সুপ্ত_প্রেমাসুখ পর্ব-৪৩

0
577

#সুপ্ত_প্রেমাসুখ
#ইলোরা_জাহান_ঊর্মি
#পর্বঃ৪৩

সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। এদের সাথে তাল মিলিয়ে জীবনও সদা চলমান। অতীতকে পেছনে ফেলে ক্রমাগত ছুটে চলে সামনের দিকে। থেমে থাকার উপায় নেই। চলমান জীবন থেকে কেটে গেছে আরও দু দুটো মাস। এই দুই মাসে অনন্যা বেশ সংসারী হয়ে উঠেছে। সাকিবের ভালোবাসায় তার এখন জীবন নিয়ে কোনো আফসোস নেই। মালিহা বেগমও অনন্যাকে ছেলের বউ হিসেবে আপন করে নিয়েছেন। তা দেখে সাজিদ হোসেন বড্ড খুশি। রনি-মিথিলার সুপ্ত প্রেমের খবর ইলোরা আর এরেনের পরিবার ছাড়া আজও কেউ জানে না। জারিন নিজেকে সামলে নিয়েছে ঠিকই কিন্তু প্রেম নামক অসুখটা মাঝে মাঝে বেশ কড়াভাবে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তখন ছিটকিনি আটকে বালিশে মুখ গোঁজা ছাড়া আর কোনো ঔষধ থাকে না এই রোগ সারানোর। মাঝে মাঝে একমাত্র মেয়ের লাল বর্ণের চোখ জোড়া জাকির জামান আর আন্নি হকের দৃষ্টিগোচর হয় না। সবার দৃষ্টির আড়ালে এরেন-ইলোরার ভালোবাসা চলছে একইভাবে। প্রতিদিন ফোনালাপ, ভার্সিটিতে চোখে চোখে কথা, মুচকি হাসি আদান-প্রদান, সুযোগ পেলে কাছে আসা। এভাবেই চলছে তাদের বিবাহিত জীবন। ডালিয়া ধীরে ধীরে তাহসিনের প্রতি অনেকটাই দূর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু তাহসিন বেচারা আজও ভালোবাসি কথাটা বলতে পারেনি। বলব বলব করেও বলা হয়ে ওঠে না। তবে তারা দুজনই দুজনের মনের খবর পেয়ে গেছে। তাদের সামনে নাদিয়া ঠোঁটে মেকি হাসি ঝুলিয়ে রাখলেও মনে মনে প্রচন্ড কষ্ট পায়। কিন্তু সে চায় না তার কষ্টটা কেউ দেখুক। আফসার-মুনার বিবাহিত জীবন বেশ হাসিখুশিতে কেটে যাচ্ছে। সিনিয়র মাহাদির সাথে অরিশার দেখা হয় ঠিকই। কিন্তু ছেলেটা এখনও পর্যন্ত নিজের মনের কথা বলার সাহসটাই জুগিয়ে উঠতে পারেনি।‌ প্রথমদিকে অরিশা মাহাদিকে দেখলে চোখ সরিয়ে নিলেও এখন কেন জানি না চাইতেও ছেলেটার দিকে আরেকবার আড়চোখে তাকাতে ইচ্ছে করে। অন্তরের মৃত্যুর পর থেকে টুম্পা সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে। বন্ধুরা ছাড়া সে আর কারও সাথে মিশতেও চায় না এখন। মাঝে মাঝে সবার মাঝে থেকেও কেমন অন্যমনস্ক হয়ে যায়। তাহসিন আজও টুম্পাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। তবু টুম্পা অনেক চেষ্টা করে তাহসিনের সাথে কথা বলার। হাসিখুশি, চঞ্চল মেয়েটার এমন পরিবর্তনে বন্ধু মহল নিঃশব্দে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। যার অবস্থার জন্য যে নিজেই দায়ী তাকে আর কী বুঝাবে? অন্তরের শূন্যতা আজও বন্ধু মহলে মাঝে মাঝে নীরবতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আজও ঠিক এটাই হয়েছে। আড্ডার মাঝে হঠাৎ অন্তরের কথা উঠে আসায় শূন্যতাটা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। দীর্ঘক্ষণ নীরবতার পর হঠাৎ ইলোরার ফোনটা স্বশব্দে বেজে উঠল। নিস্তব্ধ পরিবেশে সবার দৃষ্টি গিয়ে পড়ল ইলোরার ফোনের দিকে। ইলোরা ফোন রিসিভ করে হ্যালো বলতেই ওপাশ থেকে এরেনের কন্ঠস্বর ভেসে এল। এরেন বলল,“লাইব্রেরির দিকে আসো তো একটু।”

ইলোরা বন্ধুদের দিকে নজর বুলিয়ে দেখল সবাই আগ্রহী দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে। সে একটু ইতস্তত করে বলল,“এখন? কেন?”

এরেন কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বলল,“প্রশ্ন কোরো না তো। আসো তাড়াতাড়ি। আর হ্যাঁ, একা আসবে। পুরো টিম নিয়ে এসো না আবার।”

“কিন্তু আমার তো ক্লাস আছে।”

“ক্লাস শুরু হতে এখনও পনেরো মিনিট বাকি আছে। সো আমি কোনো এক্সকিউজ শুনতে চাই না। পাঁচ মিনিটের মধ্যে আসবে। ওকে?”

ইলোরা পাল্টা জবাব দেয়ার আগেই এরেন ফোন কেটে দিলো। ইলোরা ঠোঁট উল্টে বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে বলল,“হা করে তাকিয়ে আছিস কেন সবকটা?”

তাহসিন সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,“কী বলল এরেন ভাই যে মিথ্যা বললি?”

ইলোরা আমতা-আমতা করে বলল,“লাইব্রেরির দিকে যেতে বলেছে।”

নাদিয়া বলল,“তো চল যাই।”

ইলোরা মুখটা ছোটো করে বলল,“একা যেতে বলেছে।”

অরিশা দুষ্টু হেসে বলল,“আহা, কী প্রেম কী প্রেম!”

ইলোরা কিছুটা লজ্জায় পড়ে গেল। এরেনের ওপর কিঞ্চিত রাগও হলো। এভাবে সবার মাঝ থেকে একা ডাকার কোনো মানে হয়? বন্ধুরা একদফা হাসাহাসি করে ইলোরাকে ঠেলেঠুলে লাইব্রেরির দিকে পাঠিয়ে দিলো। ইলোরা লাইব্রেরির কাছাকাছি আসতেই হঠাৎ দুটো শক্ত হাত তাকে পেছন থেকে টেনে একটা ফাঁকা ক্লাসরুমে নিয়ে গেল। আকস্মিক ঘটনায় ইলোরা ভীষণ ভয় পেয়ে গেল। রুমে গিয়ে ছাড়া পেতেই সে চোখ পাকিয়ে, মুখ ফুলিয়ে এরেনের দিকে তাকাল। কিন্তু এরেন তার দৃষ্টিকে পাত্তা না দিয়ে তাকে সূক্ষ্ম চোখে নিরীক্ষণ করতে লাগল। ইলোরা কিছুটা রাগত কন্ঠে বলল,“সমস্যা কী তোমার? সবার মাঝ থেকে একা ডেকে পাঠালে, এখন আবার ক্লাসে টেনে নিয়ে এসেছ। কিছু বলার থাকলে ফোনে বলতে পারতে না?”

এরেন কপাল কুঁচকে ইলোরার কথা শুনল। কথা শেষ হতেই হঠাৎ সে ইলোরার দু বাহু ধরে দেয়ালের সাথে চেপে ধরল। ইলোরা হকচকিয়ে গেল। সচরাচর এরেনের এমন স্বভাবের সাথে সে পরিচিত নয়। এর আগে কখনও সে এমনটা করেওনি। আজ এরেনের চোখেমুখেও কিছুটা রাগ স্পষ্ট। তবে সেটা খুব বেশিও না। ইলোরা গোলগাল চোখে এরেনের দিকে তাকিয়ে বলল,“কী হয়েছে?”

এরেন কিছুটা জোরে বলে উঠল,“কতদিন ধরে আমার কাছে আসছো না? প্রায় এক মাস। শুধু ফোনে দু একটু কথা আর দূর থেকে দেখা। আমার কি তোমার একটু কাছে থাকতে ইচ্ছে করে না?”

ইলোরা অবাক হয়ে বলল,“হঠাৎ করে এমন কথা বলছো যে? আমরা তো আর একসাথে থাকি না। এটা কি স্বাভাবিক না? যেখানে ফোনালাপটাই লুকিয়ে হয় সেখানে কাছে থাকার কথা আসে কোত্থেকে?”

এরেন ইলোরাকে ছেড়ে দিয়ে মুখ দিয়ে বিরক্তিকর একটা শব্দ করল। তারপর ইলোরাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল,“জানি না। এতদিন পর্যন্ত তুমি আমার থেকে দূরে সরে থাকবে না ব্যাস। তুমি জানো? এতদিন আমার বুকটা কেমন খালি খালি লাগছিল। এখন মনে হচ্ছে অনেক বছর পর হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক হয়েছে।”

ইলোরা এরেনের পিঠে হাত রেখে বলল,“তাই বলে ভার্সিটির মধ্যে এমন করবে? কেউ দেখে ফেললে দুর্নাম হবে।”

এরেন ত্যাড়াভাবে বলল,“হোক দুর্নাম। সে অছিলায় না হয় তোমাকে আবার বিয়ে করে নিজের কাছে রেখে দিবো।”

ইলোরা এবার না হেসে পারল না। ঠোঁটের কোণে মৃদু হাসি ঝুলিয়েই বলল,“এখানে যে এসেছ, ভাই খুঁজবে না তোমাকে?”

এরেন বিরক্তির সুরে বলল,“ধুর! ওই শালার জন্য বউ নিয়ে একটু বাইরেও ঘুরতে যেতে পারি না। ও তো নিজের বউ নিয়ে দিব্বি আছে।”

ইলোরা এরেনের বুক থেকে মাথা জাগিয়ে তার দিকে তাকিয়ে বলল,“জানো? মাঝে মাঝে আমার আফসোস হয়। ভাই আর অনু আপ্পির এক্সিডেন্টলি বিয়ের পরও তারা কী সুন্দর সময় কাটাচ্ছে! আমাদের কেন এমন হলো না?”

এরেন ছোটো একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,“ওদের তো সবার মতে বিয়ে হয়েছে। তার থেকে বড়ো কথা সাকিব ভাবিকে অনেক আগে থেকেই ভালোবাসে। সেজন্যই মানিয়ে নেয়াটা এত সহজ হয়েছে।”

ইলোরা মাথাটা হালকা ঝাঁকিয়ে বলল,“হুম।”

“এই বছরটা তাড়াতাড়ি কেটে যেতে পারে না? নতুন বছরে বউকে ঘরে তুলতে পারতাম।”

ইলোরা এরেনের কাছ থেকে সরে দাঁড়িয়ে বলল,“বুঝেছি। এখন আমি আসছি। নইলে ওরা সবাই আজেবাজে বকবে।”

এরেন মুখটা অন্ধকার করে বলল,“আরেকটু থাকো না।”

“উঁহু। সময় করে ভাইয়ের সাথে বাসায় এসো।” কথাটা বলেই ইলোরা দ্রুত ওই রুম থেকে বেরিয়ে গেল। এরেন বিরস মুখে প্রেয়সীর চলে যাওয়া দেখল। তারপর নিজেও রুম থেকে বেরিয়ে চলে গেল। ইলোরা ক্যাম্পাসে ফিরে আসতেই সবাই মিলে ওকে খেপানো শুরু করল।

কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পর গোসল সেরে খাওয়া-দাওয়া করে ইলোরা আর ডালিয়া ছাদে গেল বিকেলটা কাটাতে। ছাদে এখনও হালকা রোদের তাপ আছে। ইলোরা আর ডালিয়া ছাদের রেলিংয়ে পা ঝুলিয়ে বসে পড়ল। কিছুক্ষণ নীরবতায় কাটানোর পর ইলোরা বলল,“তাহসিন যে কবে তোকে মনের কথাটা বলবে।”

ডালিয়া হেসে বলল,“সময় থাকতে করবে না। তারপর যখন আমি বিয়ে করে ওর সামনে দিয়ে জামাই নিয়ে ঘুরব, তখন ও বসে বসে বিরহের গান গাইবে।”

ইলোরাও নিঃশব্দে হেসে ফেলল। ডালিয়া আবার বলল,“এরেন ভাইয়ার এক্সামটা যে কবে শেষ হবে। এক্সামটা শেষ হলেই তো বিয়ের কথা তুলতে পারত।”

“হুম। কিন্তু আমার ভয় লাগে রে। জানি না সবাই কী ভাববে।”

“কী আর ভাববে? ভাববে এতদিন লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করেছিস। আগের বিয়ের কথা তোরা না বললে তো আর কেউ জানতে পারবে না।”

ইলোরা ছোটো একটা শব্দ করল,“হুম।”

ইলোরার ফোনটা তখন স্বশব্দে বেজে উঠল। ডালিয়া ফোনের দিকে তাকিয়ে হেসে বলল,“নাম নিতে না নিতেই ফোন। কী টান রে বাবা!”

ইলোরা মৃদু হেসে ফোন রিসিভ করল। ওপাশ থেকে এরেন বলল,“তুমি কোথায়?”

ইলোরা ভ্রুকুটি করে বলল,“আমি কোথায় মানে? বাসায় ছাড়া আর কোথায় থাকব?”

এরেন বলল,“বেলকনিতে আসো।”

ইলোরা মাথায় হাত দিয়ে হতাশ গলায় বলল,“এখন এখানে কেন? সকালে না দেখা হলো?

এরেন দ্রুত জবাব দিলো,“কথা বাড়িও না। হাতে বেশি সময় নেই। তাড়াতাড়ি আসো।”
কথাটা বলেই এরেন ফোন কেটে দিলো। ইলোরা ডালিয়ার দিকে তাকাতেই সে হেসে বলল,“যা, দেখতে ইচ্ছে করেছে হয়তো।”

“তুই যাবি না?”

“পরে আসছি।”

ইলোরা মাথা দুলিয়ে উঠে নিচে চলে গেল। রুমে ঢুকে দেখল মিথিলা বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। ইলোরা চুপচাপ বেলকনিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে রাস্তার দিকে তাকাল। দেখল এরেন আর জারিন গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। জারিনই আগে ইলোরাকে দেখে হাত নাড়লো। ইলোরাও মুচকি হেসে হাত নাড়লো। জারিন এরেনকে কিছু একটা বলে গাড়িতে উঠে বসল। এরেন ইলোরাকে আবার ফোন করল। ইলোরা ফোন রিসিভ করে বলল,“তোমরা কি কোথাও যাচ্ছ?”

এরেন ছোটো একটা শব্দ করল,“হুঁ।”

ইলোরা প্রশ্ন করল,“কোথায়?”

“গ্রামে যাচ্ছি। বলেছিলাম না গ্রামে আমার এক মামা থাকে? সে খুব অসুস্থ। বাঁচার আশা নেই। বাবা আর আম্মী চলে গেছে আমরা ভার্সিটিতে ছিলাম তখনই। বাবা গাড়ি রেখে গেছে আর বলে গেছে জারিনকে নিয়ে যেতে। ভাবলাম যাওয়ার আগে তোমার সাথে একবার দেখা করে যাই।”

“ও। কতদিন থাকবে?”

“ঠিক বলতে পারছি না। তবে বেশিদিন না।”

ইলোরার মনটা খারাপ হয়ে গেল। সে এরেনের থেকে চোখ সরিয়ে নিল। এরেন বলল,“ইচ্ছে করছে তোমাকে সাথে নিয়ে যাই। তা তো সম্ভব নয়। তবে তাড়াতাড়ি ফেরার চেষ্টা করব।”

“সত্যি তো?”

“জি মহারানি। এখন কি যাওয়ার সময় বউয়ের গোমড়া মুখটা দেখে যেতে হবে? একটু হাসবে না?”

ইলোরার মুখে হাসি ফোটার বদলে চোখের পাতা জোড়া ভিজে উঠল। এরেন নিচ থেকে স্পষ্ট দেখতে না পেলেও বুঝতে পারল ইলোরার মুখটা অন্ধকার হয়ে গেছে। এরেন আদুরে গলায় বলল,“এই ইলোনি, কী হয়েছে? বলছি তো তাড়াতাড়ি ফিরব।”

ইলোরা কাঁপা গলায় বলল,“কেন জানি আমার মনে হচ্ছে তুমি আমার থেকে অনেক দূরে সরে যাচ্ছ।”

এরেন থমকে গেল। এই একই অনুভূতি তারও হচ্ছে। কিন্তু ইলোরা মন খারাপ করবে বলে সে এতক্ষণ এসব কথা বলেনি। ইলোরারও তারই মতো অনুভূতি হচ্ছে শুনে তার মনে হালকা ভয় কড়া নাড়ল। তবু সে নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে মেকি হেসে বলল,“পাগলী, এসব তোমার মনের ভ্রম। দূরে সরে যাব কেন? এমন সাধ্য আমার আছে না-কি?”

ইলোরা ধরা গলায় বলল,“না গেলে হয় না?”

এরেনের এবার মনটাই খারাপ হয়ে গেল। নিজের মনে খারাপ চিন্তাভাবনা এসেছে বলে এসেছিল মেয়েটার হাসি মুখটা দেখে যাওয়ার জন্য। কিন্তু হলো তার উল্টোটা। এরেন ছোটো একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,“শান্ত হও ইলোনি। কিচ্ছু হবে না দেখো।‌ গিয়ে ফোন করব তো আমি। প্লিজ মন‌ খারাপ কোরো না। তোমার এই কাঁদো কাঁদো মুখ‌ দেখে গেলে কি আমার ড্রাইভিংয়ে মন বসবে?”

ইলোরা চোখ বন্ধ করে নিজেকে সামলে নিয়ে আবার এরেনের দিকে তাকাল। এরেন ডান হাত মুখের কাছে নিয়ে একটা ফ্লাইং কিস দিয়ে বলল,“বাই, নিজের খেয়াল রাখবে আর চিন্তা করবে না ওকে?”

ইলোরাও মুচকি হেসে বলল,“সাবধানে যেও।”

এরেন মাথা দুলিয়ে ফোন কেটে হাসিমুখে গাড়িতে উঠে বসল। গাড়ি স্টার্ট করতেই তার মনটা কেমন যেন উসখুস করতে লাগল। এদিকে এরেনের গাড়ি দৃষ্টিগোচর হওয়ার পরেই ইলোরার মনটাও বিষাদময় হয়ে গেল। হঠাৎ এমনটা কেন হচ্ছে দুজনের কেউই তা বুঝে উঠতে পারল না।

চলবে…..…………………🌸

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here