বৃষ্টিশেষে প্রেমছন্দ পর্ব-১২

0
1841

#বৃষ্টিশেষে_প্রেমছন্দ💖
#মুমুর্ষিরা_শাহরীন

১২.
সবার পেছনে ছুটে চলেছে আদরের মোটরসাইকেল। আদরের কিছুটা আগে যাচ্ছে আর্দ্রর গাড়ি। টিকলি ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো আদরের দিকে। টায়রা আদরের কাধে এক হাত রেখে আরেক হাত দিয়ে ব্যাগ ধরে আনমোনা হয়ে কোথাও তাকিয়ে ছিলো। দুটো গাড়ির মধ্যে যে খুব বেশি ফারাক তা নয়। কাছাকাছি চলছে। আর্দ্রর গাড়ি থেকে এক ফিট দূরে হবে আদরের গাড়ি। টিকলি বহুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো আদরের পানে। আদর একবাক্যে সামনের দিকে চেয়ে গাড়ি চালাচ্ছে। তার চোখের মনি দুটি একবারো ঘুরলো না টিকলির দিকে। একবার চেয়ে দেখলো না এক অপরূপ রমনী তার পানে নিজের অগাধ গহন দুটি চোখ মেলে দিয়েছে। কেনো জানি না টিকলি অসহায় হয়ে পরলো। স্নিগ্ধ চোখ দুটো দিয়ে আদরের পানে তাকিয়েই ভাবলো, ‘সে কি রাগ করলো?’

টিকলি চোখ ঘুরিয়ে বিষন্ন মনে সামনে তাকালো। মন খারাপের ঝিরিঝিরি বৃষ্টি নেমে গেছে। এই ঝিরিঝিরি বৃষ্টিগুলো জানতে পারলো না আদর ঠিক দেখেছে দুটি প্রগাঢ় অভিলাষী চোখ তার সাদৃশ্যে তাকিয়ে ছিলো। টিকলির দিকে সরাসরি না তাকালেও তার মনোযোগ আটকে ছিলো টিকলিতে। সে দেখেছে টিকলিকে তাকিয়ে থাকতে কিন্তু কোনো এক চাপা অভিমানে আদরের পুরোদস্তুর আর তাকানো হয়ে উঠলো না। টিকলি যখন সামনে ফিরে তাকালো আদর তখন এক নজর টিকলিকে পেছন থেকে ভালোভাবে দেখলো। তারপর আবারো মোটরসাইকেল চালানোতে মনোনিবেশ করলো।

,

কমলার দিঘি থেকে প্রায় এক ঘন্টার ব্যবধানে হাতিয়ার শেষ প্রান্ত অর্থাৎ মোক্তারিয়া ঘাটে পৌছে গেলো ওরা। সেখান গিয়ে ড্রাইভারদের ভাড়া ও মোটরসাইকেল বুঝিয়ে দিলো। মোক্তারিয়া ঘাট থেকে স্পিডবোট বা ট্রলারে করে যেতে হয় বন্দরটিলা ঘাট অর্থাৎ নিঝুম দ্বীপের এক প্রান্ত।

আদররা স্পিডবোট ভাড়া করলো। আদর ব্যাগ গুলো একে একে এনে স্পিডবোটে রাখলো। স্পিডবোট টা ঘাট থেকে অল্প একটু দূরে। লাফিয়ে উঠতে গেলে পরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। টিকলি হাত বাড়িয়ে দিলো আদরের দিকে। আদর সম্পূর্ণ তাকে উপেক্ষা করে ট্রলি ব্যাগগুলো টেনে স্পিডবোটে তুলতে ব্যাস্ত হয়ে পরলো। টায়রা পাশ থেকে তখন চেঁচিয়ে বলল, ‘ভাইয়া হাতটা ধরুন না।’

আদর সৌজন্যে হেসে টায়রাকে হাত ধরে টেনে উঠালো। টায়রা স্পিডবোটে উঠে টিকলির দিকে তাকালো সাথে বলল, ‘হাইরে! তুই এখনো গাধার মতোন তাকিয়ে আছিস? নে উঠ দেখি।’ টায়রা হাত বাড়ালো টিকলি জোরপূর্বক হেসে হাত ধরে উঠে আসলো।

বন্দরটিলা ঘাটে পৌছাতে সময় লেগেছে মাত্র কয়েক মিনিট। স্পিডবোট চলতে শুরু করতেই দেখা গেলো পানির ঝলকানি। টিকলি টায়রা পানিতে হাত রাঙালো, ঝাপটালো, আবেশিত হলো।

টিকলি আর টায়রা বসেছে পাশাপাশি। ওদের সামনেই আদর আর আর্দ্র বসেছে পাশাপাশি। সামনের দিকে তাকালেই চারজনা চারজনের মুখচ্ছবি স্পষ্ট দেখতে পারছে। টিকলি বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো আদরের দিকে কিন্তু এই কয়েক মিনিটের মাঝে আদর একবারো মুখ তুলে চেয়ে দেখলো না টিকলির ওই গভীর কূপের দুটো অসহায় চোখ। যে চোখ বলছে, ‘আমার অপরাধ কি?’

অন্যদিকে, তখনের পর টায়রার সাথে আর্দ্রর আর কথা হয়নি। সবার মাঝে এক গোপন অভিমানের পালা চলছে। কিন্তু কেনো? কি অর্থ এই অভিমানের? অচেনা অজানা মানুষের সাথে আড়ালে আবডালে অভিমান কি মানায়? অভিমান কি যার তার উপর আসে? এই আড়ালে অভিমানটার উপর থাকে না বলা এক অধিকার। ওদের চারজনের কি সেই অধিকার হয়েছে? নাহ..হয়নি তো! তবে কেনো এই অভিমান? অভিমান যে অনেক দামী। যার তার সাথে করতে নেই। তা কি এই চার যুবক-যুবতী বুঝে না?

,

স্পিডবোট থেকে নামার সময় যথারীতি আদর সবার আগে নেমে আবারো ব্যাগপত্র নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পরলো। টিকলি এবার আর হাত বাড়িয়ে দিলো না। কিন্তু সে নামতে হিমশিম খাচ্ছে। ভয় পাচ্ছে। ভাবছে, যদি নামতে গিয়ে স্পিডবোট পিছিয়ে যায় তখন তো টিকলি পানিতে পরে যাবে। গুরুতর কিছু না হলেও মান সম্মানের ফালুদা হয়ে যাবে।
এইতো… কাছাকাছি দেখা গেলো আর্দ্রকে। টিকলি গলা ছেড়ে আর্দ্রকে ডাক দিলো। আর্দ্র এসে নামিয়ে নিয়ে গেলো টিকলিকে।

টিকলির ডাক ঠিক কর্ণপাত হয়েছে আদরের। তার মনের মোমবাতিটার আলো আরেকটু হালকা হয়ে এলো। এরপরের বার বুঝি নিভেই যাবে। মনের মোমবাতির নিভু নিভু আগুনের জ্বলন্ত শিখাগুলো একটাই প্রশ্ন করলো, ‘আমাকে কেনো ডাকলেন না টিকলি?’

টায়রা দাঁড়িয়ে ছিলো টিকলির পেছনে। আর্দ্র এসে টিকলিকে নামিয়ে নিয়ে গেলো কিন্তু তার দিকে এক পলক অবহেলায় তাকিয়ে চলে গেলো। টায়রাও যে পানি ভয় পায়!

সবার ব্যাগ নামিয়ে আদর ভাবনায় বিভোর টায়রাকে বলল, ‘দাড়িয়ে আছো কেনো টায়রা? এসো নেমে এসো।’ আদর হাত বাড়িয়ে দিলো। টায়রা হালকা করে হেসে আদরের হাত ধরে নেমে এলো।

সব কেমন এলোমেলো হয়ে গেলো! এই এলোমেলো ঘটনাগুলোর উৎপত্তি কোথা থেকে তার হদিস পেলো না টিকলির অজ্ঞাত অবুঝ মন। আচ্ছা, এই বিশৃঙ্খল অভিমান গুলোর কারন কি এবং সূচনা কোথায়?

রৌদ্রেরঝাঁজে পুরে যাচ্ছে শরীর। চোখ মুখ কুচকিয়ে তাকিয়ে দেখতে হচ্ছে চারিপাশ। রোদ থেকে বাঁচতে কপালের উপর এক হাত রেখে টিকলি প্রশ্ন ছুড়লো, ‘এখন কোথায় যাবো?’

আদর কোনো উত্তর দিলো না। ভাইয়ের মুখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে আর্দ্র ভাবুক গলায় বলল,

‘এখন..? এখন…. হ্যাঁ, এখন আমরা নামা বাজার যাবো। এটা এই নিঝুম দ্বীপের মূল বাজার বা মেইন পয়েন্ট বলা যায়। সেখান থেকে আমরা একটা হোটেলে উঠবো থাকা-খাওয়ার জন্য।’

‘আমরা নিঝুম দ্বীপ ঘুরবো না এখন?’

আর্দ্র হাতঘড়ি টা দেখে নিয়ে কপালের উপর আবার হাত রাখলো। কানের চিপ দিয়ে ঘাম বেয়ে বেয়ে পরলো। হলুদ ফর্সা মুখখানা রোদশ্রীতে হয়ে আছে লাল। আর্দ্র ক্লান্ত গলায় বলল,

‘সেই কাল বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে জার্নি করছি। এখন অলমোস্ট দুপুর হয়ে গেছে। এখন যদি এই ঠাডা পরা রোদে নিঝুম দ্বীপ ঘুরতে যাও তাহলে একটুও মজা পাবা না। তার চেয়ে চলো নামা বাজার গিয়ে একটা ভালো হোটেলে উঠে খাওয়া-দাওয়া করে রেস্ট টেস্ট নিয়ে তারপর বিকালে ঘুরবো।’

আদর ধমকে উঠলো এই মুহুর্তে, ‘এই, তোর সমস্যা কি? এতো নাক গলাচ্ছিস কেনো? ওদের ঘুরতে ইচ্ছে করলে ওরা ঘুরবে। তারপর যখন ইচ্ছা হবে তখন হোটেল বা রিসোর্ট ভাড়া করে থাকবে। আমাদের এখন যাওয়ার দরকার আমরা চলে যাবো ওদের টানছিস কেনো? ওদেরটা ওরা বুঝে নিবে। তোর ওতো বক্তব্য দিতে হবে না আর নিজের মতামতও পেষন করতে হবে না। যার যার টা সে সে বুঝে নিবে।’

ভাইয়ের বকুনিতে আর্দ্র একদম শান্ত হয়ে গেলো। টায়রা সূক্ষ্ম চোখে কিছুক্ষণ আদরের দিকে তাকিয়ে থাকলো। ক্ষনকাল উদ্ধার করার চেষ্টা করলো আদরের এই অসময়ের কারণহীন রাগের। কিন্তু কোনো রহস্যই উন্মোচন করা গেলো না। তার ভোঁতা মস্তিষ্ক কারণটা ধরতে পারলো না। টিকলি কণ্ঠে রাগ মিশিয়ে বলল,

‘আপনি এভাবে কথা বলছেন কেনো? আপনারা যদি এখন হোটেলে বা রিসোর্টে উঠেন তাহলে আমরাও উঠবো। পরে একসাথে নিঝুম দ্বীপ ঘুরা যাবে।’

আদর কড়া চোখে তাকিয়ে বলল, ‘কেনো? একসাথে কেনো? আমরা এখন হোটেল বা রিসোর্টে উঠলে আপনারাই বা এখন কেনো উঠবেন? আপনারা কি এসেছেন আমাদের ভরসায়? আমাদের সাথে যদি দেখা না হতো তখন কি করতেন? নিশ্চয়ই একা একা নিজের মরজিমাফিক ঘুরাফেরা করতেন? এখনও তাই করুন।’

কি আশ্চর্য! এই লোকটা হঠাৎ এতো কাট কাট গলায় কথা বলছে কেনো? লোকটা নিজ ইচ্ছায় আমাদের কত সাহায্য করলো! নিজে মোটরসাইকেল ভাড়া করে আমাদের নিয়ে আসলো। স্পিডবোট ভাড়া করলো। একসাথে আসলাম সবাই। লঞ্চে কত মজা করলাম। আর এখন দেখো! লোকটার ব্যাবহার দেখো না! সমস্যা কি এই লোকের? কি নিয়ে এতো রেগে আছে?
টিকলির মনে অজস্র ভাবনা। যে ভাবনার কোনো মাথা মুন্ডু কিচ্ছু নেই।

টিকলি আঙ্গুল তুলে কয়েকটা কড়া কথা শুনিয়ে দিতে উদ্ধৃত হলো৷ তখনি টায়রা অতি ঠান্ডা নরম ভদ্র এবং বিজ্ঞ সুরে বলল,

‘দেখুন ভাইয়া, আমরা এতোটা পথ একসাথে এসেছি। বলতে গেলে এখন আমরা বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছি। ভাই-বোন অথবা বন্ধুর মতো। আর আমরা দুজন মেয়ে। কোথাও কাউকে চিনি না। অপরিচিত জায়গায় যদি এই অল্প পরিচিত আপনারা থাকেন তাহলে একটু সেফ ফিল হবে।’

আর্দ্র ঘাড়ে হাত রেখে বিড়বিড় করলো, ‘ওহ মাই গড! এই মেয়ে এতো সুন্দর করেও কথা বলতে পারে? ভাইয়া এতো কড়া কড়া কথা শুনিয়ে দেবার পরও এই মেয়ে এতো মিস্টি সুরে কথা বলছে? ভাইয়ার জায়গায় আমি হলে নিশ্চিত এখনি আমার গলা চেপে ধরে জবান বন্ধ করে দিতো।’

‘এটা কোনো যুক্তিযুক্ত কারন হলো না টায়রা। আমরাও তো খারাপ হতে পারি।’ আদর জবাব দিলো।

‘কি যে বলেন ভাইয়া! আপনারা যদি খারাপই হতেন… যদি আমাদের ক্ষতি করাই আপনাদের মূল উদ্দেশ্য থাকতো তাহলে এর আগে অনেকবার অনেক সুযোগ আপনারা হাতছাড়া করে ফেলেছেন।’

‘যেমন?’ আর্দ্র এবার মুখ ফুটে প্রশ্ন করলো। আদর কড়া চোখে আর্দ্রর দিকে তাকালো। আর্দ্র মাথা নিচু করে আবারো কিসব বিড়বিড় করলো, ‘বড় ভাই থাকার এই এক জ্বালা। কথায় কথায় শুধু চোখ রাঙানি।’

টায়রার আগে টিকলি বলে উঠলো, ‘যেমন, প্রথম সুযোগ হলো লঞ্চে। একদম সুবর্ণময় সুযোগ। দ্বিতীয় সুযোগ হলো মোটরসাইকেলে। আপনারা ইচ্ছে করলে মোটরসাইকেলে করে আমাদের অন্য জায়গায়ও নিয়ে চলে যেতে পারতেন। মোটরসাইকেল ওয়ালাদের কিছু টাকা ঘুষ দিলেই হতো। তৃতীয় সুযোগ কমলার দিঘি। আপনারা ইচ্ছে করলে ওই জায়গায় আমাদের ক্ষতি করে ব্যাগপত্র টাকা পয়সা চুরি করে নিয়ে আমাদের একা ফেলে চলেও আসতে পারতেন। বিচ কিন্তু একদম জনমানবহীন নিরব ছিল। আর চতুর্থ…. ‘

আদর টিকলিকে থামিয়ে দিয়ে বলল, ‘ব্যস ব্যাস থামুন, তার আগে বলুন আপনি আমাদের চোর বললেন?’

টিকলি চোখ দুটো বিস্ফোরিত করে ক্ষণকাল তাকিয়ে থাকলো ড্যাবড্যাব করে। আদর একটু বিব্রত বোধ করলো। আচ্ছা, মেয়েটা এভাবে তাকিয়ে আছে কেনো? আদর কি খুব ন্যাকামো বা অপ্রাসঙ্গিক কিংবা আজাইরা কথা বলে ফেলেছে নাকি?

টায়রা এবার নিচু কন্ঠে জোরালোভাবে বলল, ‘না না না ভাইয়া। ও তা বলে নি। আপনারা আমাদের কি কি ক্ষতি করতে পারেন সেটার লিস্ট দিচ্ছিলো।’

আর্দ্র চোখ বড় বড় করে বলল, ‘ভাইয়া দেখো, তোমাকে ইনডিরেক্টলি নানা ডাকলো।’

সাথে সাথে টায়রা দাঁত কটমট করে তাকালো। আর্দ্র দ্বিগুন চোখ রাঙিয়ে তাকালো। আদর নিজের ব্যাগটা কাধে নিতে নিতে বলল, ‘এসো তোমরা সবাই।’

এই মুহুর্তে আদরের হেল্প নিতে একটুও ইচ্ছে করছে না টিকলির। যারা অহংকার করে তাদের টিকলি একদমই সহ্য করতে পারে না। আর আদরের মধ্যে কিছুক্ষণের জন্যে হলেও সেই অহংকারের ছাপ পাওয়া গেছে। কিছুক্ষণের জন্য টিকলি আদরের উপর সেই মাস্ক পরা অসভ্য ছেলেটার ছায়া দেখেছে। নেহাৎ কোনো চেনাজানা নেই তাই ঠেলায় পরে যাচ্ছে না হলে কক্ষনো এই দাম্ভিক লোকের সাথে আর এক পাও বাড়াতো না।
এদিকে টিকলির চোখ টাও ব্যাথায় টনটন করছে। ভ্রু উপরের কাটা জায়গাটা থেকে ব্যথা ছড়িয়ে পরেছে সারা চোখময়। চোখের সেই তীব্র ব্যথা আস্তে আস্তে ঘায়েল করছে মাথাও। মাথার সাথে চোখের এই এক অবাক করা গোপন বন্ডিং। বাম চোখ দিয়ে টিকলি সব ঘোলা দেখছিলো। এমতাবস্থায় এই ভারী ট্রলি ব্যাগটা টেনে নিয়ে যাওয়া ভিষণ মুসকিল হয়ে দাড়িয়েছে।

আদর খেয়াল করলো সবটা। আস্তে করে টিকলির হাত থেকে ব্যাগটা নিয়ে সে টিকলিকে এড়িয়ে যাওয়া গলায় বলল, ‘কোথাও ট্রাভেল করতে গেলে যতোটা সম্ভব ছোট ব্যাগ নেওয়া উচিত। আর সেখানে এই ট্রলি ব্যাগ তো রীতিমতো বিলাসিতা। ‘

টিকলি নাক ফুলিয়ে তাকালো। লোকটা কথায় কথায় অপমান করে যার জন্য তার উপকার গুলো চোখের আড়ালে পরে যায়। কিন্তু কথাগুলোও সব সত্যি বলে। সত্যি তো এতো বড় বোঝা কেনো নিয়ে এসেছে টিকলি? ছোট একটা ব্যাগ আনলেই তো পারতো। টিকলি আরেকবার ভালোভাবে আদরের দিকে তাকালো।
আদর হেটে যাচ্ছে বড় বড় কদম ফেলে স্ট্রেট সামনের দিকে তাকিয়ে ব্যাগ টানতে টানতে। ট্রলি ব্যাগের চাকার সাথে মাটির ঘর্ষণে ভু ভু শব্দ হচ্ছে। লোকটার পা ফেলে হাটার ধরনটাও কি সুন্দর! বলতে নেই, এই লোকটার উপর টিকলি রাগ করে থাকতে পারে না। লোকটার উপর তার জেদ তেজ আসে না। লোকটার অশেষ পারসোনালিটির উপর টিকলি মুগ্ধমগ্ন হয়ে যায় বারংবার।

চলবে❤️

গল্পে নিঝুম দ্বীপ সম্পর্কিত সকল তথ্য ইন্টারনেট থেকে কালেক্ট করা। যদি ভুল হয়ে থাকে তবে আমাকে মার্জনা করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here