উড়ো পাতার ঢেউ পর্ব: ৪০

0
614

#উড়ো_পাতার_ঢেউ
#লেখা: ইফরাত মিলি
#পর্ব: ৪০
_________________

“তুমি কি আমাকে ফলো করো জন?”

জোনাস হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়িয়ে মৃদু হেসে বললো,
“তুমি কি এতে বিরক্ত? তোমাদের পার্সোনাল টাইম বরবাদ করে দেওয়ার জন্য কি তুমি রাগান্বিত?”

ইরতিজা কিঞ্চিৎ অবাকপূর্ণ হয়ে বললো,
“পার্সোনাল টাইম?”

জোনাসের মুখ থেকে কিঞ্চিৎ হাস্যভাব পলায়ন করলো। সে ইরতিজার দিকে এগিয়ে আসতে আসতে বললো,
“প্রথমে অর্টন, আর এখন এই ছেলেটা! আমার কী দোষ ছিল? কেন তুমি আমাকে কষ্ট দিলে? কেন আমি ভালোবাসা পাওয়ার অযোগ্য? কেন প্রত্যাখ্যান করেছিলে?” শেষের কথাটায় মৃদু চিৎকার ধ্বনি উচ্চারিত হলো জোনাসের কণ্ঠনালি থেকে।
জোনাস খুব কাছে চলে আসায় ইরতিজা এক পা পিছিয়ে গেল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়া মাত্রই জোনাস তাকে টেনে আবারও নিজের সামনে আনলো। ধক করে উঠলো ইরতিজার বুক। দু চোখে বিস্ফোরিত ভয়। জোনাস ইরতিজার দুই হাত এত জোরালো ভাবে চেপে ধরলো যে ব্যথা অনুভব করলো ইরতিজা। জোনাস চ্যাঁচানো স্বরে জানতে চাইলো,
“কী ত্রুটি আমার? কেন ওরা দুজন হতে পারলে আমি পারি না? আমাকে এভাবে নীরবে কষ্ট দেওয়া বন্ধ করো। নয়তো তোমাকে হ/ত্যা করে এই কষ্টের ইতিরেখা টানবো…”

কথাটা শেষ করা মাত্রই ক্যানিয়ল জোনাসের এক হাতে সজোরে এক টান মেরে ওকে ফেলে দিলো কাঠের মেঝেতে। জোনাস ব্যথা পেয়ে মৃদু আওয়াজ করলো। ক্যানিয়ল দুই পায়ের উপর ভর করে বসে, জোনাসের দিকে অত্যল্প ঝুঁকে গম্ভীর স্বরে বললো,
“তোমার সাহস কী করে হয় ওকে এত হার্ডলি ভাবে স্পর্শ করার? আর কী বললে? হ/ত্যা?”
ক্যানিয়ল জোনাসের কথাটাকে তুচ্ছজ্ঞান করে ব্যাঙ্গাত্মক হেসে বললো,
“নিজেকে সাবধানে রেখো কালপ্রিট বয়। তুমি নিশ্চয়ই আমার হকি স্টিকের আ’ঘা’ত খাওয়ার ইচ্ছাপোষণ করো না। ইজার ফ্রেন্ড ছিলে সেজন্য আজ ভালোভাবে সাবধান করলাম তোমাকে।”

উঠে দাঁড়ালো ক্যানিয়ল। জোনাস উচ্চ শব্দে হাসলো গা দুলিয়ে কিছু সময়। এরপর উঠে দাঁড়িয়ে বললো,
“অর্টনের সময় যা হয়েছিল, এবারও নিশ্চয়ই তার ব্যতিক্রম হবে না। আমি তোমার আন্টকে সব জানিয়ে দেবো টিজা।”

জোনাস পকেট থেকে মোবাইল বের করে সেটা দেখিয়ে বললো,
“এটায় কিছু ফটো আছে। সেগুলো শুধু আমার গ্যালারিতে সৌন্দর্য ফুঁটিয়ে তুলছে না ঠিকঠাক। আমি এগুলো অন্য কারো গ্যালারিতে শোভিত দেখার প্রয়োজন বোধ করছি।”

বলে আর এক মুহূর্ত এখানে দাঁড়ালো না জোনাস। দ্রুত পদে নেমে গেল ট্রি হাউজ থেকে। অন্ধকারের বুকে এক চিলতে আলো নিয়ে ডিঙিয়ে যেতে লাগলো অরণ্য।
এদিকে ইরতিজার মাথায় একরাশ চিন্তা ঘুটঘুট করছে। জোনাস কী করতে চলেছে? অর্টনের সময় যেমন কাণ্ড ঘটিয়েছিল, এখনও কি তেমনই কিছু করবে? বুক কেমন করে উঠলো ইরতিজার। ঘৃণার কালো রঙে ঢাকা পড়ে যেতে লাগলো তার বক্ষের শুভ্র পৃষ্ঠাটা। জোনাস এত খারাপ কেন? এই ছেলেটাই কি একসময় তার প্রিয় বন্ধু ছিল? অতীতে জোনাসের বন্ধু রূপটার কথা ভেবে তিক্ত কষ্টের মিশ্রণে মিশে গেল ইরতিজার অনুভূতি। আর ফটো? কী ফটো তুলেছে? কখন তুললো? ভয়ে ঢিপঢিপ করতে শুরু করলো ইরতিজা বক্ষৎপঞ্জর।
ক্যানিয়ল কিছু সময় তাকিয়ে রইল ইরতিজার থমথমে মুখটায়। এতক্ষণের ঘটনা থেকে সে অনেক কিছু ধারণা করতে পেরেছে। কিছু বিষয় আবার বুঝে উঠতে পারেনি। জিজ্ঞেস করলো,
“অর্টন কে?”

ইরতিজা ক্যানিয়লের প্রশ্নে চোখ তুলে তাকালো। চোখ দুটো বিষণ্ণ রেখা এঁকে আছে। এই মুহূর্তে তার এই বিষয়ে কিছু বলতে ইচ্ছা করলো না। বললো,
“বাড়ি যাব।”

“কেন?”

“কেন মানে? আমি কি এখানে থাকবো?”

“থাকবে না?”

“বাড়ি যাব।”

“যাও।”

“যাও মানে?”

“একটু আগেই না বললে থাকবে না। তো যাও।”

ইরতিজা ক্লান্ত কণ্ঠে বললো,
“দেখো আমি মজা করার মুডে নেই। বাসায় পৌঁছে দাও আমাকে।”

“তোমার সাথে তো তোমার পা রয়েছে। তারপরও আমার কেন পৌঁছে দিতে হবে? কীভাবে পৌঁছে দেবো? কোলে করে নিয়ে পৌঁছে দিতে হবে? পারবো না। হেঁটে হেঁটে চলে যাও।”

“আমি কখন বললাম আমাকে তোমার কোলে করে পৌঁছে দিতে হবে? আচ্ছা ছাড়ো, একাই চলে যাচ্ছি।”

ইরতিজা চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালে ক্যানিয়ল সামনে এসে দাঁড়িয়ে বললো,
“এই জঙ্গলে দিনের বেলাতেও খারাপ জিন ঘুরে বেড়ায়। তোমার কি ধারণা রাতের বেলাতে তারা উধাও হয়ে গেছে অন্য কোথাও?”

“আমি মোটেও ভয় পাচ্ছি না। ভয় দেখানোর চেষ্টা করে লাভ নেই।”

ক্যানিয়ল এই ব্যাপার নিয়ে আর কথা বাড়ালো না। কিছু সময় চুপ করে থেকে বললো,
“কালপ্রিট বয় কি তোমাকে প্রোপোজ করেছিল? তুমি প্রত্যাখ্যান করেছো? এরপর থেকেই ও তোমার শত্রু?”

ইরতিজা কোনো উত্তর দিলো না। শুধু তাকিয়ে রইল। ক্যানিয়ল বললো,
“কেন প্রত্যাখ্যান করেছিলে? ও তোমার বন্ধু ছিল তো। প্রশ্নের উত্তর দাও। ট্রি হাউজেও কিছু হকিস্টিকের অস্তিত্ব আছে কিন্তু।”

ইরতিজার শরীর আচমকা কেমন কেঁপে উঠলো। বললো,
“ও ক্রিশ্চিয়ান! আমার ফ্যামিলি নিশ্চয়ই একটা ক্রিশ্চিয়ান ছেলের সাথে আমার সম্পর্ক মেনে নেবে না। আমার বিয়ে দেবে না। আমিও কখনও একজন ক্রিশ্চিয়ান ছেলেকে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখিনি। আর একটা ব্যাপার হলো, আমি ওকে বন্ধু ব্যতীত অন্য কোনো চোখে কোনোদিন দেখতে পারিনি। বন্ধু ব্যতীত ওর জন্য বিশেষ কোনো অনুভূতি অনুভব করিনি।”

“এখন করো? কারো জন্য বিশেষ অনুভূতি অনুভব?” ইরতিজার কথা শেষ হওয়ার সাথে সাথে বললো ক্যানিয়ল।

ইরতিজার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে এলো ক্যানিয়লের এই প্রশ্নে। দু চোখে চমকানো ভাব ঝিলিক দিচ্ছে। হৃদয়ের উপকূলে থাকা অনুভূতিরা দিগভ্রান্ত হয়ে পড়লো। উত্তর স্বরূপ কোনো কথা বের হলো না তার মুখ থেকে। গলা শুকিয়ে এলো তার।
ইরতিজার মুখের এই সময়কার অবস্থা দেখে মনে মনে হাসলো ক্যানিয়ল। বললো,
“মানুষটা কি আমি?”

“কোন মানুষ?” অপ্রস্তুত, চমকিত ইরতিজার মুখ থেকে হঠাৎই প্রশ্নটা বেরিয়ে এলো বেখেয়ালে। বিব্রত বোধ কাঁটা হয়ে শরীরে ফুঁটলো তার। মস্তক নত হয়ে এলো। কেন করলো সে এমন প্রশ্ন? নিজের দু গালে নিজেরই চ’ড় মা’রতে ইচ্ছা করছে।

ক্যানিয়ল ইরতিজার অবস্থা দেখে প্রকাশ্যেই হেসে ফেললো। বললো,
“চলো, বাসায় পৌঁছে দিচ্ছি তোমায়।”

________________

রাতে শয়নকালে ইরতিজা ভাবছিল পুরো ঘটনাটা নিয়ে। জোনাসের অমন আকস্মিক আগমন, তারপর ক্যানিয়লের অমন কথাবার্তা! বাড়িতে আসার পর থেকে সে ভয়ে ভয়ে ছিল। মনে হচ্ছিল জোনাস এই বুঝি ফুফুর কাছে ম্যাসেজ আর ফটো পাঠালো, আর এই বুঝি ফুফু বাবাকে কল দিয়ে সব বলে দিলো! কিন্তু এমন কিছুই হয়নি। জোনাস কি তবে ফুফুর কাছে ম্যাসেজ আর ফটো পাঠায়নি? মনে মনে ইরতিজা স্বস্তি অনুভব করে কথাটা ভেবে। যদি জোনাস অমনটা করতো তাহলে তুলকালাম কাণ্ড বেঁধে যেত। নিশ্চয়ই এতক্ষণে সাজিদের সাথে তার বিয়ের বন্দোবস্ত শুরু হয়ে যেত! নাহ, এই ব্যাপারটা নিয়ে আর ভাবতে পারলো না সে।
ওদিকে ক্যানিয়লের কথা চিন্তা করে তো সে বার বার লজ্জায় পড়ছে। এমন সব প্রশ্ন কীভাবে করতে পারে ক্যানিয়ল? ইরতিজার অনুভূতি সম্পর্কে তো সে অবগত। সে তো আর অবুঝ নয় যে এত কাছাকাছি থেকে ওর অনুভূতি বুঝতে পারবে না। তাহলে এসব প্রশ্ন করে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার মানে কী?
ইরতিজা এ সমস্ত কথা চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে গিয়েছিল। ঘুমটা ভেঙে গেল হঠাৎ মাঝরাতে। জেগে উঠে যে ব্যাপারটা লক্ষ করলো তাতে তার শরীরের প্রতিটা লোম দাঁড়িয়ে গেল। বারান্দার সাথে রুমের সংযোগ স্থলে যে দরজাটি আছে সেটার গায়ে কেউ শব্দ করছে। ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে গেল ইরতিজা। ঘামে ভিজে যেতে লাগলো সারা শরীর। ভয়ে এতটাই স্তব্ধ হয়ে গেছে যে উঠে গিয়ে লাইটটা পর্যন্ত জ্বালানোর সাহস হলো না। সে স্থির একই জায়গায় দম বন্ধ করে বসে রইল। কাউকে যে ডাকবে তাও পারছে না। ওষ্ঠাধর ফাঁকা করলেও যেন সেই শব্দ দরজার বাইরে বারান্দায় থাকা প্রাণীটির কানে চলে যাবে। আর সে দরজা ভেঙে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসবে ওকে মা’রা’র জন্য। ইরতিজা কাঁপছে। অনেকটা সময় কেটে যাওয়ার পরও যখন শব্দটা থেমে থেমে হচ্ছিল তখন ইরতিজা কোনোরকম একটু সাহস সঞ্চয় করে নামলো বিছানা থেকে। লাইট অন করলো। ভিতরের মানুষটা জাগ্রত হয়েছে বুঝতে পেরে বাইরের মানুষটা দরজার গায়ে আরও জোরে শব্দ করতে লাগলো হাত দিয়ে। ইরতিজার শরীর থরথর করে কেঁপে উঠলো। কে থাকতে পারে দরজার ওপাশে? পর্দার কারণে মানুষটাকে দেখা সম্ভব হচ্ছে না। ইরতিজার একাধারে ভয় করছে, আবার বিষয়টা খতিয়ে দেখারও প্রয়োজন অনুভব হচ্ছে। সে ভীষণই ধীর পায়ে এগোতে লাগলো। দরজার ওপাশে থাকা প্রাণীটি মানুষই তো? না কি আবার অন্য কিছু? কোনো জন্তু? না কি অশরীরী কোনো কিছু?
ইরতিজা ভয়ে ভয়ে পর্দায় হাত দিলো। সাহস হচ্ছে না পর্দাটা সরানোর। বাড়ির কাউকে ডাক দিলে হতো না? না থাক। ইরতিজা একটা শুকনো ঢোক গিলে পর্দাটা এক টানে সরিয়ে ফেললো এক পাশে। সামনে কাউকে দেখতে না পেয়ে বেশ চমকালো। ভয়ের সাথে সাথে এবার জন্ম নিলো কৌতূহল। ব্যাপারটা কী হলো? এতক্ষণ যে শব্দ করলো সে কোথায়? এখন সব কিছু এত নিশ্চুপ কেন? ওর কোনো রকম হ্যালুসিনেশন হয়নি তো? ইরতিজা দরজার লক খুলে বেরিয়ে এলো বারান্দায়। বাম দিকে তাকাতেই ওপাশে একটা মানুষকে দেখতে পেয়ে ভয়টা সর্বকূল দিয়ে ঘিরে ধরলো ভীষণ প্রখর ভাবে। মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসার প্রস্তুতি নিলো একটা ভয়ার্ত ধ্বনি। কিন্তু সেটা জোরেশোরে এলাকা কাঁপানো ধ্বনির রূপ নেওয়ার আগেই সামনের মানুষটা ছুটে এসে তার মুখ চেপে ধরলো। ইরতিজা ছাড়া পাওয়ার জন্য ছটফট করছিল মানুষটা কে তা লক্ষ না করেই। এই সময় তার খুব নিকটে কিছু কথা আওয়াজ তুললো,
“এমন ছটফট করো না সুইটহার্ট। আমাদের ভালোবাসা যেমন শান্ত, তোমারও তেমনি শান্ত থাকা উচিত। ভালোবাসা অশান্ত হয়ে গেলে সেই অশান্ত ভাবটা তুমি সামলে উঠতে পারবে না।”

ইরতিজা স্তব্ধ হয়ে গেল। কণ্ঠস্বরটা যে তার খুব পরিচিত। রুম থেকে ভেসে আসা আলোয় মানুষটার মুখটা খেয়াল করে দেখলো সে। হৃৎপিণ্ড অজান্তেই কেঁপে উঠলো তার। সে রুদ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল জোনাসের দিকে। তার মুখের উপর থেকে নেমে গেল জোনাসের শক্ত হাত। দৃষ্টি নিষ্প্রভ হয়ে এলো হঠাৎই। সারা শরীর অসাড় হয়ে যাওয়ার ক্লান্তি অনুভূতি অনুভব হচ্ছে তার। দৃষ্টি ক্রমশ আরও বেশি ঘোলা হয়ে আসছিল। বেশি দুর্বলতা অনুভব করতেই সে আঁকড়ে ধরলো জোনাসের হুডি। দু চোখ নিভু নিভু করছে তার। অস্ফুটে মুখে একটা কথা উচ্চারণ করলো,
“আমি কি মারা যাচ্ছি?”

কথাটা উচ্চারণের পরপরই তার দু চোখ একেবারে মুদে গেল। সে পিছনের দিকে হেলে পড়ে যাচ্ছিল। কিন্তু জোনাস তাকে বুকে টেনে নিলো। বুকের মধ্যিখানে জড়িয়ে রেখে বললো,
“তুমি কি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছো সুইটহার্ট?”
বলে মৃদু হেসে বললো,
“গিয়েছো বোধহয়। সেজন্যই তো এভাবে আমার বুকের মধ্যিখানে আছো। তোমার জন্য এই জায়গাটা সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত, জানো সেটা? অন্য কারো বুকে মাথা রেখে দেখো। দেখবে–এই বুকের মতো প্রশান্তি আর দ্বিতীয় কোথাও পাবে না। এই বক্ষস্থল যে তোমার জন্যই সৃষ্টি, তুমি মাথা রাখবে বলে।”

জোনাস বুকের সাথে মিশে থাকা ইরতিজার মাথাটা সরিয়ে আনলো। লাইটের আলোয় দেখলো ইরতিজার অজ্ঞান মুখখানি। হাসলো। পর মুহূর্তেই মুখ ঢাকলো আবার বিষাদের মেঘে। ইরতিজার মাথার পিছনে একহাত দিয়ে পরম যত্নে আগলে ধরে আছে ওকে। বললো,
“আমার ভালোবাসার তীব্রতা তুমি টের পাও না টিজা? কীভাবে এটা টের পাওয়াবো তোমায়? কোনো উপায় আছে? ভালোবাসি তোমায়। টের পাওনি এখনও বলার পরেও? নিউ ইয়র্ক শহর জানে আমি তোমাকে ভালোবাসি, রেডমন্ডের বাতাসও এতদিনে জেনে গেছে। শুধু তোমার মনই বুঝলো না আমাকে। সত্যিই অনেক ভালোবাসি তোমাকে।”

জোনাসের ওষ্ঠাধর এগিয়ে এলো ইরতিজার দিকে। ক্ষণিকেই তা ছুঁয়ে গেল ইরতিজার ওষ্ঠাধরকে!

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here