#প্রেম_তুমি
ফাবিহা নওশীন
পর্ব-১০
ভারী বর্ষণে যেমন আকস্মিক শহর-তলীতে জলবদ্ধতা তৈরি হয় তেমনই চলছে দর্শনের জীবন। আকস্মিকভাবে তলিয়ে গেছে হতাশায়, অবিশ্বাসে। যাদের এত কাছের ভেবে এসেছে তারা এতদিন ধরে ওর সাথে গেম খেলে এসেছে। আর অর্ষা, ওকে তো খুব সহজ মনে করেছিল। ডায়েরির ভাঁজে ভাঁজে আবদ্ধ কথাগুলো তো তাই জানান দিচ্ছিল। যার প্রতি একটু একটু করে ভালোবাসা সৃষ্টি হচ্ছিল। হঠাৎই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল। দর্শন চোখের কোন থেকে পানি মুছল। তারপর বইয়ের পাতা উল্টালো। অনেকক্ষণ ধরে পড়ার টেবিলে বসে পড়ার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। একটা লাইনও পড়া হয়নি। মন অশান্ত থাকলে পড়াশোনা কী করে হবে। বই রেখে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াল। দমকা বাতাস বইছে। ওর গায়ের শার্ট আর চুল অনবরত উড়ছে। বৃষ্টির ফোটা ভিজিয়ে দিচ্ছে ওকে। মনে হচ্ছে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি পড়ছে। শহরে সত্যি সত্যিই জলবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। দর্শন দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না। দ্রুত ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল। ঘরে যেতেই মোবাইলটা বেজে ওঠে। মোবাইলের স্কিনে রুশানের নামটা স্পষ্ট। দর্শন বইটা বন্ধ করে টেবিল গুছিয়ে নিল। ততক্ষণে কল কেটে আবারও বেজে উঠেছে। দর্শন বিরক্তি নিয়ে কল কেটে ওর নাম্বারটা ব্লক লিষ্টে রেখে দিল। লাইট অফ করে শুয়ে পড়ল। চোখজোড়া বন্ধ করে আবারও খুলল। মন ভালো করার জন্য ফেসবুকে যাওয়ার চিন্তা করল। মেসেঞ্জারে এত এত মেসেজ জমা হয়েছে। রুশান, অর্পা আর রাতুলের মেসেজ। দর্শন ইগনোর করে নিউজ ফিড স্ক্রোলিং করছে। হঠাৎ ইচ্ছে হলো অর্ষার আইডি চেক দিতে। সার্চ লিষ্টের প্রথমেই অন্বেষা হাসান। দর্শন খুব সাবধানে ওর আইডি সার্চ দিয়ে টাইমলাইন ঘাটছে। আজ নতুন পোস্ট এসেছে চার ঘন্টা আগে।
“একদিন তোমার নামে কালো খামে হাজার অভিমান লিখে হারিয়ে যাব।”
এই পোস্টে স্যাড আর লাভ রিয়েক্টের পাশাপাশি শ’খানেক আবেগ,উৎকণ্ঠাজনিত কমেন্ট। ছোট বড় সবার একই প্রশ্ন কী হয়েছে, কেউ দুঃখ দিয়েছে? ব্রেক আপ? কিন্তু ও কারো কমেন্টের রিপ্লাই করেনি। কমেন্ট স্ক্রল করতে করতে একজনের কমেন্টে রিপ্লাই দেখল। দর্শন থেমে গেল। অর্ষা রিপ্লাই করেছে,
“অভিমান নিয়ে হারিয়ে যাওয়ার পর সে আমাকে খুঁজবে। অবশ্যই খুঁজবে কিন্তু কঠিন সত্য হচ্ছে সে আমাকে আর পাবে না।”
দর্শন চোখ বুঝে বিরবির করে বলল,
“তুমি আমার সাথে এমন না করলে আজ গল্পটা অন্যরকম হতো। সবাই মিলে আমাকে ঠকিয়েছো, আমার আবেগ নিয়ে খেলেছো। সব জেনে বুঝে না জানার ভান করে আমার আশেপাশে ঘুরেছো। নিজেকে ছোট আর অসহায় লাগছে।”
হাজারো মানব-মানবীর মতো আরো একজন জেগে আছে। রাতের মেঘাচ্ছন্ন শহর যেন পাহারা দিচ্ছে। তার চোখে ঘুম নয় অশ্রু ঝরছে। কানে হেডফোন গুঁজে চোখের পাতা বন্ধ করে রেখেছে। সে বন্ধ চোখের পানি গাল বেয়ে পড়ছে। অর্ষা হাত দিয়ে চোখের পানি মুছে নিল।
“তোমার প্রতি আমার পাগলামি, আমার শুদ্ধ অনুভূতি কোনটাই কি তোমার চোখে পড়েনি? তোমাকে দেখার তৃষ্ণা যে আমায় কতটা কাতর করে দিত সেটা কখনো জানোনি। জানতে চাওনি। তুমি সবই জানতে। সব জেনেও কী করে নিশ্চুপ থেকেছো? আমার চোখে কী তোমার প্রতি ভালোবাসা দেখোনি? হয়তো চোখের দিকে কখনো তাকাওনি। আপসোস যদি দেখতে! যদি দেখতে তবে বুঝতে আমার অনুভূতি কতটা শুদ্ধ, আমি কতটা দগ্ধ, আমি কতটা বিধ্বস্ত। নিজেকে শেষ করে দিতে পারি কিন্তু তোমাকে কষ্ট দেওয়ার কথা! অসম্ভব! তুমি বুঝলে না। বুঝলে না শেহজাদ খান দর্শন। আহ, যদি বুঝতে।”
আরো এক ফোটা পানি চোখ বেয়ে পড়ল।
দর্শন সরাসরি ক্লাসে গিয়ে ফাঁকা বেঞ্চে একা গিয়ে বসে পড়ল। ওর ফ্রেন্ড সার্কেল সবাই ওর দিকে চেয়ে আছে। তারপর ওরা একে অপরের দিকে চাওয়াচাওয়ি করছে। কেউ কেউ ফিসফিস করে নিজেদের মধ্যে আলোচনাও করছে। কেউ রুশান আর অর্পার সঙ্গ দিচ্ছে আবার কেউ কেউ ওদের উপর ভীষণ ক্ষেপে আছে। ওদের জন্য দর্শন এখন বাকি বন্ধুদের সাথে কথা বলতে চায় না। মোটকথা বলে না। কল কিংবা মেসেজ কিছুরই রিপ্লাই পায়নি। দর্শন চুপচাপ বসে বই খুলে বসল। ক্লাসের পড়া ঠিকমতো কমপ্লিট করে আসেনি। স্যার যদি পড়া ধরে তাহলেই ফেঁসে যাবে৷ মনে মনে চাইছে স্যার যেন আজ পড়া না ধরে আর যদি ধরে ফেলে তাই নিজেকে কিঞ্চিৎ তৈরি করে নিচ্ছে। পুরোপুরি না পারলেও কিছুটা হলেও উত্তর দিতে পারবে এতে ওর সম্মানটা রক্ষা পাবে। দর্শন সেই চেষ্টাই করছে। অর্পা কিংবা রুশান কেউ ওর কাছে যাওয়ায় সাহস পাচ্ছে না। অর্পা তাই রুশানের দিকে মন খারাপ করে তাকাল। ওরা এই কাজের জন্য অনুতপ্ত। মনে হচ্ছে আগ বাড়িয়ে এই কাজটা না করলেই পারত। ওদের বন্ধুত্বটা সুন্দর থাকত। দর্শন নিজের পার্সোনাল লাইফ নিজেই বুঝে নিত। ওর পার্সোনাল লাইফে কেন যে হস্তক্ষেপ করতে গিয়েছিল। মাথা ঠুকে মরে যেতে ইচ্ছে করছে। অর্পা ওর দিকে একবার দেখে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দৃষ্টি সরিয়ে নিল।
কলেজের সময় পাড় হয়ে গেছে কিন্তু অর্ষা এখনো রুম থেকে বের হয়নি। বিছানাই ছাড়েনি। ওর বাবা বুঝতে পারছে না মেয়ের কী হয়েছে। একমাত্র মেয়ে। এই মেয়েই উনার জীবন। তিনি মেয়ের রুমের দরজায় নক করল। কয়েকবার নক করার পর অর্ষা জিজ্ঞেস করল,
“আব্বু?”
“হ্যা, মা। আসব?”
অর্ষা উঠে বসতে বসতে বলল,
“হ্যা, আব্বু আসো। দরজা খোলাই আছে।”
অর্ষার বাবা অফিসের পোশাক পরেই মেয়ের ঘরে ঢুকল। রুমটা বেশ অগোছালো হয়ে পড়ে আছে। কাজের চাপে দুদিন যাবত মেয়ের রুমে আসেননি। নাস্তা আর ডিনারের টেবিলেই দেখা হয়েছে ওর সাথে।
তিনি অর্ষার বিছানায় বসে আদুরে কন্ঠে বলল,
“আমার মামনির কী হয়েছে? মন খারাপ?”
অর্ষা মলিন হেসে বলল,
“না, আব্বু।”
“তাহলে দুদিন ধরে কলেজে যাচ্ছো না কেন? কোন সমস্যা হয়েছে?”
“না আব্বু। এমনি যাইনি। আজ একটু পেট ব্যথা করছে। তাই যাওয়া হলো না।”
অর্ষা কথাগুলো বলে মাথা নিচু করে নিল।
অর্ষার বাবা ভাবলেন মেয়ের পেট ব্যথা। বুয়ার কাছে শুনেছে শুয়ে থাকে সারাদিন। মেয়ে বড় হয়েছে কত রকম সমস্যা হতে পারে তাই প্রশ্ন করে দ্বিধায় ফেলতে চায় না।
রুমের চারদিকে চেয়ে বলল,
“রুমের যে অবস্থা অসুস্থ তো হবেই। শরিফা কী করে? ও রুম পরিস্কার করে দেয় না কেন? আমি ওকে বলে যাব তোমার রুম পরিস্কার করে দিবে। অন্য কোন সমস্যা হলে বলো। আমি সমাধান করে দেব।”
“না, আব্বু। অন্য কোন সমস্যা নাই। তোমার দেরি হয়ে যাচ্ছে। অফিসে যাও।”
“আমি দু’ঘন্টা পরে গেলেও সমস্যা নেই। তাছাড়া অফিসের চেয়ে আমার মেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এভাবে সারাদিন শুয়ে থেকো না। একটু হাঁটাহাঁটি করো ভালো লাগবে। তুমি কি টেবিলে খাবে না এখানে পাঠিয়ে দেব?”
অর্ষা উত্তর দেওয়ার আগেই বাবা বলল,
“থাক৷ এখানেই পাঠিয়ে দিচ্ছি। তুমি উঠে ফ্রেশ হয়ে নেও।”
“আচ্ছা, আব্বু। তুমি টেনশন করো না।”
অর্ষার বাবা ওর ঘর থেকে চলে গেলে অর্ষা আবারও ধপ করে শুয়ে পড়ল৷ মাথার চুলগুলো এলোমেলো হয়ে আছে।
দর্শন ক্লাস শেষে লাইব্রেরীতে যাচ্ছে। তখনই অর্পা ওকে ডাকছে। কিন্তু দর্শন ওর কথা শুনছে না। অর্পা দৌড়ে ওর সামনে গেল।
“দর্শন, প্লিজ আমার কথাটা শুনো। প্লিজ।”
দর্শন ওকে পাত্তা দিচ্ছে না। রুশানও ওর সামনে এসে দাঁড়াল।
“দর্শন এমন করিস না। আমাদের ভুলের শাস্তি কেন সবাইকে দিচ্ছিস?”
দর্শন দাঁড়িয়ে গেল। দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
“কারণ বন্ধুত্ব শব্দটার কোন মানে নেই আমার কাছে।”
“দর্শন এভাবে বলিস না। আমাদের ক্ষমা করে দে। দেখ, আমি বুঝতে পারিনি এমন কিছু হবে। তুই এতটা রেগে যাবি এটাও ভাবিনি। আমি তো তোর ভালোর জন্যই….
দর্শন দ্বিগুণ গর্জে উঠে বলল,
“ভালোর জন্য? পুরো কলেজের সামনে কিভাবে অপমানিত হয়েছি ভুলে গেছিস?”
“তোর চেয়ে বেচারি অর্ষা বেশি অপমানিত হয়েছে। ও জনসম্মুখে রিজেক্ট হয়েছে। দু’দিন ধরে কলেজে আসছে না। কারো কল ধরছে না।”
“ওকে কে বলেছিল আমার সাথে এই নোংরা খেলা খেলতে?”
রুশান এইবার নিজে ক্ষেপে গেল। চিৎকার করে বলল,
“ও কোন গেম খেলেনি। বারবার বলছি তবুও একই কথা কেন বলছিস?”
দর্শন অবাক হয়ে ওর দিকে চেয়ে রইল। ওর চেহারার এক্সপ্রেশন বলছে এখানে একটা ভুল বুঝাবুঝি আছে।
অর্পা ঠান্ডা কন্ঠে বলল,
“হ্যা, দর্শন। অর্ষা এসবে ছিল না। আর না কিছু জানত।”
“এটা কী করে সম্ভব? ও তো বেশিরভাগ সময় তোমাদের সাথে থাকত, আড্ডা দিত, ফুসুরফুসুর করত। এ-সব কেন?”
“ওসব তোমার বোঝার ভুল। ওকে আমরা ডাকতাম তোমার কাছাকাছি আনার জন্য। ও শুধু আমার খাতিরে আসত। ও প্লান তো দূরের কথা ও তো জানেই না যে আমরা ওর ফিলিংসের কথা জানি। সবটাই আমি আর রুশান করেছি। তাই যদি শাস্তি দিতে হয় আমাদের দেও৷ অর্ষাকে প্লিজ ভুল বুঝো না। ও নির্দোষ। ওর মনটা অনেক সফট তাই ভাঙতে সময় লাগেনি। তুমি চাইলেই জোরা দিতে পারো।”
দর্শন ভাবতে পারছে না কিছু। ও কী করে ফেলল। অর্ষাকে ভুল বুঝল। অর্ষাকেও কষ্ট দিল নিজেও কষ্ট পেল৷ না জানি মেয়েটার কী অবস্থা।
“অর্ষা কলেজে আসছে না দর্শন। হয়তো তোমার জন্যই। সেদিন এতগুলো মানুষের সামনে অনেক অপমানিত হয়েছে। একবার ওর জায়গায় নিজেকে দাঁড় করিয়ে দেখো।”
“তোরা কেন এ-সব করতে গেলি? তোদের জন্য সব হয়েছে। তোদের জন্য সেদিন সিনক্রিয়েট হয়েছে। আর আলিশা? আলিশা কেন সেদিন এভাবে ওকে অপদস্ত করল? ওর সাথে কিসের শত্রুতা?”
“জানি না। অর্ষা এলেই বুঝা যেত। অথবা আলিশা বলতে পারবে।”
দর্শন চুপ করে আছে। অর্পা আবারও বলল,
“আমি অর্ষার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। প্রিয়া বলছে ওর সাথে অর্ষার যোগাযোগ হয় না। ও নাকি কল রিসিভ করে না।”
দর্শন একবার ওদের দিকে চেয়ে মলিন মুখে লাইব্রেরীর দিকে গেল। তবে লাইব্রেরি নয় ওয়াশরুমে গেল। ওয়াশরুমে গিয়ে আয়নার দিকে তাকাল। নিজেকে দেখল।
তারপর বলল,
“ছিহ! আমি এত জঘন্য? একটা মেয়েকে এভাবে কষ্ট দিলাম?”
দর্শন কিছুক্ষণ পরে বের হয়ে গেল। ওর চোখমুখ ফোলা। মুখে পানি দেওয়া। গন্তব্য ফার্স্ট ইয়ার ক্লাস।
…..
আরো দুদিন চলে গেল। অর্ষা কলেজে আসছে না। আর না দর্শন পারছে কোন উপায়ে ওর খোঁজ করতে। অর্ষা ফেসবুক থেকে ওকে ব্লক করেছে অনেক আগেই। তাই দর্শন চেয়েও একটা টেক্স করতে পারেনি। আজ না পেরে প্রিয়ার সাথে কথা বলতে গেছে।
প্রিয়ার বুক ঢিপঢিপ করছে। এই কাঁপা হৃদয় নিয়ে দর্শনের সামনে উপস্থিত হলো।
দর্শন বেঞ্চের উপরে বসে আছে। প্রিয়া দূর থেকে এক নজর দেখে সাহস নিয়ে ওর সামনে গিয়ে দাঁড়াল।
“আসসালামু আলাইকুম।”
“ওয়া আলাইকুমুস সালাম। ভালো আছো?”
“জি।”
“আচ্ছা তোমার বান্ধবীর কী খবর?”
“কোন বান্ধবীর?”
দর্শন কিঞ্চিৎ বিরক্ত হলো। কারণ কোন বান্ধবীর কথা বলছে সেটা অজানা নয় ওর।
তবুও ভদ্রতা দেখিয়ে বলল,
“অর্ষার কথা বলছি।”
“ও কলেজে আসে না।”
“সেটা আমিও জানি। যদি আসত তবে তোমাকে ডাকতাম না।”
“তবে ডেকেছেন কেন?”
“লুডু খেলতে। খেলবা?”
প্রিয়া ভ্রু কুঁচকালো। মনে মনে বলল এ তো শয়তানের হাড্ডি।
দর্শন তারপর গম্ভীরমুখে বলল,
“ওর সাথে তোমার কথা হয়? কলেজে কেন আসে না?”
“ওর সাথে আমার কথা হয় না। কল রিসিভ করে না।”
“বাসা চিনো না?”
“চিনি। একবার গিয়েছিলাম। কথা বলেনি। দরজা থেকে বলেছিল আমি কারো সাথে কথা বলতে চাচ্ছি না। বাসায় যা। এই বলে দরজা মুখের উপর বন্ধ করে দিয়েছে।”
দর্শন বিরবির করে বলল, বেয়াদব মেয়ে।
“ঠিক আছে। আগামীকাল কলেজে আসার আগে তোমার সাথে ওর বাড়িতে যাব। আমার নাম্বার নোট করো। একটা কল দিও সব ফিক্স করে নেব। আর হ্যা এটা যেন অর্ষা না জানে।”
…..
অর্ষা ড্রয়িংরুমে বসে বসে টিভি দেখছে। ওর বাবা কিছুক্ষণ আগে অফিসে গেছে। তখনই কলিং বেল বেজে ওঠে। বুয়া রান্নাঘরে তাই ও নিজে দরজা খুলতে গেল। দরজা খোলে কলেজ ড্রেস পরা প্রিয়াকে দেখে কপাল কুঁচকে বিরক্তি নিয়ে বলল,
“তোকে না আসতে নিষেধ করেছি।”
প্রিয়া ইনোসেন্ট মুখ করে বলল,
“আমি আসিনি। আমাকে নিয়ে এসেছে।”
“কে?”
ডান পাশে দর্শন দাঁড়িয়ে ছিল। প্রিয়া আঙুল দিয়ে ওকে দেখাল। ওকে দেখে অর্ষা ভূত দেখার মতো চমকে উঠে।
চলবে…..
(গঠনমূলক কমেন্ট চাই।😒)