উড়ো পাতার ঢেউ পর্ব: ৪৮

0
524

#উড়ো_পাতার_ঢেউ
#লেখা: ইফরাত মিলি
#পর্ব: ৪৮
_________________

“হাত ছাড়ো ক্যানিয়ল।” ক্যানিয়লের দিকে ফিরে বললো ইরতিজা।

ক্যানিয়ল ছাড়ার বদলে যেন আরও শক্ত করে আঁকড়ে ধরলো। ইরতিজার চক্ষু কপালে উঠলো। বললো,
“ছাড়ো, বুঝতে পারছো না তুমি।”

“নিজ থেকে ছাড়িয়ে নাও।”

ইরতিজা উদ্বিগ্ন হয়ে আশেপাশে তাকালো। ভিড়ের মাঝখান থেকে নওরিন যে তাদের উপর দৃষ্টি ক্ষেপন করে আছে তা একটিবারের জন্য দেখতে পেল না। ইরতিজা ক্যানিয়লের কথা মতোই কাজ করলো। জোরে এক ছিটকা দিয়ে সে ক্যানিয়লের হাত থেকে নিজের হাত মুক্ত করে এখান থেকে যেতে উদ্যত হলো। ঠিক তখনই ক্যানিয়ল আবারও তার হাত ধরে ফেললো। থেমে গেল ইরতিজা। তার ভিতরের গুচ্ছবিদ্ধ ভয় এবার বিকট শব্দের বিস্ফোরণে ছড়িয়ে পড়লো। হৃৎপিণ্ড কাঁপতে শুরু করলো থরথর করে।
ক্যানিয়ল পিছন থেকে এসে বললো,
“আমার শক্ত হাতের শক্ত বাঁধন ছিন্ন করা এত সহজ নয় পাকিস্টানি গার্ল। আমি চেয়েছি বলেই তুমি এই বাঁধন ছিন্ন করতে পেরেছো। নরম হাতের নরম বাঁধন ছিন্ন করেছো। আমি কখনও এমন নরম প্রকৃতির ছিলাম না। আমি ছিলাম সব সময়ই কঠিন। কিন্তু তুমি আমায় পরিবর্তন করে দিয়েছো! এমন পরিবর্তন করার জন্য তোমার কঠিনতম শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু আমি তোমায় শাস্তিও দিতে পারছি না। ভেবে দেখো, কেমন বাজে পরিবর্তন এনেছো তুমি আমার মাঝে। তোমার কী ধারণা? তোমার স্টুপিড কাজিনের বার্থডে সেলিব্রেট করতে আমি এখানে এসেছি? উহুঁ, এটা তো কেবল অজুহাত।
আমার আসলে অজুহাতের প্রয়োজন পড়ে না। কারণ নিজের যা ইচ্ছা তাই করার ক্ষমতা রাখি আমি। কিন্তু দেখো, এখন ব্যাপারটা এমন যে আমি একটা অজুহাতকে আঁকড়ে ধরছি। তোমাকে দেখতে আসার ইচ্ছা একটা অজুহাতের মাধ্যমে পূরণ করছি। কেন করছি এরকম? আমি ইচ্ছা হলেই তোমাকে দেখতে আসার ক্ষমতা রাখি না? সেই ক্ষমতা নেই আমার? ক্ষমতা আছে তো। আমি চাইলে সকাল, সন্ধ্যা, রাত সব সময় তোমাকে দেখতে আসতে পারি। এমনকি তোমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে সামনে বসিয়ে রেখেও দেখতে পারি। কিন্তু তাও অজুহাত ধরেই আসলাম আমি!”

ক্যানিয়লের এই অকপটে বলা কথা গুলোতে ইরতিজার ভিতর তোলপাড় শুরু হয়ে গেল। মস্তিষ্ক যেন অচল হয়ে পড়তে চাইছে, কিন্তু ইরতিজা তা হতে দিলো না। সে হাতটা এবার অতি সহজভাবে ছাড়িয়ে নিয়ে বললো,
“আমাকে দেখা হয়নি? এখন চলে যাও।”

“একটা মোমের পুতুল বানালে কেমন হয়?”

“মোমের পুতুল মানে?”

“তোমার চেহারা এবং আকৃতিতে একটা মোমের পুতুল বানাতে হবে।”
বলে ঠাট্টা করে হাসলো ক্যানিয়ল। তারপর গলার স্বর হঠাৎ গাম্ভীর্য করে বললো,
“তোমায় এত সুন্দর লাগছে কেন? বেশি সেজেছো? তোমার উচিত নিজেকে যথাসম্ভব অসুন্দর রাখা এই মুহূর্তে। আর তুমি…”
ক্যানিয়ল আরও গম্ভীর ভাব ধারণ করে বললো,
“দ্রুত নিজেকে অসুন্দর করে তোলার প্রক্রিয়া প্রয়োগ করো, নয়তো হাত-পা উভয়ই ভে/ঙে দেবো তোমার।”

ইরতিজার কম্পমান হৃৎপিণ্ড আরও তীব্রভাবে কেঁপে উঠলো। ক্যানিয়লের শেষ কথাটাতে সে পুরোনো ক্যানিয়লের আচরণকে উপলব্ধি করতে পারলো।

ক্যানিয়ল আর কিছু না বলে হঠাৎই চলে গেল পার্টি থেকে। রিশন এতক্ষণ দূর থেকে ওদেরকে লক্ষ করছিল। সে এবার এগিয়ে এসে ইরতিজার কাছে জানতে চাইলো,
“ক্যানিয়ল এতক্ষণ ধরে কী বললো তোমাকে?”

ইরতিজা প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলো,
“তোমরা এই পার্টি আর কতক্ষণ দীর্ঘ করতে চাইছো? স্নো ফল হবে তা কি ভুলে গেছো?”

“স্নো ফল এখনও অনেক পরে হবে। ততক্ষণে তুমি পার্টি শেষ করে ঘুমের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে এক দফা ঘুমিয়েও নিতে পারবে।”

___________________

নিস্তব্ধ রাত। আকাশ থেকে ঝরে পড়ছে বরফ কণা। তাদের ঝরে পড়ার গতি শান্ত। পৃথিবীর এক খণ্ড জায়গা সাদা করে দিচ্ছে নিজেদের অস্তিত্ব দ্বারা। এই শান্ত রজনীর শান্ত ঝরে পড়া তুষারপাতের মাঝে একটি অশান্ত মনের মানব বিছানায় শুয়ে আছে ব্যাকুলতা নিয়ে। মানসপটে কেবল দৃশ্যমান হচ্ছে একটি শ্যামবরণ মুখ! ক্যানিয়ল এক কাত থেকে অন্য কাতে ফিরে শুলো। রাত যত গভীর হচ্ছে তার অন্তঃকরণের অস্থিরতা তত বাড়ছে। এটা কেমন যন্ত্রণা? সে শেষমেশ শয়ন থেকে উঠে যেতে বাধ্য হলো। অস্থিরতায় একটা বালিশ ছুঁড়ে মারলো ফ্লোরে। অতঃপর বিছানা থেকে নামলো। ক্লোজেট খুলে একটা জ্যাকেট বের করে পরে নিলো গায়ে। মাথায় টুপি পরে নিতেও ভুললো না। রুম থেকে বের হলো। এখন সে নিজের মেইন বাড়িতে আছে। তবে মেইন বাড়িতে থাকলেও আজকে সে একবার ভুল করেও ড্যাডের সামনে পড়েনি। রাম্মিকা লিভিংরুমে বসে আর্ট করছিল। মেয়েটার আর্টের প্রতি ঝোঁক আছে। বাড়ির কেউ এখন জেগে নেই। অন্তঃকরণে এমন ছটফটানি শুরু না হলে হয়তো ক্যানিয়লও এখন নিদ্রার দেশে পাড়ি জমাতো। কিন্তু এই মেয়েটা এখনও জেগে জেগে আর্ট করছে। ক্যানিয়ল রাম্মিকাকে দেখে থাকলেও কোনো প্রতিক্রিয়া না করে নির্বিকার ভাবে সদর দরজার দিকে এগোচ্ছিল। রাম্মিকা ক্যানিয়লকে দেখে অবাক হয়ে বলে উঠলো,
“এত রাতে কোথায় যাচ্ছ?”

ক্যানিয়ল ক্ষণিকের জন্য পিছন ফিরে উত্তর দিলো,
“একজনের ঘুম কাড়তে।”

“মানে?”

ক্যানিয়ল যেতে যেতে বললো,
“ওর ঘুম না ভাঙিয়ে আমি ঘুমাতে পারবো না।”

রাম্মিকা কিছু বুঝতে পারলো না। কার ঘুম ভাঙানোর কথা বলছে? এতরাতে কার ঘুম ভাঙাতে যাচ্ছে?

ক্যানিয়লের গাড়ি থামলো ইরতিজাদের এরিয়ায় এসে। তুষারপাতের মাঝে গাড়ি চালানো খুব কষ্টকর একটা কাজ। অনেক সময় এক্সিডেন্টও ঘটে।
ক্যানিয়ল ইরতিজাদের বাসার সামনে এসে কল করলো ইরতিজাকে। ইরতিজা তখন গভীর ঘুমের আচ্ছাদনে জড়িয়ে আছে। রিংটোনের শব্দ তার ঘুমকে পাতলা করে দিলো। পিটপিট করে চোখ মেললো সে। কলারের নাম না দেখেই কল রিসিভ করলো।

“হেই পাকিস্টানি গার্ল, আর ইউ স্লিপিং?”

“ইয়াহ।” ঘুম জড়ানো ক্ষীণ গলায় উত্তর দিলো ইরতিজা।

“আই অ্যাম ইন ফ্রন্ট অব ইওর হাউজ।”

“হোয়াট?” ইরতিজার ঘুম এক ছুটে পালিয়ে গেল। সে মোবাইলে সময় দেখে নিলো।
“এত রাতে তুমি আমার বাসার সামনে মানে?”
ইরতিজা উঠে বসলো। জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখলো তুষারপাত ঝরছে।
“এখন তো তুষারপাত হচ্ছে!”

“হ্যাঁ হচ্ছে। এই তুষারপাতের মাঝেও তুমি আমাকে আসতে বাধ্য করেছো। তোমাকে একদিন বলেছিলাম, তুমি আমার চোখে ভেসে উঠে আমার ঘুম নষ্ট করবে না। কিন্তু তুমি তো অবাধ্য! কথা শোনোনি। ঠিকই চোখে ভেসে উঠে আমার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছো। আর এখন তো আমার মনের সাথেও…”
ক্যানিয়লের কণ্ঠ হঠাৎ থেমে গেল। কণ্ঠের দ্রুত গতি শিথিল হয়ে এলো,
“আর এখন তো আমার মনের সাথেও যাচ্ছেতাই করছো। এটার জন্য উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন তোমাকে। আমি আর তোমাকে শাস্তি না দিয়ে পারছি না। আমি তোমার জন্য খুব কঠিন একটা শাস্তি প্রস্তুত করেছি।”

“শ…শাস্তি?”

“হুম, খুব কঠিন শাস্তি। তুমি এখনই আমার সাথে দেখা করো।”

“কী বলছো? এত রাতে কী করে দেখা করবো? সম্ভব নয়।”

“সম্ভব নয় কেন? আমি কি আমার বাড়ি থেকে তোমার বাড়িতে আসিনি এত রাতে? তাহলে তুমি কেন তোমার বাসার সামনে এসে আমার সাথে দেখা করতে পারবে না? শোনো, দেরি করো না। আমি জমে যাচ্ছি বরফে। হারি আপ।”

“আমার আব্বু জেগে গেলে…”

“তুমি কি চাও তোমার ড্যাড, মাদার, সিস্টারকেও আমি জাগিয়ে তুলি ঘুম থেকে?”

“নো নো, আই ডোন’ট ওয়ান্ট দ্যাট!”

“তাহলে তাড়াতাড়ি এসো। এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে আমার। উফ, কী ঠান্ডা! মনে হচ্ছে আমিও একটা বরফের খণ্ডে পরিণত হতে চলেছি।”

ইরতিজা দ্রুত গায়ে উষ্ণ কাপড় পরে নিয়ে বেরিয়ে এলো বাসা থেকে। ক্যানিয়লের এত রাতে পাগলামি করার মানে সে বুঝতে পারছে না। এত রাতে কেন এসেছে? ইরতিজা খুব সাবধানে বের হয়েছে বাসা থেকে। একটুখানি শব্দের উৎপত্তিও করেনি বের হওয়ার সময়। বাসার সামনে লাইট জ্বলছে। পার্টির জন্য যে লাইট আনা হয়েছিল তার ভিতর থেকে একটা এখনও জ্বলছে। হয়তো অফ করতে ভুলে গেছে। ইরতিজা সেই লাইটের আলোয় স্পষ্ট দেখতে পেল ক্যানিয়লকে।
ইরতিজা লনের উপর জমাট বাঁধা বরফের উপর পা ফেলে এগিয়ে এলো। ক্যানিয়লের সম্মুখে দাঁড়িয়ে বললো,
“কেন এসেছো এত রাতে?”

“তোমাকে শাস্তি দিতে!”

“হুম?”

“কিছু বলতে এসেছি।”

“সেটা তুমি আগামীকালও বলতে পারতে।”

“আগামীকাল নয়, এটা এখনই বলা প্রয়োজন।”

“বেশ, তাহলে বলো।”

কীভাবে বলবে? কীরকম ভাবে বলা উচিত? কোনো প্রস্তুতি না নিয়েই চলে এসেছে। ক্যানিয়ল বুঝতে পারছে না তার কীরকম ভাবে কথাটা বলা উচিত! অন্তঃকরণ কেমন অস্থিরতায় কাঁপছে। সে স্বাভাবিকতা আনার চেষ্টা করে ইরতিজার চোখের দিকে তাকালো। হঠাৎই চড়া গলায় বলে উঠলো,
“তোমার কি মনে হয় না তুমি একজন অপরাধী?”

ইরতিজা চমকে গিয়ে বললো,
“আমার এমনটা কেন মনে হবে?”

“কারণ তুমি অন্যায় করেছো!”

ইরতিজা এবার আরও বেশি চমকালো। অবাক হয়ে জানতে চাইলো,
“কার সাথে?”

ক্যানিয়ল সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিলো না। কিছু সময় নীরব তাকিয়ে রইল ইরতিজার বিস্ময়, কৌতূহলী আঁখি জোড়ায়। এরপর বললো,
“আমার হৃদয়ের সাথে!”

ইরতিজার দু চোখে বিস্ময় প্রস্ফুটিত হলো। হৃদয়ে জাগ্রত হলো প্রবল শিহরন। বিস্ময়াবিষ্ট নেত্র জোড়া ক্যানিয়লের দিকে স্থির হয়ে রইল অপলক।

ক্যানিয়ল বললো,
“আমার হৃদয়ের সাথে খুব কঠিন অন্যায় করেছো তুমি! এই অন্যায়ের সাজা লিখতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাকে। তোমার জন্য আমার হৃদয় এখন আবোল-তাবোল বকছে। বলছে, তোমাকে প্রয়োজন। আমার জীবনের প্রতিটা দিনে তোমাকে প্রয়োজন এমনটা বলছে!”

হঠাৎই এক দমকা হাওয়া বইলো যেন। সেই দমকা হাওয়া যেমন দেহকে শীতল করে শিরশিরে এক কাঁপন তৈরি করলো, ঠিক তেমনি এই হাওয়ার ঝাপটা সমগ্র হৃদয় উপকূলও শীতলতায় সমাচ্ছন্ন করলো এবং সেই সাথে হৃদয়ে শিরশিরে কাঁপনও উপলব্ধমান। সুমধুর স্বপ্ন! হ্যাঁ, সমধুর স্বপ্ন! ইরতিজার মনে হচ্ছে এটা একটা সুমধুর স্বপ্ন বৈ আর কিছুই না। ক্যানিয়ল কি আসলেই বাস্তবে তাকে এই কথাগুলো বলছে?

“তুমি কী করেছো আমার হৃদয়ের সাথে? এমন কেন করছে হৃদয়? তুমি কি জাদুকর? জাদু করেছো? জাদু ব্যতীত এটি এমন কেন করবে? ইউ আর আ ম্যাজিকাল গার্ল?”

ইরতিজা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনে যাচ্ছে ক্যানিয়লের কথা। সে তো জাদুকর নয়, জাদুকর তো ক্যানিয়ল। ক্যানিয়ল নিজের জাদুতে বশীভূত করছে তাকে।

ক্যানিয়ল বললো,
“তুমি আমার চোখের প্রিয়, আমার মনের প্রিয়, আমারও প্রিয়! জানি না কখন, কীভাবে হয়ে উঠেছো। কিন্তু তুমি আমার প্রিয়। পাকিস্টানি গার্ল, আমি নির্ধারণ করতে পারছি না তোমার শাস্তি কী হবে! তুমি কি আমাকে সাহায্য করবে? দয়া করে তুমি বলো, আমি কী শাস্তি দিতে পারি তোমায়?”

ইরতিজা সম্মোহিত হয়ে চেয়ে রয়েছে। প্রকৃতিতে বহমান শীতল আবহাওয়া তার মনেও প্রভাব ফেলেছে। শীতলতা জমিয়ে দিয়েছে তার ভিতরের সকল অনুভূতি। কেবল একটা অনুভূতি সচল। ভালোবাসার অনুভূতি!

“ইউ নো? তোমার জন্য ড্যাড সাইকোলজিস্টের কাছে অ্যাপয়ন্টমেন্ট রেখেছিল আমার জন্য। এমনকি আমি ড্যাডকে বলেছি আমি মিরান্ডাকে বিয়ে করবো না। ড্যাড ভাবছে আমার মানসিক কোনো প্রবলেম ক্রিয়েট হয়েছে হয়তো। তুমি কি এখন বুঝতে পারছো, তুমি কত বড়ো অন্যায় করেছো? কত বড়ো অপরাধী তুমি? আমি এখন এমন অনুভব করছি যে, তোমাকে আমার সারাজীবনের জন্য প্রয়োজন। তুমি কি বুঝতে পারছো আমার হৃদয়কে? আমার হৃদয়ের অবস্থা?”
ক্যানিয়ল একটু সময় বিরতি নিয়ে আবার বললো,
“আমি আর তোমাকে বিনা শাস্তিতে ছেড়ে দিতে পারি না। আমি তোমাকে শাস্তি দেবো। এবং ইতোমধ্যে আমি একটা শাস্তি তোমার জন্য প্রস্তুত করেছি।
পাকিস্টানি গার্ল, উইল ইউ বি মাই মিসেস উমরান?”

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here