#অব্যক্ত ভালোবাসা
পর্ব:১৯
🍂
প্রিয় শ্যামলতা❤,
কি হয়েছে তোমার শ্যামলতা?মন খারাপ কেন তোমার?কেন ঐ স্নিগ্ধ মুখখানায় বিষন্নতা এসে ভর করেছে শ্যামলতা?আচ্ছা আমি শ্যামলতা বলে সম্বোধন করছি বলে তুমি কি রাগ করছ? রাগ করলেও আমি তোমাকে শ্যামলতা বলেই সম্বোধন করব।যদিও আমার কাছে তোমার জন্য আরো একটা স্পেশাল নাম আছে।যাক সেসব কথা।তুমি কেন মন খারাপ করেছিলে বলো তো।তুমি কি জানো তোমার এই মন খারাপের জন্য কেউ ভিতরে ভিতরে দগ্ধ হয়ে যেতে পারে।সে খেয়াল কি রাখো তুমি? নাহ রাখো না।রাখলে আর কখনোই মন খারাপ করতে না।তোমার সবকিছুই আমার ভিতর গভীর ভাবে প্রভাবিত করে।প্রথমদিন তোমার সেই ভয়ার্ত চেহারা আমাকে ভীষণ ভাবে আঘাত করে।ভেবেছিলাম তোমার এই ভয়ের জন্য আমিই দায়ী।ভিতরটা ভীষণ ভাবে নাড়া দিয়ে গেল।তারপর হঠাৎই তোমার রনচন্ডী রূপ।তোমার চোখে রাগ যেটা আমাকে অবাক করতে সক্ষম ছিল।আর তারপর তোমার ভয়ার্ত চেহারাটা দেখার সৌভাগ্য আমার প্রায়শই হয়ে গেল।আর সবথেকে বেশি আমার ভিতরে যে প্রভাব ফেলতে সক্ষম ছিল সেটা ছিল ঐ দিন তোমার বৃষ্টি ভেজা রূপ।যেটা আমার রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে।আমি না চাইলেও বারবারই তোমার বৃষ্টি ভেজা রূপটাই আমার চোখের সামনে ফুটে ওঠে।সাদা ফ্রক পরিহিত শ্যামলতাকে আমার কাছে সেদিন কোনো অপ্সরীর থেকে কম লাগছিল না।কিন্তু কিছু এখটা মিসিং ছিল।যেটা আমি সেদিন বারবার তোমাকে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখার পর ও বুঝতে পারছিলাম না।কিন্তু পরে যখন তোমার বৃষ্টিতে সিক্ত হয়ে যাওয়া রূপ টা ভেসে উঠলো তখন বুঝতে পারি যে আসলে কি মিসিং ছিল।সেটা হলো তোমার হাতের চুড়ি।তোমার শুভ্রতায় ঘেরা রূপে যেন এটারি কমতি ছিল।তোমার কি শুভ্র রঙের চুড়ি নেই শ্যামলতা?থাকুক আর না থাকুক।আজকে আমার দেওয়া চুড়ি গুলো যেন আমি তোমার হাতে দেখতে পাই।আর আমার দেওয়া শাড়িটাও তোমাকে পড়তে হবে।শুভ্র রঙের শাড়ি আর শুভ্র কাচের চুড়ি পড়ে তুমি হয়ে যাবে শুভ্রতায় ঘেরা মায়াবিনী।কি হবে না শ্যামলতা? আমি যে অপেক্ষার প্রহর গুনছি আমার মায়াবতি কে দেখার জন্য,শ্যামলতা।
ইতি তোমার
খবিশ💖
খবিশ নামটা দেখেই চমকে উঠল মেহবিন।এই নামে তো সে প্রথম প্রথম মায়ানকে ডাকতো।তাও মনে মনে।মায়ান কিভাবে জানল এটা।মেহবিন হাতের চিঠিটা উল্টে নিবে তখনই কাগজের ভিতর থেকে আরো একটা কাগজ বেরোলো।মেহবিন কপাল কুঁচকে কাগজটা মেলে ধরতেই দেখতে পেল সেখানে লিখা-
-”’কতবার বলেছি পিচ্চি,এই ছোট্ট মাথায় এত চাপ দিও না।আমি কিভাবে এই খবিশের টপিক টা জানলাম তা নাহয় তোমার অজানাই থাক।বাই দা ওয়ে নামটা কিন্তু সুন্দর।খুবই আনকমন।আমি এই নামটা আগে কখনোই শুনে নি।শেষে গুগলে সার্চ করে এর মিনিং বের করতে হয়েছে।তবে এর মিনিং যাই থাক।নামটা কিন্তু আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছে।কেরি ওন পিচ্চি।
মেহবিন লেখাটা পড়ে মুচকি হাসল।মেহবিন পাশে থাকা ব্যাগ টা নিয়ে দেখতে পেল শুভ্র রঙের কিছু কাচের চুড়ি আর একটা পায়েল।মেহবিন মুচকি হেসে ব্যগ থেকে একটা শুভ্র রঙের কাতান শাড়ি বের করল।শাড়িটা দেখে মেহবিন অবাক হয়ে গেল।এত সুন্দর শাড়ি যে মেলায় থাকার কথা না।কিন্তু মায়ান তো বলল যে মেলা থেকেই কিনেছে।মেহবিনের চিন্তার ইতি টানতে হলো মায়ের ডাকে।মেহবিন তাড়াহুড়ো করে শাড়ি আর বাকি জিনিস গুলো ব্যাগে ভরে ড্রয়ারে রেখে দিল।তারপর আসছি আম্মু বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেল।
————
সকাল ১০ টা।মেহবিন কলিং বেল প্রেস করার সাথে সাথেই মাইজা দরজা খুলে দিল।মেহবিন মাইজাকে দেখে হেসে বলল-
-”’বাহ মাজা,আজকে দেখছি তারাতারি রেডি হয়ে গেলি।নিশ্চয়ই আন্টি সকাল সকাল উত্তম মধ্যম দিয়েছে।নেইলে এত জলদি তো তুই রেডি হোস না।
মাইজা মেহবিনের কথায় পাত্তা না দিয়ে স্নিকার্স পড়ে নিয়ে মেহবিনকে বলল-
-”’চল।
বলেই হন হন করে নিচে নেমে গেল।একবার তাকালো ও না মেহবিনের দিকে।মেহবিন খুব অবাক হচ্ছে মাইজার আচরণে।এর আগে কখনোই মাইজা এমন করেনি তার সাথে।ওরা কেউই কারো সাথে এমন আচরণ করেনি।মেহবিনের চোখের কোণে পানি ভরে উঠল।মেহবিন ও নিচে নেমে দেখে মাইজা দাড়িয়ে আছে।মেহবিন যেতেই মাইজা পিছনের দরজা খুলে বসে পড়ে।মেহবিন ও মাইজার পাশে গিয়ে গাড়িতে উঠবে তার আগে মাইজা দরজা বন্ধ করে দিল।মেহবিনের এবার ভীষণ কান্না পাচ্ছে।সে এমন কি করল যার কারণে মাইজা তার সাথে এমন আচরণ করছে।মেহবিন গিয়ে মায়ানের সাথে ফ্রন্ট সিটে বসে পড়ে।মায়ান এতক্ষন লুকিং গ্লাসে সব দেখছিল।কিন্তু তবুও কিছু না বলে গাড়ি স্টার্ট দিল।
——–
মেহবিন নাকের পানি চোখের পানি সব এক করে ফেলেছে।চোখ মুখ একদম ফুলে উঠেছে।বারবার চোখ মুছছে কিন্তু তাও বারেবারেই পানি গড়িয়ে পরছে।মেহবিন আপাতত ছাদে দাঁড়িয়ে আছে।পুরো ক্লাস টাইমে মেহবিন কম হলেও পাচশ বার জিজ্ঞেস করেছে মাইজাকে যে সে কেন এমন আচরণ করছে তার সাথে।কিন্তু প্রতিবারই মাইজা অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছে।মেহবিন আশাহত হয়ে পরে আর কিছু জিজ্ঞেস করেই নি।কিন্তু স্কুল থেকে ফিরে রখন আবার মেহবিন মাইজাকে কিছু জিজ্ঞেস করতে নিল মাইজা রামধমক দিয়ে বলল-
-”’আরেকবার কিছু জিজ্ঞেস করবি তো থাপ্পর খাবি।বাসায় যাহ সোজা।
মাইজার এমন আচরণে সে অভ্যস্ত নয়।এমন ধমক সাধারণত মেহবিন মাইজাকে দেয়।আর ধমক খেয়েই মেহবিন বাসায় ফিরে গোসল করে খাবার দাবার খেয়ে একদম রেডি হয়ে ছাদে এসেছে কাদার জন্য।মেহবিন কাদতে কাদতে হেচকি উঠিয়ে ফেলেছে।সে হেচকি দিতে দিতেই বলে-
-”এখন এমন করছিস তো পরে যখন আবার আসবি আমার কাছে তখন একদম হাতে বালু মেখে শিং মাছের মতো বটি দিয়ে কেটে ফেলব।মুখপুরি একটা।
-”’কাকে বটি দিয়ে কাটার প্ল্যান করছ পিচ্চি?
চেনাপরিচিত কন্ঠস্বর শুনতে পেয়েই মেহবিন এক ঝটকায় পিছন ফিরে তাকাল।মেহবিনের এমন কেদে কেটে লাল হয়ে যাওয়া চেহারা দেখে আতকে উঠল মায়ান।তার পিচ্চি কাদছে কেন?সে খুব দ্রুত কদম ফেলে মেহবিনের কাছে দাঁড়িয়ে মেহবিনের দুই গালে হাত দিয়ে বলল-
-”’কি হয়েছে পিচ্চি?তুমি কাদছো কেন?কে কি বলেছে?স্কুলে কেউ কিছু বলেছে?আন্টি বকেছে?নাকি ঐ ছেলেগুলো আবার কিছু করেছে।নিশ্চয়ই ঐ ছেলেগুলোই বলেছে তাই না?কোন বাস্টার্ড কি করেছে আমাকে বলো শুধু আমি ওকে দুনিয়া থেকেই উঠিয়ে দিব।
মেহবিন ভরকে গেল মায়ানের কাজে।এমন ভাবে রিয়েক্ট করছে কেন? কাকে দুনিয়া থেকে উঠাবে আবার।একে তো মায়ান মেহবিনের গাল ছুঁয়ে আছে তারপর আবার কি সব হাবিজাবি বকছে।মেহবিন পরিস্থিতি সামাল দিতে একটু হাসার চেষ্টা করে বলল-
-”কে-কেউ কিছু বলেনি মায়ান ভাই।আপনি শান্ত হোন।আমি তো মাজার থুক্কু মাইজার জন্য কাদছিলাম।
-”’মাইজার জন্য মানে?মাইজার কি হয়েছে?
মেহবিন কাপা কাপা গলায় বলল-
-”’আ-আপনি এ-এভাবে ধরে রেখেছেন কেনো?
মেহবিনের কথায় সম্ভিত ফিরে পেল মায়ান।সে এক ঝটকায় হাত সরিয়ে নিয়ে একটু সরে দাড়াল।তারপর গলা খাকারি দিয়ে বলল-
-”তো কি যেন বলছিলে।মাইজার জন্য কাদছ কেনো?কি হয়েছে মাইজার?
মেহবিন কাদো কাদো ফেস করে বলল-
-”মাজা-আ মানে মাইজার কিছু হয়নি।কিন্তু ও কেনো জানি আমার সাথে কথা বলছে না। বললেও কেমন জানি খাপছাড়া ভাবে বলছে।আমাকে এভোইড করছে।
বলেই আবার নাক টেনে কাদতে লাগল।মায়ান একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।সে ভেবেছিল কি না কি হয়েছে যার জন্য এভাবে কাদছে।মায়ান মেহবিনের মাথায় হাত দিয়ে বলল-
-”’কাদছো কেনো বোকা মেয়ে।কাদলে কি সব ঠিক হয়ে যাবে।তুমি তো বুঝতে পারছো যে মাইজা কোনো কারনে রেগে আছে তোমার উপর।তোমার উচিত ওর রাগ ভাঙানো।এমন কিছু করা যার জন্য ওর রাগ ভেঙে যাবে।
মেহবিন খানিক ভেবে লাফিয়ে উঠে বলল –
-”মাইজা গাজরের হালুয়া খেতে খুব পছন্দ করে।আমি এটাই বানাই।মায়ান ভাই বাসায় চলুন দ্রুত।
মেহবিন একছুটে নেমে গেল।মায়ান সেদিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে পা বারাল।মেহবিন মাইজার বাসায় ঢুকেই মিসেস রুনা কে বললেন-
-”আন্টি তোমার কাছে গাজর আছে?থাকলে দেও।জলদি জলদি।
মিসেস রুনা মেহবিন কে এভাবে হাপাতে দেখে বললেন-
-”এত হাপাচ্চিস কেনো মেহু?আর গাজর তো নেই।তুই কি খাবি?খেলে অপেক্ষা কর।আমি রাতে রাফিজকে আসার সময় আনতে বলব।
মেহবিন কথাটা শুনে মন খারাপ করে ফেলে।ততক্ষণে মায়ান এসে উপস্থিত হয় সেখানে।মেহবিন দাত দিয়ে নখ কাটতে কাটতে কিছু ভাবছে।মায়ান সেটা দেখে মেহবিনের মুখ থেকে হাত সরিয়ে বলল-
-”ডোন্ট ডু দিস এগেইন।ইটস আ বেড হেভিট।
মেহবিন মায়ানের মুখের দিকে তাকালো।তারপর কিছু মনে আসতেই বলে উঠে-
-”গাজর আছে।গাজর আছে।আমি এক্ষুনি আনছি।
বলেই আবারো ছুট লাগাল।মিসেস রুনা মায়ানের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে বলল-
কি হয়েছে রে মেহবিনের?এভাবে কোথায় গেলো?
মায়ান হেসে বলল-
-”কিছু না আন্টি।বাচ্চা মানুষ তো তাই লাফালাফি বেশি করে।
মেহবিন গিয়ে আস্তে করে দরজাটা খুলল।সে জানে যে এই সময় ওর আম্মু ঘুমোয়।কিন্তু তবুও সে যথেষ্ট চোর চোর করছে।সাবধানতার কূল নাই।মেহবিন ফ্রিজ খুলে সেখানে থেকে গাজর নিয়ে আবারো আস্তে আস্তে বাসার দরজা লাগিয়ে উপরে মাইজাদের বাসায় চলে গেলো।মাইজার বাসায় গিয়েই সে ড্রয়িং রুমে মায়ানকে সোফায় বসে থাকতে দেখল।সে লাফিয়ে মায়ানের সামনে দাড়িয়ে বলল-
-”দেখুন মায়ান ভাই।গাজর এনেছি।
মায়ান মেহবিনের দিকে তাকিয়ে ওঠে দাড়িয়ে বলল-
-”হুম তো এখন কি করবে?
-”কি করবো আবার গিয়ে গাজরের হালুয়া বানা-
বলেই থেমে গেল।মেহবিন ঠোঁট উল্টে তাকাল মায়ানের দিকে মায়ান টেডি স্মাইল দিয়ে তাকিয়ে আছে তার দিকে।মেহবিন কাদো কাদো ফেস করেই বলল-
-”আমি তো রান্না পারি না মায়ান ভাই।এখন কি হবে?
মায়ান একটু হেসে বলে-
-”কিছুই হবেনা।আমি আছি তো। আমি গাজরের হালুয়া তৈরি করব।
মেহবিন অবাক হয়ে বলল-
-”আপনি রান্না করতে পারেন?
-”অফকোর্স।এমন কিছু নেই যেটা মায়ান আভিয়াজ পারেনা
ওরা দুজনেই কিচেনে চলে গেল।কিচেনে গিয়ে মায়ান শেলফ থেকে চিনি,ঘি,গুড়া দুধ,বাদাম,কিসমিস সব বের করল।তারপর গাজর গুলো স্লাইস করে কেটে নেয়।মেহবিন মায়ানের দিকে তাকিয়ে মিহি কন্ঠে বলে-
-”আমায় শিখাবেন?
মায়ান হালকা হেসে মেহবিনের হাত ধরে নিজেপাশে দাড় করায়।তারপর মেহবিনের দিকে তাকিয়ে বলে-
-”আমি যা করি সেগুলো দেখতে থাকো।কিন্তু চুলো থেকে দূরে দাড়িয়ে।
মেহবিন মাথা উপর নিচ নাড়াল।মায়ান গাজরগুলো নিয়ে চালনিতে করে ধুয়ে চিপে পানি ফেলে দিল।চুলায় কড়াই বসিয়ে তাতে গাজর আর চিনি দিয়ে নাড়তে থাকে।তারপর গাজরগুলো সেদ্ধ করে নেয়।মেহবিন রান্নার দিকে মনোযোগ দিয়ে বলল-
-”’সেদ্ধ করতে পানি লাগবেনা?
মায়ান মুচকি হেসে গাজর সেদ্ধ করতে করতে বলল-
-”চিনি থেকে যে পানি বের হবে তাতেই গাজর সেদ্ধ হয়ে যাবে।
পানি শুকিয়ে এলে গাজর এর সাথে একটু করে ঘি দিয়ে নাড়তে থাকে।কিছুক্ষণ পর যখন দেকা গেল গাজর শুকিয়ে আঠালো হয়ে গেছে তখন তাতে গুড়া দুধ দিয়ে নেড়ে নিচে নামিয়ে নেয়।ব্যস হয়ে গেল গাজরের হালুয়া।তারপর ওতে কিসমিস,বাদাম দিয়ে সাজিয়ে নিল।মায়ান মুচকি হেসে গাজরের হালুয়া একটা পেয়ালাতে নিয়ে মেহবিনকে দিয়ে বলল –
-”যাও এটা খায়িয়ে মাইজার রাগ ভাঙাও।
মেহবিন পেয়ালা হাতে নিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলল-
-”ধন্যবাদ মায়ান ভাই।আপনি না থাকলে কি যে হতো।
মায়ান একটু হেসে বলল-
-”এত কষ্ট করে একটা প্ল্যান দিলাম আবার হালুয়া ও বানিয়ে দিলাম তার বদলে শুধু ধন্যবাদ?আমার যে অন্য কিছু চাই।
বলেই মেহবিনের দিকে একটু ঝুঁকে গেল।মেহবিন আমতা আমতা করে বলল-
-”অ-অন্য কি চা-চান?
মায়ান মেহবিনের কপালের উপর পড়ে থাকা চুল গুলো কানের পিঠে গুজে দিয়ে বলল-
-”এখন না।সময় এলে আমার যা চাই তা আমি আদায় করে নিবো।
চলবে
(বিঃদ্রঃ:আজকের পর্বটা কিন্তু বড় করেই দিয়েছি আমার সাধ্য মতো।সবাই রেসপন্স করবেন প্লিজ)