#আলোছায়া
কলমে: লাবণ্য ইয়াসমিন
পর্ব:৯
জুনায়েদ নীলুকে নিয়ে বন্ধুদের কাছে এগিয়ে গেলো। অনিক গোমড়া মুখে বসে আছে। বন্ধুদের উপরে সে বিরক্ত। এদের মতো বন্ধু থাকলে শত্রুর দরকার হবে না। মনিরার জন্য ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। মেয়েটা ওর সঙ্গে এমন করবে ভাবতে পারেনি। কি দরকার ছিল ভালোবাসার নামে অভিনয় করার? পছন্দ না হলে বলে দিতো। মনের মধ্যে খচখচ করছে। নীলু অনিকের সামনে গিয়ে কিঞ্চিৎ হেসে বলল,
> ভাইয়া আপনি ঠিক আছেন?
অনিক সৌজন্যতার খাতিরে মলিন হেসে বলল,
> আমি ভালো আছি। তুমি কেমন আছো?
> আলহামদুলিল্লাহ্ বেশ আছি। আপনার বন্ধুর সঙ্গে থাকলে সবাই ভালো থাকে। উদাহরণ যেমন আপনি।
> তা আর বলতে।
জুনায়েদ নীলুর দিকে ভ্রু কুচকে তাকাতেই নীলু চুপ হয়ে গেলো। সবাই মিলে খেতে তো যাবে কিন্তু এই সাত সকালে রেস্টুরেন্টে যাওয়াতে অনেকেই অমত দিলো। শেষমেশ কথা হলো আজ সারাদিন অনিকের গার্লফ্রেন্ডের উপরে গোয়েন্দাগিরি করে দুপুরে নয়তো রাতে খেতে যাবে। অনিক মোটামুটি খুশী জুনায়েদের এমন প্রস্তাবে। মানুষের কথায় বিশ্বাস না করে চোখে দেখে বিশ্বাস করা ভালো। মনকে সান্ত্বনা দেওয়া যাবে। নীলু যেতে রাজি ছিল না তবুও যেতে হচ্ছে অনিকের কথা ভেবে। এই হল্লা গ্রুপের সঙ্গে ওর একটুও জমছে না। নীলু ভাবছে এদের মাথায় বড় ধরণের সমস্যা আছে। জুনায়েদ অনিকের সঙ্গে কথা বলে জানলো মনিরা নামের মেয়েটা দুদিন আগে শিশু পার্কে নতুন বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিল। জুনায়েদ সবাইকে নিয়ে শিশু পার্কির দিকে এগিয়ে চলল। সবার কাছে বাইক আছে। জুনায়েদ ওদেরকে বাইক নিয়ে ওকে ফলো করতে বলল। নীলু চুপচাপ জুনায়েদের কর্মকাণ্ড দেখছে। ওরা শিশু পার্কের সামনে গাড়ি থামিয়ে আশেপাশের দোকান গুলো ভালো করে চেক করলো। পার্কের সামনে বিশাল শপিংমল তার পাশে একটা ক্লিনিক। যদি কেউ পার্কের সামনে গাড়ি থেকে নামে তাহলে শপিংমলের সিসি ক্যামেরাতে ভালো ভাবে দেখা যাবে।কিন্তু প্রশ্ন ওরা কি এটা চেক করতে দিবে? জুনায়েদ ওদেরকে অপেক্ষা করতে বলে নীলুকে নিয়ে ভেতরে চলে আসলো। গ্রীষ্মের আলো ঝলমলে সকাল। নীল আকাশে উতপ্ত সূর্যটা আজ একটু বেশিই জ্বলছে সঙ্গে পৃথিবীটাকেও জ্বালিয়ে দিচ্ছে। জুনায়েদ ওকে নিয়ে লিফটের সামনে গিয়ে দাড়ালো। সঙ্গে আরও কিছু লোকজন আছে। লাল শার্ট পড়া ছেলেটা ঘনঘন নীলুর দিকে তাকাচ্ছে। জুনায়েদ প্রথমে খেয়াল না করলেও পরে ঠিক বুঝেছে। ওরা যখন লিফটের ভেতরে গিয়ে দাঁড়ালো ছেলেটাও ওদের সঙ্গে গেলো। নীলু চারদিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। সিসি ক্যামেরা দেখতে হলে চতুর্থ ফ্লোরে যেতে হবে। চোখের নিমিষেই ওর উপরে উঠে গেলো। ছেলেটা বাইরে বেরিয়ে নীলুকে ডাকলো,
> হ্যালো আপনাকে খুব চেনাচেনা লাগছে। কোথায় যেনো দেখেছি ঠিক মনে করতে পারছি না। কোথায় বলুন তো?
এমনিতেই ছেলেটার উপরে জুনায়েদ রেগে ছিল তারপর আবার এমন কথায় ও পুরোপুরি ক্ষেপে গিয়ে বলল,
> সুন্দরী মেয়েরা সবাই দেখতে প্রায় এক রকমের হয়।তাই আপনার ভূল হচ্ছে। আপনি ওর মতো অন্য কাউকে দেখেছেন।
> সরি ঠিক বুঝলাম না।
> বুঝবেন কেনো মেয়ে দেখলেই চেনাচেনা লাগে না? লুচ্চুগিরী করতে মন চাই?
জুনায়েদের এমন ব্যবহারে নীলু হতাশ। সামান্য এইটুকু কথার জন্য লোকটাকে ও লুচ্চু বানিয়ে দিলো। জুনায়েদ আরও কিছু বলতে চাইলো কিন্তু নীলু দিলো না। ওকে জোর করে সামনে টেনে নিয়ে ফিসফিস করে বলল,
> ঝগড়া করা আপনার নেশা হয়ে গেছে? পা লাগিয়ে ঝগড়া করছেন।
> তুমি দেখেছো সেই প্রথম থেকে তোমাকে দেখছে। এখন বলছে চেনা লাগে। আমি বুঝিনা এসব ওর ধান্দাবাজি।
> আচ্ছা হয়েছে এবার চলুন।
নীলুর কথা শুনে জুনায়েদ শান্ত হলো কিন্তু ছেলেটা হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। লোকজন ওদেরকে দেখছে। ছেলেটা রীতিমতো অপমানিত হয়েছে। জুনায়েদ ওকে নিয়ে ডানদিকের রুমটাতে গিয়ে দেখলো একটা লোক দরজায় পাহারা দিচ্ছে। জুনায়েদ লোকটাকে জিঞ্জাসা করলো এই রুমের দায়িত্বে আছেন যিনি উনি কোথায়? লোকটা উত্তর দিলো সে এখনো আসেনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই আসবে। ওর কথা শেষ হলো না সেই লাল জামা পড়া ছেলেটা ভেতরে চলে গেলো ওকে ইগনোর করে। পাশের ভদ্রলোক জানিয়ে দিলো যাকে খুজতেছেন এটাই সেই লোক। জুনায়েদ ঢোক গিলে ফেলল। নীলুর চোখদুটো গোলগোল করে ঘুরছে। এবার কি হবে ভাবতেই ভয় লাগছে। জুনায়েদ চোখ বন্ধ করে হাত মুঠো করে শক্ত করে সামনে এগিয়ে গিয়ে বলল,
> সাহায্য লাগবে। গতকালের ভিডিও ফুটেজ চেক করবো।
জুনায়েদের কথায় ছেলেটা ওর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে মুখ স্বাভাবিক করে বলল,
> দুঃখিত আমি আপনার কোনো সাহায্য করতে পারছি না। ভিডিও গুলো ডিলিট করা হয়েছে। তাছাড়া আমি আপনার মতো মানুষকে কোনো সাহায্য করতেও ইচ্ছুক না।
জুনায়েদ তেড়ে যেতে গেলো কিন্তু নীলু ওকে থামিয়ে দিয়ে ফিসফিস করে বলল,
> থামুন তো। সব জায়গাই ঝগড়া ঝামেলা লাগিয়ে দেওয়া অভ্যাস হয়ে গেছে। একটু রিকুয়েস্ট করে বলুন।
জুনায়েদ দেখলো নীলু ঠিকই বলেছে তাই ও লোকটাকে রিকুয়েস্ট করলো কিন্তু ফলাফল শূন্য। ছেলেটা ওকে কিছুতেই সাহায্য করলো না। অবশেষে জুনায়েদ হতাশ হয়ে ওকে নিয়ে ফিরে এলো। ওদেরকে দেখে অনিক এগিয়ে আসলো। সবার চোখেমুখে জিঞ্জাসা চিহ্ন। নীলু মলিন মুখে ওদিকে সব ঘটনা খুলে বলল। অনিক রেগমেগে আগুন। তবে পার্কের গেটে একটা ক্যামেরা আছে এটাই ভরসা। জুনায়েদ যেতে চাইলো কিন্তু সবাই নিষেধ করলো তবুও নীলু ওদেরকে বুঝিয়ে জুনায়েদকে নিয়ে ভেতরে গেলো। পার্কের গেটে ছোট রুমটাতে ওরা দুজনে ঢুকে পড়লো। সেখানে এক ভদ্রমহিলা বসে আছে। নীলু মহিলাকে গিয়ে বলল,
> আন্টি গতকালের ফুটেজটা একটু চেক করবো। আমাদের খুব বিপদ হয়েছে। আমার ভাইয়ের বউ অন্য একটা লোকের সঙ্গে চলে গেছে। অনেক জুয়েলারি নিয়ে। ছোট বাচ্চা আছে সে খুব কান্নাকাটি করছে। আমরা জানতে পেরেছি ও এখানে এসেছিল। ছেলেটাকে চিনতে পারলে আমাদের একটু সুবিধা হতো। প্লিজ সাহায্য করুণ।
নীলুর কথা শুনে জুনায়েদ অবাক। এই মেয়েটা কি সব বলছে। ও কিছু বলতে চাইলো কিন্তু হলো না। তার আগেই ভদ্রমহিলা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে বললেন,
> দিনকাল খুবই খারাপ। মেয়ে ছেলে গুলোও হয়েছে মহা ফাজিল। বাচ্চাটার কথা একটু ভাবলো না। আচ্ছা দেখো তোমাদের যদি সাহায্য হয়।
নীলু সঙ্গে সঙ্গে জুনায়েদকে ইশারা করলো । জুনায়েদ সময় নষ্ট না করে সামনে বসে পড়লো। দুজনে গতকাল সকালবেলার ভিডিওটা চেক করতে শুরু করো। নয়টা থেকে এগারোটা পযর্ন্ত তেমন কিছুই চোখে পড়লো না কিন্তু বারোটা চার মিনিটে একটা রিকশা এসে গেটের সামনে থামলো। মনিরা একটা ছেলের সঙ্গে রিকশা থেকে নামলো। ছেলেটা মোটামুটি সুন্দর। জুনায়েদ ভিডিওটা নিজের ফোনে নিয়ে বেরিয়ে আসলো। এই ছেলেটা ওদের চেনা তাই আর অসুবিধা হবে না। অনিক ভিডিও দেখে খুব মন খারাপ করেছে। মেয়েটা ওকে বলেছি ও অসুস্থ আছে অথচ পার্কে এসে ঘুরছে। অনিককে এভাবে মন খারাপ করতে দেখে জুনায়েদ তেড়ে গেলো। জুনায়েদের এক কথা, এমন মেয়ের জন্য কিছুতেই মন খারাপ করা চলবে না। দরকার হয় ওকে ভালো মেয়ে দেখে বিয়ে দিয়ে দেওেয়া হবে। কাজ শেষ করে ওরা দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে বাড়িতে ফিরলো। জুনায়েদের সঙ্গে নীলুর মোটামুটি ভাব হয়েছে তবে সেটা আহামরি তেমন কিছু না। নীলু সব সময় সরল ভাবে চলতে পছন্দ করে।
পড়ন্ত দুপুর জুনায়েদ বিছানায় গড়াগড়ি করছে। নীলু পারভীন বেগমের সঙ্গে বসে গল্প করছিল এমন সময় কলিংবেলটা বেজে উঠলো। কাজের মেয়েটা দরজা খুলে দিতেই একটা মেয়ে ভেতরে প্রবেশ করলো। পারভীন বেগম আড় চোখে মেয়েটিকে দেখে মূহুর্ত্তের মধ্যেই ঠোঁটে কোনে কিঞ্চিৎ হাসি ফুটে উঠলো। উনি প্রায় দৌড়ে গিয়ে মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরলেন। মেয়েটা উনার বোনের একমাত্র মেয়ে অরিন মেহেরান। নীলু অবাক চোখে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছে। শ্যামবর্ণ দেখতে হলেও মেয়েটা বেশ স্মার্ট। যদি একটু মার্জিত পোশাক পড়তো তবে ওকে দেখতে ঠিক কবিদের বর্ণনায় মায়াবতী টাইপ লাগতো। নীলু আফসোস করে শাশুড়ির দিকে এগিয়ে গেলো। মেয়েটার নজর এবার পারভীন বেগমকে ছাড়িয়ে নীলুর দিকে পতিত হলো। মেয়েটার চোখে মুখে বিস্ময় খেলা করছে। হয়তো এই বাড়িতে অপরিচিত কোনো মেয়েকে দেখবে আশাকরেনি। মেয়েটা কৌতূহল দমিয়ে রাখতে না পেরে বলল,
>খালামনি এই মেয়েটাকে?
পারভীন বেগম মুখের হাসিকে আরও কিছুটা বৃদ্ধি করে বলল,
> হঠাৎ বিয়ে হওয়ার জন্য তোদেরকে বলা হয়নি। ও নীলু আমার বউমা। মেয়েও বলতে পারিস।
মূহুর্ত্তের মধ্যেই মেয়েটার সারা মুখে আধার ছেয়ে গেলো। মেয়েটা হয়তো এমটা আশা করেনি তবুও ধরা গলাই বলল,
> শুভ্র বিয়ে করছ?
> শুভ্র বিয়ে করবে কেনো ও আমার জুনায়েদের বউ। কেমন দেখতে বল?
মেয়েটা এবার হয়তো কিছুটা খুশী হলো। যেমন মেঘ কেটে গিয়ে সূর্যের দেখা মিলে ঠিক তেমনি মেয়েটা হেসে দিয়ে বলল,
> কিন্তু খালামনি জুনায়েদ না পিউ নামের একটা মেয়েকে পছন্দ করে। তোমার ছেলে যেই ত্যাড়া এই মেয়েকে বিয়ে করলো কিভাবে? তাছাড়া মেয়েটার পোশাক দেখে তো মনে হচ্ছে জুনায়েদের সঙ্গে যায়না।
পারভীন বেগম কিছু বলার আগেই সিঁড়ি থেকে জুনায়েদ উত্তর করলো,
> তুই ঠিকই বলেছিস। কোথায় আমি আর কোথায় এই মেয়েটা। নেহায়েত আব্বু বলেছিল তাই রাজি হলাম। নয়তো একে কখনো না।
মেয়েটা এবার মনে হলো ভীষন খুশী হলো। খুশীতে প্রায় দৌড়ে গিয়ে জুনায়েদকে জড়িয়ে ধরে আলাপ করলো। নীলুর কথাগুলো খুব গায়ে লেগেছে। মন খারাপ হচ্ছে। ও অথর্বের মতো দাঁড়িয়ে আছে। জুনায়েদ মেয়েটকে জড়িয়ে ধরেই সোফায় গিয়ে বসলো। নীলুর মনে হলো এরা সবকিছু নিয়েই এমন বাড়াবাড়ি করে। পোশাক দিয়ে মানুষ বিচার করা বোকামি ছাড়া কিছুই না। নীলু বেশিক্ষণ এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারলো না। নিজের রুমের দিকে এগিয়ে গেলো। জুনায়েদ অরিনকে জিঞ্জাসা করলো,
> শুভ্র ভাইয়ার জন্যই এসেছিস তাইনা?
> মোটামুটি ঠিক তবে তোর সঙ্গে এতকিছু হলো তুই কিছুই বললি না কেনো?
> হয়ে গেছে বোন কিছু করার নেই। যাইহোক আমার কথা বাদ দিয়ে ভাইয়াকে কিভাবে ঘায়েল করবি সেই চিন্তা কর। যায় বল ভাইয়া কিন্তু আমার বউকে পছন্দ করেছে।
> তোর ভাইয়ার রুচি খারাপ। এই মেয়েকে আমি মূহুর্ত্তের মধ্যে এই বাড়ি থেকে তাড়াতে পারি দেখবি?
> না। যেমন আছে থাকনা। ওর সঙ্গে ঝামেলা করিস না। তুই রেস্ট কর আমি বাইরে যাচ্ছি।
জুনায়েদ কথাটা বলতে বলতে বাইরে চলে গেলো। অরিন সেখানেই কিছুক্ষণ বসে থাকলো। শুভ্র নীলুকে পছন্দ করেছে বিষয়টা জেনে ওর খুব রাগ হচ্ছে। এরকম ক্ষেত টাইপ মেয়ে ওর কিভাবে পছন্দ হলো বুঝতে পারছে না। কলা গাছের মতো গায়ে শাড়ি জড়িয়ে রেখেছে। অরিনকে এভাবে ভাবতে দেখে পারভীন বেগম ওকে ঘরে পাঠিয়ে দিলেন। মেয়েটাকে উনার পছন্দ বড় ছেলের জন্য কিন্তু ছেলের মতিগতি ভালো না। আর যাইহোক শুভ্র একে কখনও বিয়ে করবে না এটা উনি ভালো করে বুঝতে পারেন। এক ছেলেকে জোরজবরদস্তি করে বিয়ে করিয়েছেন এবার আর করবেন না। কথাটাভেবে উনি দীর্ঘনিশ্বাস ফেললেন। নীলু ঘরে গিয়ে মুখ গোমড়া করে বসে আছে। জুনায়েদকে একটা শিক্ষা দেওয়া দরকার আছে। এমন হাল করবে কেঁদে কুল পাবেনা। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবে দেবদাস হয়ে। কথাগুলো ভেবে ও বেশ স্বস্তি পাচ্ছে। অন্যদিকে জুনায়েদ অনিকের বাড়িতে এসেছে। ছেলেটার মন খারাপ। অনিকের আম্মা কফির কাপে মুখ ঢুবিয়ে ছেলের দিকে তাকিয়ে আছেন। উনি বুঝতে পারছেন না এই ছেলেটার হঠাৎ কি হলো। উনি ভ্রু কুচকে জুনায়েদকে জিঞ্জাসা করলেন,
> এর চোখ মুখের ভাবসাব এরকম কেন জান কিছু?
জুনায়েদ ভদ্রমহিলার কথায় দাঁত কপাটি বের করে উত্তর করলো,
> বিয়ে করতে চাই আপনি দিচ্ছেন না তাই জন্য।
অনিক চোখ গরম করে জুনায়েদের দিকে তাকালো কিন্তু ওর কোনো ভাবান্তর হলো না। জুনায়েদের এমন কথায় অনিকের মায়ের গলাতে গরম কফি আটকে যাবার মতো অবস্থা। উনি কাশি থামিয়ে ভ্রু কুচকে বলল,
> সোজাসুজি আমাকে বললেই হয় এরকম ঢং করার কি আছে বুঝলাম না। আমিও চাই সে বিয়ে করুক। বয়স হচ্ছে কিছুদিন পরে মেয়ে পেতে কষ্ট হবে। পছন্দ আছে নাকি করতে হবে?
> আপনি থাকতে ওর আবার কিসের পছন্দ। শুরু
করেন মেয়ে দেখা।।
জুনায়েদ কথা বাড়াতে পারলো না অনিক ওর দিকে তেড়ে আসলো।
(চলবে)
ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন।
আসুন নামাজ ও কোরআন পড়ি।