#বৃষ্টিশেষে_প্রেমছন্দ
#মুমুর্ষিরা_শাহরীন
৩০.
রাহুল যখন ও বাড়ি থেকে বের হলো তখন প্রায় বিকেল। বর্ষনমন্দ্রিত অন্ধকারেও যেনো চারিপাশে ফুটে উঠেছে অন্যরকম রওশন। মেঘমাখানো অন্ধকার থাকতে থাকতেই চোখ মুখ বন্ধ করে ঝুম বৃষ্টি নেমে পরলো। এদিক ওদিক একটা রিক্সাও খুঁজে পাওয়া গেলো না। অশনি ক্ষণপ্রভা বৃষ্টি থেকে বাঁচতে রাহুল একটা দোকানের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিলো। বন্ধ দোকান। সামনে দুটি খালি বেঞ্চ। বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা উপরে টিন।
প্রায় আধ ঘন্টা যাবত দাঁড়িয়ে থেকেও যখন কোনো রিক্সার দেখা পাওয়া গেলো না রাহুল তখন ঝুম বৃষ্টি মাথায় নিয়েই নেমে পরলো রাস্তায়। ঘন ঘন বিকট আওয়াজে তড়িৎ তখন। রাস্তার এক ধার দিয়ে কাক ভেজা হয়ে ফিরছিলো রাহুল। দু ঘন্টা পর তার একটা টিউশনি আছে। এখান থেকে বাসায় পৌছুতেই লেগে যাবে এক ঘন্টা। তারউপর নিঝুম বৃষ্টি। রাহুল ধীর পায়ে হেটে চলল। টিউশনিতে যাওয়ার নিয়ম টা হঠাৎ আজকে একটু অনিয়মিত তে পরিণত করতে ইচ্ছে হলো। বৃষ্টির পানির সাথে দূর্লভ চোখের পানি ভাসিয়ে যেতে লাগলো নিজের গন্তব্যে। কি জোরে জোরে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে! আচ্ছা এই ব্জ্রপাতে তো সে মরেও যেতে পারে আজ? হতে পারেনা? হতেই পারে? নাথিং ইজ ইম্পসিবল ফর এনভায়রনমেন্ট।
সুদূরপ্রসারী অবাঞ্ছিত ভবিষ্যৎ ভাবার কালেই কারোর ডাক পরলো। বৃষ্টির আওয়াজে স্পষ্ট শুনা গেলো না। রাহুল ঝাপসা চোখে তাকালো। ভেজা চুলগুলো লেপ্টে ছিলো কপালের সাথে৷ হাত দিয়ে মুখের পানি মুছার ব্যর্থ চেষ্টা করে রাহুল ভালোভাবে তাকালো। ওমনি তার সামনে এসে দাড়ালো একটা রিক্সা। নীল পলিথিনের নিচে ভেজা ঝপঝপে একটা মিস্টি মেয়ে। মুখে শীতল হাসি। রাহুল ঠিক ঠাহর করতে পারলো না মেয়েটাকে। সচেতন চোখে তাকিয়ে থাকতেই মেয়েটা হাত নাড়িয়ে হাই দিয়ে চিতকার করে বলল,
‘এই বৃষ্টিতে ভিজে কোথায় যাচ্ছেন?’
বৃষ্টির প্রকট শব্দ ভেদ করে রাহুলও চিতকার করে বলল, ‘ আপনাকে তো ঠিক চিনলাম না।’
‘আমি নিভা। ভুলে গেছেন?’
‘কোন নিভা?’
‘টিকলি টায়রার ফ্রেন্ড। ওই যে দেখা হলো।’
রাহুল চিনতে পেরেও পারেনি এমন অবহেলার সুরে বলল, ‘ওহ।’
‘বৃষ্টিতে ভিজছেন কেনো? ঠান্ডা লাগবে না?’
‘না। আমার ওতো অসুখ বেসুখ হয় না।’
‘কি বললেন? জোরে বলুন। আচ্ছা, উঠে আসুন রিক্সায়। এই পথে এখন আর রিক্সা পাবেন না।’
রাহুল অবাক হলো। মেয়েটার দিকে সতর্ক দৃষ্টিতে পুরোদমে তাকাতেই মেয়েটাকে পুরোদস্তুর মনে পরলো। হ্যাঁ, এই মেয়েটাকে ফুফিদের বাসায় দেখেছিলো। রাহুল বলল,
‘আপনি যান, আমি রিক্সা পেয়ে যাবো।’
‘উঠে আসুন। পাবেন না রিক্সা। আমি জানি। এই রাস্তা দিয়ে আমার চলাফেরা আছে। আর আগামী দু-তিন ঘন্টার মধ্যে এই বৃষ্টি থামবে না।’
‘আপনি কীভাবে জানলেন?’
‘এতোবছর হলো বৃষ্টি দেখছি একটু আকটু অভিজ্ঞতা তো আমারও হয়েছে তাইনা?’
রাহুল হাসলো। মেয়েটার দিকে তাকিয়ে ভাবলো রিক্সায় উঠা ঠিক হবে কিনা। মেয়েটার কথা যদি সত্যি হয় তবে রাহুলের দুটো টিউশনি মিস যাবে। আর এই রাস্তার যে অবস্থা রিক্সা না পেলে সর্বনাশ। তাছাড়া শিক্ষার্থীর গার্ডিয়ান ভীষণ কড়া। তাদের কথা হলো, মরে যাও তবুও আমার ছেলে মেয়েকে পড়াতে আসবে। এমনও হতে পারে মাস শেষে বেতনও কম দিয়ে দিয়েছে। হাতে মাত্র এই পরপর দুটো টিউশনি অবশিষ্ট আছে। এ দুটো খোয়া গেলে রাহুল চলবে কেমন করে। সব চিন্তা শেষে রাহুল রিক্সায় উঠার সিদ্ধান্ত নিলো। রিক্সার জায়গা খুব বেশি চাপা হওয়ায় রাহুল হুট ফেলে দিলো। নিভা ব্যস্ত গলায় বলল,
‘আরে করেন কি? ভিজে যাবো তো? এভাবে ভিজেই যদি যাই তবে তো হাটাই ভালো ছিলো।’
রাহুল এক পলক তাকিয়ে উপর থেকে নীল পলিথিনটাও সরিয়ে রিক্সাওয়ালা মামার হাতে ধরিয়ে দিলো। নিভা পুরোদস্তুর ভিজে যেতেই রাহুল বলল,
‘রিক্সার জায়গা চাপা।’
‘রিক্সার জায়গা চাপাই থাকে।’
‘আপনার কি খুব অসুবিধা হবে? অসুস্থ হয়ে পরবেন?’
‘না।’ মুখে না বললেও নিভা জানে আজ রাতেই তার হালকা পাতলা জ্বর উঠবে।
‘আপনি এখানে কোনো কাজে এসেছিলেন?’ নিভার প্রশ্ন।
‘হুম। খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আপনি?’
‘আরে আমার বাসা তো এই রোডেই। কিন্তু আপনাকে কখনোই খেয়াল করিনি।’
রাহুল অন্যদিকে তাকালো। অন্যমনস্ক হলো। এই রোডে বাড়িটা কেনা হয়েছে চার বছর ধরে। তার আগে থাকা হতো অন্য বাড়িতে। আর প্রায় সাত বছর থেকে রাহুল পরিবার ছাড়া থাকে। হুটহাট পূর্ণিমা চাঁদের মতো এই এলাকায় উঁকি দেয়। ভাবনার দড়ি ছিড়লো কোনো যত্নের সুরে,
‘আপনার কি মন খারাপ? চোখ-মুখ ও ফোলা। বৃষ্টিতে ভিজে হলো বুঝি?’
রাহুল মাথা নাড়িয়ে না করলো। প্রাণহীন দৃষ্টি দুটি আবারো অন্যদিকে রাখলো। নিভার আড়ালেই নিষ্প্রাণ দুটি চোখ কাদতে বসলো নিঃশব্দে। নিভা রাহুলের মাথার পেছনের সাইডটার দিকে তাকিয়ে থেকে চোখ ফিরিয়ে নিলো। খুব স্বল্প পরিচিত মানুষের সাথে এতোটা কথা বলা যায়না।
অর্ধ রাস্তায় আসতেই বৃষ্টি কমে এলো। রাহুল আকস্মিক বলল, ‘মামা দাড়ান।’
রাহুল নেমে পরতেই নিভা বিস্ময়সূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো। রাহুল সুন্দর একটা হাসি দিয়ে বলল,
‘বৃষ্টি কমে এসেছে। এবার এখান থেকে রিক্সা পেয়ে যাবো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এতোটা উপকার করার জন্য। ভাড়া দিয়ে অপমান করলাম না।’
বিস্ময়ে থেকেই নিভা মাথা নাড়ালো। হঠাৎই বোধ হলো লোকটা ঠোঁটকাটা সাথে স্ট্রং পারসোনালিটি।
‘মামা উনাকে উনার স্থানে নিয়ে যান।’
রিক্সা চলতে শুরু করলো। রাহুল আরেকটা রিক্সা পেলো। ভাড়া করেই এক নজর তাকালো সেই রিক্সা বরাবর দূর-দূরান্তে। তাকাতেই দেখতে পেলো এক মোহান্ত অতল দর্শনেন্দ্রিয় পেছনে ঘুরে তার দিকেই তাকিয়ে আছে। সে তাকাতেই সরিয়ে নিলো অভিলাষী সেই নয়ন।
_________________________________
মাঝে কেটে গেলো দু-তিন দিনের মতো। খাবার পর ফোন হাতে ঘরে বসে ছিলো টিকলি। আদরের নাম্বারটাতে ডায়াল করতেই পাশ থেকে দেখতে পেলো টায়রা। ছু মেরে ফোনটা নিয়ে এক দৌড়ে বারান্দায় যেতে যেতে তারস্বরে চেঁচিয়ে বলল,
‘আমি কথা বলবো। আজকে আমি কথা বলবো।’
টিকলিও বোনের পেছন পেছন ছুটলো। ফোন নিয়ে কাড়াকাড়ি করতেই ওপাশ থেকে ফোন ধরে বসা হলো। টায়রা ফিসফিস করে বলল,
‘হুশশ…চুপ থাক।’
ফোন কানে নিতে নিতেই টায়রা টেনে বলল,
‘হ্যাললো… দুলাভাই। কি খবর হুম? গোপনে গোপনে পিরিত করে ফেললেন? এখন আবার গোপনে গোপনে কথাও আদান-প্রদান হচ্ছে? বলি সারাদিন কি শুধু বউয়ের খবর নিলেই চলবে? শালির দিকে একটু নজর দিতে হবে না? এতো সুন্দর শালি আপনার!’
টিকলি টায়রার হাতে চিমটি কাটলো। টায়রা হাত ঝাড়া মেরে দূরে সরে দাঁড়িয়ে আবারো বলল,
‘কি? শালির কণ্ঠ শুনতে না শুনতেই মুখের বুলি হাওয়া? ভয় পেলেন নাকি? আরে ভয় পাচ্ছেন কেনো আমি সব জানি। আমি আপনাদের সিকিউরিটি গার্ড বুঝলেন? এই যেমন ধরেন, টিকলি আপনার সাথে কথা বলছে কিন্তু ঘরে কখন আব্বু আম্মু আসে তার দেখার দায়িত্ব আমার। বিভিন্ন ভাবে কথা কাটিয়ে টিকলিকে বিয়ের জোর-ঝামেলা থেকে বাঁচিয়ে দেওয়ার দায়িত্বও আমার। এক কথায় আমি আপনাদের হ্যাল্পিং হ্যান্ড। তো, এতো পরিশ্রম করি আপনাদের জন্য তার বিনিময়ে শালীকা কে তো কিছু দেওয়া উচিত। ফাউ ফাউ দুলাভাই একদম গ্রহণযোগ্য নয়।’
ওপাশ থেকে তখন বিস্ময়ে দুর্বাক গলায় বলা হলো,
‘দুলাভাই?? ভাইয়া বিয়ে করেছে? আমাকে না জানিয়েই?’
টায়রা হতবাক হয়ে গেলো। তাড়াতাড়ি ফোনটাকে সামনে এনে হাত দিয়ে চেপে ধরে ফিসফিস করে বলল,
‘এই তুই কার নাম্বারে দিছস?’
‘কেনো? তোর ভাইয়ার নাম্বারে।’
‘সত্যি?’
‘ওমা! মিথ্যে হতে যাবে কেনো? পাগল হলি নাকি? প্রতিদিন তো এই নাম্বারেই ফোন দিয়ে কথা বলি।’
ওপাশ থেকে শতবার হ্যালো হ্যালো শুনা গেলো। আদর গেছে ওয়াশরুমে। ভাইয়ের ঘরে আসতেই আর্দ্র দেখলো ফোনটা বাজছে। ফোনের উপরে নাম ভেসে উঠেছে ‘শুকতাঁরায় মনতাঁরা’। আগে ছিলো শুধু মনতাঁরা। কিন্তু এখন আবার শুকতাঁরাও লাগানো হয়েছে। কৌতুহল বশত ফোনটা রিসিভ করতেই অজানা সব তথ্য পাওয়া গেলো। অবাকতায় বশীকরণও হয়ে যাওয়া হলো যখন টিকলির নামটা কর্ণগোচর হলো। আর্দ্র আবারও বলল,
‘ভাইয়া টিকলিকে বিয়ে করেছে, টায়রা?’
টায়রা চমকালো। আয়হায়! এ বেটা তো টায়রাকে চিনে ফেলেছে এবার কি হবে? কথাবার্তা শুনে তো মনে হচ্ছে আদর ভাইয়া আর টিকলিদের সম্পর্কে কিছুই জানে না। নিশ্চয়ই আদর ভাইয়া ইচ্ছে করে ভেবেচিন্তেই ব্যাপারগুলো জানায়নি। এখন টায়রা বলে দিলে যদি আবার বিপদ হয়। যদি উনার বাবা-মাকে বলে দেয়। নানা চিন্তাভাবনার কবলে পরে টায়রা বাইরে ডাট বজায় রেখে বলল,
‘এই, আপনি ফোন ধরেছেন কেনো হ্যাঁ?’
আর্দ্র রাগান্বিত গলায় বলল, ‘একদম ঝগড়া করার তাল তুলবেন না। আমার ভাইয়ের ফোন আমি যখন ইচ্ছা তখন ধরবো।’
‘নাহ ধরবেন না। ফোন যে একটা পারসোনাল জিনিস আপনি জানেন না?’
আর্দ্র মুখ ভেঙিয়ে বলল, ‘নাহ জানি না। আর এতো জ্ঞান দিচ্ছেন অথচ নিজেই তো অন্যের ফোন থেকে ফোন দিয়েছেন।’
টায়রা চোখ বড় বড় করে থেমে থেমে বলল, ‘আপনি বেশি জানেন? আমি কার ফোন থেকে ফোন দিয়েছি? ‘
‘ভাইয়ার ফোনে নাম্বার সেভ করা শুকতাঁরার মনতাঁরা দিয়ে। এদিকে আপনিও ফোন দিয়ে দুলাভাই ডাকছেন। কাজেই নিশ্চয়ই ফোনের মালিক আপনি নন।’
‘আপনার সাথে তর্ক করে কে?’
‘গাধাকে যত পেটাও গাধা কি ঘোড়া হয়।’
‘আপনি কি আমাকে গাধা বলার চেষ্টা করলেন?’
‘চেষ্টা করিনি সেটাই বলেছি।’
‘আপনার সাথে কথা বললেই আমার মুড নষ্ট হয়ে যায়। যখনি কথা বলি তখনি ঝগড়া হয়। এতো অসহ্য কেনো আপনি?’
‘কারণ আপনার সহ্যশক্তি কম। বকবক কিন্তু আপনি করা শুরু করলেন তর্কও আপনি করলেন অথচ দোষ সব এই নিষ্পাপ আমার।’
রাগের ঠেলায় টায়রা ফোন কেটে দিয়ে ফুসফুস শব্দ করে টিকলির দিকে তাকালো। টিকলি বিস্মিত হয়ে বলল,
‘কি হয়েছে? কে ফোন ধরেছিলো?’
‘এই শোন, তোর প্রেম ক্যান্সেল বুঝছস? কোনোমতেই এটা হবে না। আমি হতে দিবো না। তোর দেবর এতো খারাপ কেনো? আমি তোর শ্বশুর বাড়ি গেলেই এই ভাদ্রর মুখোমুখি হতে হবে। ব্যস, ওমনেই লেগে যাবে। এতোটা ঝগড়ুটে মানুষ কি করে হতে পারে?’
‘তুই ই তো বেশি করলি দেখলাম।’ টিকলি চোখ ঘুরিয়ে বলল।
দাঁতে দাঁত চেপে টায়রা উত্তর দিলো,
‘তুই সব জানোস? ওপাশ থেকে কি বলছে না বলছে তা কি শুনছোস? এখনি শ্বশুড় বাড়ির মেম্বারদের পক্ষে সাপোর্ট নেস? দেখিস, কালকে যখন মা আরেকটা পাত্র নিয়ে এসে বলবে, ‘তোর বাবা একটা পাত্র দেখেছে। এবার অন্তত না করিস না।’ তখন আমি মাকে আরো উস্কানী দিবো। এবার আর তোর রেহাই নাই।’
টায়রা চলে যেতে নিয়েও আবার বলল,
‘এই ভাদ্র যদি আবারো আমার সাথে এমন করে তাহলে মনে রাখিস তোর প্রেমে সবচেয়ে বড় কাটা হমু আমি।’
টিকলি হতাশ অবুঝ চোখে তাকিয়ে থাকলো। বিরবির করে বলল,
‘এই মেয়েটা কি আসলেই পাগল হয়ে গেলো? একে কি জরুরি ভিত্তিতে একটা ডাক্তার দেখানো উচিত?’
,
ফোন হাতে নিয়ে ব্যাহত নিষ্পাদন চোখে শূন্যে তাকিয়ে ছিলো আর্দ্র। আজও ঝগড়া দিয়েই কথা শুরু হলো।শেষও হলো। এই মেয়েটা এতো অসভ্য কেনো? মেয়েদের কি এতোটা বেপরোয়া মানায়? তখনি আর্দ্রর হাত থেকে ছু মেরে ফোন নিয়ে আদর ভ্রু কুচকে বলল,
‘আমার ফোন দিয়ে কি করস?’
আহত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আর্দ্র বলল, ‘টিকলির সাথে যে তোমার ইটিশ-পিটিশ চলতাছে এটা একবার বললে না আমায় ভাইয়া?’
‘ইটিশ-পিটিশ আবার কি? মারবো কানের নিচে এক চর। বড় ভাইয়ের সাথে ঠিকমতো কথাও বলতে জানিস না।’
‘এখন তো মারবাই। এখন তো ভাই পর শালী আপন।’
আদর ভ্রু কুচকে বলল, ‘মাথা কি একবারে গেলো নাকি? আর মাত্র চারদিন হয়েছে সম্পর্কের। এর মাঝে তোকে বলার সুযোগ পাইনি।’
‘শালীকে বলার সুযোগ তো ঠিকই পাইছো।’
‘বারবার শালী শালী করতাছোস কেন? শালী আসতাছে কই থেকে? আমি কি বিয়ে করছি?’
আদর দাঁত কিড়িমিড়ি করে বলল। পা এগুলো ছাদের দিকে। আর্দ্র জোরে জোরে বলল, ‘আবার তোমাকে দুলাভাই তো ঠিকই ডাকে।’
চলবে❤️