“এখনো ভালোবাসি”💖
Writer:TaNia
Part-37 [🍁অন্তিম পর্ব🍁]
রোহান বসে আছে আয়নের বাড়ীর ড্রয়িংরুমে।চোখেমুখে তার ফুটে উঠেছে উদ্বিগ্নতা।আশেপাশে বসে থাকা উৎসুক জনতার মধ্যে একজনকে দেখে মুখটা হঠাৎ বিবর্ণ হয়ে গেলো।শক্ত চোয়ালে দাঁতেদাঁত চেপে সামনে বসে থাকা আয়নকে উদ্দেশ্য করে বললো,আমাকে এখানে আনার কারণটা কি মিস্টার আয়ন।আপনি হয়তো ভুলে গিয়েছেন,এটাকে কিডন্যাপিং বলে।আর আমি কিন্ত রাস্তায় চলা কোনও সস্তা মানুষ না,যাকে আপনি নিজের ইশারায় নাচাতে পারবেন।আমি চাইলে আপনার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারি।আপনি কি বুঝতে পারছেন।
–রোহানের কোনও কথায় আয়নের কোনও হেলদোল নেই।ওতো কেবল তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে,রোহানকে মাপার চেষ্টা করছে।
‘এবার ড্রয়িংরুমে বসে থাকা সবার ধৈর্যের বাধ যেনো ভাঙ্গতে লাগলো।সবাইকে ডেকে এভাবে চুপ থাকার মানে কি কেউ বুঝতে পারছে না?কথা না বলার ওয়াদা মনে হয় করেছে আয়ন এমন ভাবে স্থির হয়ে বসে আছে।’
“-আয়নের পিতা ইরফাত ছেলের কিছুই বুঝতে পারছে না।এভাবে সবাইকে ডেকে চুপ থাকার মানে তারও বোধগম্য নয়।তাও আবার অপরিচিত একটা ছেলের সামনে।আর সব থেকে বড় কথা হলো,কে এই ছেলে,এখানে ওর কি কাজ।আয়ন কেনোই বা ওকে ধরে এনেছে।না!হিসেব মিলাতে পারছে না।এই ছেলের মতলোব না আগে বুঝতে পারছে উনি কখনো না এখন।তাই নিজের কন্ঠে যথেষ্ট গম্ভীরতা বজায় রেখে ছেলেকে প্রশ্ন করেই ফেললেন।সমস্যা কি আয়ন?তুমি কেনো আমাদের সবাইকে এখানে ডেকেছো।আর ডেকে এনে এভাবে চুপ হয়ে বসে আছো কেনো।এই ছেলেটাই বা কে?তুমি ওকে ধরে এনেছো কেনো।কিছু বলো,এখন কিন্তু খুব বিরক্ত লাগছে।”
আয়ন স্মীত হেসে মাথা ঝাঁকালো।মনে হয় কোনো হাসির কথা বলা হয়েছে এখানে।আয়নের আচরণে সবাই কিছুটা অবাক হলো।তবে কিছু জিঙ্গেস করার সাহস পেলো না।
–প্রিয়ু ভীতুমাখা মুখে আয়নের পিছনে দাঁড়িয়ে আছে।ও নিজেও জানে না আজ রোহানকে আয়ন কেনো এতো জামাই আদর করছে।যতোটুকু ওর মনে আছে,এ কয়েকদিন প্রিয়ু আয়নের একদম অবাধ্য হয়নি,আর রোহানের সাথে দেখা তো দূরে থাক কথাও বলেনি।তাহলে কেনো?
সবার ধীরতার পরীক্ষা নিয়ে এবার আয়ন তার সিরিয়াস লুকে চলে এলো।চেহারায় কঠোরতা এনে,রোহানের দিকে বাজের মতো তীক্ষ্ণ চোখ রেখে বলা শুরু করলো,”তো মিস্টার রোহান,বলবেন কি আপনার সাথে আমার কি এমন দুশমনি।আমি আপনাকে আগে দেখেছি বলে মনে হয়না।প্রিয়ুর মাধ্যমে আপনার সাথে আমার পরিচয়।তাই আমি ভেবেছিলাম আপনি হয়তো প্রিয়ুর কারণে বারবার আমার জীবনে আপনার বা হাত ঢুকান।কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো,গতো দুবছর আপনি একই শহরে থেকেও প্রিয়ুর কোনও খোঁজ নেন নিই।অথচ প্রিয়ু যখন আবার আমার জীবনে ফিরে এসেছে,তখন আপনিও অনাঙ্কাকিত হয়ে আবার ফিরে এলেন আমাদের জীবনে।প্রথমে মার্কেটে প্রিয়ুর সাথে দেখা।ব্যাপারটা প্রিয়ু আকষ্মিক ভাবলেও ঘটনাটি আকষ্মিক ছিলো না তাই না।আপনি প্লান করেই সেদিন প্রিয়ুর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন।কারণ আপনি প্রিয়ুকে বেশ কিছুদিন ধরে ফোলও করে আসছিলেন।আই এম রাইট মিস্টার রোহান।আয়নের মুখে স্মীত হাসি।”
“কিন্তু সামনে বসে থাকা রোহানের চেহারর তেজ এবার কার্পূরের ন্যায় উবে গেলো।”
আয়ন আবার তার মুখ শক্ত করে বললো,”প্রিয়ুর কাছে মাপ চাওয়া,ছলেবলে কৌশলে তার কাছে আসা এসবই তো আপনার প্লান ছিলো।”
–এবার প্রিয়ু মুখ খুললো,”এসব কি বলছো।আমার মনে হয় কোথাও কোনও ভুল হয়েছে তোমার।প্রিয়ু আয়নকে বুঝানোর চেষ্টা করছে।আসলে ওর বিশ্বাস হচ্ছে না রোহান এমন কিছু করবে।আয়ন হয়তো জেলাসফিল করে রোহানের সাথে এমন কিছু করছে এটা প্রিয়ুর ধারণা।
এবার রাগটা পুরোপুরি মাথায় চড়ে বসলো আয়নের।এখনো এই মেয়ে রোহানের সাপোর্ট করছে।রাগে আয়ন বসা থেকে সোজা প্রিয়ুর সামনে এসে দাঁড়ালো,”বোকা মেয়ে,যা বুঝিস না তা নিয়ে বলতে আসবি না।তুই তো এতোটাই গাধা যে ওর কোনও চালাকি একবারও ধরতে পারিস নিই।দুবছর আগে কোনও কাকাতুয়া ভাবে ও তোর জীবনে আসেনি।পুরো প্লান করে তোর কাছে এসেছে।একবারও কি ইডিয়াট তোর মাথায় আসেনি।কে এই ছেলে, হঠাৎ কোথা থেকে উড়ে এসে ঝুড়ে বসেছে।যেখানে এলাকার কেউ তোর সাথে কথা বলার সাহস পেতো না,সেখানে ও তোর সাথে এতো ফ্রী হয়ে কথা বলতো কিভাবে।আর ও তখনই কোনো এলো যখন আমি ছিলাম না এই দেশে,ও জানতো আমি থাকলে ও তোর আশেপাশেও ঘেষতে পারতো না।ও পুরো ছক কেটে তারপর এন্ট্রি করেছে।তোর কাছে আসার চেষ্টা,তোকে প্রেম নিবেদন করা এসবই ছিলো ওর অভিনয়।এরপর কৌশলে তোর আর নিজের ছবি তুলে তোর অনাচারেই।সাথে একটা ভিডিও বানায় যেখানে তোর চেহারা মিলে এমন একটা মেয়েকে ব্যবহার করে। যাতে প্রথম দেখায় সবাই কনফিউজড হয়ে যায়।এসবই ওর প্লানিং ছিলো।”
আমার এখনো মনে হয় তোমার কথাও ভুল হচ্ছে।রোহান কেনো এমন করবে।ওর সাথে আমার কি এমন দুশমনি।আমিতো এর আগে ওকে চিনতামই না।তাহলে কিশের ভিত্তিতে তুমি এতো বড় অপবাদ দিচ্ছো ওর উপর।
“আয়ন রাগে পুরো লাল হয়ে গেলো,চোখ দুটো বন্ধ করে জোড়ে কয়েকটা শ্বাস নিলো।প্রিয়ু প্রেগন্যান্ট না থাকলে,ঠিকই মনে হয় কয়েকটা চড় মেরে দিতো আয়ন এখন।এই মেয়ে এতো কিছুর পরও কোন সাহসে এই কথা বলে।আমার থেকে প্রমাণ চায়।’ওকে তোর প্রমাণ চাইতো ঠিক আছে,তাও দেখতে পাবি।ওয়েট।’
–কিন্তু আয়ন,আমি বুঝতে পারছিনা,তোমার আর তোমার বউয়ের প্রেমিকের মাঝে তুমি আমাদের কেনো ডাকলে।এখানে আমাদের কি কাজ বলো।আয়নের মা কিছুটা তাচ্ছিল্যের সাথে কথাটি বলে।
হুম!তাইতে।সত্যি কথা বলেছো।আর এটার উত্তর তো মিস্টার রোহানই দিবে।কি মিস্টার রোহান বলবেন না,এখানে উনাদের কি কাজ।নাকি সবার সামনে তোমার পরিচয়,দিতে লজ্জা করে।ওকে বাদ দেও।বলতো রোহান।তোমার মায়ের নাম কি?
মুহুর্তেই রোহানের মুখটা একটা ক্ষতো বিক্ষতো হিংস্র প্রানীর মতো হয়ে গেলো।দাঁতেদাঁত চেপে আয়নকে বললো,”দিস ইস নোন ওফ ইউর বিজনেস।”
আয়ন এবার রোহানের দিকে কিছুটা ঝুকে,যে অতীত আমাকে নিয়ে ঘিরে সেখানে তো নাক গুলাতে হবেই তাইনা।
সবাই আবারও বিস্মিত দৃষ্টিতে আয়নের দিকে তাকায়।কি বলছে আয়ন।
………………………
রোহান কিছুদিন ধরে প্রিয়ুকে বারবার মেসেজ করছিলো,ওর সাথে একবার দেখা করার জন্য।প্রিয়ু প্রথমে বিষয়টি এভয়েড করলো।কারণ সেদিন আয়নের হুমকিতে রোহান ভয় না পেলে প্রিয়ু কিন্তু বেশ ভয় পেয়ে গেছে।কারণ আয়ন কেমন রোহান না জানলে প্রিয়ুতো জানে।আর প্রিয়ুর আশেপাশে রোহানকে আয়ন একদম সহ্য করতে পারবে না তাই,শুধু শুধু জঙ্গলে থেকে জঙ্গলের বাঘকে রাগান্বিত করা নেহাতি বোকামি।
কিন্তু এই রোহান একটু বেশিই ছেঁচড়া।প্রিয়ু মেসেজের রিপ্লাই না দেওয়ায়,সারাসরি ফোন করা শুরু করে দেয়।
কাল রাতেও একবার কল দিয়েছে।তখন আয়ন প্রিয়ুর সামনেই ছিলো।বারবার প্রিয়ুর ফোন বাজতে দেখে আয়ন নিজেই ফোনটা দেখতে নেয়।আর তখনই ফোনের স্কিনে রোহান নামটি ভেসে উঠে।এতে আয়ন কিছুটা রাগলেও প্রিয়ুর সামনে প্রকাশ করেনা।কারণ প্রিয়ুর পেগনেন্ট হবার পর আয়ন এখন একটু লাগাম রেখেই কথা বলে।কোনও প্রকার মেন্টালি স্ট্রেস প্রিয়ুকে দিতে চায়না।তাই খুব নরমাল হয়েই প্রিয়ু কে প্রশ্ন করলো,রোহান কেনো ফোন করছে।
“উত্তরে প্রিয়ু জানে না বললেও,আয়ন সন্তুষ্ট হলো না।তবে ওর মনের কথা প্রিয়ুকে বুঝতেও দেয়নি তখন”।আজ সকাল হতে না হতেই আয়নের লোক রোহানকে নূর ভিলায় তুলে এনেছে।
“প্রিয়ু ভাবছে হয়তো ফোন কলের জন্যই আয়ন এমন রিয়েক্ট করছে।”
–কিন্তু ব্যাপারটা তেমন না,আয়ন রোহান সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে পাড়ছে।তাই এবার ও এটার কাহিনী শেষ করতে চায়, সবার সামনে।
রোহানের চুপ থাকা আয়নকে আরো বেশি বিরক্ত করে তুলছে।এদিক দিয়ে আয়ন কিছু বলবে ঠিক সে সময় নিলীমাও ওখানে এসে হাজির হয়।নিলীমাকে দেখে সবাই অবাক হয়।সবার মনে আবার একই প্রশ্ন জাগে নিলীমার এখানে কি কাজ।
ও!দেখুন,আপনার পার্টনারও এসে পড়েছে।নিলীমাকে দেখিয়ে কথাটা বললো আয়ন।নিলীমা আর রোহান দুজনেই চমকে গেলো।এই বিষয়টা আয়ন কিভাবে জানলো।
কি হলো,তোমাদের দুজনের মুখ বেলুনের মতো এমন চুপছে গেলো কেনো।ও বুঝতে পারছি,হয়তো এটা ভাবছো,এতো সতর্ক থাকার পরও আমি কিভাবে জানলাম,তোমরা দুজন দুজনার সাথে হাত মিলিয়েছো।
ওয়েট বলছি।
–তো নিলীমা নিজেকে খুব স্ম্যাট মনে করো তাই না।আমার কেবিনে দাঁড়িয়ে আমার আর দিনেশের সেদিনের কথাগুলো তুমি রেকর্ড করেছিলে তাইনা।নিলীমা নিজের সাফাই দিতে চাইলে আয়ন হাত উঠিয়ে বাধা দেয়।আমি কোনও সাফাই শুনতে চাইনা নিলীমা।আমার কেবিনের আশেপাশে কিছু গোপন সিসিটিভি ক্যামেরা আছে যা আমি ছাড়া কেউ জানে না।তাই মিথ্যা বলার চেষ্টা করোনা।আর সেই ফুটেজ তোমার লেপটপ থেকে প্রিয়ুকে সেন্ড করা হয়েছিলো।তাও আমি জেনে গেছি।সো ডোন্ট ইভেন ট্রাই টু ফুল মি।না হলে তোমার জন্য ভালো হবে না।আর তোমাকে এই আইডিয়াটা দিয়েছিলো রোহান।আই এম রাইট নিলীমা।
“নিলীমা চুপ।ওর মুখ দেখার মতো ছিলো।চোর ধরা পড়লে যেমন হয় আর কি।”
–তুমি কেনো করেছো তা আমি বুঝতে পারছি।আর তোমাদের সামনে আনার জন্যই আমিই প্রিয়ুকে কিছুদিন লুকিয়েও রেখেছিলাম সবার অগোচরে।নিজের মানসম্মানের কথা চিন্তা না করে,প্রিয়ুর গায়েব হবার রিপোর্টও করেছি থানায়।শুধু তোমাদের দুই ইঁদুরকে বের করার জন্য।তোমরা এতোটাই এগ্রিসেভ ছিলো যে,প্রিয়ু কোথায় চলে যাওয়ার খবর শুনে খুশিতে একে ওপের সাথে দেখা করতে চলে এলে।আর তখনই জানতে পারলাম তোমরা একসাথে আছো।
যাই হোক তোমার থেকে এমনই আশা করেছি নিলীমা।কিন্তু মিস্টার রোহান।এবার আর চুপ থেকে লাভ নেই। বলুন কেনো করেছেন আপনি।প্রিয়ুর সাথে আপনার এমন কি দুশমনি বলুন।আমি ভদ্র ভাবে জিঙ্গেস করছি বলেদিন।তা না হলে,আমার কঠিন রুপ আপনি সহ্য করতে পারবেন না।এখন আর লুকিয়ে কোনও লাভ নেই,আপনার অতিতের অনেক কিছুই আমার জানা,কিন্তু এমন কিছু আছে যা খুব সাবধানে আপনি লুকিয়ে রেখেছেন তা জানতে চাই।বলুন।
……………………………
আশিষ রহমান(প্রিয়ুর পিতা) আসমাকে বিয়ে দিয়েছিলো তারই অফিসের কলিগ হাসান কবিরের সাথে।লোকটি নম্র ভদ্র আর খুব সৎ ছিলেন।আর আশিষ রহমান এতেই মুগ্ধ ছিলেন।টাকা পয়সা কম থাকলেও বোন তার সুখে থাকবে এই ভরসায় হাসানের সাথে বিয়ে দেন।বিয়ের প্রথম দিকে আসমা আর হাসানের সংসার ভালোই চলছিলো।একবছরের মধ্যে কোল জুড়ে রোহানও এসে পড়ে।কিন্তু রোহান হবার পরই সেলিনা বেগম কেমন পালটে যেতে শুরু করে।হাসানের সংসারে কোনও কিছুতেই সন্তুষ্ট না।প্রতিদিন কিছু না কিছু জিনিসের জন্য ঝগড়া বেধেই থাকতো সংসারে।দিনদিন আসমা বেগমের চাহিদা যেনো বাড়তে থাকে।হাসান আসমার এমন পরিবর্তনের কারণ বুঝতে পারছিলো না।আসমাকে অনেক বুঝিয়েছে কিন্তু কোন লাভও হলো না।একদিন সকালে ছেলে রোহানের কান্নার শব্দে হাসানের ঘুম ভেঙ্গে যায়।ঘুম থেকে উঠে সারা বাড়ী খুঁজে আসমাকে পেলো না।মনের মধ্যে একটা অজানা ভয় হতে লাগে হাসানের।ছেলেকে কোলে নিতে গেলে বিছানার পাশে একটা চিঠি পায় হাসান।যা আসমাই লিখেছিলো।
“আমি চলে গেলাম হাসান।আমাকে খুঁজে লাভ নেই।তোমার অভাবী সংসারে আমার থাকা সম্ভব না।আমার অনেক বড় বড় স্বপ্ন যা তুমি কখনো পুরণ করতে পাড়বে না।খুব শীঘ্রই ডিভোর্স পেপার পাঠিয়ে দিবো সাইন করে দিও।আর রোহানকে তোমাকে দিয়ে গেলাম।ওকে আমার কোনও প্রয়োজন নেই।
ইতি
আসমা।”
চিঠিটা পড়ে হাসান যেনো বোবা হয়ে গেলো।আসমা এমন একটা কাজ করবে হাসান ভাবতেও পারেনি।নিজের এতোটুকু একটা বাচ্চাকে একা ফেলে কোনও মা কি আসলেই চলে যেতে পারে,এমনও কি হতে পারে দুনিয়ায়,হাসানের জানা ছিলো না।
এতোটুকু বলেই,রোহান চুপ হয়ে গেলো,” বাকি কথা না হয় আপনার বাবা ইরফাত মাহমুদ কে জিঙ্গেস করুন।তার কারনেই তো,তার সম্পত্তির লোভে পড়ে মিসেস আসমা নিজের দুধের বাচ্চাটিকে একা ফেলে চলে এসেছিলো।
“-ইরফাত সাহেব ও আসমা বেগম লজ্জায় পারেনা মরে যাবে।এতো বছর পর নিজের ছেলে মেয়েদের সামনে নিজের অতিতে করা জগন্য কাজটি যে এভাবে সামনে আসবে ভাবতেও পারেনি।ইরফাত সাহেবকে চুপ থাকতে দেখে মহিনী বলা শুরু করলো পরের কাহিনী।”
–তোমার পিতা ইরফাত মাহমুদ ছিলেন আশিষ আর হাসানের অফিসের বস।তবে আশিষ রহমানের সাথে ছিলো বন্ধুসুলভ সম্পর্ক।তাই মাঝেমাঝে আশিষের বাসায় ইরফাতের যাওয়া আসা হতো।আর সেই বাসাই প্রথম আসমার সাথে ইরফাতের দেখা হয়।আস্তেআস্তে এই দেখা গভীর সম্পর্কে পরিণত হয়।ব্যাপারটা কেউ আন্দাজ করতে না পারলেও অন্তিকা বুঝে যায়।বলে না স্বামীর কুকির্তী বউয়ের কাছে লুকানো সম্ভব না।ইরফাতও পারেনি।
“অন্তিকা!কে উনি?”
মহিনী একবার ইরফাতের দিকে তাকিয়ে চোখ সরিয়ে আয়নের দিকে আবার দৃষ্টি এনে বললো,অন্তিকা তোমার মা আয়ন।চৌধুরী গ্রুপ অফ ইন্ড্রাসট্রির ওরিজিনাল মালিক অন্তিকা চৌধুরী।যার নামে তোমাদের অফিস,ফ্যাক্টরি সব কিছু।এসবের মালিক তোমার মা ছিলো।ইরফাতের নিজের না।তোমার মা তো বড় লোক বাপের একমাত্র সন্তান ছিলো।তোমার পিতাও একসময় এই অফিসের কর্মচারী ছিলেন।ওখান থেকেই তোমার মায়ের ইরফাতকে পছন্দ হয় এরপর বিয়ে।সবই ঠিক ছিলো।কিন্তু এই আসমা এসে মাঝখানে তোমার মায়ের সুখের সংসারে আগুন লেগে যায়।তোমরা ছোট ছিলে তাই মনে নেই।তোমার বাবার সাথে অন্তিকার আসমাকে নিয়ে রোজ ঝগড়া হতো।একসময় তোমার মা প্রচণ্ড ডিপ্রেশনএ পড়ে যায়।ডিপ্রেশন এতো মাত্রায় ছিলো যে একদিন রাতে অন্তিকা অনেকগুলো ঘুমের ঔষুধ খেয়ে ফেলে।আর সেদিনই…..মহিনী আর বললো না।
এরপর রোহান আবার বলা শুরু করে”,আপনার মায়ের মৃত্যর পর আমার মায়ের পথের কাটা মনে হয় এমনেই সরে গেলো।তাই তো তিনি রোজ রোজ বাবার সাথে ঝগড়া করতো।আর একসময় বাড়ী ছেড়ে চলে যায়।আর গিয়েই কিছুদিন পর আপনার বাবাকে বিয়ে করে ফেলে।এই বাড়ীতে এসে উঠে।”
আসমা ভেবেছিলো,”অন্তিকা মৃত্যর পর এই সম্পত্তি ভোগ করতে পারবে।তোমাকে আর মায়াকে বোডিং স্কুলে পাঠিয়ে সারা জীবন শান্তিতে কাটাতে পারবে।তোমাদের এই বাড়ীর সীমানায় আর জায়গা দেবে না।কিন্তু তোমার মায়ের রেখে যাওয়া দলিল যখন উকিল পড়লো তখন ওদের পায়ের নিচের জমি সরে গিয়েছিলো।”
–তোমার মা তার সব সম্পত্তি তোমার সন্তানের নামে করে দিয়েছিলো আয়ন।আর মায়ার দায়িত্বও তোমার উপর দিয়ে গিয়েছিলো।মায়া চাইলে তোমার থেকে সম্পত্তির ভাগ নিতে পারবে।না হলে সব তোমাকে দেখাশুনার ভার দিয়েছে।সন্তান না থাকলেও তুমি এই সম্পত্তি কাউকে দান বা লিখে দিতে পারবে না।তার জন্য তোমার বউয়ের মর্জি আর সিগনেচারও লাগবে।আর বিয়ের আগে তোমার মৃতুও হলে তখনো সম্পত্তি কেউ পেতো না।শুধু মায়ার প্রতি মাসের খরচের টাকা আসবে তখন।তোমার মায়ের মৃত্যর পর জাতে তোমাকে কেউ হার্ম করতে না পারে,তাই এসব ব্যবস্থা আয়ন।তাইতো একপ্রকার বাধ্য হয়ে তোমাকে আর মায়াকে আসমা একসেপ্ট করে নেয়।আর তোমাদের কখনো বুঝতে দেয়না ও তোমাদের সৎ মা।আর সব থেকে বেশি মাথায় তুলে আয়নকে।কারণ এই বাড়ীতে রাজ করতে হলে আয়ন খুশি থাকাটা জরুরী।তাইতো আসমা এতো বছর প্রিয়ুর পিতার সাথে কোনও সম্পর্ক রাখেনি।আর কখনো চায়নি প্রিয়ু এই বাড়ীর বউ হয়ে আসুক।কিন্তু এই ছেলে(রোহানকে)তার মানে তুমি আসমার প্রথম ঘরের সন্তান।তাহলে আয়ন প্রিয়ুর পিছনে পড়েছিলে কেনো।তোমার দুশমনিতো তোমার মায়ের সাথে।
–মা!কে মা।আমার কোনও মা নেই।যে মা তার দুধের সন্তানকে ফেলে চলে যায়,শুধু মাত্র নিজের এসোআড়াম এর সুখে।সে কখনো কারো মা হতে পারেনা।কখনো না।আমি তো মিস্টার ইরফাত মাহমুদকে কষ্ট দিতে চেয়েছিলাম।তাই আমি প্রিয়ুর মাধ্যমে আয়নকে কষ্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করি।কারণ ইরফাত মাহমুদ এর একটাই দূর্বলতা আর তা হলো তার প্রথম ঘরের ছেলে আয়ন।অন্তিকা চৌধুরীর জান ছিলো আয়ন,চোখে হারাতো আয়নকে।তাই অন্তিকা চৌধুরীর মৃত্যুর পর ইরফাত মাহমুদ নিজের ভুল শুধরাতে আয়নকে নিজের সব ভালোবাসা দিয়ে লালনপালন করে।কখনো কোনও কিছুর অভাবই দেয়নি।বহু বছর পর আমার পিতা আমাকে সব খুলে বলে।আর তখন থেকেই নিজের মায়ের উপর আর তার আশিকের উপর ঘৃর্ণা জন্মাতে লাগে।এরপর আস্তেআস্তে সব খোঁজ নেওয়া শুরু করি।আমার প্রথম টার্গেট আমি প্রিয়ুকে বানাই।আমি ভেবেছিলাম প্রিয়ুর মাধ্যমে আমি এই পরিবারে এন্ট্রি করবো।কিন্তু তার আগেই,আশিষ রহমান আমাকে সন্দেহ করতে শুরু করে।আর আমার সম্পর্কে খোঁজ নিতে থাকে।তাকে আটকাবার জন্য আমি প্রথমে ছবিগুলো ভাইরাল করে দিই।কিন্তু আমি জানতাম ছবিগুলোতে প্রিয়ুর কেবল বদনামী হবে,কিন্তু এতো কিছুর পরও আয়ন প্রিয়ুকে ছাড়বে না।তাই একটা ফেক ভিডিও বানিয়ে আমি এই বাড়ীর কিছু সদস্যদের মোবাইলে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম।আর আশিষ রহমানের মোবাইলেও।কিন্তু আমি বুঝতে পারিনি ভিডিওটি দেখে যে উনি হার্ট এটাক করবে।সরি প্রিয়ু।আমি তাই ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যাই।আমি ভেবেছিলাম,প্রিয়ুর শোকে আয়ন নিজেকে তিলেতিলে শেষ করে দিবে।আর ছেলের কষ্ট দেখে বাপও ছটফট করবে।যেমন আমার পিতা করেছিলো।আর এক তীরে দু নিশান করা ছিলো আমার উদ্দেশ্য।বাপ ছেলে দুজনই শেষ।আর আয়নের কিছু হলে,মিসেস আসমাকে পথে বসা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকতো না।কারণ বিবাহের আগে আয়ন মারা গেলে সম্পত্তি সব কোনও এতিমখানায় চলে যেতো।এতিম বাচ্চাদের নামে।
সবই ঠিক ছিলো,প্রিয়ু আয়ন থেকে দূরে চলে গেলো।আয়ন এসব সহ্য করতে না পেরে বিদেশ চলে গেলো।পরিবারের সাথেও কোনও সম্পর্ক রাখলো না।আমিও চুপ হয়ে গেলাম।আর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য উঠেপড়ে লেগে গেলাম।আর একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম।কিন্তু আমার সব প্লান ভেস্ত করে আয়ন আবার ফিরে এলো,আর প্রিয়ুকেও খুঁজে বের করে বিয়ে করে ফেললো।আমার কিছু করার আগেই।বাড়ীতে ঢুকার কোনও পথ পাচ্ছিলাম না।তাই প্রিয়ুর সাথে বন্ধুত্ব করার অভিনয় আবার শুরু করলাম।
রোহান আসমার দিকে তাকিয়ে,আমি এই মহিলাকে চরম ঘৃর্ণা করি।পথে ভিখারীর মতো ভিক্ষা করতে দেখতে চাই।আর আমি এর শেষ দেখে ছাড়বো।
-“নিজের মায়ের সম্পর্কে এমন নোংরা কথা অনিক আর শুনতে পারলো না,চলে গেলো সেখান থেকে।মা লোভী তা জানতো কিন্তু এতোটা নিচু মন মানসিকতা হবে তা জানতো না।”
ইরফাত মাহমুদ করুন চোখে আয়নের দিকে তাকালো,আমাকে ক্ষমা করে দিস আয়ন।আমি সত্যি অনুতপ্ত।আমি জানতাম না অন্তিকা এমন পদক্ষেপ নিবে।আমি ওকে বলেছিলাম আমি এসব থেকে দূরে সরে যাবো।কিন্তু তোমার মায়ের সন্দেহ কিছুতেই দূর হচ্ছিলো না।আর এসব করে বসলো।আসমাকেও আমার তখন বিয়ে করতে হয়েছিলো অনেকটা বাধ্য হয়ে,কারণ আসমা তখন পেগনেন্ট ছিলো।কিন্তু ভাগ!বিয়ের পর সেই বাচ্চাটা মিসক্যারেজ হয়ে যায়।আয়ন…..ইরফাত সাহেবের আর কোনও কথা শুনলো না আয়ন উঠে চলে গেলো নিজের রুমে।ওর যা বুঝার বুঝে গিয়েছে।এখন আর কারো কথা শুনার কোনও ইচ্ছা নেই।
–আয়ন জানতো আসমা বেগম ওর আসল মা না।কিন্তু তবুও মায়ের আসনে বসিয়ে ছিলো।কিন্তু সেই মা যে ওর নিজের মায়ের মৃত্যর জন্য দায়ী তাতো সপ্নেও ভাবেনি।এতোদিন শুধু উনি অভিনয়ই করে গিয়েছে,শুধু সম্পত্তির জন্য।আয়ন চুপচাপ বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে।মানুষ কতোটা জগন্য আর নোংরা হতে পারে,আয়ন আজ নিজের বাবা নামের মানুষটিকে দেখে বুঝলো।প্রিয়ু এসে আয়নের কাধে হাত রাখে।আয়ন নিজেকে এতোক্ষণ শক্ত রাখলেও এখন প্রিয়ুর সামনে আর নিজেকে আটকাতে পাড়লো না।প্রিয়ুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলো।নিজের মাকে আজ খুব মনে পড়ছে ওর।তাই প্রিয়ুকে জড়িয়ে ধরেই কাঁদতে কাঁদতে বলছে,”প্রিয়ু আমার মা লাগবে,একটা মা এনে দিবি।যে মা আমাকে সত্যি ভালোবাসবে।অভিনয় করবে না।আমাকে ধোকা দিবে না।প্লিজ প্রিয়ু দেনা এনে আমাকে একটা মা।”
প্রিয়ুর চোখেও পানি এসে পড়েছে।মা হারানোর বেদনা প্রিয়ু জানে।তাই আয়নের কস্টগুলো খুব ভালো করেই অনুধাবন করতে পারছে।প্রিয়ু কখনো ভাবতেও পারেনি,ওর আপন ফুফু এমন কাজ করেছে।আয়নকে সান্তনা দেওয়ার ভাষা নেই আজ ওর।কেবল আয়নকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে।
………………….
রোহান যে শাস্তি ওর মাকে আর ইরফাত মাহমুদকে দিতে চেয়েছিলো,তা আয়ন দিয়ে দেয়।আয়ন প্রিয়ুকে নিয়ে বাড়ী ছেড়ে চলে যায়।অনিকেও ছাড়তে চেয়েছিলো।এমন মায়ের সাথে ও নিজেও থাকতে চায়না।কিন্তু আয়ন বাধা দেয়।ইরফাত মাহমুদ আর আসমা বেগম আয়নের অপরাধী কিন্তু অনিকের সাথে তারা এমন কিছু করেনি।আর আয়ন এতোটাই নির্দয় না,এই বয়সে উনাদের ঘর ছাড়া করবে না।তাই অনিককে রেখে গেলো উনাদের খেয়াল রাখতে।
–প্রিয়ু আর আয়ন নতুন সংসার শুরু করছে।রোহানও ওদের থেকে দূর চলে গিয়েছে।আসমা বেগম অনেকবার ক্ষমা চেয়েছিলো রোহানের কাছে।কিন্তু রোহান করেনি।তবে রোহান প্রিয়ুর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলো।এবার ও সত্যি অনুতপ্ত ছিলো।
দিনেশ তিতিরের বিয়েটা প্রথমে ওর পরিবার মেনে না নিতে চাইলেও পরে মেনে নেয়।তিতির নিজের পরিবারকে বুঝিয়ে বলে,দিনেশ ওর জন্য কতো বড় সেক্রিফাইজ করেছে।অবশেষে দিনেশকে তিতিরের পরিবার সদরে গ্রহণ করে নিলো।
–এভাবেই কেটে গেলো কয়েক মাস।আয়ন এখন হসপিটালের করিডোর এ বসে আছে। টেনশনে ওর হাতপা কাঁপছে।দিনেশ,অনিক আর তিয়াশ বেশ কয়েকবার এসে রিলেক্স থাকতে বললেও নিজেকে কিছুতেই রিলেক্স রাখতে পারছে না আয়ন।আয়ন শুধু ওটির বাহিরে লাল বাতিটির দিকে তাকিয়ে আছে।ঘন্টা খানিক পর নার্স দুহাতে দুটো বাচ্চা নিয়ে আয়নের সামনে দাঁড়ালো।সবাই এগিয়ে আসলো বাচ্চাদুটো দেখে।আয়ন প্রিয়ুর টুইন বেবি হয়েছে।তার থেকেও বেশি আশ্চর্য হলো,একটি ছেলে, একটি মেয়ে হয়েছে।আয়ন বাচ্চাগুলোর দিকে তাকিয়ে আছে,কি নিষ্পাপ বাচ্চাগুলো।কাপাকাপা হাতে বেবিগুলোকে ধরার আগে নার্সকে জিঙ্গেস করলো,প্রিয়ু কেমন আছে।
বিশ বছর পর,
তুই এখনো এতো সুন্দর কেনো বলতো।আমি আজও তোর থেকে নযর সরাতে পারছি না।এখন কিন্তু তুই কেবল আমার স্ত্রী না,শ্বাসুরীও।তোর মেয়ে প্রিয়তার বিয়ে হয়েছে আজ জানিস।আয়ন চোখের চশমাটা একটু মুছে আবার পড়ে নিলো।হয়তো চোখের পানিতে কিছুটা ঝাপসা হয়ে গিয়েছে বলে।
আমি কিন্তু বুড়ো হয়েগিয়েছি প্রিয়ু,আমার সাথে তুইও একটু বুড়ো হলে খুব কি দোষের হতো বল।
“হঠাৎ পিয়ুষের কন্ঠ ভেসে আসলো,বাবা তুমি আজও মায়ের সাথে কথা বলছো।”
কি করবো বল,বিশ বছর ধরে আমিতো বলেই যাচ্ছি,তোর মা তো কিছুই বলে না।শুধু হাসে।এই মেয়েটা বেঁচে থাকতেও আমাকে জ্বালিয়েছে।আর দেখ এখন মরে গিয়েও আমাকে জ্বালাচ্ছে।আমার সুখ,হাসি,রাতের ঘুম সব কেড়ে নিয়েছে।আমি জানি,আমাকে এভাবে দেখে খুব আনন্দ পাচ্ছে।সত্যি বলতে আমাকে শাস্তি দিয়ে গেলো তোদের মা,বেঁচে থাকার শাস্তি।ওর পেগনেন্সিতে রিস্ক থাকার পরও আমাকে জানায় নিই একটিবার।অনেক বড় অন্যায় করেছে ও জানিস।আমি ওর থেকে একটা মা চেয়েছিলাম।কিন্তু ওর জীবনের বিনিময় না।ও আমাকে তোদের রুপে মা বাবা দুজনতো দিয়ে গেলো,কিন্তু নিজে চলে গেলো আমাকে একা ফেলে।
আমাকে বেঁচে থাকার অভিশাপ দিয়ে,নিজে নিদ্রায় চলে গেলো।এ কেমন ভালোবাসা বলতে পারিস।
“বাবা তুমি মাকে অনেক ভালোবাসতে তাই না।”
আয়ন মুচকি হেসে পিয়ুষের দুকাধে হাত রেখে বললো,
আমি কালও তোদের মাকে খুব ভালোবাসতাম,”এখনো_ভালোবাসি”।
যতোদিন এই হ্রদয়ে প্রাণ থাকবে,ভালোবেসে যাবো।
—————-🍁সমাপ্তি🍁———–
–সুখ একটা অচিন পাখি কেউ পায়তো,কেউ পায়না–
শেষ হলো গল্পটি।নিজের অনুভূতি অবশ্যই জানাবেন।