#স্রোতের_টানে
লেখিকা:#Tarin_Niti
পর্ব:৩২
মিস্টার আজাদ চলে যাওয়ার পর ফারিহা চোখ মেলে তাকালো।আজকে ফারিহার কিছুতেই ঘুম আসবে না।অন্যদিন এমন সময় আয়ান ফারিহার পাশে থাকে।আজকে আয়ানকে খুব মিস করছে। ফারিহা শুয়া থেকে উঠে বসলো।তারপর আস্তে আস্তে হেঁটে ব্যালকনিতে গেল।অন্যদিন ব্যালকনিতে আসলে ফারিহার মন ভালো হয়ে যেত।ফারিহার ব্যালকনিতে এতো রংবেরঙের ফুল, মন ভালো না যায় নাকি?কিন্তু আজকে ফুলগুলো ফারিহাকে টানছে না।ফারিহার মনের আকাশে যে মেঘ জমেছে!
ফারিহা ব্যালকনিতে রাখা দোলনাটায় বসলো।দোলনায় বসে অনেক্ষণ এক দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে কি যেন ভাবলো।তারপর রুমে এসেই ওর ডাইরিটা খুঁজলো।স্টাডি টেবিলের ড্রয়ারে ডায়রিটা পেয়ে ফারিহার মুখে হাসি ফুটে উঠলো। তারপর ডাইরিটা আর একটা কলম নিয়ে ব্যালকনিতে গিয়ে আবার দোলনায় বসল।
ফারিহা সব সময় ডাইরি লিখে না, বিশেষ কিছু সময় আর মাঝে মাঝে মন খারাপ থাকলে। ফারিহা ডায়রিটা নিয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে তারপর ডায়রিটা খুলে কলম হাতে নিয়ে লিখতে শুরু করে,
আয়ান,
আপনাকে আসলে আমি কি বলে সম্বোধন করবো বুঝতে পারছি না।কারণ আপনাকে প্রিয় লেখার মত কোন সম্পর্ক তো আমাদের মাঝে নেই।হয়তো সে অধিকার টাও আমার নেই।আপনাকে কখনো বলা হয়নি যে আমি আপনাকে কতটা ভালোবাসি। সরাসরি তো কখনো বলতে পারবো না তাই আজকে ডায়রি লিখতে বসলাম।আমি জানি আপনি হয়তো কখনো আমার মনের কথাটা জানতে পারবে না।হয়তো ভাগ্য আমাদের দুজনের পথ চলাটা এখন পর্যন্তই ঠিক করে রেখেছিলো!আপনি কে খুব মিস করি।আমি হয়তো আপনাকে কোনদিন ভুলতে পারবো না।কিন্তু আপনাকে মনে রেখে সারা জীবন কাটিয়ে দিতে পারবো।
আমি জানিনা আপনি আমাকে সত্যি ভালোবাসেন কিনা!তাই আপনার কাছে আবার ফিরে যেতে খুব ভয় হয়।আপনি যদি আবার আমাকে ধোঁকা দেন!আমি আর সহ্য করতে পারবো না।জানেন যেদিন আপনি আমাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে গিয়েছিলেন সেদিন খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।আর তারপর আমাদের বিয়ে!যেটা আমার কল্পনার বাইরে ছিল। আর পাঁচটা মেয়ের মতো আমিও বিয়ে নিয়ে স্বপ্ন দেখতাম।বিয়ের দিন আমি লাল টুকটুকে বউ সাজবো, আমার বর এসে আমাকে বিয়ে করে নিয়ে যাবে। কিন্তু কখনো ভাবতে পারিনি এরকম একটা অবস্থায় আমার বিয়ে হবে।বিয়ের পর আপনার উপর খুব রাগ হয়েছিল কিন্তু চলে যেতে পারি নি।না হলে যদি আপনি বাপির কোন ক্ষতি করে দেন! আসলে আমি বাপিকে খুব ভালোবাসি তাই সব মুখ বুজে সহ্য করেছি।
তারপর যখনই আপনার প্রতি একটু দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম তখনই কক্সবাজারের সেই কাজটা!ওই রাতের কথা যখন আমার মনে পড়ে তখনই বুকটা কেঁপে দিয়ে ওঠে।আমি তো চাইনি আমার জীবনে প্রথম রাতটা এরকম হোক!আমিও চেয়েছিলাম আমার স্বামী আমাকে ভালোবেসে কাছে টানবে
কিন্তু ঐদিন যেটা হলো সেটা আমার কল্পনাতেও ছিল না।আপনি এরকমটা কি করে করতে পারলেন?আমার চিৎকার শুনতে পান নি?
সেদিনের পর থেকে আমি ভাবিনি কখনো আপনাকে ক্ষমা করতে পারবো।কিন্তু জানিনা কি হয়ে গেল!আপনার এতো কেয়ার ভালোবাসার প্রতি আমি দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম।আপনি অভিনয় করলেও আমিতো ভাবতাম সব সত্যি।তাই প্রতিদিন আপনার ব্যবহারে মুগ্ধ হতাম আর একটু একটু করে দুর্বল হয়ে পড়তাম।তারপর থেকে আপনি কাছে টানলেও আমি আর বাঁধা দিতাম না।কিন্তু তখনও জানতাম না সব ছলনা!জানেন,তখন নিজেকে খুব সুখী মনে হতো।আর এখন এসব ভাবলে হাসি পায়। তারপর ওই দিন সকালেই জিহাদের সাথে আপনার ফোনে কথা বলা হয় শুনে খুব অবাক হয়েছিলাম।আপনি কি করে এত নিখুঁত ভাবে অভিনয় করতে পারলেন?সেদিন আমি দরজা লাগিয়ে চিৎকার করে কেঁদেছি আপনি হয়তো সেটা কোনদিনও জানতে পারবেন।
তবু আমি মুখ বুঝে সহ্য করেছিলাম কারণ আমার সব সত্যিটা জানার ইচ্ছে ছিল।আর এখন তো সব কিছুর জানা হলো।আপনারা আমার সাথে অভিনয় করলেও আমি কিন্তু ছলনা করিনি।আমি সত্যি আপনাকে ভালোবেসেছি।কখনো ভাবতে পারিনি আমার ভালোবাসার শেষ পরিনতি এমন হবে!
আচ্ছা আয়ান আপনি সাধারণ একটা ছেলে হয়ে আমার জীবনে আসতে পারলেন না?আমাদের একটা ছোট্ট সংসার হতো,আপনি একটা ছোট চাকরি করতেন আর আমাকে অনেক অনেক ভালোবাসতেন।আমার আর কিচ্ছু চাওয়ার ছিলো না।আমি তো সবসময় এরকম একটা জীবনসঙ্গী চেয়েছিলাম।আপনি কেনো একটা সাধারণ ছেলে হয়ে আমার জীবনে আসলেন না?
জানেন আমার না খুব কষ্ট হচ্ছে।লিখতে পারছিনা হাত প্রচণ্ড ভাবে কাঁপছে।আজকে আপনাকে খুব খুব মিস করছি।কিন্তু আমি জানি আমাকে শক্ত হতে হবে।আমিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে নিজের জীবন নতুনভাবে শুরু করতে হবে।জানেন, বাপি বলেছে আপনাকে ভুলে যেতে!কিন্তু ভুলে যেতে চাইলেই কি ভুলে যাওয়া যায়? আমি কোনদিন আপনাকে ভুলতে পারবো না। তবে চিন্তা করবেন না আপনার থেকে দূরে গেলেও আপনার জায়গাটা আমি কাউকে দেবো না।সব ভালোবাসা পূর্ণতা পায় আমার ভালোবাসা না হয় অসমাপ্তই রয়ে গেল।আমি নাহয় আপনাকে দূর থেকেই ভালবেসে যাবো!
ইতি
আপনার কয়েকদিনের সাজানো সংসারে অবহেলিত স্ত্রী,,ফারিহা
ফারিহার চোখ থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে।ডাইরির পাতায় শেষের লেখাগুলো ওর চোখের পানি আর কলমের কালি মিশে একাকার হয়ে গিয়েছে।ফারিহার ইচ্ছে করছে এখন জোরে চিৎকার করে কাঁদতে,কিন্তু পারছেনা।ফারিহা অনেকক্ষণ কান্না করলো।এটাই হয়তো ওর শেষ কান্না তারপর থেকে আর কান্না করবেনা!শুধু হাসবে।ফারিহা কিছুক্ষণ ডায়রিটা দিকে তাকিয়ে থাকে কলমটা ডাইরির মাঝে রেখে ডায়রিটা বন্ধ করলো। তারপর ডাইরিটা বুকে জড়িয়ে দোলনায় পা তুলে বসলো।ফারিহা একদৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে আয়ানের কথা ভাবছে আর চোখ থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে।
.
জিহাদ এদিক-ওদিক পায়চারি করছে।সেই তখন যে আয়ান বেড়িয়ে গেছে তারপর থেকে আর কোনো খোঁজ নেই।আয়ান আর ফারিহা আলাদা হয়ে যাওয়াতে জিহাদও খুব কষ্ট পায়।জিহাদের নিজের উপর খুব রাগ হচ্ছে, তখন কেন আয়ানকে একা যেতে দিলো!জিহাদ কিছুক্ষণ পায়চারি করে ল্যাপটপ বের করে আয়য়নের লোকেশন ট্র্যাক করার চেষ্টা করলো।আয়ানের লোকেশন ট্র্যাক করা এত সহজ নয়। কিন্তু জিহাদ আয়ানের কাছের মানুষ বলেই জিহাদ সব প্রক্রিয়া জানে।
আয়ানের লোকেশন ট্র্যাক করতে পেরে জিহাদের মুখে হাসি ফুটে উঠল।তারপর কোন বডিগার্ড না নিয়ে নিজে একা বেরিয়ে গেল আয়ানকে আনতে।জিহাদ আয়নের লোকেশন ট্র্যাক করে আয়ান যেখানে আছে সেখানে আসলো।তারপর সামনে তাকিয়ে দেখলো আয়ানের গাড়িটা একটু দূরে পার্ক করা।জিহাদ গাড়ি থেকে নেমে আয়সনের সামনে গিয়ে দেখে আয়ান গাড়ির ডিকির উপর বসে আছে।হাতে মদের বোতল আর আকাশের দিকে তাকিয়ে কি যেন বিড়বিড় করছে।জিহাদ তাড়াতাড়ি করে আয়ানের কাছে গিয়ে বললো,
“স্যার আপনি এখানে?আমি কখন থেকে আপনাকে খুঁজছিলাম”
আয়া জিহাদকে দেখে উৎসুক চোখে বললো,
“ফারিহা্ ফারিহা কোথায়?তুমি ফারিহাকে নিয়ে এসেছো?”
জিহাদ মন খারাপ করে বললো, “না স্যার,,ম্যাডাম তো বাড়িতে।আপনি এখানে একা কি করছেন?এভাবে নির্জন জায়গায় আপনার একা থাকা ঠিক হআে না।আমার সাথে চলুন”
জিহাদ আয়ানের হাত ধরতে গেলে আয়ান ঝাড়ি মেরে জিহাদের হাত সরিয়ে দিলো।জিহাদ অস্থির হয়ে এদিক ওদিক তাকালো।জায়গাটা অনেক নির্জন আর অন্ধকার।এখানে যদি ওদের উপর কেউ অ্যাটাক করে তাহলে জিহাদ সামলাতে পারবে না।সাথে করে বডিগার্ড আনেনি তাই জিহাদের এখন খুব আফসোস হচ্ছে।এমনিতেই সব সময় আয়ানের প্রাণের ঝুঁকি থাকে।শত্রুরা ওকে মারতে উৎপেতে থাকে আর এটাতো সুবর্ণ সুযোগ!জিহাদ অস্থির হয়ে বললো,
“স্যার প্লিজ এরকম করবেন না। আমার কথাটা বোঝার চেষ্টা করুন।এখানে আমাদের যেকোন মুহূর্তে বিপদ হতে পারে। প্লিজ আমার সাথে চলুন”
জিহাদের কথা শোনে আয়ান তাচ্ছিল্য হেসে বললো, “বিপদ?কি বিপদ হবে?আমাকে মেরে ফেলবে তাই তো?মেরে ফেলুক!যে জীবনে ফারিহা নেই সে জীবনে রেখে কি লাভ!”
জিহাদ বুজতে পারে আয়ান মাতাল হয়ে উল্টাপাল্টা বকছে।কিন্তু আয়ান হুশে না থাকলেও জিহাদ আয়ানকে কন্ট্রোলে আনতে পারছে না।কিছুক্ষণ পর আয়ান আকাশের দিকে হাত উঠিয়ে বললো,
“জানো জিহাদ,আমার ফারিহা না এ আকাশটা খুব পছন্দ করতো। ও প্রায় সময় এক দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতো।আচ্ছা আকাশে কি দেখতে বলো তো?”
জিহাদ অবাক আয়ানকে দেখছে।আয়ানের চোখে পানি চিকচিক করছে। হয়তো ফারিয়ার কথা ভাবছিলো।আয়ান আবার বললো,
“শুনেছি যাদের বেশি কষ্ট তারা নাকি আকাশের দিকে তাকিয়ে, আকাশের সাথে কথা বলে সব কষ্ট উরিয়ে দে।আচ্ছা আমার ফারিহা কি বেশি কষ্টে ছিল?হ্যাঁ ঠিকই তো,,ও তো অনেক কষ্টে ছিল।আমি ওকে কতটা অত্যাচার করেছি।আমি খুব খারাপ আমার জানটাকে কতো মেরেছি”
আয়ানের চোখে পানি টলমল করছে।আয়ানের কথা শুনে জিহাদও ইমোশনাল হয়ে পড়ে কিন্তু এখন ইমোশনাল হলে চলবে না তাই নিজেকে কন্ট্রোল করে বললো,
“স্যার আপনি যদি এখানে বসে থাকেন তাহলে তো কোনো লাভ হবেনা।আমাদেরকে ম্যাডামের কাছে যেতে হবে তারপর গিয়ে বুঝাতে হবে।এখানে বসে থাকতে তো আর ম্যাডাম ফিরে আসবেনা”
আয়ান গাড়ির ডিকির উপর থেকে লাফ দিয়ে নেমে বললো,
“ইয়েস!ইউ আর রাইট,,আমাকে ফারিহার কাছে যেতে হবে।চলো চলো…”
আয়ানের কথা শুনে জিহাদের মুখে হাসি ফুটে উঠলো। যাক এতক্ষণে বোঝাতে পেরেছে।আয়ান ড্রাইভিং সিটে বসতে গেলে জিহাদ বাধা দিয়ে বললো,
“স্যার আজকে আমি ড্রাইভ করছি”
জিহাদের কথায় আয়ান বাধা দিয়ে বললো, “না আমি ড্রাইভ করবো”
জিহাদ এবার পড়লো আরেক বিপদে।এখন আয়ানকে কি করে বোঝাবে!তবু জিহাদ ফারিহার কথা বলে আয়ানকে বোঝানোর চেষ্টা করলো।জিহাদ বললো,
“স্যার আমি জোরে গাড়ি চালিয়ে তাড়াতাড়ি ম্যাডামের কাছে নিয়ে যাবো।আপনি পাশের সিটে বসুন”
জিহাদের কথা শুনে আয়ান কিছুক্ষণ কি যেনো ভাবলো।তারপর চুপচাপ গিয়ে পাশের সিটে বসলো।জিহাদ দীর্ঘশ্বাস ফেলে ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ি স্টার্ট দিল।আর ওর গাড়িটা নিয়ে যাওয়ার জন্য পরে কাউকে পাঠাবে।
জিহাদ আয়ানকে আয়ানের বাড়িতে নিয়ে আসলো। যদিও জিহাদ আয়ানকে বলেছে যে ওরা ফারিহার কাছে যাবে।কিন্তু আয়ান এখন হুশে নেই তাই বুঝতে পারছেনা যে জিহাদ ওকে কোথায় এনেছে।
জিহাদ আয়ানের এক হাত ওর ঘাড়ে রেখে তারপর আয়ানের কোমর জড়িয়ে ধরে উপরে রুমে নিয়ে আসলো। আসার পথে একটা সার্ভেন্টকে বলেছিল লেবু শরবত দেওয়ার জন্য।রুমে আসতেই আয়ান ধপ করে বিছানায় শুয়ে পড়লো আর বিড়বিড় করে ফারিহার নাম বলছে।
একটা সার্ভের লেবুর শরবত নিয়ে এলে জিহাদ আয়ানকে খাইয়ে দিলো।কিন্তু আয়ান অর্ধেক খেয়েছে আর অর্ধেক ফেলে দিয়েছে।আয়ান এখনও বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে ফারিহার নাম বিড়বিড় করছে।জিহাদ একবার কি যেন ভেবে ফারিহাকে কল করলো।কিন্তু কেউ কল রিসিভ করছে না।জিহাদ একে একে অনেকবার কল করলো কিন্তু পাশ থেকে কেউ রিসিভ করলো না।
জিহাদ এবার ফোনটা রেখে আয়ানের কাছে গেলো।
আয়ান বিড়বিড় করে বলছে,
“ফারিহা্ ফারিহা কোথায়?ফারিহা আই এম সরি। আমি তোমাকে আর কখনো কষ্ট দিবো না।অনেক ভালোবাসবো, তোমাকে এত্তো এত্তো আদর করবো। প্লিজ ফিরে এসো।এই জিহাদ আমার ফারিহা কই?”
আয়ানের কষ্টে জিহাদের বুকটা ফেটে যাচ্ছে। ঠোঁট কামড়ে কান্না আটকানোর চেষ্টা করছে।এদিকে ফারিহা কল ধরছেনা তাই জিহাদ এবার ফোনটা নিয়ে আয়ানের ভিডিও করলো।আয়ান এখনো বিড়বিড় করে ফারিজাকে ডাকছে।জিহাদ ভিডিও করে ফারিহাকে পাঠিয়ে দিলো।তারপর আয়ানের জুতা গুলো খুলে আয়ানকে সোজা করে বিছানায় শুইয়ে দিলো।তারপর রুমের লাইট অফ করে দরজাটা ভিড়িয়ে চলে গেলো।আর আয়ান এখনো ফারিহা নাম বিড়বিড় করছে।
চলবে…
(গতকালকে গল্প দিতে পারিনি তাই আজকে রাতে আরেকটা পর্ব দিবো।হ্যাপি রিডিং 😘😘)