#সুপ্ত_প্রেমাসুখ
#ইলোরা_জাহান_ঊর্মি
#পর্বঃ৩০
দুদিন কেটে যাওয়ার পরও যখন টুম্পা কারোর সাথে কোনোরকম যোগাযোগ করল না, তখন সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিল ওর বাসায় যাওয়ার। কিন্তু তাহসিন কিছুতেই যেতে রাজি হলো না। তাই বাধ্য হয়ে তাহসিনকে ছাড়াই সবাই টুম্পার বাসায় গেল। টুম্পার বাসায় গিয়ে সবার চোখ কপালে উঠল। মাত্র চারদিনে একি অবস্থা হয়েছে মেয়েটার! চেহারা দেখে মনে হচ্ছে কত বছরের রোগা! মুখ শুকিয়ে চুপসে গেছে, চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে, চুল এলোমেলো হয়ে ছড়িয়ে আছে। বান্ধবীদের সবাইকে দেখে মলিন হেসে টুম্পা বলল,“পাকড়াও করতে সোজা বাসায় চলে এসেছিস দেখছি?”
অরিশা সোজাসুজি বলল,“তোর সাথে কিছুক্ষণ কথা বলতে চাই আমরা।”
“রুমে আয়।”
টুম্পা সবাইকে নিয়ে নিজের ঘরে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিলো। তারপর সবাইকে নিয়ে বিছানায় বসল। ইলোরা গোমড়া মুখে প্রশ্ন করল,“তোর এই হাল কেন?”
টুম্পা কোনো উত্তর দিলো না। শুধু ছোটো একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। মুনা শক্ত মুখে বলল,“আমরা তোর দীর্ঘশ্বাস শুনতে আসিনি টুম্পা। কথা বলতে এসেছি। ভার্সিটি কামাই করছিস কেন?”
“এমনি। যেতে ইচ্ছে করে না।”
টুম্পার উত্তর শুনে নাদিয়া তাচ্ছিল্যের স্বরে বলল,“কেন? এখন তো তোর কোনো প্যারা নেই। একজনই ছিল, তাকে আলগোছে সরিয়ে দিয়েছিস। তবু শান্তি পাচ্ছিস না!”
টুম্পা অবাক হয়ে বলল,“আলগোছে সরিয়ে দিয়েছি মানে? কী বলতে চাইছিস?”
“সেটা তো আমাদের থেকে ভালো তোর জানার কথা।”
“কী জানার কথা? হেঁয়ালি না করে স্পষ্টভাবে বলবি প্লিজ?”
ডালিয়া বলল,“এখন আর বলার মতো কিছুই নেই টুম্পা। আমরা ভাবতেই পারছি না তুই এতটা নিচে নেমে গেছিস। ছিঃ! পরোক্ষভাবে একটা মানুষকে খুন করেছিস। আর তার থেকেও জঘন্য ব্যাপার ঐ সৃজনের সাথে………।”
ডালিয়া আর কিছু না বলে নাকমুখ কুঁচকে ফেলল। টুম্পা বলল,“সৃজনের সাথে কী? ওর কথা আসছে কেন? আর আমি খুন করেছি মানে কী?”
অরিশা বলল,“আমরা তাহসিনের থেকে সবটা জেনেছি টুম্পা। অন্তুর সুইসাইডের কারণের মধ্যে অন্যতম হচ্ছিস তুই। তা কী বুঝিয়ে বলতে হবে?”
“মানছি অন্তু আমাকে পছন্দ করত। আর সৃজনকেও ও একদম পছন্দ করত না। সৃজন কেমন ছেলে সেটা বুঝানোর অনেক চেষ্টা করেছিল আমাকে। আমিই বুঝতে চাইনি। আর না বুঝে ওর গালে চড় মেরে আমি অনেক বড়ো ভুল করেছিলাম। তার জন্য যথেষ্ট পাস্তাতেও হচ্ছে আমাকে। কিন্তু শুধু এইটুকু কারণে ও সুইসাইড করতে যাবে? তাহসিন সম্পূর্ণভাবে আমাকে দোষারোপ করছে। কিন্তু ওর তো ফ্যামিলি প্রবলেমও ছিল।”
ইলোরা অবাক হয়ে বলল,“এইটুকু! তোর মনে হচ্ছে এটা এইটুকু ব্যাপার? আর সবই যখন স্বীকার করছিস, তখন বড়ো অপরাধ কেন চেপে যাচ্ছিস?”
“বড়ো অপরাধ মানে?”
“স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছিস, না কি আড়াল করার চেষ্টা করছিস? আমরা ভাবতে পারছি না তুই সৃজনের মতো একটা ছেলের সাথে রাতও কাটিয়েছিস। ছিঃ! এসব কথা মুখে আনতেও ঘৃণা লাগছে।”
টুম্পা একপ্রকার চিৎকার করে বলে উঠল,“হোয়াট! এসব কী বলছিস? এমন জঘন্য কথা কে বলেছে তোদের?”
“শুনতে জঘন্য মনে হচ্ছে, আর ঘটনা যখন ঘটিয়েছিস তখন জঘন্য মনে হয়নি?”
“প্লিজ এসব বাজে কথা বলিস না। এসব গুজব কে ছড়াল? আজব! এমন কিছু আমি কখনও করিনি। আমাকে তোদের এরকম মনে হয়?”
মুনা বলল,“আমাদের কেমন মনে হয় সেটা বড়ো কথা না টুম্পা। আমরা সত্যিটা শুনতে চাই তোর মুখ থেকে।”
“আমি সত্যি বলছি। হ্যাঁ, সৃজনের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে গেছিলাম ঠিকই। কিন্তু এরকম কিছু করার কথা আমি দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারি না।”
“তাহলে অন্তু মিথ্যে বলেছে, না কি সৃজন? সৃজন নিজের মুখে অন্তুকে এসব কথা বলেছে। আর অন্তু সেসব শুনেই ভেঙে পড়েছিল।”
টুম্পা এবার কেঁদেই ফেলল। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলল,“তার মানে সৃজন এমন জঘন্য মিথ্যে বলে অন্তুকে সরাতে চেয়েছিল! আমি ভাবতে পারছি না ও এতটা জঘন্য। ওর মিষ্টি কথায় আমি গলে গিয়েছিলাম। অন্তুর কোনো কথাই বিশ্বাস করিনি। কিন্তু ও যে এতটা খারাপ তা আমার জানা ছিল না। এজন্যই ও অন্তুর সুইসাইডের পর থেকে ফোন বন্ধ করে রেখেছে।”
ডালিয়া থমথমে মুখে বলল,“ও ঢাকা ছেড়েছে। এবার বুঝতে পারছিস তুই কত বড়ো ভুল করেছিস? তোর বিশ্বাসী প্রেমিকের একটা মিথ্যের জন্য আমরা অন্তুকে হারিয়েছি।”
টুম্পা মুখ চেপে ধরে কাঁদতে লাগল। মুনা দাঁতে দাঁত পিষে বলল,“অন্তুর মৃত্যুর সাথে সম্পূর্ণভাবে ওই সৃজন জড়িত। ওকে শাস্তি দিতেই হবে। ঢাকা ছেড়েছে বলে আইনের থেকে আর কতদূর পালাতে পারবে? ধরা তো একদিন পড়বেই।”
কাঁদতে কাঁদতে একসময় টুম্পা অসুস্থ হয়ে পড়ল। টুম্পাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ইলোরা ওর মাকে ডাকল। অরিশা টুম্পার মুখে পানি ছিটিয়ে দিলো। কিন্তু টুম্পার শরীর নেতিয়ে পড়েছে। টুম্পার মা মলিন মুখে বলল,“ওর বিশ্রাম জরুরি। চারটা দিন ধরে নাওয়া-খাওয়া ভুলে একনাগাড়ে শুধু কেঁদেই চলেছে। হাজারটা প্রশ্ন করেও কোনো উত্তর পাইনি। শুধু এটা বলেছিল যে অন্তর ওর জন্য সুইসাইড করেছে। তোমাদের কাছে ফোন করতে চেয়েছিলাম কিন্তু ও নিষেধ করেছিল। একে তো ওর বাবা বাসায় থাকে না। তিনি এসব জানেও না। মেয়েটাকে নিয়ে আমি পড়েছি বিপদে। কোনো কথাই শুনছে না। তোমরা বলো তো আসলে ব্যাপারটা কী হয়েছে?”
নাদিয়া টুম্পার মায়ের প্রশ্ন এড়ানোর জন্য বলল,“আপনি ভাববেন না আন্টি। অন্তু ওর জন্য না অন্য একটা ছেলের ভুলের জন্য সুইসাইড করেছে। ওকে বুঝিয়ে শুনিয়ে ভার্সিটিতে পাঠাবেন। এভাবে ঘরবন্দি থাকলে আরো অসুস্থ হয়ে পড়বে।”
“চেষ্টা তো করছি মা। ও-ই তো শুনতে চাইছে না।”
“আচ্ছা,তাহলে আমরাই নিয়ে যাব আগামীকাল এসে।”
“ঠিক আছে।”
অরিশা বলল,“ও বিশ্রাম নিক। আমরা আজ আসি আন্টি।”
“খাওয়া-দাওয়া করে যাও।”
“না আন্টি। এখান থেকে আমরা ভার্সিটিতে যাব।”
“আচ্ছা মা। সাবধানে যেও।”
টুম্পা ততক্ষণে ঘুমিয়ে পড়েছে। সবাই ওর বাসা থেকে বেরিয়ে ভার্সিটিতে চলে গেল। ভার্সিটিতে এসেই তাহসিনকে সবটা খুলে বলল। সবটা শুনে তাহসিন সৃজনের উপর আরো চটে গেল।
•
সারা বিকেল ইলোরা ঘুমিয়ে কাটিয়েছে। ঘুম থেকে উঠে ফোন হাতে নিয়ে দেখল এরেনের মেসেজ। আরও ঊনত্রিশ মিনিট আগে মেসেজ করেছে,“ভার্সিটি থেকে আজ কোথায় গিয়েছিলে?”
ইলোরা ভ্রু কুঁচকালো। এমনভাবে জিজ্ঞেস করছে, মনে হচ্ছে তার অনুমতি নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। ইলোরা রিপ্লাই দিলো,“টুম্পার বাসায় গিয়েছিলাম।”
দুই মিনিট পর আবার মেসেজ এল,“আধা ঘন্টা পর রিপ্লাই!”
মনে হচ্ছে অভিমান করেছে। ইলোরা মুচকি হেসে জবাব দিলো,“ঘুমিয়েছিলাম। মাত্র উঠেছি।”
“তোমাকে এখন দেখার ইচ্ছে জাগছে। জানো? ঘুম থেকে উঠলে তোমাকে অনেক মায়াবী লাগে। প্রথমদিন যেদিন তোমার বাসায় গিয়েছিলাম, সেদিন কিন্তু তুমি ঘুম থেকে উঠে হঠাৎ করেই আমার সামনে চলে এসেছিলে। তখন তোমাকে দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম।”
মেসেজটা দেখে ইলোরা লাজুক হাসল। কিন্তু এর কী উত্তর দেয়া উচিত তা বুঝতে পারল না। উত্তর খুঁজে না পেয়ে সে চুপ রইল। সঙ্গে সঙ্গেই আবার এরেনের মেসেজ,“লজ্জা পেয়েছ তাই না? এখন তো লজ্জাবতীকে দেখার ইচ্ছে প্রবল থেকে প্রবলতর হচ্ছে। কী করা যায় বলো তো? শ্বশুরবাড়ি চলে আসব?”
ইলোরার চোখ বড়ো হয়ে গেল। হঠাৎ করেই তার দুষ্টুমি করার ইচ্ছে জাগল। সে দ্রুত টাইপ করল,“আপনার শ্বশুরবাড়ি, আসা না আসা আপনার ব্যাপার। আমি কী বলব?”
“আচ্ছা? তাহলে চলেই আসি, কী বলো? এমনিতেও আমি এখন বাসায় আছি। আর বাবা এখন ঘুমাচ্ছে। বাবার কার নিয়ে শ্বশুরবাড়ি চলে যাব। আসব?”
মেসেজটা দেখে ইলোরা কনফিউশনে পড়ে গেল। সত্যি সত্যিই চলে আসবে, না কি মজা করছে সেটাই বুঝতে পারছে না সে। ইতস্তত করে টাইপ করল,“সিরিয়াসলি?”
এরেনের জবাব,“ভয় পেয়েছ? থাক ভয় পেয়ো না। বউ যখন দূরে ঠেলে রাখছে, তখন আর কী করার? আমার তো আর কিছু করার নেই। তবে খুব তাড়াতাড়ি বউকে নিজের কাছে আটকে রাখার ব্যবস্থা করব। তখন দেখা যাবে কীভাবে দূরে রাখো।”
ইলোরা এবারও লাজুক হাসল। টাইপ করার আগেই আবার এরেনের মেসেজ,“কল দেই? তোমার ভয়েস শুনতে ইচ্ছে করছে।”
ইলোরা বিপাকে পড়ল। মেসেজে যেটুকু কথা বলছে কলে তার এক ভাগও সে বলতে পারবে না। সে জবাব দিলো,“এখনই আম্মুর ডাকাডাকি শুরু হয়ে যাবে। পরে বলি?”
চল্লিশ সেকেন্ড পর এরেন জবাব দিলো,“বড়ো কথা হচ্ছে তুমি লজ্জা পাচ্ছ। যাক ব্যাপার না। আস্তে-আস্তে লজ্জা কেটে যাবে। নতুন-নতুন প্রেম করছো তো।”
কথাটা এরেন মজার ছলে বললেও ইলোরা এবার চরম লজ্জায় পড়ল। এমনভাবে বলা লাগে না কি? মনে হচ্ছে সে অন্য কোনো ছেলের সাথে কথা বলছে। সে তো নিজের হাসবেন্ডের সাথে কথা বলছে। পরক্ষণেই ইলোরার মনে প্রশ্ন জাগলো,“আচ্ছা? এরেন কি শুধুই বিয়েটা হয়ে গেছে বলে আমাকে স্ত্রীর অধিকার দিতে চাইছে? না কি আমাকে ভালোবেসে ফেলেছে? ধুর! ভালোবাসল কবে? ঠিকমতো দেখা হয় না, কথা হয় না। তো ভালোবাসবে কোন লজিকে? মনে হয় শুধুই নিজের দায়বদ্ধতা থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাছাড়া আমিও তো শুধু সম্পর্কটায় জড়িয়ে পড়েছি বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। না কি অন্য কোনো কারণ আছে। আমার মন কেন খারাপ হয় তার জন্য? ধুর! কিছু মাথায় আসে না।”
এরেনের মেসেজে ইলোরার ধ্যান ভাঙল। এরেন লিখেছে,“কিছু বলবে না?”
ইলোরা একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে টাইপ করল,“পরে কথা হবে। এখন বাই।”
এরেন ইলোরার উত্তর দেখে ভ্রু জোড়া কুঁচকে ফেলল, কিন্তু আর কোনো জবাব দিলো না। ইলোরা ফোনটা রেখে চোখ বন্ধ করে বড়ো একটা শ্বাস নিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ল। ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বেরিয়ে ডালিয়া আর মিথিলাকে খুঁজতে লাগল। মালিহা বেগম জানালেন ওরা দুজন ছাদে গেছে। ইলোরাও তাই ছাদে চলল।
•
আজ ভার্সিটিতে এসেই সবাই মিলে আবার টুম্পার বাসায় গেল। তাহসিন আজও গেল না। ওরা সবাই গিয়ে টুম্পাকে একপ্রকার ধরে বেঁধে নিয়ে এসেছে। ভার্সিটিতে এসেই টুম্পা অনুভব করল কিছু একটা নেই। চারদিকে কেমন যেন একটা শূন্যতা ছড়িয়ে আছে। পরক্ষণেই মনে হলো বন্ধুত্বের একটা অংশ চিরকালের জন্য বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, যে আর কোনোদিনও ফিরবে না। টুম্পার চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে এল। ইলোরা টুম্পাকে লক্ষ্য করে মলিন মুখে বলল,“এই শূন্যতাটা আমরা গত চরদিন ধরে অনুভব করছি। কিন্তু আর কিছুই করার নেই। এই শূন্যতা সারাজীবন থেকে যাবে। অন্তু আমাদের মাঝে না থেকেও সবসময় যেন অদৃশ্যের মতো আমাদের সাথেই থাকে।”
টুম্পা নিজেকে সামলে নিল। কিন্তু তার আরও খারাপ লাগল তখন, যখন দেখল তাহসিন তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। না তার দিকে তাকাচ্ছে, আর না কথা বলছে। অদূরেই সাকিব, রনি আর এরেন দাঁড়িয়ে ছিল। ইলোরা হঠাৎ এরেনের দিকে তাকিয়ে দেখল মহারাজ দিব্যি ফোনে ডুবে আছে। তাকে খেয়াল করেছে কি না কে জানে? তখনই ইলোরার ফোন ভাইব্রেট করল। ব্যাগ থেকে ফোন বের করে দেখল এরেনের মেসেজ,“কথা বলতে চাই তোমার সাথে?”
ইলোরা দ্রুত টাইপ করল,“এখন? কীভাবে?”
এরেনের দৃঢ় উত্তর,“জানি না। কিন্তু বলতে চাই, প্লিজ। এখানে তো সাকিব আছে। তুমিও আসো। আচ্ছা, আমার সাথে কথা বলতে হবে না। তোমার ভাইয়ের সাথে কথা বলো, আমি শুধু শুনব।”
এরেনের পাগলামি দেখে ইলোরার হাসি পেল। এরেনের দিকে তাকিয়ে দেখল সে উত্তরের অপেক্ষায় তাকিয়ে আছে। ইলোরা জবাব দিলো,“এখন আমার ক্লাস আছে। যেতে পারব না।”
জাবাব দিয়েই ইলোরা ফোনটা পুনরায় ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখল। সবার সাথে ক্লাসের দিকে পা বাড়াতে-বাড়াতে একবার এরেনের দিকে তাকাল। বেচারা অসহায়ের মতো মুখ করে তাকিয়ে আছে। ইলোরার মায়াও হচ্ছে, আবার প্রচন্ড হাসিও পাচ্ছে। সে আর সেদিকে নজর না দিয়ে সোজা ক্লাসে চলে গেল।
চলবে…………………..🌸