“এখনো ভালোবাসি”💖 পর্ব-২৮

0
3232

“এখনো ভালোবাসি”💖
Writer:TaNia
Part-28

দিনেশ ও তিতির একটা জুয়েলারি দোকানে এসেছে।তিতির বুঝতে পাড়ছে না দিনেশ ওকে কেনো এখানে নিয়ে এসেছে।আর এখন নিজের জিদ আর ইগোর কারণে কিছু জিঙ্গেসও করতে পাড়ছে না দিনেশকে।দিনেশ যখন কিছু আংটি দেখতে ব্যস্ত তখন তিতির চোখ পড়ে কিছু চুড়ির উপর।ডিজাইন গুলো সিম্পল তবে অনেকটা ইউনিক।তিতির বরাবর চুড়ির প্রতি একটু দূর্বলতা কাজ করে।কিন্তু তিতির এটাও জানে এতো দামি জিনিস আপাততো ও এফোর্ড করতে পাড়বে না।তাই জিনিসটি হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে দেখে আবার রেখে দিয়ে দিনেশের সামনে দাঁড়ালো।দিনেশ আর চোখে এতোক্ষণ সবই দেখছিলো,তবুও কিছু বললো না।হঠাৎ তিতির হাতটা ধরে একটা আংটি পড়িয়ে দিলো।
–“তিতির বিস্মিত হয়ে,স্যার এটা কি করলেন।”
আমি আবার কি করলাম।
–“আংটি আমাকে কেনো পড়ালেন।মানে কি এসবের।”

আরে রিলেক্স এতো হাইপার হবার কিছু নেই।আমি জাস্ট চেক করছিলাম,আংটিটা লোরিনের হাতে কেমন লাগবে।তুমিতো দেখছি তিলকে তাল বানিয়ে দিচ্ছো।নিজেকে এতো ইম্পোর্টেন ভাবার কিছুই নেই বুঝলে।

–“তিতির রাগে যেনো লালনীল হয়ে গেলো দিনেশের মুখে লোরিনের নামটি শুনে।দিনেশের চুলগুলো ছিঁড়ে শাক রেধে পাড়া প্রতিবেশিদের খাওয়াতে পাড়লে মনটা একটু শান্তি হতো এই মুহুর্তে।আঙ্গুল থেকে আংটিটি খুলার জন্য জোড় করতে লাগলো।কিন্তু আংটি আটকে গেছে,বেরই হচ্ছে না।তিতির খুব বিরক্ত লাগলো,ঢুকার সময় তো খুব ভালো করেই ডুকে গেলো,অথচ এখন কি হলো।
‘কি হলো আংটিটা খুলো।তোমার জন্য আমারও লেট হচ্ছে।’
–“দেখতে পারছেন না খুলছে না এটা।কি করবো”।
‘খুলছে না! মানে কি?একটু আগে দেখি কতো সুন্দর করে হুরহুর করে ঢুকে গেছে।এখন কি হলো।’

–“জানি না আমি”।

‘জানি না বললে তো হবে না তাইনা,এটাতো উনাদের ফিরত দিতে হবে।দিনেশ দোকানের লোককে উদ্দেশ্য করে বললো,আংটিটা বের করতে সাহায্য করুন তো একটু।ম্যাডামের হাতে এটা আটকে গেছে।আর আপসে যদি বের না হয় তাহলে আঙ্গুল কেটে বের করুন।তবুও বের করুন।’

–“তিতির আতঙ্কিত হয়ে দিনেশের দিকে তাকালো,বলে কি এই লোক একটা আংটির জন্য এখন আমার আঙ্গুল কেটে ফেলতে হবে।কি সব আবলতাবল বলছেন স্যার।একটা সামান্য আংটির….তিতিরকে শেষ করতে দিলো না দিনেশ।”
‘আরে সামান্য মানে কি?’পাঁচ লাখ টাকা এর দাম।পাঁচলাখ তোমার কাছে সামান্য মনে হলে দিয়ে দেও।এতে তোমার আঙ্গুলও বেঁচে যাবে আর আংটিও ফ্রি পেয়ে যাবে।
–“তাই বলে কি এভাবে।তিতির পাড়ে না কেঁদে দিবে।একটু ভেবে,”আচ্ছা আর কোনও পায় নেই।”
দোকানদারকে জিঙ্গেস করলো তিতির।”

‘আছে ম্যাম,আমরা আংটিটি কেটে ফেলতে পাড়ি।’

–“ও তাই নাকি তাহলে তাই করুন।”

কিন্তু এরপর আংটির মূল্য আপনাকে দিতে হবে।তখন এটা আমাদের কোনও কাজে লাগবে না।এটা অনেকটা এন্টিক পিস।
–“কিন্তু আমি কিভাবে,তিতির এবার সত্যিই চিৎকার করে কাঁদতে মন চাইছে।ও বুঝে গেছে ও ফেঁসে গেছে।আর এই কাজটি যে দিনেশের তাতে কোনও সন্দেহ নেই।”
‘দিনেশ তিতির হাতটি টেনে নিয়ে আংটি টি ঘুড়াতে লাগলো সাবধানে।মুখে বাকা হাসি দিয়ে তিতিরের কাছে কিছু শর্ত দিলো।যদি তিতির শর্তে রাজি থাকে তাহলে দিনেশ তিতিরকে সাহায্য করতে পারে এই বিপদ থেকে রক্ষা করতে।”
–“তিতির অসহায় মুখে দিনেশের দিকে তাকিয়ে রইলো।কি আশ্চর্য বিপদে নিজে ফেলে,আবার নিজেই শর্ত রাখে উদ্ধার করার জন্য।দুনিয়াটা আসলেই ধ্বংশ হয়ে গেছে।এখানে ভালো মানুষের জায়গা নাই।”

‘দিনেশ তিতিরকে চুড়ির কর্ণারে নিয়ে গিয়ে তিতির পছন্দ করা চুড়িদুটো হাতে নিয়ে নিজেই পড়িয়ে দিলো।আমার প্রথম শর্ত এগুলো তুমি আর খুলতে পাড়বে না।যতো কিছুই হোক।
“দিনেশের শর্ত শুনে তিতির বিস্মিত হয়ে দিনেশের দিকে তাকিয়ে রইলো।এ আবার কেমন শর্ত।”
আর দ্বিতীয় শর্ত হলো তোমাকে আমার সাথে আমাদের নেক্সট প্রজেক্ট এর মিটিং এর জন্য লন্ডনে যেতে হবে।এখানে না বলার তোমার কোনও চান্স নেই,কারন তুমি আমার পি.এ।আমি যেখানে তুমিও সেখানে।তবুও বললাম তোমাকে।
–“কিন্তু আমি কিভাবে,মানে এতো দূর।বাড়ীতে পারমিশন দিবে না আমায়।”
‘যদি আমি কথা বলি তোমার বাবা-মার সাথে তাহলে কি হবে।’
–“হয়তো।”
ওকে আমি কথা বলে নিবো, তুমি বাড়ী গিয়ে প্যাকিং শুরু করে দেও।ইশারায় দোকানের একজন কর্মচারীকে ডেকে তিতির আঙ্গুলের আংটিটি কেটে ফেলতে বললো।ক্ষতিপূরণ যা হবে ও মিটিয়ে দিবে বললো।

এটা ছিলো আজ সকালে তিতির এটিটিউড এর জবাব দিনেশের পক্ষ থেকে।দিনেশ তিতিকে বুঝাতে চেয়েছিলো,যতই হাওয়ায় উড়ো,বেলা শেষে আমার নীড়েই তোমার স্থান।আমি ছাড়া তোমাকে উদ্ধার করতে কেউ আসবে না।এবার একবার লন্ডনে চলো আমার সাথে,তোমাকে যদি ঘোলা পানি না খেয়ে ছাড়ি আমার নামও দিনেশ না।
……………………………………………
অতিত
সেদিন প্রিয়ু সব জানার পর ভার্সিটি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলো একাই।আয়নের প্রতি অভিমানটা যেনো আবার জমা হলো প্রিয়ুর মনে।ওর আবার পালিয়ে যেতে মন চাইছে সব কিছু ছেড়ে।তবে এবার এতো দূরে যে আয়ন ওর ছায়াও দেখতে না পায়।এসব ভাবতে ভাবতেই প্রিয়ু এলোমেলো পা ফেলে হেটে চলছিলো,কিন্তু কোথায় যাচ্ছে জানে না।তখনই রাস্তায় পড়ে থাকা একটা ইটের সাথে পা লেগে প্রিয়ু পড়ে যেতে নেয়।কিন্তু ঠিক সময় নিজেকে সামলিয়ে ফেলে তবে যা ক্ষতি হবার হয়ে যায়।প্রিয়ু পায়ে প্রচণ্ড ব্যাথা পেয়ে নক উঠে যায়।আর পা থেকে রক্তও বের হতে থাকে।

–“ঠিক সেই সময় রোহান ওদিক দিয়ে গাড়ী নিয়ে যাচ্ছিলো।ওর গানের একটা অডিশন ছিলো আজ।রাস্তার সাইডে প্রিয়ুকে পা ধরে বসে থাকতে দেখে দ্রুতো গাড়ী থামায়।সামনে গিয়ে দেখে সত্যিই এটা প্রিয়ু।প্রিয়ুর পা থেকে ব্লিডিং হচ্ছে দেখে রোহান তার পকেট থেকে রুমালটা বের করেই প্রিয়ুর পায়ের আঙ্গুলে চেপে ধরে বলে,”কিভাবে হলো।তুমি কি দেখে হাটতে পারো না।দেখছো কতো রক্ত বের হচ্ছে এখন।”

রেহানকে দেখেই প্রিয়ুর মেঝাঝটা যেনো আরো একটু বিগ্রে গেলো।আয়ন হোক বা রোহান সব এক।এরা শুধু ধোকা দিতে যানে।আর পাড়ে মন নিয়ে খেলা করতে।প্রিয়ু চট করে রুমালটা খুলে ছুড়ে ফেলে দিয়ে উঠে দাঁড়ালো।রোহানকে না দেখার ভান করেই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো।

–“রোহান বুঝতে পাড়ছে কিছু একটা হয়েছে,যা প্রিয়ুর উদাসীন মুখটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে।তা না হলে প্রিয়ু এখানে একা,এই রাস্তায় কি করে।যতোটুকু জানে প্রিয়ুর সাথে একজন গার্ড থাকার কথা।রোহানও অগচরে প্রিয়ুর অনেক খোঁজ খবর নিয়ে রেখেছে।রোহান ভাবলো প্রিয়ুকে এখন আটকানো দরকার।
তাই পিছন থেকেই প্রিয়ুকে উদ্দেশ্য করে বললো,”আমি জানি আমি তোমাকে কষ্ট দিয়েছি প্রিয়ু,কিন্তু এক সময় আমরা ভালো বন্ধু ছিলাম।
“প্রিয়ু থেমে যায়।কিন্তু পিছনে তাকায় না।”

–“তাই রোহান গিয়ে প্রিয়ুর সামনে দাঁড়ায়।আমি তোমাকে কষ্ট দিয়েছি সত্যি কিন্তু কখনো তোমার ক্ষতি চাইনি।এটা তুমিও জানো।কখনো নিজের সীমাও অতিক্রম করেনি।শুধু একটা ভুল করেছি।যা শুধরানোর সুযোগই পাইনি।আমরা আগের কিছু ঠিক করতে পাড়বো না জানি,তবে বর্তমানে নিজেদের স্বাভাবিক করতে আমরা কি অতিতটা ভুলতে পারিনা।অতিতে কি ছিলাম ভুলে বন্ধুত্বের সম্পর্ক টাই মনে রাখি কেবল।তাহলে দুজনেরই চলতে সুবিধা হবে।”

প্রিয়ু রোহানের বাড়ীর ড্রয়িংরুমের সোফায় বসে আছে।প্রিয়ু সব কিছু ভুলে রোহানকে একবার সুযোগ দিলো।বন্ধুত্বের হাতটি গ্রহণ করে নিলো।আয়নকে মাপ করতে পাড়লে রোহান কেনো নয়।আয়নতো বারবার আঘাত করেছে সেই তুলনায় রোহানতো কিছুই করেনি।রোহান প্রিয়ুকে নিয়ে হসপিটালে যেতে চেয়েছিলো কিন্তু প্রিয়ু যেতে রাজি হয়নি কারণ,রোহান একজন সেলিব্রেটি,আর প্রিয়ুকেও কেউ চিনতে পাড়লে,মিডিয়া ব্যাপারটা আরো তেলমশলা মিক্সড করে পরিবেশ করবে।এতে পরিস্থিতি আরো বাজে হবে।কিন্তু প্রিয়ু এটাও বুঝতে পাড়ছে ওর রোহানের বাসায় আসা হয়তো উচিত হয়নি।আয়ন জানতে পাড়লে না জানি কি করবে।

–“প্রিয়ু সোফায় বসে বসে যখন চিন্তায় মগ্ন, তখনই ঘরের মেন দরজা খুলে ভেতরে কেউ প্রবেশ করলো।প্রিয়ু মাথাটা তুলে তাকিয়ে দেখে সামনে আয়ন দাঁড়িয়ে আছে।চোখমুখ রাগে কেমন রক্তবর্ণ হয়ে আছে।প্রিয়ু জানতো এমনই হবে,কিন্তু আয়ন যে স্বশরীরে এখানেই টপকে পড়বে,তা ভাবতে পাড়েনি।তাও আবার এতো তারাতারি।প্রিয়ুর মাথায়ই আসছে না আয়ন জানলো কি করে প্রিয়ু যে এখানে।আয়ন কিছু না বলে,প্রিয়ুর হাতটি ধরে টান দিয়ে দাঁড় করাতে নিলে,প্রিয়ু ব্যাথায় আআ করে শব্দ করে উঠে।আয়ন কিছু বলার আগেই,রোহান হন্তদন্ত হয়ে বালকানি থেকে রুমে এসেই জিঙ্গেস করতে যাবে কি হয়েছে,কিন্তু আয়নকে এখানে দেখে থেমে যায়”।
–প্রিয়ুর ব্যথিত মুখটা দেখেই আয়ন বুঝতে পারে কোনও একটা সমস্যা হয়েছে।তাই সব চিন্তা বাদ দিয়ে,আয়ন প্রিয়ুর পায়ের সামনে বসে পড়ে। আর প্রিয়ুর ডান পায়ে কিছুক্ষণ আগে করা ব্যান্ডিজটা খুলে ফেলে।রোহান আয়নের এহেম কান্ডে অবাক না হয়ে পাড়ছে না,তাই বারবার মানাও করেছে।কিন্তু আয়ন শুনলো না।বরং কি হয়েছে নিজের চোখে দেখে,
প্রিয়ুকে প্রশ্ন করে কিভাবে হলো।প্রিয়ু মুখটা অন্যদিকে ঘুড়িয়েই বললো,পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছি।আয়ন নিজেকে কন্ট্রোল করতে মুখ দিয়ে একটু জোড়েই শ্বাস ছাড়ে।ওর এখন মন চাইছে প্রিয়ুকে ঠাশ ঠাশ করে কয়েকটা লাগিয়ে দিতে।কিন্তু আয়ন তা পাড়বে না।এই মেয়েটিকে মেরে নিজেও যে শান্তি পায় না।তাই আয়ন আবার দাঁড়িয়ে প্রিয়ুকে সাবধানে উঠানোর চেষ্টা করলো।”কিন্তু রোহান এসে বাধা দেয়।”
–“আয়ন যেনো এবার লাগামবিহীন পাগলা ঘোড়ার মতো ক্ষেপে গেলো।যাকে কন্ট্রোল করা খুবই মুশকিল।যে কেবল নিজের দাপটেই চলে,কেউ তাকে কন্ট্রোল করুক একদম পছন্দ না তার।”
তাই আয়ন গিয়ে সোজা রোহানের কলার চেপে ধরলো,দাঁতেদাঁত চেপে বলতে লাগলো,লিসেন মিস্টার রোহান।আমি আগেও বলেছি প্রিয়ুর থেকে দূরে থাকো।ওর আশেপাশে জাতে তোমায় না দেখি।আই প্রমেজ তুমি আবার আমাদের জীবনে নাক গলালে,না তোমার নাক থাকবে না তুমি।
–“রোহান ভয় না পেলেও প্রিয়ু ভয় পেয়ে যায়,কারণ রোহান ঠিক করে আয়নকে চিনে না।কিন্তু প্রিয়ুতো জানে।যেখানে প্রিয়ুর কথা উঠে সেখানে এই লোক হিংস্র পশুর মতো ব্যবহার করে।প্রিয়ু দাঁড়াতে পাড়ছে না,তাই বসেই আয়নের শার্টটি খামচে ধরে নিজের দিকে টানতে লাগলো।”আয়ন প্লিজ রোহানকে ছাড়ুন।ওর কোনও দোষ নেই।আমি নিজেই এখানে এসেছি।”
কথাটি বলে প্রিয়ু কতোটা ভুল করেছে তা এখন বুঝতে পাড়ছে।রোহানকে ছেড়ে আয়ন প্রিয়ুর দিকে এমন ভাবে তাকালো মনে হয় এখনই প্রিয়ুকে তুলে আছাড় মারবে আয়ন।
–“ভয়ে প্রিয়ু মাথাটা নিচু করে ইনিয়েবিনিয়ে বলতে লাগলো,আ ম মি ব্যাথা পে য়ে রাস্তায় বসেছিলাম।রোহান কেবল আমাকে সাহায্য করেছে।”
“হসপিটালে না নিয়ে গিয়ে তোকে নিজের বাসায় কেনো এনেছে।আয়ন কিছুটা চিৎকার করে।”
–“আয়নের চিৎকারে প্রিয়ু কেঁপে উঠলো,শুকনো ঠোঁট দুটো জিভ দিয়ে ভিজিয়ে নিয়ে আবার বললো,রোহান একজন সেলিব্রেটি।ওর সাথে আমাকে দেখলে আর কেউ সেলফি তুলে ফেললে,সেটা ভাইরাল হতে সময় লাগতো না।তাই…প্রিয়ু আর কিছু বলার আগেই আয়ন ওর উপর ঝুকে ওর বাহু দুটো ধরে বললো,”আর যদি তোদের দুজনকে একসাথে এই বাড়ীতে কেউ দেখতে পাড়তো বা জানতো তখন কি টাইটেল দিতো জানিস।আমি মুখে উচ্চারণ করতে পাড়বো না।কারণ আমি কিছু বললেই তো খারাপ।আর তুই তো আবার দুই লাইন বেশি বুঝিছ,তাহলে বুঝে নে।কথায় আছে না ন্যাড়া বেলতলায় একবারই যায়।কিন্তু তুই! তুই তো ওয়ান পিস।সেধে সেধে নিজের বিপদ নিজেই টেনে আনিস।একবার নিজের এমএমেস বানিয়ে শখ মিটেনি তাই না,তাইতো এখানে ফিল্ম বানাতে এসেছিস।”
–“আয়নের আবার সেই বেসামাল কথা।প্রিয়ুর রাগটা যেনো আরো বাড়িয়ে দিলো।প্রিয়ু নিজের মনের মাঝে যখনই আয়নকে নিয়ে একটু সুপ্ত আশায় বুক বাধে,তখনই আয়ন আবার যেনে সব কিছু লণ্ডভণ্ড করে আগের মতো করে দেয়।প্রিয়ু আর নিজেকে সামলাতে পাড়লো না,রাগের চোটে আয়নকে নিজের থেকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো।আর চিৎকার করে বলতে লাগলো,”হে করতে এসেছি।কোনও সমস্যা।”

আয়ন দাঁতেদাঁত চেপে কথাটা জাস্ট হজম করলো,এই মুহুর্তে রোহানের সামনে আর কোনও সিনক্রিয়েট করতে চায়না ও।বাকি কথা সব পড়ে হবে।তাই নিজেকে কন্ট্রোল করে হঠাৎ ই প্রিয়ুকে কোলে তুলে নিয়ে হাটা ধরলো।

“রোহান বাধা দিতে চাইলে,আয়নের গার্ডরা রোহানকে আটকে ফেলে।”

–আয়ন আর চোখে একবার রোহানের দিকে তাকিয়ে রবিনকে ওর্ডার দিলো,”রবিন মিস্টার রোহান যদি আর এক পা ও সামনে বাড়ায় তাহলে এমন ডুশ দিবে যাতে জীবনেও আর কারো সামনে হিরোগীরি দেখাতে না আসে।আর আমার অগলেবগলে জাতে উনাকে না দেখি ভালো করে বুঝিয়ে দিবে।রবিন মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো।

–“প্রিয়ু মোটেও প্রস্তুত ছিলো না আয়ন কোনও কতাবার্তা ছাড়াই এমন আচানক ওকে কোলে তুলে নিবে।কিন্তু এখন রোহানের প্রতি আয়নের মাত্রারিক্ত রুড বিহেভিয়ার প্রিয়ুর সহ্য হলো না।তাই আয়নের বাহুডোর থেকে নামার চেষ্টা করতে লাগলো।কিন্তু কি লাভ হলো।আয়নের শক্ত হাতের বাধন ছেড়ে বের হওয়া এতো সহয না।রাগে কিছুক্ষণ চেঁচামিচিও করলো আয়নের সাথে।কিন্তু আয়নের নিরব ভূমিকা প্রিয়ুকে জানিয়ে দিলো,আয়নের কর্ণপথে এসব ডুকছে না।প্রিয়ু খুব ভালো করেই বুঝতে পাড়লো এই লোক জীবনেও ভালো হবার না।ঘাড় ত্যাাড়া লোক একটা।শুধু নিজেরটা বুঝে।বাকি দুনিয়া যাক জাহান্নামে।

চলবে….।

কোনও ভুল হলে,কমেন্ট এ মেনশন করবেন।আমি এডিট করে দিবো।
ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here