#কৌমুদিনী
#তাফসিয়া_মেঘলা
#পর্ব ২৩
চন্দ্রিকা উষ্ঠ কোণে হাসির রেশ রেখেই শ্রেয়াসের দিকে ফিরলো৷ এক হাত শ্রেয়াসের কাধে রাখলো আরেক হাত বা বক্ষে তবুও মাঝে কথা দূরত্ব ঘুচলো না রয়েই গেলো এক হাত দুরত্ব৷ শ্রেয়াস প্রশ্ন বোধক চাওনি দিয়ে তাকালো৷ চন্দ্রিকা শ্রেয়াসের নেত্র যুগোলে দৃষ্টি মিলালো অতঃপর হাসলো কিছুটা যার শ্রেয়াসের ওষ্ঠ কোণেও হঠাৎ হাসি ফুটলো কিছুটা৷
চন্দ্রিকা ফিসফিসিয়ে বললো,
“জানি না আমি, কিচ্ছু জানি না৷ ”
বলেই কিছুটা দূরে সরে এলো৷ শ্রেয়াসে উষ্ঠ কোণে সেই হাসির রেশ স্পষ্ট৷ মেয়েটা বরই অদ্ভুত তার সাথে থাকলে সে ও অদ্ভুত হয়ে যাবে এ নিশ্চিত৷ তবে এ অদ্ভুত মেয়েটাকে তার চাই একেবারের জন্য নিজের করে চাই৷ অদ্ভুত এক মায়ায় জরিয়েছে৷ রহস্যময়ী রাজকুমার রৌজাফ শ্রেয়াস কে নিজের মায়ায় ফাসিয়েছে বিনা অনুমতিতে৷ রাজকুমার রৌজাফ শ্রেয়াস এর অন্তকরনে তার অনুমতি ব্যাতিত জায়গা দখল করে নিয়েছে শাস্তি তো প্রাপ্ত কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি৷ শ্রেয়াস গিয়ে চন্দ্রিকার কাছে পাশে গিয়ে দাঁড়ালো তার চন্দ্রাবতী এমন কি শান্তি খুঁজে পাচ্ছে ওই অন্তরিক্ষের দিকে তাকিয়ে? সেও প্রেয়সীকে অনুকরণ করে অন্তরিক্ষে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো৷ প্রেয়সীর সাথে দাঁড়িয়ে থাকার অনুভূতি অন্যরকম৷ প্রেয়সী সাথে থাকলে অনন্তকাল এভাবে দাঁড়িয়ে থাকা সুখকর বলে মনে হলো শ্রেয়াসের৷
৪৪
এলোমেলো অবস্থায় নিজের কক্ষের বিছানার সামনে হাটু গেরে বসে আছে ফারহান৷ সামনেই এলোমেলো অবস্থায় পরে আছে মিফতা আর চন্দ্রিকার ছবি৷ ছবিগুলোয় র’ক্তে মাখো-মাখো হয়ে আছে৷ সে দিনের কাঁ’টা হাতের ক্ষতটা আরো বেরেছে৷ একটু আগে বারি খেয়ে সেই থেকে র’ক্ত পরছে ব্যা’ন্ডেজ দিয়ে৷
ওই অন্তরিক্ষের মত নিজেও রুক্ষ হয়ে আছে ফারহান৷ কখনো রাগে ক্ষোভে পাগলামো করছে কখনো ফুপিয়ে উঠছে৷
এতো বড় ছেলে কে এমন করতে দেখে ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে আছে চন্দ্রিকার মা আর ফারহানের মা মারজিয়া৷ সামনে ঘেঁষতেও পারছে না ছেলের৷ মারজিয়া বেগম কপাটের সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে৷ ভিতরে যেতে নিলেই এটা ওটা ছুঁড়ে মারছে ফারহান৷ চন্দ্রিকা যাওয়ার পর থেকে এমন করছে ছেলেটা কয়েকবার মহলে যেতেও চেয়েছিলো মারজিয়া বেগম হাতে পায়ে ধরে আটকেছে৷ ওখানে গিয়ে যদি পাগলামো করে গর্দান যাবে নিশ্চিত৷ হাসপাতালে যাওয়া বন্ধই করে দিয়েছে৷
কিন্তু ছেলের এমন ব্যাবহারে অতি মাত্রায় বিরক্ত মারজিয়া বেগম৷ ছেলে কখনো রেগেমেগে সব কিছু ভা’ঙচুর করছে আবার কখনো চন্দ্রিকার ছবি হাতে নিয়ে ফুপিয়ে উঠছে৷ দু’দিন যাবত এমন পাগলামো করছে ফারহান৷ ছোট বেলায় যে ফারহান জন্ম নেওয়ার পর ডাক্তার বলেছিলো মাথার ব্যামো আছে ব্যামো টা কি বেরে পাগল টাগল হয়ে গেলো নাকি ছেলেটা? ভাবলো মারজিয়া বেগম৷
এই ছেলে পাগল হয়ে গেলে এই ছেলেকে টানবে কে? আর টাকা পাবে কোথায় সে আর? ছেলে এখন যত টাকা কামাই করে তখন তো তাহলে পথে নামতে হবে৷ না সে চায় না এমন টা৷ তার টাকা দরকার অনেক, তার জন্য ছেলেকে ঠিক রাখতে হবে ভাবলো মারজিয়া বেগম৷
ছেলের এই অবস্থায় তার ছেলের জন্য কষ্ট হলো না টাকার কথাই তার মনে পরলো৷
মারজিয়া বেগমের রাগ হলো ওই মেয়ের উপর সব ওই মেয়ের জন্য হচ্ছে৷ কিন্তু এই ছেলেই বা ওই মেয়ের মাঝে কি পেয়েছে এটাই বুঝতে পারছে না৷ নিশ্চিত মেয়েটা ছেলেটাকে ফা’সিয়েছে৷
কিন্তু তার মাথায় ঢুকছে না রাজকুমারি মিফতার ছবি ফারহানের কাছে কেন? অদ্ভুত লাগছে তার সব কিছু৷
মারজিয়া বেগম ঠিকঠাক হয়ে দাঁড়িয়ে চন্দ্রিকার মায়ের উদ্দেশ্যে রূঢ় কন্ঠে অশ্রাব্য ভাষায় গালি দিয়ে বললো,
” তোর ওই বে** মেয়ের আমার ছেলেটা এমন করছে৷ ছেলের কিছু হলে তোর ওই মেয়েকে আমি খু’ন করবো৷”
মারজিয়া বেগমের কথা চন্দ্রিকার মা কানে না নিলেও ফারহানের কান এড়ালো না৷ ক্রুদ্ধ দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো মায়ের দিকে ফারহান৷
মারজিয়া বেগম ছেলের দৃষ্টি দেখলো না সে ফের বললো,
” এক তো আমার ছেলেটাকে ফা’সিয়েছে আমার ভালো ছেলেটাকে পাগল করে ছাড়লো? তোর মেয়ে কে ছাড়বো না আমি আমার ছেলেকে ফা’সিয়ে আবার ওই রাজকুমারের গলায় ঝুলেছে৷ বাড়ি ফিরুক ওর হাল কি করি দেখবি এবার৷ ”
মায়ের কথায় এবারো রাগ হলেও শ্রেয়াসের কথা মাথায় এলো রাগ বাড়লো আরো৷ শ্রেয়াস তার চন্দ্রকে নিয়ে গেছে ওর কাছ থেকে ছাড়বেনা কাউকে৷ ছাড়বে না৷
হঠাৎ ফারহানের কি হলো কে জানে? শান্ত হয়ে গেলো একেবারে, উঠে দাঁড়ালো৷ কৃত্রিম মাটিতে পরে থাকা ছবি গুলো তুলে আলমারিতে তুলে রাখলো৷ ছেলের মতিগতি বুঝলো না মারজিয়া বেগম৷ কি হলো হঠাৎ? এমন শান্ত হওয়ার কারণ? ঝড়ের পূর্বাভাস? সেই আলমারি থেকে কিছু একটা বের করে পকেটে ঢুকিয়ে এক প্রকার দৌড়ে কোথাও একটা বেরিয়ে গেলো ফারহান৷ ছেলের এহেন কান্ডে অবাক হলো চন্দ্রিকার মা আর মারজিয়া বেগম৷ কি চলছে আবার এই ছেলের মনে? কোথায় গেলো? আর হঠাৎ কি বা মনে পরলো যে শান্ত হয়ে গেলো? আলমারি থেকে কি বের করলো?
৪৫
হঠাৎই চুড়ির ‘রুনঝুন’ ধ্বনিতে ধ্যান ভাঙে শ্রেয়াসের৷ অন্তরিক্ষ থেকে দৃষ্টি নামায়, সত্যি এভাবে অনন্তকাল পার করা সহজ বলে মনে হলো৷ অনেকটা সময় কেঁ’টে গেছে৷ সময় গুলো এতো তাড়াতাড়ি পার হলো কি করে বুঝলোই না৷ এবার অন্তরিক্ষ থেকে দৃষ্টি সরিয়ে চন্দ্রিকার সম্মুখে পূর্ন দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো শ্রেয়াস৷ চন্দ্রিকার দৃষ্টি আকাশেই নিবদ্ধ৷ বৃষ্টি আসবে বলে আজ ও এলো না তার ধ্বংস লীলা থেমে এলো৷ আজকের বৃষ্টিহীন ঝরে প্রায় অনেক গাছ ঢলে পরেছে৷
ছাদটা বকুল ফুল দিয়ে ছড়ানো ছেটানো আছে, যার গন্ধে ‘ম ম ‘ করছে সব কিছু৷
হঠাৎ পিছনে ঘুরতেই ক্ষানিকটা দূরে তার দেহরক্ষী কে দেখে চোখ মুখ শক্ত হয়ে এলো শ্রেয়াসের৷ সে চন্দ্রিকার দিকেই তাকিয়ে আছে৷ তা দেখে রাগ বারলো শ্রেয়াসে৷ তার দিকে রক্তিম দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো যেন এখনই ওর দৃষ্টি দিয়ে ঝলসে দিবে লোকটাকে, ভস্ম করে দিবে৷
দেহরক্ষী টা এবার ভীতি হয়ে এগিয়ে এলো আমতা আমতা করে এড়ানোর জন্য বললো,
” কিছু কাজে শহরে যেতে হবে রাজকুমার৷ ”
শ্রেয়াস থমথমে কন্ঠে উত্তর দিলো,
“আমি যাচ্ছি না প্রিয়ম যাবে৷ ”
দেহরক্ষী শির নিচু করে নমনীয় কন্ঠে বলে,
“নবাব আপনাকে যেতে বলেছে রাজকুমার৷ ”
শ্রেয়াস এ নিয়ে আর কিছু বললো না শুধু শুধালো,
” যাও এখান থেকে৷ ”
বলে থামলো শ্রেয়াস অতঃপর একবার চন্দ্রিকার দিকে তাকালো তার দৃষ্টি ধ্যান জ্ঞান কোনটাই এদিকে নেই বুঝলো৷ দেহরক্ষীটির ক্ষানিকটা কাছে গিয়ে ফিসফিসিয়ে বললো,
” দৃষ্টি সংযত করো নয়তো এই সুন্দর ধরণি দেখার জন্য ওই নেত্র যুগোল আর ঠিক থাকবে না৷ ”
বলেই হাসলো শ্রেয়াস৷ কুটিল হাসি৷ যে হাসি দেখে অন্তর আত্মা কেঁপে উঠলো দেহরক্ষী টির৷ সে এক প্রকার দৌড়ে প্রস্থান করলো৷
” আজ থেকে আপনার জন্য শাড়ি পরা নিষিদ্ধ মেয়ে৷ পরবেন না শাড়ি আমার কথা অমান্য করলে আপনার জন্য ভালো হবে না বলে দিলাম চন্দ্রাবতী৷ ”
হঠাৎ শ্রেয়াসের কথা কর্ণকুহরে বাজলো চন্দ্রিকার৷ তবে শ্রেয়াসের কথায় ভাবভঙ্গি পাল্টালো না চন্দ্রিকার, সে যেন শুনেইনি৷ মনোযোগ দিয়ে যেন সে মহা মূল্যবান কাজ করছে৷ শ্রেয়াস লক্ষ্য করলো ব্যপার টা রাগ হলো তার৷ বিরক্ত হলো শ্রেয়াস৷ অতি মাত্রায় রাগের সাথে বিরক্ত ও হলো৷ এ মেয়ে কোন কথা শুনে না কেন? নাকি শুনেও এমন না শোনার ভান করে থাকে? সে দিনো একই কাজ করেছে এই মেয়ে৷ ইচ্ছে করছে কানের নিচে ঠাটিয়ে দিয়ে জিগ্যেস করতে কথা শুনছে না কেন?
জলজ্যান্ত এক মানুষ সামনে দাঁড়িয়ে আছে সে ওকে উপেক্ষা করে ওই মেঘাচ্ছন্ন আকাশ দেখায় ব্যস্ত?
এবার শ্রেয়ার হিংসেও হলো৷ কেন তা প্রেয়সী তাকে ছেড়ে আকাশ দেখবে?
এ মেয়ে কি কখনো ঠিক হবে না? সর্বকাল এমনই থাকবে?
“আমার কথা শুনেও কেন এমন করে দাঁড়িয়ে আছেন?”
চন্দ্রিকা এবার দৃষ্টি সরিয়ে শ্রেয়াসের দিকে তাকালো অতঃপর থমথমে কন্ঠে প্রশ্ন ছুড়লো,
” আপনার মনে হচ্ছে না আপনি একটু বেশি বাড়াবাড়ি করছেন? ন্যাকামি আমার একদম পছন্দ নয় রাজকুমার৷”
শ্রেয়াস এবার ক্ষেপে উঠলো৷ সে বাড়াবাড়ি করছে? এসব ওর কাছে বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে? এ মেয়ে এক বার নয় বারংবার শ্রেয়াস কে উপেক্ষা করছে৷ তার কথাকে ন্যাকামি বলছে৷
শ্রেয়াস চন্দ্রিকার সম্মুখে এগিয়ে গেলো যার দরুন তাদের মধ্যকার ক্ষানিকটা দুরত্ব ঘুচলো৷ চন্দ্রিকা তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো শ্রেয়াসের পানে তখনই শ্রেয়াস এক হাতে চন্দ্রিকার বাহু চেপে আরেক হাতে চন্দ্রিকার গাল চেপে বলে,
” মে’রে দেবো এখানেই৷ আমি যা নিষিদ্ধ বলেছি তা আপনার জন্য নিষিদ্ধই৷ আমার সিদ্ধান্ত বদলাতে যাবেন না ভালো হবে না আপনার জন্য চন্দ্রাবতী৷৷ ”
বলে থামলো অতঃপর গাল ছেড়ে চন্দ্রিকার দুই বাহু আঁকড়ে ধরলো থমথমে কন্ঠে বললো,
” আমি আপনাকে আঁঘাত করতে চাই না চন্দ্রাবতী, আপনাকে আমি হৃদ পিঞ্জিরাবদ্ধ করে রাখতে চাই৷ নিজের প্রণয়ে আপনাকে ভস্ম করতে চাই৷ ”
বলে ফের থামলো শ্রেয়াস৷ তার কি হলো কে জানে? প্রেয়সীকে নিজের সাথে অলিঙ্গন করলো সন্তপর্ণে ৷ এমন জরিয়ে ধরায় থমকালো চন্দ্রিকা,ভরকালো, চমকালো কিঞ্চিত৷
শ্রেয়াস এবার কর্ণ দ্বয়ের সম্মুখে মুখ নিয়ে ফিস ফিসিয়ে বললো,
” আপনার এই ভয়ংকর রুপ কেউ দেখুক আমি চাই না চন্দ্রাবতী৷ এই রুপ শুধু আমাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে৷ সারা দুনিয়ার সামনে আপনি সর্বদা রহস্যময়ী হয়ে থাকুন না হয় আপাদত? ”
কিছু বললো না চন্দ্রিকা জরিয়েই রইলো চুপটি করে৷ প্রণয় আর প্রাণ এর কন্ঠ কর্ণকুহরে বাজছে কিছুক্ষণ পর পর৷ ‘চন্দ্রাবতী চন্দ্রাবতী ‘ বলে ডাকছে বারংবার৷ তারা শ্রেতাস কে পছন্দ করে না তাই বুঝি চন্দ্রিকা কে সরে আসতে বলছে? তাদের শ্রেয়াসকে একটুও পছন্দ নয়৷ এহেন ডাক শুনে শ্রেয়াস অবাক হলো, অবাদ্ধ পাখি দুটো নতুন বুলি শিখেছে নাকি? ‘চন্দ্রাবতী’ বলছে যে? বাহ বেশ উন্নত হয়েছে৷
কিন্তু এ নাম শুধু ও ডাকবে আর কেউ না৷ শ্রেয়াস রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো পাখি দুটোর দিকে পাখি দুটো কি বুঝলো কে জানে? তারা আরো বেশি কিচিরমিচির শুরু করে দিলো৷
হঠাৎই চন্দ্রিকা অদ্ভুত এক প্রশ্ন করে বসলো,
“শাহনেওয়াজ কে খু’ন করলেন কেন শ্রেয়াস?”
শ্রেয়াস চমকালো না চন্দ্রিকার মত সে ও উত্তর দিলো না৷
চন্দ্রিকা ফের কিছু বলবে এর আগে এক বিকট শব্দ হলো৷ গু’লির শব্দ যা তাদের দুজনের মধ্যে থাকা পায়ের দিকের কিঞ্চিৎ ফাঁকা দিয়ে আলতার কৌট টায় লাগলো সাথে সাথেই আলতার কৌট টা ভে’ঙে লাল আলতা গুলো র’ক্তের ন্যায় ছিঁটকে চন্দ্রিকার সাদা শাড়িটা এসে রক্তিম করে দিলো শাড়িটা৷ বিস্ময় চোখে দুজনেই সে দিকে তাকালো৷
চলবে,
[নোটঃ ১৪৩৫ শব্দ সংখ্যা৷
এখন নিশ্চয়ই আর ছোট বলবেন না? অনেক ব্যাস্ত আম্মুকে সাহায্য করছি কাজে, মার্কেটে যেতে হচ্ছে প্রায় প্রতিদিনই৷ তবুও সময় খুঁজে বিশাল বর্ব লিখেছি , ঈদ এর আগে পারলে ছোট করে আরেক পার্ট দিবো৷ ঈদের চার-পাঁচ দিন গল্প দিতে পারবো না আশাকরি বুঝবেন? অগ্রিম ঈদ মুবারক৷ বাই দ্যা রাস্তা সালামি পাঠিয়ে দিয়েন😒]