।
ইভান সেই কথা শুনে দাঁড়িয়ে গেলো আর বললো, বাসায় ডাকতে এসেছি দেখে কি ভাব বেড়ে গেলো নাকি?শুনলাম ইশান আর ইমান তোমাকে ছাড়া পড়তে চাইছে না।তাদের মতে তুমি ছাড়া নাকি কেউ আর তাদের পড়াতে পাড়বে না।এই জন্য ডাকতে এলাম।সময় মতো চলে যেও।
অতশী সেই কথা শুনে বললো সবখানেই সন্ত্রাসগীরি মানায় না।আপনি জোর করে আমাকে নিয়ে যেতে পারবেন না।আমি যাবো না বলেছি তো যাবো না।এই বলে অতশী দরজা লাগিয়ে দিলো।ইভান তা দেখে খুব বেশি অপমান ফিল করলো।অতশী তাকে তো বাসার ভিতর ডাকলোই না বরং মুখের উপর না বলে দরজা বন্ধ করে দিলো!
আবার কলিং বেল বেজে উঠলো। অতশী মনে মনে বিড়বিড় করে বললো,এই ছেলে নিজে তো মরবে শেষে আমাকেও মারবে!কিন্তু দরজা খুলে দেখে তার ভাই!
অতশীকে দেখামাত্র বললো,তোকে না বললাম ছাদে চা পাঠিয়ে দিতে।এক কাপ চা বানাতে এতোক্ষন সময় লাগে।
অতশী তখন মিথ্যা কথা বললো যে চিনি নাই ঘরে।
–সেটা আগে বললেই তো হতো।এই বলে অয়ন চিনি আনার জন্য বাহিরে যেতে ধরলো।তখন অতশীর মনে হলো ইভান তো মাত্র চলে গেলো, যদি আবার দেখা হয়!সেজন্য সে অয়ন কে বললো,ভাইয়া যেতে হবে না বাহিরে।পরে খুঁজে পাইছি।আম্মু অন্য জায়গায় রেখেছিলো।
অয়ন সেই কথা শুনে রাগান্বিত ভাবে অতশীর দিকে তাকালো।তারপর তার রুমে চলে গেলো।
অতশী আর এক মুহুর্ত ও দেরী করলো না।তাড়াতাড়ি করে চা বানাতে গেলো।
কয়েক ঘন্টা পর অতশীর আম্মু ডাকতে লাগলো অতশীকে।অতশী তার মায়ের ডাক শুনে দৌঁড়ে গেলো তার রুমে।অতশী রুমে যেতেই তার আম্মু ফোনটা হাতে দিয়ে বললো দেখতো কে ইনি?তোর সাথে কথা বলতে চাইছে।
অতশী ফোন কানে নিতেই অপর পাশ থেকে মুহিব সাহেব বললেন হ্যালো অতশী!
অতশী মুহিব আংকেলের গলা শুনেই চিনতে পারলো,সে তখন বললো আসসালামু আলাইকুম আংকেল, কেমন আছেন?
–জ্বী আলহামদুলিল্লাহ মা।তুমি ভালো আছো তো?তোমার শরীর ঠিক আছে?
–জ্বি আংকেল।
–তাহলে আসো না কেনো বাসায়?ইশান আর ইমান ভীষণ জিদ করছে,তুমি না আসলে পড়বে না।
–না মানে আংকেল ভাইয়া এসেছে তো সেজন্য আর যাচ্ছি না।তাছাড়া ভাইয়া এসব টিউশনি করা পছন্দ করে না।
–ফোনটা অয়ন কে দাও।আমি কথা বলছি।
–না মানে আংকেল ভাইয়া জানতোই না আমি আপনাদের বাসায় টিউশনি করি।প্লিজ আংকেল ভাইয়াকে জানায়েন না।
–যা বলছি সেটাই করো।অয়ন কে ফোন টা দাও।
অতশী পড়ে গেলো মহাবিপদে।সে চাইছিলো অয়ন কে জানাবেই না এই টিউশনির কথা।অতশী অয়ন কে ফোন টা দিয়ে বললো ভাইয়া মুহিব আংকেল কথা বলবে?
অয়ন মুহিবের নাম শুনে বেশ অবাক হলো।সে বললো,কোন মুহিব?
–এডভোকেট মুহিব সাহেব।
–ও,সেটা আগে বলবি না?এই বলে অয়ন অতশীর হাত থেকে ফোন টা নিয়ে নিলো।আর বললো,আসসালামু আলাইকুম স্যার।কোনো প্রবলেম?
–অলাইকুম আসসালাম।না কোনো প্রবলেম নয়।আমি আসলে অতশীকে আমার দুই বাচ্চার টিউশনির জন্য চাচ্ছিলাম।
অয়ন সেই কথা শুনে অবাক হলেও হাসতে হাসতে বললো কি বলছেন এসব আংকেল?অতশী তো নিজেই কিছু বোঝে না।ও পড়াবে আপনার বাচ্চাদের?
–তুমি রাজি কিনা বলো?
অয়ন এখন কি করবে বুঝতে পারছিলো না।কারন মুহিব সাহেবের প্রতি সে এমনিতেই অনেক কৃতজ্ঞ।এই দুঃসময়ে উনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি কোনো স্বার্থ ছাড়াই তাকে জেল থেকে বের করার জন্য লড়াই করেছেন।কিন্তু অতশীকে অয়ন নিজে পাঠাবে অন্যজনের বাসায় টিউশনি করাতে এটা সে মানতে পারছিলো না।তখন অয়ন বললো,আসলে আংকেল আমি চাইছিলাম না অতশী কারো বাসায় গিয়ে টিউশনি করুক।ব্যাপার টা আমার ভালো লাগে না।সরি আংকেল মন খারাপ করেন না।যদিও আপনি অনেক বড় উপকার করেছেন আপনার অন্য কোনো হেল্প লাগলে অবশ্যই আমাকে সবার আগে পাবেন।এই বলে অয়ন ফোন রেখে দিলো।
অয়ন ফোন রেখে দিয়ে ভাবতে লাগলো,ব্যাপার কি? হঠাৎ মুহিব সাহেব অতশীকে টিউশনি করার জন্য ডাকছে কেনো?সে তখন অতশীকে ডাকতে লাগলো।
অতশী?অতশী?এদিকে আয় তো?
অতশী ভয়ে ভয়ে তার ভাই এর সামনে চলে গেলো।
অয়ন তখন অতশীকে জিজ্ঞেস করল,এডভোকেট মুহিব তোকে চিনলো কি করে?উনি হঠাৎ টিউশনি করার প্রস্তাব দিলেন কেনো?
–না মানে ভাইয়া?মানে হচ্ছে?
–কি মানে মানে করছিস?পরিষ্কার করে বল।
অতশী বলতে চাইছিলো না।কিন্তু না বলেও কোনো উপাই দেখছে না।এই কথা টা লুকালে ভাইয়া পরে আরো বেশি রাগ হবে।সেজন্য অতশী বললো,ভাইয়া আমি কিছুদিন ধরে ওনার দুই বাচ্চাকে টিউশনি করায়।কিন্তু তুই বাড়ি আসাতে আর যাই না।সেজন্য উনি আবার ডাকছেন ওনার বাচ্চাদের পড়াশোনা করানোর জন্য।
অয়ন আকাশ থেকে মাটিতে পড়ে গেলো।তুই টিউশনি করাতিছ?কেনো?তোকে টিউশনি করতে হবে কেনো?আম্মু বারণ করে নি?দাদী কিছু বলে নি?
অতশী তখন বললো,বলেছিলো,কিন্তু আমি তবুও গিয়েছিলাম।কারন ওনারা অগ্রিম কিছু টাকা দিয়েছিলেন।তুই বাসাতে ছিলি না।হাতে টাকাও ছিলো না আমার।
অয়ন সেই কথা শুনে বললো, কেনো আমার ফ্রেন্ডরা টাকা পয়সা দিয়ে যায় নি?তুই টাকার অভাবে টিউশনি করাতে গিয়েছিস?
–না দেয় নি।একদিনও কেউ আসে নি বাসায়।শুধুমাত্র তানিম ভাইয়া ছাড়া।
অয়ন তখন চিৎকার করে বললো, সব কয়টা শালা বেঈমান।আমাকে যুক্তি-বুদ্ধি করে ফাসাতে চাইছিলো।তানিম এমন ভাবে জাল বিছাইছে যে সবাই ওর ফাঁদে পা দিয়েছিলো।ভাগ্যিস শালারে মেরে ফেলেছে তা না হলে আমি নিজেই ওকে বাঁচতে দিতাম না।
তোর জীবন টা নিজের হাতে আল্লাহ বাঁচায়ছে।আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া।
অতশী তখন হঠাৎ করেই বললো ভাইয়া,তাহলে তানিম কে ওরা মারলো কেনো?ওরা তো সবাই একজোট হইছিলো।
–সেটা তুই জেনে কি করবি?
তখন অতশী বললো,ভাইয়া তানিম যতই খারাপ করুক না কেনো সেই কিন্তু এডভোকেট মুহিব কে তোর কেসটা সলভ করার জন্য ঠিক করেছিলো।
–এসব রাজনীতি তুই বুঝবি না।অনেক পেজ ওর মাথায়।আম্মুর মন ভুলে সে যখন বুঝতে পারছে তোর সাথেই ওর বিয়ে হবে সে তখন আমাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছে মাত্র।পাঁকা খেলোয়াড় একটা।
অতশী আর কোনো প্রশ্ন না করে তার রুমে চলে যেতে ধরলো হঠাৎ অয়ন বললো,এ মাস পূরন হতে আর কতোদিন আছে?
–কিসের মাস?
–কিসের মাস মানে?টিউশনির জন্য যে অগ্রিম টাকা নিয়েছিস সে মাস শেষ করতে হবে না?
অতশী তখন বললো, ভাইয়া থাক যাবো না আর।ওনাদের টাকা ফেরত দিয়ে দিবো।
–এখন যদি টাকা ফেরত দেই তাহলে মন খারাপ করবে মুহিব সাহেব।ওনাদের কি টাকার অভাব নাকি?সেজন্য এ মাস টা শুধু যা।বুঝেছিস?
অতশী হ্যাঁ বা না কিছুই বললো না।তবে তার আর ও বাড়িতে যেতে একটুও ইচ্ছা করছে না।কারন সে ইভান কে তো পরিষ্কার বলেই দিয়েছে সে আর যাবে না।এরপরও যদি যায় তখন ইভান তো তাকে নিয়ে হাসাহাসি করবে।যা নয় তাই বলবে।এদিকে তার ভাই যেতে বলছে।অতশীর মাথা পুরাই হ্যাংক হয়ে গেলো।
অয়ন বাড়িতে আসায় অতশী বেশ কিছুদিন ধরে ভার্সিটিতেও যায় না।শুধু ফোনে খোঁজখবর নেয়।সেজন্য অতশী ঠিক করলো আজকে ভার্সিটিতে যাবেই যাবে।আর মিস করবে না ক্লাস।অতশী ভার্সিটিতে যাওয়ার নিয়তে বের হলো বাসা থেকে।কিন্তু কিছুদূর যেতেই তার মনে হলো কে যেনো তাকে ফলো করছে।পিছনে কারো আসার পায়ের শব্দ পেলো সে।অতশী সেজন্য পিছন ফিরে তাকালো।না,কেউ নাই। অতশী আবার হাঁটা শুরু করলো।আবার সেই শব্দ!অতশীর বুক টা কেঁপে উঠলো।সে মনে মনে দোয়া পড়তে লাগলো।আর ভাবতে লাগলো এই ভার্সিটি আসার রাস্তাটা কেনো যে এতো নির্জন!কেউ একজন আসলে তার সাথে সাথে যেতে পারতো সে।
হঠাৎ কে যেনো তার গলা জড়িয়ে ধরলো।অতশী চিৎকার করতে যাবে ঠিক তখনি নেহা তার সামনে এসে বললো,কি রে চিৎকার করছিস কেনো?আমি?
অতশী সাথে সাথে বুকে থু থু ছিটিয়ে দিয়ে বললো,শয়তান মেয়ে!এইভাবে রাস্তায় কেউ জড়িয়ে ধরে।আমি তো ভয় পেয়ে গেছি!
নেহা তখন বললো এতো কিসের ভয় তোর!আর দিনের বেলায় কার এতো বড় সাহস যে তোকে জড়িয়ে ধরবে!
শুনলাম অয়ন ভাইয়া ছাড়া পেয়েছে।আমাদের তো একবারও জানালি না।
অতশী তখন বললো, কেনো জানাতে হবে?তোকে তো আজকাল পাওয়াই যায় না।সারাক্ষন বিজি থাকিস।
নেহা তখন হাসতে হাসতে বললো,নতুন নতুন তো সেইজন্য!
–মানে! প্রেম করছিস নাকি?
–ওইরকমই!
অতশী সেই কথা শুনে বললো,তোদের মনটা এতো বড় কেনো রে!
–বুঝলাম না।
–বলতে চাইছি এই মনে কতজনের বসবাস!দুইদিন পর পর চেঞ্জ হয়!
–না,না।এবার একেবারে পাক্কা।
–তা ছেলেটা কে?
–আগে ঠিকঠাক হোক।তারপর বলবো?
অতশী আর বেশি জোর করলো না নেহাকে।কারণ অতশী অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করছে।আজ তার অয়ন ভাই এর কথা শুনে মনে হলো অনেক শত্রু তার।কেউ যদি আবার তাকে ইউজ করে তার ভাই এর ক্ষতি করে!না,না এভাবে আর একা একা আসা যাবে না।অতশী তখন নেহাকে বললো,এই তোরা ভার্সিটিতে আসার সময় আমাকে ফোন দিবি।আমি বাসা থেকে না বের হওয়া পর্যন্ত খবরদার ভার্সিটিতে যাবি না।
নেহা সেই কথা শুনে বললো ঠিক আছে।আমারও একা একা যেতে ইচ্ছে করে না।
অতশী ভার্সিটিতে ঢুকতেই সবার আগে সেই জায়গাটার দিকে তাকালো যেখানে ইভান আর তার ফ্রেন্ডরা আড্ডা দিতো।কিন্তু আজ কেউ নাই সেখানে।
অতশী দেরী না করে নেহার সাথে ক্লাস রুমে চলে গেলো।অতশী এখনো জানে না ইভান একজন সি আই ডি অফিসার।আর অতশীর ফ্রেন্ডরা ভেবেছে সে হয় তো জানে সবকিছু সেজন্য তারা আর এ নিয়ে আলোচনা করলো না।
ক্লাস শেষ করে অতশী যখন বাড়িতে যাচ্ছিলো তখনো একবার তাকালো সেই জায়গার দিকে।এবারও কাউকে দেখতে পেলো না।অতশী ভাবলো ইভান হয় তো রেস্টে আছে।সেজন্য ভার্সিটিতে আসে না।পরে আবার ভাবলো তাহলে আমাদের বাসায় আসলো কেনো!
দূর!কেনো ভাবি আমি এই ছেলেটাকে নিয়ে।এই বলে অতশী চুপচাপ বাসায় চলে গেলো।
বিকাল চারটা।অতশী ইভানদের বাসায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।আর প্রাকটিস করছে ইভান অপমান জনক কোনো কথা বললে সে তার কি উত্তর দেবে!
অতশীকে বের হওয়া দেখে তার ভাইয়া বললো,কই যাচ্ছিস?
–ভুলে গেলি ভাইয়া?তুই তো যেতে বললি?
–কোথায় যেতে বললাম আমি?
–ওই যে টিউশনি!
–ও,ভুলেই গেছি।চল তোকে রেখে আসি।অয়ন অতশীর সাথে বের হলো।হঠাৎ অয়নের ফোনে কল আসলো।আর অয়ন কল টা কেটে দিয়ে বললো অতশী তোকে একটা সি,এন,জি ঠিক করে দিচ্ছি।সাবধানে যাস।আমার একটা দরকারী কাজ আছে।এই বলে অয়ন একটা সি,এন,জি ডেকে আনলো।আর সি,এন,জি আলাকে বললো সাবধানে নিয়ে যেও মামা।কিছু হলে কিন্তু খবর আছে!
–এভাবে থ্রেড দিয়ে বলছিস কেনো অয়ন?
–সাবধান করে গাড়ি চালাতে বললাম।বাকি টা উপরওয়ালার হাতে।বোন হয় আমার!এই বলে অয়ন অতশীর মাথায় একটা টোকা দিয়ে বললো আমি চললাম। অয়ন চলে গেলো।এদিকে সি,এন,জিও স্টার্ট দিলো।
অতশী তার ভাই এর এমন কেয়ারগুলো এতোদিন ভীষণ মিস করছিলো।তার ভাই যে তাকে কত ভালোবাসে সেটা শুধুমাত্র সেই জানে!তার ভাই এর শাসন গুলো তার খুব ভালো লাগে।মাঝে মাঝে যদিও রাগ লাগে তবুও তার ভাই তার কাছে সেরা।
#চলবে
কেমন লাগছে গল্পটা?অবশ্যই জানাবে।রেসপন্স না করলে বোঝা যায় না কে কে পড়ছে গল্পটা।