#বৃষ্টিশেষে_প্রেমছন্দ
#মুমুর্ষিরা_শাহরীন
১৮.
‘সখী গো আমার মন ভালা না
কালার সাথে পিরিত কইরা সুখ পাইলাম না
সখী গো আমার মন ভালা না’
‘ওই বেটা চুপ।’ টায়রার কর্কশ ধমকে থেমে গেলো আর্দ্রর সুর বিহীন বিখ্যাত গানটি। ভ্রু কুচকে টায়রার দিকে তাকিয়ে আর্দ্র বলল, ‘আমি বেটা?’
‘কেনো বুইড়া নাকি?’
আর্দ্র অবাক চোখে তাকিয়ে বলল, ‘মহা চাপাবাজ মেয়ে তো। আপনার সাথে চাপা করা আমার মতো নাদান বাচ্চার কর্ম নয়।’
টায়রা তেড়ে এসে বলল, ‘একে তো আমার এতো সুন্দর মুড টা এই ফালতু গানের কারণে নষ্ট করলেন। তারউপর আবার আমাকেই চাপাবাজ বলছেন?’
আর্দ্র বড় বড় চোখ করে আতংকিত গলায় বলল, ‘এই মারবেন নাকি?’
‘হুম। একদম মেরে দিবো।’ টায়রা বলল ডাকাতিনীর গলায়।
‘আচ্ছা চাপাবাজ বলবো না। ফুটা টায়ার বলেই ডাকবো।’ দাঁত কেলিয়ে বলল আর্দ্র।
_____________________________
সকাল সাড়ে পাঁচটা বাজে। দুপুর একটায় ওদের লঞ্চ। নিঝুম দ্বীপ থেকে বের হতে হবে প্রায় দশটা নাগাদের দিকে। তাই ভোরেই চলে এসেছে সূর্যোদয় দেখতে। নামার বাজার সি বীচ আর উপর বাজার সি বীচ এ ঘণ্টা দুয়েক এর মতো থেকে সকালের নাস্তা করে ওরা রিসোর্টে ফিরবে। এরপর গোছগাছ করে নিয়ে নিয়েই বেরিয়ে পরবে হাতিয়ার উদ্দেশ্যে।
ডুবি ডুবি সূর্যটা তার লাল কিরণ মেলে দিয়ে যখন জাগ্রত হতে আরম্ভ করলো সেই রশ্মিতে আদর দেখতে পেলো টিকলি হাস্যোজ্জ্বল মুখ। টিকলির টিকলো নাকের ভাঁজে ঠেসে দেওয়া ছোট্ট একটা আকাশি রঙের নোস পিন। কানে দুটো মাঝারি আকারের সাদা পাথরের দুল। হাতে সাদা ফিতার ঘড়ি। মুখে লাবণ্যতা, শ্রীময়ী, কোমলতা ভাব।
টিকলিকে দেখতে দেখতেই হঠাৎ আদর আবিষ্কার করলো টিকলির ঠোঁট থেকে কিছুটা দূরে গালের একটু নিচে দুটো ছোট ছোট গর্ত। চুল গুলো টান টান করে বেধে ছেড়ে দিয়েছে বলে কপালের একদম কিনারায় আরেকটা গর্তও চোখে লাগলো। সাদা মুখটায় ক্ষুদ্র গর্তগুলোর জন্য টিকলির বদনখানা হয়ে উঠেছে বড্ড কমনীয় এবং আকর্ষণীয়। আদর কৌতুহল লুকাতে না পেরে প্রশ্ন করলো,
‘আচ্ছা, এগুলো কীসের গর্ত? গালে, কপালে?’
টিকলি একটু চমকে উঠেছিলো। সূর্যের উদয় দেখতে দেখতে ধ্যানমগ্ন হয়ে গেছিলো। আদরের কথা সম্ভিত ফিরে সে বলল,
‘এগুলো? পক্সের দাগ।’
‘ওহ।’
ছোট করে উত্তর দিয়ে আদর পকেটে হাত গুজে দাড়ালো। টিকলি আদরের দিকে এক ঝলক তাকিয়ে আবারো সামনে তাকালো। সমুদ্রের বুক থেকে ধীরে ধীরে জাগ্রত হলো সূর্য। চারিপাশে পানির মেলা। বাতাসে মাতাল হাওয়া। তার মাঝে অগ্নিরাজকুমারী টিকলিকে এই নিঝুম দ্বীপে সম্ভাষণ জানাতে বঙ্গোপসাগরের বুক চিরে উঠে আসছে সূর্যদেব। আদর হঠাৎ বলল,
‘সুন্দর লাগে।’
টিকলি চকিতে তাকালো আদরের দিকে। অস্ফুটে কণ্ঠে বলল, ‘কি বললেন?’
আদর বলল না। ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলো। টিকলি আবার জিজ্ঞেস করলো। আদর গম্ভীর গলায় বলল, ‘ভদ্র লোকের এক কথা।’
কিছুক্ষণ ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থেকে টিকলি তেজি গলায় বলল, ‘মারাত্মক! মারাত্মক ফালতু লোক আপনি। আপনার সাথে কথা বলাই ভুল।’
টিকলি ফালতু বলতেই আদরের মনে পরলো, প্রথম দিনের কথা। যেদিন সেই পনেরো দিনের প্রেগন্যান্ট মেয়েটার সাথে তার প্রথম দেখা হয়েছিল রেস্টুরেন্টে। মেয়েটা যাওয়ার আগে আদরকে ফালতু বলে গিয়েছিলো। আদরের ভারি রাগ হলো সাথে প্রশ্ন জাগলো, আচ্ছা? মেয়েটাকে যে সদরঘাটে দেখেছিলাম। মেয়েটা কি কোথাও যাচ্ছিলো? গেলেও কোথায় গিয়েছিল?
মনের প্রশ্নে আদর আবারো মনকে ধমক দিয়ে বলল,
‘ইশশ ওই মেয়ের কথা এতো মনে করতে হয় কেনো তোর?’
আদরের মন থেকে পাল্টা জবাব না এসে উল্টো জবাব আসলো,
‘আচ্ছা? টিকলির এই কপালটা কি বেশি মিল না ওই মেয়েটার সাথে? মাস্ক পরিহিতা সেই মেয়েটা কেমন ছিলো বলতো? তোর দেখতে ইচ্ছে করে না রে আদর?’
আদর টিকলির দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো। তার দৃষ্টি ছিলো টিকলির কপালের দিকে। আচ্ছন্ন এক ঘোরে থেকেই আদর মনকে জবাব দিলো,
‘নাহ দেখতে ইচ্ছে করে না। এই মহারানীর কাছে বোধ হয় বাকিসব রমণী তুচ্ছ।’
আদরের কথায় বোধহয় তার মনটা বড় বড় বিস্ময়কর চোখ করে তাকালো। কণ্ঠে রাজ্যের অবাকতা ঢেলে বলল, ‘এই আদর তুই কি প্রেমে পরলি?’
আদর গরম কণ্ঠে বলল, ‘আর একটা কথা বললে তোর একদিন কি আমার একদিন।’
_____________________________
ঢাকার উদ্দেশ্যে লঞ্চ ছেড়েছে। লঞ্চের এ মাথায় দাঁড়িয়ে ছিলো ওরা সবাই। এইতো আর কয়েক ঘন্টা এরপর যে যার মতো আলাদা। আর্দ্র একটু চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলো। আদর প্রশ্ন করলো,
‘কিরে? কি হয়েছে তোর?’
আর্দ্রকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে টায়রা ফটাফট উত্তর দিলো, ‘আরে ভাইয়া ব্রেকাপ হয়েছে তো। তাই গার্লফ্রেন্ডের দুঃখে কাদছে।’
‘এ আর নতুন কি?’ অবহেলার গলায় আদর বলল।টিকলি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব শুনে বলল,
‘তা ভাইয়া? আপনার এতো ব্রেকাপ হয় কেনো বলুন তো? আপনি এতো সুন্দর, বুদ্ধিমান আর মেয়েদের হাতের মুঠোয় রাখতে পারেন না?’
টিকলির কথায় আদর এক পলক চোখ মেলে ওর দিকে তাকালো। টিকলি খেয়াল করলো না। আর্দ্র দুঃখে ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলে উঠলো,
‘কি করবো বলো আপু? সবাই শুধু আমাকে চায়। আমি বেশি হ্যান্ডসাম তো তাই ব্রেকাপ হয়।’
আর্দ্রর কথায় টায়রা পেট ধরে হেসে দিলো। খানিক জোরালো শব্দে হেসে উঠলো আদরও। টিকলি আদরের হাসির দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলো। এই কয়দিনের মধ্যে লোকটাকে এই প্রথম শব্দ করে হাসতে শুনলো টিকলি। আদর হাসি থামালো। মুগ্ধ টিকলির কানে তখনো মন্ত্রের মতো বাজছিলো সেই হাসির সুর। সারা শরীরে কাপন ধরলো। হাসির শব্দ মিশে গেলো লোমকূপের ভাঁজে ভাঁজে। শরীর আত্মায় অসহনীয় ভালো লাগা কাজ করা শুরু করলো। ইশ…ভালোই হলো। শেষ যাত্রায় একটা দূর্লভ বস্তু টিকলিকে দেখা দিলো। অন্যদিকে ঘুরে তৃপ্ততার হাসি হাসলো। সে বলতে শুনলো। টায়রা আর্দ্রকে বলছে,
‘বেশি হ্যান্ডসাম তাই আপনাকে সবাই ডাম্প করে?’ বলেই আবার হু হা হাসিতে মেতে উঠলো।
আর্দ্র থমথমে মুখ নিয়ে বলল,
‘হ্যাঁ তাই তো। জানেন, আমার এক গার্লফ্রেন্ডকে আমার একটু একটু ভালো লাগতো। তো সে একদিন বিয়ের কথা তুলল। আমি বললাম আচ্ছা। তার দুইদিন পর এসে হঠাৎ মেয়েটা বলে কাবিননামায় দেনমোহর ধরবে এক কোটি টাকা। যাতে আমি কক্ষনো তাকে ছেড়ে যেতে না পারি। ব্যস, বিয়ে টিয়ে সব চুলোয় যাক; আগে ব্রেকাপের পায়তারা খোঁজা যাক।’
আদর স্বাভাবিক থাকলেও টিকলি আর টায়রা কিছুক্ষণ থম মেরে দাঁড়িয়ে থাকলো। এরপর টায়রা আবারো উচ্চহাসিতে মেতে উঠলো। টিকলি শব্দবিহীন হাসলো। আর্দ্র গম্ভীর গলায় বলল, ‘মেয়েদের এতো উচ্চস্বরে হাসতে নেই।’
,
চারিদিকে সন্ধ্যা নেমে আসছে। দিনের সুমিষ্টি আলো রাতের কালোগহ্বরে হারিয়ে যাচ্ছে। একটু আগেই বৃষ্টি হয়েছে। ঝুম ঝুম করে নিঝুম বৃষ্টি। প্রকৃতি এখন শান্ত। আকাশ হলুদাভ রঙে সজ্জিত। সূর্যাস্তরের সেই হলুদ আলোয় টিকলির মুখখানা দেখতে লাগছে একদম সকালের সূর্যোদয়ের সাথে দেখার মতোই স্নিগ্ধ।
টিকলি তাকিয়ে ছিলো জলের গা ছিটিয়ে চলে আসা লঞ্চের উত্তাল ঢেউয়ের দিকে। হঠাৎ একটু আনমনা কিন্তু করুণ গলায় বলল,
‘আমাদের আর দেখা হবে না তাইনা?’
আদর টিকলির দিকেই তাকিয়ে ছিলো। টিকলি আবার বলল একটু হেসে,
‘আজ থেকে আবার আমরা আলাদা। তবুও এই কয়দিনে আপনাদের সাথে সময় কাটিয়ে বেশ ভালো লেগেছে। মনে হয়েছে দীর্ঘ পরিচিত বন্ধুদের সাথে সময় কাটালাম।’
আদর স্মিত হাসলো। ঠোঁটের কোণায় থুতনিতে গর্ত পরলো। ভাঁজ পরলো। সুন্দর দেখালো তাকে। টিকলি মাত্রই খেয়াল করলো আদর হাসলে তার ঠোঁটের কোণায় টোল পরে। টিকলি হঠাৎ বলল,
‘আর্দ্র ভাইয়া ঠিক বলেছিলো আপনি খুব ভালো।’
আদর খানিকক্ষণ অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ওই মেয়েটার দিকে। এই মেয়েকে বুঝতে পারে না আদর। আচ্ছা, এই মেয়েটার সাথে তার পথ যখন আলাদা হয়ে যাবে তখনও কি তাকে মনে থাকবে আদরের? নাকি শুকতারার মতো মনের মাঝে মনতাঁরা হয়ে বাস করবে? নাহ…মনতাঁরা কেনো হবে? মনতাঁরা কি যে কেউ হতে পারে নাকি? কিন্তু আদর তো নিজের মনকেই বুঝতে পারছে না তবে সেখানে তাঁরা বাস করবে কীভাবে? ইশশ… কি করে গেলো এই মেয়েটা আদরকে? এই মেয়ে নামক মনতাঁরাটা কি আদরকে একটুও উলোটপালোট করে দিয়ে গেলো না? তার ডানার উজ্জ্বল আলো দ্বারা কি আদরকে রাঙিয়েও নিভিয়ে দিয়ে গেলো না?
,
বেশ রাতের দিকে লঞ্চ এসে থামলো সদরঘাটে। লঞ্চ থেকে নামতেই চোখে এসে পরলো হাজারো বাতি। ঘাটে দাঁড়িয়ে আছে অনেক লঞ্চ। সেখান থেকে লাল নীল সবুজ বাতি প্রতিফলিত হচ্ছে নিঃসৃত চার যুবক-যুবতীর মুখমন্ডলের উপর। কতক্ষণ কেটে গেলো কে জানে। টিকলি বলল,
‘আসি তবে?’
আদর কিছু বলল না। আর্দ্রর দিকে তাকিয়ে টিকলি আবার বলল, ‘এই যে, ভালো থাকবেন ভাইয়া। ঠিক মতো পড়াশোনা করে তাড়াতাড়ি উকিল হয়ে যান তো। আমার বিয়ের রেজিষ্ট্রেশন পেপার সব আপনার হাতে তৈরি করাবো।’
টায়রার চোখ ছলছল করছিলো। এর মাঝেও সে বলল, ‘হ্যাঁ আর আমার বিয়েতে উকিল বাপ বানাবো।’
আর্দ্র গরম চোখে তাকিয়ে দাঁত কটমট করে বলল, ‘মাথামোটা। বলদ।’
‘এই আপনি…আপনি আবার?’
‘হাজারবার বলবো। বলদকে বলদ বলবো নাতো কি বলবো?’
ওদের ঝগড়া এড়িয়ে টিকলি এগিয়ে গেল আদরের দিকে। আদরের পাশাপাশি দাড়ালো। সাইড থেকে একটা আলো এসে ঝলকানি দিয়ে পরলো দুজনার উপর। আদর টিকলির দিকে তাকিয়ে স্ফীত হেসে বলল,
‘সাবধানে যাবেন।’
টিকলি মাথা নাড়ালো। বলল, ‘আপনিও।’
টায়রার হাত ধরে টিকলি বলল, ‘চল টায়রা।’
‘আসি ভাইয়া।’ টায়রা হাত মেলালো আদরের সাথে।
টিকলি আর্দ্রকে বাই দিয়ে চলে যেতে লাগলো। আদর আর্দ্রও উল্টো পথ ধরলো। কিছুদূর যেতেই চারজনই ঘুরে দাড়ালো। তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ চারজনার দিকে। এরপর একসাথে বিদায় দিতে নাড়লো চারটি হাত। আবার চলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কদম ফেলা হলো।
চারজনের মনেই বেজে উঠলো এক ভয়ংকর ডঙ্কার সুর। বুকে ধামাধাম তবলা বাজিয়ে চারটে মন জানান দিলো, ‘হৃদয় ব্যথা করছে।’
চারটে মন একই সুরে ভেবে উঠলো, আচ্ছা? আর কোনোদিন কি ওদের দেখা হবে? দুটো কথা বলা হয়ে উঠবে কি? চোখাচোখি হবে? অভিমান করাও হবে? গাল ফুলিয়ে বসে থাকাও কি হবে? তাকিয়ে থাকা হবে? ঝগড়া করা হবে? একসাথে ঘুরা হবে? বাইক দিয়ে? কখনো কি… দেখা হয়ে উঠবে?
কে জানে আদেও হবে কিনা? তবে কিছু একটা না বলা থেকে গেলো। কিছু একটা হলো না। ফাঁকা রয়ে গেলো বুকের ভেতর। বুকের সেই ফাঁকফোঁকর দিয়েই না বেরিয়ে পরে মনপাখি।
পথ মাড়িয়ে যেতেই আদরের মনে পরলো, ‘ইশশ…তার সরি বলা হয়নি।’ তবে আদর পেছন ফিরে তাকালো না। দেখলো না আর টিকলিকে। ইচ্ছেগুলোকে খাঁচার ভেতর আটকিয়ে সে কদম ফেললো একের পর এক।
থাক না দু একটা না বলা কথা। বুকের গহীনেই দগ্ধ হোক না সেসব। সব কথাই কি বলে দিতে হয়? তবে যদি ভাগ্যের জোরে কখনো তাদের দেখা হয়ে যায় তখন কি বলবে? থাক নাহয় কথাগুলো, লুকিয়ে চুরিয়ে মনের আনাচে-কানাচে। আদরের ব্যস্তময় দিনগুলোতে যদি একটু ফুরসৎ পেলে এই না বলা কথাগুলো বারংবার উঁকি দেয় তবে ক্ষতি কি? অন্যায় হবে নাতো!
আদর আকাশে তাকালো। অনেক মেঘ সেখানে। মেঘের বুকে চাঁদ খুব যত্ন করে আড়াল হয়ে গেছে।ইশশ.. কিছুক্ষণ আগেই বৃষ্টি হয়েছে। কিছুক্ষণ আগেই তাদের পথ শেষ হয়েছে। কিছুক্ষণ আগেই বোধ হয় ছন্দ কেটেছে। আচ্ছা, প্রেম হয়েছে কি?
চলবে❤️
এতোদিন যারা আমাকে পাগল বানিয়ে দিচ্ছিলো নিঝুম দ্বীপ এখনো ঘুরা শেষ হয় না কেনো? শেষ হয়না কেনো? তাদের ফিলিংস কেমন আজ?