“এখনো_ভালোবাসি”💖
Writer:TaNia
Part-13
২বছর আগে।
“ইতালির ভেনিস শহরের একটা বিলাশবহুল হোটেলের কনফেরান্স রুমে একটা জরুরি মিটিং চলছিলো আয়নের।আর তখনি আয়নের ভাইব্রেটে রাখা মোবাইলটি বার বার বেজে উঠছিলো।বিরক্ত হয়ে মোবাইলটি রবিনের হাতে দিয়ে ইশারায় চেক করতে বললো দেখতে কার এতো তারা যে বার বার ফোন দিয়ে ডিস্টার্ব করছে।”
–রবিন ফোনটা হাতে নিয়ে কনফেরান্স রুম থেকে বের হয়ে গেলো।
“ইতালিতে বড় একটা ফ্যাশন শোয়ের আয়োজন করা হয়েছে।আর এই শোটা নিয়েই আয়ন কয়েকটা সপ্তাহ ধরে একটু বেশিই ব্যস্ত।গতো কয়েকমাস ধরে এই শো টার জন্য কাজ করে যাচ্ছে আয়ন আর তার টিম।নতুন ডিজাইনের ড্রেসের পর ড্রেস বানানোর আইডিয়া তা আবার তৈরি করা।মডেল সেলেক্ট হতে শুরু করে তাদের ট্রেনিং এর ব্যবস্তা এসবের মধ্যেই আয়নের অনেকটা ব্যস্ত সময় কাটছে।”
–নতুন কিছু ডিজাইন বলতে গেলে,বেস্ট ডিজাইন এবং কোম্পানির বেস্ট ডিজাইনারদের সাথেই আজকের মিটিংটা ছিলো।
‘আয়ন যখন নতুন ডিজাইন গুলোতে আবার চোখ বুলাতে ব্যস্ত ঠিক তখনি রুমের দরজা ঠেলে রবিন প্রবেশ করলো অনেক হুড়াহুড়ি করে।আর এসেই আয়নের কানের কাছে কি জেনো ফিসফিসিয়ে বললো।
“মুহুর্তেই আয়নের চোখ মুখের রং পাল্টে গেলো।ওর এই মুহুর্তে শুধু একটি নামই মাথায় আসছে প্রিয়ু।”
–সাথে সাথে মিটিং ক্যানসেল করে রবিনকে বিডির একটা টিকিট বুক করতে বলে নিজেও মিটিং রুম থেকে বের হয়ে গেলো।
“স্যার আজকের এই মিটিংটা আমাদের জন্য অনেক বেশি ইম্পোর্টেন্ট পিছনে পিছনে আয়নের ম্যানেজার লিমন বলতে লাগলো।”
–আই ডোন্ট কেয়ার লিমন।আমার এখন বাংলাদেশে যাওয়া খুব প্রয়োজন।এই মিটিংটা থেকেও বেশি দরকার এখন ওখানে আমার।
হঠাৎ আয়ন বলতে বলতে থেমে গেলো,একটা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে লিমনের দিকে তাকিয়ে বললো,কেউ আমার জন্য অপেক্ষা করছে ওখানে।আর আমি ছাড়া এই মুহুর্তে ওর কষ্ট ভাগ করার মতো কেউ নেই।তাই আমাকে যেতেই হবে।
বর্তমান……….
“হঠাৎ প্রিয়ুর নড়াচড়াতে আয়ন অতিত থেকে বর্তমানে ফিরে আসে।এতোক্ষন আয়ন দুবছর আগের কিছু বিষাক্ত স্মৃতিগুলো মনে করছিলো।ওর ভালো লাগছিলো না কোনো কিছু,খুব অস্থিরতা কাজ করছে।সেই স্মৃথিগুলো আয়ন আর মনেই করতে চায় না।যেসব কারণে ওর প্রিয়ু ওর কাছ থেকে এতোটা দূরে সরে গিয়েছিলো।”
–আয়নের খুব আফসোস হয় কিভাবে ও প্রিয়ুকে ভুল বুঝে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিলো।যখন সবথেকে বেশি প্রয়োজন ছিলো প্রিয়ুর তখনি আয়ন প্রিয়ুকে ভুল বুঝে দূরে সরিয়ে দিয়েছিলো।তাইতো প্রিয়ু এখন আয়নকে বিশ্বাস করতে পারছে না।আগের মতো ভরসা করতে পারছে না।
“আয়ন প্রিয়ুর দিকে একবার তাকালো।আর সাথে সাথে আয়নের মুখে একটা তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠলো।প্রিয়ু ঘুমের ঘোরে আয়নকে জড়িয়ে শুয়ে আছে।যার কারণে আয়ন নড়তেও পারছে না।
-আয়ন একটু নড়তেই প্রিয়ুও ঘুমের ঘোরে আবার সরে গেলো।প্রিয়ুর ঘুম দেখে আয়ন হাসতে লাগলো।কেমন বাচ্চাদের মতো হাতপা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঘুমিয়ে আছে।আর এতে প্রিয়ুর অগোছালো চুলগুলো মুখের উপর পড়ে আছে।
আয়ন সাবধানে মুখে উপর পড়ে থাকা চুলগুলো সরিয়ে দিলো।
-এতে প্রিয়ু আবার একটু নড়ে উঠলো।আর তখনি প্রিয়ুর ফর্সা পেটটা কাপড় থেকে বের হয়ে গেলো।”
–আয়নের শরীরটা আবার জেগে উঠছিলো।প্রিয়ুকে এভাবে দেখে।তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আয়ন প্রিয়ুর সাদা পেটটার দিকে।ওর স্পর্শ করতে ইচ্ছে করছিলো ঘুমন্ত এই পরীটাকে।যার মাঝে আয়ন বার বার হেরে যায়।প্রিয়ুর সাথে আর জোড় করবে না বলে মনে মনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করলেও কেনো যে আয়ন দূর্বল হয়ে যায় এই মেয়েটিকে দেখলে বুঝতে পারেনা।যেমন আজ আবার হলো,প্রিয়ুকে কাছে পাওয়ার চাহিদাটা আবার বেড়ে উঠছে মনে। আয়ন জানে না আজ ও শেষ পর্যন্ত নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারবে কিনা।
_____________
“আজকাল অফিসের কাজের চাপটা একটু বেশি।আর এসবের মাঝে দিনেশ অনেকটা হাফিয়ে উঠছে।এতোক্ষন ধরে ফাইলগুলো ঘেঁটে-ঘেঁটে তালগোল পাকিয়ে ফেলছে।আনমনে নিজেই বলে উঠলো,ব্যাঙের মাথা…কিছুই ঢুকছে না বলেই ফাইলটা ছুড়ে ফেললো।
আসলে দিনেশ নিজেও জানে না সমস্যাটা কি ওর।আজকাল ওর কোনো কিছুতেই মন বসছে না।কিছুই জেনো ভালো লাগছে না।
‘একটু শান্তি দরকার কিন্তু সেটা কোথায় পাবো।দিনেশ চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষন চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে ছিলো।
‘হে ভগবান!কিছু একটা করো’।
আমার কেনো এমন লাগছে।তীব্র একটা জ্বালা করছে মনে। কিন্তু কেনো?”
–কয়েকদিন ছুটি কামিয়ে তিতির আজ থেকে আবার অফিসে আসা শুরু করলো।এ কয়েকদিন বাবার অসুস্থতার জন্য অফিসে আসতে পারেনি।ফোন করে স্যারের কাছ থেকে ছুটি নিয়েছিলো কয়েকদিনের।
তাই আজ অফিসে এসেই তিতির আগে স্যারের কেবিনের দিকে পা বাড়ালো।
“আর দিনেশও ঠিক সেই সময় কেবিন থেকে বের হতে নেয়।”
-হঠাৎ দুজনই ধাক্কা খেয়ে ব্যালেন্স সামলাতে না পেড়ে মেঝেতে পড়ে যায়।আর তখনি তিতির ভয়ে দিনেশের শার্টটি খামচে ধরে চোখ বুঝে ফেলে।”
“-দিনেশ নিষ্ফলক ভাবে চেয়ে থাকে তিতিরের দিকে।তিতিরে হাত দুটো তখনো দিনেশের বুকের কাছের শার্টটি খামচে ধরায় নকের খোঁচা পাচ্ছিলো দিনেশ।কিন্তু এতে দিনেশের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।ওতো এখনো তাকিয়ে আছে তিতিরের মুখটির দিকে।
কি নিষ্পাপ, কি সুন্দর এই মুখখানি। আর এখন বাচ্চাদের মতো কিভাবে ভয়ে চোখ দুটো বুঝে আছে।
তিতিরের এই মায়াবী মুখখানি দেখেই দিনেশ কেমন জানি শান্তি শান্তি অনুভোব করছে।বুকের ভেতরের যন্ত্রনাটাও আর নেই।মনের অস্থিরতাও জেনো কমে গেছে।এক চিলতি হাসি ফুটে উঠেছে দিনেশের মুখে।ও বুঝে গিয়েছে ওর শান্তি কিসে লুকিয়ে আছে।”
–তিতিরের মুখের একদম কাছে দিনেশের মুখটা।তিতিরের চুলগুলোও তিতিরের নিচে পড়ে থাকা দিনেশের মুখে গিয়ে পড়ছে।আর তিতিরের ঘন নিশ্বাসগুলো দিনেশকেও কেমন অস্থির করে তুলছে।ওর মন চাইছিলো এই মেয়েটিকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে বুকের সাথে পিষে ফেলতে।
ঠোঁট ছুঁয়ে দিতে ওর গালে, কপালে,ঘাড়ে সারা দেহে।একটু আদর করে দিতে।
“আর এদিক দিয়ে তিতির চোখ খুলে দিনেশকে দেখেই ঘাবড়িয়ে গেলো।উঠতে নিলে বুঝতে পারে,একজোড়া পুরুষালি হাত ওকে জড়িয়ে ধরে আছে।তিতির বুঝতে পারছে না কি হচ্ছে,কিন্তু দিনিশের এমন ঘোরলাগা চোখদুটো দেখে লজ্জায় কুকিয়ে উঠছে বার বার।শরীরে কাঁপুনি ধরে যাচ্ছে।আর তিতিরের দেহের এই কাঁপুনি দিনেশকে পাগল করে তুলছে।”
–হঠাৎ বাহিরে স্টাফদের শোরগোলে দিনেশের হুশ ফিরে,ও তিতিরকে ছেড়ে দেওয়া মাত্রই তিতির লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়ায়।
দিনেশও আম তা আম তা করে..সরি বলে উঠে দাঁড়ায়।দুজনই কি মনে করে লজ্জায় তাকাতে পারেনা একে অপরের দিকে।
“তিতির আর থাকতে পারছে না এই মুহুর্তে দিনেশর সামনে তাই ও দৌঁড়ে নিজের কেবিনে চলে যায়।”
–এদিক দিয়ে দিনেশ মাথা চুলকিয়ে ভাবতে থাকে কি হলো এসব।আমি কি সত্যি ওকে!না আমার ডাউট ক্লিয়ার করতেই হবে।এটা কি জাস্ট আকর্ষণ, মোহ,নাকি অন্যকিছু।
বর্তমান …………
“এলার্মের শব্দে দিনেশের ঘুম ভেঙ্গ গেলো।এলার্মটা বন্ধ করে দিনেশ বেড ছেড়ে বিছায় বসে কিছু একটা ভেবে মুচকি হাসতে লাগলো।তিতিরের সাথে কাটানো এমন অনেক স্মৃতি আছে যা মনে পড়লেই মনের ভেতরে এক অজানা সুখের অনুভোব হয়।”
–দিনেশ হাসছে,নিজের অজান্তেই। প্রেমে পড়লে বুঝি এমনই হয়।দিনেশের এখনো বিশ্বাস হয়না দিনেশ কারো প্রেমে পড়ে এতোটা ডেস্পারেট হবে।
ও হাসতে হাসতে ওয়াসরুমে চলে গেলো ফ্রেস হতে।ফ্রেস হয়ে হাটা ধরলো তিতিরের রুমের দিকে।কিন্তু রুমে গিয়ে দিনেশ অবাক।রুমখালি,দিনেশ বারান্দায়,ওয়াশরুমে খুঁজে তিতিরকে না পেয়ে রুম থেকে বের হতে নিলে,বেডের পাশে রাখা টেবিলে একটা চিঠি দেখতে পায়।
“চিঠিটা হাতে নিয়ে দিনেশ পড়তে থাকে।মুহুর্তে দিনেশের চেহারার রং পাল্টে যায়।ধুমরেমুচরে ফেলে দেয় চিঠিটা।রাগে হন হন করতে করতে বের হয়ে যায় বাড়ী থেকে।”
____________
“আয়ন বালকানিতে দাঁড়িয়ে সিগেরেটের ধোঁয়া উড়াচ্ছে বাতাসে।আর আড়চোখে বার বার প্রিয়ুকে দেখছে।রুমের লাইটগুলো বন্ধ হওয়ায় চাঁদের মিষ্টি আলো প্রিয়ুর মুখটাতে গিয়ে পড়েছে। আর এতে প্রিয়ুকে আরো বেশি লাবণ্যময়ী লাগছে।ছুঁয়ে দিতে মন চাইছে বার বার এই আবেদনীময় নারীটিকে।”
–কিন্তু আয়ন তা করতে পারবে না,আয়ন রাগে একবার একটা ভুল করেছে,এবার আর ভুল হতে দিবে না।অন্তত ততোদিন না যতোদিন প্রিয়ু ওকে আগের মতো ভরসা করতে না পারে।
“গভীর রাত,চারদিক কেমন নিস্তদ্ব।নেই কোনও যান্ত্রিক আলো চারদিকে।বর্তমানে আয়ন ও প্রিয়ু ঢাকা থেকে কিছুটা দূরে একটা রিসোর্টে উঠেছে।এখানকার পরিবেশটা খুবই চমৎকার।গ্রামের স্মৃতিগুলো মনে করে দিবে বারবার।নিস্তদ্ব এই রাতে ঝোপঝাড় গুলো থেকে জোনাকিদের মিটিমিটি জ্বলে উঠাও আয়নের কাছে রোমান্টিক লাগছে।”
–আর লাগবেই না কেনো এরাও সারাদিনের হাজারো ব্যস্ততায় কাটিয়ে রাতের আধারে নিজেদের সঙ্গী খুঁজতে বের হয়।কি অদ্ভুত ব্যাপার তাই না।কিন্তু সত্য।
“পুরুষ জোনাকিরা রাতের আধারে আলো জ্বালিয়ে ঘুড়ে ঘুড়ে নারী জোনাকি পোকাদের কাছে তাদের মনের ভাব প্রকাশ করে,আর আলোর মাধ্যমে তারপর পুরুষ জোনাকিদের মনের ভাব বুঝে নারী জোনাকিরা তাদের আলোর মাধ্যমে নিজেদের মনের ভাব ও কথাগুলো বুঝিয়ে দেয় পুরুষ জোনাকিদের।মনের মতো সঙ্গী খুঁজতেই রাতের আধারে ওদের এতো আয়োজন।আর তাদের এই আলোখেলা আমাদের মনেও এক অদ্ভুত আনন্দের খোরাক জোগায়।আয়ন একটু মুচকি হাসে ব্যাপারটা বুঝতে পারলে কতো না রোমান্টিক।আয়ন দীর্ঘ একটা শ্বাস ছেড়ে নিজের হাতের সিগেরেট টা ফেলে দিয়ে রুমে চলে যায়।”
–প্রিয়ুকে নিজের একটু কাছে টেনে একহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে,প্রিয়ুর কপালে একটা ছোট আদর দিয়ে দেয়।ঘুমা সোনা।আমি খুব খারাপ রে।বার বার তোকে কষ্ট দিয়ে ফেলি।তোর উপর আমার ইচ্ছাগুলো চাপিয়ে দিই সব সময়।কখনো তোকে বুঝার চেষ্টাও করিনা।ক্ষমা করে দে সোনা।আমি জানি আমি তোর বিশ্বাস ভেঙ্গেছি। তোকে অনেক কষ্ট দিয়েছি কিন্তু এর পর আর না।
“আমি জানি সত্যটা জানলে তুই কখনো আমাকে মাপ করবি না।কিন্তু বল কি করবো।তুই আমার ভালোবাসা থেকে,কখন আমার জেদ হয়ে গিয়েছিস আমি নিজেও জান্তে পারেনি।তোকে পাওয়ার জন্য কিছু মিথ্যার পথও আমাকে বেছে নিতে হয়েছে।আয়ন স্মৃথিচারণ করতে লাগলো,সেদিনের….
“দিনেশ কফিতে চুমুক দিতে দিতে বললো,তো আমার শের শিকার করেছিস নাকি ছেড়ে দিয়েছিস।”
–আয়ন চেয়ারে আড়ামে হেলান দিয়ে বসে,এতোদিন পর ক্ষু্ধার্ত বাঘের সামনে খাবার রেখে যদি বলিস,খাবার খেতে না,তাহলে কি হবে বল।বাঘ যতই দূর্বল হোকনা কেনো শিকার করতে ভুলে না এটা মনে রাখিস।আয়ন একটা বাকা হেসে।
“তো এখন কোথায় ও।”
–কোথায় আবার।আমার খাঁচায়….. এবার আর কোনও পথ খোলা রাখবো না ওর পালানোর জন্য।
“কিন্তু আয়ন,যদি কখনো ও জানতে পারে,এসব তোর প্লানিং তখন।আর সবথেকে বড় কথা খুব কি দরকার ছিলো এসব করার।মানে মেয়েটি তোকে খুব বিশ্বাস করতো ইয়ার।”
–ও জানার কোনো পথ আমি রাখিনি দিনেশ।আর এসব না করলে ও কখনো আমার কাছে ধরা দিতোই না।কারণ ও একটু হলেও জানে আমার দূর্বলতা ও।তাই আর যাই করিনা কেনো।ওকে আঘাত দিতে পারবো না।তাইতো বারবার পালিয়ে যায়।বাধ্য হয়েছি এবার।
ওকে এই আঘাতটা দেওয়া খুব দরকার ছিলো দিনেশ।আর একমাত্র এটার কারণেই ও আমার কাছে আসতে বাধ্য হবে।
“আরভিনের কি খবর।ও ভালো আছে তো।”
–হুম!ওর আবার কি হয়েছে,সামান্য সিড়ি থেকে পড়ে মাথা ফেটে গিয়েছে।জানিস এমন একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম আমি।আর আল্লাহর রহমতে পেয়েও গেলাম।বোকা আমার প্রিয়ু ডাক্তারের কথায় বিশ্বাস করে ছুটে এসেছে আমার কাছে।এতোটাই ভয় পেয়েছে যে,ওর মাথায় একবারও আসেনি কিসের অপরেশন, কেনো?কি হয়েছে?
নিজেকে বড় হয়েছি বলে দাবি করে,কিন্তু ও এখনো বাচ্চাই রয়ে গেলো।
“কিন্তু ও তোর কাছে না এসে যদি অন্য কোথাও জেতো তখন।”
–এটা হতেই পারেনা দিনেশ।আমি ওর সব পথ আগে থেকেই বন্ধ করে দিয়েছিলাম।আমি জানতাম ওকে আমার কাছে আসতেই হবে।ধরা দিতেই হবে।
“এরপর! এরপর কি হবে।মানে এখনো যদি প্রিয়ু তোকে বিয়ে করতে রাজি না হয়।ও যদি থাকতে না চায় তোর সাথে তখন।মানে কতোদিন আর জোর করবি।জানিস তো জোর করে মাসের পর ওর শরীরটা পাবি কিন্তু মন! ওর মনকে জয় করতে পারবি না।”
–আয়ন কিছু একটা ভেবে,হুম জানি আমি।আর তোর কি মনে হয় আমি ধর্ষক।আমি ওর মর্জিতে ওর সাথে মিলিত হয়েছি। ওকে ধর্ষণ করিনি।আর আমি রেপিস্ট নই যে নিজের জিনিসটিকে জোর করবো।একবার শুধু ওকে পারমানেন্ট ভাবে নিজের করার অপেক্ষা।তারপর ওকে কিভাবে নিজের করতে হবে আমি আয়ন খুব ভালো করেই জানি।আমার চোখের সামনে ও বড় হয়েছে,তাই আমার থেকে বেশি ওকে কেউ বুঝবে না।আর তুই তো জানিস ১৮/১৯বছরের মেয়েগুলো বুঝে কম,জেদ করে বেশি।এই বয়সটা এখনো অপরিণতর মতোই।তাইতো প্রিয়ুর জেদটাকেও একটু দমানো দরকার ছিলো,আর ওকে বুঝানো যে ওকে পাওয়ার জন্য আমি কি কি করতে পারি।ওর ভাবনারো বাহিরে।আর আমাকে রিজেক্ট করা ওর কতো বড় ভুল ছিলো তাও তো ওকে বুঝানো দরকার ছিলো।আগুনে একা আমি কেনো পুড়বো।এর তাপ ওকেও সইতে হবে।
চলবে…।
(কমেন্ট করে জানাবেন কেমন চলছে গল্পটি,প্লিজ।ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন)