বৃষ্টিশেষে প্রেমছন্দ পর্ব-৩৩

0
1296

#বৃষ্টিশেষে_প্রেমছন্দ
#মুমুর্ষিরা_শাহরীন

৩৩.
হিম পবনে শরীর মৃদু কেঁপে উঠছে। সকাল থেকে কড়া রোদ থাকায় আঁচ করা গিয়েছিলো আজ বোধ হয় বৃষ্টি হবে না। কিন্তু আবহাওয়া দেখে মনে হচ্ছে একটু পরই ঝুমঝুম করে বর্ষন পরবে। আর্দ্র বিরক্তি দৃষ্টিতে তাকিয়ে এগিয়ে যেতেই দেখলো টায়রা এসে রিক্সা থেকে নামলো। ভাইয়ের বকা ঝকা শুনে শেষ পর্যন্ত আর্দ্র টায়রাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এসেছে। ব্যাস্ত পায়ে আর্দ্র এগিয়ে গেলো। টায়রা রিক্সা ভাড়া দিয়ে ঘুরে দাড়াতেই আর্দ্র উচ্চস্বরে বলল,

‘আপনি আমাদের বাড়ি চিনেন না?’

‘কেনো? চেনার কথা ছিলো বুঝি?’ টায়রা ভ্রু কুচকে পার্সের চেন লাগাতে লাগাতে বলল।

‘মশকরা করছেন? আমি যেইদিন বাইক এক্সিডেন্ট করলাম সেদিন তো আপনি পৌঁছে দিলেন।’

‘শুনুন, মিস্টার ভাদ্র, নিজেকে এতোটা ইম্পোর্টেন্ড ভাববেন না। আমি আপনাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিলাম বলেই কি আপনার বাড়ির রাস্তা মুখস্থ করে রেখেছি? আর তাছাড়া আমি আপনাদের বাড়িতে প্রথম যাচ্ছি সো আপনার উচিত আমাকে প্রপার ভাবে ট্রিট করা। আপনার তো উচিত ছিলো আমার বাড়ি গিয়ে আমাকে নিয়ে আসা। সেই জায়গায় আমি এতোটা পথ একা এসেছি।’

টায়রা মুখ ভেঙিয়ে কথাগুলো বলতেই আর্দ্র পকেটে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে বিদ্রুপাত্মক হাসি হেসে বলল,

‘আচ্ছা, এবার এসেছেন আসল কথায়। রাস্তা চেনাটা আসল কথা না একচুয়েলি আমি যাতে নিজে এসে আপনাকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে যাই এটা হলো মূল কথা।’

হাওয়ায় চুল উড়িয়ে দিয়ে টায়রা ভাব নিয়ে বলল,

”এ্যাহ…যেই না তার বদন
ঠিকঠাক নাম হলো মদন।”

আর্দ্র ফুসে উঠে বলল,

‘এই…আপনি আমাকে মদন বললেন?’

‘তা নয়তো কি? বলেছি না নিজেকে এতো ইম্পোর্টেন্ড ভাববেন না? আপনি কখন এসে আমাকে নিয়ে যাবেন তার আশায় আমি বসেছিলাম নাকি? যেকেউ আসলেই হতো।’

‘কেনো আপনি কি কচি খুকি? আপনাকে রাস্তা চিনিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’

টায়রা মুখ বাকিয়ে বলে,

‘নাহ আমি কচি খুকি না। কিন্তু অপরিচিত কারোর বাড়িতে তো আমি একা একা ঢ্যাং ঢ্যাং করে চলে যেতে পারিনা? আমার একটা প্রেস্টিজ আছে না?’

‘ওহ আচ্ছা? তাই নাকি? প্রেস্টিজ? তা শুনছিলাম আপনার নাকি পেট খারাপ? সকাল থেকে এ পর্যন্ত বারো-তেরোবার বাথরুমে যাওয়া-আসাও হয়ে গেছে?’

আর্দ্র ভ্রু নাচিয়ে দুষ্ট মুখচ্ছবিতে বলল। টায়রা বড় বড় চোখ মেলে তাকালো। বিরবির করে বলল, ‘এই কথা এই লোক কেমনে জানলো?’ আর্দ্র টায়রার চোখের সামনে হাত নাড়ালো। সম্ভিত ফিরে আঙ্গুল তুলে চোখ মুখ কুচকে টায়রা বলল,

‘দেখুন, একদম অসভ্যের মতো কথা বলবেন না। ওটা বাবাকে কাটানোর জন্য মিথ্যা বলেছিলাম।’

আর্দ্র হাটা দিলো। হাটতে হাটতেই সুর করে গাইলো দু লাইন,

‘বুক চিনচিন করছে হায়,
বাথরুম তোমায় কাছে চায়।’

টায়রা পেছন থেকে চিল্লিয়ে বলল,

‘আপনি এতো খারাপ কেনো?’

‘যেই একটা সুন্দর গান বললাম ওমনি খারাপ হয়ে গেলাম?’

‘এটা সুন্দর গান?’

‘অবশ্যই। আপনি জানেন এই গান গেয়ে আমি ছোটোবেলায় ক্লাস টু তে থাকতে প্রাইজ পেয়েছিলাম। তিনজন প্রতিযোগিতা দিয়েছিলো আমি থার্ড হয়েছিলাম। ইয়া বড় একটা পানি খাওয়ার মগও পেয়েছিলাম।’

আর্দ্র দাঁত কেলিয়ে বলল। টায়রা মুখটাকে কিঞ্চিৎ হা করে কিছুক্ষণ আহাম্মক এর মতো তাকিয়ে থেকে রাস্তার মাঝেই হু হা করে হেসে উঠলো। আর্দ্র বিরক্ত চোখে তাকিয়ে চলে যেতে যেতেই অনেক দূরে চলে গেলো। টায়রা পেছন থেকে চেচিঁয়ে বলল,

‘এই আমাকে নিয়ে যান।’

‘আসেন তাড়াতাড়ি। কোলে নিয়ে যাবো।’

ভ্রু কুচকে রেগে জোর আওয়াজে বলল টায়রা,

‘আস্ত একটা বেয়াদব। আমি বলেছি কোলে নিতে?’

______________________________

গালে হাত দিয়ে চিন্তিত মনে সোফায় বসে ছিলো টিকলি। ঠিক তার বরাবর আরেকটা সোফায় বসে ফোন সামনে নিয়ে আড়চোখে টিকলিকেই পর্যবেক্ষণ করা চলছিলো অন্য দুটি অক্ষিপটে। নিভা টিকলির পাশ থেকে বলে উঠলো,

‘কি চিন্তা করস?’

বুক ফুলিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে টিকলি কপাল কুচকে উত্তর দিলো,

‘আর্দ্র ভাইয়া গেছে টায়রাকে আনতে এটাই সবচেয়ে বড় চিন্তা।’

আদর ফোন থেকে চোখ সরালো। টিকলির দিকে পুরোদস্তুর তাকাতেই দেখলো নিভা ওর দিকে তাকিয়েছে। আদর আবারো ফোনে ডুব দিলো। নিভা বলল,

‘তোরা থাক। আমি ছাদে যাই। এ বাসার ছাদ টা অনেক সুন্দর।’

টিকলি উৎফুল্লতার সুরে বলল, ‘তাহলে আমিও যাই, চল। একা একা বসে থেকে কি করবো?’

আদর কোণাচোখে এক ঝলক তাকালো। নিভা খেয়াল করে বলল,

‘নাহ তুই থাক। আমি একাই যাই।’

কথাটা বলা মাত্র নিভা দৌড়ে চলে গেলো বাইরে। নিভা চলে যেতেও আদর ভালোভাবে তাকালো টিকলির দিকে। বাইরে তখন ঝড়ো হাওয়া। আষাঢ়ে বর্ষার আগামবার্তা। জানালা দরজার পর্দারা উড়ছে মুক্ত হয়ে। হু হু করে বাতাস ঢুকে ঘরময় হয়ে গেছে অত্যন্ত শীতল। টিকলি উঠে দাঁড়িয়ে জানালার থাই আটকে দিতে দিতে বলল,

‘একটু আগেও কি সুন্দর রোদ ছিলো! অথচ এখনি আকাশ মেঘ করেছে।’

আদর গিয়ে দাড়ালো টিকলির পেছনে। খুব সন্নিকটে। সকালে বকুল ফুলের মালা কিনে দিয়েছিলো আদর।টিকলির খোলা চুলের ভাঁজে গাথা বকুল ফুলের মালা, কাজল কালো দুটি চোখ রাঙা, হালকা গোলাপি রং ছোয়ানো দু’ঠোঁট জুড়ে, কানে বড় বড় কালো ঝুমকো, হাতভর্তি কালো লাল মিশ্রণের চুড়ি। নৌকা গলার ব্লাউজে লাল সুতোর কাজ করা। কালো জামদানি শাড়ির লাল আঁচল। আদর হাত বাড়িয়ে থাই খুলে দিলো। হু হু করে আবারো বাতাস ভেতরে ঢুকতেই টিকলি ঘুরে তাকালো। আদরকে এতোটা কাছে দেখে শিরদাঁড়া কেঁপে উঠলো। ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেলো শরীর জুড়ে। উন্মাদ অনুভূতির চোখদুটো দিশেহারা হয়ে তাকিয়ে রইল ওই শ্যামলা মুখের যুবকটির দিকে। যেই যুবকের চোখ নেশাক্ত। গভীর পাতাল চোখদুটো ভীষণ মাতাল। টিকলির কোমড় ছাড়ানো ঘন কালো রেশমি কেশ আর কালো শাড়ির লাল আঁচল উড়ে এসে পড়লো তার মুখচ্ছলে। টিকলি আস্তে করে সরিয়ে নিলো। আবারো ঘুরে দাড়ালো জানালার দিক। চোখবন্ধ করে আদরে মত্ততা গলায় বলল,

‘বাতাসের সাথে বালি আসছে তো ঘরে।’

টিকলির কথা জবাব না দিয়ে দ্বিগুণ মাতালজনিত গলায় আদর বলল,

‘এই সুন্দর চুলের ভাঁজে যে একটা টিকলির অভাব আছে তা কি আপনি জানেন, শুকতাঁরার মনতাঁরা?’

টিকলি কোমলতার যোগে চাইলো জানালা গলিয়ে বাইরের পানে। খুব অসহায় চোখ দুটোতে খেলে গেলো নিদারুন প্রেম! প্রেম প্রেম অনুভূতি নিয়ে দুঃখ বিলাশ করে চোখ দুটো বলল, ‘এভাবে বলবেন না! আমার দেহের প্রাণ চলে যায়!’

আদর সেদিকে তাকিয়ে আবারো মুগ্ধ গলায় বলল,

‘আপনার ইচ্ছা কি টিকলি? যেকোনো ইচ্ছা? এই মেঘলা দিনে ঘরে একলা আমার সাথে কি করতে আপনার বেশি ভালো লাগবে?’

টিকলি চমকে ঘুরে তাকালো। অবাকপ্রসন্ন চোখে তাকিয়ে আদরের চোখে কিছু একটা খুঁজলো। কিন্তু নেই…সেসব অবেদন, অভেদ্য চাওয়া পাওয়া কিছুই আদরের চোখে নেই। আছে শুধু বিশুদ্ধ নিরাপদ ভালোবাসা। ভালোবাসা আর ভালোবাসা। আছে প্রেম, অনুরক্তি, টিকলির প্রতি প্রবল অনুরাগ, মমতা, স্নেহ আর একরাশ মুগ্ধতা। টিকলি আশ্বস্ত হলো। মনে আশ্বাস নিয়ে বলে উঠলো,

‘এই বৃষ্টিস্নিগ্ধ দিনে একা আমরা দুজন বারান্দার কিনারে বসে আমি গিটার বাজানো শিখতে চাই, ডাক্তার। আপনার কাছে। আপনি থাকবেন আমার পেছনে বসে আমি থাকবো আপনার সামনে বসে। হাতের উপর হাত রেখে শিখাবেন আমায় গিটার বাজানো?’

আদর মোহবিষ্ট চোখে টিকলির দিকে তাকিয়ে এগিয়ে যেতে যেতে বলল, ‘আসুন।’

,

তখনও বৃষ্টি পড়েনি। মেঘলা সময়ে বারান্দার দ্বারপানে টিকলি বসে ছিলো গ্রাস কার্পেটে গিটার হাতে। একটা কালো রঙের টুল নিয়ে টিকলির পেছনে বসেছে আদর। বাদামী রঙের গিটারে আদর টিকলির হাত বাজিয়ে দিলো। হাতের উপর হাত রাখতেই শিউরে উঠলো দুটি মন। দুজন দুজনার খুব কাছে। অনুভব করা যাচ্ছে হৃদয়ের শব্দ। প্রেয়সীর চুলের ঘ্রাণে মাতোয়ারা অন্তর। আদর বলল,

‘আমি গিটার বাজাতে পারি এটা আপনি জানেন কীভাবে টিকলি?’

হালকা ঘাড় ঘুরিয়ে আদরের দিকে তাকিয়ে টিকলি মিষ্টি হেসে ফিসফিস করে বলল, ‘সিক্রেট। বলা যাবে না। বলা বারন।’

আদর ভ্রু কুচকে বলল, ‘আর্দ্র বলেছে?’

টিকলি মাথা নাড়িয়ে বলল, ‘হুম। নিঝুম দ্বীপে একদিন বলেছিলো। সাথে এও বলেছে আপনি খুব সুন্দর গান পারেন।’

‘ডাহা মিথ্যা।’

‘ডাহা সত্যি। এবার শিখান।’

আদর ধরলো গিটার শক্ত করে। টিকলির হাত তারে লাগিয়ে দেখিয়ে দিতে দিতে সময় পার হলো কিছুক্ষণ। টিকলির হাতে গিটার পেছন থেকে ধরে ছিলো আদর। বাতাসে খোলা চুল এলোমেলো হয়ে বারংবার উড়ে পড়ছে আদরের মুখে আর টিকলি মগ্ন গিটার শিখতে। এদিকে আদর তাকিয়ে ছিলো প্রণয় নয়নে আসক্ত দৃষ্টিতে। হঠাৎ কেউ বলে উঠলো,

‘পার্ফেক্ট।’

এরপর আবারো দুই নারী-পুরুষ কন্ঠ সমস্বরে বলল, ‘আমরা কিন্তু কিচ্ছু দেখিনি।’

আদর টিকলি চমকে তাকালো। ঘরের দরজার সামনেই দেখা গেলো দুজন দুজনের ফোন হাতে দাঁড়িয়ে আছে। টিকলি ঝটপট উঠে দাড়ালো। উঠে দাড়াতেই টান খেলো আঁচলে। আদরের হাতের নিচে চাপা পড়েছে শাড়ির আঁচল। আদর ছাড়িয়ে দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে পকেটে হাত দিয়ে অন্যদিক ঘুরে তাকিয়ে শুকনো কাশি কাশলো। টায়রা এগিয়ে এসে প্রফুল্লচিত্তে বলল,

‘ভাইয়া, দেখুন তো ছবিটা জবরদস্ত হয়েছে না?’

আদর আড়চোখে তাকালো। আর্দ্র টায়রাকে মাড়িয়ে বলল,

‘ভাইয়া, আমারটা দেখো। উনার টা দুই টাকা দামের ফোন। ছবি ভালো আসে না।’

টায়রা চোখ বড় বড় করে কোমড়ে হাত রেখে বলল,

‘এই আপনি কোনটাকে দু টাকা দামের ফোন বললেন? ইটস আইফোন।’

‘তাই বুঝি? সেকেন্ড হ্যান্ড নাকি থার্ড হ্যান্ড?’

‘ফার্স্ট হ্যান্ড। আরে আপনি চিনবেন নাকি? জীবনে আইফোন দেখছেন?’

‘তো আমার হাতে এটা কি? নোকিয়া?’ আর্দ্র ভ্রু কুচকে হাতের আইফোন দেখিয়ে বলল।

ওদের ঝগড়ার মাঝে টিকলি আদরের দিকে অসহায় চোখে তাকালো। আশ্চর্য ভাবে আদর ঠোঁট চেপে মুচকি হাসলো।

_______________________________

ছাদের কাছাকাছি সিড়িতে আসতেই নিভা শুনতে পেলো কেউ একজন গুনগুন করে মনের সব কষ্ট আবেগ ঢেলে গাইছে,

“ব্যাচেলার আমি ব্যাচেলার
বিন্দাস লাইফে কোনো পেইন নেই আমার
ব্যাচেলার আমি ব্যাচেলার
বিন্দাস লাইফে কোনো পেইন নেই আমার।
ব্যাচেলার হয়ে যখন বাড়ি ভাড়া নিতে যাই
বাড়িওয়ালা বলে ব্যাচেলার এর জায়গা নাই
আংকেল,
আমি আপনার মেয়ের জামাই হতে আসি নাই
থাকার মতো ছোটোখাটো একটা জায়গা চাই
ব্যাচেলার আমি ব্যাচেলার
বিন্দাস লাইফে কোনো পেইন নেই আমার।”

নিভা গোয়েন্দাদের মতো সূক্ষ্ম চোখে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করলো কে গাইছে গান। কিন্তু দেখা গেলো না।গুটিগুটি পায়ে ছাদে উঠলো সে। আন্দাজ করলো যেই চারজনকে ব্যাচেলার ভাড়া দেওয়া হয়েছে হয়তো তাদের মধ্যেই কেউ একজন। বৃষ্টিমুখর দিনে মেঘলা আকাশের দিকে মুখ করে গাইছে কোনো অজানা যুবক। নিভা উল্টো ঘুরে চলে যেতে নিলেই ছেলেটি ঘুরে তাকালো। নিভা অবহেলায় তাকাতে গেলেই থ হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। অবাকতার চরম সীমানায় পৌঁছে গিয়ে মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলল। ঠোঁট দুটো আপনা আপনি নিজ শক্তিতে আলাদা হয়ে চোখের পলক না ফেলে চেয়ে রইল। রাহুল বিস্ময় নিয়ে বলল,

‘আপনি? আপনি টিকলি টায়রার ফ্রেন্ড না? সেদিন না আমাকে রিক্সায়…..’

রাহুলকে মাঝপথে আটকে নিভা স্বগতোক্তি করলো,

‘আপনি তো টিকলি টায়রার মামাতো ভাই। আপনি এখানে কি করছেন?’

শেষবাক্য খুব দ্রুত বলল নিভা। রাহুল স্বাভাবিক কণ্ঠে বলল,

‘এখানে তো আমি ভাড়া থাকি। কিন্তু আপনি??’

‘আদর আর্দ্র ভাইয়াকে চিনেন না? আমি ওদের খালাতো বোন।’

রাহুল হেসে বলল, ‘ওহ আচ্ছা। তো কেমন আছেন?’

‘ভালো আপনি?’

‘যাচ্ছে কোনোরকম।’

নিভা তাকালো সম্পূর্ণ দৃষ্টিতে। রাহুলও তাকালো। চোখে চোখ মিল হলো। নিষিক্ত বাধাহীন অক্ষি। কিছুক্ষণ অস্বস্থিকর মুহুর্ত পার হলো আশেপাশে মাতাল হাওয়ায় ভেসে ভেসে। নীল আকাশ ঢাকা কালো মেঘের চত্ত্বরে। উপরে উড়ে বহুদূর চলে যাওয়া কোনো এক চিলের সান্নিধ্যে।

চলবে❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here