Journey part-28

0
427

#Journey

#২৮

একটা সবুজ মাঠের মাঝ দিয়ে জেসমিন যাচ্ছে,আকাশ জুড়ে তেজবিহীন সূর্যের আলোর ঝলকানি।জেসমিন সাবধানে পা ফেলছে ঘাসের বুকে,যেন এলোমেলোভাবে পা ফেললেই ঘাসের খুব বড় ক্ষতি হয়ে যাবে,পরনে সাদা রঙের পা পর্যন্ত লম্বা গাউন,খোলা চুল বাতাসে উড়ছে। দুহাতে গাউন ধরে হাঁটছে,চারপাশটা এত সুন্দর! হঠাৎ করেই আকাশ কালো হয়ে ঝড়ো বাতাস বইতে শুরু করে।জেসমিন নিজেকে সামলাতে ব্যস্ত হয়ে সামনে এগুতে থাকে,আর তখনই খেয়াল হয়,তার সাদা জামা লাল রক্তে ভরে গেছে।পেছন ঘুরতেই দেখে জাফার দাঁড়িয়ে, ওর সমস্ত শরীর বেয়ে রক্ত পড়ছে,আর সেই রক্তেই জেসমিনের জামা রক্তাক্ত হয়েছে।তার কিছুটা পেছনে রাইফ আর সেলিম দাঁড়িয়ে আছে,চোখে অসহায় দৃষ্টি।

আচমকা জেসমিন দেখতে পায়, পায়ের নিচে বিশাল কালো গহ্বরের মুখ হাঁ হয়ে গেছে আর তাতে সে নিজে ঢুকে পড়ে যাচ্ছে।ভেতর থেকে আওয়াজ আসছে, “দিয়ে দে…দিয়ে দে…”
পড়ে যেতে যেতে শেষ মুহূর্তে দেখে রাইফ আর সেলিম গর্তের কিনারায় দাঁড়িয়ে ওকে নিচে পড়ে যেতে দেখছে,দুজনের চোখের দৃষ্টিই নিষ্প্রাণ!

লাফ দিয়ে চিৎকার দিতে দিতে নিজেকে সামলে নেয় জেসমিন,এতক্ষণ একটা দুঃস্বপ্ন দেখছিল যা গত কয়েকদিন ধরে একটানা দেখে যাচ্ছে।এসি চলছে,ঘর যথেষ্ট ঠান্ডা,তবুও গায়ের জামা ঘামে ভিজে জবজবে হয়ে শরীরের সাথে সেঁটে আছে,বিশেষত পিঠের দিকটা।বাঁ পাশে তাকিয়ে দেখে রাইফ আর সেলিম দুজন শান্তিমত ঘুমুচ্ছে,ওর হুট করে জেগে ওঠা ওদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়নি।চুপ করে উঠে বসে বিছানা থেকে ধীরস্থিরে নেমে আসে।গায়ের জামা খুলে ভেজা তোয়ালে দিয়ে ঘাড় পিঠ মুছে নেয়।প্রতিটা রাতে এমন দুঃস্বপ্ন ওকে আবারও তাড়া করতে শুরু করেছে,ঠিক পুরোনো দিনের মত।মাঝখানে জীবনটা অনেক সুন্দর ছিল,গত দেড় মাসে আবার সেটা বিষের মত লাগছে।অবশ্য এখন ঘুমুলে দুঃস্বপ্ন দেখে,আগে ঘুম হত না,জেগে জেগেই সেটা দেখা যেত।

শরীর মুছে পাতলা নাইটি গায়ে চড়ায়।কোন অজানা কারণে শরীর শুধু ঘাম দিচ্ছে,আর সব কিছু অসহ্য লাগছে।এখন ভারী কাপড়ের ঝামেলা করার মানে নেই।তাছাড়া ঘরে আছেই তো স্বামী আর সন্তান ছাড়া কেউ নেই।হুম,সেলিমকে নিজের সন্তানই বলা যায়।এক গ্লাস পানি খেয়ে বেডরুম সংলগ্ন ট্যারিসে চলে আসে জেসমিন।ওরা সিসিলিতে আসার এক মাস আগে কিস্তিতে বাড়িটা রাইফ কিনেছে।ইটালির নাগরিক হয়েছে,বাড়ি না কিনলে কি চলে?শুরুতে এটা ছাড়াও আরো কয়েকটা বাড়ি পছন্দ হয়েছিল,তবে জেসমিন আর জাফার দুজনেই এটা পছন্দ করে।বাড়িটা খুব বেশি বড় না,তবে সামনের ভিউ খুব সুন্দর,একটা বিরাট লেক দেখা যায়। পার্কিং ছাড়াও দোতলা বাড়িটায় নিচতলায় গেস্টরুম,কিচেন ডাইনিং আর লিভিং রুম।উপরে চারটা বেড রুম,একটা বড় ট্যারিস।ট্যারিস দেখেই মূলত ওদের সবার এটা পছন্দ হয়ে যায়।সেখানে রেলিংএর পাশ জুড়ে ছোট ছোট গাছ,একটা দোলনা, একটা টি টেবিল আর বসার জন্য দুটো চেয়ার।প্রায় বিকেলেই এখানে জেসমিনের বসা হয়,একেবারে মন ভাল করে দেয়া পরিবেশ।

কাঠ মোড়ানো রেলিংটায় হেলান দিয়ে ঘুমন্ত শহরের দিকে তাকায়,এখনও রেলিং থেকে নতুন ঘ্রাণ আসছে,নতুন কাঠ আর নতুন রঙ।সামনে তাকিয়ে জেসমিন ভাবে,কি সুন্দর নিশ্চিন্তে শহরটা ঘুমিয়ে আছে! তবুও হতে পারে এর মাঝেই ওর মত কিছু মানুষ নির্ঘুম চোখে আকাশ দেখছে।তাদের মাঝে অনেকেরই জেসমিনের মত দুঃস্বপ্নের তাড়া খেতে হয় না,অনেকেরই হয়ত সুখের বিছানায় ঘুম আসে না,হয়ত গুটিকয়েক মানুষ রাতের আকাশের অন্ধকারে তাকিয়ে বিধাতার উদ্দেশ্যে চোখ থেকে দুফোঁটা জল ফেলে,ঠিক জেসমিনের মত।

চোখের পানি মুছতে গিয়ে পেছনে কি একটা শব্দ শুনতে পায়।ঘাড় ঘোরাতেই রাইফের হাত ওর রেলিংএর উপর রাখা হাতের স্পর্শে আসে।
“আজও দুঃস্বপ্ন দেখলে?”
“তুমি কি করে বুঝলে?আমি তো কখনও তোমাকে এব্যাপারে বলিনি”
“জেস! তোমাকে আমি শুধু ভালবাসি,তা নয়,তোমাকে আমি বুঝতেও পারি।কিছুদিন ধরে প্রতি রাতেই বিছানা ছেড়ে উঠে আসো মাঝরাতে।দুঃস্বপ্ন না দেখলে তো আসতে না”

জেসমিন চুপ করে আকাশের দিকে তাকায়,অগণিত তারা আকাশ থেকে ওদের এখন দেখছে।ওর কাছ থেকে।কোন উত্তর না পেয়ে রাইফ প্রশ্ন করে,
“কি নিয়ে দুঃস্বপ্ন দেখলে?”
এবারও ও চুপ।
“আমাকে বলবে না,তাই না? এখন আর আমাকে তুমি কিছু বলতে চাও না,আমার সাথে শেয়ার করতে চাও না,না জীবন,না বিছানা,না তোমার কষ্ট আর যন্ত্রণা ।কে তোমার পিছে লেগেছে,কেন এত বড় ট্রাজেডি আমাদের জীবন তছনছ করে দিল,কেন তুমি একটানা দুঃস্বপ্ন দেখে যাচ্ছ,কিছুই আমাকে বলা যায় না! আচ্ছা জেস,তোমার স্বামী হবার অধিকার আছে তো আমার,নাকি???”

জেসমিন হাতের দিকে তাকিয়ে আছে।অন্ধকারে কিছুই বোঝা যায় না হাল্কা একটা অবয়ব ছাড়া।তার মাঝেও ডান হাতের অনামিকায় রাইফের দেয়া এনগেজমেন্ট এর আংটির ডায়মন্ড জ্বলজ্বল করছে।বাঁ হাতে সেটা নড়াচড়া করে।রাইফ এদিকে অবাক হয়ে যাচ্ছে।জেসমিন আজকাল কি ভাবে,কি করে,কিছুই বুঝতে পারছে না।সেদিনের এক্সিডেন্টের পর শেষ ও বলেছিল যে,ওর অতীতের কারণে এত কিছু হয়েছে।কিন্তু এরপরে অনেক চেষ্টার পরও জেসমিনের মুখ থেকে এব্যাপারে একটা শব্দও বের করতে পারে নি!বরং এই প্রসঙ্গ আসলে এমন ভাব করে,যেন কিছুই হয়নি!

আজ রাইফের ভীষণ অসহীষ্ণু লাগছে এ নিয়ে।রাতের নীরবতা ভেঙে রাইফের কন্ঠ আরো এক স্কেল উপরে উঠে।
“আর কত এরকম করবে?সেদিনের পর থেকে একদিনও আমার সাথে আমার পাশে বিছানায় শোও নি,সেলিম কাঁদে বলে আমাদের মাঝখানে ওকে ঘুমুতে দাও।বললাম ওকে দেয়ালের পাশে দাও,তোমার পাশেই তো থাকবে,কিন্তু না! আমাদের মাঝেই ওকে রাখতে হবে,কারণ ওর বাবা নেই! তখন সেলিম কাঁদত,এখন কি কাঁদে?এখন কেন আমাদের মাঝে ওকে রাখতে হবে?কেন প্রতিদিন রাখতে হবে?আমার পাশে কেন তুমি থাকবে না,কেন??”

জেসমিন অন্য দিকে তাকিয়ে থাকে।
“I’m not in a mood to talk to you in this topic”
কথাটা বলেই জেসমিন ঘুরে চলে যেতে নেয়,রাইফ ওর হাত চেপে ধরে। আস্তে করে বলে,
“তুমি কি সেলিমকে ইচ্ছে করে রাতে আমাদের মাঝে রাখো যেন আমি তোমার কাছে না আসতে পারি? তুমি কি ওকে আমাদের মাঝে বাঁধা সৃষ্টির জন্য ব্যবহার কর?”
“যদি তাই ভাব,তবে তাই”
“কিন্তু কেন!জেস,আমার কি দোষ!”
“কোন দোষ নেই”
“তাহলে কেন আমাকে শাস্তি দিচ্ছ?!”
“তোমাকে শাস্তি দিচ্ছি না,আমি প্রস্তুত নই,তাই দূরে থাকছি”
“প্রস্তুত? কিসের জন্য?আমার পাশে ঘুমুতে তোমার প্রস্তুতি লাগে??!”
“হ্যাঁ লাগে! তোমার পাশে শুতে আমাকে মানসিক প্রস্তুতি নেয়া লাগে! তোমার পাশে শুলে তুমি আমাকে শারীরিক চাহিদা মেটাতে বলবে যা মেটানোর মানসিক প্রস্তুতি আমার নেই!আমার ইচ্ছা নেই!আমি বিছানায় জোরাজুরি চাই না!তাই আমি দূরে থাকছি!”

ওর উঁচু কন্ঠস্বর আশপাশের দালানে আঘাত হেনে আবার রাইফের কানে এসে ধাক্কা দেয়,রাইফ ওর কথাগুলো বুঝতে পেরে হাত ছেড়ে দেয় সাথে সাথে।ঘুরে আবার রেলিংএ হাত রাখে।নাহ,জেসমিনের সাথে এখন এসব কথা বলা ঠিক হয়নি,কারণ ওর মুখনিঃসৃত শব্দগুলো কতদিন ওকে তাড়িয়ে বেড়াবে নিজেও জানে না।চোখ থেকে এক ফোঁটা পানি পড়ে যায়।আচ্ছা,স্ত্রীর সাথে কি শুধুই শারীরিক সম্পর্ক হয় পাশাপাশি শুলে?ভালোবাসা হয় না?কাছাকাছি অবস্থানে মনের দুঃখ কিছু ভাগ হয় না?ঘুমানোর আগে দুটো মনের কথা বলা যায় না? জেসমিন এটা কি বলল?

পেছনে ফিরে জেসমিনকে কিছু বলতে গেলে দেখে,ও চলে গেছে।মন আরও খারাপ হয়ে গেছে।একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বেডরুমে চলে আসে।ওয়াশরুমে শব্দ হচ্ছে,তারমানে জেসমিন সেখানে।বিছানায় গিয়ে নিজের বালিশে মাথা রাখে।নাহ,জেসমিনের জন্য শুধু শুধু রাত জেগে লাভ নেই,এই মেয়ে নিজের দুঃখের ভাগ কিছুতেই দিবে না।বালিশে মুখ চেপে রাখে।

এক্সিডেন্ট, হ্যাঁ,এই এক্সিডেন্ট জেসমিনকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে।আগে ও রাইফকে ঘুমুতে চাইত না।যখন এক সাথে থাকত,তখন ওকে না জড়িয়ে ঘুমুতে পারত না,আর যখন রাইফ সিসিলিতে থাকত,তখন ওকে কল দিয়ে গান গেয়ে জেসমিনকে ঘুম পাড়াতে হত।আজকাল এসব কিছুরই দরকার হয় না।জেসমিনের যখন মন চায়,তখন বিছানায় আসে,ইচ্ছে হলে তখনই ঘুমায়,নাহয় আরো পরে।রাইফের স্পর্শ ছাড়াই এখন ওর ঘুম ওকে ছুঁয়ে যায়।এক রাশ অভিমান রাইফের সারা মনে ভর করেছে।অভিমানে মনে নিয়ে ধীরে ধীরে ও ঘুমিয়ে তলিয়ে যায়।

যখন ঘুম ভাঙে,তখন রাইফের পাশে জেসমিনের অস্তিত্ব টের পায়। রাইফের পাশে শুয়ে পেছন থেকে দুহাতে ওকে চেপে ধরেছে।হাতগুলো এলোমেলোভাবে ওর বুকে ঘোরাঘুরি করছে।পেছন থেকে জেসমিন বলে,

“জানো,আমি খুব সরি।যা করেছি,ঠিক হয়নি,আমি আসলে……।আমাকে ক্ষমা করে দাও।জানি মাফ করবে না,তবুও চাচ্ছি।…….জান,তুমি ঠিক বলেছ।কিছুদিন ধরে আমি এক টানা দুঃস্বপ্ন দেখে যাই।সেখানে প্রতিদিনই আমার গায়ের জামা রক্তাক্ত হয় জাফার ভাইয়ের রক্তে,তারপর আমি একটা অন্ধকার গর্তে তলিয়ে যাই। তুমি আর সেলিম এসব শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখ,যেন তোমাদের কিছু করার নেই।প্রতিদিন ঠিক এই স্বপ্নটাই আমাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। আমি জানি না এর মানে কি,তবে জাফার ভাই যে আজ আমার কারণেই…!আমার কারণেই যে আজ সেলিম…”

রাইফের পিঠে মুখ গুঁজে হু হু করে কেঁদে ওঠে ও।রাইফ ঘুরে ওকে বুকে চেপে ধরে।মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলে,
“ভাইয়ের যাওয়ার সময় হয়েছে,তাই চলে গেছেন,কেন এ নিয়ে নিজেকে দোষ দিচ্ছ?যদি তার সময়,রিযিক,হায়াত না শেষ হত তবে আমাদের শত্রু চাইলেও তাকে মারতে পারত না।আর…আমাকে যা বলেছ,কথাগুলো মারাত্মক খারাপ কথা।আমি কি কখনো আজ অব্দি তোমাকে জোর করেছি?তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করেছি?কেন এতবড় কথা আমাকে আজ শুনতে হল? এই যে আমার পাশে শুয়ে আছ,আমি কি আমার শারীরিক চাহিদা মেটানোর আব্দার করেছি? দেখ,স্বামী স্ত্রী পাশাপাশি থাকে কারণ তারা একে অপরের সঙ্গী।সুখ না শুধু,দুঃখ গুলোও তারা সমানভাবে ভাগ করে নেয়।তুমি আমার থেকে দূরে থাকলে কি করবে বুঝব তোমার মনে কতটা অসুস্থতা বিরাজ করছে? কি করে না ঘুম হলেও চুলে হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়াব?অন্ততঃ ভালবাসার খাতিরে আমাদের এটা করা উচিত না!”

জেসমিন জোরে জোরে নাক টানে।
“আমি সরি,প্লিজ,আর হবে না!”
“হুম,ঠিক আছে”
“আমরা কিন্তু সেলিমকে আমাদের সাথেই রাখব, ও একা একা খুব ভয় পায় আর জাফার ভাইকে খুঁজে।আমি ওকে নিজের ছেলের মত রাখতে চাই”
“সেলিম আমাদের ছেলেই জেস,ও আমাদের বড় ছেলে।আমাদের ছেলে মেয়ে হলে ওরা জানবে সেলিম আমাদের ছেলে”

জেসমিন কিছুটা শান্ত হয় এ পর্যায়ে।চুপ করে কিছুটা সময় পার হলে রাইফ মুখ খুলে,
“কে এত বড় ঝামেলাটা করেছে বললে না?”
“প্লিজ,তুমি আর জানতে চেও না,দোহাই লাগে!”
“কিন্তু কেন!আমি কেন জানব না!আমার কি সেই অধিকার নেই?!কেন আমি এটা জানতে পারব না সেটা তো বলো?!”
“আমার অতীত আবার এসেছে,আর এটা অতীতের কারো কাজ।সে আমার পিছে লেগেছে,তারও কোন না কোন কারণ তো আছেই।কিন্তু এটা তুমি জানলে তুমিই বিপদে পড়বে।তাছাড়া মানসিক ভাবে তুমি ভেঙে পড়বে,যে শত্রু সে বুঝে যাবে।এটা কিছুতেই করা যাবে না।তোমার জীবনের উপর সেটা হুমকি স্বরূপ হবে।একটা কথা কি জানো? জাফার ভাইকে মেরেছে আমার স্বামী মনে করে??”
“মানে??!”
“ওরা ভেবেছিল জাফার ভাই আমার স্বামী যেহেতু উনি ড্রাইভ করছে।একারণে উনার উপর এটাক এসেছে।হয়ত এখন বুঝেছে যে তোমাকে মারতে পারেনি,তাই আবারও এসব হতে পারে”
“কি!এত বড় একটা ঘটনা!আর তুমি আমাকে এতদিনে বলছ?প্রায় দেড় দুমাস পর??”
“এখন আমরা সেইফ,এখন কিছুই হবে না।তাছাড়া… এতকিছু জানলে তোমার জীবনের উপর থেকে বিশ্বাস চলে যাবে।প্লিজ,আর জিজ্ঞাসা করো না।শুধু আল্লাহর কাছে দুয়া কর যেন এই সমস্যায় আর কাউকে বলি হতে না হয়!”

রাইফ চুপ মেরে যায়।জেসমিনকে জিজ্ঞাসা করে লাভ হবে না,জানতে হলে নিজ দায়িত্বে খুঁজে বের করতে হবে।

রাইফ কি সেটা পারবে?

চলবে…

লেখনীতে, #AbiarMaria

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here